#বন্ধ_দরজা
পর্ব-১৭
লেখা-মিম
ঘরে ফিরেই নয়নের কাছ থেকে চিঠি নিয়েছে তানভীর। নিজের রুমে ফিরে চিঠিটা খুললো তানভীর।
চিঠি পড়ছে সে।
তানভীর,
দেড় বছর ঘর করেছি আমি তোমার সাথে। সে ঘরে শুধু আমি একাই ছিলাম সেই ঘরে। তুমি ছিলে না কোথাও। অপরাধ কি ছিলো আমার? অপরাধ একটাই আমি মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি থেকে বিলং করি। প্রতি রাতে নিজেকে শুধুমাত্র একটা মাংসের দলা মনে হয়েছে। তোমার স্পর্শে কখনো কোনো ভালোবাসার অস্তিত্ব ছিলো না। ছিলো শুধুমাত্র চাহিদা মেটানোর ইচ্ছা। দাঁতে দাঁত চেপে তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তোমার প্রতিটা স্পর্শে পাগলের মতো ভালোবাসা খুঁজেছি। কিন্তু পায়নি। তুমি কখনো বউ হিসেবে আমাকে স্পর্শ করোনি। একজন পতিতা হিসেবে আমাকে ব্যবহার করেছো। ঘরের বউ হওয়া সত্ত্বেও আমি পতিতা হয়ে ছিলাম। আমার অপরাধ কি? আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বিলং করি। তোমার সমস্ত অপমান সহ্য করেছি। আমার বাবা মা নিয়ে পর্যন্ত তুমি কথা বলতে ছাড়োনি। তোমার সমস্ত অপমান সহ্য করেছি। কেনো জানো? আমি মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি থেকে বিলং করি। মিডেল ক্লাস ফ্যামিলিতে মেয়েদেরকে শিক্ষা দেয়া হয় যত যাই হোক স্বামীর ঘর ছাড়া যাবে না। এবার স্বামী পরকিয়া করুক, মারুক কাটুক, রাস্তার ফকির হয়ে যাক তবু সেই ঘর ছেড়ে আসা যাবে না। ছোটবেলা থেকেইএক শিক্ষা দিয়ে আমাদের বড় করা হয় লাল কাপড়ে স্বামীর ঘরে যাবি, কাফনের কাপড়ে সেই ঘর ছাড়বি। এজন্যই এতটা দিন তোমার সমস্ত অপমান সহ্য করেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কেনো বেসেছি সে কথা আমার জানা নেই। খুবকরে চেয়েছিলাম আমার ভালোবাসা দিয়ে তোমার মনের কানায় কানায় ভরিয়ে তুলতে। কিন্তু তুমি তোমার দরজা এমন ভাবে বন্ধ করে দিয়েছো যে দেড়টা বছর দরজার কড়া নেড়েই গেছি। কোনোভাবেই খুলতে পারিনি। তুমি আমাকে পতিতা সমতূল্য ভাবো সে আমি মেনে নিয়েছিলাম। তুমি আমার হাজবেন্ড। আমার গায়ে হাত দেয়ার অধিকার তোমার আছে। কিন্তু রাহাত? আমি কি তারও কিনে নেয়া পতিতা? তারও কি অধিকার আছে আমার হাত ধরে টানাটানি করার? আমার বুকে হাত দিলেও তোমার কিছুই আসবে যাবে না। আমার স্থান তোমার নজরে এতটাই নিচে। আমার অপরাধ কি? আমি মিডেল ক্লাস ফ্যামিলি থেকে বিলং করি। মিডেল ক্লাস ফ্যামিলিতে জন্ম নেয়াটা যে এত বড় পাপ সে আমার জানা ছিলো না। তোমার সংসারে বিয়ে না হলে আমি কখনো জানতামই যে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নূন্যতম সম্মানটুকু ডিজার্ভ করে না। নিজের ভালোবাসাটা প্রকাশ করাটা নাকি নির্লজ্জতা। কারন কি? আমি তোমার তেরো বছরের ছোট। তুমি জানো তানভীর আমার আব্বা আম্মার মাঝে আঠারো বছরের পার্থক্য। কিন্তু আমার বাবা কখনো আমার মা কে বলেনি যে তুমি তোমার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারবে না। বিয়ের এত বছর পরও তাদের ভালোবাসা নূন্যতম ঘাটতি পড়েনি। আজওআব্বা আম্মাএকজন আরেকজনকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। প্রায়ই রিকশায় চড়ে ঘুরতে বের হয়। একজন আরেকজনকে ফুল গিফট করে। আসলে তানভীর, ভালোবাসতে জানলে বয়সটা কোনো বাঁধ সাধতে পারে না। তুমি মানুষটা ভালোবাসতেই জানোনা। যাই হোক তানভীর, তোমাকে বদলানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি পারিনি। