#বিকেলে_ভোরের_ফুল
#পর্ব_১১
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
স্পর্শ শার্টের হাতা ফোল্ড করে প্যান্ট হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ফোল্ড করে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে। চারপাশে হাঁটু পর্যন্ত ছোট ছোট গাছগাছালি। ফুল ঠিক মতো দেখতে পারছে না যে স্পর্শ কি করছে??আর দৌড়াচ্ছেই বা কেন?? ফুল অবাক চোখে বাইরে বেরিয়ে এলো। দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে সামনের দিকে এগোতে এগোতে বলল,
–“আরে আপনি কি করছেন?? এভাবে দৌড়াচ্ছেন কেন??”
স্পর্শ একপলক ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“কথা বলো না।”
–“কেন কথা বলব না?? আর আপনি এরকম করছেন কেন??এখন মনে হচ্ছে আপনার ঘাড়ে সত্যিই ভুত চেপেছে। আচ্ছা এখানে কি কোন ওঝা পাওয়া যাবে?? না মানে আপনার ঘাড়ের ভুত ছাড়াতাম ওই আরকি।”
স্পর্শ ফুলের কথায় কান দিলো না। বলল,
–“জ্যাকেটা দাও।”
–“কি??”
–“উফফ জ্যাকেটটা দাও তাড়াতাড়ি।”
ফুল জ্যাকেটটা স্পর্শের দিকে ছুড়ে মারে স্পর্শ ধরে ফেলে। তারপর আবার দৌড়াচ্ছে। ফুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। একটু পর স্পর্শ জ্যাকেট সহ বসে পড়ল। তারপর উঠে আসে। জ্যাকেটের মধ্যে কিছু একটা নড়াচড়া করতেছে। স্পর্শ ফুলের সামনে আসতেই ফুল জিজ্ঞেস করল,
–“জ্যাকেটের নিচে কি আছে??”
স্পর্শ জ্যাকেটের কিছু অংশ তুলে ধরল।
–“মুরগি!!! আপনি এই মুরগি ধরার জন্য এতক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করছিলেন??”
–“আর ইউ সিউর এটা মুরগি??”
–“মানে??”
–“মানে ভালো করে তাকিয়ে দেখো এটা মুরগি নয় বন মোরগ। ”
ফুল আমতা আমতা করে বলল,
–“ওই একই হলো।”
স্পর্শ ফুলের দিকে খানিকটা ঝুকে বলল,
–“ওহ আচ্ছা মোরগ আর মুরগি এক হয় বুঝি??”
–“জ জানি না। কিন্তু আপনি মোরগ ধরেছেন কেন??”
–“এটাকে জবাই করে কাবাব বানিয়ে খাব। খুব খিদে পেয়েছে। কাল রাত থেকে কিছুই খাইনি।”
–“আপনার লোকেরা কোথায় গেল?? ওরা তো খাবার দিয়ে যায় তাইনা??”
–“এই দ্বীপে প্রতিদিন আসা যাওয়া রিক্স হবে তাই ওরা দুই তিনদিন পর পর আসবে।”
–“হা,,,,। তার মানে দুই তিনদিন আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে??”
–“এই যে আজকে একটা ব্যবস্থা করলাম। কালকে আবার অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। নাও এখন মোরগটা ধর আমি আসছি। সাবধান, ছেড়ে দিও না তাহলে আজকে না খেয়ে থাকতে হবে।”
ফুল সাবধানে মোরগটা হাতে নিল। স্পর্শ ঘরের মধ্যে গিয়ে ব্যাগ থেকে ছুরিটা বের করে আবার বাইরে এসে বলল,
–“চলো।”
–“কোথায়??”
–“কোথায় আবার মোরগটা তো জবাই করতে হবে। তুমি পা ধরবে আর আমি গলা কাটব।”
–“বলছি ছেড়ে দিন না??কি সুন্দর মোরগটা দেখতে।”
–“সৌন্দর্য দিয়ে আমার পেট ভরবে না ওকে।”
ফুল আর স্পর্শের সাথে কথা বাড়ালো না। ফুল মোরগের পা দুটো শক্ত করে ধরল আর স্পর্শ গলা কাটলো। মোরগটা ছোটাছুটি করছে এটা দেখে ফুল হাত থেকে মোরগটা ফেলে দিলো। মোরগটা আরও কিছুক্ষণ ছটফট করে নিস্তেজ হয়ে গেল। স্পর্শ বসে বসে মোরগের চামড়া ছাড়ালো। পেটের খানিকটা অংশ কেটে নাড়িভুঁড়ি সব বের করলো। একটা কচুপাতায় আস্ত মোরগটা রেখে ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“যাও মোরগটা ধুয়ে নিয়ে আসো।”
–“আমি??”
