গল্পের নামঃ- #ভালোবাসার_নতুন_প্রনয়ণ
লেখিকাঃ- #konika_islam (sanju)
part:09+10
সকাল বেলা হূর ডাইনিং টেবিলে আসলেই হূরের দিদুন বলে
” হূর আজকে তোর ভার্সিটি যেতে হবে না বাসায়ই থাক। হূরের বাবা বলে
” কেন?? কিছু লাগবে মা তোমার? হূরের মা আলইনা কে খায়িয়ে দিচ্ছিল, হঠাৎ করে হূরকে বাসায় থেকে যাওয়ার কারণ কি সেটাই ভাবছে সে?? হূরের কাকি মার মনেও একই প্রশ্ন ।
হূরের কাকাই বলে
” যা বলার সরাসরি বলে ফেলো। হূরের দিদুন বলে
” হূরকে দেখতে আসবে। কথাটা শুনামাত্র সবাই অবাক। অপর দিকে নিজের খাওয়ায় ব্যস্ত এরিশ, আর মৃধা। হূরের চোখ পানিতে টলমল করছে। এরিশ বলে
” আচ্ছা দিদুন, ছেলে কে?? দিদুন বলে
” তোর রিনা আন্টির ছেলে, হূরকে অনেক পছন্দ করেছে। হূর কিছু না বলেই খাবারের টেবিল ছেড়ে চলে যায়। তা দেখে হূরের দিদুন বলে
” তেজ দেখছ মেয়ের। তোর ভাগ্য ভালো আমার নানতি তোকে পছন্দ করেছে। হূর কিছু না বলেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়। এরিশ বলে
“তোমার নাতি যে কতটা ভালো তা আমরা সবাই জানি। আর আমি বলেছিনা, ঐ সিফাতের কথা যেন এই বাসায় আর না হয়। হূরের বয়সই বা কত?? সবে ১৯ বছরে পরল ২ দিন আগে।
হূরের দিদুন বলে
” মেয়েদের কুড়ি মানে বুড়ি। আলাইনা বলে।
” দিদুন তুমি এমন কেন?আর কুড়ি মানে তো বিশ? তাহলে তোমাকে বুড়ি বললে রাগো কেন? এইসব বাদ দিয়ে এটা হূর আপ্পি কি তোমার পান চুড়ি করে খেয়েছে নাকি রাতের বেলা যে তুমি চুপিচুপি করে ফ্রিজ থেকে আমার আইসক্রিম গুলো খাও সেটা বলে দিয়েছে সবাইকে? তুমি আপ্পিকে বিয়ে দিতে চাও কেন? আম্মু তো আমাকে বলে কথা না শুনলে বিয়ে দিয়ে দিবে, হূর আপ্পি তো সবার কথাই শুনে। আলাইনার কথা শুনে আলাইনার আম্মু বলে
” আলাইনা, আম্মু রুমে যাও।
এরিশ তার দিদুনকে উদ্দেশ্য করে বলে
” আমি এত-শত জানিনা। ঐ সিফাত যদি এই বাসায়
এসেছে তাহলে আমি আর এই বাসায় আসবো না।
বলেই উপরের দিকে পা বাড়ায়। হূরের মা হূরের দিদুনকে উদ্দেশ্য করে বলে
” মা যেদিন আপনার ছেলে আমার মেয়েকে এই বাসায় নিয়ে এসেছিল সেদিন আপনি আমাকে বলেছিলেন হূরের জন্য যেন আপনার ছেলের সংসার অবহেলা না করি। আর আগে আমাকে সেই বাসায় যেতেও দিতেন না। হূরও আমার মেয়ে আপনার কথা রক্ষার জন্য হূরকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। যদি হূরের জন্য আপনার এতই সমস্যা হয় তাহলে বলে দিতেই পারেন আমি আমার মেয়েকে বলে দিব চলে যেতে। আর এটা ওর নিজের লাইফের ব্যপার সেটা হূরই ভালো জানবে।
আর সাথে সাথে রান্না ঘরের দিকে চলে যায়, সাথে হূরের কাকিমাও যায়।
