হিয়ার মাঝে পর্ব -০৮

#হিয়ার_মাঝে
#পর্বঃ৮
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

১৫,
” আমি ঠিক আছি ভাইয়ু। কিন্তু তোমার শালীর মাথা ঠিক নেই। আমার কিছু উল্টাপাল্টা ছবি তুলে রেখেছে। বাই এনি চান্স ওগুলো নাতাশার হাতে পরলে বন্ধু, কাজিন সোশাল মিডিয়ায় কারোর সামনে আর যাওয়া যাবেনা। প”চানি দিয়েই আমায় তলানিতে ফেলে দিবে মান-সম্মান।”

ইহসাসের কথা শুনে এবার সবাই অবাক হয়ে বড় বড় চোখে তাকায়। হিয়া ইহসাসের দিকে তাকিয়ে কপালে হাত চা’পড়ে উঠে। এই লোকের মুখ ফস্কে এতো বেফাঁস কথা কেনো বেরিয়ে আসে! উল্টাপাল্টা ছবির কথা বলছে, এরা তো নরমাল ছবিগুলোকেই বেশি উল্টাপাল্টা ভেবে বসছে। পাগল হয়ে গেছে এই লোক। ইহসাস তার দিকে উপস্থিত সকলের এরকম চাহনী দেখে জিগাসা করে,

” কি হলো তোমরা এভাবে দেখছো কেনো? ”

আরাফাত এগিয়ে গিয়ে ইহসাসের কাধে হাত দিয়ে ভর করে দাড়ায়। তারপর কানের কাছে ধীরে ধীরে বলে,

” ভাই, আমার বোনের সাথে তোমার কি চক্কর চলে? ”

” চক্কর চলে মানে?”

ইহসাস একটু জোড়েই বিস্ময় সহিত প্রশ্নটা করে। রায়া তো কাউকে কিছু বলছে না, শুধু হিয়ার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে।আছে, যেনো বুঝাচ্ছে, একা পেলে হিয়ার খবর আছে। হিয়া বোনের চাহনী দেখে এগিয়ে গিয়ে ইহসাসের সামনে দাড়িয়ে বলে,

” আপনার কি উল্টাপাল্টা ছবি থাকবে হুহ? শুধু খেতে বসেছিলেন, তখনই আপনার সুন্দর করে খাওয়ার ছবি তুলেছি। এরা তো আপনার কথা শুনে ভেবে নিয়েছে আপনার হ* ছবি তুলে ফেলেছি।”

কথাটা বলেই জিভে কা*মড় দেয়। ইহসাসের মতো তার মুখও এমন অবাধ্যের মতো কি সব বলে ফেলছে। ইহসাসের অবস্থা এমন সে কথা বলতে ভুলে গেছে। ইহসাস সবার দিকে একবার তাকায়। রায়া মুখে হাত দিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, রাদও উল্টোদিক হয়ে আছে। আফরা আর রায়হান তো দৌড়ে চলে গেছে, বড়দের সামনে থেকে লজ্জায় পরতে চায় না ওরা। আরাফাত তো ইহসাসের পাশে দাড়িয়েই মিটমিট করে হাসছে। ইহসাস এবার ক’টমটিয়ে তাকায় হিয়ার দিকে। মান সম্মানের কিছু রাখলো না এই মেয়ে। হিয়াও এবার আফরা আর রায়হানের চলে যাওয়া দেখে বোকা বোকা হাসি দিয়ে এক পা এক পা করে পিছিয়ে ছাদ থেকে দৌড়ে চলে যায়৷ রায়াও সবার চলে যাওয়া দেখে রাদ আর ইহসাসের উদ্দেশ্যে বলে,

” সবাই চলে গেলো আপনারাও আসুন৷ দুপুর হয়ে আসছে, রোদের তাপে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবেন? আর ইহসাস হিয়া বাচ্চা মানুষ, ওর কথায় এতোটা ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আমি ছবিগুলো ডিলিট করে দিবো। ”

