“ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤ পর্ব_১৬ (সমাপ্তি পর্ব)

#ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤
#লেখিকা_আয়েশা (কোয়েল)
#পর্ব_১৬ (সমাপ্তি পর্ব)
.
🌸
.
~~~~~~ ছয় মাস পর ~~~~~~

আকাশে মেঘ জমেছে ঘন কালো মেঘ! মনে হয় অঝোরে বৃষ্টি আসবে আর বৃষ্টি হলেই আকাশের মন ভালো হয়ে যাবে সব কালো মেঘ দুর হয়ে যাবে কালো মেঘ ভেদ করে বেরিয়ে আসবে গোল একটা চাঁদ আর তার সঙ্গে তারা যা রাতের আকাশের শোভা বৃদ্ধি করে,,,এই মনোরম পরিবেশের মৃদু শীতল হাওয়া আজ ইশারার শরীর ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কারণ সে দাঁড়িয়ে ছাদে আর এই মনোরম পরিবেশ অনুভব করছে,,আকাশের মতো ইশারার মনে ও কালো মেঘ জমেছে ভীষণ ভারী অনুভব হচ্ছে নিজেকে হয়তো একটু কাঁদতে পারলে ভালো হতো! আকাশ যেমন বৃষ্টি দিয়ে হাল্কা হয়ে যাবে তেমন যদি ইশারাও পারতো! কিন্তু তা আর হচ্ছে কই?

ইশারা দাঁড়িয়ে ছিলো ঠিক সেই সময় আকাশে আলোর ঝলকানি দেখা দিলো আর কিছুক্ষণ পর খুব জোরে বিদ্যুত চমকালো ইশারা ভয় পেয়ে দু-কানে দু-হাত চাপা দিয়ে পিছন দিকে ফিরতেই একজনের বুকে ধাক্কা খেলো,,বাঁধা পেলো যাওয়ার পথে ইশারা নড়লো না একভাবে দাঁড়িয়ে রইলো ইশারা টের পেলো তার কোমরে শীতল হাতের স্পর্শ বিচরণ করছে আর তার সঙ্গে সেই পরিচিত মিষ্টি সুভাষ যা শুধুমাত্র একজনের কাছে আসাতেই ইশারার অনুভব হয় ইশারা কান থেকে হাত নামিয়ে আস্তে করে দুরে সরে যেতেই ইশারার কোমরে থাকা হাতের স্পর্শ আরো শক্ত হয়ে তাকে কাছে টেনে নিলো,,ইশারা মাথা তুলে তাকাতেই দেখতে পেলো সেই মায়াভরা চাহুনী যা ইশারার দ্বারা উপেক্ষা করা অসম্ভব! সেই চাহুনী যাতে ইশারার প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ পায়! হ্যাঁ এ আর কেউ নয় এ যে প্রকাশ! ইশারার ভালোবাসার প্রকাশ!⚘

ইশারা নিজের চোখ নামিয়ে নিলো আর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু প্রত্যেক বারের মতো সে অসফল না পেরে চুপ করে স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে রইলো নীচের দিকে তাকিয়ে,,

প্রকাশ: আ’ম সরি ইশারা! তোমাকে জানিয়ে যদি যেতাম তাহলে তুমি আমাকে যেতে দিতে না তাই তো তোমাকে জানাইনি আমি,,আমার যাওয়া টা ভীষণ দরকার ছিলো লাভ! (আল্হাদী কণ্ঠে)

ইশারা: (নিশ্চুপ)

প্রকাশ: এই কয়েকদিন আমার সব থেকে বেশী কষ্ট হয়েছে তোমাকে ছাড়া থাকতে তুমি তো জানো আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারিনা তারপরেও আমি গেছি দেট’স মিন কাজ টা কতো ইম্পরট্যান্ট ছিলো তুমি বুঝতে পারছো?

ইশারা হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লো

প্রকাশ: কাম ওন ইশারা! এভাবে মন খারাপ করে থেকো না প্লিজ আমার ভালো লাগে না তোমাকে এভাবে দেখতে আন্ড ইউ নো দেট ভেরি ওয়েল!

ইশারা কোনো প্রতিক্রিয়া না করে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো

প্রকাশ: ফাইন! এতদিন পর তোমার কাছে এলাম আর তুমি এমন বিহেভ করছো,,যেখানে তোমার আমার কাছে আসা উচিত তুমি দুরে ঠেলে দিচ্ছো,,আমি আর কিছু বলবো না (অভিমান কণ্ঠে)