হূরের দিদুন বলে
” তা কোথায় যাবে শুনি এই মেয়ে? কে বিয়ে করবে? হূরের বাবা বলে
” হূর আমার মেয়ে, আর আমার মেয়ে আমার বাড়িতেই থাকবে। আর ছেলের অভাব নেই দুনিয়াতে । হূরের কাকাই বলে
” মা তুমি এমন কেন? হূরকে কেন মানতে পারো না?? হূরের দিদুন বলে
” কারো ভালো করতে নাই। তোদের সবাইকে কালা জাদু করেছে ঐ মেয়ে। হূরের বাবা বলে
” মা নিজের চিন্তা ভাবনা পাল্টাও। আর খাবার ছেড়ে উঠে চলে যায়। সাথে হূরের কাকাইও। মৃধা তো বিন্দাস খাচ্ছে।
_____________
হূরের রুমে দরজায় এই নিয়ে তিনবার নক করেছে এরিশ। এরিশের কন্ঠ শুনে হূর দরজা খুলে দেয় এরিশ বলে
” ভার্সিটি যাবি না? চল। হূর একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে চোখের পানি মুছে বলে
” আপনিই দিদুনকে বলেছেন না বিয়ের কথা?? আমি কি এমন ক্ষতি করেছি আপনার?? কেন এমনটা করেন? এরিশ বিরক্ত হয়ে বলে
” কানের নিচে দিব। চার লাইন না বুঝলে ভালো লাগে না? আমি দিদুনকে কিছু বলিনি। হূর কথাটা শুনে অবাক হয়ে বলে
” তাহলে দিদুন এই কথা কেন বলবে?? এরিশ বলে
” আমি কি জানি? আমি কি অন্তর্যামী? বেশি বকবক করবি তোকে বাসায় ফেলে চলে যাবো। তারপর ঐ সিফাত এসে তোকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে।
হূর নিজের চোখের পানি মুছে ব্যাগটা নিয়ে চলে আসে। ঐ সিফাতের থেকে ভালো এরিশের সাথে যাওয়া।
______________
এরিশ ড্রাইভার চাচ্চু কে বলে দেয় আজ গাড়ি সে ড্রাইভ করবে। তাই আর সেও কিছু বলে না। হূর চুপচাপ পিছনের সিটে বসতে যাবে তখনই হূরের দিদুন আর মৃধা বাসায় থেকে বেড়িয়ে আসে আর হূরকে উদ্দেশ্য করে হূরের দিদুন বলে
” এই তোকে না আজ ভার্সিটি যেতে বারণ করেছি। এরিশ ভ্রু কুচকে বলে
” আমিও বলেছি সিফাত এই বাসায় আসবে না। হূরের দিদুন হাসি দিয়ে বলে
” আরে না দাদু ভাই এখানে আসবে না। রেস্টুরেন্টে দেখা করবে সাথে মৃধা যাবে। এরিশ কথাটা শুনেই বুঝতে পারে এইসব মৃধার কাজ। এরিশ মৃধার কাছে গিয়ে মৃধার গালে চড় বসিয়ে দেয় আর বলে
” ভালো হয়ে যা। বাসায় থেকে বেরহওয়ার ফন্দি না?? বলেছি না তোর বাসার বাইরে পা রাখা বন্ধ। মৃধা কিছু বলতে যাবে তখনই এরিশ আরেকটা চড় বসিয়ে দেয় আর বলে
” ভিতরে যা, নয়তো আরেকটা দিব। মৃধা কেঁদে চলে যায়। এই প্রথম এরিশ তার গায়ে হাত তুললো। হূর দূর থেকে সব দেখে ভয়ে আছে। এরিশ তার দিদুনকে উদ্দেশ্য করে বলে
” হূর আমার সাথেই যাবে। পারলে আটকে দেখাও সুইটহার্ট। আসি। আর তোমার নাতিকে মোমবাতি দিয়ে বল তার সাথে বিয়ে করে নিতে ।
