#মেঘের_আড়ালে_বৃষ্টি
#বাইশ
#প্রজ্ঞা_জামান_দৃঢ়তা
পরদিন সকালে রোদ কলেজে এসে ক্লাসে চলে আসে। অন্যান্য দিনের মত প্রয়াসের জন্য অপেক্ষা করে না সে। কেন যেন ইচ্ছে করছে না আজ প্রয়াসের মুখোমুখি হতে। কিন্তু সে জানে প্রয়াস তাকে ঠিক খুঁজে বের করবে।
প্রয়াস কলেজে এসে রোদকে খুঁজতে লাগল। কিন্তু খেয়াল করে দেখে রোদদের ক্লাস বসে গেছে। রোদ ক্লাসে,এখন আরও ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে দেখে ভাবে ধুর এমনিতেই ভালো লাগছে না। তার উপর ম্যাম ডেকেছে বলে কথা বলতে গিয়েই রোদকে পেল না সে। সারারাত অপেক্ষা করার পর এখন আর এক মিনিটও অপেক্ষা করতে মন চাইছে না।
সকালের সাথে বসে আড্ডা দিতে হবে তাহলে সময় কাটবে। তাই প্রয়াস সকালের কাছে যায়। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে তার কেন যেন এখানে মন বসছে না।
অবশেষে রোদদের ক্লাস থেকে স্যারকে বের হতে দেখে সাবাকে পাঠায় রোদকে ডাকতে।সাবা রোদকে নিয়ে আসে। রোদকে প্রয়াসের কাছে রেখে তারা সবাই চলে যায়।
প্রয়াস রোদকে বলে,
” আজ আমার সাথে বের হতে পারবে?”
“না, আমার ক্লাস আছে।”
“প্লিজ রোদ চল না, একটু সময়ের জন্যে। ”
“না, আমি যেতে পারবো না। কাল গিয়েছি,আজ আর পারব না। প্লিজ আমাকে রিকুয়েস্ট করবে না।” রোদের কথাবার্তা খুব স্বাভাবিক।
“আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে চল ফুচকা খেয়ে আসি।”
“কী হয়েছে তোমার? তুমি সবসময় পড়াশোনার জন্য আমাকে কঠিন ভাবে শাসন করো। আর সেই তুমি আজ বলছো ক্লাস না করতে হয়েছেটা কী তোমার?”
“সরি, রোদ। কাল আমি তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।”
“কীসের কষ্ট বলতো? আমার তো মনে নেই। ”
“আমি জানি তোমার মনে আছে।প্লিজ রাগ করো না।”
“আমি রাগ করিনি। বরং খুশী হয়েছি। তুমি আমাকে এতোটা রেস্পেক্ট করো। খুব ভালো লেগেছে আমার।”
“আচ্ছা তাহলে চল ফুচকা খাওয়াবো তোমাকে।”
“আচ্ছা দেখি কী করা যায়। আর শুনো কাল ভাইয়া আসছে দেশে। এবার আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। ভাইয়া সবসময় কলেজের এদিকে থাকে।”
“কী বলছো? তাহলে কী আমার ছোট্ট বউটার থেকে আমি আর সময় পাবো না?”
” হয়তো খুব একটা বের হতে পারবোনা। কিন্তু প্রতিদিন দেখা হবে এইতো অনেক। ”
“রোদ আমার না কেন যেন ভয় লাগছে।” প্রয়াসের গলায় উৎকণ্ঠা।
“কেন? কীসের ভয়?”
“তোমাকে হারানোর ভয়। ”
“আমাকে তুমি কখনো হারাতে পারবে না। কারণ তুমি চাইলেও আমি তোমাকে হারাতে দিব না। আমি আমার জীবনে যা চাই তা নিজের করে নিবই। সে যা কিছু করতে হয় করব।”
“সেটাই যেন হয় ম্যাডাম। না হলে আমি আপনাকে মেরে নিজে মরে যাবো। ” প্রয়াস হাসছে।
“এতো বড় মানুষের মুখে ইম ম্যাচুয়েড কথা মানায় না স্যার। তাছাড়া আমাকে মারতে দিব। কিন্তু আপনি নিজেকে মারতে পারবেন না।”
“আচ্ছা, তা এখন কী একটু আমার উপর কৃপা হবে?”
