#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#২২_পর্ব
.
দেখতে দেখতে মাহির পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো,,আর মেঘলার বিয়ের দিনও ঘনিয়ে আসছে, সত্যি সময় যে কখন কীভাবে চলে যায় বোঝায় যায় না,, আর যাই হোক সময় কে তো আর বেঁধে রাখা যায় না, কাল বাদে পরশো দিন মেঘলার গায়ে হলুদ মাহি তো সেই ৭ দিন আগে এসে বসে আছে, আর আসবেই না কেনো যতই হোক বাড়ির বড় বউ বলে কথা,,আর মাহির মায়ের তো শান্তি নেই একবার এ বাড়ি তো একবার ও বাড়ি,, একমাএ ভাইয়ের মেয়ে বলে কথা কোনো কমতি রাখা যাবে না, দুটো বাড়ি কাছাকাছি হওয়াই মাহির মা একবার এখানে তো আবার রাতে বাড়ি চলে যায়।
বাড়িতে আত্মীয় এসে গিজগিজ করছে, আরো আসা বাকি, আর মেহরাব এর তো দেখা পাওয়াই দায়, একমাএ বোনের বিয়ে কতকাজ তার দম ফেলার জো নেই।
হারে শুনলাম তোর বরের জন্য নাকি মেহরাব রাজকীয় শেরওয়ানি বানিয়েছে তাও আবার অর্ডার দিয়ে,, তা কই দেখি আমাদের ও দেখা (মেঘলা এক চাচি)
আরে বানাবে না যতই হোক ওনার একমাএ বোন বলে কথা সব কিছু একদম পারফেক্ট হওয়া চাই(মাহি)
মাহি ভাইয়ার রুমে মেঘের শেরওয়ানী টা রাখা আছে নিয়ে আয় (মেঘলা)
ঠিক আছে মেঘলা আপু।
এই বলে মাহি মেহরাব এর রুমে গেলো,, রুমের সামনে গিয়ে দেখলো দরজা হালকা চাপানো, সব রুমে মেহমান থাকলেও এরুমে কারু প্রবেশ নিষিদ্ধ কেননা মেহরাব ভাই আবার তার রুমে কারো প্রবেশ এলাও করে না, আর অগুছানো জিনিস তো দেখতেই পারে না।
আমি চুপিচুপি দরজাটা হাত দিয়ে হালকা খুলে ভিতরে গেলাম, বাথরুম থেকে পানির আওয়াজ আসছে মনে হয় ওনি শাওয়ার নিচ্ছে,,, আমি সারা রুম খুঁজতে লাগলাম কিন্তু পেলাম না,
কোথায় যে রাখছে কে জানে,, সেই কখন থেকে খুঁজছি পাচ্ছি না,, ওদিকে মেঘলা আপু তো আবার ডাকাডাকি করবে,,,
এসব ভাবছিলাম আর খুঁজছিলাম তখনি পিছন থেকে কেউ আমার কাঁধে হাত রাখল বাবা কি ঠান্ডা হাত,, আমি পিছন ঘুরে দেখলাম মেহরাব ভাই টাওয়াল পরে দাঁড়িয়ে আছে, আমি ওনাকে কিছু বলতে যাবো তখনি ওনি, আমার মাথার পিছনে হাত দিয়ে চুলগুলো মুঠো করে ধরে আরেক হাত দিয়ে আমার কমর চেপে ধরে আমার ঠোঁটে ওনার ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।
কি সাংঘাতিক আমি ভাবতেও পারিনি ওনি এমনটা করবে,, সাধারণত কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে কিস করলে মেয়েটা চোখ বন্ধ করে ফেলে কিন্তু আমার ক্ষেএে পুরাই আলাদা আমি চোখ গুলো বড় বড় করে ওনার চুল ধরে টানাটানি করছি কিন্তু ওনি ছাড়ছেন না,,
