#ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤
#লেখিকা_আয়েশা (কোয়েল)
#পর্ব_১৪
.
🌸
.
প্রকাশ একবার ইশারার দিকে তাকালো ইশারা চোখ দিয়ে সম্মতি জানাতেই প্রকাশ দৌঁড়ে উপরে চলে গেলো,,প্রকাশ নিজের বাবার ঘরে যেতেই দেখলো ওর বাবা ওর মায়ের একটা ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন,,অনেক বড়ো একটা ছবি যা দেয়ালে টানানো প্রকাশ ধীর পায়ে গিয়ে বাবার পাশে দাঁড়ালো,,রাজীব প্রকাশ কে দেখে সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখের জল আড়াল করে বললো
রাজীব: তুমি এসেছো?? কখন এলে??
প্রকাশ: ঠিক তখন যখন তুমি মামের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছিলে ড্যাড!
রাজীব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন প্রকাশের দিকে ড্যাড! কথাটা শুনে কিন্তু প্রকাশ স্থির ও শান্ত চোখে সামনে ছবির দিকে তাকিয়ে আছে,,রাজীব নিজের কাঁপা কাঁপা হাত প্রকাশের কাঁধে রাখতেই প্রকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো আর বললো
প্রকাশ: আ’ম সরি ড্যাড! আমার ঠিক হয়নি তোমার উপর এভাবে এতদিন রেগে থাকা,,অনেক অপমান করেছি তোমায় আ’ম রিয়েলি রিয়েলি সরি ড্যাড,,
রাজীব প্রকাশ কে জড়িয়ে ধরলো আর প্রকাশ ও জড়িয়ে ধরলো,,আজ অনেক বছর পর প্রকাশ নিজের বাবা কে বাবা বলে সম্বোধন করেছে,,জড়িয়ে ধরেছে আজ সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ঠিক হলো,,দুর থেকে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ইশারা,,দীপ-দিয়া,,কাকা-কাকিমণি খুশিতে চোখের জল ফেলছে,,কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সবাই সরে গেলো আর দিয়া ইশারা কে প্রকাশের ঘরে রেখে চলে গেলো,,
ইশারা প্রকাশের ঘরের সব জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে সব কি সুন্দর করে সাজানো গোঁছানো,,ইশারা দেখলো বিছানার পিছনের দেয়ালে প্রকাশের একটা বড়ো ছবি টানানো যেখানে প্রকাশের চুল গুলো একদম এলোমেলো হয়ে রয়েছে যার জন্য কপাল ঢেকে গিয়ে চোখের মধ্যে চুল পরে রয়েছে আর প্রকাশ বাঁকা হাসি ঠোঁটের কোণে রেখে হাসছে,,,ইশারা ছবিটা দেখে খুব বড়ো ধরণের একটা ক্রাস খেলো যদিও সব সময় ইশারা সেটা খায় খুব একটা বড়ো ব্যাপার না কারণ প্রকাশের সৌন্দর্যটাই এমন,,ইশারা নিজের মনে মুচকি হেসে ব্যালকনি তে চলে গেলো,,
আজ কে খুব সুন্দর পরিবেশ টা মেঘলা করে হাওয়া দিচ্ছে হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি আসবে,,মৃদু বাতাস ইশারার শরীর ছুঁইয়ে যাচ্ছে হাওয়ায় চুল গুলো উড়ছে ইশারার,,ইশারা ভাবছে আজ প্রকাশ কে তার নিজের বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে সে,,ঠিক এভাবে যদি কেউ ইশারার বাবা-মা কে ফিরিয়ে দিতে পারতো?? তাহলে ইশারাও নিজের বাবা-মায়ের আদর পেতো কতদিন নিজের বাবা-মা কে দেখেনা ইশারা,,ভাই টা তো আরো বেশী কষ্ট পায় অনেক ছোট বেলায় হারিয়েছে সে বাবা-মা কে কিন্তু এখন প্রকাশ সেই কষ্ট টা কিছুটা হলেও লাঘব করেছে,,এখন থেকে ইশারার ও বাঁচার একটা উদ্দেশ্য আছে এটা ভাবতেই ইশারার মনটা কিছুটা ভালো হয়ে গেলো,,
