#যখন_তুমি_এলে।
#পর্ব- ১১।
লেখা- জাহান লিমু।
তিনমাস পর।
ক্যান্টিনে বসে আবারও আড্ডা জমে উঠেছে দুই বন্ধুর।
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে রোহানী নির্দিষ্ট একটা টপিক বারবার আনতে চাইছে। কিন্তু যতই সে টপিকটা আনে,রাদ ততই সেটা এড়িয়ে যায়। কিন্তু রোহানীও নাছোড়বান্দা। একসময় রাদ বিরক্ত হয়ে মুখ ফসকে বেফাঁস কথাটা বলেই দিলো। রোহানীর হাত থেকে আইসক্রিমের কাপটা পড়ে গেলো মুহুর্তেই। একটু আইসক্রিম অবশিষ্ট ছিলো। সেটার দিকে তাকিয়ে রোহানী একটু আফসোস করলো। তবে রাদ এইমুহুর্তে যেটা বলেছে, সেটার কাছে এরকম আইসক্রিমের কাপ কয়েকটা পড়ে গেলেও কিছুনা। রোহানী একঢোক গিলে বললো,
” তুই কি করেছিস?”
” কিছুই না। ভাবলেষহীনভাবে কথাটা বললো রাদ।”
” দেখ রাদ,আমি কিন্তু পরে আমার চ্যালেঞ্জ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। তবুও তুই কেন এতো জেদ করছিস?
ঐ মেয়ের সাথে তোর কিসের সমস্যা?”
” আমি কিছুই করিনি রুই মাছ।”
” তুই আমার কাছে মিথ্যাে বলছিস রাদ? পুরো বিষয়টা সন্দেহজনক। আর কেউ না জানলেও,আমিতো জানি। কিন্তু এবারের প্ল্যানে তুই আমাকেও রাখিস নি। তাহলে তুই কি এমন করেছিস,প্লিজ দোস্ত বল? আসলে আমারও মনে হয়, আমাদের এমনটা করা ঠিক নয়। সবার নিজের লাইফ,নিজের পছন্দ,নিজের হাসি,নিজের কান্না। সেখানে আমাদের কি?”
” রাদ লাচ্ছি খেতে লাগলো,কোন কথা বলছেনা। কেন জানি তার বেশ হালকা লাগছে নিজেকে। ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ,হালকা গরম পড়তে শুরু করেছে। সামনের মাসে ফাইনাল পরীক্ষা। তারপর গ্র্যাজুয়েট তকমা পেয়ে যাবে। ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ওরা দুজন। একটু শোনার পর,রোহানী আরো খোঁচাতে লাগলো। কিন্তু রাদ মুখে কুলুপ এটে রেখেছে যেন। রোহানী শত চেষ্টা করেও আর কিছু বের করতে পারছেনা। অগত্যা এবারের মত হাল ছেড়ে দিলো সে। তবে পুরোপুরি ছাড়েনি। মনে মনে ঠিকই বিষয়টা ধরে রেখেছিল। আবার সুযোগ মত প্রশ্নের তীর ছুঁড়ে দিবে।
রোহানীর মনে সবচেয়ে বড় খটকা লাগার কারন হচ্ছে, আরজে তুহিন তার শো বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তার কোন খোঁজ নেই। গত একমাস যাবত ওর জায়গায় নতুন আরজে শো টা কনটিনিউ করছে। রেডিও স্টেশন তাদের ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়েছে,নতুন আরজে শো টা হোস্ট করবে। সেখানে ফ্যানদের ঝড়ো কমেন্ট শুরু হয়ে গেছে মুহুর্তের মধ্যেই। অগত্যা তারা পোস্টটাই ডিলেট করে দিলো। আর নতুন আরজে কে বেশ বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সবাই কল,মেসেজ করে তুহিনের শো ত্যাগ করার কারন জানতে চায়। তুহিনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ বন্ধ। আইডিও ডিএক্টিভ। তাই কেউ কোনকিছুই বলতে পারছেনা। একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সে। কয়েকজন মেয়ে ফ্যান তো দিনের পর দিন স্যাড স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে।
কেউ জানেনা আরজে তুহিনের এমন রহস্যজনক আচরণের কারন। হঠাৎ নিজেকে এভাবে আড়ালে সরিয়ে নেয়ার হেতু কারো বোধগম্য নয়।
সন্ধ্যার আগে ঘুম থেকে উঠলো সাচী। জানালার গ্রিল ধরে বসে রইলো উদাস হয়ে। গত দুইমাস ধরে তার প্রচুর ঘুম পায়। যখন তখন ঘুমায়,কোন নির্দিষ্ট টাইম নেই। ভার্সিটি মন চাইলে যায়,না হলে নাই। ক্যামেরা অবহেলায় ড্রয়ারে পড়ে আছে অনেকদিন। কোন কাজ করেনা,কারো সাথে ঠিকমত কথা বলেনা। বিরুনিকা মাঝে মাঝে আসে,টুকটাক কথা বলে। এটা সেটা বুঝায়। তবে সাচীর মন সেসব বুঝ মানেনা। বিরুনিকার খুব খারাপ লাগে মেয়েটার অবস্থা দেখে। বেশ তো চলছিলো, তাহলে হুঁট করে কি এমন হলো দুজনের মধ্যে?
