#ভালবাসার_প্রহর
#লেখনীতে_মায়া_মনি
#পর্ব৩১
হিমুর বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আয়নাতে নিজেকে দেখছে জেরিন।স্পর্শের দেওয়া সেই নীল শাড়িটা আজ পরেছে সে।বিয়ের পর স্পর্শের প্রথম দেওয়া উপহার ছিল শাড়িটা।স্পর্শ গায়ে ব্লেজার জড়াতে জড়াতে জেরিনের পিছনে আয়নার সামনে এলো।জেরিন কপালে টিপ পরে সেদিকে একবার তাকিয়ে হাসলো।স্পর্শ আয়নার ভিতরে জেরিনকে দেখে মুগ্ধ নয়নে বলে,
—-“আকাশ থেকে নেমে আসা সে জেনো সদ্য এক নীল পরী। য্যার মাঝে নিজেকে হারাতে আমি হাজার বার রাজি।”
জেরিন লজ্জিত হাসি দিলো।মাথা নুইয়ে নিতেই স্পর্শ জেরিনের সামনে এসে আয়নার সামনে বসে।ভ্রু উঁচিয়ে মৃদু হেসে বলে,
—-“লজ্জা পেলে পরীদের এতো মারাত্মক সুন্দর লাগে জানা ছিল না।”
জেরিন গাল লাল করে নিলো।নিচুস্বরে বলে,
—-“ইচ্ছে করে তাই লজ্জা দিচ্ছেন?”
—-“উঁহু একদম না! আমাকে দেখে যদি তুমি লজ্জা পাও এতে আমার দোষ নেই।”
জেরিন মাথা তুলে স্পর্শের দিকে তাকাল।ছেলেটাকে একদক স্নিগ্ধ লাগছে।ছেলেরা ও এতো সুন্দর হয়?জেরিন মোহিত নয়নে তাকিয়ে বলে,
—-“ছেলেরা এতো সুন্দর হয় কেনো?”
স্পর্শ বাকা হাসি দিয়ে বলে,
—-“সেটা আমি কীভাবে বলবো? হ্যা তবে,তোমার জন্য আমাকে সৃষ্টি করেছে তাই আমি হয়তো এতো সুন্দর।”
জেরিন চোখ বন্ধ করে হাসলো।স্পর্শ সামনে থেকে উঠে আলমারি খুলে একটা পেপার এনে জেরিনের হাতে দিলো।অন্য হাতে পেন দিয়ে বলে,
—-“এখানে সাইন করে দাও। ”
জেরিন ভ্রু কুঁচকে বলে,
—-“কী এটা?”
—-“পড়ে দেখো!”
জেরিন পেপারটা পড়ে অবাক হলো।ডিভোর্স পেপার তাও হাসানের সাথে।জেরিন মৃদু উত্তেজিত হয়ে বলে,
—-“এটা কখন করলেন?”
স্পর্শ কুল ভাব নিয়ে বলে,
—-“কাজের ফাকে করেছি এখন তুমি সাইন করে দিলেই হবে।”
—-“হাসানের সাইন?”
স্পর্শ হেসে বলে,
—-“সাদ কে দিয়ে কিছু অফিসিয়াল পেপার সাজিয়ে পাঠাই। শালা না দেখেই সাইন মেরে দিয়েছে।”
জেরিন মুখ চেপে হেসে দিলো।বিশ্বাস হচ্ছে না ঝামেলাটা এতো সহজে মিটে যাচ্ছে।জেরিন দ্রুত সাইন করে স্পর্শের হাতে তুলে দিলো।স্পর্শের নির্দিষ্ট স্থানে পেপার রেখে দিলো।জেরিনের সামনে হাত বাড়িয়ে বলে,
—-“সো মিসেস মেহরাব,যাওয়া যাক?”
