#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_7
#post_time_রাত12_টা_34
ভোরের আলো ফুটতেই নড়ে চড়ে উঠে রিমি।
কেউ দরজায় বার বার কড়া নেড়ে যাচ্ছে। বিরক্তি নিয়ে হাই তুলতে তুলতে দরজা খুললো ওহ।
কিছু বোঝার আগেই হুরমুরিয়ে রুমে ঢুকে গেল ফারাবি।
ফারাবি কে দেখে দু বার চোখ কচলালো রিমি।
ফারাবি বেডের উপর পা তুলে বসে পরলো।
রিমি বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল
_ কুম্ভকর্ন ঘুম কুমারী এই সাত সকালে আমার দরবারে ?
তা কি মনে করে এসেছেন ওনি ?
ফারাবি নখ কামড়াতে কামড়াতে স্পষ্ট করে বলল
_ আমি ঘুমাবো।
ফারাবির কথা শুনে রিমি মুখে হাত দিয়ে বলল
_ ওমা ঘুম কুমারী আমার রুমে ঘুমানোর জন্য এসেছেন ?
কাল যে এতো বার করে বললাম আমরা একসাথে ঘুমাই তা আপনি তো শুনলেন না আমার কথা।
আপনার তো একা একা ঘুমাতেই ভালো লাগে।
_ ধ্যাত ছাড় তো আমি আর কখনো তোদের বাসায় একা ঘুমোবোই নাহহ।
_ ওমা কেন ? ভূতের দর্শন হলো নাকি ?
রিমির কথায় রসিকতা ঝরে পরছে।
ফারাবি ভেঙ্চি কেঁটে বলল
_ এমনি ঘুম হয় নি আমার।
এখন কোনো কথা বলবি না আমি ঘুমাবো।
রিমি আমুদের স্বরে কথা সাজাতেই ফারাবি ঘুমে তলিয়ে গেল।
রিমি কপালে হাত দিয়ে বলল
_ হায় রে আমার ঘুম কুমারী।
না জানি কার রাজ্যে গিয়ে অস্কার অর্জন করবে।
রিমি হাই তুলে দরজা লক করে দিয়ে ফারাবির পাশে শুইয়ে পরলো।
ফারাবি কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমুচ্ছে তাই রিমি ইনস্টান কোলবালিশ হিসেবে ফারাবির উপর পা তুলে দিলো।
ফারাবি ঘুমের ঘোরেই বলল
_ উফফ আপনার চরিত্রের দোষ আছে সরুন আমার উপর থেকে ।
রিমি লাফিয়ে উঠলো। ঘুমের ঘোরে কার চরিত্রের দোষ দিচ্ছে ওহহ ?
রিমির বোকার মতো ফারাবির দিকে চেয়ে রইলো।
*
নাস্তার টেবিল সাজাচ্ছেন রোমা চৌধুরী আর রিফাতের মা।
ফারাবির মা কফি বানাচ্ছেন।
কাল সবাই এই বাড়িতেই ছিলো।
ফারহানের মা একজন মেড কে ডেকে বললেন সবাই কে ডেকে তুলতে।
তারপর কফি হাতে নিয়ে তিন রমনী যে যার স্বামীর কাছে ছুটলেন।
তাদের স্বামী রা বউ এর হাত থেকে কফি খেতে পছন্দ করেন ।
এতে নাকি সারাদিন টা ভালো যায়।
রিমি আধঘন্টা ধরে ফারাবি কে ডেকে যাচ্ছে।
ফারাবি বেঘোরে ঘুমুচ্ছে , রিমি উপায় না পেয়ে নিজেই নাস্তা করতে চলে গেল।
নাস্তার টেবিলে ফারাবি কে খুঁজতে লাগলো ফারহান।
ফারাবির মুখ টা দেখার জন্য বুক টা হু হু করছে।
অথচ ফারাবির দেখা নেই , খানিক টা খেয়ে উঠে গেল ফারহান।
ফারাবিকে রুমে খুঁজে না পেয়ে বেরিয়ে আসলো।
কে জানে কোথায় আছে , একটু আগেই রায়হানের জরুরি কল এসেছিল।
ইমিডিয়েটলি কক্সবাজার যেতে হবে তাকে।
ফারহান মুখ গোমড়া করেই সকলের থেকে বিদায় নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে চলে গেল।
ফারাবির কথা জিজ্ঞেস করতে চেয়ে ও এড়িয়ে গেল।
এভাবে সকলে তার প্রতি সন্দেহ করবে তাই।
*
বেশ কিছুক্ষণ আগেই কক্সবাজারে পৌছে গেছে ফারহান।
