বিনিময় পর্ব ৯

#বিনিময়
পর্ব-৯
লিসা বারান্দায় দাড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে ফোনে কথা বলছে..রুহান তার এক্সপ্রেশন
দেখেই বুঝতে পারছে যে সে তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলছেনা।
.
কার সাথে কথা বলছে লিসা? এর আগেও সে লিসাকে এভাবে আলাদা করে কার সাথে কথা বলতে দেখেছে। কিন্তু রুহান পাত্তা দেয়নি। কিন্তু এখন বিছানায় আটকে থেকে এসব দেখা ছাড়া রুহানের আর কোনো কাজই নাই।
.
ফোনে কথা বলার সময় লিসা এত প্রাণ খুলে হাসছে! বিয়ের পর থেকে রুহান এমনভাবে লিসাকে কখনো হাসতে দেখেনি।
লিসার কি স্পেশাল কেউ আছে? আসলেই তো রুহান লিসার অতীত সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
.
জামিল বেঁচে থাকলে এসব ইনফরমেশন বের করা কোনো ব্যাপারই ছিলনা!
কিন্তু তার ফ্রেন্ডরা মারা যাওয়ায় রুহান একদিক দিয়ে ক্রিপল্ড হয়ে গেছে।
যদিও তার দুই নাম্বার কাজ করে দেওয়ার অনেক লোক আছে। কিন্তু রুহান এসব পার্সোনাল ব্যাপারে তাদের দিয়ে করাতে চায়না। প্রফেশনাল লাইফ আর পার্সোনাল লাইফ আলাদা রাখতে খুবই সচেতন সে।
.
.
লিসা ফোনে কথা বলা শেষ করে ঘরে আসলো…রুহানকে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলো, “কি সমস্যা? কিছু লাগবে?”
রুহানের প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। কিন্তু লিসাকে বলে লাভ নাই। গত কয়েকদিন ধরে লিসা তাকে ঠিকমত খেতে দেয়না।
রুহান কিছু বললনা.
.
লিসা নিজে থেকেই বলল, “তুমি নিশ্চয় ক্ষুধার্ত। দেখ তো কেমন কেয়ারলেস আমি! এখনি খাবার নিয়ে আসছি।”
লিসার ভাল ব্যবহার দেখে রুহান অস্বস্তিতে পড়ে গেল। নিশ্চয় কোনো ব্যাপার আছে যে কারণে সে বেশি বেশি ভাল ব্যবহার করছে।
.
গত কয়েকদিন ধরে লিসার স্বেছাচার যেন বেড়েই গিয়েছে। রুহানকে ডাক্তার যে ঔষধপত্র দিয়েছিল এসেই সেগুলা আগে বাথরুমে ফেলেছে। খাওয়াদাওয়ার কথা তো বাদই দেওয়া যাক। রুহানের জন্য স্পেশালভাবে রান্না করা খাবারগুলা এসে তার পেটেই যায়।
ফ্র‍্যাকচার হওয়া হাত পা যেখানে নাড়ানো নিষেধ লিসা ইচ্ছা করেই সেগুলাকে মাঝেমধ্যে মুভমেন্ট করায়।
রুহানের মনে হয় হাতপা গুলা আবার ভেঙে যাচ্ছে। ব্যাথায় চিৎকার করতে গেলে লিসা মুখ চেপে ধরে।
রুহানের এখন কোনো প্রতিবাদ করার মতও ক্ষমতা নাই।
.
মা আর দাদীর উপর প্রচন্ড রাগ হয় রুহানের। অপরিচিত এক মেয়ের উপরে কিভাবে এত ভরসা করতে পারে? তাদের বিয়ে কি নরমালভাবে হয়েছিল?
কাজেই লিসার হঠাৎ লিসার ভাল ব্যবহার দেখে রুহানের মনে অজানা ভয় চলে আসে।
রুহান মাথা নেড়ে বলল, “না থাক। আমার ক্ষুধা লাগেনি।”
.
লিসা রুহানের মনের অবস্থা বুঝতে পেরেই যেন বলল, “দেখ আমি জানি তুমি আমাকে খুব খারাপ ভাবো..কিন্তু আমি শখ করে তোমাকে টর্চার করিনা। ডাক্তার বলেছে ভাল খাওয়াদাওয়া আর রেস্ট নিলে তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। আবার হাটাচলাও শুরু করবে। এটা আমি কেমন করে হতে দেই বল? জামিল আর তার বন্ধুদের সাথে হওয়া ঘটনা আর রিপিট হতে দিতে পারিনা।”
.