সাচী কাউকেই কোনকিছু বলেনা। শফিকুর মেয়ের অবস্থা দেখে ভেঙে পড়ছেন দিনদিন। অথচ তার মেয়েটা কয়দিন আগেও কত প্রাণোজ্জ্বল ছিলেন। কত স্বপ্ন সাজাতো। ওদের এংগেজমেন্ট এর ডেট ফিক্সড হয়ে গিয়েছিলো পর্যন্ত। তুহিনের গার্ডিয়ান বলতে,একমাত্র বড় বোন। সেই এসে সব পাকা করে গিয়েছিলো। মা,বাবা বেঁচে নেই। তারপর আচমকা এক ঝড় সব লন্ডভন্ড করে দিলো। তুহিনের বোন বা সাচীর বাবা কেউ কিছুই বুঝতে পারছেন না। কারন তুহিন বা সাচী কেউ কিছুই বলছে না। একদম নিঃশব্দে দুজন দুজনের থেকে পৃথক হয়ে গেছে। কাউকে কোন কিছু বলার সুযোগও দেয় নি। সাচী খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে,তুহিন দেশে নেই। সেদিনের তিনদিন পরই তুহিন দেশ ত্যাগ করেছে। কোথায় গিয়েছে,সেটা নিজের বোনকে পর্যন্ত বলে যায় নি। যখন ইচ্ছে হবে,তখন নাকি ফিরবে। শুধু এতটুকু বলে গেছে। বিরুনিকা এসব তুহিনের বোনের থেকে জেনেছে। তুহিনের বোন অবশ্য সাচীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল,কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয় নি। অগত্যা তিনিও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন যে কারো কিছু করার নেই। কারন যারা প্রধান,তাদের মধ্যেই যদি গলদ থাকে,সেখানে বাকীদের কি করার থাকতে পারে?
বিরুনিকা প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল বিকাল দুইবার সাচীর কাছে আসে।
আর সায়াহ্ন কে মনে মনে বকে সারাক্ষণ। নিজের বোনের যে এমন অবস্থা, সেদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। সেদিন বিরুনিকা যখন সাচীকে জড়িয়ে রেখেছিল,তখন সায়াহ্নর আগমন। সাচী কান্না করছিলো। সায়াহ্ন সেটা দেখে প্রশ্ন করে,
” বনুর কি হয়েছে?” বিরুনিকার বলতে মন চাইছিলো,আমি ওর আমলকী কেড়ে নিয়েছি,তাই কান্না করছে। কিন্তু মুখে কিছুই বললোনা। সায়াহ্ন আবার জিজ্ঞেস করলে,বিরুনিকা বিরক্তি নিয়ে বলে,
” আপনার বোন, আপনি জানেন না?”
” বিরুনিকার চড়া গলা শুনে সায়াহ্ন বেশ ভড়কে গেল। তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে সাচীর পাশে বসলো। সাচীর মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
” আমার বনু না অনেক স্ট্রং একটা মেয়ে? তাহলে এসব ন্যাকা মেয়েদের মত ফ্যাঁচফ্যাঁচ করে কাঁদছে কেন? ব্রেকআপ, এটাতো আজকাল পানিভাতের মত সহজ বিষয়। মানুুষ সামান্য আইডির পাসওয়ার্ড না দিলে ব্রেকআপ করে ফেলে। আরে বোকারা,এতটুকু বিশ্বাসই যদি না থাকে সম্পর্কে, তাহলে সেটা কিসের সম্পর্ক? যার দুই নাম্বারি করার মতলব থাকে,সে আরো দশটা আইডি খুলে করতে পারে।
হ্যাঁ,আজকাল অবশ্য মানুষজন কাপড় পাল্টানোর মত গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড পাল্টায়। যে কারনে বিশ্বাসটা ঠুনকো হয়ে গেছে। কাপড়ের কালার পছন্দ হয় নি বাদ,ডিজাইন পছন্দ হয় নি তো বাদ। ঠিক তেমনি সম্পর্কে অপরজনের ছোটখাট ত্রুটিগুলোকে বড় আকৃতির করে আমরা সম্পর্কের ইতি টানি,মানে যেটা এখনের যুগের বহুল পরিচিত শব্দ ব্রেকআপ। অবশ্য আজকাল এতো বেশি ব্রেকআপ কেন হয় জানিস বনু?