ফ্লাইটে করে আসতে বিশ মিনিটের মতো সময় লাগে।
মন মেজাজ বেশ উগ্র। রায়হান ফারহানের সামনে এসে শান্ত স্বরে বলল
_ ভাই ওকে বেঁধে রেখেছি।
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ ওকে যাহহ আসছি দু মিনিটে।
রায়হান চলে গেল। ফারহান বাঁকা হাসলো , তার প্রেয়সীর দিকে নজর দেওয়ার ফল তো পেতেই হবে ওকে।
রায়হান গোডাউনের ভেতরে চলে গেল। বেঁধে রাখা আসিফের পাশে বেশ আমুদ করে বসলো।
আসিফ ভয়ে চুপসে গেছে।
রায়হান আফসোস এর স্বরে বলল
_ কতো বার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে তোকে।
তুই শুনলি নাহহ , আমাকে দেখেই তোর কলিজা কাঁপে ভাই আসলে তুই জীবন্ত মরা হয়ে যাবি।
বলতে না বলতে ফারহান গোডাউনে ঢুকলো।
গায়ে একটা শার্ট , জ্যাকেট টা খুলে রেখেছে।
হাতে থাকা হকি স্টিক দেখেই আসিফের কলিজা কেঁপে উঠলো।
ফারহান ধীর পায়ে আগাতে লাগলো , হকি স্টিক ঘোরাতে ঘোরাতে বলল
_ পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।
ফারহান শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল
_ রায়হান বের হয়ে সাঁটার টা লাগিয়ে দে। অতিথি সেবা করবো আমি ।
রায়হান কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে বের হয়ে গেল।
আজ ওর রক্ষা নেই।
রায়হান যেতেই ফারহান অধর কোনে রহস্যময় হাসি টানিয়ে বলল
_ খুব শখ ফারাবির দিকে হাত বাড়ানোর ?
কি যেন বলেছিলি তুই ফারাবি কে বিয়ে করতে না পারলে ও ফারাবি তোর হবেই।
ফারাবি প্রথম রাত টা তোর সাথেই কাঁটাবে ?
বন্ধু দের কথা দিয়েছিস যদি ওহ তোকে বিয়ে না করে তাহলে ওর ভিডিও করে পাঠাবি ?
বলতে বলতে ফারহানের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।
আসিফের চুল মুঠো করে বলল
_ তোর চোখ খুবলে নিবো আমি।
একের পর এক ওয়ার্ন করেছি।
কি ভেবেছিস সিঙ্গাপুর থেকে আমি হাত গুটিয়ে রাখবো ?
ওর সাথে সর্বক্ষণ আমার চোখ থাকে রে,,বলেই আসিফের মুখে লাথি মারলো ফারহান।
গত আট মাস ধরে ফারাবি কে বিরক্ত করে যাচ্ছে ওহহ।
ফারহান পরপর ছয় বার ওয়ার্নিং দিয়েছে কিন্তু কয়েক দিন পর ই আবার শুরু করে দিয়েছে।
সাত দিন আগে আসিফের বাজে মানসিকতার কথা জানতে পেরে লোক পাঠায় আসিফ কে ধরে আনতে।
কিন্তু কোনো ভাবে আসিফ পালিয়ে যায়।
আজ সকালেই কক্সবাজার থেকে ধরা পরে ওহহ।
ফারহান আসিফের মুখের বাঁধন খুলে দিলো।
আসিফ মাফ চাইতে লাগলো। কিন্তু ফারহানের কান অব্দি তা পৌছালো নাহহহ।
বেঘোরে হকি স্টিক দিয়ে মারতে লাগলো ।
আসিফের মুখ ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো।
শরীরের প্রতি টা অংশ ব্যাথাতে কুকরে গেল।
ফারহানের শরীর থেকে ঘাম চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরছে।
আসিফ কে আধমরা করে ছাড়লো ফারহান।
আসিফ জ্ঞান হাড়াতেই ছেড়ে দিলো ওকে।
ফারহান অজ্ঞান মানুষের উপর আঘাত করে নাহহ।
গোডাউন থেকে বেরিয়ে রায়হান কে বলল
_ ভেতরে যাহহহ।
রায়হান শুকনো ঢোক গিলে বলল
_ ভাই বেঁচে আছে না মরে গেছে?
