মাদকাসক্ত স্বামী
___________________
লেখিকা :বাবুনি
________________
(পার্ট:১০)
আযানের ধ্বনি শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল , “রামিমের”___
সে চোখ খুলে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলো__
তার মানে ও কাল রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল_ আর “তাম্মি” তাম্মি কোথায় ঘুমালো তাহলে__
ও চোখ ঘুরিয়ে দেখলো , ও সোফায় ঘুমিয়ে আছে , হে বসে বসে ঘুমোচ্ছে ও__
মনে মনে বলল, ইশ্ আমি কি ভুল কাজ টাই না করেছি ___ মেয়েটা সোফায় ঘুমোতে পারে না তা জেনেও আমি কি করে কাল রাতে বিছানায় শুয়ে পড়লাম__ অবশ্যই আমার মাথা ঠিক ছিল না ঐসময় __এমনিতেই হুইস্কি পেটে পড়লে আমি কি করি না করি,তা আমি নিজেই জানি না__ আমার জন্য মেয়েটাকে কত কষ্ট করে ঘুমোতে হয়েছে__ না জানি কখন ঘুমিয়েছে__ আসলেই আমি একটা অমানুষ হয়ে গেছি, তা না হলে এরকম একটা নিষ্পাপ মেয়েকে কেন কষ্ট দিচ্ছি__ ওর তো কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন ওকে এরকম শাস্তি দিচ্ছি__
কিন্তু আমিও তো এর থেকেও বড় শাস্তি পেয়েছি__ আমার ও তো অপরাধ ছিল না,ভালোই তো বেসে ছিলাম দোষের কিছু তো নয়__ কোনো পাপ ও তো করি নি তাহলে কেন আমাকে এত শাস্তি পেতে হলো__ !
যাক যা হবার হয়ে গেছে, এখন এই মেয়েটাকে বিছানায় শুইয়ে দেই__
কোলে তুলে নিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দিল খুব সাবধানে__
তারপর ওর গায়ে হালকা ভাবে কাঁথা টা টেনে দিল__ এই প্রথম “রামিম” মুগ্ধ হয়ে তাম্মির, মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে রইল___
সে আনমনে বলে উঠলো , বাহ্ কি সুন্দর মায়াবী চেহারা__ এ যেনো স্নিগ্ধ সকালে সবেমাত্র ফুটা ফুল___ যেই ফুল নিষ্পাপ ,যার গায়ে কোনো পাপের চিহ্ন নেই___ সত্যি অসাধারণ , পরী হে পরী ই তবে কোনো আকাশের পরী না এ যে মাটির পরী___ ওর কোনো ডানা নেই, তবে হে ওর মুখে এক অদ্ভুত মায়া আছে___ যে কেউ দেখলেই মূহুর্তে ঘায়েল হয়ে যাবে নিশ্চিত__ ওর চোখ মুখের নূরানী মায়ায় জড়িয়ে নিতে খুব ইচ্ছে করছে নিজেকে ___
“রামিম” ঘুঁটি ঘুঁটি পায়ে তাম্মির , পাশে চলে আসলো__ ওর মুখ টার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ,সে ওর পাশে বসলো__ ওর মায়াবী মুখ টা একটু ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে__
হে তাই করলো সে, ওর মুখের দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিল ও__ উদ্দেশ্যে ওর গাল টা একটু ছুঁয়ে দেয়া__ ওর গালের পাশে হাত দিয়েই মূহুর্তে আবার হাত সরিয়ে নিল__দ্রুত পায়ে ঐখান থেকে পিছু হেঁটে সে ছাদে চলে গেল___
ছাদে এসে নিজেকে নিজেই বলতে লাগলো, এ কি করতে যাচ্ছিলাম আমি__ যেই আমি ৫বছর যাবত কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা তো দূরে থাক চোখ তুলে থাকাই না__ সেই আমি কি না একটা মেয়েকে এইভাবে তার অজান্তে স্পর্শ করতে যাচ্ছিলাম__ একটা নিষ্পাপ মেয়েকে এইভাবে স্পর্শ করার কোনো অধিকার নেই আমার__ আমি তো একটা পাপি ,মাতাল , নেশাগ্রস্ত___
কেন এই মেয়ে আমার অতীত জানতে চাইলো, দীর্ঘ ৫বছর যাবত যে গল্প কে বুকে জোর করে ঘুম পারিয়ে রেখেছিলাম__ সেই ঘুমন্ত গল্প কে কেন জাগ্রত করলো এই মেয়ে__ আমার মাথা খারাপ হয়ে যায় এই অতীতের সব কিছু মনে পড়লে__ তখন খুব কষ্ট হয় আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে হয়__ বলতে ইচ্ছে হয় আমার সাথে কেন এরকম হলো__ আমার কি দোষ ছিল__!