–“এখানে তুমি আর আমি ছাড়া অন্য কেউ আছে??”
–“না।”
–“তাহলে তোমাকেই বলছি যাও।”
ফুল মোরগটাকে কচুপাতায় মুড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রের ধারে চলল। সমুদ্রের তীরে গিয়ে ফুল বসে বসে আস্ত মোরগটা ধুতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো, হঠাৎ করে স্পর্শের হলোটা কি?? কালকের পর থেকে কেমন নরমাল বিহেভ করছে। আগে তো কথায় কথায় ঝাড়ি মারতো। কিন্তু আজকে কি হয়েছে?? সকালে ঘুম থেকে উঠে পায়ে লাগানো শিকলটা ও পেল না। সেটা কি স্পর্শ খুলে রেখেছে?? কিন্তু কেন?? অজস্র প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ফুলের মাথায়। এসব ভাবতে ভাবতে ফুলের ধোয়া শেষ। ফুল ভাঙা ঘরের সামনে এসে দাড়ালো। স্পর্শ কাঠ সাজাচ্ছে আগুন জ্বালানোর জন্য। ফুল কে একপলক দেখে আবার নিজের কাজে মন দিলো। ফুল ঘাসপাতার উপর বসে পড়ল। তারপর স্পর্শকে জিজ্ঞেস করল,
–“আচ্ছা আমরা এখানে কতদিন থাকব??”
স্পর্শ ফুলের দিকে না তাকিয়ে বলল,
–“সারাজীবন থাকব।”
–“অ্যা,,,,। সারাজীবন মানে??”
স্পর্শ ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“কেন?? থাকতে পারবে না?? রবিনসন ক্রুশো তো একটা দ্বীপে আঠাশ বছর একা একা থেকেছিল। আর এখানে তো তুমি একা নেই আমি তো আছি।”
ফুল স্পর্শর কথা শুনে কিছুক্ষণ স্পর্শের দিকে তাকিয়ে থেকে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ল। স্পর্শ অবাক হয়ে ফুলের হাসি দেখতেছে। স্পর্শ ভেবে পাচ্ছে না যে ও কি এমন বলল যে ফুল হাসতেছে। ফুলের হাসি দেখে স্পর্শ একহাতে বুক চেপে ধরে বসে পড়ল। নিশ্চয়ই ওর হার্ট অ্যাটাক হবে। ও ঠিকই ধরেছিল ফুলের হাসিতে ও নির্ঘাত ঘায়েল হবে আর সেটাই হলো। স্পর্শ মাতাল চাহনিতে ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। হাসলে সেই ছোটবেলার মতোই ফুলের গালে টোল খায়। স্পর্শ মুগ্ধ চোখে ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। অবশেষে হাজারো মুগ্ধতার রেশ কাটিয়ে স্পর্শ জিজ্ঞেস করল,
–“হাসছো কেন??”
ফুল হাসি থামিয়ে বললো,
–“না মানে আপনি বললেন না যে রবিনসনের মতো এই দ্বীপে থাকবেন।”
–“হুম, এতে হাসার কি আছে??”
–“আমি অন্য কথা ভেবে হাসছি।”
–“কি কথা??”
