#লাজুকপাতা
#শেষ পর্ব
অসময়ে আমাকে বাড়ি যেতে দেখে মা চিন্তায় পড়ে গেল। কিছু হয় নি তো আবার! আমি হেসে নিশ্চিন্ত করলাম যে সব ঠিক আছে। আসলে অনেক কিছু ঠিক নেই। আমার মনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যে ঝড়ের খবর আমি কাউকে বলতে পারছি না। আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম সংসার করতে গিয়ে আমিও একটু, আধটু নাটক শিখে গেছি।
পরী আপা আমাকে ফোন করে কারণ জিজ্ঞেস করে। আমি তাকেও কিছু বলি না। নাবিদ নাকি তাকে ফোন করে বলেছে আমি রেগে বাড়িতে এসেছি। আমি চুপচাপ থাকি। আপা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে ফেলে। আমি তবুও মুখ খুলি না।
এখন ভরা বর্ষাকাল। চারদিকে জল থৈথৈ। পুকুরের পানি ঘাট পর্যন্ত উঠে এসেছে। কদম গাছে ফুল ফুটে চিকচিক করছে।
দিন দুয়েক পর পরী আপাও আসে। মায়ের সন্দেহ আরও বাড়ে। আপা সামলে নেয় সব টা। বলে, জরী এসেছে বলে এলাম। আমিও জরীর সঙ্গে চলে যাব আবার।
আপা সব টা জানে। আমি কিছুই বলি না। আপা আমাকে বলে,
“নাবিদ আমাকে সব বলেছে জরী। ও তোর ছবি সেই ছেলেটার কাছেই পেয়েছিল। তোকে দেখে ভীষণ ভালো লাগে তারপর ই বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। এইটুকু ঘটনায় তো আমি দোষের কিছু দেখছি না জরী। তুই ঠিক কী কারণে এটা নিয়ে আপসেট আমাকে বল তো?”
আমি আপার প্রশ্নের জবাব দেই না। নাবিদের কথা ভাবি, মুক্তা একবার বলেছিল যে নাবিদ বাড়িতে বলেছে ও আমাকেই বিয়ে করবে। আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করা ওর পক্ষে সম্ভব না।
আপা আমাকে ঘুরিয়ে তার দিকে ফেরায়। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। বলে,
“উল্টাপাল্টা কিছু ভাবছিস না তো! ভুল কিছু ভাবিস না জরী। ”
আমি আপাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদি। আমি আমার সমস্যা টা কাউকে বুঝাতে চাই না।
নাবিদ আসে দুদিন পর। বেচারার চেহারা দেখেই বোঝা যায় খাওয়া, ঘুম সব বন্ধ হয়ে গেছে। মা বলেন,
“আমিও বুঝেছিলাম, ঝগড়া করে এসেছে না! ও তো এমনিতে শান্তই কিন্তু….
মায়ের ইঙ্গিত বুঝে নাবিদের মাথা নত হয়। ঘরে চাচিমা, চাচাজান সবাই আমার উপর রাগ হয়। মোটে একটা বছর পার হয়েছে বিয়ের, এরমধ্যেই রাগ করে একা একা বাপের বাড়ি আসা শিখে গেছে! একটু বেশীই বুঝি সবকিছুতে।
নাবিদ আমাকে বলল,
“আমি মিথ্যে বলেছি, তোমার অপরাধীও। এখন যদি শাস্তি দিতে চাও তো তাই দাও।”
“আমি তোমাকে যেমন ভেবেছি, তুমি আসলে তেমন না নাবিদ। হঠাৎ ধাক্কাটা মেনে নিতেও তো একটু সময় লাগবে। ”
নাবিদ বিস্মিত গলায় বলল,
“তুমি আমাকে এখন কেমন ভাবছ জরী?”