তখন এই অতীত কে ভুলতে হুইস্কির বোতল হাতে তুলে নিতে হয় আমাকে__ সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে হয় আমাকে , প্যাকেট এর পর প্যাকেট সিগারেট শেষ করি __ হে শুধু আমার বুকে জমে থাকা কষ্ট টাকে ভুলে থাকতে__ হে আমি নষ্ট ,আমি খারাপ , আমি মাতাল__ কিন্তু এসবের পিছনের কারণ টা কি কেউ বুঝতে পারে __! জানি পারে না__ কেউ বুঝে না আমার কষ্ট__ সবাই স্বার্থপর , সবাই নিজের সুখ কে বড় করে দেখে __ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে___ কেউ এই বেঁচে থেকেও মরার মতো মানুষ টার কথা ভাবে না__ কেউ এই খারাপ ছেলেটাকে ভালোবাসে না___😭😭😭
ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল___
আচমকা চমকে উঠে ও , তাম্মীর কথা শুনে___
“তাম্মি” কি করছেন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে , আজ এতো তাড়াতাড়ি উঠে গেলেন যে___!
“রামিম” দুহাতে তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে ঘুরে দাঁড়ালো তাম্মির, দিকে___
বলল, তুই এখানে কেন আসছিস__ তকে কে বলছে এখানে আসতে__ আমি তাড়াতাড়ি উঠবো কিনা এইটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার__ তুই কেন নাক গলাতে আসছিস আমার ব্যাপারে__
“তাম্মি” বাহ্ রে জিজ্ঞেস করবো না__ ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি সোফায় নেই বিছানায়__ আমার তো চোখ কপালে উঠে গেল ভাবলাম আমি তো সোফায় ঘুমিয়ে ছিলাম__ আর আপনি বিছানায়, তাহলে আমি বিছানায় আসলাম কিভাবে__!আর আপনি ই বা কোথায় গেলেন, ভূতেটুতে গায়েব করে দিল না কি__ এসব ভাবতে ভাবতে পুরো রুম খুঁজে না পেয়ে এখানে আসলাম__ এখন দেখি না আপনি এখানে , ভূতটুত কিছুই করে নি___
“রামিম” এতক্ষণ যাবত ওর কথা গুলো শুনছিল চুপচাপ , এবার একটা ধমক দিল জোরে___ বলল, এই ক্যাকশেয়ালের বাচ্চি চুপ একদম চুপ___ তকে এতো কথা বলতে কে বলছে__ তকে না বলছি তুই আমার কোনো ব্যাপারে নাক গলাতে আসবি না__ আর তুই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বাসা থেকে চলে যা__
“তাম্মি” অসহায় চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলল, আমি কোথায় যাবো আপনাকে ছেড়ে__! আপনি তো আমার অর্ধাঙ্গিনী___ আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারবো না__
“রামিম” ঐ আমাকে ছেড়ে যেতে পারবি না কেন__ 😡 আমি তর কোন জন্মের অর্ধাঙ্গিনী__!
