যখন তুমি এলে পর্ব ৫

#যখন_তুমি_এলে
#পর্ব- ০৫।

রোহানীকে দেখতে আরাদ ওদের বাসায় গেল। আরাদ কারো বাসায় খুব একটা যায় না। কিন্তু বন্ধু এক্সিডেন্ট করেছে,না গেলে কেমন দেখায়। তাও আবার এতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে রোহানীর বাসায় যেতে চায় না অন্য একটা কারনে। রোহানীর বোনকে বেশি সুবিধার ঠেকে না। একে তো বয়স কম,তার উপর প্রচন্ড আবেগী। এ ধরনের মেয়েরা খুব বিপদজনক। তাই এদের থেকে নিজেকে সর্বোচ্চ এড়িয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভালোবাসা কি সেটা বুঝে উঠার আগেই,এরা সংসার করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়। আরাদ বেশ কয়েকবার সোহানীর কাছে অসস্থিকর অবস্থায় পড়েছে। যদিও সেটা আরাদ বেশ কৌশলের সাথে এড়িয়ে গেছে। রোহানী অবশ্য কিছু জানেনা এখনো। আরাদই বলেনি। কারন তাহলে হয়তো সোহানীর উপর শাসন চালাবে,তার ফলাফল খারাপ হতে পারে। তাই আরাদ নিজেই সোহানীকে এড়িয়ে চলে। রোহানীদের বাসায় যাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে গতবছর থেকে।
গতবছর সোহানীর এসএসসি ফলাফলের দিন,সোহানী আরাদকে সরাসরি প্রপোজ করে বসে। বাসায় কেউ ছিলো না,রোহানী কি কাজে একটু বাইরে গিয়েছিল। তাই আরাদকে ফোন দিয়ে বলে সোহানীর রেজাল্ট চেক করার জন্য। আরাদ স্বাভাবিক ভাবেই মার্কশিট উঠিয়ে সন্ধ্যায় ওদের বাসায় যায়। ওর মা বাবা কোথায় জানি পার্টিতে গিয়েছিল। মেয়ের রেজাল্ট,অথচ তারা আছে পার্টি নিয়ে। বড়লোকদের ব্যাপার-স্যাপারি অন্যরকম। আগে ক্লাস মেইনটেইন,তারপর বাকী সব।আরাদ বাসায় সোহানীকে একা দেখে চলে আসতে নিয়েছিল। তখন সোহানী জোর করে থাকার জন্য, আর বলে রুপু এখনি এসে পড়বে। তুমি বসো। আরাদের বসতে মন সায় দিচ্ছিল না। সোহানীর দৃষ্টি ভঙ্গি অন্যরকম ঠেকছিলো সেদিন। তবে ঐ মুহুর্তে রোহানীর ফোন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়ে বসেছিল। কারন রোহানী কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছিলো।
আরাদ সোফায় বসে রিমোট দিয়ে চ্যানেল ঘুরাচ্ছিল। হঠাৎ দেখে সোহানী শাড়ি পরে দরজার পাশে মুখ লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আরাদ কিছুই বুঝতে পারছেনা,ঐ মেয়ের মাথায় ঠিক কি চলছে। তাই ও ওর মতো টিভি দেখায় মনোযোগ দিলো। তখন নুপুরের শব্দ শুনতে পেলো। কিন্তু তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। কিছুক্ষণ পর আবার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ বেজে উঠলো। তবে শব্দটা মুহুর্তেই থেমে গেল। সোহানী ভয়ে ঢোক গিললো। কারন আরাদ ওর হাত চেপে ধরেছে। আরাদ দরজার আড়ালে কখন দাঁড়িয়েছে সোহানী খেয়াল করেনি। উঁকি দিয়ে হাত বাড়ানোর সাথে সাথেই খপ করে হাতে ধরে ফেলেছে। ভয়ে আর অদ্ভুত ভালোলাগায় ওর শরীর তরতর করে কাঁপছে। আরাদ কোন কথা না বলে সোহানীকে টেনে নিয়ে সোফায় বসালো। সেও সোহানীর মুখোমুখি অন্য সোফায় বসলো। সোহানী মাথা নিচু করে চুপচাপ ঠোট কামড়ে বসে আছে।
আরাদের মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এতোটুকু মেয়ে, মন চাইছিলো কষিয়ে দুইটা থাপ্পড় দিতে। তবে নিজেকে সংযত রাখলো সে। সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় সোহানীকে সবটা বুঝালো। যে এটা ওর মনের ভ্রম,আবেগ। চোখের মোহ। এটা বেশিদিন থাকবেনা।
এই বয়সে সবার এমন হয়। সোহানী অবশ্য বেশ তর্ক করছিলো। সে পিচ্চি নয়,আর দুইবছর পরই সে এডাল্ট হয়ে যাবে। সে যথেষ্ট ম্যাচিউর। আরাদ যখন বুঝলো,এভাবে কাজ হবেনা,তখন অন্য এক উপায়ে সোহানীর হাত থেকে সেদিন বেঁচে ছিলো কোনক্রমে। তবে এখনো সোহানী সুযোগ পেলেই সেটা নিয়ে প্রশ্ন করে। এজন্যই আরাদ সোহানীদের বাসায় যাওয়াটাই বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন অযুহাতে যাওয়াটা এড়িয়ে যায় সে। আবার রোহানীকেও কিছু বলে না। তবে আজকে অনেকদিন পর যাচ্ছে।
বাসায় গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই সোহানীই দরজা খুললো। আরাদ স্বাভাবিক ভাবেই কুশল বিনিময় করে ভেতরে ঢুকলো। রোহানী শুয়েছিল। আরাদকে দেখে উঠে বসলো। আরাদ বিছানার পাশের সোফাটায় বসতে বসতে প্রশ্ন করলো,