প্রকাশ এই বলে পিছন ফিরে চলে যেতে নিলেই ইশারা প্রকাশের হাত পিছন থেকে টেনে ধরে আর প্রকাশের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়! প্রকাশ ইশারার দিকে না তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইশারার সে দেখে ভীষণ হাসি পায়,,সামান্য হেসে ইশারা আলতো করে প্রকাশ কে জড়িয়ে ধরে প্রকাশের বুকে মাথা রাখে,,এর ফলে আপনা আপনি প্রকাশের হাত ইশারাকে জড়িয়ে ধরে প্রকাশের বাম হাত ইশারার মাথায় আর ডান হাত পিঠে! কিছুক্ষণ পর ইশারা মাথা তুলে প্রকাশের দিকে তাকায়

ইশারা: ” ভালোবাসি “!!

প্রকাশ: ” ভীষণ ভালোবাসি “!!

ইশারা: এতদিন কি ফোন ও করা যেতো না আমায়??

প্রকাশ: ফোন করে যদি আমি তোমার কথা শুনতাম তাহলে তো আমার কাজের বারো দুগুনে চব্বিশ টা বেজে যেতো,,মন টা তো তোমার কাছে পরে থাকত তখন আমার কাজটা কে করতো বেইবি!(ইশারা কে নিজের সাথে মিশিয়ে)

ইশারা: হুহ! মিথ্যে অজুহাত (মুখ ফিরিয়ে)

প্রকাশ: সত্যি বলছি!

ইশারা: যাওয়াটা এতো জরুরি ছিলো যে অসুস্থ অবস্থায় চলে গেলে?? তাও আবার আমাকে না জানিয়ে??

প্রকাশ: অসুস্থ!! আর আমি..?? ওফফ ইশারা প্লিজ! আমি অনেক আগেই ফিট হয়ে গেছি ঘটনাটা ঘটেছে ছয় মাস হয়ে গেছে এতদিন কে অসুস্থ থাকে??

ইশারা: ডক্টর তোমাকে রেস্ট নিতে বলেছিল প্রকাশ!

প্রকাশ: পাক্কা সাড়ে পাঁচ মাস রেস্ট নিয়েছি দেন কাজে গেছি,,আরো রেস্ট নিতে হতো?? আমি কি বুড়ো নাকি আমার স্ট্রেনথ নেই কোনটা??

ইশারা: দুটোই! (ভেংচি কেটে)

প্রকাশ: আচ্ছা..!!?? চলো তাহলে দেখাচ্ছি আমার স্ট্রেনথ!!

প্রকাশ ইশারা কে কোলে তুলে নিলো আর ইশারা ছুটো ছুটি করছে

ইশারা: প্রকাশ,,প্রকাশ নামাও আমায় প্লিজ!

প্রকাশ: নো ওয়ে,,তোমাকে আজকেই দেখাবো আমি কি আর আমার কতো স্ট্রেনথ,,মে বি ভগবান ও তাই চায় এই জন্যই তো এতো সুন্দর ওয়েদর দিয়েছে,,এই সুবর্ণ সুযোগ তো আমি হাতছাড়া করছি না মাই লাভ!

প্রকাশ ইশারা কে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একটা টুপ করে চুমু দিলো ইশারার গালে,,ইশারা প্রকাশের কথায় এমনিতেই লজ্জা পাচ্ছিল আর এখন তো একদম লজ্জায় লাল নীল হয়ে যাচ্ছে বেচারি,,লজ্জায় কথা বের হচ্ছে না তাই চুপ করে প্রকাশের বুকে মুখ গুঁজলো ইশারা,,প্রকাশ ইশারাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসাতেই আবার বিদ্যুত চমকালো আর ইশারা প্রকাশ কে জড়িয়ে ধরলো

প্রকাশ: বাহ! আমার অর্ধেক কাজ তো আজ ওয়েদরই করে দেবে মনে হচ্ছে (ইশারা কে জড়িয়ে দুষ্টু হেসে)

ইশারা: ধ্যাত! (লজ্জা পেয়ে একটা কীল দিলো প্রকাশের বুকে)

প্রকাশ ইশারা কে জড়িয়ে ধরে ইশারার কাঁধে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো আস্তে আস্তে ইশারার পিঠে থাকা ব্লাউসের ফিতে টা খুলে দিলো আর ইশারা কে শুয়ে ওর গলায় মুখ ডোবালো 🌹

[ ওরা ওদের কাজে ব্যস্ত থাকুক আপনারা আমার সাথে ফ্লাশব্যাকে চলুন অতো রোম্যান্স দেখতে হবে না 😒 বাপ রে এই রোম্যান্স দিতে গিয়ে আমার কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেছে 😬]

