প্রেমের ভেলা
পর্ব ০৪ (অন্তিম পর্ব)
অধির রায়
তূর্জয় দেয়ালে হেলান দিয়ে,
“মিহু তোমার কি মনে হয়েছিল? আমি তোমাদের সমস্ত প্রোপার্টি নিজে নামে লিখে নিয়েছি৷ তোমার মতো আমি নিচু মনের মানুষ নয়৷”
.
মিহু তূর্জয়ের দিকে তাকিয়ে মিহি কন্ঠে,
“আমি আপনাকে ভুল ভেবেছিলাম। আমি ভেবে নিয়েছিলাম যে লোক প্রতিশোধের জন্য প্রেগ্ন্যাসির নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে সে লোকের পক্ষে এমন কাজ করা বাঁ হাতের কাজ৷”
.
আমি জানি, আমি অনেক অন্যায় কাজ করেছি৷ কিন্তু আমার অন্যায় তোমার অন্যায়ের কাছে কিছুই না৷ তোমার অন্যায়ের কাছে আমার অন্যায় তুচ্ছ।
.
ও র্যালি৷ আমার অন্যায় আপনার অন্যায়ের থেকে লঘু নয়৷ আপনি একটা মেয়ের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছেন৷ তাকে নেশা করিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন৷ এগুলো কি অন্যায় নয়?
.
আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম তোমার সাথে আমি কোনভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়নি৷ সেগুলো সাজানো নাটক ছিল।
.
আমার গায়ে কোন কাপড় ছিল না কেন? কেন আমার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ আছে কোন জবাব?
.
হ্যাঁ আমার কাছে সব জবাব আছে৷ আমি তোমাকে সেদিন হোটেলে নেশা করিয়েছি ঠিক৷ কিন্তু তোমার সাথে কোন বেহায়া পনা করিনি৷ আমাকে এমন কোন শিক্ষা দেয়নি৷ হোটেলের সিসি ক্যামেরা দেখো৷ আমি তোমার জন্য প্রস্তাব করেই রেখেছি৷ আর তোমার পোশাক একটা মহিলাকে দিয়ে সরিয়েছি৷
.
আপনাকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার। কারো ইমোশনাল নিয়ে খেলা করা৷ দুর্বলতা খুঁজে বের করে হুমকি দিয়ে বিয়ে করা৷ এসব কিছু অন্যায়ের তালিকায় পড়ে না৷
.
তূর্জয় অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উঁচু গলায় বলে উঠে,
“হ্যাঁ, আমি মেনে নিচ্ছি আমি অন্যায় করেছি৷ তোমার ইমোশনাল নিয়ে খেলা করেছি। তুমি আমার থেকে বেশি অন্যায় করেছো৷ একটা ভদ্রমহিলাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া৷ একটা যুবককে মেরে ফেলা৷ এসব কি অন্যায় নয়?”
.
মিহু নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রেখে,
“এখানে চিৎকার করার কিছু হয়নি৷ আমরা চাইলে আস্তে আস্তে কথা বলে সব সমস্যার সমাধান করতে পারি৷”
.
তূর্জয় চোখ বন্ধ করে,
“আমিও চাই সকল সমস্যার সমাধান। আমিও কারো ইমোশনাল নিয়ে খেলা করতে চাইনা৷”
.
মিহু তূর্জয়ের হাত ধরে তূর্জয়কে সোফায় বসায়৷ মিহুর ভূর্জয়ের হাতে হাত রেখে,
“আমি মানলাম স্যান্ডি গবির বেশে থাকতে ভালোবাসে। নিজের চোখে গরিবের দুঃখ কষ্ট উপভোগ করতে চান৷ কিন্তু আপনার মা কেন কাজের মেয়ে হয়ে আমার কাছে যান?”
.
স্যান্ডি কখনো পছন্দ করতো না, মা হয়ে কোথাও গেলে ওয়েস্টার্ন ড্রেস বা মিহি নরম সল্কি শাড়ি পড়ে বড়লোক হয়ে যাক। সে সময় মানুষকে পরিচয় দিত তার মা একজন বস্তির মেয়ে৷ তাই কথা রাখার জন্যই মা এসব পোশাক পড়ে তোমার কাছে গিয়েছিল।
.
