রংধনুতে প্রেমের বাড়ি পর্ব -০৪

#রংধনুতে_প্রেমের_বাড়ি

ঋতুরাজ বসন্ত। ফুলে ফুলে ভরা চতুর্দিক। শীতের পাতাঝরা বৃক্ষগুলো অনেকদিন পর নতুন যৌ’বনে পা রাখল। প্রকৃতির জীর্ণতা মুছতে শুরু করল। মৃ’ত ন’গ্ন ডালগুলোতে সজীব-সবুজ পাতার বিস্তার ঘটল।জাদুময় সকালের মিষ্টি রোদ ছিটকে পড়ল চৈতালির কক্ষে। গতকাল রাতে ভুলে কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করেনি। সেজন্যই তো অক্ষর হুট করে রুমে প্রবেশ করে। মৃদু আলো চোখে-মুখে পড়তেই বিরক্তরা হানা দিল অলস শরীরে। দুহাত উপরে তুলে অলস ভঙ্গিমায় বসল চৈতালি। অক্ষর চলে যাবার পর বিছানায় গড়াগড়ি করে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝেনি। বিছানা থেকে চরণ দুটি মেঝেতে ফেলতেই দৃষ্টি পড়ল সাইড টেবিলের উপর। দুটো লাল টুকটুকে গোলাপ সাথে চিরকুট। ভ্রু কুঁচকে চিরকুট হাতে নিয়ে মনোযোগ নিয়ে পড়ল,
” অনুরাগী কন্যা, আপনি জানেন রাগ করলে আপনাকে ভয়’ঙ্কর রূপবতী মনে হয়। নয়ন জুড়িয়ে যায় আমার। ইচ্ছে করে বারংবার তাকিয়ে থাকি। অনিন্দনীয় মুখশ্রী প্রসিদ্ধ করে আমার অন্তরিন্দ্রিয়। ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে লাল গোলাপের বেশ সুনাম। আমাকে গ্রহণ করবেন না জানি আমি কিন্তু গোলাপ দুটোর কোনো দোষ নেই। আপনার স্পর্শ সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল আগ্রহ পোষণ করেছে গোলাপ দুটো। অনুগ্রহ করে গোলাপ স্পর্শ করে ওদের মনের বাসনা পূরণ করে দিন।”

ইতি,
আপনার ভাষ্যমতে অ’সভ্য লোক।

চৈতালি মনোনিবেশ সহকারে চিরকুট পড়ল। খুশি নাকি বিরক্ত তাঁর মুখ দেখে বুঝা গেল না। চিরকুট বইয়ের ভাঁজে রেখে গোলাপ দুটো হাতে নিল। ভাবনা চিন্তা ছাড়াই এগোতে লাগল অক্ষরের কক্ষে। আজ সে এসপার-ওসপার করেই ছাড়বে। লোকটির সীমার মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে। জোর করে কিংবা বিরক্ত করে ভালোবাসা হয়? হয় না। আজ লোকটিকে বুঝাবে সে। ভালো করে বুঝিয়ে আসবে। মনে-মনে অনেক কথা সাজালো চৈতালি এখন শুধু অক্ষর বুঝে কিনা সন্দেহ।

অক্ষর পায়ের উপর পা তুলে বাবু আনায় নিজ কক্ষে বসে আছে। দৃষ্টি ল্যাপটপ সীমায়। ব্লুটুথ অন করে কাউকে নির্দেশ দিচ্ছে। হুট করে চৈতালি তাঁর সামনে চলে আসবে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। দ্রুত হাতে ল্যাপটপ বন্ধ করে ব্লুটুথ অফ করে বিস্মিত কণ্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো, আপনি এখানে? হুটহাট আসার কারণ?

চৈতালি ল্যাপটপে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হতবিহ্বল গলায় প্রশ্ন করল, আপনি কী করছিলেন?

অক্ষর দ্রুত নিঃশ্বাস ছাড়ল। চৈতালি কিছু দেখেছে কিনা বুঝে ওঠার চেষ্টা করল। মনে-মনে রে’গে উঠল নিজের উপর। জরুরী কাজকর্ম করার সময় দরজা বন্ধ করতে হয় মন সত্তা জানান দিল। চৈতালি সন্দেহ নজরে আবারও বলল, আমায় দেখে দ্রুত ল্যাপটপ বন্ধ করলেন কেন? আপনাকে দেখে সুবিধার মনে হচ্ছে না। বলুন কী করছিলেন এতক্ষণ আপনি?