” কি রে মুটি,একটু শুকিয়ে গেছিস নাকি?”

” রোহানী হতাশ গলায় বললো,আর কত নাম দিবি তুই আমাকে? কেমন আছি তা জিজ্ঞেস করবি,তা না আছিস খালি লেগপুল করতে। রোহানী অভিমানী কন্ঠে কথাটা বললো। আরাদ হেসে মুখে দুষ্টুমির ভাব এনে বললো,কেমন আছিস জিজ্ঞেস করার জন্য তো নতুন লোক আমদানি হচ্ছে আজকাল। কথাটা বলে আরাদ ঘরের সিলিং এর দিকে তাকিয়ে মাথা চুলকাতে লাগলো। রোহানী কথাটা ঠিক ধরতে পারলনা। ঠিক সেই মুহুর্তেই আরাদের ফোনে মাউথ অর্গানের সেই করুণ সুর বেজে উঠলো। রোহানীর এই টোনটা একদম ভালো লাগেনা। যদিও সে জানেনা,এটা আরাদই বাজিয়ে রেকর্ড করে টোন সেট করেছে। টোনটা শুনে রোহানীর মনে হয় কেউ মরে যাচ্ছে। কিন্তু ঐ রাদ বদের তো এটাই ভালো লাগে। প্রেম না করেও,কেমন বাপ্পারাজের মত ছ্যাকা খাওয়ার ভাব নেয়। আরাদ ফোন রিসিভ করে মুচকি মুচকি হাসছে,আর কথা বলছে। আরাদ ফোনের ওপাশের ব্যক্তিকে বলছে,
” হ্যাঁ,আমার বন্ধু ঠিক আছে। হাঁটতেও পারছে,দৌঁড়াতেও পারছে। চাইলে নাচতেও পারবে। আরাদের কথা শুনে রোহানী চোখ গরম করে তাকালো। আরাদ ফোন রাখতে রাখতে জোরে জোরে হাসছে। রোহানী কটমট চোখে তাকালো। আরাদ হাসি থামিয়ে বললো,

” তোর এক্সিডেন্ট ওয়ালা ফোন দিয়েছিল। গত তিনদিন ফোন দিয়ে দিয়ে আমার কান ঝালাপালা করে ফেলেছে। ঐ ব্যাটার জন্যই তো তোকে দেখতে আসতে হলো। না হলে কে আসে তোদের এই পাতালপুড়ির আস্তানায়। যার চারিদিকে ডাইনি,পেত্নী লুকিয়ে থাকে। রোহানীর রাদকে এমুহুর্তে মানসিক রোগী মনে হচ্ছে। কি সব আবোল-তাবোল বলছে। আর এক্সিডেন্ট ওয়ালা মানে?

আরাদ এবার সবটা ভেঙে বললো। সেটা শুনে রোহানী বললো,
” এ্যাহ,ন্যাকামি করে। এখন এতো খোঁজ নেয়ার কি আছে?
ঢং! তখনতো এক্সিডেন্ট করে দিব্যি চলে যাচ্ছিল। এখন এতো উদারতা কোথা থেকে আসে?
বুঝলি, ঠেলার নাম বাবাজি। যেই আমি বললাম যে চিৎকার করে লোক জড়ো করবো,ওমনি সুঁড় সুঁড় করে বাইক রেখে সিএনজি করে নিয়ে আসলো। হাসপাতালে আসার পর সোহানীকে ফোন দেই,তারপর ও আসে।

” আরাদ জানে এগুলা রোহানীর দ্বারাই সম্ভব। এ বিষয়ে পূর্ণ বিশ্বাস আছে তার বন্ধুর প্রতি।
সোহানী দরজার আড়াল থেকে আরাদকে একমনে দেখছিলো। আরাদের সেটা নজর এড়ায়নি। সে সোহানীকে ডাক দিলো। সোহানী একটু ঘাবড়ে গেলেও,সাথে সাথেই এসে সামনে দাঁড়ায়। রোহানী বেশ অবাক হয়। সোহানী আড়ি পেতে কথা কেন শুনছিলো?