কিন্তু তিনি আমাকে এসব কিছু না বুঝিয়ে আমাকে বলেছেন, “স্যান্ডিকে ভালোবাসতে।”
“কাউকে ভালোবাসার জন্য তার প্রতি একটা ফিলিংস লাগে৷ কিন্তু স্যান্ডির প্রতি আমার কোন ফিলিংস আসেনি৷”
.
তাই বলে তুমি স্যান্ডিকে মেরে ফেলতে চাইবে৷ কি অন্যায় করেছিল? তাকে তো বুঝিয়ে বলতে পারতে৷ আমি জানি স্যান্ডি খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিল৷ তুমি তাকে একটু বুঝালে সে ঠিক বুঝে নিত৷ কিন্তু তুমি আমার দাদাকে ভালোবাসার কথা বলে মেরে ফেললে৷
.
আপনি যদি মেয়ে হতেন তাহলে বুঝতে পারতেন৷ একটা মেয়েকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করা৷ প্রতিদিন সবার সামনে প্রপোজ করা৷ রজেক্ট করার পরও বেহারার মতো পিছু পিছু ঘুর ঘুর করাকে কি বলে?
.
দাদা তোমাকে অনেক অপমান করেছেন৷ বিরক্ত করেতেন। কিন্তু তুমি কি কোনদিন দাদাকে বুঝিয়ে বলেছিলে? তুমি দাদাকে অপমান করতে এক চুলও বাদ দাওনি৷
.
মিহু তূর্জয়ের কথা শুনে মাথা নিচু করে ফেলে। মিহুর তো স্যান্ডির সাথে কথা বলা উচিত ছিল৷ তাকে বুঝানোর উচিত ছিল।
.
মিহুর হাত চেপে ধরে,
“কি হলো কথা বলছে না কেন? কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। আজ যদি তোমাকে পাড়া প্রতিবেশীর কাছে বিয়ে অস্বীকার করি৷ তাহলে তোমার কি হবে?”
.
আমি এজন্য কাজের জন্য ক্ষমা চাচ্চি৷ কিন্তু আপনি আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছেন কেন? আমি তো আপনাকে বিয়ে করতে রাজি ছিলাম৷
.
এছাড়া আমার কাছে কোন উপায় ছিল না৷
.
কেন কোন উপায় ছিল না৷
.
তোমাদের কোম্পানির সাথে আমাদের কোম্পানির অনেক সমস্যা হয়েছে৷ তোমার বাবা কিছুতেই এই বিয়েতে রাজি হতেন না৷ আমার মা আগেই তোমার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু তিনি নারাজ ছিলেন৷ সেদিন আমরা তোমার বাবার সাথে দেখা করতে যায়৷ তোমার মায়ের সামনে আমার মা বিয়ের কথা তুলে৷ তোমার মা বলে উঠে, ‘মিহুকে দেখলেই তো আর বিয়ে হয়ে গেল না৷ আত্মীয় হলো ভগবানের সমতূল্য।’ আমাদের প্ল্যানমতোই তোমাকে আমার সামনে নিয়ে আসে৷ তারপর সবকিছু জানই৷
.
এখন বুঝতে পারলাম। যদি এই কথা পাশের বাসার আন্টির কানে পৌঁছে যেত৷ তাহলে তো পুরো মহল্লায় লোককে বলে বেড়াতেন৷
.
আমি তোমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করার জন্য সরি৷ তোমার কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি৷ কিন্তু তোমাকে নিজের বউ হিসেবে মেনে নিতে পারবো না৷ স্যান্ডিকে সুস্থ করার পর তোমার আর স্যান্ডির বিয়ে দিয়ে দিব৷
.
তূর্জয় রেগে চলে যেতে নিলেই মিহু তূর্জয়ের হাত ধরে ফেলে। কান্না করতে করতে,
“আমার সাথে এমন কোন অন্যায় করবেন না৷ হিন্দু মেয়েদের একবারই বিয়ে হয়৷ তাদের মাথায় যেই সিঁধুর দান করেন তাকেই সারা জীবন ভালোবেসে যায়৷”
.
তূর্জয় ভাঙা গলায়,
“আমি কিছু বলতে পারবো না৷ আমি কিভাবে এতটা পাষাণ হবো৷ আমি কিছুতেই দাদার ভালোবাসার মানুষকে নিজের ভালোবাসার জড়াতে চাইনা৷”
.
মিহু নরম কোমল স্বরে,
“যদি স্যান্ডি নিজে থেকে চান আমরা এক হয়৷ তাহলে আমাকে আপনার জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন৷”
.