জেরিন হেসে সম্মতি দিলো।দুজনে রুম থেকে বেড় হতেই রিয়া ক্যামেরা হাতে হাজির।উত্তেজিত হয়ে বলে,
—-“ভাইয়া জলদি পোস দেন আমি ছবি তুলছি আপনাদের।”
অপ্রস্তুত হয়ে স্পর্শ জেরিনের দিকে তাকালে রিয়া ছবি তুলে নেয়।জেরিন রিয়ার মাথায় চাটি মেরে বলে,
—-“কী করছিস তুই? ”
রিয়া ক্যামেরা থেকে চোখ নামিয়ে বলে,
—-“আরেহ এই দিন গুলো স্মৃতির পাতায় রেখে দিচ্ছি।একদিন আমাদের ছেলে মেয়ে বড় হলে দেখাবো।”
স্পর্শ মুচকি হেসে বলে,
—-“বাহ খুব ভালো বলেছো তো।সামনে তোমার কাজ আছে।আমার আর জেরিনের বিয়ের ফোটোগ্রাফি করবে।”
—-“আরে এটা কোনো বিষয় হলো?আমি সব ধরণের ছবি তুলে দিবো।”
জেরিন লজ্জা পেয়ে স্পর্শ কে মৃদু ধাক্কা মেরে বলে,
—-“ধ্যাত, তোরা থাক আমি গেলাম।”
_____________________________
সেন্টারে নির্দিষ্ট টেবিলে বসে আছে জেরিন।স্পর্শ বন্ধুদের সাথে কথা বলছে স্টেজের পাশে থাকা ফাকা জায়গায়।রিয়া হিমুর সাথে ছবি তুলছে স্টেজে।চোখের ইশারায় রিয়ার সাথে ভাব বিনিময় করে প্রলয়ের জুতা এনে জেরিনের পাশে বসে রিয়া।জেরিন সামনের দিকে চোখ রেখে ফিসফিস করে বলে,
—-“জুতা এনেছিস?”
রিয়া হাসার চেষ্টা করে বলে,
—-“এনেছি কিন্তু রাখবো কোথায়?”
জেরিন পা সরিয়ে টেবিলের নিচে রাখা ফুলের বাক্সে রিয়াকে ইশারা করে।রিয়া চোখ মেরে জুতা সেখানে রেখে হেসে বলে,
—-“বাহ বুদ্ধির প্রশংসা করতে হচ্ছে।”
জেরিন গলায় হাত বুলিয়ে বলে,
—-“আগে জুতা সবার আড়ালে নিতে হবে।”
জেরিন ফোনে সাদিয়াকে ম্যাসেজ দিলো।কয়েক মিনিটের মাঝেই সাদিয়া এসে ফুলের বাক্স নিয়ে যায় মুচকি হেসে।আজ পাত্র পক্ষকে খাতির করার পালা।জেরিন এবার উঠে স্পেশাল শরবতের ট্রে হাতে স্টেজে প্রলয় এবং বন্ধু মহলের কাছে গেলো।জেরিন হাসি দিতেই সবাই মুগ্ধ।রিয়া দাত কেলিয়ে বলে,
—-“আমাদের প্রিয় দুলাভাই কে শুকনো মুখে কীভাবে রাখি?”
—-“আপনাদের জন্য স্পেশাল শরবত এনেছি।”
কথাটা বলেই জেরিন শরবতের গ্লাস এগিয়ে দিলো।এক বুক ভালবাসা নিয়ে শরবতে মুখ দিতেই সবার চোখ গোল হয়ে এলো।জেরিন আর রিয়া দ্রুত সেখানে থেকে পালিয়ে আসে।আকাশ শরবত গিলে করুণ চোখে প্রলয় কে বলে,
—-“এটা কী বন্ধু?শরবতে মরিচ!”
রবহান আহত হয়ে বলে,
—-“কী পাপ করলাম যে শেষে করলার জুস?”
—-“আমি তো ভাই নিমপাতার শরবত গিলে নিলাম।”
নীলের কথায় সবাই তার দিকে তাকালো।প্রলয় আহাকার নিয়ে বলে,
—-“আমাকে লবণের শরবত দেওয়া হয়েছে বন্ধুরা।”
পাশে বসে থাকা হিমু মুখ চেপে হেসে দিলো।স্পর্শের ভাগ্য ভালো সে এখানে নেই।থাকলে তাকেও খেতে হতো এই মধুর শরবত।#ভালবাসার_প্রহর
#লেখনীতে_মায়া_মনি
#পর্ব৩২
—-“টাকা দিন জুতা নিন।”
শালিদের এমন মিছিল শুনে প্রলয় অসহায় হয়ে পরলো।আকাশ, রেহান,নীল এক প্রকার লড়াই করে যাচ্ছে জুতার জন্য।জেরিন কোমরে দুহাত দিয়ে ভ্রু উঁচিয়ে বলে,
—-“যত দ্রুত টাকা দিবেন,তত দ্রুত বাসর ঘরে প্রবেশ করবেন।”
প্রলয় চিন্তায় পরে গেলো।পাঞ্জাবির পকেটে হাত দিলে বন্ধুরা হাত ধরে নেয়।আকাশ ফিসফিস করে বলে,
—-“বাসর করতে খুব তাড়া তাই না?”