“জি, জনাব হবে। শুনো আগামী পরশু আমার এক কাজিনের বিয়ে আমি কলেজে আসব না।”
“আরে পরশু তো আমার ও এক কাজিনের বিয়ে রোদ।”
“বাহ ভালোই হলো দুজনের কাউকে কলেজে এসে বিরহের গান গাইতে হবে না।”
দুজনেই হাসে।
★★★
সাবা বসে আছে ক্লাসে। আজকাল সকালকে সাবা এড়িয়ে চলে। কেন সেটা সকাল বুঝতে পারছে না।
কিন্তু এই এড়িয়ে চলা যেন মেনে নিতে পারছে না সকাল। বুকের ভেতর কেমন যেন এক অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে। কিন্তু এর কারণ সে জানেনা। আজ সাবার সাথে কথা বলতেই হবে। নাহলে মনকে বুঝাতে পারবে না। ওইদিকে সাবা সকালকে এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ সে জানে সকাল কোনোদিন তার ভালবাসা বুঝতে পারবে না।
কিন্তু আজ সকাল সাবার সাথে কথা বলবেই। যাই হয়ে যাক। সাবার ক্লাস থেকে বের হয়ে বাসার জন্য রওনা দিতেই সকাল তার পথ আগলে দাঁড়ায়।
“কীরে সাবা তোর বিয়ে হবে সেই খুশীতে বন্ধুদের ছেড়ে দিচ্ছিস? বাহ বিয়ে না হতেই এতো বদল! বিয়ে হলে কী করবি?”
“আমি বাসায় যাবো, আমার তাড়া আছে সকাল।” সাবার নিরুত্তাপ উত্তর।
“আমার তাড়া নেই। অনেকদিন ধরে এড়িয়ে যাচ্ছিস আর সেটা মেনে নেয়া যায় না। তোর সাথে এত দিনের বন্ধুত্ব সব তুই ভুলে গেলি?”
“হ্যাঁ ভুলে গেছি এখন তুই কী করবি?”
“আমি কিছুই করব না। কিন্তু তোর মত স্বার্থপর মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করেছি মনে হলেই গা ঘোলায়।”
“শাট আপ সকাল। অনেক হয়েছে আর বলিস না। কী সমস্যা তোর। আমার সামনে বিয়ে আর বিয়ের পর যেন বন্ধুর জন্য কোন অসুবিধায় না পড়তে হয়। তাই এখন থেকে তোর সাথে কথা কমিয়ে দিয়েছি। এখন আমি আমার ভালোর জন্য এটা করতেই পারি। তাতে তোর কী আসছে, যাচ্ছে?”
“আমার কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু তুই এমন কেন করবি? কই সবার সাথে তো খুব হেসে হেসে কথা বলিস। আমায় দেখলে তোর কী হয়? আমি কী তোর শত্রু?”
“হ্যাঁ তুই আমার সবচেয়ে বড় শত্রু। তুই না আমার কথায় বিরক্ত, আমার কথা নাকি সহ্য হয় না। তাহলে এমন কেন করিস? আমি তোর সাথে কথা না বললে নাকি তোর কোনোকিছু আসে যায় না। তাহলে এখন আমি তোর সাথে কথা বলি বা না বলি তাতে তোর কী সমস্যা?”
“আমার কোনো সমস্যা না। ইনফ্যাক্ট আমি তোর সাথে কথা না বলেই বরং ভালো আছি। তোর বিয়েটা কেন যে পেছাতে গেলো। না পিছিয়ে হয়ে গেলেই আমি বেঁচে যেতাম।” সকাল চিৎকার করে বলল।
“সেটা আমি বুঝি। আমি তোর পথের কাঁটা।
আমি সরে গেলেই তুই ভালো থাকবি। চিন্তা করিস না।আমি আজকে গিয়েই রাকিব ভাইয়াকে কল দিয়ে বলবো তাড়াতাড়ি আসতে। তোকে যাতে মুক্তি দিতে পারি। আমি কেন এমন করি আল্লাহ না করুক কোনোদিন যেন তোর বোধগম্য না হয়। তাহলে সবচেয়ে বেশী কষ্ট তোর হবে সকাল। সেদিন রাকিব ভাইয়ার কাজ পড়ে গিয়েছিলো বলেই আসেনি। তা না হলে এখন আমাদের একটা বাবু থাকতো,এই দুবছরে।”৷ এই কথা বলে আর এক মিনিট ও দাঁড়ায়নি সাবা হনহনিয়ে চলে গেলো সকালের সামনে দিয়ে।
সকাল সাবার পথের দিকে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কী বলে গেলো সাবা! সাবার লাস্ট কথাগুলো মনে হলো সকালের বুকে তিরের মত লাগল। এভাবে কেন বলে গেল সাবা। আর সাবার বিয়ে বাচ্চা এসবের কথা শুনেই বা তার এতো খারাপ লাগছে কেন? সাবার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে সাবা সকালের সাথে ঠিক করে কথা বলে না। সেই থেকে সকালের অনেক কষ্ট হয় সাবাবিহীন দিন রাত কাটাতে। সাবা প্রতিদিন রাতে ঝগড়া করে সকালের সাথে। সকাল যেদিন কল দেয় সেদিনই ঝগড়া। অথচ একদিন তারা রাতের পর রাত কাটিয়েছে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে।
কিন্তু সকাল নিজের অনুভূতি এখনও বুঝতে পারছে না। অন্য সব বন্ধু থেকে সাবা তার কাছে অন্যরকম। সবসময় ঝগড়া কথা কাটাকাটি। কিন্তু সেই সাবাকে ছাড়া যেন এক মুহুর্ত থাকতে পারছে না। কী হয়েছে তার? প্রয়াসের সাথে এটা নিয়ে কথা বলতে হবে।
মানুষ কী অদ্ভুত নিজের অনুভূতি নিজেই বুঝে না।নিজের চাওয়াগুলো বুঝতে এত দেরি কেন হয় মানুষের। যখন বুঝে তখন আর কিছু করার থাকে না।কী হয় একটু আগে বুঝলে। কী হয় মনের সব কথা বলে দিলে। অদ্ভুত মানুষ যেটা মনের কথা সেটা মনে রাখে গোপনে যত্ন করে। আর যা দূরত্ব বাড়ায় তাই সে মুখে বলে,মনে হয় একে অন্যকে আঘাত করে আনন্দ পায়। জীবন কেন এমন?
