বিষন্ন_রাত💖 পর্ব ৫

#বিষন্ন_রাত💖
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💖

#পর্বঃ__৫

বৃষ্টির মাথাটা কাত হয়ে পরলো রাতের কাধের উপর। বুকটা কেপে উঠলো রাতের। জীবনে প্রথম এমন কোনো অনুভুতি। ডাকতে চেয়েও ডাকলো না রাত। চক্ষু জোড়া স্থির হয়ে আছে বৃষ্টির মুখের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। খুবই মায়াবি লাগছে মুখটা। রাত বেশিক্ষন তাকিয়ে রইলো না ওই দিকে। কারণ যতো বারই বৃষ্টিকে দেখে ততোবারই অবাক হয় রাত। মেয়েদের প্রতি যথেষ্ঠ ঘৃনা থাকলেও বৃষ্টির প্রতি কেনো সেই ঘৃনা কাজ করেনা? অদ্ভুত মায়া মিশে আছে এই মুখটায়। এটা যেনো মুখ নয় কোনো স্পষ্ট মায়াজাল।
পাশ থেকে স্নিদ্ধা বলে উঠে,
– রাত এভাবে তাকিয়ে থাকলে কিন্তু প্রেমে পরে যাবি।
– ধুর, বৃষ্টি এভাবে ঘুমিয়ে পরলো সেটাই ভাবছি। অন্য কিছু না।
স্নিদ্ধা এবার একটু বাকা হাসি দিয়ে বলে উঠে,
– কিছু কিছু দির্ঘতম অসমাপ্ত প্রেমের ইতিহাস গুলো কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয়।
রাত আর কিছু বললো না। চুপচাপ বসে রইলো সিটে। স্নিদ্ধার মুখটায় ভেষে উঠলো একটা প্রশারিত হাসি। সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই রাতের।
রাত বৃষ্টির মাথাটা কাধ থেকে আলতো করে সরিয়ে দিতেই এক হাত জড়িয়ে নিলো বৃষ্টি। এবার খুব আরাম করেই মাথা রাখলো সে। রাতও চক্ষু বুজে হেলান দিয়ে আছে সীটের সাথে।
পার হয়ে গেলো বেশ কিছুটা সময়।
বাস থামলো একটা জায়গায়। রাফি ডাক দিলো রাতকে। তারা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃষ্টি এখনো শুয়ে আছে রাতের কাধে।
রাত আস্তে আস্তে দু একবার ডাক দিতেই উঠে গেলো বৃষ্টি। ঘুম ভাঙতেই দেখে রাতের কাধে মাথা রেখে হাতটা জড়িয়ে ধরে আরামে ঘুমিয়েছিলো পুরুটা রাস্তা। লজ্জায় রাতের দিকে তাকাতে পারছেনা সে। ছি ছি এভাবে কেও ঘুমায়?
ছোট্ট করে একটা সরি বললো বৃষ্টি,
– সরি ঘুমিয়ে পরেছিলাম তো তাই বুঝতে পারিনি।
রাত একটু হাসি হাসি ভাব নিয়ে বলে,
– ইটস্ ওকে। এখন চলো।
বৃষ্টির চোখে এখনো ঘুমের ভাব স্পষ্ট। ঘুমু ঘুমু চোখে বলে উঠে,
– আমরা কি চলে এসেছি?
– নাহ্ এখনো বাকি আছে কিছু পথ।
– ওহ্।
ব্যগটা কাধে নিয়ে নিলো রাত। বৃষ্টির ঘুম ভাঙলেও এখনো চোখে ঘুমু ঘুমু ভাব। মনে হচ্ছে দুই মিনিটের জন্য রেখে দিলে আবার ঘুমিয়ে পরবে।
বৃষ্টির হাতটা ধরে বাস থেকে নেমে এলো রাত। ঘুমু ঘুমু চোখে তাকিয়ে আছে তার আর রাতের এক হয়ে থাকা হাত দুটুর দিকে।