এরপর আরাফাতের দিকে তাকিয়ে ইশারায় বুঝায়, আমার সাথে চল। আরাফাতও রায়ার সাথে ছাদ থেকে চলে যায়। ইহসাস আর কি বলবে খুজে না পেয়ে ভাইকে বলে,

” ভাই চলো। ভাবী তো নিচে যেতে বললো। ”

রাদ এবার স্ব চকিত নজরে ইহসাসকে দেখলো। সে ইহসাসের দিকে তাকিয়ে জিগাসা করে,

” তুই কি হিয়াকে পছন্দ করিস ইহসাস?”

” কি সব বলছো ভাইয়া? ”

” সামান্য ছবির কথা বলে হিয়া তোকে ভ’য় দেখালো আর তুই ভ’য় পেলি। এতোটা ভ’য় পাওয়ার মানুষ নস তুই। আমাদের তিন ভাইয়ের মাঝে মেয়েদের প্রতি আগ্রহ সব থেকে তোরই কম। আমরা তাও যা একটু এমন মেয়ে বিয়ে করবো, ওমন করবোনা মুখ ফুটে বলছি। তুই আজ অব্দি সেটাও বলিস নি। পড়াশোনা শেষ করে বেকার ঘুরছিস। চাকরির এপ্লাই অব্দি করিসনি, সেখানে বিয়ের কথা মুখে আনাও দূরের কথা। সেখানে হিয়ার এক কথায় আমাদের মানাতে বসেছিস ঘুরতে যেতে। ঘটনা কি ভাই?”

রাদ একদমে ইহসাসের দিকে তাকিয়ে জানার আগ্রহ নিয়ে কথাগুলো বললো। ইহসাস পুরোই শূন্য অনুভূতিতে দাড়িয়ে আছে। ভাবুক দৃষ্টিতে রাদের দিকে তাকিয়ে একটু ভাবার চেষ্টা করলো, আদৌও তার হিয়ার প্রতি কোনো ফিলিংস কাজ করছে তো!

১৬,
” তুমি যা বলছো, সেরকম কিছুই না ভাইয়া। মেয়ে টা বিদেশে বড় হয়েছে। অন্য দেশের সৌন্দর্য দেখলেও, নিজের দেশ নিয়ে তেমন কিছুই জানেনা, আর না দেখেছে। তাই ওর আকুতি পূর্ণ দৃষ্টি উপেক্ষা করতে পারিনি৷ ও ভেবেছে, ওর কথায় ভয় পেয়ে আমি রাজী হয়েছি, কিন্তু ও জানেনা, এই ইহসাস এহসান নিজ থেকে রাজী না হলে জোড় করে কেউ কিছু করাতে পারেনা৷ কিন্তু ভ’য় তোমাদের নিয়ে ; যে তোমরা রাজী হবা কিনা! কারণ উপযুক্ত বয়সী একটা মেয়েকে নিয়ে একা একাই ঘুরতে চলে যাওয়া যায় না। ”