★★★
আজ রোদের ভাই এসেছে, তাই তাদের পরিবারের সবাই খুব খুশী। রোদ আজ এতো খুশী যে বলে প্রকাশ করা যাবে না। এতদিন পর ভাই এসেছে তার আনন্দের সীমা নেই।
রোদের মতে তার ভাই পৃথিবীর সেরা ভাই। তার চেয়ে ভালো কোনো ভাই হতেই পারে না। রোদের চেয়ে তার ভাই বছর দশেকের বড় হলেও, তাদের সম্পর্ক দেখলে তা বুঝা যায় না। এতোটাই বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক তাদের।কিন্তু মাঝে মাঝে রোদ তার ভাইকে ভয় পায়,যখন তিনি রেগে যান। রেগে গেলে রোদের ভাই পুরো অন্য এক মানুষ হয়ে যায়। রেগে যাওয়া ভাইয়ের সাথে, এই বন্ধুত্বপূর্ণ ভাইকে রোদ মেলাতে পারে না।
আজ রোদের কাজিনের বিয়ে তাই আরও একটা খুশী যোগ হলো রোদের মনে। একটুপর সবাই তার চাচার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হবে। আজ যার বিয়ে সে হচ্ছে রোদের সেজো চাচার মেয়ে রাহা।
রোদের বাবারা তিনভাই। রোদের বাবা মেজো, রাহার বাবা সেজো। আর বড় জেঠুর সাথে রোদের এখনো পর্যন্ত দেখাই হয়নি। কারণ তার বাবা আর জেঠুর মাঝে কোন সমস্যা রয়েছে। কী সমস্যা সেটা তারা জানে না। কিন্তু তা যে খুব বড়সড় সমস্যা সেটা তারা বুঝতে পারে। নয়তো এতোগুলো বছর তার বাবা কেন তার জেঠুর কথা বাড়িতে বলে না। আর কেনইবা তারা কখনো এই বাড়িতে আসে না। রোদদের সাথে দেখা করতে আসে না।
মেঘলা পার্লার থেকে এসে, রোদকে ডাকছে। সবাই পার্লারে সাজতে গেছে কিন্তু রোদ যায়নি। কারণ তার সবসময় হালকা সাজ পছন্দ। কোনীরকম ভারী সাজ তার পছন্দ না। তাই সে বাড়িতে বসে হালকা সেজেছে। গাড় নীল রঙের লেহেঙ্গার সাথে মেজেন্টা রঙের ওড়না। কাজল আর হালকা রঙের লিপিস্টিকে কোন অপ্সরার চেয়ে কম লাগছে না রোদকে।
“আরে আপু তুই পার্লারে না সেজে এত সুন্দর লাগছে। আর আমি পার্লার থেকে সেজে কেমন পেত্নী লাগছে।”
“হয়েছে ড্রামা কুইন আর ড্রামা করতে হবে না। চল ভাইয়া ডাকছে। ”
“সত্যি আপু আজ বিয়ে বাড়ির সব ছেলে তোকে দেখে আর কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারবে না।”
“চুপ করে চল গাড়ি নিয়ে ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।”
“রোদেরা গাড়ি থেকে নামছে। দূর থেকে গানের আওয়াজ ভেসে আসছে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে রোদের কাছে এই গানের গলা খুব চেনা লাগছে। সে যার কথা ভাবছে সে এখানে কী করে আসবে? রোদ আস্তে আস্তে আনমনা হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই শব্দের দিকে যেদিক থেকে ভেসে আসছে গানের শব্দ।
ভালোবাসবো বাসবোরে বন্ধু
তোমায় যতনে…..