বাস থেকে সবাই নেমে গেলো দুবাইলের ঠিক আগের রাস্তায়। সেখানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলো। রাস্তার উল্টো পাশে কিছু সি এনজি দেখলো তারা। যদিও বাস, সিএনজি এসবে চড়ার তেমন অভ্যেস নেই রাত বৃষ্টি কারোরই। তবুও ঘুরাঘুরির মুহুর্ত। মজা করাটাই সবার উদ্ধে। গাড়ি আনলে হয়তো এই ফিলটা আসতো না।
রাফি গিয়ে দু,টা সি,এন,জি রিজার্ব নিলো ওখান থেকে। মেয়েদের জন্য একটা ছেলেদের জন্য একটা।
সিএনজিতে থাকা অবস্থায় বৃষ্টিকে নিয়ে বরাবরই মজা নিলো তার বান্ধবিরা। ইশ কেনো যে ওভাবে ঘুমিয়ে পরলো সে।
স্নিদ্ধা বলে উঠে,
– দেখছিস আমি বললাম না রাতও তোকে পছন্দ করে। নাহলে এভাবে সারা রাস্তা পার করাতো দুরের কথা, অন্য কাওকে বসতেই দিতো না তার সাথে।
সকলের নানান কথায় লজ্জায় মুখ লাল হয়ে আসছে বৃষ্টির।
১৫-২০ মিনিটে একটা মিনি যার্নির পর চোখে পরলো বিশাখা সাগর নামের একটা বিশাল সুন্দর দিঘির উপর। রাতের পাশা পাশি হাটছে বৃষ্টি। রাত বৃষ্টিকে বললো,
– এই দিঘিটা হলো বিশাখা সাগর?
বৃষ্টি চোখ মুখ কুচকে উত্তর দিলো,
– সাগর?
– সাগর নয় এটার নামই বিশাখা সাগর। আর ওপাশে গাছ গুলোর আড়ালেই রয়েছে মহেরা জমিদার বাড়ি।
– আমরা তো তাহলে এখন জমিদার বাড়ির সামনেই।
– হুম।
একটু এগিয়ে সবার জন্য টিকিট নিলো ভেতরে প্রবেশ করতে।
টিকিট কেটে রাফির পেছন পেছন ভিতরে ঢুকে গেলো সবাই। সামনেই একটা বড় ভবন চোখে পরলো তাদের।
রাত বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে বললো,
– এটা হলো বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার। এটা হলো পশিক্ষন রত পুলিশ সদস্যদের আবাসিক ইউনিট।
গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে আশে পাশের ভবন গুলোও দেখি নিলো তারা।
সেখানে অনেক গুলো বড় বাড়ি দেখতে পেলো তারা। এক একটা বাড়ির এক এক নাম।
কালিচরণ লজ, চৌধুরি লজ, তার পাশে মেহমান খানা, আনন্দ লজ, মোহারাজা লজ। বৃষ্টি সেগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটছে রাতের পাশেই। হটাৎ পা মচকে পরে যেতেই রাত ধরে ফেললো তাকে। রাতের এক হাত দিয়ে বৃষ্টির হাত ধরে আছে অপর হাত বৃষ্টির কোমরে। চেয়ে আছে একে অপরের দিকে। লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেললো বৃষ্টি।
রাত বলে উঠে,
– একটু দেখে চলতে পারোনা? একটু হলেইতো পরে যাচ্ছিলো।
– তুমি আছে না? তুমি থাকতে আমার কিচ্ছু হবেনা।
উত্তর শুনে আর কিছু বললো না রাত। বৃষ্টিকে ছেরে হাটা শুরু করলো সে।

