যদি সত্যি টা জানতে
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
শেষ পর্ব
।
সাঈদঃ আমি তো আগেই বলে দিচ্ছি তোর মা আগেই মরে গেছে…
।
তাসফিয়াঃ তাহলে এটা কে…
।
সাঈদঃ জানি না….
।
চেচামেচি শুনে মা বাবা সবাই চলে এসেছে…
।
মাঃ কী হয়েছে….
।
সাঈদঃ কিছু না তাসফিয়া চলো…
।
আদ্রিতাঃ প্লিজ আমার কথাটা একবার শুনে যান… 😭😭😭😭
।
সাঈদঃ ওসব চোখের জলে আমার কিছু যায় আসে না..?
।
আদ্রিতাঃ আমি তো ওর মা আমি কীভাবে ওর কাছ থেকে দুরে থাকবো…
।
সাঈদঃ এ কথাটা আগে ভাবা উচিত ছিলো সময় থাকতে যখন নিজের ভুল বুঝতে পারো নি তাহলে এখন অযথাই বুঝানোর বৃথা চেষ্টা করছেন…
।
আর হ্যা এখনি বললেন না আপনি ওর মা।
।
মা কাকে বলে সেটা হয়তো জানে না মা হলো সেই যে হাজার বিপদেও সন্তানের পাশে থাকে মা সেই দুনিয়া তোমার বিপক্ষে কিন্তু মা তোমার পক্ষে…
।
মা এটা নয় যে মিথ্যা অপরাধে অপরাধী বানিয়ে ছেড়ে চলে যায় নিজের সন্তানের কথা একবারো না ভেবে….
।
।
আমি তো আপনাকে ভুলে গিয়ে সব কিছু নতুন করে শুরু করছি আপনিও তাই করেন….
।
।
আমার মেয়ের উপর যতটা অধিকার আমার আছে ততটা অধিকার আপনারো থাকতো কিন্তু আপনি সেটা নিজের কারণেই হারিয়ে ফেলেছেন…
।
।
আদ্রিতাঃ এত বড় শাস্তি দিবেন না আমাকে বাকিটা জীবন আমি আপনার সঙ্গে থাকতে চাই…
।
সাঈদঃ 🤣🤣 তখন মনে হয় নি এই কথাটা যে আমি তাকে এত বড় অপবাদ দিয়ে ছেড়ে চলে যাচ্ছি সে কীভাবে বাকিটা জীবন কাটাবে…
।
শুনেন আপনার চাকরির দরকার তো আপনার চাকরি হয়ে গেছে আমি বলে দিয়েছি তবুও আমাদের বাবা মেয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে আসবেন না…
।
মাঃ এত অভিমান জমে আছে তর মনে আমাদের জন্য …
।
সাঈদঃ অভিমান হলে কবেই ভেঙ্গে যেতো কিন্তু আমার এই পৃথিবীতে কেউ নেই নিজের আপন বলতে একমাত্র তাসফিয়া ছাড়া তাহলে কার উপর অভিমান করে থাকবো….
।
সাঈদঃ এবার আমি আসি ডিস্টাব করলাম মনে হয় এত রাতে sorry
।
।
বাবাঃ আমাদের ক্ষমা করে ফিরে আয় না…
।
সাঈদঃ আমি ক্ষমা করার কে আমি তো অনেক আগেই মরে গেছি এখন শুধু দেহটাই পড়ে রয়েছে…
।
।
তাসফিয়াঃ আব্বু থেকে যাও না দাদু দাদির সঙ্গে…
।
সাঈদঃ পারবো না চল আমার সঙ্গে…
।
তাসফিয়াঃ আমি যাবো না আমি আম্মু দাদু দাদির সঙ্গে থাকবো…
।
সাঈদঃ শেষে নিজের মার তো স্বার্থপর হয়ে গেলি একবারো আমার কথা ভাবলি না কীভাবে থাকবো আমি তোমাকে ছাড়া….