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আরপারছি না। এভাবে নিজের সাথে যুদ্ধ করার চেয়ে মরে যাওয়াটা আজকাল হাজারগুনে শ্রেয় মনে হয়। উঠতে বসতে আমি মধ্যবিত্ত, আমিখারাপ, আমি নির্লজ্জ,লোভি এসব শুনতে শুনতে আমি তিক্ত হয়ে গেছি। আমার ধৈর্যে্য আর কুলাচ্ছে না। অনেক হয়েছে সংসার করা। আর না। শত চেষ্টা করেও তোমার জন্য আমার মনের দরজা তোমার জন্য খোলা রাখতে পারলাম না। বন্ধ করতেই হলো দরজাটা। সাদির বিয়ের পরই তোমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো। ভালো থেকো।
চিঠিটা খাটের উপর রেখে ফ্লোরে গা এলিয়ে শুয়ে আছে তানভীর। বুকের বা পাশটাতে কেমন যেনো চাপ অনুভব করছে ও। প্রচন্ড রকমে অস্থির লাগছে তানভীরের। কি করবে এখন সে? এই মূহূর্তে কি করা উচিত ওর? ও যা করেছে এরপর কি সুহায়লা আদৌ ওকে মাফ করবে? সুহায়লাকে তো সে ভালোবেসে ফেলেছে। এখন কিভাবে ওর কাছ থেকে দূরে সরে থাকবে? সুহায়লা কি সত্যিই মনের দরজা বন্ধ করে দিলো? ফোন বাজছে তানভীরের। হাতে নিয়ে দেখে ফাহিম ফোন করেছে। ফোনটা রিসিভ কলো তানভীর।
-” হুমম…..”
-” সুহায়লার সাথে কথা হয়েছে?”
-” না। আমি ঢাকা চলে এসেছি। ওর সাথে দেখা করবো।”
-” ও দেখা করবে বলে তো মনে হয়না।”
-” করবে না মানে? আই এ্যাম ইন লাভ উইথ হার। শি হ্যাস টু আন্ডারস্ট্যান্ড মাই ফিলিংস।”
-” বাহ্, কি সুন্দর কথা! তুই বুঝেছিলি ওর ফিলিংস যে ও তোরটা বুঝবে? কতটা কষ্ট দিয়েছিস ওকে তুই হিসেব করে নিস।”
-” তখন আমি বুঝিনি।”
-” লেইম এক্সকিউজ দেখাস না তানভীর। একটা মেয়ের ফিলিংস তুই দেড় বছরেও বুঝতে পারিস নি তাই না? ”
-” আরে আমি কি বলছি নাকি যে আমি ভুল করিনি? আমি ভুল করেছি সেটা স্বীকার করছিই। তার মানে তো এই না যে ও ঘর ছেড়েচলে যাবে। স্টিল নাউ শি ইজ মাই ওয়াইফ। কোনো ডিসিশন নেয়ার আগে তাকে অবশ্যই আমাকে জানাতে হবে। এভাবে চাইলেই ও আমার সাথে কন্টাক্ট অফ করতে পারে না।”
-” তুই তো ওকে বউ বলে স্বীকারই করিস না। তাহলে ও তোকে কেনো জানাবে?”
-” এতদিন করিনি। এখন তো করি।”
-” সময় হারিয়ে করছিস। এখন সুহায়লা আর তোকে নিয়ে সংসার করতে চাচ্ছে না।”
-” বললেই হলো সংসার করবে না? সংসারটা ওর একার না। আমারও। ওর একার সিদ্ধান্তে কি আসে যায়? এখন আমি যাবো ওর বাসায়। ওকে নিয়ে আসবো।”
-” দেখ তানভীর, সাদমান আর আংকেল কিন্তু এসবের কিছুই জানে না। তুইএতদিন ওর সাথে যা করেছিস সেসব কিছুই ওদের জানানো হয়নি। ডিভোর্সের ব্যাপারেও কিছু জানায়নি। সামনে সাদমানের বিয়ে। এই মূহূর্তে যদি ও জানে যে ওর বোনের লাইফে তুফান চলছে তাহলে ওকে এখন কোনোভাবেই বিয়ে দেয়া যাবে না। আংকেল শুনলে উনিও এখন বিয়েটা স্থগিত করে রাখবেন। অনেক ঝামেলার পর সাদমানের বিয়ে ফাইনাল হয়েছে। এই মূহূর্তে সুহায়লা ওর বাবা ভাইকে জানিয়ে ঝামেলা বাড়াতে চাচ্ছে না।”
-” খুবই ভালো কথা। জানানোর প্রয়োজনটা কি? আমার জন্য ভালোই হলো। আমি তো ভেবেছিলাম ওর ভাই বাবা জানে। এখন বাসায় গেলেই উনাদের মুখোমুখি হতে হবে আমাকে । ঝগড়াঝাটি হবে। যেহেতু জানে না তাহলে তো সমস্যা নেই। ইজিলি ওকেফেরত আনা যাবে।”
-” কিভাবে আনবি? ও যদি না আসতে চায়? ঘরে সিনক্রিয়েট করে?”