ফারহান আলতো হেসে বলল
_ আমি কাউকে মেরে ফেলি নাহহ।
পরকালে তার দরবারের শাস্তির জন্য বাঁচিয়ে রাখি।
রায়হান প্রশস্ত হেসে ভেতরে গেল।
ফারহান গাড়ি থেকে জ্যাকেট পরে এসে বলল
_ ওকে হসপিটালে এডমিট করিয়ে দে।
আর শোন সুস্থ হলে তিন মাস জেলে পুরে দিবি।
রায়হান সম্মতি জানালো।
আসিফের মুখ টা দেখে রায়হানের মায়া হলো।
পরক্ষণেই মুখ ঘুড়িয়ে একটা লাথি মেরে বলল
_ শালা তোর জন্য মায়া না দেখানোই ভালো।
ফারহান স্পষ্ট সে কথা শুনতে পেল।
হালকা হেসে গোডাউন থেকে চলে আসলো ।
ক্লান্ত লাগছে খুব , তাই কিছুক্ষণ গাড়িতেই বসে রইলো।
বুক পকেট থেকে ফারাবির হাস্যউজ্জল একটা ছবি বের করে চুমু খেলো ।
ফারাবি ওর জীবনে এসে ধরা দেয় রঙ হয়ে।
রঙে রাঙিয়ে মন চুরি করে নিয়েছিলো টিনেজারে পা দেওয়া ফারাবি।
ফারাবি খুব চঞ্চল হলে ও ফারহান কে জমের মতো ভয় পেতো।
ফারহানের উগ্র মেজাজের কারনে ফারহান কে কোনো কিছু তেই টানতো না কেউ।
রঙিন জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিলো না ওর।
সব সময় কালো কিংবা সাদা শুভ্র তে ঢেকে রাখতো নিজেকে।
বলতে গেলে রঙিন জিনিসেই এলার্জি ।
সেইদিনের ফারাবির দুষ্ট মিষ্টি ভয়ার্ত চাহনির কথা মনে পরতে বিগলিত হাসলো ফারহান।
ফারাবি তখন তেরো তে পা দেওয়া কিশোরী।
বৈশাখ মাসের কড়া রোদ্দুর ছিলো। ঘেমে একাকার হয়ে রিফাতের কাছে আসছিলো ফারহান।
ফারাবিদের বাসার গেইট দিয়ে ঢুকতেই এক বালতি রঙ মেশালো পানি এসে পরে ওর গাঁয়ে।
হঠাৎ আক্রমনে ফারহান তাজ্জব বনে যায়।
রাগে আর বিরক্তি তে ভরে উঠে মুখ।
রঙের পানির উৎস খুঁজার জন্য ঘাড় ঘোরাতেই দেখতে পায় জড়োসড়ো হয়ে যাওয়া ফারাবি কে।
চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। চোখ খিচে বন্ধ করে নেওয়া , সাথে কাঁপতে থাকা মসৃন ঠোঁট।
ফারাবির পুরো শরীরে রঙের মাখামাখি , মূলত বান্ধবীদের সাথে রঙের মাখা মাখি খেলছিলো ওহহ।
দুষ্ট ফারাবি না বুঝে রঙের পানি ফারহান কে ছুঁড়ে মারে।
ফারহান মসৃন হেসে সেখান থেকে চলে যায়।
তারপর থেকেই শুরু হয় ফারাবির প্রতি কড়া নজরদারি আর আগলে রাখা।
ছোট্ট ফারাবি ভয়ে চুপসে থাকতো।
ফারহান কে দেখলেই দশ হাত দূরে চলে যেত।
প্রজাপতির মতো উড়তে গেলেই ফারহান এসে বাঁধা দিতো।
ফারহান সরে গেলে এক গাদা গালি দিতো ওকে।
ঝলমলে হেসে উঠলো ফারহান।
সেদিন টা উপহার দেওয়ার জন্য ফারাবির প্রতি কৃতঙ্গ ওহহ।
তারা ভরা খরা রুক্ষ্ম জীবনে রঙিন ছায়া দিয়েছে ফারাবি।
রস কস হীন ফারহান টিনেজার মেয়ে টার প্রেমে পরেছে বারংবার।
*
ফারাবি রা দুপুরে খেয়ে নিজেদের বাসায় চলে এসেছে।
রিফাত ফোনে ব্যস্ত , ফারাবি কান পেতে শোনার চেষ্টা করছে কি বলছে।
রিফাতের কথা গুলো হচ্ছে এমন সরি বাবু , কাল তো ব্যস্ত ছিলাম আমি , রাতে বেঘোরে ঘুমিয়েছি ব্লা ব্লা।
ফারাবি মুখ বাঁকিয়ে নিলো।
দিনের মাঝে আটচল্লিশ বার ঝগড়া করে মনিকা আর রিফাত।
দু মিনিট পর ই একে অপরের গা ঘেঁষে থাকে।
ফারাবি সে দিকে পাত্তা না দিয়ে বাগানে চলে আসলো।
বাইকের আওয়াজ পেয়ে বাগান থেকে বেরিয়ে আসলো।
সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
গেটের দিকে দৌড়ে গিয়ে বলল
_ ছোট চাচ্চু ইয়েহহহহ
আরিফ হাসতে হাসতে বলল
_ আমার আম্মা জান দেখি বড় হয়ে গেছে।
ফারাবি নাক ফুলিয়ে বলল
_ ছ মাসে কেউ বড় হয় ?