—-“মান-সম্মান যাবে এবার! ”
নীলের কথায় প্রলয় জেনো আরো দ্বিধায় পরে গেলো।রেহান মৃদু হেসে বলে,
—-“বেচারা কে চাপ দিচ্ছিস কেনো?সহজ ভাবে টাকা দিয়ে দে বন্ধু।”
প্রলয় জেনো একটু সাহস পেলো।৫ হাজার টাকা দিয়ে জুতা ছাড়িয়ে নিলো।বান্ধুবীদের হেৈচৈ এর মাঝে স্পর্শ এসে জেরিন কে এক পাশে নিয়ে গেলো।একটু শক্ত গলায় বলে,
—-“এখনো সুস্থ হওনি কিন্তু লাফা-লাফি করছো।”
জেরিন নিচুস্বরে বলে,
—-“আপনি শিখে নিন,আমাদের সময় তো কাজে দিবে।”
স্পর্শ কপালে হাত দিয়ে হেসে দিলো।জেরিন তা দেখে মুচকি হাসে।স্পর্শ জেরিনের দুগালে হাত ছুঁয়ে বলে,
—-“মিসেস মেহরাব আপনাকে পুরো সুস্থ হতে হবে।আপনি এখনো দুর্বল কিছুটা।”
—-“তুমি পাশে থাকলে দুর্বলতা পায় না আমাকে।”
স্পর্শ হেসে দুহাতে জেরিন কে জড়িয়ে ধরলো।লম্বাশ্বাস ফেলে স্পর্শের বুকে মাথা রাখে জেরিন।টুকটাক গল্প পরে ১২ টার মাঝেই বাসায় ফিরে আসে ওরা।ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসতেই স্পর্শ জেরিনের কোলে মাথা রাখে।জেরিন শিহরিত হলো।স্পর্শ দুহাতে কোমর জড়িয়ে ধরে অস্পষ্ট কন্ঠে বলে,
—-“ভালবাসি তোমাকে!”
জেরিন লজ্জিত মুখে হাসি দিলো।স্পর্শের চুলে হাত চালিয়ে বলে,
—-“তুমি এতো ভালো কেনো?”
স্পর্শ মুখ তুলে তাকায়।ভ্রু কুঁচকে হাল্কা হেসে বলে,
—-“আমি ভালো?আমার তো মনে হয় আমার প্রিয়তমা সবার থেকে ভালো।”
—-“প্রথম যেদিন তোমার সাথে দেখা হয়,আশার পথে শাস্ন বলে ছিল এবার সত্যি কেউ আসবে জীবনে।কল্পনার বাইরে ছিল সব।”
স্পর্শ জেরিনের গাল আলতো ছুঁয়ে শান্ত গলায় বলে,
—-“মাঝে মাঝে আমি ভাবতাম তুমি হয়তো ভুলে গেছো আমাকে।হিমুর সাথে তোমাকে দেখে অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল।জেনো অনেক দামি কিছু ফিরে পেয়েছি এমন।”
জেরিন স্তির চোখে তাকিয়ে আছে স্পর্শের দিকে।স্পর্শ হাল্কা হেসে জেরিনের হাতে চুমু খেলো।জেরিন আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।ডান হাতে গলা ছুঁয়ে দিতেই কেপে উঠে জেরিন।স্পর্শের মাঝে নেশা ধরা যায়।”ভালবাসার প্রহরে” জেরিন কে খুব করে আবদ্ধ করতে চাইছে মন।ভালবাসার মানুষটার ছোঁয়া, আবেগ,অনুভূতি,ভালবাসা সবই অতুলনীয়। ছেলেদের স্পর্শ ঘৃণা করা জেরিন আজ কারো ভালবাসায় পুরোপুরি এলোমেলো।
.
