অতঃপর প্রেমের গল্প পর্ব ১

‘আমি তোমার মতো খ্রিস্টান ছেলেকে বিয়ে করে আমার ধর্ম পরিবর্তন করতে পারবো না এরিক। প্রশ্নই আসেনা!’

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে দম নিলো আফরা। এরিক নির্বিকার ভাবে ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিয়ে যাচ্ছে। সি-ফুডের ঝাঝালো গন্ধ মৌ মৌ করছে চারিপাশ।আফরা উদাসীনভাবে থাই গ্লাস দিয়ে পরখ করে নিলো অ্যামেরিকার ব্যস্ত শহর ওয়াশিংটন ডিসি। রাতের আধাঁরে এ শহর যেন অন্যরকম সুন্দর লাগছে। এরিক ইংরেজীতে প্রশ্ন করলো ,

‘বাট হোয়াই অ্যাফি! আমি তোমায় ভালোবাসি। আমি চাইলে তোমায় লিভ-ইনের প্রস্তাব দিতে পারতাম কিন্ত আমি জানি যে তোমরা সাউথ এশিয়ান মেয়েরা এসবে অভ্যস্ত না। তাইতো মম-ড্যাডকে আমাদের বিয়ের কথা বলতে বললাম তোমার প্যারেন্টসের কাছে।’

‘আর তারা কি শর্ত দিয়ে বসলো?আমায় নাকি ধরম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হতে হবে।সিরিয়াসলি!’

তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে এরিকের দিকে পুনরায় তাকালো আফরা।খাঁটি অ্যামেরিকান এই ফর্সা ছেলেটার নীল চোখজোড়া অদ্ভুতভাবে লাল হয়ে আছে।আফরার বড় হয়ে ওঠা এদেশেই সেই সুবাদে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে কিন্ত এরিকের মতো এতটা ইমোশনাল ছেলে সে কখনোই দেখেনি। আফরা এবার বললো,

‘আঙ্কেল-আন্টিকে বলে দিও যে আমি এই বিয়ে করতে পারবো না। তাছাড়া এসসব বিয়ে-শাদী নিয়ে আমি কখনোই ইন্টেরেস্ট ছিলাম না এরিক। আমার কাছে এগুলো টাইম পাস ছাড়া কিছুই মনে হয়না। আশা করিও তুমিও মুভ অন করবে…………ভালো থেকো!.

বলেই নীরবে প্রস্থান করলো আফরা।রাস্তা দিয়ে ধীরগতিতে গাড়িগুলো চলছে। ফুটপাতের আশপাশে মানুষের সমাগম।একটু পরপরই দাঁড়ানো গাছগুলোতে এ শহরটাকে নির্মল করে তুলছে। আফরা দ্রুতপায়ে রেল-স্টেশনের দিকে ছুটলো। আজ নিজের ফ্ল্যাটে গেলে চলবে না। ট্রেন চেপে একেবারে জ্যাকসন-হাইটসে মম ড্যাডের কাছে চলে যেতে হবে।কিছুক্ষণ আগে ড্যাড মেসেজ দিলো যে আফরার উড়নচন্ডীপনার জন্য মম নাকি তাকে বাংলাদেশে এক দূরসম্পর্কের ভাইয়ের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।আফরার যাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য…………..মমকে মানাতে হবে যে সে বাংলাদেশে যাবে না। কিছুতেই না।


ঘড়ির কাটা সাড়ে এগারোটা থেকে পৌনে বারোটায় ছুই ছুই। লিভিং রুমে আফরা বসে আছে। সামনের ডিভানেই নীরবে বসা আফরার বাবা আসিফ। আফরা ঠোঁট কামড়ে বসে আছে। মুখে চিন্তার ভাঁজ।আফরার মা মিসেস নীলু এবার ট্রে তে করে তিনকাপ কফি নিয়ে আসলেন। তিনটে কাপেই স্টারবাক্সের লোগো দেখা যাচ্ছে। মিসেস নীলুর শখের কাপ এগুলো। অতি প্রয়োজন ছাড়া বের করে না। মিসেস নীলু কফির গ্লাস সামনের টেবিলে রাখতেই এক এক করে সবাই তা নিয়ে নিলো।

মিসেস নীলু বললেন,

–তো বিয়ের ব্যাপার কতটুকু এগোলো? আমাদের তো ছেড়েই দিয়েছো । এবার ধর্মও ছাড়বে নাকি?

এই কারনে আফরা মোটেও মিসের নীলুকে পছন্দ করেনা। বিরক্তির সাথে বললো,

‘না বলে এসেছি!’