ইহসাস ছাদের রেলিং এ দুহাত রেখে দাড়িয়ে আকাশের প্রখর তাপ দা’হে দৃষ্টি ফে’লে উত্তর দেয় রাদের কথার। রাদ নিজের ভাইকে দেখছে। ইহসাস যতোই উপেক্ষা করুক, রাদ বুঝতে পারছে ; হিয়ার প্রতি একটু হলেও দুর্বলতা কাজ করছে ইহসাসের। নিজেদের দুর্বলতা ছেলেরা না হারালে বা দূরে গেলে ভালো করে উপলব্ধি করতে পারেনা, সেটা হোক জিনিস বা মানুষ। কেউ কেউ নিজের অনুভূতি সহজেই ধরে ফেলে, আর কেউ বুঝতেও পারেনা, যার প্রতি অনুভূতি সে দূরে না গেলে। ইহসাসও হয়তো হিয়া কানাডা চলে যাওয়ার পর বুঝবে হিয়ার অস্তিত্ব তার জীবনে কি! তখন হয়তো ইহসাস হিয়ার অভাব বুঝে ভেতরে ভেতরে পু’ড়বে, কিন্তু হিয়াকে পাবেনা, আর না পারবে কাউকে বলতে৷ রাদ এসব ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ভাবে। ভাইয়ের ভবিষ্যতে যদি এমন কিছুই থাকে তাহলে তার ভাই শে’ষ। কি অবস্থা হবে ভাবতেই মাথা ধ’রে যাচ্ছে রাদের। ইহসাস ভাইকে নিরব থাকতে দেখে সে মাথা ঘুরিয়ে ভাইকে দেখে। রাদ বুকে হাত বেঁধে দূর দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে৷ সে রাদকে বলে,

” কি হলো ভাই? এরকম চুপ করে গেলে? ”

” কিছু না। চল নিচে যাই! ”

” ভাই একটা কথা রাখবে? ”

“কি কথা? ”

” তুমি একটু তাওই মশাইকে বলে দেখবে ঘুরতে যাওয়ার কথা? তুমি নতুন জামাই উনি কথা ফেলবেন না।তাছাড়া ভাবীও তো এদেশের কিছু দেখেনি বোধ হয়৷ আর তোমাদেরও একান্ত কিছু সময় কা’টানোর সুযোগ পাবে৷”

রাদ মুচকি হাসলো ভাইয়ের কথায়। ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললো,

” আচ্ছা দেখি। চল নিচে যাই। ”

বলেই রাদ হাঁটা ধরে নিচে যাওয়ার জন্য। ইহসাস গেলো না। সে ছাঁদেই দাড়িয়ে বুকে হাত বেঁধে আকাশের দিকে তাকায়। আনমনেই ভেবে উঠে, ‘ মিস হিয়া! আসলেই কি আপনার জন্য আমার হিয়ার মাঝে কোনো অনুভূতি কাজ করছে! দেখুন না আমায় কোনো মেয়ে আজ অব্দি কোনো কথায় কাবু করতে পারেনি। অথচ আপনি পেরেছেন। কিছু মানুষ অপেক্ষা করে, নির্দিষ্ট একটা মানুষের মায়ায় আটকাতে। আপনিই কি আমার সেই একটা মানুষ, যার অপেক্ষায় আমি আছি! আপনার আর আমার হিয়া, একে-অপরের হিয়ার মাঝে আটকে যাবে কি! নাকি এই আবরার ইহসাস এহসানের উপলব্ধি করতে ভুল হচ্ছে। আমার নামটাই যেখানে ইহসাস, যেটার মানে উপলব্ধি করা, অনুভব করা৷ সেখানে আমার অনুভব কি আমায় ধোঁকা দিচ্ছে ধরা না দিয়ে! বলুন না কোনটা ঠিক মিস হিয়া! কেমন একটা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছি, আপনার নাম আসলেই। ‘

ইহসাস পরক্ষণেই অবাক হয়ে যায় নিজের চিন্তা ভাবনা দেখে। এসব কি ভাবছে সে! ইহসাস চুলে হাত দিয়ে ঝাঁকা দিয়ে নিচে চলে যাওয়ার জন্য আসে৷ তখুনি ফের আবার হিয়া ছাদে এসে হাজির হয়। সিড়ির মুখে দরজার কাছে দুজন মুখোমুখি হয়। ইহসাস কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে, হিয়া পাশ কাটিয়ে চলে যায় ছাদের দিকে। হিয়ার মুখটা থমথমে, কিছু হলো না তো আবার! যার ফলে হিয়া এতোটা চিন্তিত। ইহসাস চিন্তিত চাহনীতে পিছ ফিরে তাকালো। হিয়া ফোনে কিছু একটা করতে একটু ব্যস্ত। ছাদে রাখা দোলনায় বসে সে চিন্তিত মুখে ফোনে টাইপিং করতে ব্যস্ত। ইহসাস দু কদম এগিয়ে হিয়ার দিকে যাবে, হিয়া ফোনে চোখ রেখেই বলে,