আগে আমার দাদাকে সুস্থ করে তোল৷
.
আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি৷ আমি আমার সবটুকু দিয়ে স্যান্ডিকে সুস্থ করে তুলবো। তাকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিব৷
_____
স্যান্ডিকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয় শুধু৷ তা না হলে স্যান্ডি সিনক্রিয়েট করে বসে৷ তার একমাত্র খাবার দামী দামী বিয়ার।
.
মিহু নিজ হাতে স্যান্ডির জন্য রান্না করে স্যান্ডির কাছে আসে৷ স্যান্ডির ঘুম ভাঙার পর মিহুকে দেখতে পাই৷
.
স্যান্ডি আনন্দের সাথে বলে উঠে,
“তুমি আসছো মিহু৷ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।”
.
মিহু মুচকি হেঁসে,
“ভালোবাসার কথা কেউ কি এভাবে বলে৷ মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছে৷ মদের গন্ধে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।”
.
তুমি কোথাও যাবে না৷ আমি এখনই আসছি৷ আমি স্নান সেরে আসছি৷
.
স্যাডি দৌড়ে স্বান করতে চলে যায়৷ স্যান্ডির মিহুর শোকে একদম পাগল হয়ে গেছে৷ মুখ ভর্তি ইয়া বড় বড় দাঁড়ি। চুলগুলো উসকো খুসকো। স্যান্ডি স্নান শেষ করে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে৷ এসে দেখে তার রুমের চেহারা একদম পাল্টে গেছে। কোথাও বিয়ারের বোতল খুঁজে পাচ্ছে না৷ স্যান্ডির মাথা খারাপ হয়ে যায়৷ মাথায় হাত দিয়ে চিৎকাট করতে থাকে৷ মিহু স্যান্ডির কাঁধে হাত রাখে৷ স্যান্ডি না দেখেই মিহুকে আঘাত করার জন্য হাত তুলে৷ কিন্তু হাত মিহুর গালে পড়ে না৷
.
স্যান্ডি পাগলের মতো,
‘মিহু তোমার কোথাও লাগেনি৷ তুমি ঠিক আছো তো?”
.
মিহু মুচকি হেঁসে,
“আমি একদম ঠিক আছি৷ আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না। গায়ে হাত না দিলে আঘাত লাগে না৷ আপনি তো আমায় ভালোবাসেন৷”
.
আমি তোমায় খুব ভালোবাসি। তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি৷ তুমি শুধু আমাকে ছেড়ে যাবে না৷
.
আমি সব সময় আপনার পাশে থাকবো৷ আপনাকে ছেড়ে কখনো কোথাও যাব না। তবে আমার কথামতো চলতে হবে৷
.
তুমি যেভাবে বলবে। আমি ঠিক সেইভাবে চলবো৷ কোন কমপ্লেইন করবো না৷
.
তাহলে আজ থেকে বিয়ার খাওয়া চলবে না৷ আমি আপনার জন্য নিজ হাতে রান্না করে নিয়ে এসেছি৷ আপনি এখন আমার হাতের রান্না খাবেন৷
.
স্যান্ডি ভালো ছেলেদের মতোই রাজি হয়ে যায়৷ মিহু না চাওয়া সত্ত্বেও স্যান্ডিকে খাইয়ে দেয়৷ খাওয়ার পর স্যান্ডিকে নিয়ে বাহিরে যায়৷ স্যান্ডির বড় বড় দাঁড়ি, মাথার চুল ছোট করে নিয়ে আসে। স্যান্ডিকে একদম আগের মতো করে তুলে৷ স্যাডি না দেখলে বুঝা যাবে না৷
________
এভাবে পার হয়ে যায় তিনটি মাস৷ এই তিন মাস মিহু নিজের সবটুকু দিয়ে স্যান্ডিকে সুস্থ করে তুলে। সকলে ডাইনিং রুমে বসে আছে৷ মিহু বসে আছে স্যান্ডির পাশে৷
.
তূর্জয় এতদিন উপভোগ করতে পেরেছে মিহুকে সে কতটা ভালেবাসে! মিহু ছাড়া তার জীবন শূন্য মরুভূমি। কিন্তু ভাইয়ের সুখের কাছে নিজের সুখ হার মেনেছে৷ স্যান্ডি মিহুকে এক সাথে দেখে দূরে দাঁড়িয়ে সাপের মতো ফুসফুস করছে তূর্জয়।
.