অক্ষর বুঝল চৈতালি কিছু দেখেনি। ওঁকে দেখে ল্যাপটপ বন্ধ করে দেওয়ায় সামান্য সন্দেহ করেছে। অনেক বড় বি’পদ সংকেত নিঃশেষ হওয়ায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল চৈতালির গোপনে। ঠোঁটের কোণায় প্রবাহিত হলো চমৎকার হাসি। সাবলীল অথচ অনৈতিক একটি বাক্য ব্যবহার করল, আপনি যা ভাবছেন তেমন কিছু আমি দেখিনি। আমি ভীষন ভদ্র ছেলে।

থমথম খেল চৈতালি। অবাক গলায় বলল, মানে?

ভ্রু-জোড়া একবিন্দু করে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উত্তর দিল, শিশু সেজে লাভ নেই। ছি বেয়াইন আপনার চিন্তা ভাবনা কত্ত বাজে। আমার মত নির্দোষ , নিষ্পাপ ভদ্র ছেলেকে নিয়ে বাজে চিন্তা করতে আপনার হৃদয়ে বাঁ’ধলো না। এজন্যই বললাম চলুন বিয়ে করে ফেলি। খারাপ চিন্তা ভাবনা সব মুছে যাবে মন থেকে।

চমকানো নয়নে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে এক দৌঁড়ে অক্ষরের কক্ষ ত্যাগ করল চৈতালি। লোকটি দিনকে দিন নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছে। ছি কত খারাপ মন-মানসিকতা। লজ্জায় পুরো শরীর কাঁপছে চৈতালির। সে তো জিজ্ঞাসা করেছে কি করছিল। তাঁকে দেখে লোকটি অতি দ্রুত ল্যাপটপ বন্ধ করল সেজন্য সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করল। কিন্তু লোকটা কি বলল? কান্না পাচ্ছে ভীষন। লোকটির সামনে সে আর যাবে না। কথা বার্তার লিমিট না থাকা লোকের সামনে সে পড়বে না। এক্ষুনি সে দরজা আটকিয়ে কক্ষে বসে থাকবে। লোকটি যতক্ষণ না পর্যন্ত বাসা থেকে বের হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে কক্ষ থেকে বের হবে না। কিছুতেই না ।

********

অক্ষর চয়নের সামনে বসে আছে। চোখে মুখে বি’ভৎস ভ’য় চয়নের কিন্তু অক্ষর শান্ত স্বাভাবিক। ঢোক গিলে চয়ন বলল, এনিথিং রঙ ভাইয়া? আমায় হঠাৎ ডাকলেন কেন?

সুগাঢ় কণ্ঠে বলল অক্ষর, দায়িত্ত্ব কর্তব্য পালন করতে না পারলে কেন নিতে চাও সেই দায়ভার? যদি নিতে নাই পার তাহলে আগ বাড়িয়ে দায়িত্ব নিতে যেও না।
-” আপনার কথা বুঝলাম না ভাইয়া।

অক্ষর ল্যাপটপ চয়নের সামনে ধরল। ল্যাপটপে দৃষ্টিপাত করতেই নেত্রদ্বয়ে আগুন জ্ব’লে উঠল। মুখমণ্ডলে ছিটকে পড়ল আগুনের ফুলকি। বেদিশা হয়ে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে খেঁক করে বলল চয়ন, দুনিয়ার আলো সে অনেক দেখেছে। আজকের পর থেকে আর দেখবে না। আমি দেখতে দিবো না। ভাইয়া আমি আমার দায়িত্ত্ব কর্তব্য আপ্রাণ চেষ্টায় পালন করব। আজকের পর ভুল-ক্রুটি আপনি খোঁজে পাবেন না।

চয়ন চলে গেল। অক্ষর দুহাত মাথার উপরে রেখে শান্ত ঠোঁটে রহস্যময় হাসি দিল। অস্পষ্ট ভাষায় বলল, গোলাপের সুঘ্রাণ নেওয়ার জন্য প্রথমে গোলাপের কাঁটার সম্মুখীন হতে হয়। চয়ন তুমি কিন্তু এখনও কাঁটার সম্মুখীন হওনি। কিন্তু হবে খুব তাড়াতাড়ি হবে। তাছাড়া আমার গোলাপ আমায় যতই কাঁটা ছাড়ুক আমি সহ্য করে নিবো। গোলাপ ধরতে হলে কাঁটার আ’ঘাত সহ্য যে করতেই হবে।