আরিফ ঝরা হেসে বলল
_ হয় নাহহ বুঝি ?
_ উহুহহ একদম ই নাহহ।
ফারাবির চিৎকারে রিফাত বের হয়ে আসলো।
আরিফ কে দেখে ছুটে গেল।
হাসি হাসি মুখ করে জড়িয়ে ধরলো।
রিফাত বিগলিত হেসে বলল
_ তা খবর কি তোমার সিগন্যালেই কি আটকে আছো ?
আরিফ লজ্জা হেসে বলল
_ নাহহ এবার পাক্কা হয়ে গেছে। সবুজ বাতি জ্বলে উঠেছে । পাক্কা গ্রিন সিগন্যাল ।
এ বছরেই শুভ কাজ সেরে ফেলবো।
রিফাত আর আরিফ হাইফাইপ করলো।
ফারাবি তীক্ষ্ম দৃষ্টি তে তাকিয়ে বিষয় টা বোঝার চেষ্টা করলো।
কোমরে হাত দিয়ে বলল
_ এই তোমরা কি আলোচনা করছো ?
আরিফ মেকি হাসি দিয়ে বলল
_ কিছু নাহহ।
ফারাবি বা হাতে ফু দিয়ে বলল
_ আমি কিন্তু সব জানি।
রিফাত ভ্রু কুঁচকে বলল
_ কি জানিস তুই ?
ফারাবি বাঁকা হেসে বলল
_ এটাই যে আমার উনত্রিশ বছরি বুড়ো চাচ্চুর বিয়ের ফুল ফুটেছে।
ইয়েহহহ বলেই লাফিয়ে উঠলো ।
আরিফ আর রিফাত একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো।
আরিফ গালে হাত দিয়ে বলল
_ হয়ে গেল। পুরো শহর কে বিনা টিকেটে বিয়ের দাওয়াত টা ফারাবি ই পৌছে দিবে।
রিফাত ফারাবি কে চোখ মেরে কাছে আসতে বলল।
ফারাবির সাথে আলোচনা শেষ করে গম্ভীর গলাতে বলল
_ দেখো চাচ্চু আমরা অতো শত বুঝি নাহহ।
তুমি আমাদের ট্রিট দিচ্ছো আর সেটা আজ ই।
ফারাবি ও মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো।
আরিফ করুন কন্ঠে বলল
_ এটা কি ঠিক বল ?
তোরা হলি গিয়ে আমার ছেলেপুলে ।
ফারাবি বিজ্ঞদের মতো করে বলল
_ উহুমমম আমরা তোমার ছেলে পুলে কম বন্ধু বেশি।
ভুলে যাও কি করে আমরা সবাই মিলেই মনি আন্টির সাথে তোমার লাইন টা পাক্কা করেছিলাম ।
তখন কোথায় ছিলো তোমার দায়িত্ববোধ?
রিফাত হাত দিয়ে আরিফ কে অঙ্ক কষে দেখালো।
আরিফ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল
_ হয়েছে বুঝে গেছি আমি।
তুই আমার সাড়ে তিন বছরের ছোট আর আম্মি জান সাড়ে এগারো বছরের।
ফারাবি মোহনীয় হাসলো।
রিফাতের সাথে হাইফাইফ করতেই পেছন থেকে আমুদে স্বর ভেসে আসলো
_ একা একাই সব প্ল্যান করে নিলি আমি কবে থেকে ছেলে পুলের দলে পরলাম রে ?
রিফাত ছুটে গিয়ে ফারহান কে জড়িয়ে ধরলো।
ফারাবি অন্য দিকে ফিরে তাকিয়ে রইলো।
আরিফের সাথে কুশল বিনিময় করে বলল
_ আজ আসার সময় হলো তোমার ?