‘ওহ ! আমি তো মনে করেছিলাম বিয়ে করে ফেলবে।’

আর সহ্য হচ্ছেনা আফরার। কড়া গলায় বললো,

‘প্রবলেম কি তোমার মম! আমি তো বললাম যে আমি না করেছি। তো কথা বাড়ানোর মানে কি? আমি যেদিকে পা দেই সেদিকেই তুমি বাধা দাও। কেন?’

মিসেস নীলু সজোরে বললো,
‘এটাই আমার প্রবলেম। বড় হওয়ার সাথে সাথে বেয়াদপ হচ্ছো। মানছি জন্মসূত্রে তুমি এখানেই বড় হয়েছো তাই বলে তোমায় কি আমি কিছু শিখাইনি? ড্রিংকস, হুইস্কি, অ্যালকোহল, নাইটআউট এসব তোমার নিত্যদিনের সঙ্গী। আমার সবচেয়ে বড় ভুল কি জানো? ভেবেছিলাম সন্তানকে এই দেশে একটা সিকিউর লাইফ দিবো। কিন্ত আমি ব্যর্থ।’

‘কোথায় তুমি ব্যর্থ? আমি আজও বাংলাদেশে পা রাখিনি তবুও তোমার জোরাজোরিতে ছোটবেলাই বাংলা শেখা হয়ে গিয়েছে, এটা যথেস্ট না?’

‘হয়তো হতো। কিন্ত তোমার ওই বয়ফ্রেন্ডের বাবা-মা কোন গলায় বলে গেলো তোমায় ধর্ম পরিবর্তন করতে?তুমি যেহেতু জানো তোমাদের রিলেশন কখনোই বিয়েতে রূপ নেবে না তাহলে রিলেশন করো কেন?’

‘আমি ওকে ভালোবাসি না কিন্ত ওর ফিলিংসকে রেসপেক্ট করি তাই ওকে মেনে নিয়েছিলাম। তাছাড়া কিছুই না। কারন আমি এসব নিয়ে কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না।’

দম নিলো আফরা। মিসেস নীলুর দিকে তাকিয়ে দেখলো উনার মুখ অস্বাভাবিক লাল হয়ে আছে। এতক্ষণ আসাফ সাহেব নীরব দর্শক ছিলেন । মৌনতা ভেঙে বললো,

‘তোমার কথা বলা হয়েছে অ্যাফি?’

‘হুম !’

‘এবার আমার কথা শুনো। তুমি যে শেষ কথাটা বললে না, এই চিন্তাটা তোমার ভুল। রিলেশন নিয়ে সিরিয়াস না থাকলে ভালো জীবন কখনোই উপভোগ করতে পারবে না। প্রত্যেকটা সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আফসোস ! সেটা তুমি বুঝলে না।’

মিসেস নীলু রাগী স্বরে বললো,

‘ও যেই পরিবেশে থাকে………….সেখানে কখনোই সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে পারবে না। ওর অস্তিত্বে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি মিশে গিয়েছে। ভুলে গিয়েছে যে এ দেশ ওর জন্মস্থান হলেও ওর পরিচয় কোনটা? আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আসিফ। এর থেকে এক দন্ডও আমি নড়চড় করবো না।’

বলেই নীলু বেগম উঠে ড্রয়ার থেকে দুটো টিকেট বের করে আফরার সামনে রাখলেন। আফরা দেখে হতভম্ব হয়ে গেলো। বাংলাদেশে যাওয়ার টিকেট এগুলো।আফরা বললো,

‘কেনো এগুলো?’

‘কেনো বুঝতে পারছো না? তোমাকে আমি এখানে রাখবো না। তুমি বিডিতে যাচ্ছো। অ্যামেরিকার এয়ারপোর্ট থেকে দুবাই হয়ে ঢাকা শাহজালাল এয়ারপোর্টে তারপর সোজা আরেক প্লেনে সিলেট এয়ারপোর্টে। আমার এক দূরসম্পর্কের ভাইয়ের কাছে থাকবে তুমি। আত্নীয়তার সম্পর্কে সে হয়তো অনেক দূরের , কিন্ত আমার মা-বাবার পর তার পরিবারই আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। ইফাজ আঙ্কেল।’

আফরা প্রায়শই ইফাজ আঙ্কেলের নাম তার মমের মুখে শুনেছে। তাই চিনতে কষ্ট হলোনা তেমন।ঠোঁট চেপে মৃদুস্বরে বললো,

‘আমি বিডিতে যেতে চাই মম! কিন্ত এখন না। গ্রাজুয়েশন শেষ করলাম কিছুদিনই তো হলো। ওয়াশিংটনে থাকার উদ্দেশ্যই একটা ভালো জব করা।’

‘আগে তুমি নিজের উগ্রতা সীমায় আনো। তুমি যতই ট্যালেন্টেড হও না কেনো…………তোমার অগোছালো লাইফকে আমি জাস্ট ঘৃণা করি আফরা!’