সাচী কোন কথা বলছেনা। নীরবে শুনছে।
আজকাল আমাদের মনে ভালোবাসা আপনা আপনি আসেনা,আমরা জোর করে আনি। সবার ক্ষেত্রে না অবশ্য। বিষয়টা অনেকটা এমন,সবাই প্রেম করে তাই আমাকেও করতে হবে। সেটা যে কারো সাথেই হোক। মানে সিংগেল থাকলে বন্ধু-বান্ধবরা পিঞ্চ করে নানারকম কথা বলে। আমাদের বিভিন্ন ত্রুটি খুঁটিয়ে বের করে বুঝাতে চায়,ঠিক কি কারনে আমাদের প্রেমটা ঠিক হয়ে উঠছেনা। আর সেই ফ্রাস্টেশান থেকে অনেক ছেলেমেয়ে প্রেমে জড়ায়। কেউ কেউ আবার এ কারনে ডিপ্রেশনে পর্যন্ত পড়ে। নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে সারাক্ষণ। তখন তার মাথায় এটাই কাজ করে যে,যে করেই হোক প্রেম করতে হবে। আর আমাদের মন থেকে অনুভূতি আসেনা সেক্ষেত্রে। কারন মন তো আর আখের রস উৎপাদনের মেশিন না যে,আখ দিলাম আর রস বের হবে।তেমন এভাবে শুধু প্রেম করার জন্য প্রেম করলে সেখানে অনুভূতি শূণ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রেম, ভালোবাসা কোন জোরের বিষয় নয়। সেটা স্বভাবগতভাবেই আসে। মনের কোনে হুঁট করে উদয় হয়,গাছের পাতার ফাঁকে যেমন ভোরের সূর্য উঁকি দেয়। তারপর তার রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে পুরো ধরণীর বুকে। ভালোবাসাটাও তেমনি। দুজনের মনেই উঁকি দেয়,যার রেশ দুজনের জীবনে ছড়িয়ে পড়ে।
আর আরেকটা কমন বিষয় হলো, আমরা চোখের ভ্রমটাকে ভালোবাসা ভেবে প্রায়ই ভুল করে ফেলি। অথচ ভালোবাসা দেখা যায় মনের চোখ দিয়ে। আর মনের চোখ হলো,মনের অনুভূতি, টান। পাশের ব্যক্তিটার প্রতি যদি মন থেকে কোন গভীর টানই না অনুভব করতে পারি,তাহলে সেটা ভালোবাসা কখনোই নয়৷ অন্তত আমি সেটাকে ভালোবাসার সংজ্ঞায় ফেলে,ভালোবাসা শব্দটার মান নিচু করবোনা। ভালোবাসা সেটাই,যেটা শত ক্রোশ দূরে থাকলেও একচুলও ঘুণ ধরেনা সেখানে। ভালোবাসার ঘরে, কোন পোকার বাস থাকেনা। কারন এর দেয়াল,ছাদ,দরজা,জানালা সব ভালোবাসা দিয়েই তৈরি। সেখানে পোকা আসবে কি করে?
সাচী তখন ভাবলেশহীনভাবে বসে আছে। কি ভাবছে,সে নিজেও জানেনা। তবে সায়াহ্নর কথা শুনে রুমের আরেকজন ব্যক্তির মোটামুটি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়।
কার মুখে কি শুনছে সে?
যে ব্যক্তি প্রয়োজন ছাড়া দুটা কথা বলে না,সারাদিন ব্যাঙের মত ঘরকুনো হয়ে থাকে,সে এসব বলছে?