–“রবিনসন তো আঠাশ বছর দ্বীপে আটকে ছিলো। আর রবিনসন তো গাছের ছাল আর পাতা দিয়ে পোশাক তৈরি করে পরেছিল। তাই আমি ভাবছি ওইসব পোশাক যদি আমরা পরি তাহলে আমাদের কেমন দেখাবে?? আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি তো শেভ করতে পারবেন না চুল কাটতে পারবেন না। মেয়েদের মতো লম্বা চুল হলে আপনাকে কেমন দেখাবে একবার ভেবে দেখেছেন কি??ওসব ভেবে আমার তো খুব হাসি পাচ্ছে।”
বলেই ফুল আবার খিলখিল করে হেসে উঠলো। স্পর্শ ভ্যাবলার মতো ফুলের দিকে তাকিয়ে রইল। এর মধ্যেই এতকিছু ভেবে ফেলেছে। ও তো কথার কথা বলেছিল তাতেই এত। মেয়েরা বুঝি এরকমই হয় বিয়ে ঠিক হলেই ওরা হানিমুন আর বাচ্চাগাচ্চার প্ল্যান করে ফেলে। ফুলের হাসি দেখে স্পর্শও হেসে ফেললো। তারপর আবারো নিজের কাজে মন দিলো।
ফুল বসে বসে স্পর্শর কাবাব বানানো দেখতেছে। স্পর্শ ব্যাগ থেকে লাইটার এনে আগুন জ্বালালো। একটা লাঠিতে মোরগটা গেঁথে আগুনের উপর ঝুলিয়ে দিয়ে ঘোরাতে লাগলো। ফুল বসে বসে দেখতেছে। কিছুক্ষণ পর কাবাব বানানো শেষ। বড় গোল পাতায় মোরগটা রাখল। তারপর ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“যদি খেতে ইচ্ছে করে তবে খেতে পারো। না হয় আমি একাই খাব।”
–“কেন আপনি একটা খাবেন??আমি যে কষ্ট করে সমুদ্র থেকে ধুয়ে আনলাম।”
–“আর আমি যে কষ্ট করে ধরলাম। আর কাবাব বানালাম।”
–“মানছি আপনি আমার থেকে বেশি কষ্ট করেছেন। তিন ভাগের একভাগ তো আমি পাই।”
ফুল উঠে গিয়ে স্পর্শের সামনে গিয়ে খেতে লাগল। পলকহীন চোখে স্পর্শ ফুলের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর খুব ইচ্ছে করছে ফুলের কাছাকাছি এসে ফুলকে ছুঁয়ে দিতে। বলতে ইচ্ছে করছে যে ফুল আমি তোমার স্পর্শ যাকে ছাড়া তোমার এক মূহুর্ত কাটতো না। যাকে সবসময় তুমি তোমার পাশে চাইতে। কিন্তু স্পর্শ নিজেকে কন্ট্রোল করে রেখেছে। এখন ও যদি কিছু করে বসে তাহলে ফুল আবার ওর উপর রেগে যাবে তার থেকে এটুকু দূরত্ব বজায় রাখাই বেটার হবে।
🍁🍁🍁
ফুল সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আছে। মৃদু বাতাস বইছে। এই মুহূর্তটা উপভোগ করার লোভ সামলাতে পারল না ফুল তাই এসে দাঁড়িয়েছে। হাওয়ায় ফুলের ওড়নাটা উড়ছে চুলগুলো দোল খাচ্ছে। হঠাৎ করেই কোথা থেকে স্পর্শ ফুলের মাথায় একটা ব্যান্ড পরিয়ে দিলো। ফুল মাথায় হাত দিতেই স্পর্শ বলে উঠলো,
–“এই ধরো না।”
ফুল সাথে সাথে হাত নামিয়ে নিলো। তারপর বলল,
–“এটা কি??”
–“লতাপাতার ব্যান্ড।”
–“আমাকে পরালেন কেন??”
–“রবিনসনের মতো থাকতে হবে তো তাই প্রাকটিস করছি তার মতো হওয়ার।”
–“গাছের পাতার জামাকাপড় কয়টা বানিয়েছেন??”
–“এখনো বানায়নি। আমার জামাকাপড় আপাতত আছে।”
ফুল আর কোন কথা বলল না। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। স্পর্শ চাইছে যে ফুল ওর সাথে কথা বলুক। কিন্তু ফুল কোন কথা বলছে না। মুড অফ করে দাঁড়িয়ে আছে। স্পর্শ অনেক চেষ্টা করল ফুলের সাথে কথা বলার কিন্তু পারল না। ফুল কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চলে আসে স্পর্শ ও ওর পিছু পিছু চলে আসে। ফুল ঘরে গিয়ে খড়ের গাদায় বসলো। ঘরটা পুরো অন্ধকার আজকে হারিকেন জ্বালানো হয়নি। যেটুকু তেল ছিল হারিকেনে তা ফুরিয়ে গেছে। তাই ফুল অন্ধকারে বসে আছে। একটু পর স্পর্শ এসে বলল,
–“মিস ফুল চৌধুরী বাইরে আগুন জ্বালানো আছে যদি আপনি চান বাইরে এসে বসতে পারেন।”
বলেই স্পর্শ বেরিয়ে গেল। বাইরে এসে ভাবতে লাগলো ফুল কি আসবে??নাকি আসবে না?