।
বেশ থেকে যা এখানে আজ থেকে আমিও ভুলে যাবো আমার কোনো মেয়ে ছিলো না…
।
।
বলেই বেড়িয়ে চলে আসলাম…
পিছনে অনেক বাড় ডেকে ছিলো কিন্তু আমার কোনো পিছু টান নেই….
।
।
আদ্রিতাঃ 😭😭😭😭😭😭😭
।
তাসফিয়াঃ আব্বু যেও না প্লিজ একটা বার তো শুনো…..
।
।
সাঈদঃ যাকে এত কষ্ট করে বড় করলাম নিজের চাইতেও এত ভালোবাসলাম সেও কী না একলা ছেড়ে দিলো আমায়……..
।
বেচে থাকার সমস্ত ইচ্ছে গুলো নিমেষেই মরে গেলো কার জন্য বাচবো কাকে নিয়ে বাচবো…..
।
।
।
।ড্রাইভারঃ স্যার গাড়ি এদিকে ওদিকে কোথায় যাচ্ছেন…
।
সাঈদঃ তুমি চলে যাও আমি হেটে চলে যাবো…
।
ড্রাইভারঃ স্যার আপনি কী বলছেন রাত অনেক হয়ে গেছে…
।
সাঈদঃ কী বললাম শুনতে পাওনি ( রেগে গিয়ে৷)
।
।
ড্রাইভারঃ স্যার আমি চলে যাচ্ছি…
।
।
তাসফিয়াঃ কী করলাম আমি এটা আব্বু কে এভাবে কষ্ট দিলাম নাহ আমি এখানে থাকবো না আব্বুর কাছেই ফিরে যাবো….
।
।
সাঈদঃ হঠাৎ সব কিছু কেমন কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে….
।
মাথাটা ভারি হয়ে আসছে কিছু দেখতেও পাচ্ছি না ঠিক তখনি একটা মাল ভর্তি ট্রাক এসে সামনে থেকে এসে খুব জোর একটা ধাক্কা মারলো ছিটকে গিয়ে রাস্তার মাঝ খানে….
।
।
আদ্রিতাঃ এত রাতে বাইরে যেও না আমি গিয়ে কাল তোমাকে দিয়ে আসবো আমি হয়তো কোন দিনও তোর হতে পারবো না….
।
।
সারাটা রাত দেখতে দেখতে কেটে গেলো….
।
সকাল বেলা….
।
আশেপাশের মানুষ জন বাইরে চেচামেচি করছে জানি না কী হয়ছে….
।
মা বাবা আমি তাসফিয়া মিলে যখন দেখতে গেলাম…
।
সেখানে গিয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করার দুসার্ধ কর হয়ে গেছিলো…
।
তাসফিয়াঃ আব্বু আব্বু কী হয়েছে তোমার উঠো..
।
আব্বু তুমি রাগ করে শুয়ে আছো না আমি আমার জেদ করবো না উঠো না…. ( আব্বুর রক্তাক্ত শরীর টা রাস্তার মাঝ খানে পড়ে রয়েছে কোনো কথা বলছে না )
।
আদ্রিতাঃ কী করবো কী বলবো মুখ থেকে কিছুই বেরোচ্ছে না…
।
এরি মাঝ খানে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক চলে আসে…
।
।
তাসফিয়াঃ আব্বু উঠো না কথা বলো 😭😭😭😭😭
।
বাবাঃ নিজের চোখের সামনে ছেলেকে দেখে জীবন্ত লাশ হয়ে গেছি…
।
।
তাসফিয়াঃ উঠো না আব্বু…..
।
( হয়তো আর কখনোই উঠবে না সাঈদ পৃথিবীর বুক থেকে চিরো তরে বিদায় নিয়ে নিয়েছে শুধু প্রান হীন দেহটাই পড়ে রয়ে গেলো )
।
।
সমাপ্ত