~~~~~~ ছয় মাস আগে ~~~~~~

ইশারা ওর মা কে ছেড়ে প্রকাশের দিকে ঘুরে তাকালো দেখলো প্রকাশ ওর দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছে,,ইশারা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর প্রকাশের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে,,প্রকাশের অনেকটা কাছে চলে যেতেই প্রকাশ ইশারা কে হেঁচকা টান মেরে সরিয়ে দিলো দুরে আর নিজে সামনে এগিয়ে এসে দাঁড়াতেই গুলি লেগে গেলো প্রকাশের,,ইশারা সহ সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো আর প্রকাশ আস্তে করে হাঁটু ভেঙে নীচে পরে গেলো

ইশারা: প্রকাশশশশশশ!

ইশারা চিৎকার করে প্রকাশের নাম ধরে ডাকলো,,প্রকাশের জ্ঞান এখন ও আছে ইশারা ছুটে গিয়ে প্রকাশ কে ধরলো আর ওর মাথা নিজের কোলে নিয়ে প্রকাশের হাত ধরে বারবার প্রকাশ কে ডাকতে লাগলো,,

ইশারা: প্রকাশ! প্রকাশ আপনি ঠিক আছেন?? আপনার কিছু হবে না,,তাকান আমার দিকে

প্রকাশের চোখ আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে গেলো আর প্রকাশের হাত টা পরে গেলো ইশারার হাত থেকে,,

ইশারা: মা! বাবা! প্রকাশ আমার সাথে কথা বলছে না কেনো?? রাতুল ভাইয়া! দেখুন না প্রকাশ আমার সাথে কথা বলছে না,,

ইশারা অঝোরে কাঁদছে আর এদিকে প্রকাশের এভাবে গুলি লাগায় সবাই অবাক হলেও ইশারা কে কথা বলতে দেখে সব চেয়ে বেশী অবাক হচ্ছে,,তখন নেহা ইশারা কে গুলি করতে যায় আর প্রকাশ সেটা দেখতে পেয়ে ইশারা কে সরিয়ে নিজে ইশারার জায়গায় চলে আসে আর গুলি টা প্রকাশের লেগে যায়,,

ইন নার্সিংহোম ……………………..

ইশারা একটা কেবিনে শুয়ে আছে তখন কাঁদতে কাঁদতে ইশারা প্রকাশের পাশেই জ্ঞান হারায় তাই ওদের দুজনকেই রাতুল আর ইশারার বাবা-মা নার্সিংহোমে নিয়ে আসে,,ইশারার জ্ঞান ফিরতেই ইশারা উঠে বসলো,,

ইশারা: প..প্রকাশ! আমি প্রকাশের কাছে যাবো রাতুল ভাইয়া! আমাকে প্রকাশের কাছে নিয়ে চলুন না প্লিজ,,

রাতুল: বৌদি আপনি চিন্তা করবেন না প্রকাশ দা এখন ঠিক আছে,,প্রকাশ দার কাঁধে গুলি লেগেছে একসাথে দুটো গুলি শরীরে থাকায় প্রকাশ দা সেন্সলেস হয়ে গেছিল,,বৌদি আপনি ক….

ইশারা: আমি কোনো কথা শুনতে চাই না আমি প্রকাশের কাছে যাবো প্লিজ আমাকে নিয়ে চলুন,,

ইশারা এই বলেই নেমে গেলো বেড থেকে আর রাতুল ও কিছু বলতে না পেরে ইশারা কে প্রকাশের কেবিনে নিয়ে গেলো,,ইশারা প্রকাশের কেবিনে গিয়ে দেখলো প্রকাশের ডান কাঁধ থেকে নিয়ে ডান হাত ব্যান্ডেজ করা এছাড়া বাম বাহু তেও ব্যান্ডেজ করা প্রকাশ শুয়ে চোখ বুজে রয়েছে,,ইশারা দৌঁড়ে চলে গেলো প্রকাশের কাছে ইশারা প্রকাশের কাছে গিয়ে বসতেই প্রকাশ চোখ খুলে তাকালো প্রকাশ কিছু বলবে তার আগেই ইশারা বলতে শুরু করলো

ইশারা: প্রকাশ আপনি ঠিক আছেন তো?? আপনার ব্যাথা করছে তাই না?? কে বলেছিল আপনাকে ওভাবে নিজের হাতে নিজে গুলি করতে,,তারপর যখন নেহা গুলি করলো তখন কেনো আপনি সামনে এলেন??