স্যান্ডি সকলের উদ্দেশ্যে বলে উঠে,
“আমি সবাইকে আজ আমার একটা সিদ্ধান্ত জানাতে চাই৷”
.
স্যান্ডি তো মহাখুশি। সে জানে মিহু বিয়ের কথা বলবে। স্যান্ডি চিন্তা ধারণার এক বালতি জল ঠেলে দেয়৷ স্যান্ডির হাত ধরে,
“স্যান্ডি আমাকে ক্ষমা করে দেন৷ আপনি নিশ্চয় জানেন না আমার বিষয়ে৷”
.
স্যান্ডি হন্তদন্ত হয়ে,
“কি হয়েছে তোমার? আমাকে বল আমি সব ঠিক করে দিব৷”
.
সমস্যাটা হলো আমার জীবন নিয়ে৷ আমাকে ক্ষমা দেন৷ আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না৷ কারণ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি৷ আর তার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে৷
.
হোয়াট! তাহলে আমার সাথে এতদিন তুমি অভিনয় করেছো৷ কেন করলে আমার সাথে এমন কাজ।
.
আমি আমার পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য এমন করেছি৷ আপনি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিলেন। আপনাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তূর্জয় আমার কাছে হাতজোড় করেছিল৷ তার কথা আমি ফেলতে পারিনি৷
স্যান্ডি অবাক হয়ে,
“তূর্জয় তোমার কাছে হাতজোড় করেছে! তুমি আবোলের মতো কি বলছো?”
.
হ্যাঁ আমি যা বলছি সব সত্যি বলছি৷ আপনি বলেন কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে তাকে কি ভুলা সম্ভব? তার থেকে দূরে সরে আসা সম্ভব নয়৷
.
আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি কিছু কল্পনা করতে পারি না৷
.
আমিও অপনাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু আমি আপনাকে নিজের দাদার মতো ভালোবাসি৷ আপনি আমার দাদা৷ আমি সত্যি বলছি আমি যদি বিবাহিত না হতাম আপনার জীবনে ফিরে আসতাম।
.
আমি তোমাকে আর আটকিয়ে রাখবো না৷ তোমাকে তোমার ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দিব৷ প্রাপ্তিতে ভালোবাসা নিহিত নয়৷ ত্যাগের মধ্যেই ভালোবাসা বিরাজ করে৷
.
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব? আমার কাছে জানা নেই৷ আমি আপনাদের বাড়ির বউ। আমি তূর্জয়ের স্ত্রী। তাকে আমি কিছুতেই ঠকাতে পারবো না৷
.
স্যান্ডির তূর্জয়ের নাম শুনে বসা থেকে উঠে পড়ে৷ তূর্জয় দৌড়ে এসে স্যান্ডির হাত ধরে,
“দাভাই প্লিজ শান্ত হও৷ আমি তোমার ভালোবাসা তোমার কাছে ফিরিয়ে দিব৷ আমি মিহুকে একটুও ভালোবাসিনি৷ আমাদের শুধু মন্দিরে বিয়ে হয়েছে৷ কেউ জানে না আমাদের বিয়ে হয়েছে। শুধু মা, আর মিহুর মা বাবা।
.
স্যান্ডি তূর্জয়ের গালে কষিয়ে একটা চর বসিয়ে দেয়। তূর্জয়কে বুকে জড়িয়ে নিয়ে,
“আমাকে তুই এত টায় পর ভাবলি৷ আমি তোর ভালোবাসা কেঁড়ে নিব৷ আমি তোদের লাইফে কোনদিন আসবো না৷ তুই কি করে অস্বীকার করতে পারলি? তুই মিহুকে ছেড়ে দিবি! আর এমন বলবি না৷ তুই এখনই মিহুর কাছে ক্ষমা চা।”
.
তূর্জয় টলমল চোখে মিহুর হাত ধরে,
“তুমি কি হবে আমার লাইফ পার্টনার৷ কথা দিচ্ছি তোমাকে সব সময় আগলে রাখবো৷ আমাকে একটা সুযোগ দাও৷”
.
মিহু নিজের ভালোবাসা ফিরে পেয়ে তূর্জয়কে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে৷ আজ তাদের মাঝে আর কোন অভিযোগ নেই৷
_____সমাপ্ত_____