কলেজ থেকে বের হয়ে বিরুনিকা একটু মার্কেটে গিয়েছিল। সেখানেই সায়াহ্ন এর সাথে দেখা। সায়াহ্ন অবশ্য ওকে দেখে নি। অবশ্য ঐ ব্যাটা চোখে দেখে কিছু? ইয়া বড় এক চশমা লাগিয়ে রাখে নাকের ডগায়। কতইবা আর বয়স হয়েছে? কিন্তু ভাব নেয় এমন যেন বিরুনিকার নানা। এটা বলে বিরুনিকা নিজেই বিরক্তি ভাব প্রকাশ করলো। তবুও এগিয়ে সায়াহ্ন এর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। সায়াহ্ন এসেছিল আর্টপেপার আর রংতুলি কিনতে। বিরুনিকা ভাবতে লাগলো,এখন কি আবার নতুন ভূত মাথায় চেপেছে নাকি,সর্বনাশ!
এরপর তো এই লোককে ঘর থেকে বের করা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ন্যায় কঠিন হবে। বিরুনিকা কপাল চাপড়ালো নিজের। নিজেই নিজেকে বললো,
” হ্যাঁ রে বিরু,তোর কি মনে হয় তোর মা এই উদাসীন বালকের সাথে তোর বিবাহ দিবে? এতো তোকে পাশে বসিয়ে রেখে, বাসর রাতেও স্ক্রিপ্ট লিখবে,ছবি আঁকবে। ভাবতেই বিরুনিকার কান দিয়ে ধোঁয়া বের হতে লাগলো। নাহ,আজকে এ লোককে একটু শিক্ষা দিতেই হবে। বিরুনিকা সায়াহ্ন এর দিকে তাকিয়ে বললো,” আপনার কাজ শেষ ভাইয়া?” বিরুনিকা জেদ করেই বারবার ভাইয়া ডাকে,অবশ্য বড়ও তো।”
সায়াহ্ন তড়িঘড়ি করে বললো,হ্যাঁ হ্যাঁ শেষ। বাসায় চলে যাবো এক্ষুনি। সায়াহ্নর কথা শুনে বিরুনিকার বলতে মন চাইছিলো,কেন রে তোর কি ঘরে বউ রেখে এসেছিস,যে এক্ষুনি চলে যেতে হবে? কিন্তু মুখে বললো,
” আমিও চলে যাবো। চলুন একসাথে যায়। বিরুনিকার কথা শুনে সে মনে হয় কারেন্টের শক খেল,এমন একটা ভাব করলো।
আপনাকে আমার সাথে যেতে হবে কেন? আজকে তো রাস্তায় হরতাল,অবরোধ নেই। ঐ যে দেখুন কত গাড়ি চলাচল করছে। তার একটা দিয়ে আপনি চলে আসুন,আমি আরেকটা দিয়ে চলে যাচ্ছি। কথাটা শুনে বিরুনিকার মন চাইছিলো,সায়াহ্নর হাতের রংগুলো দিয়ে ওর পুরো শরীর লেপ্টে দিতে। আজকে হরতাল,অবরোধ নেই। তাই আমি একটা গাড়ি দিয়ে চলে যায়,আপনি আরেকটা! বিরুনিকা সায়াহ্নর কথাটার ব্যাঙ্গ করলো। কিন্তু আজকে এই লোকের সাথে এক গাড়িতে করেই বাসায় যাবে। যে যা বলার বলুক গিয়ে। বিরুনিকা হঠাৎ একটু অসুস্থ হওয়ার ভান করলো। সায়াহ্ন জিজ্ঞেস করাতে বললো,মাথা ঘুরছে। পড়ে যাবো মনে হচ্ছে। সায়াহ্ন দ্রুত বিরুনিকার হাত ধরলো। বিরুনিকা তার শরীরের ভার সায়াহ্নর শরীরের উপর ছেড়ে দিলো। সায়াহ্ন এবার বেশ ভড়কে গেল। মেয়েটা সত্যি সত্যিই অসুস্থ হয়ে গেল নাকি!
একটা সিএনজি ডেকে আগে কাগজ,তুলির প্যাকেট গাড়ির পিছনে রাখলো। তারপর আস্তে করে বিরুনিকাকে গাড়িতে বসালো। বেচারা বিশাল টেনশনে পড়ে গেছে মনে হচ্ছে। বিরুনিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিলো। তখন বিরু লাফ দিয়ে বলে উঠলো,নাহ! হাসপাতালে যাবো না,বাসায় যাবো। সায়াহ্ন বিস্মিত কন্ঠে বললো,”এতো জোরে বলবার কি আছে?”
বিরুনিকা এবার ভয়ে ঢোক গিললো। ধরা পড়ে যায় নি তো!