দুপুর হয়ে এলো, বাড়ি গুলোর পেছনে রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জায়গা। আরেটু এগিয়ে দেখলো একটা পুকুর।
ওটার পার ধরে একটু সামনে এগুলেই দেখলে পেলো পিকনিকস্পোর্ট। ওখানে আছে নাস্তা ও বিশ্রামের জন্য মনরোম ব্যাবস্থা। ওখানে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলো তারা।
তারপর খেয়ে দেয়ে বেড়িয়ে পরলো তারা চারপাশটা দেখতে।
রাত ও বৃষ্টি খেয়াল করলো তাদেরকে সবাই আলাদা আলাদা রাখছে। বৃষ্টি রাতকে বলে উঠলো,
– ওরা তো আমাদের কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। চলো আমরা চার পাশটা দুজন মিলে ঘুরে দেখি।
রাতও সম্মতি জানালো।

বিকেল বেলা,
রাত ও বৃষ্টি হাটছে রাফিদের থেকে একটু দুরে দুরে। একটা একটা জিনিসের সাথে বৃষ্টিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে রাত।
– এটা দেখছো বৃষ্টি। এটা হলো আনন্দ লজ, এই আনন্দ লজটাই হলো এই পুরু জমিদার বাড়ির মুল আকর্ষন। এই ভবন স্থাপত্তের অনন্য বিষয়টা হচ্ছে, এর কারু কাজে একই সাথে প্রাচ্য ও পশ্চিমের স্থাপত্ব সৈলির কম্বিনেশন পাওয়া যায়। আর বর্তমানে এটা পুলিশের প্রশাশনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
– ওহ্ আচ্ছা।
রাত বকবক করে যাচ্ছে আর বৃষ্টির দৃষ্ট রাতের ঠোটের দিকে। রাতের বলা কথার দিকে কোনো হুস নেই তার। সে চেয়ে আছে বার বার নরে উঠা রাতের ঠোটগুলোর দিকে। রাতের সাথে পাশাপাশি হাটছে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে তার মাঝে। সে যে রাতের সাথে এভাবে অনেকটা পথ পারি দিতে চায়, তাকিয়ে থাকতে চায় রাতের বক বক করা ঠোট গুলোর দিকে। রাত আড় চোখে তাকালো তার দিকে। দেখে বৃষ্টি তার দিকে তাকিয়ে আছে। রাত বলে উঠে,
– তুমি কি আমার কথাগুলো শুনছো?
– তুমি আমার পাশাপাশি হাটছো আমার সাথে একাকি সময় কাটাচ্ছো, খুব ভালোই লাগছে আমার। তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তটায় আমি অন্য কোনো সোন্দর্য উপভোগ করতে চাইনা।
– হায়রে, কার সাথে এতোক্ষন বকবক করছি আমি?
– তুমি বলতে থাকো আমার খুব ভালোই লাগছে।
আবার হাটা শুরু করলো রাত, একটু এগুতেই রাত বললো,
– এটা হলো মহারাজা লজ। সুন্দর্য কম নয় এটাও। দেখো চার পাশে অসাধারন কারুকাজ। এই অসাধারণ কারু কাজে ঘেরা মোহারাজা লজে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক রাত থাকার ব্যবস্থা আছে।

হটাৎ বৃষ্টির খেয়াল হয় স্নিদ্ধার বলা সেই কথায়। তাকে আর রাতকে এখানে রেখেই তারা সিলেটের উদ্দেশ্যে চলে যাবে। সেই সুবাদে রাতে থাকার জন্য এই মোহারাজা লজটাই বেছে নিলো সে। যদিও রাতের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাস আছে তার।