‘আফরা’ নামে কেবলমাত্র আফরাকে ওর মমই সম্বোধন করে। নাহলে এখানে ‘অ্যাফি’ নামেই সে অভ্যস্ত থাকতো। এবার সে বললো,

‘তুমি আমার ওপর এভাবে জোর খাটাতে পারো না মম!’

আফরা যতটা সম্ভব শান্ত হয়ে কথা বলছে। সে মাকে যতটাই অপছন্দ করুক না কেন………..তবুও সম্মান দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে।আসিফ সাহেব এবার দৃষ্টি গভীর করলো নিজের। মৃদু স্বরে বললো,

‘আমি চাই না আফরা তুমি এভাবে বিগড়ে চাও, ভালোবাসা-সম্পর্ক এসব জিনিসকে খেলনা মনে করো………….আমরা চাই তোমায় একটা সুন্দর লাইফ গুছিয়ে দিতে। তুমি এটলিস্ট দু’মাস বাংলাদেশে তোমার ইফাজ আঙ্কেলের পরিবারের কাছে থাকো। তারপর নিজেই তুমি সব বুঝতে পারবে। ছোটখাটো বিডি ট্যুর হিসেব করেও যাও। তবুও তুমি যেতে বাধ্য। এর বেশি আমি একটা কথাও শুনবো না আফরা।যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নাও।’

বাবার কথায় আর না করতে পারলো না আফরা। গম্ভীর স্বরে বললো ,

‘ঠিক আছে ড্যাড। তোমার কথা রাখলাম।’

লিভিংরুমের বড় থাই গ্লাস ভেদ করে দেখা যাচ্ছে ওদের নিজস্ব ইয়ার্ড। গাছে নতুন পাতা গজানোতে রাতের সময়েও চকচক করছে। বাতাসের দোলায় উড়ে যাচ্ছে বারবার। মিসেস নীলু ইয়ার্ডে সবজির বাগান করেছেন। প্রবাসী বাঙালীরা কম-বেশি সবাই এগুলো করে থাকেন নীলু বেগমও এর ব্যতিক্রম না। আফরা সে বাগানে একপলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো। মনে উত্তেজনা কাজ করছে। কেন যেন মনে হচ্ছে এবারের বাংলাদেশের ট্যুর ওর জীবনে বড় কিছু নিয়ে আসবে। হয়তো অকল্পনীয় কিছু।


জুন মাসের ১৫ তারিখ। বাংলায় হিসেব করলে আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। আফরা বিস্ময় নিয়ে গাড়িতে বসে জানালা দিয়ে শ্রীমঙ্গল দেখতে থাকলো।নিউ ইয়র্ক থেকে দুবাইয়ে ট্রানজিড তারপর শাহজালাল এয়ারপোর্ট থেকে সিলেট এয়ারপোর্ট সবমিলিয়ে লম্বা ধকল গেলেও শ্রীমঙ্গলের এই দুর্দান্ত সৌন্দর্য তার সমস্ত ক্লান্তি গ্রাস করে নিয়েছে।

গাড়িটা চা বাগানের ছোটছোট টিলার মাঝ দিয়ে আকাঁবাকা পথে এগিয়ে চলছে। সেই তালে নড়ে যাচ্ছে আফরা বারবার।বিকেলের আবছাময় গোধূলী বেলার আভা পশ্চিম আকাশে অন্যরকম লাগছে। কি মারাত্নক সেই দৃশ্য।

‘কি দেখছো ওভাবে?’

আফরা পাশে তাকালো । এক মধ্যবষস্ক মহিলা বসে আছেন। মুখে সমিত হাসি। উনি সম্ভবত ইফাজ আঙ্কেলের ওয়াইফ মিসেস নাবিলা।আফরা বিনয়ী স্বরে বললো,

–আকাশটা দেখছি। চা-বাগানের দৃশ্যটার জন্য আকাশটা অন্যরকম লাগছে।

সামনে ড্রাইভিং সিটের পাশে বসা মিঃ ইফাজ বলে ওঠলেন,

‘দেখো ! দেখো ! বাংলাদেশে এসেছো……….দৃশ্য দেখবেনা এটা কি সম্ভব! দিন আরও পেরোক…….আরও ভালোলাগবে।