.
.
.
আশরাফ মেহরাব নাস্তার টেবিলে বসে আছেন।পাশের চেয়ারেই শুভ এবং তার স্ত্রী।মহিনি মেহরাব সবাইকে নাস্তা দিচ্ছেন।সবার মাঝে হঠাৎ শুভ’র স্ত্রী বলে,
—-“অনেক মাস হলো স্পর্শ বাসায় আসে না।ওর কাজ কী এখনো শেষ হয়নি বাবা?”
আশরাফ মেহরাব খাবার মুখে তুলে বলেন,
—-“শেষ হলে ফিরে আসবে। ”
শুভ খেতে খেতে বলে,
—-“বাবা, জেরিন কে একবার দেখতে যাওয়া উচিত না?”
মহিনি মেহরাব ও সায় দিয়ে বলেন,
—-“হ্যা, শুভ ঠিকই বলেছে।আমাদের দেখে আসা উচিত।”
—-“তোমরা কী শুধুই দেখতে যাবে নাকি অন্য কিছু হ্যা?”
আশরাফ মেহরাবের কথায় সবাই খাওয়া বন্ধ করে দিলেন।শুভ’র স্ত্রী হাসার চেষ্টা করে বলে,
—-“বাবা জেরিন কে এবার নিয়ে আসা উচিত না কি?স্পর্শ যখন খুব ভালবাসে মেয়েটাকে তাহলে আমরা দ্রুত নিয়ে আসি না বাসায়?”
মহিনি মেহরাব ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে বলেন,
—-“স্পর্শ কাউ কে ভালবাসতে পারে এটা কল্পনার বাইরে।জেরিন কে দেখেই অনুভব করলাম,আসলেই ভালবাসার জন্য ওর মতো মেয়েই যথেষ্ট। ”
—-“বাবা প্লিজ শুভ কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যায়।”
শুভর কথা শুনে আশরাফ মেহরাব শব্দ করে হেসে দিলেন।চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে বলেন,
—-“আগামি শুক্রবার আমরা জেরিনদের বাসায় যাচ্ছি।তোমাদের যা যা প্রস্তুতি লাগে করে নাও। তিন দিন পর জেরিন কে দেখতে যাবো।”
__________________________
জীবনের আরেকটি সুন্দর দিন পার হলো স্পর্শের সাথে।হিমুর বৌভাতের আয়োজন সম্পূর্ণ হলো।ফাজলামি আর লাফা-লাফি করে ক্লান্ত হয়ে স্পর্শের কাধে মাথা রেখে গাড়িতে ঘুমাচ্ছে সে।স্পর্শ খুব যত্নে এক হাতে আগলে রেখেছে জেরিন কে।চোখে তার অদ্ভুত ভালো লাগে।একটা মেয়ে কীভাবে এতো ভালবাসা যায়?সেদিন যদি সত্যি কিছু হয়ে যেতো মেয়েটার? ভাবতেই স্পর্শের বুক কেপে উঠে। দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।জেরিন শরীরে চাপ অনুভব করে চোখ মেলে তাকায়।ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে,
—-“ঠিক আছেন আপনি?”
স্পর্শ কিছুটা চমকে হাসার চেষ্টা করে বলে,
—-“হুম! তুমি ঘুমাও।”
জেরিন ক্লান্তির মাঝে ডুবে আবারো ঘুমিয়ে পরে।বাসায় এসে কোলে করে জেরিন কে রুমে নিয়ে বালিশে শুইয়ে দেয়।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জেরিনের পাশেই ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরে।জেরিন কে ছাড়া দূরে থাকা অসম্ভব। মনে মনে ঠিক করল স্পর্শ,এখন থেকে যে কোনো কাজে দেশের বাইরে বা যেখানেই হোক জেরিন কে সাথে নিবে।ঘুমন্ত জেরিন কে বুকের মাঝে নিয়ে লম্বাশ্বাস নিলো।যেই নিশ্বাসের মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক ভালবাসা আর ভয়।
ব্যস্ত জীবনে পথ চলা সবার।অনেক দিন পর নিজের ব্যস্ত জীবনে ফিরছে স্পর্শ। অফিসের জন্য রেডি হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জেরিন কে রেডি হতে বলে।জেরিন কিছু না অবাক হয়ে বলে,
—-“আমি কোথায় যাবো?”