বলেই চলে যায় হূরের কাছে। হূরের দিদুন রাগে ফুসতে ফুসতে বাসায় চলে যায় । হূর পিছনের সিটে বসতে যাবে তখনই এরিশ ধমক দিয়ে বলে
” ঐ আমাকে তোর ড্রাইভার মনে হয়? সামনে আয়। হূর কথা বাড়ায় না। হূর মনে মনে বলে
” যেই পরিমানে খেপে আছে। মনে হয় রাতে জিএফ এর সাথে ঝগড়া লেগেছে, নিজে পারেনি ঝগড়ায় তাই এমন করছে হয়তো।
হূর কারে বসতেই খুব জুড়ে কারের ডোরটা লাগায় এরিশ, ভয়ে কেঁপে উঠে হূরের। এরিশ তা দেখে বলে
” এত ভয় পেলে আর কিছু করতে হবে। হূর কিছু না বলে বাইরের দিকে মুখ করে রাখে। গাড়ি চলছে আপন গতিতে হঠাৎ করেই হূর বলে উঠে
” এই এই, আমরা কোথায় যাচ্ছি?? এরিশ সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করতে করতে বলে
” সামনে একটু কাজ আছে। তারপর হূর বলে
” তাহলে আমাকে এখানেই নামিয়ে দেন আমি একা চলে যাবো। এরিশ রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে
” তোকে কার থেকে নামিয়ে আলাইনার কথা মতো সাইকেল চাপা না গাড়ি চাপা দিয়ে দিব। চুপচাপ বসে থাক। হূর মিনমিন করে বলে
” দজ্জাল এর মতো করে কথায় কথায়। তোমার কপালেও জুটবে একটা দজ্জাল বউ। এরিশ বলে
” এইসব কথা মনে মনে বলতে হয়। আর আমার একটা হূর আছে দজ্জাল বউ জুটবে না । হূর অবাক হয়ে বলে
” কি বললেন? এরিশ বলে
” কি বললাম!! আবার কি?? বললাম আমারও একটা হূর আছে। ওয়েট ওয়েট আবার নিজেকে ভাবিস না। তোর নাম টাই হূর৷ আর ও আমার কাছে সত্যিই হূর। হূর বলে
” আপনার এই ভূগোল শুনার কোনো ইচ্ছে আমার নাই। বুঝতে পেরেছি আপনার জিএফ আছে। এরিশ বলে
” উহুহ। হূর ভ্রু-কুচকে বলে
” তাহলে?? এরিশ বিরক্ত হয়ে বলে
” তোকে কেন বলতে যাবো?? হূর ভেংচি কেটে বলে
” তাহলে অর্ধেক কথা বেলন কেন?? এরিশ একটা হাসি দিয়ে বলে
” Kya karo wo Lady main ho adat se majbor। সাসপেন্স রাখতে ভালো লাগে।
হূর কিছু না বলে নিজের ব্যাগ থেকে ফোন বের করে। এরিশ বলে
” এই ভালো কথা তের বিএফ মানে নীলআদ্রের কি খবর? সে জানে দিদুন তোর বিয়ে ঠিক করেছিল? রুমে গিয়ে ফোন করে কান্না করতে করতে বলিসনি, নীল বেইবি, জান, আমার বাবু তোমার আম্মু উফফস্ সরি সরি তোমার জিএফ মানে আমার বিয়ে ঠিক হয়েগিয়েছে। আমাকে এসে নিয়ে যাও। নয়তো আমি কচু গাছের সাথে গালায় দড়ি দিয়া আত্মহত্যা করব। আর সুইসাইড নোটে তোমার নাম লিখে যাবো।
হূর রেগে বলে
” চুপ করবেন আপনি!! কতবার বলবো আমার বিএফ নেই। এরিশ বলে
” তাহলে বুঝ তুই কেমন তোর বিএফ নাই।
চলবে
”
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে❤️❤️
গল্পের নামঃ- #ভালোবাসার_নতুন_প্রনয়ণ
লেখিকাঃ- #konika_islam (sanju)
part:10
এরিশ বলে