মিহি হাসলো আফরা। চোখে ক্লান্তি ভর করেছে। হুট করে এরিকের কথা মনে হলো ওর। আচ্ছা!ছেলেটা তো একটু ইমোশনাল টাইপের………কেমন আছে এখন?এসব ভাবতে ভাবতে িটে মাথাটা এলিয়ে দিতেই আফরার চোখ যায় ড্রাইভিং সিটে বসা আগন্তুকের ওপর। ব্যক্তিটা একনাগাড়ে লুকিং গ্লাসে আফরার দিকে তাকিয়ে আছে। আফরার সাথে চোখাচোখি হতেই মুচকি হাসলো ছেলেটা। আফরা নির্বাক। ছেলেটার হাসিটা একটু অন্যরকম লাগছে।

মিঃ ইফাজ এবার ছেলেটাকে দেখিয়ে বললেন,
‘আফরা! এটা আমার বড় ছেলে ফাহিম। সবেমাত্র ডাক্তারিতে জয়েন হয়েছে। আর মেয়েটা মাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার পড়ে। সে বাড়িতে আছে।’

ফাহিম মুচকি হেসে বললো,
‘হ্যালো’

‘হ্যালো’

প্রতিউত্তর দিলো আফরা। তারপর সেদিক থেকে নজর ফিরিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো।লং জার্নি করার ফলে শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে। গন্তব্যে পৌছামাত্রই একটা লম্বা গোসল দিতে হবে।

—-
মাগরিবের আজানের পর চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমেছে। ক্ষণে ক্ষণে শোনা যাচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। আফরা ধীর পায়ে গাড়ি থেকে কাচা রাস্তায় নামলো। একপাশে সেগুন কাঠের বোর্ডে লিখা আছে ‘নেলসন টি এস্টেট’। ইফাজ বলে ওঠেন,

‘ভেতরে চলো আফরা।’

আফরা তাই করলো। চা বাগানের ছোট ছোট টিলার মাঝ দিয়ে সরু কাচা রাস্তা। দুপুরে বৃষ্টির কারনে কাদা জমে আছে। আফরা সাবধানে সেদিক দিয়ে টি এস্টেটের শেষপ্রান্তে এলো। দুতল বিশিষ্ট কাঠের তৈরি ছোট্ট একটি বাংলোবাড়ি। মিসেস নাবিলা বললো তাদের এই জমিটি নাকি বর্ডারের একেবারে কাছে অর্থাৎ বাংলোর পেছনে দাঁড়ালে নাকি ভারতের মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়গুলো দেখা যায়। বর্ণণা শুনেই ভালো লাগলো আফরার। না জানি দেখলে কেমন লাগবে?

ফাহিম এবার বাংলার উল্টোপাশে ছোট ঘরটির দিকে মুখ করে চেচিয়ে বলে ওঠলো………..

‘ফারহান! এই ফারহান ! এখানে আছো?’

বিরক্ত হলেন মিসেস নাবিলা। ছেলেটির উদ্দেশ্যে বলে ওঠলো,

‘ফাহিম! তোর কি মনে হয় ফারহান এই সময়ে বাড়িতে থাকার মানুষ? ওই নবাবজাদার কথা বাদ দে তো!’

আফরার আজব লাগলো এরকম কথা শুনে যে হচ্ছেটা কি। অতঃপর কিছু বুঝতে না পেরে সে বাংলোটিতে ঢুকার জন্য উদ্যত হলো । দুর্ভাগ্যবশত কাদায় পা দেওয়াতে পা পিছলে যায়।আফরা ভেবেছিলো যে সে হয়তো পড়ে যাবে কিন্ত তৎক্ষণাৎ নিজের হাতে টান খাওয়াতে ধ্যান ভেঙে গেলো। ফাহিম নামের ছেলেটি ওর হাতের কব্জি ধরে ফেলাতে এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে। ফাহিম মুচকি হেসে বললো,

‘এভাবে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন মিস্! এবার তো সোজা হয়ে দাঁড়ান!’

ফাহিম ছেলেটা টান মারতেই আফরা ফাহিমের একেবারে কাছাকাছি এসে পড়লো। একপলক এই ছেলেটার চোখ দেখে আফরার মনে পড়লো এরিকের কথা।ফাহিমের চোখগুলো একেবারে এরিকের মতো……….পার্থক্য শুধু একটাই , ফাহিমের চোখজোড়া কালো আর এরিকের নীল। তবুও মনে কেমন এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে আফরার। সবকিছুতে কেমন যেন এক মাদকতা!

ফাহিম মুচকি হেসে বললো,
‘ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ মিস আফরা!’

.
.
.
#চলবে……….ইনশাআল্লাহ

#অতঃপর_প্রেমের_গল্প❤
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
#পর্ব-১

ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু করলাম গল্পটি। ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here