আমি নাবিদ কে বলি না যে ওর অভিনয় টুকু আমার প্রত্যাশার বাইরে ছিল। নাবিদ আরও অস্থির হয়। ও কী ভাবে কে জানে, বারবার আমার কাছে ক্ষমা চায়।
আমি দুদিন পর ওর সঙ্গে ফিরেও যাই। যাবার সময় আপা বলে,
“মানুষ কে অনেকসময় অন্ধের অভিনয় করতে হয়। অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করতে হয়। তুইও ওই ছবির অংশ টা জীবন থেকে মুছে ফেল। ধরে নে, ওটা তোর হাতেই আসে নি। ওটার আগ পর্যন্ত নাবিদ তোর কাছে যেমন ছিলো তেমন ই আছে। তবে ছেলেটা তোকে ভালোবাসে! ওর চোখে পানি দেখেছি আমি তোর জন্য। ”
আমি বাড়ি ফিরি, স্বাভাবিক হই। সংসারের কাজকর্মে মন দেই। তবুও কোথায় যেন মনে হয় জীবনের ছন্দ নেই। লিপি ভাবী একদিন বলে, আম্মা নাকি ভীষণ খুশি হয়েছিলেন আমার ওভাবে চলে যাওয়ায়। তিনি আরও বলেছেন যে আমি তার ছেলেকে জাদুটোনা করেছি। শুধু আমি একা না, আমার পরিবারও এরসঙ্গে জড়িত আছে।
আমার ভীষণ মন খারাপ হয়। একা একা ভাবি এ আর নতুন কী। দেড় বছর তো কেটেই গেল! এখনো কেন এসবে অভ্যস্ত হতে পারছি না।
মুক্তা দিন দিন আরও খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। বেচারির রাতে ঘুম হয় না, বড় কষ্ট হয়। রোগা হয়ে যাচ্ছে। প্রেগন্যান্সির এই ধকল টা নিতে পারে না। লিপি ভাবী ফরমায়েশ মতো কাজ করে, তবুও একটু কিছু ভুল হলে খিটমিট করে। আম্মা মেয়েকে আরও প্রশ্রয় দেন। আমার মনে হয় এই সময় এই প্রশ্রয় টুকু ঠিক আছে। কিন্তু ভাবীকেও আলাদা করে বলে দেয়া উচিত যেন মন খারাপ না করে।
লিপি ভাবীর সঙ্গে জামিল ভাইয়ের সম্পর্ক সম্ভবত খুব একটা সহজ না। জামিল ভাই ভাবীকে বিয়ে করে এনেছেন ঠিক ই কিন্তু তার সঙ্গে এখনো সহজ হতে পারে নি। লিপি ভাবী একদিন মন খারাপ করে বললেন,
“আমার আর সংসার হবে না জরী। আল্লাহ আমারে কঠিন শিক্ষা দিছে। ক্যান যে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝলাম না। ক্যান যে ওইদিন সকলের কথায় সিনেমা দেখতে গেছিলাম! এমন সোনার সংসার ছিলো আমার! কিছু করার আগে কাউরে জিগান লাগতো না। আর মেহেদীর বাপেরে মুখফুটে একবার কিছু আনতে বললে ঘরে নিয়া আসতে দেরি করতো না। ”
জামিল ভাই প্রায় রাতেই কাঁদেন। ছাদের ঠিক যে জায়গায় টুম্পা ভাবী দাঁড়িয়ে নি:শব্দে কাঁদতো ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেও কাঁদেন। নাজমা ভাবী এই কথা বলেছেন আমাকে। জামিল ভাইও সম্ভবত লিপি ভাবীর মতো ভাবে, কেন আগে তার একান্ত মানুষ টার মূল্য বোঝে নি।
আমি নাবিদের উপর রেগে থাকি না আর। যে শীতলতা দুজনের সম্পর্কে এসেছে সেটা নিজেই মিটাই। নাবিদ কে বলি, আর কোনোদিন আমায় মিথ্যা যেন না বলে। সংসারে ও আমার একমাত্র মানুষ যার সঙ্গে আমি কোনো ভান করি না। যেটুকু ভালোবাসা আসে সেটা হৃদয় থেকেই আসে। এই একই বাক্য টাপুর টুপুর এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য না। মা ছাড়া দুটো মেয়েকে আমি ওদের জন্য ভালোবাসি। কিন্তু নাবিদ কে আমি ভালোবাসি নিজের জন্য।
নাবিদ আমাকে ছুঁয়ে কথা দেয়। আমি বিশ্বাস করি ও নিশ্চয়ই ওর কথা রাখবে। যার হাত ধরে পলাশবাড়ী ছেড়ে কংক্রিটের শহরে এসেছিলাম তাকে তো আমি চিনতামও না। তবুও বিশ্বাস, ভরসায় এসেছি। আর এখন তো আমি ও’কে চিনি।
***
ভাদ্র মাসের এক দুপুরে শিল্পী আক্তার লাভলী আসে তার মেয়েকে নিয়ে। ওরা ভীষণ বিপদে পড়ে আসে। পাশা মিয়া শিল্পীর নামে চারটা এনজিও থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা লোন নিয়েছে। স্থানীয় পয়সাওয়ালা কয়েকজনের থেকেও সুদে বিরাট অঙ্কের টাকা নিয়ে ঘরের দামী সব জিনিসপত্র নিয়ে মনিকে সাথে করে পালিয়েছে। আমাদের কাছে এসেছে আমরা খোঁজ খবর জানি কিনা সেটার জন্য। অনেক হাতে পায়ে ধরেছে সবার। এই ঘটনা শুনে বাবা জামিল ভাই কে বললেন সে বেঁচে থাকতে মনি যেন এই বাড়িতে আর না আসে।
