#শেষ_প্রহরের_মায়াজাল
#পর্ব_৬
#আভা_ইসলাম_রাত্রি
— ” তুমি সত্যিই যাবে সেখানে,বারিশ? ”
অফিসারের প্রশ্ন শুনে বারিশ হ্যাঁ বোধক উত্তর দিলো। অফিসার মাথা নিচু করে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তারপর বারিশের দিকে তাকিয়ে বললেন,
— “ঠিক আছে। তবে ফোর্স নিয়ে যাবে। একা যেও না। ”
— ” ওকে স্যার।”
অফিসার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন। বারিশের কাধে হাত রেখে বললেন,
— ” আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ, ম্যান। ”
বারিশ অফিসারের কথার বদলে মুচকি হাসলো।
___________________
রাতের আঁধার হুহু করে করে বেড়ে যাচ্ছে। পরিবেশে নেমেছে হিম শীতলতা। সম্পূর্ণ জঙ্গল নিস্তব্ধ। হঠাৎ শোনা গেলো একঝাঁক লোকের বুট জুতার শব্দ। আগুনের মশালের আলোয় আলোকিত হলো ঘন সবুজ জঙ্গল। একদল পুলিশ ফোর্স, হাতে মশাল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পোড়া বাড়িটার দিকে।
সদর দরজা খোলা হলো। মশাল হাতে বারিশের পিছু পিছু প্রবেশ করলো বারোজন পুলিশ। বারিশ করিডোর দিয়ে হেঁটে সেই রুমটায় প্রবেশ করলো। না। লোকটা রুমের ভিতরে নেই। বারিশ আদেশ দিলো,
— ‘ সব জায়গায় চিরুনি তল্লাশি চালাও। লোকটা এখানেই কোথায় আছে। খুঁজে বের করো তাকে। ”
বারিশের কমান্ড শুনে সবাই মশাল হাতে খুঁজতে লাগলো চারপাশ। বারিশও হেঁটে হেঁটে অন্য রুমে গেলো। কালো রঙের ঘর মশালের আলোয় আগুন রং ধারণ করেছে।
বারিশ হঠাৎ শুনতে পেলো বারান্দা থেকে ক্ষীণ সুরে একটা আওয়াজ ভেসে আসছে। গান গাইছে কেউ।
” mama, I am love with a criminal”
বারিশ ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো বারান্দার দিকে। তার সাথেসাথে ব্লুটুথ অন করে সবাইকে ইনফর্ম করে আসতে বললো সেই রুমে।
বারিশ আগুন হাতে নিয়ে দাড়ালো সেই লোকটার সামনে। সঙ্গেসঙ্গে সেই লোকটা চিৎকার করে দাড়িয়ে গেলো। লোকটা পাগলের মত ব্যাবহার করতে লাগলো। আগুন থেকে পালাতে বারান্দা দিয়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই বারিশ দরজায় সিটকিনি তুলে দেয়। বারিশ এবার লোকটার মুখের উপর মশাল ধরে। লোকটা”ইয়া” বলে চিৎকার দিয়ে মুখ আড়াল করার চেষ্টা করে। কিন্তু বারিশ দমে যায়নি এতে। মশালটা লোকটার মুখে সামনে ধরে। সেদিন লোকটার মুখ ভালো করে না দেখলেও আজ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। লোকটার ভ্রু নেই। সম্পূর্ণ ফ্যাকাসে এক মুখ। শরীরে রক্ত নেই বললেই চলে। ত্বকের বেশ কিছু অংশ ঝলসানো। লোকটা আগুন থেকে বাঁচতে নিজের হাত মুখের সামনে আনলো। বারিশ লক্ষ করলো লোকটার হাতের ত্বক একটু একটি করে কালচে রং ধারণ করেছে। বারিশ খানিক অবাক হলো। এই লোকটার ত্বক স্বাভাবিক মানুষের মতো না। বারিশ মশাল বাম হাতে নিয়ে ডান হাতে লোকটার কলার ঝাকিয়ে ধরলো। লোকটা বারবার হাত সামনে এনে মুখের অংশ আগুনের আলো থেকে রক্ষা করতে চাইলো। চিৎকার করে বলতে লাগলো,
— ” আগুন নেভা,আমার মুখ জ্বলে যাচ্ছে। আগুন নেভা শো*রের বাচ্চা.. ”
লোকটার মুখে এরকম বিশ্রী গালাগালি শুনে বারিশ কষে একটা থাপ্পড দিলো লোকটাকে। থাপ্পড়ের জোর এতটাই তীব্র ছিলো যে লোকটা এক ছিটকে পড়লো মাটিতে। বারিশ এবার লোকটার পাশে হাঁটু গেরে বসলো। লোকটার মুখ দুহাতে চেপে ধরে রাগে গড়গড় করতে করতে বললো,