এর জন্য ডাবল ট্রিট চাই।
আরিফ মোহনীয় হেসে বলল
_ তোদের বিয়ের ফুল ফুটুক পকেট খালি করে ছাড়বো।
ফারহান বাঁকা হেসে বলল
_ এটিএম কার্ড টাই দিয়ে দিবো।
আরিফ আর রিফাত বিগলিত হাসলো।
ফারাবি আড়চোখে তাকাতেই ফারহানের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল।
লজ্জা পেয়ে ফারাবি স্থান ত্যাগ করলো।
ফারহান বাঁকা হেসে ফারাবির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_8
আরিফের পক্ষ থেকে চিকেন আর ফিস বারবিকিউ পার্টি দেওয়া হচ্ছে।
তাই সবাই ফারাবির দের ছাঁদে এসেছে।
ঝলমলে পরিবেশ, আকাশে অর্ধচাঁদ , তার পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মুক্ত দানার মতো স্বচ্ছ তাঁরা।
মৃদু বাতাস গায়ে লাগতেই হালকা শিরশির অনুভব হচ্ছে।
আবেশে একা একাই দু বাহু তে হাত চলে যাচ্ছে।
আকাশ টা মেঘলা, থেকে থেকে বাজের ডাক ও শোনা যাচ্ছে।
গরমের মাঝে এই ছোট্ট নির্মল বাতাসের সুখ টাই যেন অম্রিত সাঁধ দিচ্ছে।
রিফাত আকাশের দিকে তাকিয়ে রুষ্ট গলায় বলল
_ শালার আজ ই বৃষ্টির আসতে হলো।
কেমন গুমোট পরিবেশ হয়ে যাচ্ছে , বারবিকিউ টা গেল।
ফারাবি গাল থেকে হাত নামিয়ে সামান্য শ্বাস ফেলে বলল
_ ধ্যাত আজ ই কেন বৃষ্টি হতে হবে ?
ভাল্লাগেনা কিছু
ফারহান আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাড়িয়ে ছিলো।
ফারাবির কথাতে সামান্য ভ্রু কুঁচকালো। তারপর আবার আকাশের দিক মুখ করে ভালো করে পর্যবক্ষেণ করে শান্ত গলায় বলল
_ উহুহু বৃষ্টি হচ্ছে নাহহ আজ।
ফারহানের কথায় ফারাবি ঘুরে তাকালো।
ফারহানের চোখ জোড়া আকাশের দিকে দৃষ্টি দিয়ে আছে।
ফারাবি বিরক্তি নিয়ে বির বির করে বলল
_ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ওনাকে খবর দিয়ে গিয়েছে কিনা।
সব জায়গায় নিজেকে বেস্ট প্রুভ করার ধান্দা।
ভণ্ডামির জায়গা পায় না আর।
আরিফ কয়লা সাজাতে সাজাতে বলল
_ ভাতিজা যদি বৃষ্টি হতো তো লাভ টা আমার ই হতো।
তুই ক্যান আমার শুভ কামনা না করে অশুভ কথা বলছিস।
ইসসস রাফাজ টা ও হসপিটাল নিয়ে পরে আছে। ওহহ থাকলে আমি বল পেতাম একটু।
দুজন ই তো বিয়ে কাঁধে নিয়ে বসে আছি। বেচারা আমার দলে থাকতো।
মিস হয়ে গেল রে
ফারহান অধরে হাসি ফুটালো।
ফারাবি ওড়নার কোনা হাত দিয়ে পেঁচাতে পেঁচাতে গুন গুন করতে লাগলো।
রিমি ফোন হাতে ব্যস্ত , বরাবর ই আর্টিফিশিয়াল জিনিসে ওর আকর্ষণ বেশি।
আর প্রকৃতির সুবাস নিতে আগ্রহী নয় ওহহ।
ফারহান চাঁদের দিকে তাকিয়ে পকেটে হাত গুঁজে দাড়িয়ে রইলো।
চাঁদের সৌন্দর্য ওকে টানতে পারছে নাহহ।
এই মোহনীয় চাঁদের থেকে ও প্রেয়সী কে বেশি মোহনীয় লাগছে ওর।
চাঁদের কলঙ্ক থাকলে ও তার প্রেয়সীর কলঙ্ক নেই।
ফুরফুরে মেজাজে ফারহান চাঁদের থেকে দৃষ্টি নামিয়ে ফারাবির দিকে দৃষ্টি দিলো।
মৃদু বাতাসে ফারাবির এলোমেলো খোলা চুল গুলো উড়ছে । কয়েকটা অবাধ্য চুল কপালে এসে আঁচড়ে পরছে।
যার কারনে ফারাবি বিরক্ত হচ্ছে সাথে ভ্রু কুঁচকাচ্ছে। কিন্তু আলসেমি ঝেরে চুল গুলো কে কপাল থেকে কানে গুঁজে নেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই।