” এই ভালো কথা তোর বিএফ মানে নীলআদ্রের কি খবর? সে জানে দিদুন তোর বিয়ে ঠিক করেছিল? রুমে গিয়ে ফোন করে কান্না করতে করতে বলিসনি, নীল বেইবি, জান, আমার বাবু তোমার আম্মু উফফস্ সরি সরি তোমার জিএফ মানে আমার বিয়ে ঠিক হয়েগিয়েছে। আমাকে এসে নিয়ে যাও। নয়তো আমি কচু গাছের সাথে গালায় দড়ি দিয়া আত্মহত্যা করব। আর সুইসাইড নোটে তোমার নাম লিখে যাবো।
হূর রেগে বলে
” চুপ করবেন আপনি!! কতবার বলবো আমার বিএফ নেই। এরিশ বলে
” তাহলে বুঝ তুই কেমন তোর বিএফ নাই।
এরিশকে উদ্দেশ্য করে হূর বলে
” আপনার কি?? এরিশ হূরের কথার জবাব না দিয়ে ড্রাইভিং-এ মনযোগ দেয়।
_____________
সেই কখন থেকে রেস্টুরেন্টে বসে আছে হূর আর এরিশ। এরিশ আইসক্রিম খাচ্ছে আর ফোন নিয়ে পরে আছে। হূর হাস ফাস করছে। ভার্সিটি না মিস হয়ে যায় যদি টাইম পেরিয়েছে অনেক সময়।
হঠাৎ করেই হূরের নজর যায় এরিশের দিকে। সে ব্যস্ত নিজের মতো ফোন চালাতে। মাঝে মাঝে সামনে আসা তার চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করছে। ঠোঁটের কোনে ছোট একটা হাসি। এরিশ হূরের দিকে তাকাতেই হূর কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। আর সাথে সাথে অন্য দিকে তাকিয়ে বলে
” আর কতক্ষণ?? তখনই রেস্টুরেন্টে আসে অহি, তিথি, আবির আর আকাশ । হূর ওদের দেখে অবাক হয়ে যায় । আকাশ তাড়াতাড়ি করে বলে
“দোস্ত জলদি চল লেট হচ্ছে। এরিশ বলে
” হুমমমম। হূর বলে
” আমরা আবার কোথায় যাবো?? তিথি লাজুক হেসে বলে
” আজ আমি আর আবির গোপনে বিয়ে করব। অহি বলে
” তুই আর আমি, এরিশ ভাইয়া আর আকাশ ভাইয়া ওদের বিয়ের সাক্ষী হিসাবে থাকবো।
হূর অবাক হয়ে বলে
” যদি আঙ্কেল আন্টির কানে এই কথা যায়। আবির বলে
” পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া?? আকাশ সবাই তাড়া দিয়ে বলে
” সে সব কথা পরে, হবে এখন চল চল।
_____________
সবাই কাজি অফিসে চলে আসে।
কাজী যখন বলে কবুল বলতে, তিথি তখন চুপ হূর তিথিকে বলে
” এই তিথি কবুল বল। অহি বলে
” হূর তুই বলেদে তিথির হয়ে। হূর বলে
” আজব তো! আমি কেন কবুল বলতে যাবো? আমি বিয়ে করছি? আমার বিয়ে নাকি যে কবুল বলতে যাবো??? আকাশ বলে
” আচ্ছা থাক বলতে হবে না। এরিশ বলে
” কেন বলবে না!? তিন কবুল এক সাথে বলবে। এক কবুল ২ কবুল আর ৩ কবুল এইভাবে। আবির বলে
” আলহামদুলিল্লাহ। সবাই অবাক হয়ে আবিরের দিকে তাকায় আবির বলে
” আরে আমিতো অনেক খুশি যে এরিশের মতো বন্ধু পেয়েছি। তিন দুগনে ছয় কবুল এক সাথে। আমি বলে দিলাম তিথির আর আমারটা। এখন তাড়াতাড়ি বলো কোথায় আমাদের সাইন লাগবে??