— ” তুই কে? কি জন্যে মাসুম বাচ্চাদের খুন করেছিস? উত্তর দে। ”
লোকটা বারিশের দিকে তাকালো। মুখে অদ্ভুত হাসি ফুটলো তার। বারিশের চোখে চোখ রেখে বাঁকা হেসে বললো,
— ” সৌন্দর্যের জন্য। ”
সম্পূর্ন শরীরে জ্বালাতনের জন্যে একসময় লোকটা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়লো। বারিশ এখনো অবাক চোখে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে। “সৌন্দর্যের জন্য” কথাটা বারবার তার কানে আঘাত করছে। একটু পর অন্যান্য পুলিশ এসে সেই লোকটাকে ধরাধরি করে গাড়িতে তুললো। বারিশ পিছন পিছন হেলেদুলে আসছে। লোকটার সেই কথা এখনো মাথায় ঘুরছে তার।
_______________________
অন্ধকার রুম। রুমটার দেয়ালের রং যেমন কালো তেমনি রুমে থাকা সকল আসবাবপত্র সব কালো রঙের। বলতে গেলে রুমটা কালো রঙের সম্রাজ্য বলা যায়। সেই রুমে চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে সেই লোককে। তাকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে আরও ছয় জন পুলিশ। তাদের মধ্যে বারিশও একজন। মান্নাত থাকতে চেয়েছিলো কিন্তু বারিশ দেয়নি। মান্নাত এমনিতেই অনেক দুর্বল হার্টের মেয়ে। কিছু ভয় পেলেই কদিন সেই ভয়ের প্রকোপে একা থাকে না। তাই বারিশ আগেভাগেই মান্নাতকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
লোকটার চোখে,মুখে একজন পানি ছিটিয়ে দিলে লোকটা পিটপিট করে তাকায়। একজন লোক এসে তার মাথা থেকে হৃডি খুলে দিতেই লোকটা চোখ ঘুরিরে আশপাশে তাকায়। সেই লোকের মুখ অত্যন্ত বিকৃত ছিলো বিধায় কয়েকজন পুলিশ ভয় পেয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলেন। লোকটা এবার বারিশের দিকে দৃষ্টিপাত করলো। দাতে দাত চিবিয়ে বললো,
— ” আমারে বেধে রাখার মত দুঃসাহস করিস না। সব মরবি তাইলে।আমি মেরে ফেলবো সবাইকে। সব্বাইকে। ”
বারিশ হাসলো। বারিশের ওমন দাত কেলানো দেখে লোকটার রাগ তরতর করে বেড়ে গেলো। সে ঘাড় ঘুরালো ডানে তারপর বামে। ঘাড় ফুটে শব্দ হলো। লোকটা বারিশের দিকে তাকিয়ে বললো,
— ” মুখে হাসি ফুটে? না? ছুরি দিয়ে তোর ঠোঁট কেটে ভাজা ভাজা করে ফালামু। তাইলে হাসি বন্ধ হয়ে যাবে, শালা মাদার*** ”
বারিশের রাগ লাগলো। রেগে লোকটার গালে চটাস চটাস দুটো থাপ্পড় বসালো। বারিশের শক্তপোক্ত হাতে এমন জোরালো থাপ্পর খেয়ে লোকটার ঠোঁটের কোনা কেটে রক্ত বেরুলো। বারিশ চেয়ারে বসে গড়গড় গলায় বললো,
— ” আর একটা গালি মুখ থেকে বেরুবে ,ত এখানেই ,এই জেলেই মেরে গেড়ে দিবো। আমার মুখ খোলাস না। আমার মুখের ভাষা তোর চেয়েও খাতারনাক। ”
লোকটা কিছু বললো না। বরং নিজের জিহ্বা দিয়ে ঠোটের কোনে থাকা রক্ত লেহন করে মুখের ভিতর নিয়ে গেলো।
বারিশ এবার ধীরে সুস্থে বললো,
— ” ছোট বাচ্চাদের কেনো মেরেছিস? ”
লোকটা বারিশের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসলো। কিন্তু উত্তর দিলো না। বারিশ লোকটাকে নীরব থাকতে দেখে কাউকে আদেশ করলো মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে আসার জন্যে। একজন ঝটপট মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়ে আনলে লোকটা ভয় পেয়ে এক ঢোক গিলে। তাড়াহুড়ো করে বলে,