ফারহান আনমনে হাসলো, রিফাত আর আরিফ চিকেন আর ফিস বারবিকিউ করতে ব্যস্ত।
বার বার আগুন নিভে যাচ্ছে যার কারনে একজন বাতাস আড়াল করছে আর অন্যজন ধীরে ধীরে আগুনে বাতাস দিয়ে আগুনের গতি বাড়াচ্ছে।
ফারাবি কানে ইয়ার ফোন গুঁজে হেঁটে বেড়াচ্ছে।
ফারাবির এলোমেলে চুল গুলো ফারাবি কে দেখতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
ফারহান বিরক্ত হলো, আনমনেই হেঁটে হেঁটে ফারাবির কাছে গেল।
ফারাবি চোখ বুঝে গানের লেরিক্স আর প্রকৃতির সুবাস নিচ্ছে।
ফারহান ফারাবির কাছে গিয়ে মোহনীয় দৃষ্টি তে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো।
কিছুটা চুল ফারহানের মুখে আঁচড়ে পরলো।
ফারহান আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।
কয়েক সেকেন্ড পর ফারাবির কপালে আঁচড়ে পরা চুল গুলো সন্তর্পণে গুছিয়ে কানে গুঁজে দিলো।
ফারহানের স্পর্শ পেতেই ফারাবি চমকে তাকালো।
ফারহান কে দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পরলো ওহহ।
সাথে কোথা থেকে এক রাশ লজ্জা এসে রাঙিয়ে দিলো ওর মুখ।
মুহুর্তেই লাল হয়ে গেল দুটো গাল।
ফারহান অধর কোনে ছোট্ট করে স্বচ্ছ হাসলো।
ফারাবির অস্বস্তি হাজার গুন বেড়ে গেল।
হাত কচলাতে লাগলো ওহহহ। ফারহানের অধর কোনে লেগে থাকা স্বচ্ছ হাসি টা সকল রহস্য কে হার মানাতে সক্ষম।
ফারাবি বার কয়েক শুকনো ঢোক গিললো।
ফারাবির অস্বস্তি ভরা মুখ দেখে ফারহান চলে গেল।
ফারাবি কে লজ্জায় নুইয়ে দিতে ভালো লাগছিলো ওর। কিন্তু ফারাবির সামনে আর কিছুক্ষণ থাকলে মেয়েটা নির্ঘাত জ্ঞান হারাতো।
ফারহান চলে যেতেই ফারাবি দম বন্ধ করা আটকে রাখা শ্বাস টা ফেলল।
আর কিছু সময় এভাবে থাকলে সত্যি ওর ছোট্ট হার্ট টা থমকে যেত।
ফারহানের চাহনি ফারাবির বুকে ঝড় তুলে দেয়।
ফারহানের উপস্থিতি ওকে থমকে দেয় , হাঁটা চলার শক্তি ও হাড়িয়ে ফেলে ওহহ।
বারবিকিউ কমপ্লিট হয়ে গেছে।
আরিফ আর রিফাত প্লেট সাজাতে ব্যস্ত সাথে তিন জন কে গালি দিতে।
কারন সমস্ত কাজ ওরা দুজন ই করেছে ।
ফারাবি মুখ বাঁকিয়ে আছে যেন কিছুই হয় নি।
ফারহান মুখ টিপে হাসছে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবে শুধু তার প্রেয়সী কে।
রিমির তো কোনো ধ্যান ই নেই , ফোন টিপছে আর থেকে থেকে আনমনে হাসছে।
ফারাবি 100% সিউর এই মেয়ে প্রেম করে।
সবাই বারবিকিউর প্লেট হাতে নিতেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো।
সাথে বাজের শব্দ হলো, সবাই যে যার মতো করে ব্যস্ত পায়ে ভেতরে চলে গেল ।
ফারাবি ওড়ানা সামলাতে সামলাতে নিচে নামতে যেতেই পেছন থেকে ফারহান ওড়না টেনে ধরলো।
ফারাবি বিরক্তি নিয়ে পেছন ঘুরতেই থম মেরে গেল।
ফারাবি অসহায় মুখ করে তাকিয়ে রইলো।
দু হাতে প্লেট আর কোক ওড়না ছাড়ানোর উপায় নেই।
ওড়না ফেলে ও যেতে পারবে নাহহ।
ফারহান হালকা হাতে ওড়না পেঁচাতে পেঁচাতে ফারাবির কাছে আসলো।
ফারাবির দিকে সামান্য ঝুকতেই ফারাবি ভয়ার্ত কন্ঠে বলল
_ বৃষ্টি হবে।
ফারহান বাঁকা হেসে মাথা ঝাঁকালো।
গুঁড়ি গুঁড়ি কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পরতেই ফারাবি ছটফট করতে লাগলো।