তখনি রুমের বাইরে মেঘলা আপুর গলা শুনলাম ওনি আমায় ডাকতে ডাকতে এদিকেই আসছে, কিন্তু এদিকে ওনার ছাড়ার কোনো নামই নেই, আল্লাহ মেঘলা আপু যদি এসে দাখে তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে,, মেঘলা আপু রুমে ঢুকার একটু আগে মেহরাব ভাই আমায় ছেড়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
কিরে আমি তোকে সেই কখন পাঠিয়েছি এখনো এখানে কি করছিস??(রুমে এসে বলল মেঘলা আপু)
আমি কোনো কথা বললাম না শুধু চোখ দুটো বড় বড় করে তাকিয়ে আছি একদম সোজা হয়ে।
কিরে চোখগুলো ওরকম রসগোল্লার মতো করে রেখেছিস কেনো কি হয়েছে?? (মেঘলা)
কিরে তুই এ রুমে কিছু বলবি নাকি??(মেহরাব ওয়াশরুম থেকে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে বলল,, ওনার পরনে এখন একটা টাওজার আর গায়ে টির্শাট,,আমি ওনাকে দেখে আমার হাত দিয়ে ঠোঁট ঢেকে ফেললাম)
হা ভাইয়া মেঘ এর শেরওয়ানী টা নিতে আসলাম ওই চাচিরা দেখবে,, মাহিকে সে কখন পাঠিয়েছি কিন্তু দাখো এ এখানে এসে কেমন সং এর মতো দাঁড়িয়ে আছে যেনো আ্যাসেমবিলি করছে (মেঘলা)
আরে বাদ দে ওর কথা জানিস তো ও কেমন,,, আচ্ছা তুই দাঁড়া আমি বার করে দিচ্ছি (এই বলে মেহরাব আলমারি থেকে শেরওয়ানী টা বার করে মেঘলা আপুকে দিলো)
নে এখন চল সব সময় শুধু বাদরামো (এই বলে মেঘলা চলে গেলো)
আরো কিস নিবি নাকি এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো??তুই চাইলে আমি দিতেই পারি আমার কোনো সম্যসা নেই(মাহির কানে কানে বলল মেহরাব)
মেহরাব এর কথা শুনে মাহি মুখে হাত দিয়ে এক দৌড়ে ওখান থেকে চলে আসলো,, তারপর বাইরে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল।
বাপরে একটুর জন্য বেঁচে গেলাম (মাহি)
কেনো কি হয়েছে (মেঘলা)
আ,,আরে কিছু না, তুমি এখানে ওনাদের সব কিছু দেখানো হয়ে গেছে??(মাহি)
হুম,, আচ্ছা শোন আমি একটু শপিংয়ে যাবো তুই রেডি হয়ে নে আমি তুই মীরা আর ভাইয়া যাবো,, (মেঘলা)
ওনি মানে মেহরাব ভাই কেনো যাবে ওনি না গেলে হয় না??(আমি ওনার সামনে যাবো কি করে ইস কত লজ্জা লাগছে আমার)
না হয় না আরে গাধা ভাইয়া না গেলে আমাদের গাইড করবে কে শুনি,, চুপচাপ যা রেডি হয়ে নে,, আমি যায় দেখি আসি মীরা আবার কোথায় গেলো।এই বলে মেঘলা চলে গেলো।
ওনার যাওয়ার কি দরকার ছিলো আমি এখন ওনার সামনে যাবো কি করে আমি তো লজ্জায় তাকাতেই পারবোনা ওনার দিকে.