— ” না।না। আগুন আনিস না। বলছি আমি। বলছি সব। ”
বারিশ চোখ দিয়ে ইশারা করে মোমবাতি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। কনস্টেবল মোমবাতি নিয়ে চলে যায়। বারিশ এবার বলে,
— ” এখন বল। একটা কথা মিথ্যে বলবি তো তোর মুখ আমি আজকে আগুন দিয়েই পুড়ে ফেলবো। মাইন্ড ইট। ”
লোকটা বলতে শুরু করলো,
— ” আমি জেসিফ। আমি তখন সদ্য জন্ম হই। মায়ের মুখে শুনেছিলাম আমি দেখতে নাকি খুব কুৎসিত ছিলাম। বাবা তাই আমাকে প্রথম দেখে নিজের কোলেই নেন নি। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকি। বাবার আমার প্রতি অনাদর বাড়তে থাকে। মা-ই একমাত্র ছিলো যার কাছে আমার গায়ের রং নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিলো না। একসময় মায়ের কাছেই আমার গায়ের রং মুখ্য হলো। একদিন ভোর রাতে আমার ছোটবোন হয়। আমি তখন কিযে খুশি ছিলাম বলতে পারবো না। আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম বোনকে কোলে নেওয়ার জন্যে। কিন্তু ওই বাচ্চা আমার মুখ দেখেই গলা ফেটে কান্না করতে লাগলো। বাবা বললেন- আমার কালো চেহারা দেখেই সে কান্না করছে। ভয় পেয়েছে ও। আমি চলে আসলাম। কেটে গেলো কয়েকদিন। এই কদিনে একবারও আমি আমার বোনকে কোলে নিতে পারতাম না। যতবার তার কাছে যেতাম ততবার সে কান্না করতো। একসময় মা-ও বিরক্ত হয়ে বললেন, বোন থেকে দূরে থাকতে। ও হয়তো আমার চেহারা দেখে ভয় পাচ্ছে। আমি তখন খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো একদিন। একদিন মা আমাকে বোনের পাশে রেখে কোথায় যেনো গেলেন। আমি সেদিন খুব আশা করে বোনের পাশে গিয়ে বসি। কিন্তু এবারও বোন আমায় দেখে গলা ফেটে চিৎকার করতে লাগলো। আমি খুব চেষ্টা করলাম তাকে শান্ত করতে। কিন্তু ওই দুটাকার বাচ্চা আমাকে দেখে কান্না আরো তেজ নিয়ে করতে লাগলো। আমি একসময় না সহ্য করতে পেরে দিলাম এক চড়। ব্যাস। বাবা দেখে ফেললেন। সেদিন বাবা আমার হাত আগুনে পুড়িযে ফেললেন। মা ছিলেন তখন নিরব। শেষ পর্যন্ত বাবা ঘর থেকে বের করে দিলেন আমায়। আমি রাস্তায় রাস্তায় বড় হতে লাগলাম। গুন্ডা মাস্তানি করে যা টাকা উপার্জন করতাম সব একসাথে জমা করে সম্পূর্ণ শরীরের প্লাস্টিক সার্জারি করতাম। আমি প্রায় কুড়িবার প্লাস্টিক সার্জারি করেছি। কিন্তু একবারও আমার চেহারা সুন্দর হয়নি। বরং ধীরে ধীরে আমার চেহারা আরো আরো বেশি কুৎসিত হতে লাগলো। বাচ্চারা ত ভয় পেতোই সেই সাথে আমাকে দেখে বড়রাও ভয় পেত। প্লাস্টিক সার্জারির জন্য আমার ত্বক সূর্যের আর আগুনের আলো সহ্য করতে পারে না। যখনই এই দুটোর সংস্পর্শে যেতাম তখনই আমার শরীর জ্বলতে আরম্ভ করে। ত্বক খসে পড়তে শুরু করে। কালো কালো গুটি গুটি কি যেনো দানা বাঁধে শরীরে। আমি তাই জঙ্গলে থাকতাম। আর বাচ্চাদের খুন করতাম আত্মিক শান্তির জন্য। এক বাচ্চার জন্যে আমার জীবনের এই করুন পরিস্থিতি।তাই অন্যান্য বাচ্চাদের মেরে আমি শান্তি পেতাম।আমি প্রথমে বাচ্চাদের খুন করে তাদের সব রক্ত একটা পাইপ দিয়ে শুষে নিতাম। তারপরও সেই রক্ত দিয়ে আমি প্রতিদিন গোসল করতাম। মরদেহ জঙ্গলে থাকা সেই বট গাছে ঝুলিয়ে আসতাম। যাতে সেই বাচ্চার বাবা মার বুকে যন্ত্রনা হয়। যখন তাদের কান্না শুনি খুব শান্তি লাগতো তখন। খুব শান্তি। ”