বিরুনিকার শরীরের পশমগুলো দাঁড়িয়ে গেছে। একইসাথে মনে কেমন ভালোলাগা অনুভূত হচ্ছে, আবার ব্যাথা করছে। কি এক দোটানার সে মুহুর্ত।
কেমন জানি ঘোর লেগে গেছে তার। কোন কথা বলতে পারছেনা সে। বাক্যরা শব্দ হারিয়েছে,শব্দরা ধ্বনি,আর বিরুনিকা হারিয়েছে ভাষা।
মানুষটাকে বুঝার সাধ্য বিরুনিকার আসলেই নেই।
এতো রুপ তার,যেটা বিরুনিকার বুঝা দায়।
এই যে এখন এতো সুন্দর করে কথাগুলো বুঝালো,অথচ নিজের বেলায়?
চোখের সামনে যে কেউ তার দহনে পুড়ছে,সেটা কি চোখে দেখতে পায় না?
নাকি দেখেও দেখতে চায় না।
এসব প্রশ্ন বেশ ভাবাচ্ছে বিরুনিকাকে।
এর উত্তর তার জানা নেই।
সহসা সাচী বলে উঠলো,
” আই লাভ হিম ভাইয়ু। আমি তাকে সত্যি ভালোবাসতাম।”
” সায়াহ্ন ঠান্ডা স্বরে বললো,সেটাতো এই দূরত্বই বলে দিবে,তুমি তাকে কতটা ভালোবাসতে। অথবা সে তোমাকে কতটা ভালোবাসে। একটা বিষয় কি জানো?
ব্রেকআপ হওয়াটা একদিক দিয়ে ভালো। এতে নিজেদের অনুভূতির যাচাই বাছাই করা যায়। দূরত্ব সেই সুযোগটা করে দেয়। যদি সত্যি ভালোবেসে থাকি আমরা,তবে আমাদের মিল না হলেও অন্তত এতটুকু বুঝতে পারবো যে সত্যি ভালোবেসেছিলাম। আর নয়তো দূরত্ব মাইল, কিলোমিটার ছাড়িয়ে অসীমে পৌঁছে যাবে। আর সেখানে অবশ্যই ভালোবাসার কোন অস্তিত্বই থাকবেনা।
ভালোবাসা হলে,প্রিয়জন কাছে না থাকলেও,সর্বক্ষণ তাকেই অনুভব করবো। শতসহস্র বছরের দূরত্বও সে ভালোবাসায় চিড় ধরাতে পারবেনা। ভালোবাসার মানুষ পাল্টে গেলেও,অনুভূতিগুলো পাল্টায় না। একটু ঘষামাজা করলেই,অনুভূতিরা নতুন কিশলয়ের মতো মাথাচারা দিয়ে উঠে। আর যদি অনুভূতি বোঁথা হয়ে যায় একেবারে,তবে সেখানে ভালোবাসার অস্তিত্বই ছিলো না। যেটা ছিলো,সেটা মোহমায়া। আর তা একসময় না একসময় কেঁটেই যেত। সেই সময়টা বিয়ের পরেও হতে পারে। এগজেক্টলি এটাই হয় অনেকের ক্ষেত্রে। কিন্তু তারা সেটা টেরই পাই না। যখন টের পায়,তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। অনেকেই বলে বিয়ের পর ভালোবাসা থাকেনা। আসলে এই কথাটা আমরা ভীষণ সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেছি। আর আমাদের মস্তিষ্কের উপর মনের প্রভাব যে ঠিক কতখানি তা আমরা অনেকে ঘুণাক্ষরেও
টের পাই না৷
কি যেন ভেবে সাচী উঠে দাঁড়ালো। ড্রয়ার থেকে ক্যামেরাটা বের করলো। তারপর সায়াহ্ন, বিরুনিকা দুজনকে উদ্দেশ্য করে বললো, আমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবে তোমরা?
বিরুনিকা কিছু না বলে সায়াহ্নর উত্তরের অপেক্ষা করতে লাগলো।
সায়াহ্ন বললো,কোথায় যেতে চাও?”
দূরে কোথাও। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে চাই।
সায়াহ্ন কি যেন ভেবে বিরুনিকাকে বললো,”আপনি যেতে পারবেন? না মানে কোন সমস্যা আছে কিনা আপনার। অন্য সময় হলে বিরুনিকা ক্ষেপে যেত। কিন্তু আজ যেন ওর কি হলো। কোন রাগ করতে মন চাইছেনা। শীতল কন্ঠে বললো,কোন সমস্যা নেই। যাবো।
তখন সায়াহ্ন বললো,তাহলে কাল ভোরের ট্রেনে আমরা রাঙামাটি যাবো।
#চলবে…