-” ও আসবে না? ওর বাপ ভাই সহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসবো। আর সিনক্রিয়েট করবে কি করবে না সেটা পরে দেখা যাবে।”
-” তানভীর তোকে বলি শোন, মেয়েটার হাল তুই এমনিতেই এই দেড় বছরে খারাপ করে ফেলেছিস। ওর উপর আর কোনো প্রেশার ক্রিয়েট করিস না প্লিজ। গিয়েছে যেহেতু দু চারদিন থেকে আসুক। এরপর না হয় তুই যেয়ে ওকে নিয়ে আসিস। এতরাতে ঐ বাড়িতে যেয়ে শুধু শুধু সুহায়লার সাথে ঝামেলা করিস না।”
-” রাত বিরাত হয়েছে তো কি হয়েছে? আমি আমার ওয়াইফের কাছে যেতেই পারি। আর দু চারদিন ধৈর্য্য ধরার ক্ষমতা আমার নেই। মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য বাবার বাড়ি থেকে কি করবে? আমার কাছে থেকেও তো মাইন্ড ফ্রেশ করা যায়। নাকি? দরকার পড়লে ওকে নিয়ে সপ্তাহখানেক দূরে কোথাও ঘুরে আসবো। ওকে এই মূহূর্তে কোনোভাবেই দূরে রাখা যাবে না।”
-” তোর বউ। তুই ভালো বুঝিস। আমার যা বলার ছিলো তা আমি বলেছি। এখন তুই যদি ভাবিস যে ওকে দূরে সরিয়ে রাখতে তোর কষ্ট হবে তাহলে যা। ওকে নিয়ে আয়। কোনো হেল্প লাগলে বলিস। আর হ্যাঁ তানভীর, মেয়েটাকে প্লিজ আর কষ্ট দিস না। ”
-” কষ্ট দিতে যাবো কেনো? ওকে জিজ্ঞেস করিস তো গত দুমাসে কোনো মিসবিহেভ আমি করেছি কি না? তখন আমার মনে বিষ ছিলো। এখন সেই বিষটা কেটে গেছে। সো এখন ওর সাথে মিসবিহেভ করার প্রশ্নই আসে না।”
-” আর রাত করিস না। অলরেডি সাড়ে বারোটা বাজে। এখনই রওয়ানা দিয়ে দে।”
-” ওকে বাই।”
ফোনটা কেটেই সুহায়লার বাসার দিকে রওয়ানা হলো তানভীর। কলিংবেল চাপার পর সাদমান এলো গেইট খুলতে। গেইট খুলে তানভীরকে দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো সাদমান। এতো রাতে উনি?
-” ভাইয়া আপনি? এতো রাতে?”
-” হ্যাঁ সুহায়লা কোথায়?”
সুহায়লার মা বিছানা ছেড়ে এসেছেন কে এসেছে দেখার জন্য। মেয়ের জামাইকে এতরাতে দেখে উনিও বেশ অবাক।
-” কি ব্যাপার তানভীর তুমি এত রাতে?”
-” জ্বি আন্টি। সুহায়লাকে নিতে এসেছি।”
-” আচ্ছা তুমি আগে ভেতরে এসে বসো।”-”
-” সুহার সাথে কি আপনার ঝগড়া হয়েছে ভাইয়া?”
-” তোমাকে কে বললো?”
-” ও যখন বলেছে এবার দুমাস থাকবে তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো। ঝগড়া কি খুব গুরুতর হয়েছে?”