মনির জন্য এবার তার ভাইদের খুব চিন্তা হয়। অল্প বয়সের আবেগ কে প্রশ্রয় দিয়ে বিয়ে করেছে সেই অবধি ঠিক আছে। কিন্তু এখন কি করছে! এই বিপদ কে কিভাবে সামলাবে।
আর আমি ভাবি শিল্পীর কথা। জানিনা ও কী ভেবে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিয়েছিল! এভাবে একদিন সব হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরার আশা তো নিশ্চয়ই করে নি। বাপের বাড়ি, ভাইয়ের বাড়ি কোথাও জায়গা পাচ্ছে না। নবীনগর এক দু:সম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় উঠেছে তাও অনেক লাঞ্চিত হতে হচ্ছে।
আমি দুপুরে খেয়ে যেতে বললাম। মা মেয়ে দুজনের কেউই তেমন কিছু খেতে পারলো না। মেয়েটার জ্বর, ওষুধ কেনার টাকা আছে কিনা ভেবে কিছু টাকাও দিলাম।
জামিল ভাই সাবধান করে দিলেন এদিকে যেন না আসে। বারবার এলে কারো চোখে পড়তে পারে। তাতে মা মেয়ের সমস্যা আরও বাড়বে।
***
অবশেষে আমার নিজের সংসারের স্বপ্ন পূরন হলো। আমার মা বনেদী বাড়িতে একান্নবর্তী পরিবারে বউ হয়ে আসার পর কোনোদিনই খুশি ছিলেন না। ওই সংসারের কর্তা, কর্ত্রী চাচাজান আর চাচিমা। মা নিজের মতো কখনো কিছু পারতেন না। আমাকে নিয়েও তার আফসোসের শেষ ছিলো না। একটা সময় আমিও হাপিয়ে যাই। একটা বাড়িতে ভালো, মন্দ দুই ধরনের মানুষই থাকে। তবুও কেউ একজন আমাকে খারাপ জানছে, আমার খারাপ চাইছে এটা ভাবলে অস্বস্তি হয়।
নাবিদ কে আমার কিছু বলতে হয় না। ও নিজেই বলে, আলাদা বাসা হলে তুমি সবকিছু একা সামলে নিতে পারবে তো? ভয় পাবে না তো!
আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গেল। গোপনে আলাদা সংসারের স্বপ্ন যে আমিও দেখি। সে স্বপ্নের কথা কাউকে বলি না, এটাও ভাবি যে সেই স্বপ্ন কখনো পূরন হবে না।
আমাদের বাড়ি ছাড়ার কথা শুনে সবার মন খারাপ হয়। নাবিদ কোনো কারণ বলে না। অফিসের কাছে বাসা নিলে ওর সুবিধা হয় এটুকুই বলে। আম্মার মুখটা ছোট হয়ে যায়। তিনি নাবিদ কে বোঝানোর বৃথা চেষ্টা করেন। নাবিদ খানিকটা অভিমান করে বলে,
“এমনিতেও তোমার সংসারে টাকা দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজ তো আমার নাই আম্মা। আর টাকা তো আমি দেব। ওটা নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না। ”
আম্মা অনেক দিন পর আমার সঙ্গে নরম গলায় কথা বলতে আসেন। নিজেদের বাড়ি ছেড়ে আমরা কেন ভাড়া বাড়িতে থাকব। ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার দরকার নেই।
***
সবকিছু কেমন দ্রুত হয়ে যায়। কলাবাগানে দুই বেডরুম, এক ডাইনিং, ড্রইং এর বাসা পছন্দ হয়। নাবিদ আমাকে নিয়ে যায় দেখার জন্য। ছিমছাম, সুন্দর বাসা। আমি স্বপ্নে ঘরটাকে নানারকম ভাবে সাজাই। আমার মা আর পরী আপা ভীষণ খুশি হয়। মা নিশ্চিন্ত হয় এবার। আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে সংসারের জিনিসপত্র কিনি। প্লেট, গ্লাস, কাঁচের বাটি, চায়ের কাপ। একটা একটা জিনিস হাতে ধরে কেনা হয়। এই সময়ের অনুভূতি অন্যরকম আনন্দের। এই আনন্দের কোনো বর্ননা হয় না।