গাড়ি বাসার সামনে থামার পর সায়াহ্ন ভাড়া মিটিয়ে নামলো। বিরুনিকাকে ধরে নামালো। তারপর বিরুনিকাকে বললো,ওর হাতে শক্ত করে ধরার জন্য। কারন সায়াহ্নর দুইহাতই বন্ধ। বিরুনিকা শক্ত করেই ধরলো। নীল পাঞ্জাবিতে সায়াহ্ন কে মারাত্মক লাগছে। সাচী,সায়াহ্ন ভাইবোন দুটোই ফর্সা। সায়াহ্ন কে বরং সাচীর চেয়েও ফর্সা লাগে। বিরুনিকা আড়চোখে সায়াহ্ন কে দেখছিলো। আর উপরের ব্যালকুনি থেকে ওদেরকে অন্য আরেকজন দেখছিলো,আর ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ছিলো।
সায়াহ্ন বিরুনিকাকে ওর রুমে নিয়ে আসে। তখনি সাচী রুমে আসে। বিরুনিকা সায়াহ্নর বিছানায় শুয়ে ছিলো তখন। সাচী বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
” বিরুপু তোমার কি হয়েছে,ঠিক আছো তো? শরীর খারাপ করেছে কি? সাচীর চোখেমুখে উৎকন্ঠা। সায়াহ্ন বললো,মার্কেটে ওর সাথে দেখা। হঠাৎ মাথা ঘুরছিলো,তাই নিয়ে এসেছি। তুই একটা কাজ করতো,একটা স্যালাইন গুলিয়ে নিয়ে আয়। তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে। সাচী বিরুনিকার চোখের দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো,কি হয়েছে। বিরুনিকা চোখ টিপলো। সেটা দেখা সাচী চোখ বড়বড় করে তাকালো। তারপর আবার অল দ্যা বেস্ট বলে চলে গেল। স্যালাইনের প্যাকেট আর গ্লাসে করে পানি সায়াহ্ন কে দিয়ে বললো,আমার একটা জরুরি কাজ আছে বেরুতে হবে। আমি গেলাম। সাচী আর একমুহুর্তও সেখানে দাঁড়ালো না। এতোদিনে বিরুপু একটু সুযোগ পেয়েছে। সেখানে সাচীর কাবাব মে হাড্ডি হওয়ার কোন মানে হয় নাকি। সাচী বিরুনিকাকে চোখ টিপে,কেটে পড়লো দ্রুত। সায়াহ্ন স্যালাইন বানিয়ে বিরুনিকার হাতে দিয়ে বললো,নিন খেয়ে নিন। শরীর একদম ঠিক হয়ে যাবে। প্রেশার হয়তো কমে গিয়েছে। বিরুনিকা আরেকটু একটিং করলো,যেন সায়াহ্ন খাওয়ায় দেয়। এতোদিনে একটু বাগে পেয়েছে ব্যাটা সন্নাসীকে। একটু কাজ করিয়ে নেয়া যাক। স্যালাইন খেতে খেতে বিরুনিকা বিড়বিড় করতে লাগলো,আপনার হাতে তো বিষও খেতে প্রস্তুত জনাব!
সাচী রুমে গিয়েই ফোনে একটা নাম্বার ডায়াল করলো। একবার বাজতেই ফোন রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে সেই ম্যাজিকেল কন্ঠটা শুনতে পেল। যেই কন্ঠ শুনে ওর প্রতিদিন ঘুম ভাঙতো। সেই কন্ঠ শুনেই, এখন প্রতিদিন ঘুমাতেও যায়। যখন ইচ্ছে হয়, তখনি শুনতে পারে সেই কন্ঠ। যেন ঐ কন্ঠ শোনার অধিকার একমাত্র সাচীর,আর কারো না।
আর ঐ কন্ঠের অধিকারীর একচ্ছত্র অধিপতী সে।
ফোন নিয়ে ব্যালকনিতে চলে গেল। ঠোটের কোণে হাসি লেগেই আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলো এক টুকরো সাদা মেঘ উড়ে উড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে উড়ে যাচ্ছে আরো একজনের মন। যার থামার ঠিকানা ফোনের ওপাশের ব্যক্তির মনে।

#চলবে…
#জাহান_লিমু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here