হৃদ রোগ # অহর্নিশা # পর্ব সংখ্যা ১

# হৃদ রোগ
# অহর্নিশা
# পর্ব সংখ্যা ১

. এই সু তুই কলেজের ভিতরে না গিয়ে বাইরে কী করছিস ?

অনুরে সামনের দিকে দেখ , আমি যা দেখছি তুইও কী তাই দেখছিস ?

সুদেশনার কথায় অনুরীমা সামনের দিকে তাকায় , চমকে ওঠে সে । এ কী দেখছে ?? তারপর সুদেশনার দিকে তাকায় তার চোখের কোনে জল চিকচিক করছে , একটু হলে তা গড়িয়ে পরবে ‌।

অনু সুদেশনার কাঁধে ভরসার হাত রাখে …

. চনন্দননগর কলেজ রাস্তার এপারে আর ওপারে স্ট্যান্ড । আমাদের কলেজের ঠিক সামনে রাস্তার ওপারে সবুজ বেঞ্চে ছয় সাতজন মতো ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছে । সেই ভিড়ের মধ্যে আমার প্রিয় ব্যক্তিটি বসে । তার সাদা শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো , আর শার্টের ওপেরর তিনটা বোতাম খোলা ফলে শক্ত পুরুষালী বুক কিছুটা দৃশ্যমান, নীচে কালো রঙের জিন্স, হাতে কালো রঙের ঘড়ি পরে । ঘন কালো চুল গুলো হাওয়ায় উড়ছে। মুখে তার চমৎকার হাসি , হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কিছু একটা বলছে..

. একমাস আগে আমি , অনুরীমা , স্নেহা আমার মামার বাড়ি আমার মামার মেয়ের জন্মদিনে গেছিলাম। আমরা তিনজনেই স্কুল লাইফ থেকেই ভালো বন্ধু হওয়ায় যেখানে যাই একসাথেই যাই । সেখানেই প্রথম দেখি আমার কল্পপুরুষকে । আমার মামার বাড়ি চূচুড়া পেরিয়ে কিছুটা যেতে হয় , তো সেই দিন বাসে করে যাচ্ছিলাম আমরা , অনু আর স্নেহা একসাথে বসেছিল । আমি তাদের পেছনের সিটে জানলার ধারে বসলাম । জানলা দিয়ে বাইরে দেখলাম চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ , যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ ধানক্ষেত ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না । হঠাৎ পাশে ধপ করে আওয়াজ হলো তাকিয়ে দেখি একটা সুদর্শন পুরুষ আমার পাশের সিটে বসে আছেন। আমি যখন তার দিকে তাকালাম সে আগে থেকেই তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে ফলে আমাদের চোখাচোখি হলো ….
ওটাই ছিল আমার জীবনের সবথেকে বড়ো সর্বনাশ, ‘ওই বাদামি চোখে কিছু একটা ছিল ‘…. আমার হৃদস্পন্দন হঠাৎ করে বেড়ে গেল , মনে হলো পুরো বাসের মানুষ শুনতে পাচ্ছে এই আওয়াজ.. হাত পা গুলো কেমন অবশ হয়ে আসছিলো, মাথা পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো।

আর একটু তার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি হয়তো হার্ট অ্যাটাকে মরে যেতাম। তাই চোখ বন্ধ করে সিটে গা এলিয়ে দিলাম। আমার ঘুম ভাঙ্গল অনু আর স্নেহার ডাকে। পাশে তাকিয়ে দেখি…..

চলবে?

( এইটা আমার লেখা প্রথম গল্প যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে তবে ক্ষমার চোখে দেখবেন । নতুন লিখছি বলে আজকের পর্বটা একটু ছোটো করে দিলাম । ধন্যবাদ 🙏 )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here