বিকেলের দিকে মাহিরা গেলো তবে মেহরাব ওদের সাথে যায়নি ওর নাকি কি কাজ আছে তাই, তবে ওখানে মেঘ আসবে মেহরাব মেঘকে বলে দিয়েছে আর মাহিকে শাসিয়ে দিয়েছে যাতে সব সময় যেনো মেঘলার সাথে থাকে, আর ওখানে গিয়ে কোনো রকম দুষ্টটামি যাতে না করে।
মেঘলা মাহি আর মীরা ওখানে পৌঁছে গেলে দেখলো মেঘ ওখানে দাঁড়িয়ে আছে।
আরে চলে এসেছো তোমরা তা কেমন আছো সবাই(মেঘ)
ভালো আপনি কেমন আছেন ভাইয়া(মাহি)
হুম আমিও ভালো।
তা আপনি একাই এসেছেন নাকি জিজু(মীরা)
আরে না আমার সাথে আমার ভাইও আসছে,, ওর নাকি রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে তাই ভিতরে গেছে,, আর কি যেনো কিনবে তাই (মেঘ)
বাবা কি ঢং আপনার ভাই তো দেখি মেয়েদের থেকেও বেশি ত্বকের যত্ন নেয়, তা আপনার ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন না??(মীরা)
দিবো আগে ভিতরে তো চলো।
তারপর ওরা সবাই ভিতরে চলে গেলো,, মেঘ আর মেঘলা কে একটু সময় দেওয়ার জন্য মীরা আর মাহি ওদের থেকে একটু দূরে গেলো, মাহি একা একাই সব কিছু দেখছিলো আর মীরাও।
মীরা হাত দিয়ে জামা নাড়ছিলো আর দেখতে দেখতে হাঁটছিলো তখনি সামনে কারো সাথে ধাক্কা লাগল।
ওহ আম স,,,,আপনি?? (রেগে বলল মীরা)
আরে কাঁদা সুন্দরী যে, তা এখানে কি করো কাঁদায় মাখামাখি করতে আসছো নাকি?? কিন্তু এখানে তো কাঁদা নেই (নেহাল)
আপনি সত্যি একটা গাধা কেননা আপনি এটাও জানেন না যে মানুষ এখানে কি করতে আসে (মীরা)
জানি তো কিন্তু মানুষ আর তুমি তো আলাদা।
মানে??
কিছু না সামনে থেকে সরো তোমার সাথে কথা বলার মুড নেই আমার,, অনেক কাজ আছে, সাইড প্লিজ (এই বলে নেহাল পকেটে হাত দিয়ে শিস বাজাতে বাজাতে চলে গেলো)
চরম অসভ্য লোক একটা যত্তসব। (রেগে বলল মীরা)#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৩
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
,,বিকালে,,,
মেঘলা আপু জলদি আসো দেখে যাও নিচে কি হচ্ছে,, বাহ কিয়া সিন হে (মেঘলা কে ডাকতে ডাকতে বলল মাহি)
মাহির ডাক শুনে মেঘলা তড়িঘড়ি করে মাহির কাছে এসে বলল।
কিরে কি হয়েছে?? ওভাবে ডাকলি কেনো(মেঘলা)
আরে, আমার দিকে না তাকিয়ে নিচে তাকাও তাহলেই বুঝতে পারবে।
মাহির কথা শুনে মেঘলাও নিচে তাকিয়ে ওর মুখটা পুরাই হা হয়ে গেলো।কেননা নিচে নেহাল মীরার কমর জরিয়ে ধরে আছে, আর মীরা নেহাল এর গলা জরিয়ে আছে। আর তারপাশে মনির একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে হা করে নেহাল আর মীরার দিকে তাকিয়ে আছে।
আসোলে হয়েছে কি,,, মনির মাহির সব জামা একটা ব্যাগে করে নিয়ে মেহরাব দের বাড়ি আসছিলো,
(গল্পের লেখিকা ,,সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী)
