সীমাহীন পর্ব ১২

সীমাহীন
#Meherika_Ayat (আরাধ্যা)
পর্ব ১২
কিরে বলছিস না কেন কি হইছে তোর ভাইয়া।
আল্লাহ তোর ঘাড়ে কে আঁচড় কাটছে কে ভাইয়া?
আরিয়ানঃ ও আর বলিস না।
কালকে রাতে অর্জুনদের বাসায় গেছিলাম।
একটু আড্ডা দেওয়ার জন্য।
ওখানেই ঘুমাইছিলাম যে,
রাত্রে ওয়াসরুমে যাওয়ার সময় দরজার সাথে ধাক্কা লাগে ঠোঁট টার এই হাল হইছে।
আর ওদের বাসায় প্রচুর মশা, চুলকাতে চুলকাতে ঘাড়ের কি হইছে দেখছিস তো।
.
আর কতো মিথ্যা বলতে পারেন স্যার। আসোলে আমারই ভুল ছিল আপনাকে ভালোবাসা।
আপনার তো গফ থাকতেই পারে। মনে মনে ভাবতে থাকলো আরাধ্যা।
.
রিধিঃ ও আমি তো ভাবছিলাম কি না কি।
আরিয়ানঃ তুই তো সব সময়ই বোকা।
রিধিঃ ভাইয়া 😠
আম্মু ভাইয়াকে কিছু বলো।
আরিয়ানঃ আম্মু কি বলবে
যা সত্যি তাই বলছি।
.
তোর কি একটু চুপ করবি?
সকাল সকাল কি শুরু করে দিছিস এসব?
.
আরু তুই আবার কাঁদছিস কেন? আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে বলল রিধি।
আরাধ্যাঃ কই না তো।
চোখে কি পড়ছে হয়তো।
রিধিঃ ও আচ্ছা নাস্তা সেরে নে।
.
আরাধ্যার দিকে তাকিয়ে আছে আরিয়ান।
একটু ওয়েট করো বাবুন।
আজই বলবো সবাইকে আমাদের বিয়ের কথা। মনে মনে বলল আরিয়ান।
.
রিধিঃ কিরে কলেজ যাবি না?
আরাধ্যাঃ হুম চল।
কোনো কলেজে যাওয়ার দরকার নেই আজ। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে খুব, বলে উঠলো আরিয়ান।
.
বৃষ্টি? ভিজবো আমি,
বলেই দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল আরাধ্যা।
.
আসবো রেশমি আপু?
রেশমিঃ আরে আরু আসো।
আরাধ্যাঃ আপু তোমার একটা শাড়ি দিতে পারবে প্লিজ?
রেশমিঃ প্লিজ বলার কি আছে।
তোমার যে টা ইচ্ছে নাও।
কিন্তু শাড়ি দিয়ে কি করবে?
আরাধ্যাঃ শাড়ি পরে বৃষ্টিতে ভিজবো।
রেশমিঃ ঠান্ডা লেগে যাবে না?
আরাধ্যাঃ আরে একদিনে আর কি হবে?
আলমারি থেকে একটা সাদা সিল্কের শাড়ি বের করে নিল আরাধ্যা। পিন পিনে পাতলা শাড়িটা। সাথে গোল্ডেন কালারের মেকি হাতার ব্লাউজ। ব্লাউজটার পিছনে শুধু ফিতা দেওয়া। পিঠের জায়গা দিয়ে পুরো খালি।
আরাধ্যাঃ আপু আমি এটা নিচ্ছি৷
রেশমিঃ আচ্ছা।
শাড়ি টা পরে নিল আরু। সাথে হালকা লাল লিপ্পি।
হাতে সাদা কাচের চুড়ি।
আর খোলা চুল।
.
ছাদে চলে গেল আরাধ্যা।
বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো।
ভিজে শাড়িটা ওর গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। চুল গুলো সামনে এনে এক পাশ করে রেখেছে।
সাদা পিঠের থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে।
.
পিছন থেকে আরিয়ান দাঁড়িয়ে সব দেখছে।
পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।
এতো ভালো লাগে কেন তোমাকে? আরাধ্যা দিকে তাকিয়ে নিজে নিজে কথা গুলো বলতে থাকে আরিয়ান। আর কয়েকটা ছবি আর ভিডিও করে নেয়।
সন্ধায়ই সবাইকে জানাতে হবে। আর ওয়েট করতে পারবো না। মনে মনে বলল আরিয়ান।
.
.
.
রুমে এসে মাথাটা মুছতে মুছতে আরাধ্যা ভাবছে।
স্যারের যদি গফ থেকেই থাকে তাহলে কাল আমার বার্থডে তে এতো কিছু করলো কেন?
হয়তো রিধিই বলেছে।
তা নয়তো আর কি?
ভাবতে ভাবতে কেদে দিল আরাধ্যা। উফফফফ আমি কাঁদছি কেন?
আমার আগেই ভাবা উচিৎ ছিল এসব।
.
.
.
কি ভাবে বলবো বিয়ের কথা? বাসার সবাই তো জানেই আমি আরুকে ভালোবাসি। আরাধ্যাকে প্রপোজ করলে কেমন হয়?
আগে সবাইকে জানিয়ে দেই আবার। আরুকে এখন কিছু বুঝতে দেওয়া যাবে না। মনে মনে ভাবছে আরিয়ান।

.
.
.
বিকেলে কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলে দিল শাহিদা।
দেখলো বাইরে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে।
আরাধ্যা আপ্পি আছে?
আমি ওনার কাছে এসেছি।
মেয়েটি বলল।
শাহিদাঃ আছে।
মেয়েটিঃ আমাকে একটু ওনার রুমে নিয়ে যেতে পারবেন?
.
.
.
আসবো?
আরাধ্যাঃ কে?
আমি পাশের বিল্ডিয়ে থাকি আপু। তোমার কাছে এসেছি।
আরাধ্যাঃ ভিতরে আসো৷
কি নাম তোমার
মিথিলা মেয়েটি বলল।
আরাধ্যাঃ মিষ্টি নাম।
তা আমার কাছে কেন এলে?
মিথিলাঃ আপু আম্মুর কাছে তোমার অনেক প্রশংসা শুনছিলাম।
বাসায় একা একা ভালো লাগে না। তাই তোমার সাথে গল্প করতে চলে এসেছি।
আরাধ্যাঃ আচ্ছা।
ভালো করছো৷
.
.
.
অনেক্ক্ষণ কথা বলার পর মিথিলা বলে উঠলো আমি আজকে উঠি। আপু তোমার ফোন নাম্বার টা দিলে ভালো হয় মাঝে মাঝে কথা বলতে পারবো?
ফেবু আছে তোমার?
আরাধ্যা ওর ফোন নাম্বার টা আর ফেবু দুটোই দিল মিথিলাকে।
.
.
.
ফোন টা নিচে রেখে চলে এসছে আরাধ্যা। নিজের রুমে বসে বসে পড়ছে।
.
অফিস থেকে এসেছে আরিয়ান। সোফায় বসে আছে। হঠাৎ আরাধ্যার ফোন বেজে উঠল।
ফোনের শব্দ শুনে উঠে ফোন টা রিসিভ করে আরিয়ান।
চলবে……
(আমার গল্পের সবগুলো পর্ব আমার গল্প পেইজে পাবেন।
আর নেক্সট না বলে পরের পর্বে কি হবে মন্তব্য করতে পারেন। হয়তো পরের পর্ব আপনাদের মনের মতো করে দেওয়া হবে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here