ঠিক সেই সময় ইশারা নিজের পেটে শীতল হাতের স্পর্শ পেলো আর পিঠে গরম নিশ্বাস,,এটা যে প্রকাশ তা বুঝতে বাকি রইলো না ইশারার,,প্রকাশ ঘরে এসে চারিদিকে ইশারা কে দেখতে না পেয়ে ব্যালকনি তে আসতেই দেখলো ইশারার লম্বা একছেয়ে চুলগুলো বাতাসে এলোমেলো হয়ে উড়ছে সঙ্গে ইশারার শাড়ির আঁচল টাও যার ফলে ইশারার ফর্সা পিঠ টা দেখা যাচ্ছে আজ জানো প্রকাশ কে ভীষণ ভাবে আকর্ষণ করছে ইশারার এই রুপ,,প্রকাশ পিছন থেকে গিয়ে ইশারা কে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো,,,প্রকাশের এমন ছোঁয়া পেয়ে ইশারা কেঁপে উঠলো প্রকাশের স্পর্শ গুলো ধীরে ধীরে গভীর হচ্ছে পিঠ থেকে এখন কাঁধে ঠোঁট বুলাচ্ছে প্রকাশ,,আর একটা হাত ইশারার পেটে বিচরণ করছে ইশারা প্রকাশের হাত টা ধরে রেখেছে শক্ত করে প্রকাশ ইশারার ঘাড়ে চুমু দিতেই ইশারা প্রকাশের হাতটা খামচে ধরলো চোখ বুজে আর সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশের দিকে ফিরে প্রকাশ কে জড়িয়ে ধরলো,,,প্রকাশ ইশারা কে সামনে এনে ওর মুখ টা তুলতেই ইশারা মুখ ঘুরিয়ে নেয় আর বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়,,প্রকাশ ইশারার কানের কাছে গিয়ে আস্তে করে ঠোঁট বুলায় আর বলে
প্রকাশ: ইশান কে ড্রাইভার নিয়ে আসবে স্কুল থেকে,,সো আমাদের মাঝে এখন কোনো বাঁধা নেই আর ওয়েদর ও কিন্তু পারফেক্ট (একটা চুমু দিলো)
ইশারা আর কিছু না বলে প্রকাশের দিকে ফিরতেই প্রকাশ ইশারার কোমর জড়িয়ে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো কিছুক্ষণ পর ছেড়ে ইশারা কে কোলে তুলে নিলে ইশারা প্রকাশের বুকে মুখ গোঁজে আর প্রকাশ ইশারা কে নিয়ে ঘরে চলে যায় ইশারাকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিজের ভর ছেড়ে দেয় ইশারার ওপর আর ইশারার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়,,,ইশারা নিজের এক হাত আবদ্ধ করে প্রকাশের চুলের মধ্যে আর আরেক হাত রেখেছে প্রকাশের হাতের উপর ❤
আজ থেকে শুরু হলো একটা নতুন অধ্যায় ওদের জীবনের,,প্রকাশের কথা মতোই #ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ ঘটল,,মিটে গেলো ওদের মাঝের সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব মিলিত হলো ওরা দুজন ♥️
প্রকাশের বুকে মাথা রেখে ইশারা শুয়ে রয়েছে বাইরে এখন মুষলধারে বৃষ্টি পরছে আর তার সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে,,জানলা দিয়ে সেই হাওয়া আসছে আর ঘরের বাতাস টা ঠান্ডা করে দিচ্ছে খুব বেশি ঠান্ডা লাগায় ইশারা আরো শক্ত করে প্রকাশ কে জড়িয়ে ধরল প্রকাশও এক হাত দিয়ে ইশারা কে নিজের সাথে জড়িয়ে মাথায় আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো
প্রকাশ: রাত হয়ে গেছে জান! খাবে না..??