***
আজ আমার যাবার পালা। আম্মা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আমি অবশ্য কিছু আশাও করি নি। আমরা দুজনেই কখনো কারোর প্রিয় হতে চাই নি, হবার কথাও না। বাক্স, প্যাটরার সঙ্গে দুটো রক্তে মাংসে গড়া মানুষও যাচ্ছে আমাদের সাথে। নাবিদ জামিল ভাই কে বলেছে, টাপুর টুপুর জরীর সঙ্গে থাকুক ভাইয়া। জরী ওদের যতটুকু যত্ন নিবে তা ওরা এই বাড়িতে জীবনেও পাবে না। অন্তত মেয়ে দুটো আরেকটু বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুক।
জামিল ভাই মেনে নিয়েছেন। তিনি মেয়েদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছেন। মেয়েরা নতুন বাসায় যাবার আনন্দে এতটা বিমোহিত যে বাবার দু:খ তাদের ছোট্ট হৃদয় স্পর্শ করলো না।
আম্মা খুব কাঁদলেন। তিনি কিছুতেই নাতনিদের কাছছাড়া করবেন না। তবুও আমাদের ফিরতে হয়, সব মায়া কাটিয়ে।
***
আমরা সবাই মিলে আমাদের নতুন বাসা সাজাই। টাপুর টুপুর নতুন পরিবেশ, নতুন বাসায় এসে খুব খুশি হয়। আলাদা আলাদা জিনিস কেনা হয় ওদের জন্য। নাবিদ এখন তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।
সপ্তাহের চার, পাঁচ টা দিন ই বাবা এসে এখানে থাকেন। আমি একা সব সামলাতে পারব না এই অজুহাতে আসেন। আমি খুশি হই। জামিল ভাই আর লিপি ভাবীও আসেন। তাদের আসা দেখে টাপুর টুপুর প্রথমে ভয় পেত। ওরা ভাবতো এই বুঝি নিয়ে যাবে।
বাবা প্রতি মাসে কিছু টাকা আমার হাতে দিয়ে যান জোর করে। তিনি বলে দিয়েছেন নিচতলার বাসা ভাড়া জামিল ভাই কে নিতে, আর তিন তলার বাসা ভাড়া নাবিদ কে নিতে। আমরা প্রথমে না করলেও বাবা জোর করে দিয়ে গেছেন।
অরু পরীক্ষা শেষ করে আমার কাছে থেকে যায় অনেকদিন। পরী আপা আসেন মাঝেমধ্যে। আপা একদিন জানালো যে সে আবারও পড়াশোনা শুরু করবে ওপেন ইউনিভার্সিটিতে। দুলাভাই রাজি হয়েছে।
শুনতে ভালোই লাগে, কেন যেন দু:খের গল্প আমি নিতে পারি না। ভীষণ মন খারাপ হয়। সবসময় ই চায় আমার আশেপাশে সবাই ভালো থাকুক, কারো দু:খের গল্প আমার কানে না আসুক।
***
নাবিদ কে আমি কখনো সেই ছেলেটার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করিনি। জানতেও চাই নি সেই ছেলেটা ওর কী হয়, কিভাবে চিনতো, কোথায় থাকে। কিছু ব্যাপারে কৌতূহল হলেও জানতে চাওয়া উচিত না। তবে আমার সেই ছেলেটার কথা মনে পড়ে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যখন কাজল পরতে যাই তখন মনে পড়ে ছেলেটা আমাকে বলেছিল, এই তোমাকে দেখতে অনেকটা দিব্যা ভারতীর মতো।
আমার ঘরটা উত্তরমুখী। ছোট একটু বারান্দাও আছে। সেই বারান্দায় বসে আমি বই পড়ি, চা খাই, ফোনে কথা বলি। আর মাঝেমধ্যে সেই ছেলেটার কথাও ভাবি। এই ভাবনা বোধহয় অন্যায়। তবুও ভাবতে ভালো লাগে। সেই ছেলেটা বোধহয় জানে তার লাজুকপাতা অন্য একজনের বউ। যার বউ সে আবার তার ই কাছের লোক। ছেলেটার নিজেরও একদিন ঘর, সংসার হবে। আটপৌরে শাড়ি পরে ঘামে ভিজে একজন তার জন্য রান্না করবে। সেই মেয়েটা জিজ্ঞেস করবে ছেলেটা এর আগে কাউকে পছন্দ করতো কিনা! ছেলেটা তখন আত্মবিশ্বাসী গলায় বলবে না। তার বউই একমাত্র ভালোবাসা তার জীবনে। কিন্তু মনে মনে বলবে,
একজন তো ছিলো, সে নিজেও আমার হতে চায় নি, আর আল্লাহও আমার ভাগ্যে লিখে নি। এজন্যই বোধহয় সে লাজুকপাতা।
কিছু কথা ভাবনায় ই সুন্দর। আমি ওই ছেলেটাকে ভাবনায় সুন্দর ভাবি। জানিনা বাস্তবে সে কেমন হতো। সুবর্না একদিন বলেছে মানুষ অতি শখের জিনিসের যত্ন নিতে পারে না। বরং কল্পনাতীত কিছু পেয়ে গেলে সেটাকে আগলে রাখে। তবুও যা পেয়েছি সেটাতে অনেক খুশি।
সমাপ্ত…….
(লাজুকপাতার জার্নিতে যারা পাশে ছিলেন তাদের ভালোবাসা জানাই। আবারও নতুন জার্নিতে সামিল হবেন ইনশাআল্লাহ।)