রুহানও জামিলের ঘটনার রিপিট চায়না। সে আর লিসার সাথে গেম খেলবেনা। যদি সে সুযোগ পায় তাহলে তাকে সরাসরি মেরে ফেলবে। কিন্তু একথা সে এখন লিসার সামনে বলতে পারবেনা।
রুহান অনুনয় করে বলল, “এভাবে কয়দিন চালাবে? আজীবন তো আর আমাকে শয্যাগত করে রাখতে পারবেনা। আমরা দুইজনেই একে অন্যের উপর অন্যায় করেছি। চলো সবকিছু আবার নতুন করে সব শুরু করি। লেটস স্টার্ট ওভার।”
.
লিসা রুহানকে যতই ঘৃণা করুক…আফটারঅল সে বাঙালি মেয়ে। নিশ্চয় সেও চাইবে যে তার একটা নর্মাল লাইফ হোক। এ আশাতেই রুহান লিসাকে এই প্রস্তাব দেয়।
.
লিসা কিছুক্ষণ চিন্তা করে বলে, “তোমার প্রস্তাব খারাপ না…তবে একটা ছোট সমস্যা আছে।”
রুহান নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। এত সহজে লিসা তার কথা মেনে নিবে? সে জিজ্ঞাসা করলো, “কি সমস্যা?”
লিসা বলল, “আমি সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিস ইউজ করিনা। আমাদের ফাইনানশিয়াল অবস্থার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু এই এক ব্যাপারে আমি কোনো কম্প্রোমাইজ করিনি।”
.
লিসার অপমানে মুখ কালো হয়ে গেল রুহানের। এমন উত্তর আশা করেনি সে।
.
.
রুহানকে রাগান্বিত অবস্থায় রেখে লিসা ডাইনিং রুমে আসলো। বাসায় যারা থাকে রাতে তারা সবাই একসাথে খায়। এটাই নিয়ম। কিন্তু কোনো বিচিত্র কারণে লিসার উপরে এখনো এই রেস্ট্রিকশন আসেনি। সে যেখানে ইচ্ছা ডিনার করতে পারে।
.
লিসা নিজের ইচ্ছাতেই আজকে টেবিলে এসে বসলো। মুখ তার স্বাভাবিকের তুলনায় গম্ভীর। রুহানের মা জিজ্ঞাসা করলেন, “কি ব্যাপার লিসা? কোনো সমস্যা হয়েছে? দেখে অসুস্থ লাগছে তোমাকে।”
লিসা কাষ্ঠ হাসি হেসে বলল, “টেনশনে কি আর মানুষের খাওয়া আর ঘুম হয় আন্টি?
মা লিসাকে আশ্বস্ত করতে চাইলেন, “টেনশনের কি আছে? রুহান কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।”
.
“সেটাই তো আসল টেনশন” মনে মনে বলল লিসা।
এরপর বলল, “আরেকটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তা লাগছে আন্টি”.
মা কৌতুহলী হয়ে বললেন, “কি ব্যাপারে “.
লিসা বলল, “মানু্ষের লাইফ খুবই আনপ্রেডিকটেবল। বিয়ের পরদিন আপনারা যখন আমাদের বিদায় দিচ্ছিলেন আপনারা কি কল্পনাও করেছিলেন যে এভাবে হাসপাতালে পাবেন রুহানকে?
রুহান যখন আমাকে আমার বাসায় ড্রপ করে যায় তখনো আমি কল্পনা করিনি যে আমাকে বিয়ের পরদিন হাসপাতালে কাটাতে হবে। ”
.
রুহানের মা বললেন, “আসলেই। বিপদ কখনো বলে আসেনা”
লিসা মনে মনে খুশি হল। এরপর বলতে থাকলো, “আমাদের ভাই যখন জন্ম নিয়েছিল তখন আমাদের বাবা মাও কল্পনা করেননি যে তাদের ছেলের এত বড় অসুখ হবে, তার অসুস্থতা বাসার সবাইকেই অসুখী বানিয়ে দিবে।
আমরা আগে অতটা বড়লোক ছিলামনা। কিন্তু আমাদের তেমন অভাবও ছিলনা। কিন্তু এ ঘটনার পর থেকে বাবা ব্যবসায় মমনোযোগ দিতে পারেননা। পরে অবস্থা এমন হয় যে যাদের একসময় আমরা সাহায্য করতাম তাদের সামনে যেয়ে আমাদের হাত পাততে হয়।”
.
রুহানের মা লিসার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, “এখন সেসব দিন শেষ। আমাদের বাসায় আছো এর মানে আর তোমাকে টাকাপয়সার কথা চিন্তা করা লাগবেনা।”
.