এসব ভাবছে আর নখ কামড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ পর ফুল বেরিয়ে আসে সাথে এক পাঁজা খড়ের গাদা নিয়ে। আগুন থেকে একটু দূরে খড়গুলো বিছিয়ে তাতে বসে পড়লো। স্পর্শ ফুলকে দেখে খুশি হয়ে অপরপাশে বসে পড়লো। ফুল একধ্যানে জলন্ত আগুনের দিকে তাকিয়ে আছে। স্পর্শর এখন খুব অস্বস্তি হচ্ছে। অনেকক্ষণ যাবত ফুল ওর সাথে কথা বলছে না। এখন কি করা যায়?? অনেক ভেবে স্পর্শ একটা আইডিয়া পেল। পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করল। সিগারেট খাওয়া ফুল পছন্দ করে না। সিগারেট খেতে দেখলে ফুল যদি কিছু বলে।
স্পর্শ সিগারেট ধরিয়ে খাওয়া শুরু করলো। সিগারেটের ধোঁয়া নাকে আসতেই ফুল চোখ তুলে স্পর্শের দিকে তাকালো। স্পর্শকে বলল,
–“আপনি তো কফি ছাড়া সিগারেট খান না। তাহলে এখন খাচ্ছেন কেন??”
ফুলের কথায় স্পর্শ অবাক হয়। কারণ ফুল ওর অভ্যাসটা জানলো কিভাবে??
–“তুমি কিভাবে জানলে আমি কফি ছাড়া সিগারেট খাইনা।”
–“সিলেট থাকতে দেখেছিলাম যে আপনি যখন কফি খান তখনই সিগারেট খান। কিন্তু একদিন সিগারেট খাওয়ার সময় ফ্লাগ খুলে দেখলেন কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে তাই আর সিগারেট খেলেন না। আমি সেটাই খেয়াল করেছিলাম।”
–“ওহ”
–“একটা কথা বলব??”
স্পর্শ তো এই সুযোগটাই খুঁজছিল। ও চাইছিল ফুলের সাথে কথা বলতে। তাই সে খুশি মনে বলল,
–“হ্যা বলো।”
–“আমি তো সিগারেট খাওয়া পছন্দ করি না। আর আমি যখন খেয়াল করলাম যে আপনি কফি ছাড়া সিগারেট খান না তখন থেকে আপনি বাইরে গেলে ফ্লাগটা খুলে রেখে কফি ঠান্ডা করে দিতাম যাতে আপনি কফি আর সিগারেট খেতে না পারেন।”
স্পর্শ মৃদু হেসে বলল,
–“তোমার মাথায় এতো বুদ্ধি আগে জানতাম না তো??”
স্পর্শের এহেম কথায় ফুলের কেমন যেন লাগলো। কারণ স্পর্শের তো ওর কথায় রেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু রাগলো না কেন??এর আগে তো সবসময় ফুলের উপর রেগেই থাকতো। তাহলে আজকে কি হলো?? ফুলের সবকিছু গুলিতে যাচ্ছে। অস্থির হয়ে পড়ছে ফুল। স্পর্শকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েও করলো না। স্পর্শ সিগারেট হাতে নিয়ে উঠে অন্যদিকে চলে গেল। সিগারেট শেষ করে এসে দেখলো ফুল ওখানেই গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। স্পর্শ ফুলের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সামনে আসা চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিল। ফুলের কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। ফুল একটু নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। স্পর্শ আগুনের মধ্যে আরো কিছু কাঠ দিয়ে ফুলের সামনে বসে পড়ল। আজকে আবার স্পর্শ সারারাত জাগবে,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,
প্রথমে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কালকে গল্প না দেওয়ার জন্য। কালকে ফুপুর বাসায় ছিলাম। নতুন জামাই বাজার করেছে তাই সেখানে থেকেছি। তবুও সেখানে থেকেই আমি গল্প লিখেছিলাম। তিনভাগের দুইভাগই লেখা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখনি ফুফাতো বোন এসে বলল তোর দুলাভাই আইসক্রিম খেতে ডাকতেছে। তাড়াহুড়ো করে যেতে গিয়ে কি করলাম না করলাম,গেল লেখাগুলো সব মুছে। এমন রাগ হয়েছিল তখন ইচ্ছে করছিলো ওদের আইসক্রিম ওদেরকেই গেলাই। আইসক্রিম এর পাল্লায় পড়ে আমার আর গল্প লেখা হলো না। তাই সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। সরি,,,,,,,,,,,,,