রুমে থাকা সকল পুলিশ থমকে চেয়ে আছে জেসিফ নামক লোকটার দিকে। কারো জীবন বৃত্তান্ত এতটা ভয়াবহ হতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। প্রতিটা খুনের খুন করার পিছনে একটা মেজর কারণ থাকে। আর সেই কারণটা হয় লৌমহর্ষক। বারিশ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো। জেসিফের কাধে হাত রেখে বললো,
— ” আমি জানি বিরূপ পরিস্থিতি আজকে তোমার খুনি বানিয়েছে। তোমার জীবনটা খুব কষ্টকর ছিলো। কিন্তু সবশেষে তুমি একজন খুনি। আর জানের বদলে জান। তাই তোমার এই খুনের শাস্তি হিসেবে তোমার ফাঁসি হবে। কিন্তু মরার আগে একটা কথা জেনে নাও, সৌন্দর্য সর্বজনীন।এই পৃথিবীতে সবাই সুন্দর। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি কেউ কুৎসিত নয়। তুমি, আমি এখানে যারা আছে সবাই যে যার মতন সুন্দর। শরীরের সৌন্দর্য নয় মনের সৌন্দর্যটাই মুখ্য। বাই দ্যা ওয়ে, বেস্ট অফ লাক। ”
বারিশ চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে চলে গেলো। জেসিফ অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো বারিশের পথের পানে।
_____________________
অতঃপর ফাঁসি হলো জেসিফের। ধ্বংস হলো এক সৌন্দর্যের পূজারীর। বারিশ কেইসের ঝামেলা শেষ করে হাইকোর্ট থেকে বেরিয়ে এলো। মান্নাত দাড়িয়ে আছে বাইরে। বারিশ চোখে সানগ্লাস পরে হাসিমুখে এগিয়ে এলো মান্নাতের দিকে। মান্নাত বারিশকে দেখে মুখ ফুলিয়ে বললো,
— ” এত দেরি? অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ”
বারিশ মান্নাতকে গাড়িতে উঠিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসলো। গাড়ি চালু করে বললো,
— ” ভয়ংকর কেইস ছিলো। তাই সব সামলাতে দেরি হয়ে গেছে। ”
মান্নাত হেসে ফেললো। গাড়ি চলছে নিজ গতিতে। আচমকা বারিশ বললো,
— ” কিস মি, মিস মান্নাত। ”
মান্নাত চমকে বারিশের দিকে তাকালো। চোখ বড়বড় করে বললো,
— ” হোয়াট? ”
— ” আই ছে কিস মি, দ্যাটস ইট। ”
বারিশের নির্লিপ্ত উত্তর। মান্নাত নাক মুখ কুচকে বললো,
— ” ছি। কি কথা! মুখে লাগাম দিন আপনার। ”
বারিশ আচমকা গাড়ি থামালো। শুনশান রাস্তা। মান্নাত হতবম্ব হয়ে বারিশের দিকে তাকালে বারিশ হুট করে মান্নাতের গালে বেশ সময় নিয়ে কিস করে। মান্নাতের চোখ বড়বড় হয়ে যায়। ইয়া আল্লাহ! কি করলো বারিশ এটা!
বারিশ গাড়ি চালাচ্ছে। মান্নাত রাগে রীতিমত গড়গড় করছে। বারিশের দিকে তাকিয়ে মান্নাত বললো,
— “আপনি অনেক অসভ্য! সেটা জানেন আপনি? ”
বারিশ মুখে চুইংগাম চিবুতে চিবুতে বললো,
— ” তোমার বাপের কথায় সভ্য হয়ে ছিলাম এতদিন। এখন তুমি অফিসিয়ালি আমার। তাই আমার সভ্য হয়ে থাকার দিন শেষ। এখন থেকে শুধু অসভ্যের জয়গান হবে। জয় হোক অসভ্যতার। ”
বলেই বারিশ চোখ টিপ্পনী দিলো মান্নাতকে। মান্নাত হা হয়ে গেলো বারিশের ওমন আচরনে।কি বজ্জাত এই লোক! বারিশ সেসব পাত্তা না দিয়ে গুণগুণ করে গান গাইলো,
” যদি সত্যি জানতে চাও,
তোমাকে চাই, তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
তোমাকেই চাই। ”
#সমাপ্ত
।