” যা হয়েছে এটা নিয়ে পরে কথা বলা যাবে। আপাতত দয়া করে আমায় একা থাকতে দিন। নিচে যান, মাম্মা লাঞ্চ রেডি করে ফেলছে অলমোস্ট। গোসল দিন, দিয়ে খেতে বসুন যান। ”

ইহসাস কিছু বললো না। হিয়ার কথা অনুযায়ী তাকে স্পেস দিয়ে চলে গেলো নিচে। কিন্তু তাতেও ইহসাসের মাথা থেকে হিয়ার চিন্তিত মুখের প্রতিচ্ছবি সরছেনা।

১৯,
লাঞ্চ সেরে ড্রইং রুমে সোফায় বসে আছে রাদ, ইহসাস, নাতাশা,আনিকা। নাতাশা একটু আগেই এসেছে রাদদের বাড়ি নিয়ে যেতে। সাথে নিয়ে এসেছে আনিকা-কে। রায়া নিজের রুমে কাপড়চোপড় সব গুছগাছ করে নিচ্ছে। হিয়া কোথায় নজরে পরছেনা রাদের৷ আরাফাত, আফরা, রায়হান লাঞ্চ করেই নিজেদের বাসায় চলে গেছে৷ হিয়াদের আর তার মামাদের বাসা পাশাপাশি। হিয়াদের বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েক কদম এগুলেই হিয়ার মামার বাসা। হিয়ার বাবা লাঞ্চ শেষে নিজের রুমে রেস্ট করছেন। হিয়ার মা মিসেস অন্তরা কিচেনে নিজের ছোটো ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে থালাবাসন ধুয়ে গুছিয়ে রাখতে ব্যস্ত। বিয়ে বাড়ি ছিলো,দুদিনে ঘরবাড়ির অবস্থা বি”ধস্ত৷ হয়তো রাদ-রা চলে গেলে সব গুছিয়ে নিবেন উনারা। সবাই এমন চুপচাপ বসে আছে, আনিকার বিষয় টা ভালো লাগছেনা। সে সব নিরবতা মিটিয়ে বলে উঠে,

” কি রাদ? সবাই এমন চুপচাপ? কিছু নিয়ে চিন্তায় আছো?”

” আসলে ভাবী আমরা একটা প্ল্যান করেছি। বুঝতে পারছিনা শ্বশুর মশাইকে কিভাবে বলবো? ”

রাদ আনিকার কথার উত্তর দেয়। নাতাশা এবার সোফায় রাখা কুশন নিয়ে কোলে রেখে তাতে ভর দিয়ে বসে। এরপর বলে,

” কি প্ল্যান ভাইয়া? ”

” আমরা ঘুরতে যেতে চাচ্ছি৷ সাথে হিয়া, নাতাশা, আর হিয়ার কাজিন যে যে যেতে পারবে তাদের নিয়ে। ভাবী চাইলে তুমিও জয়েন করতে পারো আমাদের সাথে। ”

ইহসাস আগ্রহের সহিত উত্তর দেয়। সে খুব খুশি, তার কথার ভঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছে। রাদ যে তার কথা আমলে নিয়ে বিষয়টা ভাবছে তাতে সে ভীষণ খুশি, সেটা চোখে মুখেই উপচে পরছে। আনিকা ইহসাসের কথা শুনে অবাক চাহনীতে তাকিয়ে আছে। যে ছেলে ঘর থেকেই সেভাবে বেরুতে চায় না, সারাক্ষণ ফ্রেন্ডসদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে,পরিবারের সাথেই সময় কা’টাতে চায়না। ফ্যামিলি প্রোগামেই থাকেনা, সেখানে এতো আগ্রহ নিয়ে সে নিজের ভাইবোনের সাথে ঘুরতে যাবে, অদ্ভুত লাগছে বিষয়টা। তবু্ও সে হাসিমুখে উত্তর দেয়,