তারপর রাস্তায় আইসক্রিম দেখে আবার বাড়ি ফিরে গিয়ে টাকা এনে একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে মেহরাবদের বাড়িতে আসলো,, তারপর ডয়িং রুমে ঢুকে সিঁড়ি কাছে আসতে কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে অল্প একটু আইসক্রিম নিচে পড়ে গেলো,, এমনিতেই যে গরম আর বাইরেও অনেক রোদ পরেছে তাই অনেক তারাতাড়িই আইসক্রিম টা গলে যাচ্ছে।
তো মনির ব্যাগটা নিচে রেখে পরে যাওয়া আইসক্রিম টা যেই উঠাতে যাবে তখনি নেহাল বাইক এর চাবিটা হাতে ঘুরাতে ঘুরাতে ভিতরে আসতে লাগলো।
হে পিচ্চি তুমি মাহির ভাই নাহ?? বিয়েতে দেখেছি তোমায়(কথাগুলো বলে নেহাল মনির এর কাছে এসে দাঁড়ালো আর মনিরও পিছে ঘুরে নেহাল এর দিকে তাকালো,, আর তখনি সিঁড়ি বেয়ে মীরা নিচে নামছিলো আর ভুলবসত নিচে পড়া আইসক্রিম টার উপর পা পরতেই স্লিপ কেটে গিয়ে সোজা নেহাল এর গায়ের উপর পড়ল,, আর নেহাল ও মীরাকে নিচে পরা থেকে আটকাতে মীরা কমর চেপে ধরল, আর মীরা ভয় পেয়ে নেহাল গলা জরিয়ে ধরলো,, আর বেচারা মনির হা করে সেই দৃশ্য দেখতে গিয়ে তার হাতের আইসক্রিম টার কথা বেমালুম ভুলে গেলো,, আর আইসক্রিম টা গলে পুরোটা নিচে পড়ে গেছে এখন মনির শুধু কাঠিটাই ধরে আছে)
আমার এমন কেনো লাগছে?? বুকের ভিতরটা কেমন যেনো ঢিপঢিপ করছে,, সারা শরীলে কেমন শীতল বাতাস বইছে,, এমন কেনো হচ্ছে?? যেনো মনে হচ্ছে এ চোখে চোখ রেখে বাকিটা জীবন চেয়ে থাকি(মীরা নেহাল এর দিকে তাকিয়ে মনে মনে কথা গুলো বলল)
আরে কি করছেন ছাড়ুন আমায়,, অসভ্য মেয়ে মানুষ ছেলে দেখলেই গায়ে পড়তে মন চাই??(মীরাকে ছেড়ে দিয়ে বলল নেহাল)
কিন্তু প্রতি উত্তরে মীরা কিছুই বললো না শুধু ড্যাবড্যাব করে নেহাল এর দিকে তাকিয়ে থাকলো,, কেনো যেনো কিছু বলতে মন চাইছে না, শুধু মন চাইছে এভাবেই ওনার দিকে তাকিয়ে থাকি।
এরি মাঝে মেঘলা আর মাহি নিচে নেমে আসলো।
এখানে কি হচ্ছে?? (মেঘলা)
আপনি মীরা আপুর সাথে কি করছিলেন??(মন খারাপ এর অভিনয় করে বলল মাহি)
আরে তেমন কিছুই না,, ওনি পড়ে যাচ্ছিলো আর আমি শুধু ওনাকে ধরেছি এই আরকি,, এর বেশি কিছুই না তুমি আবার ভুল ভেবো না (নেহাল)
হুম?? আমি তো দেখেছি আপনি ওনার কমর জরিয়ে ছিলেন। (মাহি)
আহ মাহি তুই কিন্তু বেশি বেশি করছিস,, ওভার একটিং করা অফ কর হিতে বিপরীপ হয়ে যাবে কিন্তু (ফিসফিস করে মাহির কানে বলল মেঘলা)
আহ তুমি দাখোই না কি হয় মেঘলা আপু (মাহি)
না না মাহি তেমন কিছুই না তুমি ভুল ভাবছো আমি তো,,,, নেহাল কে আর কিছু বলতে না দিয়ে মেঘলা বলল।
আরে এখন এসব ছাড়ো তো,, নেহাল তুমি ভিতরে যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো,,