লিসা কাষ্ঠ হাসি হেসে বলল, “আল্লাহ না করে রুহানের যদি সেইদিন কিছু হয়ে যেত, তাহলে কি আজ আমি এখানে থাকতাম?”
.
লিসার এই প্রশ্নের জবাব মা আর দাদী দুইজনের কারো কাছেই নেই। বিয়ের কয়েকবছর পরে যদি রুহান মারা যেত, অথবা তাদের কোনো সন্তান থাকতো তাহলে অবশ্যই তাদের দায়িত্ব এই বাসার লোকেরা নিতো। কিন্তু আপাতত তাদের সম্পর্ক এত মজবুত হয়নি। রুহান ছাড়া লিসার এ বাসার সাথে কোনো সম্পর্ক থাকবেনা।

লিসা তাদের চুপ থাকতে দেখে বলল, “উত্তর দিতে সংকোচ বোধ করছেন তাইতো? আমি বলছি, রুহান না থাকলে সাতদিনের মাথায় আমাকেও এ বাসা ছাড়তে হবে। ”
দাদী এবার বললেন, “তা ঠিক কিন্তু এখন এসব অশুভ কথা কেন তুলছো? রুহান হাজার বছর বেঁচে থাকুক”
.
লিসা এবার বলল, “আন্টি, আমি আর অন্য কারো উপর ডিপেন্ডেন্ট থাকতে চাইনা। ছোটবেলায় সবসময় আফসোস করতাম যে আমি বাবাকে সাহায্য করতে পারলে মনে হয় আমাদের অবস্থার এত অবনতি হতনা। তখন আমি ছোট ছিলাম, কিছু করার ছিলনা। এখন আর সে অবস্থা নেই। আমার লেখাপড়া কমপ্লিট হয়েছে। রেজাল্টও ভাল। আপনাদের অনুমতি থাকলে আমি নিজের পায়ে দাড়াতে চাই।”
.
.
লিসার কথা শুনে মনে হল ডাইনিং রুমে বোম পড়েছে একটা। চারিদিকে থমথমে পরিবেশ নেমে আসলো।
রুহানের বাবা এতক্ষণ চুপ ছিলেন। তিনিও ভ্রু কুঁচকে তাকালেন লিসার দিকে।
.
রুহানের মা রাগে ফেটে বললেন, “আমাদের বাসার অবস্থা এখনো এত খারাপ হয়নি যে বাসার বউকে বাইরে কাজে পাঠাবো। এ আলোচনা এখানেই শেষ। তোমার যা লাগবে আমাদের বলবে। দুইদিনের মধ্যে তোমাদের সামনে হাজির হবে।”

লিসা ভালোমতই জানতো তার কথার রিয়্যাকশন এমন হবে।
সে শান্তকন্ঠে বলল, “নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আপনাদের জানানো লাগবে এটাই তো আমার সমস্যা। আমি নিজের যোগ্যতায় এসব অর্জন করতে চাই”.
.
রুহানের মা বললেন, “আচ্ছা আমাদের বলতে আপত্তি যখন তাহলে রুহানকে বলবে। এতে তো নিশ্চয় আপত্তি নাই তোমার। রুহান মারা যাবে এসব ফালতু কথা বাদ দাও। কিছুই হবেনা আমার ছেলের। ”
.
রাগে চকচক করে উঠলো লিসার চোখ।
অবশ্য ইনি কি বলেন না বলেন তাতে লিসার যায় আসেনা। ডাইনিং টেবিলে এসে সে এসব কথা বলছে রুহানের বাবাকে তার কথাগুলো শোনানোর জন্য। তিনি রাজি থাকলেই হল। রুহানের মা তো লিসা আর রুহানের বিয়েতেই রাজি ছিলেননা। এরকম কুলাঙ্গার ছেলের প্রতি অন্ধ মানুষের সাথে লিসা তর্ক করতে রাজি না।
.
রুহানের বাবা কিছু বলছেননা দেখে লিসা অস্বস্তিতে পড়ে গেল। চুপচাপ তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন।
বাধ্য হয়ে লিসা তখন তার দুর্বলপয়েন্ট টেনে বলল, “রুহানের জীবন নিয়ে আমার চিন্তা কম। আমার ভয় অন্য জায়গায়।”
রুহানের মা এবার বললেন, “আবার কিসের ভয়?”