“তাম্মি” বাহ্ রে আপনি আমার স্বামী, তাই ছেড়ে যেতে পারবো না __ অর্ধাঙ্গিনী তো ঐদিন থেকে হয়ে গেছেন যেদিন আমাকে বিয়ে করেছিলেন__
“রামিম” চুপ একদম এসব বলবি না , আমি তর কেউ না ওকে__ আমার উপর অধিকার দেখাতে আসবি না একদম__
“তাম্মি” কেন বলবো না, ১০০বার বলবো__ হাজার বার বলবো __ আপনি আমার স্বামী স্বামী স্বামী___ আমি অধিকার দেখাবো, আপনি কি করতে পারেন করেন___😒😏
“রামিমের” রাগের পরিমাণ এবার বেড়ে গেল, সে তাম্মির,সামনে এসে কষে একটা চড় মারলো তাম্মিকে___😠
মেরে বললো, কি করতে পারি দেখেছিস __ আর যদি কিছু বলিস আর আমার সামনে অধিকার দেখাতে আসিস তাহলে এইভাবে থাপ্পর খাবি__ আর শুন দুদিন সময় চেয়ে ছিলি দিয়েছি এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুদিন পর চলে যাবি___
“তাম্মি” গালে হাত দিয়ে ধরে আছে, খুব জোরে থাপ্পর মেরেছে ,রামিম__ তাম্মির , চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে গাল বেয়ে টপ টপ করে নিচে___ ও চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে__
“রামিম” রাগে গজগজ করতে করতে বলল, কাল হে কাল দুদিন পূর্ণ হবে __ তুই কাল এই বাসা থেকে বিদায় হবি__ তা না হলে আমি নিজেই এই বাসা থেকে বের হয়ে যাবো__ তকে আমার অসহ্য লাগছে__ তর যন্ত্রণায় আমি এই বাসা ছেড়েই চলে যাবো__
“তাম্মি” চোখের জল মুছার ব্যর্থ চেষ্টা করে বলল, আপনাকে যেতে হবে না বাসা ছেড়ে, আজ রাত টা পার হোক আমি নিজেই চলে যাবো__ এই বলে তাম্মি, রুমে চলে গেল__
“রামিম” ঐখানে দাঁড়িয়ে ই সিগারেট ধরালো__ সিগারেট টানতে টানতে ভাবলো, এ আমি কি করলাম একটা নিরপরাধী মেয়েকে আমি মারলাম__ একটা ফুলের মতো পবিত্র নিষ্পাপ মেয়ের গায়ে হাত তুললাম__ ছি ছি , এ আমি কি করলাম__
কিন্তু এছাড়া যে কোনো উপায় ছিল না ওকে তাড়ানোর __ ওর সাথে এরকম আচরণ না করলে ও তো যাওয়ার জন্য রাজি হতো না__
যাই হোক এবার এতো অপমানের পর আর এইখানে থাকতে চাইবে না__ আমি তো কোনো অপরাধ করি নি , আমি চাই না এতো সুন্দর একটা মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাক আমার সাথে জড়িত হয়ে__
ওর ভবিষ্যত পরে আছে, আমার মতো নেশাগ্রস্ত লোকের সাথে সংসার করলে ও দুঃখ কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাবে না__
এদিকে “তাম্মি” রুমে এসে নামাজ পড়ে, নিজেকে সামলে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে রান্না ঘরে চলে যায় নাস্তা তৈরি করতে__ না বাসার কাউকে বুঝতে দেয়া যাবে না এসব ঘটনা__
“রামিম” ততক্ষনে বাইক নিয়ে বাইরে চলে যায়__
“রিমি” ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে , রান্না ঘরে চলে আসে__ এসে দেখে তাম্মি, ওর আগেই রান্না ঘরে চলে আসছে__
তাম্মির , সাথে কথা বলতে বলতে নাস্তা তৈরি করতে হেল্প করছিল “রিমি”___ হঠাৎ খেয়াল করে ,তাম্মির গালে কিসের যেনো দাগ পড়ে লাল লাল হয়ে ফোলে আছে __ ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখে সে তাম্মির গালে আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে __ছাপ গুলো ফোলে আছে রক্ত জমাট বেঁধে আছে ছাপ গুলোতে___
“রিমির”, আর বুঝতে বাকি রইলো না কি হয়েছে, নিশ্চয়ই এইগুলা থাপ্পর খেয়ে হয়েছে__ মনে মনে বলল, এই অবস্থা ভাইয়া ছাড়া আর কে করবে__ “রিমির”, প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ওর ভাইয়ার উপর , অনেক ঘৃণা হচ্ছে ওর এখন ওর ভাইয়াকে___
“রিমি” তাম্মির, কাছ থেকে একপ্রকার জোর করেই শুনলো কি হয়েছে__ কেন মারলো “রামিম” তাকে___
সব শুনে , “রিমি”, বলল, ভাবি তুমি আম্মু আব্বু কে সব খুলে বলো __
“তাম্মি” না রিমি, ওনাদের এসব বলার কোনো দরকার নেই ওনারা কষ্ট পাবেন__ তাছাড়া তোমার ভাইয়াকে ও বাসা থেকে বের করে দিবেন__ থাক প্লিজ বাদ দাও এসব__