বৃষ্টি এখন চাইছে রাতকে ব্যস্ত রাখতে। তাই সে আবার জিজ্ঞেস করে উঠে,
– আচ্ছা এই জমিদার বাড়ির ইতিসাটা কিভাবে শুরু হয়?
রাত বলতে শুরু করলো,
– এই প্রাচিন জমিদার বাড়িটার ইতিহাসটা শুরু হয়েছিলো ১৮৯০ সাল থেকে। কালিচরণ শাহ্ ও আনন্দ শাহ্ নামের দুই ভাই ছিলো। যাদের ছিলো কলকাতায় লবন ও ডালের ব্যাবসা। আর ওসবের চাহিদাটাও বেশি ছিলো তাই খুব তারাতারি এতোদুর এগিয়ে গেলো তারা। কলকাতা থেকে এখানে চলে আশে ও বিশাল এই জায়গার উপর এই জমিদার বাড়িটা স্থাপন করে। আর এখানে যে জমিদার বাড়ি গুলো আছে এগুলো তখন কার নিদর্শন। তারা জমিদার বাড়িটি নির্মান করার পর এই এলাকা বাসির সাথে বিভিন্ন ভাবে “দাদন” নামক একটা প্রথা আছে ওটা খাটানোর চেষ্টা করে এবং অনেক উন্নতি সাধন করে। অর্থাৎ তারা জমিদার হিসেবে অনেক জনকল্যান কাজ করেছেন। আর এই সুন্দর জমিদার বাড়িটি যে আমরা দেখতে পাচ্ছি এর পিছনেও একটা কলঙ্কিত ইতিহাস রয়েছে।
বৃষ্টি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
– কি সেটা?
– ১৯৭১ সালের মে মাসে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনিরা এখানে এসে কুল বধুযোগ মায়া রায় নামে একজন ছিলেন তাকে সহ এখানে পাঁচ জন গ্রাম বাসিকে চৌধুরি লজের পেছনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। তার পর এখানে যে জমিদার রা ছিলো তারা রাগে ও কষ্টে এদেশ ছেরে চলে যায়। কোনো সুন্দর জিনিশের পিছনেও একটা কলঙ্কিত ইতিহাস থাকে। আর আমরা সেই সোন্দর্যটা উপভোগ করি কিন্তু এই ইতিহাস গুলো পর্যালোচনা করিনা।
– বাহ্, তুমি দেখি এখানকার সব কিছুর সাথেই পরিচিত। কয়বার এসেছিলে এখানে।
– ক্লাস এইটে থাকতে একবার এসেছিলাম বাবা আর,,,,,
– আর,,,
– না কেও না। বাবার সাথেই এসেছিলাম আমি। আর সাথে কেও থাকলেও তার নামটা আমি মুখেও আনতে চাইছিনা।
– তার উপর তোমার কিসের এমন অভিযোগ?
– বলবো কোনো একদিন।
বৃষ্টি গুন গুন করে বলে উঠে,
“” একদিন তো আমি তোমার সব কিছুই জানবো আর তুমি আমার সব জানবে। কিন্তু সেই দিনটা আসবে কবে।
রাত রহস্য জনক ভাবে তাকিয়ে বলে,
– কিছু বললে?
– নাহ্।

বৃষ্টির সাথে হাটতে হাটতে চারপাশটা ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।
আশে পাশে তাকিয়ে রাফিদের কাওকে দেখতে পারলোনা রাত। যেহেতু দুই দিনের জন্য এসেছে তাহলে রাতে এখানেই থাকবে সবাই। আশে পাশেই আছে হয়তো।
বৃ্ষ্টি বুঝতে পারলো তারা কৌশল করেই আলাদা হয়ে গেছে তাদের থেকে। তবুও চুপচাপ রাতের পেছন পেছন তাদেরকে খুজতে লাগলো সেও। না কোথাও পেলোনা তাদের।
একে একে সকলের মোবাইলে ফোন দিলো রাত। কেওই ফোন ধরছেনা। অস্থির হয়ে পরলো রাত, বার বার ফোন দিচ্ছে কিন্তু কেওই ফোন ধরছেনা।
খুজতে খুজতে প্রায় সন্ধা পেরিয়ে গেলো। রাত বুঝতে পারলো তারা এখানে নেই।
– রাফিরা হয়তো চলে গেছে। কিন্তু কেনো এমনটা করলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
পাশ থেকে বৃষ্টি বলে উঠে,
– তাহলে এখন কি হবে?
– আর কি হবে আমরাও চলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।
– আমি যাবোনা।
– তাহলে, কি এখানেই একা একা থাকবে?
– আমি বাসা থেকে বলে এসেছি দু,দিন থাকবো। তাই আমি দু,দিন আগে কিছুতেই বাড়ি ফিরছিনা। আর মাথাটাও কেমন ঝিম ঝিম করছে।
রাত খেয়াল করলো আকাশটাও বিষন্ন হয়ে আছে যে কোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে। এখন বের হলে একটা নাজেহাল অবস্থা হবে।
বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,
– আমার উপর বিশ্বাস আছে?
– হুম। উত্তরটা খুব শান্ত ভাবেই দিয়ে দিলো বৃষ্টি। যেনো রাতের সাথে সে একি সাথে আরো অনেকটা রাত পার করে এসেছে সে।