_____________
পেপারে সাইন কারার পর। এরিশ বলে
” হূর চলো বাসায় যাবে। হূর অবাক হয়ে বলে
“তুই থেকে সোজা তুমি?? এরিশ বলে
” তোর সাথে কথা বলাই বেকার। বেশি পকপক করবি রাস্তায় থেকে একটা পাগল এনে তোদেরও বিয়ে করিয়ে দিব।
হূর বিরক্ত হয়ে বলে
” আপনি এতো বকবক করবেন আপনাকে ফেলেই আমি চলে যাবো। এরিশ আবির আর আকাশকে হাগ করে বিদায় দিয়ে চলে আসে। সাথে হূর আবির আর তিথিকে শুভেচ্ছা দিলেও তার বিশ্বাস হচ্ছে না, তিথি এমন কিছু করবে। কারণ সব কিছু তার পরিবার ঠিক করে। এরিশ হূরকে দেখে বলে
” কি এমন ভাবছিস?? হূর বলে
” না তিথিই কত সাহসি। এরিশ বলে
” আর তুই একটা বোকা। হূর ভ্রু-কুচকে বলে
” কি ভাবে বোকা? আমি আবার কি করলাম?? এরিশ হাই তুলতে তুলতে বললো
” কারণ তুই আসলেই বোকা। ওরা একজন আরেকজনকে লাভ করে তাই বিয়ে করে নিয়েছে । আমার কি মনে হয় জানিস?? তোর মাথায় ব্রেন নাই। হূর মেকি হাসি দিয়ে বলে
” হ্যা ঐটাতো আপনার হাটুতে। এরিশ বলে
” চুপ। থাক নয়তো বিনা রকেটে তোকে চাঁদে পাঠাবো। হূর কিছু বলতে চেও বলে না। হূর বলে
” ওয়াও। পাঠান না বারণ কে করেছে?? আমি আপনার জন্য একটা এলিয়ান নিয়ে আসবো।
এরিশ বলে
” তুই চুপ করবি? হূর ওড়না দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেলে।
দুপুরের দিকে দুজনেই বাসায় আসে। এরিশ সোজা রুমে চলে যায়। হূর বাসায় ফিরতেই আলাইনা এসে জড়িয়ে ধরে হূরকে,। হূরও কোলে তুলে নেয় আলাইনা কে। তা দেখে এরিশের মা বলে
” এত বড় মেয়ে বোনের কোলে উঠেছে, এই আলাইনা নাম। আর হূর যা ফ্রেশ হয়ে আয় খাবি। হূর বলে
” না কাকি মা আমি খেয়ে এসেছি। আলাইনা হূরের কোল থেকে নেমে চুপ করে রান্না ঘরে চলে যায় সাথে হূর নিজের রুমে।
তখন হয়তো বিকেল ৩ঃ৩০ কি ৪০ হবে, হূর নিচে নামে পানি তৃষ্ণা পেয়েছে। কিচেনে যেতেই দেখে এরিশ কিছু খুঁজছে। হূর। হালকা কাশি দেয়
” এহেম এহেম। আর এরিশ পিছনে তাকায় হূরের কনঠ শুনে। হাতে চকলেট। তা দেখে হূর জোরে ডাক দিয়ে বলে
” আলাইনা,,,, তো। আর কিছু বলতে যাবে তখনই এরিশ হূরের মুখ চেপেঁ ধরে। হূর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। অপর দিকে বাসার সবাই এই সময়টা ঘুমে থাকে , তাই কেউ এখন নেই। হূর এরিশের হাতে মারছে। এরিশ বলে
” তুই এতো বজ্জাত কেন?৷ আলাইনা দেখলে কাচা চিবিয়ে খাবে আমাকে। হূর কোনো রকম নিজেকে ছাড়িয়ে দেয় দৌড় কিন্তু বেশি দূর যাওয়ার আগেই এরিশ ধরে ফেলে হূরকে। হূর বলে