-” না না। হালকা ঝগড়া হয়েছে। আসলে খুব ব্যস্ত থাকি তো। ওকে একদম সময় দিতে পারছি না। এসব নিয়েই ঝগড়া হয়েছে। বুঝোই তো মেয়ে মানুষ। অভিমানটা একটু বেশি।”
সুহায়লার মা হা হয়ে বসে তানভীরের মিথ্যা কথাগুলো গিলছে। আজ তানভীরকে একদম অন্যরকম লাগছে। ওর চোখ মুখ বলে দিচ্ছে সুহায়লার চলে আসাটা ওকে ভীষনভাবে ভোগাচ্ছে। তাই আজ তানভীরের মিথ্যা কথাগুলো শুনতে উনার বেশ ভালো লাগছে।
-” বাবা সুহা তো ঘুমাচ্ছে।”
-” সমস্যা নেই। আমি ওকে ঘুমের মধ্যেই কোলে করে নিয়ে যাবো। শুধুশুধু ওকে ঘুম থেকে উঠানোর প্রয়োজন নেই।”
-” ভাইয়া এতরাতে এসেছেন। আজ এখানেই থেকে যান। কালসকালে সুহাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আপনার সাথে পাঠিয়ে দিবো। দেখা যাবে ওর যা রাগ এত সহজে ভাঙবে না। আপনি ঘুমের মধ্যে ওকে নিয়ে যাবেন। সকালে উঠে আবার ও চলে আসবে। এর চেয়ে ভালো কাল সকালে আব্বা আর আমি ওকে বুঝিয়ে বলবো। আমি ওকে বুঝালে ও না করবে না।”
-” আচ্ছা ঠিকাছে। আমি থাকবো। ও কোন রুমে আছে?”
-” ও ঐ পাশের রুমে আছে। বাবা তুমি খেয়েছো তো রাতে?”
-” না। সকালে এগাোটার পর আর কিচ্ছু খাইনি।”
-” কি বলো? এই সাদি তোর গেন্জি আর ট্রাউজার দে তানভীরকে। বাবা তুমি কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি খাবার দিচ্ছি।”
তানভীর ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসে খাচ্ছে। সাদমান যেয়ে সাবাকে সুহায়লার পাশ থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। তানভীর সেখানে থাকবে তাই। ডাইনিং রুমে তানভীরকে দেখে সাবার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে।
-” দুলাভাই? এত রাতে এখানে কি করেন?”
-” ক্ষুদা লেগেছিলো। বাসায় খাওয়ার কিছু ছিলো না। তাই খেতে এসেছি।”
-” আমি কিন্তু সিরিয়াসলি জিজ্ঞেস করেছি দুলাভাই। আপনি মজা নিচ্ছেন কেনো?”
-” কারন জেনেও না জানার ভান করছো কেনো? তোমার বোন যে ঝগড়া করে চলে এসেছি সেটা তুমি জানো না?”
-” হুম জানি।”
-” বউ ঝগড়া করে চলে এসেছি। ওকে মিস করছিলাম। তাই ওকে নিতে এসেছি।”
-” আপনি সুহাকে মিস করছিলেন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য কথা?”
-” সাবা, তোর রুমে যা। ঘুমা গিয়ে।”
-” কিন্তু আম্মা…..”
-” আর কোনো কথা না। যা গিয়ে ঘুমা।”
মায়ের চোখ দেখে সাবার আর বুঝতে বাকি নেই মা ব্যাপারটা পছন্দ করছেনা। চুপচাপ সে তার রুমে চলে গেলো। খাওয়া শেষে তানভীরও চলে গেলো সুহায়লার রুমে। বেঘোর ঘুম ঘুমাচ্ছে সুহায়লা। সুহায়লার পাশে যেয়ে ওর উপর একহাত এক পা ফেলে ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে তানভীর। খানিকক্ষন পর সুহায়লা ঘুমের মধ্যে টের পাচ্ছে কেউ ওকে খুব শক্ত করে আটকে রেখেছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ওর। মেজাজও খারাপ হচ্ছে ওর সাবার উপর। এত শক্ত করে ধরে রেখেছে কেনো? ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করছে সুহায়লা
-” এই সাবা ছাড় আমাকে”
এ কথা বলার পর আরও শক্ত করে ওকে চেপে ধরেছে তানভীর। সুহায়লা সাবা ভেবে তানভীরের হাত সরাতে যেয়ে টের পেলো এটা তো সাবা না। এটা তো ছেলে মানুষের হাত। পুরো হাতে পশম। কলিজায় ঢিপঢিপ করছে সুহায়লার। ছেলে মানুষ আসবে কোথ্থেকে? হয় এটা চোর আর নয়তো ভুত। এটা ভুতই হবে। চোর তো ওকে জড়িয়ে ধরার কথা না। চিৎকার দিতে যেয়েও পারছে না সে। গলা মনে হচ্ছে কেউ চেপে ধরে রেখেছে। নাহ এভাবে চুপ করে থাকলে হবে না। শেষমেষ সাহস জুগিয়ে ফেলেছে সুহায়লা। শরীরের সমস্ত শক্তি গলায় ঢেলে চিৎকার দিলো সে।
-” আম্মাআআআ……. ভুউউউউউত।”
(চলবে)
.
.