” না ইহসাস, তোমরা যাও। তাওই সাহেবকে আমি নিজেই বলবো, যাওয়ার আগে আগে। এখন সবাই এতো গোমড়ামুখে চুপচাপ বসে থেকো না, একটু গল্প গুজব করো। কালকে থেকে কি কি করলে! ”

নাতাশাও এবার তাল মিলায় আনিকার সাথে। রাদ সকাল থেকে হওয়া সব ঘটনাই শেয়ার করে। সবকিছু শুনে আনিকা পুরোই হত’ভম্ব। ইহসাসকে হিয়া নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে শুনে কি বলবে ভাষা পাচ্ছে না। সে মাথায় হাত দিয়ে সোফায় গা এলিয়ে দেয়। হিয়া মেয়ে-টা তো সাং”ঘাতিক। সোজা ছবি তুলে ব্লা”কমেলিং। নাতাশা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। তার হাসির শব্দে মিসেস অন্তরা কিচেন থেকে বেরিয়ে আসেন। হাতে সবার জন্য নুডলস আর কিছু ফল-মূল কে’টে এনেছেন তিনি। তাকে দেখে নাতাশ হাসি থামিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। ট্রে থেকে সেগুলো সামনে থাকা সেন্টার টেবিলে রাখতে রাখতে তিনি বলেন,

” কি ব্যাপার মামনি? কি নিয়ে এতো হাসাহাসি করছিলে? ”

” কিছু না আন্টি, এমনিই ভাইয়াকে নিয়ে মজা করছিলাম। ”

নাতাশা উত্তর দেয়। আনিকা নুডলস দেখে ব্যস্ত হয়ে মিসেস অন্তরাকে বলে,

” মাত্রই লাঞ্চ করলাম আন্টি। এসব আনার কি দরকার ছিলো?”

” বাসাতেই চলে যাবে আদর আপ্যায়ন আর করতে পারলাম কই? এগুলো খেয়ে নাও। ”

” আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমরা খাচ্ছি।”

রাদ হাসিমুখে উত্তর দেয়। তখনই হিয়া ড্রইং রুমে এসে হাজির হয়। ইহসাস হিয়ার দিকে তাকায়। সেই যে ছাদে গিয়েছিলো হিয়া, এরপর কেবল দেখলো তাকে৷ লাঞ্চ করতেও আসেনি সে। মিসেস অন্তরা মেয়েকে দেখে বললেন,

” কোথায় ছিলে? দুপুরে খেতেও আসোনি। ডাকলাম, সাড়া ছিলো না।”

” মাম্মা আমরা কানাডা ব্যাক করবো কবে? ”

মিসেস অন্তরা অবাক হোন হিয়ার কথায়। যে মেয়ে কানাডায় থাকতেই চায় না, সে ব্যাক করতে চাইছে! ওদিকে সব ঠিকঠাক আছে তো? ভয়ে কেঁপে উঠেন মিসেস অন্তরা৷ রাদ,আনিকা,নাতাশা,ইহসাস অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে হিয়ার দিকে। ইহসাস ভাবছে, এই মেয়ে ঘুরতে চেয়ে আবার ফিরতে চাইছে! ব্যাপার কি? মিসেস অন্তরা হিয়াকে প্রশ্ন করেন,

” মানে? এতো তাড়াতাড়ি ফিরতে চাচ্ছো যে?”

চলবে?

আসসালামু আলাইকুম, ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আজ বড় করে দিয়েছি। ১৬০০+ওয়ার্ড।রিচেক করিনি, বানান ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে পড়বেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here