মোনালিসা
লেখা-ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-২১
লিলি বেগম শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে অবলোকন করছে জ্যাক আর প্রিন্সেস কে।লিলি বেগম নাস্তা বানাচ্ছে কিচেনে। জানালা’টা ঈষৎ ফাঁক করে মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে রুমের দিকে। মোনা কেন ওভাবে লিলি বেগমের বাসা ত্যাগ করেছিলে,সে ব্যাপারটাও কুয়াশাচ্ছন্ন, অস্পষ্ট। লিলি বেগমের এই প্রশ্নের মুখোমুখি মোনা অনেক বার হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা মোনা এড়িয়ে গিয়ে আংশিকভাবে কিছু একটা বলে, প্রসঙ্গ বদলে ফেলেছে চতুরতার সহিত। লিলি বেগম অভ্যাস্ত আর দক্ষ হাতে নাস্তা তৈরি করে নিয়ে এলো। মোনা হেসে নাস্তার ট্রে’টা সম্মুখে অবস্থিত টেবিল’টার উপর রাখলো। হঠাৎ প্রিন্সেস লিলি বেগমের কোলে যাওয়ার জন্য ঝুঁকে পড়লো। এই বয়সে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা’রা এমনই হয়। বাচ্চা সুলভ মন কখন কি সায় দেয় বুঝতে পারা দায়। লিলি বেগম ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে প্রিন্সেস’কে কোলে নিলো। লিলি বেগমের কোলে কিছুক্ষণ থেকে প্রিন্সেস আবার জ্যাকের কোলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়। জ্যাক বিরক্ত দৃষ্টিতে তাকায় প্রিন্সেসের দিকে। চাপা গলায় রেগে বলে,
-“প্রিন্সেস!”
জ্যাক লিলি বেগমের সাথে আড্ডায় মেতে উঠলো। লিলি বেগম মানুষের সাথে আড্ডা জমাতে দক্ষ। মোনা’কে দিয়ে আড্ডা জমানো অসম্ভব ব্যাপার। মোনা প্রায়ই কথার মাঝে মাঝে থেমে যায়। কথা খুঁজে পায়না। মস্তিষ্ক থেকে কথা গুছিয়ে উঠাতে পারেনা। বেশ সময় লাগে। জ্যাক শুধু কফি খেয়েছে। আর কিছুই নেয় নি। জ্যাক চলে যাওয়ার পর লিলি বেগম প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকালো মোনার দিকে।
মোনা জানে লিলি বেগম এখন হাজার প্রশ্ন করবে। মোনার ধারণা সত্যি করে লিলি বেগম জিজ্ঞেস করল,
-“আমেরিকান না ছেলেটা?তুই কিভাবে চিনিস?খুব ভালো সম্পর্ক দেখছি তোদের মাঝে ।”
লিলি বেগম কিছু একটা ইঙ্গিত করে বলল কথাটা। মোনা বলে,
-“খালা আমার পরিচিত উনি।”
লিলি বেগম সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে হতাশ হলো যেন। মোনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর গম্ভীর গলায় বলল,
-“অপরিচিত হলে তো বাসায় আসতো না। আমি তো সে জানতে চায় নি।”
-“তো কি জানতে চেয়েছো?”
সব বুঝেও অসন্তোষ জনক উত্তর দিচ্ছে মোনা। লিলি বেগম বিরক্ত হলো বেশ।
-“মোনা তুই সব বুঝেও ভান করছিস। মানুষ’কে এত সহজে বিশ্বাস করিস না। মানুষ চেনা বড্ড কঠিন। তাও এই ভিনদেশে!”
মোনা বিস্ময়ের চূড়ায় পৌঁছে গেলো যেন। মুখ ক্রমশ কালো, গম্ভীর হয়ে গেল। লিলি বেগমের অসংলগ্ন, উদ্ভট চিন্তায় মোনা হতাশ হয়ে গেলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মুখ কিছুটা বিকৃত করে তাকালো।
-“খালা জ্যাক আমায় অনেক হেল্প করেছে। আর জ্যাক খুব ভালো মানুষ। এর বেশি কিছু না। জ্যাক অন্য ধর্মের মানুষ, তাঁর মেয়ে আছে। স্ত্রী মারা গেছে। আর তুমি কি সব ভাবছো ছিঃ।”
লিলি বেগম প্রত্তুত্যর করলো না। রুমের অগোছালো জিনিসপত্র টুকটাক গোছাচ্ছে। মোনা একটা বই হাতে, খাটে আধশোয়া অবস্থায় একটা বালিশের সাথে হেলান দিয়ে আছে। বাসায় প্রগাঢ় নিঃশব্দতা বিরাজ করছে।
মোনা ছুটি নিয়েছে দুই দিনের জব থেকে,শরীর অসুস্থ লাগছে তাই। তাছাড়া পরীক্ষা সামনে একটু পড়া দরকার। বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গেছে মোনা। বইটা মুখের উপর পরে আছে। নিশান বাসায় ফিরে মোনা’কে অকারণে জাগালো। মোনা বিরক্ত চোখে তাকালো। চোখে প্রবল বিরক্তি নিয়ে নিশান কে শাসালো। ঠোঁট নাড়িয়ে বিড়বিড় করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগলো।
মোনার শোয়ার রুমের পাশের রুমে খাবার টেবিল। রুমে ফার্নিচার বলতে তেমন কিছুই নেই। সে রুম থেকে বেশ শোরগোল পাওয়া গেলো। মোনা ভ্রু কুঁচকে নিশান’কে জিজ্ঞেস করল,
-“কে আসছে ওই রুমে?খালা কোথায়?”