—-“আমার সাথে অফিসে যাবে।”
জেরিন ভ্রু কুঁচকে বলে,
—-“আমি কেনো যাবো?”
স্পর্শ জেরিনের দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলে,
—-“আমি বলেছি তাই! এখন রেডি না হলে আমি খুব বোকবো।”
জেরিন মুচকি হেসে বলে,
—-“তাই না?”
স্পর্শ মৃদু হেসে বলে,
—-“হ্যা তাই!”
জেরিন রেডি হয়ে স্পর্শের সাথে অফিস রওনা হলো।স্যার এর সাথে অপরিচিত মেয়ে দেখে সবাই অবাক হলো।এক মাতে সাদ হেসে জেরিন কে স্বাগতম জানালো।অফিসের এক স্টাফ স্পর্শের এক কলিগ কে কল করে জানালে দ্রুত সে এখানে চলে আসে।জেরিন অবাক হয়ে চারপাশ দেখছে। এতো সুন্দর করে সাজানো অফিস।স্পর্শ হাত ধরে তার কেবিনে নিয়ে যায়।যার চার পাশে কাচের দেওয়াল।কেবিনে প্রবেশ করে স্পর্শ বলে,
—-“পছন্দ হয়েছে ম্যাডাম?”
জেরিন স্পর্শের দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,
—-“অনেক সুন্দর কেবিনটা।”
স্পর্শ হেসে জেরিনের মাথায় চুমু খেলো।স্পর্শের চেয়ারের পাশে একটা চেয়ার এনে জেরিন কে বসায়।সাদ কিছু ফাইল নিয়ে এসে নম্রভাবে বলে,
—-“স্যার এই ফাইল গুলো চেক করতে হবে।আর লিমা ম্যাডাম এসেছে।”
স্পর্শ ভ্রু কুঁচকে বলে,
—-“এই মহিলা আবার কেনো?”
কথার মাঝেই লিনা দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে।বেশ উচ্চস্বরে বলে,
—-“কেমন আছো স্পর্শ? ”
স্পর্শ বিরক্তি নিয়ে তাকায়।জেরিন ভ্রু উঁচিয়ে লিনা কে দেখে স্পর্শ কে প্রশ্ন করে,
—-“কে উনি?”
—-“আমার কলিগ জেরিন!”
জেরিন আবার ও মেয়েটার দিকে তাকালো।মাঝারি হাইটের একটা মেয়ে।গায়ে ওয়েস্টার্ন পোশাক।শরীরের অর্ধেক খোলা।স্পর্শ বিরক্তি নিয়ে বলে,
—-“কিছু বলবেন মিস লিনা?”
লিনা জেরিনের দিকে তাকিয়ে বলে,
—-“মেয়েটা কে?এখানে কী চায়?”
স্পর্শ চোখ বন্ধ করে বিরক্তি কমাতে পারলো না।দাতে দাত চেপে বলে,
—-“আমার ওয়াইফ, আপনার কোনো সমস্যা?”
লিনা অবাক চোখে তাকায়।আশ্চর্য গলায় বলে,
—-“তুমি আবার কবে বিয়ে করলে?এসব কী স্পর্শ? ”
স্পর্শ কপালে হাত দিয়ে বলে,
—-“মিস লিনা আমাদের আর কোনো প্রজেক্ট নেই আপনার সাথে।সো এখন থেকে এখানে আপনার আসতে হবে না।আপনি বরং আসুন।”
লিনা বেশ অপমানিত বোধ করে।রেগে অফিস থেকে বেড়িয়ে যায়।জেরিন এক গ্লাস পানি স্পর্শের দিকে এগিয়ে বলে,
—-“পানি খেয়ে শান্ত হোন স্পর্শ মেহরাব।”
স্পর্শ জেরিন কথা শুনে না চাইতেও হেসে দিলো।
—-“তুমি জানো না, একটা অভদ্র মহিলা উনি।ভালো হয়েছে বেড় করে দিয়েছি।
চলবে
চলবে