আচ্ছা ঠিক আছে ভাবি (এই বলে নেহাল মাহির দিকে এক পলক তাকিয়ে চলে গেলো)
আর ওদিকে মীরা তো এখনো নেহাল এর দিকেই তাকিয়ে আছে,,, তাই দেখে মাহি মীরার সামনে তুরি বাজিয়ে বলল।
চলে গেছে (মাহি)
হ্যাঁ???(আনমনে বলল মীরা)
নেহাল ভাইয়া চলে গেছে।
ওহ আচ্ছা। এই বলে মীরা উপরে চলে গেলো।
,,,,রাতে,,,
মেহরাব অফিস থেকে এসে সোজা সোহান এর রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখল যে মাহি আর সোহান পরছে,,,, কি হলো বেপ্যার টা মাহি পরছে?? এটাও সম্ভব?? (মনে মনে এটা বলে মেহরাব চলে গেলো)
দেখলি তো কীভাবে তোর ভাইকে বোকা বানালাম হিহিহি কিছুই বুঝে নাই (মাহি)
তুই নিজেকে যতটা চালাক ভাবিস আসোলে তুই অতটাই বোকা,,, ভাইয়া যদি জানতে পারে যে তুই না পরে এতোক্ষণ ফোনে গেম খেলছিলি আর ভাইয়ার আসা দেখেই বই নিয়ে পড়তে বসলি,, তাহলে তোর খবর আছে (সোহান)
আ্যা বললেই হলো খবর আছে,এতো জ্ঞান দেওয়া বন্ধ করতো,, কি খবর করবে হা ক,,কি,,ক,,,,,,(আর বলতে পারলো না মাহি কেননা দরজার সামনে মেহরাব ভ্রু কুচকে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে)
নে এবার সামলা আগেই বলেছিলা (ফিসফিস করে বলল সোহান)
মেহরাব এর আগেই সন্দেহ হয়েছিলো কেননা মাহি চুপচাপ পরড়ে বসার মেয়েই নয়,, তাই তখন মেহরাব রুম থেকে বার হয়ে দরজার সামনে দাড়িয়ে ছিলো।আর মাহির বলা সব কথা শুনেছে।
বই খাতা সব নিয়ে আমার রুমে আয় (এই বলে মেহরাব চলে গেলো)
কপাল রে কপাল সবি কপাল,,,, এটা বলতে বলতে মাহি বই খাতা সব গুছিয়ে মেহরাব এর রুমে চলে গেলো,আর তা দেখে সোহান তো হেসে কুটিকুটি,, মাহি সোহানের মাথায় একটা গাট্টা মেরে বেরিয়ে গেলো,,,,, গিয়ে দেখলো জুতোটা ফ্লোরে রেখে বিছানার উপর টাই টা ছরিয়ে রেখে ফাইল গুলো সারা বিছানায় ছড়িয়ে সিটিয়ে রেখে মহাসয় ওয়াশরুমে গিয়ে বসে আছে।
এত বর একটা ছেলে হয়ে গেছে তবুও কোনো কিছু ঠিক মতো করতে পারে না,, পুরো রুমটাই একদম জঙ্গল বানিয়ে দিয়েছে কয়েক মিনিটে (সব কিছু গোছাতে গোছাতে বলল মাহি, ঠিক তখনি ওয়াশরুম থেকে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বার হলো মেহরাব,,, পরনে একটা টাওজার আর গায়ে একটা কালো টির্শাট মুখে ফোঁটা ফোঁটা পানি লেগে আছে,, বড় বড় চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে আর ওনি হাত দিয়ে তা ঝাড়ছে,, সুঠাম দেহে টির্শাটটা একদম টাইট হয়ে লেগে আছে,,, শরীলের গঠনটা শার্টের উপর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ,, আর আমি ড্যাব ড্যাব করে চোখ দিয়ে ওনাকে গিলে খাচ্ছি, কি সুন্দর, আচ্ছা ছেলে মানুষ ও বুঝি এতো সুন্দর হয়??