“রিমি” তাই বলে তুমি এসব মুখবুজে সহ্য করবে__ না তা কখনোই হবে না তোমার বলতে হবে না, আমি ই বলছি এক্ষুনি আম্মু আব্বু কে সব কিছু___
“তাম্মি” রিমির, হাত ধরে আটকে দিল, বলল, প্লিজ রিমি, বুঝার চেষ্টা কর_ তোমার ভাইয়া কে বাসা থেকে বের করে দিলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবোনা__ আমি চাই না আমার জন্য তোমার ভাইয়া বাসা থেকে বের হয়ে যাক__ তাছাড়া তুমি তো ওর বোন তোমার ও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না ওর চলে যাওয়াটা___
“রিমি” রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলল, ওর মতো কুলাঙ্গার ভাইয়া থাকার থেকে না থাকাই ভালো___
“তাম্মি” রিমি, এরকম বলতে নেই, ও তোমার ভাইয়া__ সে দোষী হোক বা ভালো__
তোমার উচিত তাকে বুঝানো , ঘৃণা করা নয়__
“রিমি” তাম্মিকে জরিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল, ভাবি আমি যে তোমার চলে যাওয়া টা ও মেনে নিতে পারবো না__প্লিজ তুমি আমাদের ছেড়ে যেও না__ তোমার মতো ভালো মানুষ ভাবি আমি জীবনে কখনো দেখিনি__ একটা মানুষ কি করে এতোটা ভালো হতে পারে__😭😭
“তাম্মির” চোখেও জল চলে আসে, কিন্তু সে রিমিকে, বুঝতে না দিয়ে বলে__ রিমি, তুমি অনেক বুঝো তুমিও খুব ভালো একটা মেয়ে__ তুমি বুঝতেই পারছো আমি এখানে থাকা টা তোমার ভাইয়া পছন্দ করছে না __ আমি চলে গেলে তোমার ভাইয়া খুব খুশি হবে__ তাই আমি চলে যাবো__ কারণ তোমার ভাইয়ার খুশিতেই আমার খুশি__
“রিমি” কিন্তু ভাবি, আম্মু আব্বু কে কি বলবে__
“তাম্মি” ও তুমি টেনশন করো না রাতে ম্যানেজ করে নেব__ তুমি শুধু একটু হেল্প করো__ পারবে না হেল্প করতে__!
“রিমি” মনখারাপ করে মাথা টা নিচু করে অভিমানী কন্ঠে বলল, পারবো__ বলো তোমাকে কি হেল্প করতে হবে__
“তাম্মি” সব বুঝিয়ে বলল, রিমিকে__
প্রতিদিনের মতো , “রামিম”, আজও নেশা করে বাসায় ফিরলো___
তারপর নিজের রুমে গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়লো__
“তাম্মি” জুতো খুলে দিয়ে , মাথার নিচে বালিশ গুঁজে দিল__
তারপর কাঁথা টা হালকা গায়ের উপর টেনে দিল__
নিজে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল, না ওর ঘুম আসছে না __ খুব টেনশন লাগছে, কান্না ও পাচ্ছে__ এই পাগল টাকে ছেড়ে কিভাবে যাবো আমি__😭😭😭
পাগল টা কি কখনো বুঝতে পারবে না আমাকে__ ও কি বুঝবে না এই কয়দিনে ওকে আমি কতটা ভালোবেসে ফেলেছি__ ও কি বুঝবে না ওর জন্য আমার বড্ড বেশি কষ্ট হয়__ 😭😭
রাত দুটোর সময় উঠে, ফ্রেশ হয়ে তাযুদের নামাজ পড়ে নিল “তাম্মি”__ তারপর কিছুক্ষণ ঘুমের ভান করে শুয়ে রইলো বিছানায়__ আজ রাত টুকোই সে এইরুমে থাকতে পারবে__ এই বাড়ির প্রতিটি মানুষের উপর,জিনিসের উপর, তার মায়া জন্মে গেছে__ বিশেষ করে তো “রামিমের “উপর তার আলাদা একটা মায়া জন্মনিয়েছে__ হয়তো এই কয়দিনে এই ছেলে টাকে সে ভালোও বেসে ফেলেছে__
কি করে সে কাটিয়ে উঠবে এই মায়া__!
এই বাসার মানুষ গুলো কেই কি করে ভুলবে সে__! নানা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে__ সে মনে মনে বলল, মানুষ বলে মেয়েরা বিয়ে হয়ে গেলে নাকি স্বার্থপর হয়ে যায় অনেক টা__ নিজের ফ্যামেলির মায়া কাটিয়ে সে নাকি স্বামীর ফ্যামেলিকে আপন করে নেয়__ সত্যি ই তাই মনে হচ্ছে আজ__
ফজরের আজানের ধ্বনি শুনা যাচ্ছে, তাম্মি উঠে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নিল__
তারপর রান্না ঘরে গিয়ে নাস্তা তৈরি করে সবাইকে খাইয়ে, “রামিমের” জন্য নুডুলস স্যুপ তৈরি করে রাখলো__
এদিকে বেলা প্রায় ১২টার সময় ঘুম থেকে উঠলো” রামিম ” চোখ কচলাতে কচলাতে সে বিছানায় পাশে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল___
চলবে___!