ইশারা হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লো,,
প্রকাশ: তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাবার ঘরে নিয়ে আসছি,,
ইশারা: আমি সবার সাথে নীচে বসেই খাবো (ইশারায়)
প্রকাশ: আচ্ছা আমি আসছি তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও
ইশারা: কোথায় যাচ্ছেন?? (প্রকাশের হাত টেনে ধরে ইশারায়)
প্রকাশ: আসছি একটা ইম্পরট্যান্ট কল এসেছে (ইশারার কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে)
প্রকাশ নিজের শার্ট টা নিয়ে ব্যালকনির দিকে বেরিয়ে গেলে ইশারা আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে ওয়াশরূমে চলে যায় ফ্রেশ হতে কিছুক্ষণ পর শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে ইশারা দেখে প্রকাশ নেই ঘরে
ইশারা: এখন ও আসেননি উনি?? কি এমন ইম্পরট্যান্ট কল এসেছে ওনার যে আমার সামনে কথা বললেন না (মনে মনে)
দিয়া: বউমনি!! (দরজা ধাক্কিয়ে)
ইশারা দিয়ার আওয়াজ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দরজা খুলে দিলো আর দিয়া ভিতরে এসে বললো
দিয়া: ওহ বউমনি! সেই যে এসে ঘরে ঢুকলে আর বেরোলেই না এদিকে তোমার ভাই মানে ইশান এসে তোমায় খুঁজছিলো আমি আর দীপ মিলে অনেক কষ্টে আটকে রেখেছি নানান অজুহাত দিয়ে,,আর রাত ও তো অনেক হয়েছে খাবে না নাকি??
ইশারা: তুমি যাও আমরা আসছি (ইশারায়)
দিয়া: ওহ হো বুঝেছি দাদাভাইয়ের সাথে ব্যস্ত ছিলে হমম??
ইশারা প্রতি উত্তরে মুচকি হাসলো আর দিয়া হেসে চলে গেলো আর ইশারা দরজা টা ভেজিয়ে দিলো আর ব্যালকনির দিকে চলে গেলো,,এদিকে প্রকাশ কথা বলতে ব্যস্ত
প্রকাশ: আমিও তো তোকে ভীষণ মিস করছি
——
প্রকাশ: তো তোর কেনো মনে হচ্ছে আমি তোকে ভালোবাসি না?? আমি তো বললাম আমি তোকে ভালোবাসি
——
প্রকাশ: ওকে ফাইন বিশ্বাস করিস না আমাকে আমি ফোন রাখছি দেন
——
প্রকাশ: তুই আমাকে হার্ট করছিস আমি না,,আমি এতো দিন ধরে তোকে ভালোবাসি আর তুই কি না,,
——
প্রকাশ: ইয়াহ! তুই যেমন টা বলেছিস ঠিক তেমনটাই হবে আমি ওকে নিয়েই যাবো কালকে,,এতদিন অনেক কষ্ট পেয়েছি ওর জন্য এবার শান্তি চাই,,আমার যেটার দরকার সেটা তো আমি কিছুক্ষণ আগেই পেয়ে গেছি (বাঁকা হেসে) এখন আর ওর দরকার নেই,,
——
প্রকাশ: লাভ ইউ! বায়,,
প্রকাশ ফোন রেখে পিছনে ফিরতেই চমকে উঠলো কারণ সেখানে ইশারা দাঁড়িয়ে আছে প্রকাশ বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পরেছে ইশারা কে এভাবে দেখে
প্রকাশ: শিট! সব শুনে ফেললো না তো?? তাহলে কালকের প্লান পুরো ভেস্তে যাবে,,এতদিন ধরে যা নাটক করলাম শেষ মুহুর্তে এসে সব কিছুর উপর জল না ঢেলে দেয় এই মেয়ে,,(মনে মনে)
প্রকাশ: আব ইশারা ত,,তুমি এখানে ক,,কি করছ??