******

জানালার সামনে শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চৈতালি। আজ তাঁর মনে লজ্জারা বাসা বেঁধেছে। ছোট থেকেই গ্রামে থেকেছে। চুপচাপ ধরনের মেয়ে সে। কোনোকালে ছেলে বন্ধু বানাতে পারেনি। কোনো ছেলে কথা বলতে আসলে কন্ঠস্বর শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। আমতা-আমতা করে কথা বলতো। সবসময় একা একা থাকতে ভীষন পছন্দ করত। ছোটকাল অব্দি তার মাত্র একজন বান্ধবী ছিল কিন্তু শহরে চলে আসার পর কয়েকদিন বন্ধ ঘরে নিজেকে বন্ধি করে রেখেছিল। তখন ঝুমুর ছিল তার সঙ্গী। ধীরে ধীরে মায়ের চলে যাওয়ার কষ্টটা সামলে ঝুমুর ও চাঁদের সাথে বেশ সখ্যতা স্থাপন করল। শহরে আসার পর চয়ন ভালো একটি ভার্সিটি ভর্তি করিয়ে দেয় তাঁকে। ক্লাসের প্রথম দিন চয়ন ভার্সিটি নামিয়ে চলে যায় নিজ কাজে। চৈতালি তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে। এত বড় ভার্সিটি, কতগুলো বিল্ডিং। সবগুলো বিল্ডিং এ চোখ বুলিয়ে দেখতে পায় একজায়গায় লিখা ” বাংলা বিভাগ ” লিখাটা দেখে সেদিকে পা বাড়ায়। কিন্তু অনেকগুলো রুম থাকায় বুঝতে পারে না তার ক্লাস কোনটায় হয়। তাঁর থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকে একটি মেয়ে, বেশ লম্বা, ছিমছাম দেহ নিয়ে কারো সাথে তর্ক করছে। চৈতালি ঘাবড়ে যায়। মেয়েটা যদি সিনিয়র হয় তাহলে তাঁকে শাস্তি দিবে কিনা। গলা ঝেড়ে মেয়েটির সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করে, আপু বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ক্লাস কোথায় হয়?

না তাকিয়ে উত্তর দিল মেয়েটি, সেকেন্ড ফ্লোরের সেকেন্ড রুম।
“- ধন্যবাদ।

ব্যাস এটুকুই বলেই সে চলে আসে ক্লাসরুমে। কিন্তু রুমে প্রবেশ করার পর পরেই তাঁর চক্ষু চড়ক গাছ। সেই মেয়েটা বসে আছে ক্লাস রুমে। প্রথম বেঞ্চ দখল করে আছে। চৈতালিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি প্রশ্ন করল, আজ আমায় দেখতে ভূতের মত লাগছে? নাকি অন্য জগতের প্রাণী?

আশ্চর্য হয়ে বলল চৈতালি, তুমি না বাহিরে ছিলে। আমি আসার আগেই চলে আসছো? তোমায় তো দেখিনি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে।

অট্টহাসিতে ফেটে যায় মেয়েটি। চৈতালিকে ধরে তাঁর সাথে বসিয়ে বলল, যাকে দেখেছো ওইটা আমার কার্বন কপি মানে যমজ বোন। কান্তা।

মানুষের নাম কান্তা হয় চৈতালি জানত না। তাঁরা তো মাছের মাথার সাথে কাঁটা অংশে থাকা যেটা থাকে ওইটাকে কান্তা বলে। শহরের মানুষজন আজকাল আজীব আজীব নাম রাখে। প্রথম শুনেই তাজ্জব বনতে হয়। মেয়েটি তখন আবার বলে উঠল, আমি শান্তা। আমি কথা বলতে পছন্দ করি কিন্তু কান্তা শান্ত প্রকৃতির তবে যখন রাগ উঠে তখন মা উরুঁচন্ডি হয়ে যায় হাহাহা।

চৈতালিকে ভীষণভাবে মনে ধরে শান্তার। সেদিনের পর থেকে চৈতালির জীবনে দুজন যুক্ত হয় শান্তা ও কান্তা। তাদের মধ্য এখন বেশ সখ্যতা। তিনজন তিনজনকে ছাড়া কিচ্ছুটি বুঝে না। শান্তার মাধ্যমে সে অনেক কিছু শিখতে পায়। গ্রামের সেই হালোভালা মেয়েটি এখন শহরের মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে মিলার চেষ্টা করে। বুঝতে পারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। গোপনে ছোট্ট দম ছেড়ে ফোন দেয় কান্তাকে……
-” এই যে ম্যাডাম। আপনাকে ইচ্ছে করছে এক্ষুনি ব্রিজের উপর থেকে ধা’ক্কা মেরে পঁচা পানিতে ফে’লে দিতে। দুই সপ্তাহ পর ফোন? আমরা কতবার ফোন দিয়েছি জানেন? রিসিভ কেন করেননি? বিয়ে-শাদী করে ফেললেন না তো আবার?