ফারাবির ছটফটানি দেখে ফারহান বিগলিত হাসলো।
ধীর কন্ঠে বলল
_ বৃষ্টি হলে ভিজে যাবো , আর না হলে থেকে যাবো।
তবুও তোকে ছাড়বো নাহহ।
ফারাবি অসহায় মুখ করে রইলো।
ফারহান আকাশের দিকে এক পলক তাকিয়ে ঝটকা মেরে ফারাবি কে কাছে টেনে নিলো।
ফারাবির কোমরে শক্ত করে ধরে রইলো।
ফারাবির দু হাতেই খাবার , ফারাবি ছটফট করতে লাগলো।
ফারহান আলতো হেসে ফারাবি কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ থেকে যাহহ প্লিজ।
ফারাবি ছটফট করতে লাগলো।
ফারহান আবার বলল
_ তুই থেকে যাহহ আর না হলে সময় থমকে যাক।
মোট কথা তুই পাশে থাক।
ফারাবির বুক ধরপর করতে লাগলো।
ভয়ে আর লজ্জায় চুপসে গেল।
যদি কেউ এসে পরে তাহলে বিরাট কান্ড ঘটে যাবে।
অথচ ফারহানের দৃষ্টি স্থির, যেন দূর দূরান্তে কেউ নেই।
বলতে না বলতে রিফাতের ডাক।
ফারাবির ছটফটানি দ্বিগুন হারে বেড়ে গেল।
চোখ ফেটে কান্না আসতে চাইলো।
রিফাতের ডাক গাঢ় হতে লাগলো।
ফারহানের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল
_ প্লিজ যেতে দিন আমায়। রিফাত ভাইয়া চলে আসবে ।
ফারহান কোনো প্রতিক্রিয়া করলো নাহহ।
রিফাতের ডাক একদম স্পষ্ট রিফাত নিশ্চয়ই ছাঁদে উঠে আসছে।
ফারাবি হাঁসফাঁস করতে লাগলো।
ফারহান ফারাবির কানে আলতো করে ঠোঁট ছোয়ালো। ফারাবির সমস্ত শরীরে শিহরন জেগে উঠলো।
_ কিরে এখনো নিচে নামিস নি কেন ?
ফারাবি ফারহানের থেকে দু হাত দূরে দাঁড়িয়ে লম্বা করে শ্বাস নিচ্ছে।
ফারহানের টাইমিং একদম কারেক্ট ছিলো।
এক সেকেন্ড এর এফোর ওফোর হলেই রিফাত এসে, ফারাবি আর ফারহান কে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখে নিতো।
ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
_ ফারাবি বলছিলো বৃষ্টি হবে আর আমি বলছিলাম বৃষ্টি হবে নাহহ।
তাই দুজনে দাড়িয়ে দেখছিলাম কার টা রাইট হয়।
রিফাত হো হো করে হেসে উঠলো।
ফারাবি গোমড়া মুখ করে দাড়িয়ে রইলো।
রিফাত ফারাবির মাথায় গাট্টা মেরে বলল
_ আরে গাঁধী এর জন্য কেউ মন খারাপ করে ?
ফারহান তো সেই ফকির টা।
ফারহান ভ্রু কুঁচকালো। রিফাত এক গাল হেসে বলল
_ আরে সেই ফকিরটা।
ঐ যে আছে না প্রবাদ টা ঝরে বগ মরেছে আর ফকিরের কেরামতি বেড়েছে।
রিফাতের কথা শুনে ফারহান ভ্যাবলা মতো তাকিয়ে রইলো।
ফারাবি মুখ টিপে হাসতে লাগলো।
রিফাত হাত উঁচু করে দিয়ে বলল
_ মাফ কর ভাই। তোর সাথে লাগতে চাই নাহহ।
তোর ঐ ঢাই কিলোর হাত আমার শরীরে পরলে আমি আধমরা হয়ে যাবো।
ফারহান মোহনীয় হাসলো। হাসার ফাঁকে ফাঁকে প্রেয়সী কে দেখতে লাগলো।
প্রেয়সী, শুধু তার প্রেয়সী, স্বপ্নের প্রেয়সী।
*
রিমি আজ ফারাবির সাথেই ঘুমাবে।
ফারহান নিজের বাসায় ফিরে গেছে।
রিমি কে এক প্রকার হুমকি ধমকি দিয়ে রেখেছে।
রিমি বেচারি থাকতে চাচ্ছিলো নাহহ।
কিন্তু ফারাবি রিমি কে ফারহানের মতো করে গম্ভীর গলায় থ্রেট দিয়ে বলেছে
_ দেখ রিমি অনেক রাত হয়েছে এতো রাতে বাসায় ফিরতে হবে নাহ।
কাল ফিরে যাস , আমার কথার যেন কোনো নড়চড় হয় নাহহ।
জানি রাস্তার এপার ওপার বাসা তবু ও থেকে যাহহ।
নড়চড় হলে তুই জানিস কি হতে পারে ?