” আচ্ছা আচ্ছা, বলবো না। হাত ছাড়ুন কেউ দেখলে ভুলভাবে। এরিশ কিছু একটা ভেবে হূরের হাত ছেড়ে দিয়ে বাসায় থেকে বেরিয়ে পরে বাইক। হূর পরপর দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিজেকে শান্ত করে।
পা বাড়ায় নিজের রুমের দিকে। হূর নিজের রুমে যাওয়ার আগে চোখ যায় এরিশের রুমে সোফার উপরে। হূর যেই না রুমে প্রবেশ করবে তখনই এরিশ পিছন থেকে বলে
” এই তুই আমার রুমের সামনে কি করিস?? হূর চমকে পিছনে তাকিয়ে বলে
” আপনি না মাত্র বাইক নিয়ে বেরহলেন। এরিশ হূরেকে বলে
” হ্যা ফোনটা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম৷ আর এখনে এসে দেখে তুই। তা কি চুরি করার ধান্দায় আছিস শুনি?? হূর বলে
” আমি কেন চুরি করতে যাবো?? আমিতো জাস্ট আপনার ঐ শার্ট টা দেখছিলাম কেমন চেনা চেনা লাগছে। এরিশ বলে
” পরতে দেখছিস তাই লেগেছে এমন, যা নিজের রুমে যা। হূর চলে যেতেই এরিশ ফোন নিয়ে বেরিয়ে যায়।
_____________
রাতের বেলা ছাঁদে দোলনায় বসে আছে হূর আর আলাইনা। আলাইনা চকলেট মিল্কসেক খাচ্ছে আর হূর কফি। আলাইনা বলে
” আপুই সকালে তো সবাই বললো তোমাকে বিয়প দিয়ে দিবে। তা আমাকে কবে বিয়ে দিবে? আলাইনার এমন কথা শুনে টাশকি খেয়ে যায় হূর। তখনই ছাদেঁ আসে এরিশ। এরিশকে দেখেই আলাইনা বলে
” আসছে প্যারিস হাসের পেক পেক। এরিশ বলে
” কি বললিরে বুড়ি?? আলাইনা বলে
” আমি বুড়ি?? এরিশ এসে আলাইনার চুল ধরে টেনে দিয়ে বলে
” না ঠাকুমা। আলাইনা ঠাস করে এরিশের হাতে মেরে বলে
” বেয়াদব বৎস, ঠাকুমা যেহতু বলেছ। তাহলে বসো ঠাকুমারঝুলি খুলি গল্প শুনো। এরিশ বলে
” ইশশশশ আসছে। যা ঘুমাতে যা। আলাইনা বলে
” তুমি যে আমার কথার মাঝে বা পা ঢুকাও না কোন দিন যেন এই পা কেটে তোমার হাতে ধরিয়ে দেই। যাও নিচে যাও আর আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসো। এরিশ বলে
” আমি কেন যাবো তুই খাবি তুই যা। আলাইনা চোখ পাকিয়ে তাকাতেই এরিশ বলে
” যাচ্ছি যাচ্ছি, তাও এমন রাক্ষসীর মতো তাকাস না। আলাইনা বলে
” তুমি যাবে?? এরিশও চলে যায়
চলবে।
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে, রিচেক হয়নি। বিজি ছিলাম কিন্তু কি নিয়ে?? একবার গল্পদিতে চাইনি। তাও দিলাম। সরি। ওকে আল্লাহ হাফেজ।