শান্তা ফোন রিসিভ করে বকবক করে চলল। চৈতালি ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে বলল, তোদের দাওয়াত না দিয়ে যদি বিয়ে করি তাহলে আমার সংসার টিকবে বল? তোরা তো উঠতে বসতে বদদোয়া দিবি। বিয়ে করলে অবশ্য তোদের দাওয়াত দিতে ভুলব না। বদদোয়া নিয়ে সংসার করা যাবে না বুঝলি!

শান্তা জোরে হাসতে লাগল। কান্তা ফোন নিয়ে ধীর কণ্ঠে বলল, ফোন রিসিভ করিসনি কেন? কোনো সমস্যা?
-” হুম দোস্ত । সমস্যার গডফাদার আমার বাড়িতে হাজির। তোদের একটা হেল্প লাগবে।

দুজনে চমকানো কণ্ঠে শুধাল, কী হেল্প?

চৈতালি মনেমনে বাক্য সাজিয়ে চুপিচুপি বলল। শান্তা তখন উৎসাহিত কণ্ঠে বলল, এটা কোনো সমস্যা? আমি তুড়ি মে’রে সব ঠিক করে ফেলব। শা’লা কে আমার সামনে হাজির করিস শুধু।

ওপাশ থেকে কান্তা মৃদু ধমক দিল শান্তাকে বলল, স্ল্যাং শব্দ উচ্চারণ করবি না শান্তা। বাবা শুনলে বকবে।
-” বাবার সামনে কে বলল? তুই তো আবার বিভীষণ বললেও বলতে পারিস। হারে ব’জ্জা’ত মেয়ে ।

আবহাওয়া গরম সেজন্যে চট করে ফোন কেটে দিল চৈতালি। এখন নিশ্চয় দুবোনের মধ্য বিরাট যু’দ্ধ হচ্ছে। যু’দ্ধের পরিণীতি শেষ পর্যায়ে দাঁড়াবে পাঁচ মিনিট কেউ কারো সাথে কথা বলবে না কিন্তু পাঁচ মিনিটে পেটের ভিতর তাদের সাইক্লোন শুরু হবে। তাদের ভাষ্যমতে তখন নাকি তাদের পেট ফুলে যায় শব্দ ভান্ডার জমে থাকার জন্য।

****

অক্ষরের রুমে আবারও আসলো চৈতালি। তবে এবার দরজায় শব্দ করে এসেছে। অক্ষর বেশ কিছুক্ষণ চৈতালিকে মনযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করল। বুঝল মেয়েটা তাকে ফাঁ’সানোর জন্য ফাঁ’দ তৈরি করেছে । বইয়ের পাতার মতো পড়া যাচ্ছে চৈতালি নেত্র। ঠোঁট চেপে হাসল অক্ষর। অকপটে বলে ফেলল, বিয়ে করার জন্য প্রপোজ করতে এসেছেন ম্যাম?

শরীর জ্ব’লে উঠল চৈতালির তবুও নিজেকে ধাতস্থ করে বলল, আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন? বিয়ের আগে আপনার সম্পর্ক জানতে চাই আমি। আপনারও দরকার আমার সম্পর্কে সবকিছু জানা।

অক্ষরের ভীষন হাসি পাচ্ছে এবার। অট্টহাসিতে ফেঁ’টে পড়তে ইচ্ছে করছে কিন্তু সে সেটা করল না। চৈতালীর ফাঁ’দে ইচ্ছে করে পা বাড়ালো। সেও জানতে চায় মেয়েটা কী করতে চাইছে । তাই বলল, যেতে সমস্যা নেই আমার কিন্তু ঝুমুর? মনে কটকা লাগবে না ওর?

দ্রুত বলল চৈতালি, আপনি আগে কাজের কথা বলে বেরিয়ে পড়বেন। আমি অন্যকিছু বলে পাঁচ মিনিট পর বের হবো।
-” তাই হবে ম্যাম। আপনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সাধ্য যে আমার নেই।” বুকের উপর হাত রেখে বলল অক্ষর।

##চলবে,
®ফারজানা মুমু

[বিঃদ্রঃ ১ . গল্পের সাথে বাস্তবের মিল নেই। কান্তা নাম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না কেউ। গল্পের স্বার্থে কথাগুলো বলা হয়েছে। কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়।]

[বিঃদ্রঃ ২. নাইচ, নেক্সট না লিখে সুন্দর মন্তব্য করবেন প্লিজ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here