রিমি অসহায় দৃষ্টি তে তাকিয়ে সম্মতি জানিয়েছে। কারন ফারাবি ওকে বলেছে ও যে প্রেম করে সেটা সবাই কে বলে দিবে।
আর কাউকে না বললে ও ছলে বলে কৌশলে ফারহান কে বলে দিবে।
আর তার পর ই রিমির কল্লা কাঁটা।
রিমি প্রেমের কথা অস্বীকার করলে ও ফারাবি এক চুল ও বিশ্বাস করে নি।
যেন ওদের প্রেম টা ও নিজ হাতে করিয়েছে এটা টাই কনফিডেন্স ।
রিমি ভীত কন্ঠে বলল
_ ট্রাস্ট মি আমি রিলেশন করি নাহহহ।
ফারাবি বিজ্ঞ চোখে পরীক্ষা করে গম্ভীর কন্ঠে বলল
_ তুই কি ভেবেছিস আমি তোর থেকে এক মিনিটের ও কম পথ দূরে থাকি বলে আমি কিচ্ছু জানি নাহহ ?
আমার চোখ সর্বক্ষণ তোর সাথে থাকে।
আর আমি নিশ্চিত না হয়ে বলছি নাহহহ।
রিমি ক্যাবলার মতো করে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো।
ফারাবি বুকে হাত গুঁজে মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো গম্ভীর করে রেখেছে।
রিমি দু হাতে তালি বাজিয়ে বলল
_ আপনাকে ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি তে স্বাগতম ।
আপনার ডায়লগে মুগ্ধ আমি।
ফারাবি কাঁচুমাচু করে বলল
_ রাখ তুই আর তোর ডায়লগ , এটা কোনো ফ্লিমের ডায়লগ নাহহ।
এটা এক বজ্জাত হনুমানের ডায়লগ।
রিমি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো।
ফারাবি একা একা বির বির করতে লাগলো।
_ শালার ঐ খাচ্চর এর ডায়লগ ই কেন মাথায় আসলো।
ঐ বেটার জন্ম হইছে আমার জীবন রে কচু গাছের সাথে ঝুলানোর জন্য।
তোর বউ তোরে একশ রকমের গালি দিবে দেখে নিস ।
_ ঐ কি বিরবির করিস ? কার বউ একশ রকমের গালি দিবে?
ফারাবি ঢোক গিলে নিয়ে মেকি হাসি দিলো।
রিমি সন্দিহান চোখে তাকাতেই ,ফারাবি হুরমুরিয়ে রিমি কে নিয়ে বেডের উপর পরলো।
রিমির ওড়না হাতে পেঁচিয়ে বলল
_ বল কার গলায় ঝুলেছিস ? থুরি কার সাথে প্রেম করিস ?
রিমি মুখ টা ছোট করে বলল
_ ছাড় আগে।
ফারাবি রিমির উপর থেকে উঠে গেল।
রিমি লজ্জায় রাঙা হচ্ছে, ফারাবি হালকা ধাক্কা মেরে বলল
_ ওরে আমার লজ্জাবতী রে তোকে আর লজ্জা পেতে হবে নাহহ।এখন বল কে সেই ভাগ্যবতী দূর ভাগ্যেবান ব্যাক্তি।
রিমি ফোন থেকে একটা ছবি বের করে দিয়ে ফারাবির দিকে দেখালো।
ফারাবি ভালো করে দেখে বলল
_ আমাদের কলেজ এর সিনিয়র এটা।
ও মাই গড বলেই ফারাবি বেডে শুইয়ে পরলো।
রিমি লজ্জা হাসলো। ফারাবি চোখ বাঁকিয়ে বলল
_ এর নাম যেন কিহহ ?
আর কখনো তো এর সাথে কথা বলতে দেখি নি তোকে হুম।
রিমি লজ্জায় যেন নুইয়ে যাচ্ছে। লম্বা করে শ্বাস ফেলে বলল
_ ওর নাম ফাহাদ , আর আমি কলেজে ওর কথা বলি নাহহ।
ফোনেই কথা হয় , তবে মাঝে মাঝে কলেজে লুকিয়ে কথা বলি সবার আড়ালে।
কলেজের বাইরে গেলেই ভাইয়া রা জেনে যাবে তাই ।
ফারাবি ঠোঁট উল্টিয়ে বলল
_ ভাইয়ের মতোই ডেঞ্জারাস।
ভাই টা হয়েছে এক রাক্ষস আর এটা হলো ডেঞ্জারাস।
অবশ্য ভাইয়ের থেকেই সব গুন রপ্ত করেছে।
বজ্জাত হনুমান টা সব গুলিয়ে দিচ্ছে।
হুহহহহ