ইশারার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিলো প্রকাশ আর ইশারা কে বললো

প্রকাশ: থ্যাংক গড আমি এমন টা করেছিলাম নাহলে তো জানতেই পারতাম তোমার মতো তোমার কন্ঠের স্বর ও এতো সুন্দর আর মিষ্টি!

ইশারা: আপ….

ইশারা থেমে গেলো কথা বলতে গিয়ে এতক্ষণে ইশারার মাথায় এলো ও কথা বলতে পারছে ইশারা অবাক হয়ে প্রকাশের দিকে তাকালো দেখল প্রকাশ মৃদু হাসছে,,সেই সময় রুমে ডক্টর প্রবেশ করলো

ডক্টর: এখন কেমন ফীল করছেন মি.প্রকাশ

প্রকাশ: ফীলিং বেটার ডক্টর,,

ডক্টর: অ্যাকচুয়লী আমি আপনাকে আপনার ওয়াইফ এর ব্যাপারে কিছু জানাতে এসেছিলাম,,আপনি আমায় বলেছিলেন তিনি কথা বলতে পারেন না

প্রকাশ: ইয়েস ডক্টর!

ডক্টর: আমি তো আপনাকে আগেই বলেছিলাম উনি একটা শক পেয়ে নিজের স্বর হারিয়ে ছিলেন ঠিক তেমনই আবার একটা শক পেয়ে নিজের স্বর ফিরে পেলেন,,কিন্তু!

প্রকাশ: কিন্তু কি ডক্টর??

ডক্টর: এখন কিছুদিন আপনার ওয়াইফের কান থেকে তুলো গুলো খুলবেন না প্রায় অনেক বছর এভাবে থেকে ওনার অভ্যেস তাই হুট করে খুলে ফেললে প্রব্লেম হয়ে যাবে আর আপনি ও কিন্তু এখন ফুল রেস্টে থাকবেন

প্রকাশ: ওকে ডক্টর!

ইশারা: থ্যাংক ইউ!

🌹🌹

এরপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর ইশারা আর প্রকাশ আবার নতুন করে সব শুরু করেছে সেইদিনের পর থেকে প্রকাশ নিজের পরিবার ফিরে পেয়েছে আর ইশারা নিজের,,ইশারাদের বাড়িতে এখন ইশারার বাবা-মা আর ভাই ইশান থাকে ওদের মধ্যে আর কোনো দুরুত্ব নেই এখন সঙ্গে আরও একটা ভালো জিনিস হয়েছে,,দেখা যাক সেটা কি??

প্রকাশ: ইশারা! (চিৎকার করে)

ইশারা: আমি কি ঘরের বাইরে নাকি যে এভাবে চিৎকার করে চলেছো?? (রেগে)

প্রকাশ: আমি কি করবো তোমার তো আর এখন আমার কথা মনেই থাকে না তাই চিৎকার করে ডাকছি যদি এই অভাগা স্বামীর কথা তোমার মনে পরে (দুঃখী দুঃখী মুখ করে)

ইশারা প্রকাশের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিলো আর প্রকাশের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো,,প্রকাশ ইশারা কে টান মেরে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো,,ইশারা প্রকাশের গলা জড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো

ইশারা: আচ্ছা আমি যখন ইশারায় কথা বলতাম তুমি কি করে বুঝতে??

প্রকাশ: তোমাকে দেখার পর যখন জানতে পারি তুমি কথা বলতে পারো না তখন একটা বাচ্চাদের অনাথ আশ্রমের খোঁজ পাই যেখানে সেসব বাচ্চা দের রাখা হয় যারা কথা বলতে পারে না বা কানে শুনতে পায় না,,সেখানে রোজ যেতাম ওদের সাথে থেকে থেকে শিখে গেছিলাম (ইশারার গালে একটা চুমু দিয়ে)

__অ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা

প্রকাশ আর ইশারা দেখলো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে একটা তিন বছরের মেয়ে কাঁদছে সেই দেখে প্রকাশ আর ইশারা একে অপরের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে ঢোঁক গিললো,,আর ইশারা ঝট করে উঠে গেলো প্রকাশের কোল থেকে,,

প্রকাশ: কি হয়েছে মামমাম তুমি কান্না করছো কেনো??