নিশানের কাছ থেকে উত্তরের অপেক্ষা না করে মোনা খাট ছেড়ে খাবার রুমের দিকে গেলো। নিশান’কে প্রশ্ন’টা যেন অযথাই করলো। প্রিয়ম একটা চেয়ার টেনে টেবিল থেকে একটু দূরে সরিয়ে বসে ,ফোনের দিকে গভীর মনোযোগে তাকিয়ে আছে। কালো শার্ট, প্যান্ট পড়নে। গায়ের ফর্সা রঙের সাথে মানিয়ে গেছে নিখুঁতভাবে। মোনা প্রিয়ম’কে কালো ছাড়া অন্য রঙের শার্ট পড়তেই দেখেনি, গাড়ি টাও কালো। প্রিয়ম সুদর্শন পুরুষ বটে! লম্বা যথেষ্ট পরিমাণে, গায়ের রঙ’টা মানানসই। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো নীল চোখ। যেকোন রমনীর ঘুম হারাম করার কারণ হতে পারে। এই প্রথম অনেকক্ষণ তাকিয়ে অবলোকন করলো প্রিয়ম’কে। প্রিয়মের সৌন্দর্য যে কেউ আকৃষ্ট হতে বাধ্য। কিন্তু মোনার দরকার বিশ্বাস, আস্থা, ভালোবাসা, ভালো বোঝাপড়া। এসবও হয়ত প্রিয়মের ভিতর এখন আছে, কিন্তু মোনা খোঁজার চেষ্টা করছে না। কোণ এক অজানা কারণে মনের কোন এক কোণে ক্ষোভ রয়ে গেছে হয়ত।
মোনা এগিয়ে যেতেই এরিক হেসে চেয়ার থেকে উঠে মোনার কাছে আসে। বাসা থেকে আসার পর এরিকের সাথে তেমন দেখা হয়নি মোনার। এরিকের উপর মোনার কোন ধরণের রাগ, ক্ষোভ, আক্রোশ কিছুই নেই। মোনাও হাসে। মুখের হাসি বজায় রেখেই বলল,
-“কেমন আছো এরিক?”
এরিক কে দেখলেই মোনার সেই ছাদের ঘটনা মনে পড়ে। মেয়েটার নাম যেন কি?.. অনেকক্ষণ পর মনে পড়ল, নামটা এ্যালি। এরিক কিছুটা অনুযোগের সুরে বলল,
-“ভালো,তুমি আমাদের বাসায় আর একবারও গেলে না।”
মোনা উত্তরে কেবল হাসলো। মোনা আড়চোখে তাকাচ্ছে প্রিয়মের দিকে, মোনার উপস্থিতিতে প্রিয়মের অভিব্যক্তি দেখার জন্য। প্রিয়ম ফোনে মগ্ন, তাই মোনার উপস্থিতি টের পায়নি। লিলি বেগম কিচেনে। প্রিয়ম ফোন থেকে মুখ না তুলেই এরিকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ল।
-“এরিক তুই যে আমায় জোর করে এখানে নিয়ে আসছিস, এখন বাসা থেকে বের না করে দিলেই হলো।”
এরিক হতচেতন দৃষ্টিতে তাকালো। তাৎক্ষণিক উত্তর দিলো না। এরিকের চিকন স্বর আরো চিকন হয়ে আসলো যেন।
-“আমি তোমায় নিয়ে আসছি?নাকি–”
প্রিয়ম মোনার দৃষ্টি থেকে আড়াল করেই এরিকের দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙালো। এরিকের কথা মাঝপথে সমাপ্ত হয়ে গেলো। অসমাপ্ত কথার প্রসঙ্গ এড়াতে এরিক বলল,
-“মোনাপু দিন দিন সুন্দর হচ্ছো যে?”