লিসা বলল, “রুহান কয়দিন আমাকে তার সাথে রাখবে এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। অলরেডি সে একবার আমাকে বিয়ে করে অস্বীকারও করেছে। আবার এমন করবেনা এর কোনো নিশ্চয়তা আছে?”
.
রুহানের বাবা এবার বললেন, “আমরা যতদিন আছি ততদিন সেটা হতে দিবনা।”
লিসা দৃঢ়কন্ঠে বলল, “রুহান যখন বাইরে বিভিন্ন আকাম করে বেড়াচ্ছিল তখনও আপনারা ছিলেন। পেরেছিলেন তাকে কন্ট্রোল করতে?
সরি কিন্তু জীবনের এত বড় ব্যাপারে কেবল আপনাদের কথার উপর ভরসা করে থাকতে পারছিনা আমি।”
লিসা কাঁদতে থাকে একথাগুলো বলে।
.
রুহানের মা আবার তাকে বকা দিতে যায়। কিন্তু রুহানের বাবা ইশারা করে তাকে থামতে বলেন। লিসার কথা পুরোপুরি ভুল না.
.
তিনি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, “ঠিক আছে। চাকুরি করলে যদি তোমার মনের ইনসিকিউরিটি দূর হয় তাহলে তাই হবে।
কাল আমাদের অফিসে চলে এসো।
কয়েকটা প্রজেক্ট হ্যান্ডেল করতে দিবো তোমাকে। যদি কাজ করতে পারো তাহলে পার্মানেন্ট জব পাবে। ”
.
লিসা স্তব্ধ হয়ে যায়। এত দ্রুত কাজ হয়ে যাবে তা সে ভাবতেও পারেনি। সে ভেবেছিল কয়েকদিন ঘ্যানঘ্যান করা লাগবে।
কিন্তু সে তো রুহানদের কোম্পানি জয়েন করতে চায়না। ভবিষ্যতে সে রুহানকে ডিভোর্স দিলে তো তার চাকুরিও চলে যাবে। এ চাকুরি পেয়ে কি লাভ?
সে মনে করেছিল যে রুহানের বাবার পরিচয় দিয়ে সে অন্য কোম্পানিতে ভাল চাকুরি নিবে। ধুর! কোনোকিছুই পরিকল্পনামত হয়না।
.
লিসা বলল, “আংকেল আমার সে কোয়ালিফিকেশন নাই যে আপনাদের কোম্পানি জয়েন করব। আপনি টেনশন করেননা আমি অন্য ছোটখাটো কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিবো”
.
রুহানের বাবা বললেন, “তোমার রেজাল্ট ভাল হয়েছে আর তোমার ইউনিভার্সিটির প্রফেসররাও তোমার প্রশংসা করেছেন তাই এই সুযোগ দিচ্ছি। জব করতে চাইলেই আমাদের এখানেই জয়েন করতে হবে.”
.
ইউনিভার্সিটির প্রফেসর? এদের সাথে রুহানের বাবা কবে দেখা করলেন? এর মানে কি তিনি লিসার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেছেন?
.
“তা তো অবশ্যই” মনে মনে ভাবলো লিসা, “না জেনে শুনে নিজের ছেলের বিয়ে দিবে আননোন মেয়ের সাথে এত বোকা তো ইনি না”.
তাও ভাল যে লিসার ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ভাল। আগে কোনো বয়ফ্রেন্ডও ছিলনা। লিসা এ বাড়ির যোগ্য হলেও রুহান তার যোগ্য না।..এসব কথা ভাবতে ভাবতে তিক্ত হয়ে যায় লিসার মন।
.
“ঠিক আছে। আমি আমার যোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করব।”
মাথা নিচু করে বলে লিসা।
পরবর্তীতে সে অন্যপথ বের করবে। আপাতত সে শ্বশুড়মশাইকে রাগাতে চায়না।
.
রুহানের মা এই সিদ্ধান্তে খুশি না। কিন্তু রুহানের বাবার মুখের উপর কথা বলতে পারেননা তিনি।
.
.
মনের আনন্দ নিয়ে লিসা ঘরে ফিরে যায়। রুহান তার আনন্দ দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
.
লিসা বুঝতে পারে রুহানের অস্বস্তি। মুচকি হেসে সে রুহানকে প্রশ্ন করে, “আচ্ছা, ডিভোর্সি আর বিধবা… এই দুইজনের মধ্যে কাকে সমাজ বেশি বাঁকা চোখে দেখে? আর কোনো হাসবেন্ড মিসিং হলে কতদিন পার হলে দেশের আইন অনুসারে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়?”
.
চলবে…
.
#ফারিহা_আহমেদ
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here