ইশারা: দিয়া এসেছিল নীচে যাওয়ার কথা বলেছে তাই ডাকতে এলাম আপনাকে,,
প্রকাশ: (থ্যাংক গড কিছু শোনেনি) ওকেই চলো যাচ্ছি আমি
প্রকাশ ইশারা কে পাস কাটিয়ে বেরিয়ে যেতেই ইশারার চোখ দিয়ে জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পরতে লাগলো,,ইশারা প্রকাশের সব কথা শুনেছে এতক্ষণ নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলে ও আর পারছে না এখন,,কিছু ভাবতে পারছে না ইশারা সব কিছু কেমন ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে তবুও ইশারা কিছু বললো না প্রকাশ কে চুপচাপ নীচে চলে গেলো ইশারা নিজেকে স্বাভাবিক করে,,
রাতের বেলা খাওয়া শেষে ঘরে এসে ইশারা প্রকাশের সাথে কোনো কথা বললো না চুপ চাপ নিজের জায়গায় এসে এক পাশ ফিরে শুয়ে পরলো বিছানায়,,অপর পাশেই প্রকাশ শুয়ে আছে সে শুয়ে শুয়ে ফোন চালাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে ইশারা চোখের কোণ দিয়ে অনবরত জল পরছে হঠাৎ করেই প্রকাশ ইশারা কে টান মেরে নিজের বুকে নিয়ে নিলো আর ইশারা কে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলো
ইশারা: প্রকাশ আপনি এমনটা কি করে করতে পারলেন আমার সাথে?? এতো ভালো অভিনয় কি করে করেন আপনি?? আমি আপনাকে কিচ্ছু বলবো না এই ব্যাপারে আমিও দেখতে চাই আমার ভাগ্যে কি আছে,,(মনে মনে প্রকাশের দিকে তাকিয়ে)
ইশারা হয়তো ভাবতেও পারছে না ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে,,কি হতে চলেছে ওর সাথে,,হতে পারে এটাই প্রকাশের বুকে মাথা রেখে কাটানো শেষ রাত ইশারার জন্য,,কেউ জানে না কার ভাগ্যে কি আছে নিয়তি কখন কার জন্য ভালো কার জন্য খারাপ তার হিসেব কাওর কাছে নেই একমাত্র ভগবান ছাড়া,,
সকালবেলা………………………☀️☀️
প্রকাশ ড্রাইভ করছে আর ইশারা প্রকাশের পাশের সিটে নীরব হয়ে বসে আছে সেটা প্রকাশ আড় চোখে দেখছে আর বাঁকা হাসছে,,
প্রকাশ: আজ সব নাটকের অবসান হবে ইশারা অনেক নাটক করেছি আর নয় অনেক কষ্ট পেয়েছি আর না নাও আমার ভালো থাকার পালা (বাঁকা হেসে মনে মনে)
প্রকাশ একটা পুরোনো বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করালো আর নিজে নেমে ইশারা কে নামতে বললো,,ইশারার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই সে জানো প্রকাশের হাতের পুতুল প্রকাশ যেমন চাইছে ঠিক তেমন চলছে ইশারা প্রকাশের সাথে আস্তে আস্তে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো,,ইশারা এতক্ষণ বাড়িটা খেয়াল করেনি কিন্তু বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই ইশারার বুকটা ধক করে উঠলো পাশে প্রকাশ কে দেখতে না পেয়ে এদিক ওদিক তাকাতেই দেখলো একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটাকে দেখে ইশারা অবাক হলো না বরং পিছনে তাকালো দেখলো প্রকাশ দরজার সাথে হেলান দিয়ে দু হাত ভাঁজ করে বটে নিয়ে ইশারার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসছে,,,ইশারা এটা দেখে মাথা নিচু করে নিলো আর চোখের জল ফেললো,,
প্রকাশ: তো মিস ইশারা?? আজ সব নাটক শেষ করেদি কি বলো??
আস্তে আস্তে মেয়েটার কাছে গিয়ে মেয়েটার কোমর জড়িয়ে ধরে গালে স্লাইড করতে করতে,,
প্রকাশ: ট্রাস্ট মি ইশারা আমি আর পারছি না তোমার সাথে এই মিথ্যে নাটক করতে আই আম কম্পলীটলি ফেড আপ,,এতদিন নাটক করতে কার ভালো লাগে বলো?? নিজেকে তো এখন অভিনেতা মনে হচ্ছে আমার হা হা হা! নাও গেম ইস ওভার
এটা বলতে না বলতেই গুলির আওয়াজ হলো আর ইশারার চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পরতে লাগলো,,
.
❤
.
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]
ক্ষমা করবেন দেরী করে দেওয়ার জন্য আসলে এখানে একটার পর একটা সমস্যা লেগেই রয়েছে,,নেটওয়ার্ক কানেকশন এখন ও ঠিক হয়নি অনেক জায়গায় এখন ও কারেন্ট নেই পানীয় জল নেই আমার এখানে এসব আছে শুধু নেটওয়ার্ক কানেকশন টাই নেই তাই একটু দেরী হচ্ছে,,
বি:দ্র: গল্পটার সেড এন্ডিং দেবো ঠিক করেছি অর্থাৎ কঠোর বাস্তব দ্বারা,,আপনারা বা আমি যেটা সেড এন্ডিং মনে করি সেটা কিন্তু বাস্তব জীবনে কঠোর বাস্তব বলে ধরা হয়,,