মেয়েটি: তুমি পচা (কেঁদে কেঁদে)

ইশারা: ” কথা ” মা পাপা তোমাকে কতো ভালোবাসে না?? তুমি পচা কেনো বলছো??

কথা: হ্যাঁ পাপা পচা আমাতে বালন কলেছে তোমাল কাছে আততে (আমাকে বারণ করেছে তোমার কাছে আসতে)

প্রকাশ: এই কেলো করেছে রে! সব বলে দেবে এবার (মনে মনে)

ইশারা: কেনো মা??

কথা: বলেতে তোমাল কাছে না আসলে চক্কেট দেবে কিন্তু দেয়নি অ্যাঅ্যাঅ্যাঅ্যা

প্রকাশ: চকলেট খেলে দাঁতে পোকা হবে মামমাম

ইশারা: প্রকাশ!!(জোরে)

প্রকাশ: বুঝেছি মামমাম তুমি আর তোমার ভাই/বোন কে পৃথিবী তে আসতে দেবে না,,

কথা: না না আমাল ভাই ও চাই বোন ও চাই

প্রকাশ: সামান্য একজন কেই আনতে পারছি না তোর পরে তো আরেকজন হুহ!

ইশারা: প্রকাশ!! কি বলছো এসব??

প্রকাশ: অনেক সহ্য করেছি আর নয় হুহ! মামমাম তোমাল চক্কেট তোমাল দাদুল কাছে আছে ওক্কে??

কথা: ইয়ে কি মজা! (হাত তালি দিয়ে)

প্রকাশ: চলো তুমি এবার দাদুর কাজে তোর জন্য আমিও বাচ্চা হয়ে যাচ্ছি,,তুমি দাদুর কাছে থাকো আর আমাকে তোমার ভাই/বোন আনার ব্যবস্থা করতে দাও,,(কথা কে নিয়ে যেতে যেতে)

ইশারা: উফফ কি অসভ্য রেহ বাবা এই ছেলেটা,,মেয়ের সামনে আবোল তাবোল বকতে থাকে,,

প্রকাশ: তো ভুল কি বললাম আমি (ইশারা কে পিছন থেকে জড়িয়ে)

ইশারা: এই তুমি না কথা কে দিতে গেছিলে??

প্রকাশ: ঐ তো দরজা খুলতেই দিয়া কে পেলাম আর পাঠিয়ে দিলাম ওর সাথে (চোখ মেরে)

ইশারা: হায় ভগবান!(কপালে হাত দিয়ে)

প্রকাশ: দিনে যতবার তুমি ভগবানের নাম করো তার অর্ধেক ও যদি আমার নাম করতে এতদিনে আমি পাঁচ টা বাচ্চার বাবা হয়ে যেতাম,,

ইশারা: পাঁচটা??🙄

প্রকাশ: আরেহ প্রত্যেক বছর একটা একটা,,বেশী না অনলি ওয়ান 😚

ইশারা: হাটটট!!

ইশারা চলে যেতে নিলেই প্রকাশ হেঁচকা টান মেরে ইশারা কে কোলে তুলে নেয় আর ইশারা ও প্রকাশের গলা জড়িয়ে প্রকাশের গালে ঠোঁট ছোঁয়ায়,,

প্রকাশ: “ভালোবাসি”

ইশারা: ” প্রাণের চাইতে ও বেশী ভালোবাসি ”

🌸 ~~~~~~ সমাপ্ত ~~~~~~ ❤

বি:দ্র: আমার লেখা সব থেকে আনকমন গল্প ছিলো এটা,,জানি না আগে কেউ লিখেছে কি না,,জানি না ভালো করে লিখতে পেরেছি কি না,,ভেবেছিলাম সাপোর্ট পাবো না এমন একটা গল্পে কিন্তু আপনারা আমায় যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন আশা করবো আগামী গল্পেও করবেন 😊 কেমন লাগলো জানাবেন ☺️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here