মোনাও একটা চেয়ার টেনে বসলো।প্রিয়ম একা আসলে হয়ত কড়া গলার কিছু বলে, চলে যেতে বলত। এরিক এসেছে, আবার লিলি বেগমও আছে। মোনা কিছুক্ষণ পর এরিকের কথার উত্তর করলো।
-“তো প্রেম করবে আমার সাথে?”
এরিক এমন অভাবনীয় উত্তরে জন্য যেন প্রস্তুত ছিলো না। এরিকের ধারণা অনুযায়ী মোনা বড্ড লাজুক। প্রিয়ম ভ্রু কুঁচকে তাকালো মোনার দিকে। কিছুক্ষণ পর মুখের ভঙ্গি পরিবর্তন করে, উপচেপড়া রাগ নিয়ে তাকালো এরিকের দিকে। এরিক সে সব উপেক্ষা করে বলল,
-“তুমি মাত্র আমার বছর দেড়েক বড় হবে। আরে এখানে পাঁচ-সাত বছরের বড় মেয়েদের সাথেও প্রেম হয়, এটা কোন ম্যাটার না।”
প্রিয়মের চোখ থেকে যেন আগুনের ফুলকি বের হচ্ছে। মনে দাবানল ছড়াচ্ছে। এরিকের এরূপ রসিকতা অসহ্য লাগছে। রাগ চাপিয়ে স্বাভাবিক গলায় বলল,
-“এরিক একটা দামী ব্র্যান্ডের সিগারেট নিয়ে আয় তো।”
এরিক অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো। এই দৃষ্টির মানে এখন কোথায়ও যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। প্রিয়ম জোর গলায় বলল,
-“এরিক তোকে যেতে বলছি না।”
প্রিয়মের কথা অমান্য করার সাধ্য নেই এরিকের। অনিচ্ছাকৃতভাবেও গেলো। রুম থেকে বের হয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলো নাক মুখ কুঁচকে।
এরিক বাসা থেকে বের হতেই প্রিয়ম ওর চেয়ার ছেড়ে উঠে মোনার দিকে অগ্রসর হয়। মোনা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো প্রিয়মের মুখের দিকে। প্রিয়ম মোনা হাত চেপে ধরে। সব ক্ষোভ যেন মোনার হাতের প্রতি। মোনা হাতে ব্যথা অনুভব করে। ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকালো। চাপা গলায় বলল,
-“হাত ছাড়ুন, নয়ত কিন্তু চেঁচাবো। খালা কিচেনে।”
প্রিয়মও চাপা গলায় উত্তর দিয়ে রাগের বহিঃপ্রকাশ করলো। প্রিয়মের দৃষ্টিতে রাগ উপচে পড়ছে যেন।
-“এরিকের সাথে প্রেম না? এরিকের সাথে এত হেসে হেসে কথা! আর সব রাগ, জেদ, ক্ষোভ আমার উপর?”
প্রিয়মের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে বিষয়টা খুব গুরুত্বর ভাবে নিয়েছে। প্রিয়মের চোখ মুখের অবস্থাও সঙ্গিন।
-“হাত ছাড়ুন,নয়ত খালাকে ডাকব।”
প্রিয়ম হাত মুচড়ে ধরল এবার। মোনা ব্যথায় ছটফট করতে লাগল। প্রিয়ম ধৈর্য্যহারা গলায় বলল,
-“বয়স তো মনে হয় ভালোভাবে,আঠারোও হয়নি। মন তো ষাট বছরের মানুষের মত শক্ত। আবেগ, অনুভূতি তো কিছু নেই ভিতরে।”
প্রিয়ম মোনার মুচড়ে রাখা হাত কিছুটা আগলা করে দিলো। মোনা ব্যাথায় চোখ বুঁজে আছে। প্রিয়ম হাত পুরোপুরি ছেড়ে দিলো। ব্যাথা কিছুটা কমে আসতে মোনা চোখ মুখ স্বাভাবিক করে বলে,
-“আমার আবেগ,অনুভূতি মূল্যবান জিনিস, সস্তা কিছু না যে যেখানে সেখানে প্রকাশ করবো।”
প্রিয়ম নির্বিকার ভঙ্গিতে তাকালো। রক্তশূন্য দৃষ্টি যেন। মোনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,
-“যেখানে, সেখানে বলতে কি বুঝাচ্ছো তুমি?”