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে হাত দিয়ে চুল গুলো ঝাড়তে ঝাড়তে সামনে তাকিয়ে দেখি মাহি আমার দিকে ড্যাব করে তাকিয়ে আছে, তাই দেখে শয়তানি করে বললাম।
নিজেই যদি নিজের জিনিসে এভাবে নজর দিস তাহলে তো নজর লেগে যাবে,, তখন আবার তোকেই সেই নজর কাটাতে হবে কিন্তু।
ওনার কথায় হুশ ফিরলো আর এতোক্ষণ নিলর্জ্জর মতো ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম এটা ভাবতেই নিজের কাছে নিজেকে কেমন বেহায়া মনে হলো,, ছি ওনি কি ভাবলো নিশ্চয়ই আমাকে হ্যাংলা ভেবেছে। ভাবুক তাতে আমার কি ওনি তো আমারি আমি যতক্ষন ইচ্ছে ওনার দিকে তাকিয়ে থাকবো,, নজর দিয়ে একদম ডুবিয়ে ফেলবো তাতে ওনার কি হম মানুষ টা তো আমারি (মনে মনে কথাগুলো ভেবে লজ্জায় কুকড়ে উঠলাম)
মাহির এমন লজ্জা পাওয়া দেখে মেহরাব আস্তে আস্তে মাহির কাছে এসে,, কপালে পড়া চুলগুলো কানের পিছে গুজে দিতে দিতে বলল,,
আমার সামনে এভাবে লজ্জা পেয়ো না তাহলে কিন্তু আমি তোমায় টুপ করে খেয়ে ফেলবো,, কেননা লজ্জা পেলে তোমার গালদুটো পুরাই লাল টমেটো লাগে,৷ আর ইউ নো না?? আই লাভ রেড টমেটো।
মেহরাব কথা শুনে মাহি আরো বেশি লজ্জা পেলো,, আর মাথাটা নিচু করে রাখলো,, তা দেখে মেহরাব মুচকি হাসি দিয়ে মাহির হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বলল।
শোনো না তোমায় কিছু বলার আছে (অনেকটা রোমান্টিক ভাবে)
মাহি মাথাটা তুলে মেহরাব এর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। যেনো চোখ দিয়েই জিগাস করছে বলুন না বলুন যা খুশি বলুন আমি সব শুনতে রাজি,,,,, তবে মুখে কিছু বললো না।
বলছি কি যে বলছি কি (মেহরাব)
মাহি এবার নিজের মুখ খুলে ফিসফিস করে বলল।বলুন না কি বলবেন।
বলছি কি যে এখন পড়তে বসেন কাল বাদে পরশো থেকে পরিক্ষা,, পড়াশোনা বাদ দিয়ে রোমাঞ্চ করতে এসেছে,, এই এতোটুকু বাচ্চা মেয়ে আবার রোমাঞ্চ এর কি বুঝিস রে যা পড়তে বস। (মেহরাব)
মেহরাব এর কথা শুনে মর্হুতেই মাহির লজ্জা রাঙা মুখটা রাগে পরিনত হলো,, আর ভ্রু কুচকে মেহরাব এর সামনে থেকে সরে টেবিলে বসতে বসতে বিরবির করে বলতে লাগল।
খরুচ একটা,, শালা আনরোমান্টিক এর বস্তা,, এভাবে পড়া পড়া করলে জীবনে বাবা ডাক শুনতে হবে না (বিরবির করে বলল)
মাহির এমন রাগ করা দেখে মেহরাব হু হা করে হেসে উঠল। কিন্তু যখনি মাহি রেগে ওর দিকে তাকালো তখনি আবার হাসি অফ করে ঠোঁটের উপর আঙুল রেখে চুপ করে বসে থাকলো,, তবে মিটমিট করে হাসতেই লাগল।
চলবে,,,,,?
চলবে,,,,,,???
(আজকে আরো একটা পার্ট দিবো, কারণ আমরা জিতা গেছি সেই আনন্দে😊😊😊)