গানের শব্দের যত কাছে যাচ্ছে রোদ তত বুকের ভেতরের শব্দ যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে। কী এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার! যেই অনুভুতির সাথে মিশে আছে কিছুটা ভালোলাগা কিংবা কিছুটা অজানা ভয়। কে জানে কী মিশে আছে সেই অনুভূতির আড়ালে?
রোদ স্টেইজের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গিটার হাতে কেউ একজন গান গাইছে। যার পেছনটা দেখা যাচ্ছে,কিন্তু সেই পেছনের দিকটা দেখেই বুঝতে পারছে কে এই সুরালো কন্ঠের মানুষ। হ্যাঁ প্রয়াস। সেই চিরচেনা একান্ত আপন কেউ। যার সাথে এতদিনে মিশে গেছে রোদের অস্তিত্ব। কিন্তু সে এখানে কী করে? রাহার কেউ হয়? তাদের আত্মীয় হলে তো রোদ নিশ্চয়ই জানতো। তবে কে সে? রোদের মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এক অজানা আশঙ্কায় মন কু ডাকছে।
গান শেষ করতেই সামনের দিকে তাকিয়ে প্রয়াস অবাক হয়ে যায়,রোদ! কীভাবে সম্ভব ! রোদ এখানে কী করে আসবে? নাকি এটা তার কল্পনা? এতক্ষণ রোদকে কল্পনা করে গান গাওয়ায় হয়তো তার হ্যালুসিনেসন হচ্ছে। প্রয়াস চোখ কচলে আবার তাকিয়ে দেখে এবার রোদের পাশে আরও দুইজন পুরুষ ও দুজন নারী দাঁড়িয়ে আছে। কারা তারা? যদিও মেঘলাকে প্রয়াস চিনে, এর আগে রোদ তার ছবি দেখিয়েছে।
প্রয়াস রোদের দিকে এগিয়ে যেতেই হঠাৎ রোদের সেজো চাচা এসে রোদের পাশে দাড়ানো মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোককে জড়িয়ে ধরেন।
বলেন, “আরে মেজো ভাই এতো দেরি কেন করলেন? আমার মেয়ে আপনার মেয়ে না? কোথায় আপনি কয়েকটা দিন আগে আসবেন।”
ভদ্রলোক বলেন, “তুইতো জানিস কেন আমি আসিনি?”
রোদ তার সেজো চাচা আলতাফ রহমানকে সালাম করে, আলতাফ রহমান রোদকে জড়িয়ে ধরে বলে, ” কেমন আছিস মা?”
“আমি ভালো চাচা, তুমি কেমন আছো? তোমার শরীর কেমন?”
“আমি ভালো আছি মা। তুইতো কয়েকটা দিন আগে আসতে পারতি মা। তোর চাচাতো বোনের বিয়ে, তোর দায়িত্ব আছে না?”
“আমি এসে গেছি চাচা বলো কী করতে হবে? আর রাহা আপু কই?”
“আছে ভেতরে তুই যা।”
প্রয়াস হঠাৎ রোদের আলতাফ রহমানকে চাচা বলে ডাকায়। আর আলতাফ রহমানকে মেজো ভাই বলায় প্রয়াস বুঝতে পারছে। রোদের বাবা আর আলতাফ রহমান দুজন ভাই। আর রোদের বাবা প্রয়াসের মেজো চাচা। আর রোদ তার আপন চাচাতো বোন।যেই চাচার সাথে তার বাবার এতো বিরোধ সেই চাচার মেয়ে রোদ। আর তাকেই এতদিনে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালবসেছে সে।
প্রয়াসের শরীর ঘামছে। কেন সে জানে না। এটা কী তার ভালবাসার মানুষকে কাছে দেখতে পাওয়ার সুখে,নাকি সম্পর্কের বেড়াজালে ভালবাসার মানুষকে হারানোর ভয়ে?
এতদিন যে সম্পর্ক থেকে দুই পরিবার দূরে থেকেছে ভাগ্যের ফেরে সেই পরিবার কী এক হবে? নাকি চিরতরের জন্য তারা আলাদা হয়ে যাবে? তার সাথে আলাদা হবে দুটি ভালবাসার মানুষ। যারা না সম্পর্কের সব জটিলতা না জেনে অজান্তেই মন দিয়ে দিয়েছে দুজন দুজনকে। ভাগ্য কী করবে রোদ আর প্রয়াসকে? তারা কী পারবে এই এত বছরের সম্পর্কের দূরত্ব ঘুচাতে? এক করতে দুটি হিংসাপরায়ণ মানুষকে মিলিয়ে দিতে? নাকি সেই হিংসার আগুনে শেষ হয়ে যাবে রোদ আর প্রয়াসের স্বপ্ন দেখা গড়ে না উঠা ভালবাসার সংসার?
চলবে