মোনা প্রত্ত্যুতর করল না।মোনার রাগ হচ্ছে। ফ্যাকাশে মুখে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। রাগে মোনার নাক কম্পিত হচ্ছে।
প্রিয়ম হঠাৎ অভাবনীয় কাজ করে বসলো। মোনার কাঁপা কাঁপা নাকের ডগায় কামড় দিলো। মোনা হতবুদ্ধি হয়ে নির্বিকার চোখে তাকিয়ে রইলো। মোনা কিছু বলতে যাচ্ছে, কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় মোনার গলা ধরে আসছে। প্রচন্ড বিস্ময় মোনার গলা দিয়ে যেন আস্ত হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে তাই কিছু বলতে পারছে না।
কিচেন থেকে রান্না শেষ করে লিলি বেগম রুমের দিকে আসতে লাগলো। তাঁর পায়ের শব্দে মোনা পিছনে ফিরে তাকায়। লিলি বেগম দরজা দিয়ে ঢুকছে। কপালে ঘাম চিকচিক করছে, মুখে কিছুটা ক্লান্ত ভাব।
-“এই প্রিয়ম এরিক কোথায় গেল? মোনা খেতে বস।”
লিলি বেগম টেবিলে খাবার সাজাতে লাগলো। মোনা সব ক্ষোভ চোখের দৃষ্টিতে প্রকাশ করছে যেন। মোনার মুখে মেঘের ছায়া পড়েছে যেন। ধীরে,ধীরে মেঘ ঘনীভূত হয়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করছে যেন। অদ্ভুত বিষয় মোনা কিছু বলল না। গম্ভীর মুখে রুমে গিয়ে বসে রইলো।
এর ভিতর এরিক ফিরে আসলো। প্রিয়মের হাতে সিগারেট দিলো! প্রিয়ম সিগারেট প্যান্টের পকেটে রেখে দিলো। লিলি বেগম অধৈর্য্য হয়ে পড়ল যেন। বিরক্ত গলায় বলল,
-“মোনা,নিশান কোথায়?খেতে বসছিস না কেন তোরা?”
প্রিয়মের ভিতর হঠাৎ যেন অপরাধ বোধ নাড়া দিয়ে উঠে। কোন কারণে মোনার সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে চায়নি কিংবা সম্পর্ক’টা খারাপ করতে চায়নি। যত সম্ভব সুস্থ একটা সম্পর্ক চেয়েছে। লিলি বেগম অধৈর্য্য গলায় বার বার ডাকছে মোনা’কে। নিশান আসলেও, মোনা আসে নি।
প্রিয়ম টেবিল থেকে উঠে মোনার কাছে গেলো। মোনা মুখ ভার করে জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরের দিকে উদাসীন হয়ে তাকিয়ে আছে।প্রিয়ম শীতল গলায় বলল,
-“মোনা স্যরি।”
প্রিয়মের গলার স্বরে পরিবর্তন হলো হঠাৎ। কিছুক্ষণ থেমে থেকে অনুনয় করে বলল,
-“এমন আর হবে না।”
মোনা ফিরে তাকায় না। প্রিয়ম মোনার একটু কাছে গিয়ে বসলো। গলায় তাড়াহুড়া ভাব এনে বলল,
-“সবাই ডাকছে মোনা, চলো তো।”
প্রিয়ম ভেবেছিল মোনা ভয়ংকর ভাবে রেগে যাবে। চিৎকার করে রাগ প্রকাশ করবে। কিন্তু প্রিয়মের ধারণা মিথ্যা হলো। মোনা ভাবলেশহীন ভাবে বলল,
-“আপনারা খান,আমি পরে খাবো।”
-“আমি কিন্তু তোমায় কোলে করে নিয়ে যাবো ওখানে।”
-“আপনি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন। পুরুষ মানুষের স্পর্শ আমার অসহ্য লাগে। আপনি সেই অসহ্য কাজ’টা-ই বার বার করছেন।”
প্রিয়ম এ পর্যায়ে আত্মদোষ প্রকাশ করে বলল,
-“আমি তো নিজেই অসহ্য পার্সন।”
লিলি বেগম এসে হাত ধরে টেনে মোনা’কে নিয়ে গেলো। এই মানুষ’টার কথার উপর না বলতে বেগ পেতে হয়। কোন কথাই শুনবে না মোনার।
লিলি বেগম আশেপাশে তাকিয়ে বলল,
-“প্রিয়ম কোথায় গেলো আবার? পাগলামি শুরু করেছিস সবাই?”
প্রিয়ম কাউকে কিছু না বলেই বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। মোনার এত অবজ্ঞা মানতে কষ্ট হয় প্রিয়মের। প্রিয়ম সিগারেট ধরালো। দুই আঙ্গুলে ধরে সিগারেট টানতে টানতে হাঁটতে লাগলো নিজ গন্তব্যে।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ প্রেম’টা এরিকের সাথে হলে কেমন হবে?
নাইস,নেক্সট কমেন্টে আমি সত্যি বিরক্ত। গঠনমূলক সমালোচনা না হলে কেউই গল্প লিখতে আগ্রহ পায় না।