রাত বৃষ্টিকে নিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে। মহারাজা লজ এর রুম বুক নিতে এক রাতের জন্য।

– আপনাদের পরিচয়?

বৃষ্টি চুপ করে থাকলেও রাত খুব স্বাভাক ভাবেই উত্তর দেয় আমরা স্বামি স্ত্রী।
হা করে রাতের দিকে চেয়ে রইলো বৃষ্টি। মুখেও লজ্জার ছাপ স্পস্ট।

থাকার জন্য একটা ঘর নিয়ে সেখানে চলে গেলো তারা। হাটতে হাটতে রাত বলে উঠে,
– তুমি এখন ভাবছো, দুজনের জন্য আমরা কেনো একটা ঘর নিলাম। ধরো তুমি যদি অন্য ঘরে থাকো তাহলে বেপার টা রিস্কি হয়ে যায়না? এখানে অনেক মানুষই আছে, আর তুমি এখানে নতুন। নতুন মেয়ে হয়ে একা একটা ঘরে থাকাটা কিন্তু রিস্ক তুমি বুঝতেই পারছে। আর আমার জন্য চিন্তা করোনা। এক ঘরে থাকলেও এক সাথে থাকবো না। কোনো রকম রাতটা কাটিয়ে দিতে পারবো আমি।
– আমি মোটেও ওসব নিয়ে ভাবছিনা। আর তুমি থাকতে আমার কিচ্ছু হবে না আমি জানি।
– ভয় হচ্ছেনা?
– না।
– কেনো?
– তুমি আছো যে,,,,
– আমাকে ভয় হচ্ছে না?
– বিশ্বাস আছে।
– আমি কিন্তু খারাপও হতে পারি।
– যদি তাই হয়, তাহলে ভেবে নিবো আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি।

থাকার ঘরটা খুবই পরিপাটি। সুন্দর্যতার কমতি খুজতে গেলে ভুল হবে। যা যা দরকার সবই আছে এখানে। সত্যি রাজ প্রশাদের প্রতিটা ঘরই থাকে রাজকিয় ভাব।
,
,
,
রাত তখন নয়টা, ছাদটা ঘুরে ঘুরে দেখছে দু,জন। গুর গুর করছে আকাশটা। মনে হচ্ছে এক্ষুনি বর্ষন শুরু হবে। রাত কয়েক বার চলে যেতে বললেও গেলো না বৃষ্টি। একটু পরই শুরু হয়ে গেলো বর্ষন। বৃষ্টির মাঝে হাত দুটি মেলে নেচে বেড়াচ্ছে বৃষ্টি। বাচ্চামোতে মেতে উঠেছে সে। রাত মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে বাচ্চামোতে মেতে উঠে সেই বৃষ্টির দিকে।
বৃষ্টি হাত বাড়িয়ে ডাক দেয় রাতকে।
– দাড়িয়ে থেকোনা রাত। উপভোগ করো এই মুহুর্তটা। সার্থক করে দাও আজকের এই বৃষ্টি। চলো একসাথে ভিজি। দুজনের জন্যই হয়ে উঠুক এটা একটা বৃষ্টি ভেজা রাত।

To be continue………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here