ওই_আকাশটা_আমার_ছিল পর্ব ২

#ওই আকাশটা আমার ছিল
#রোকসানা আক্তার
পর্ব-০২
২.
“ছিঃ!মানুষ এতটা জঘন্য হতে পারে কীভাবে! দয়া দেখিয়ে তার প্রতিদানে তোর সাথে রাতে সহবাস করতে চাইছে!লোক ঠিকই বলে এই ছেলেটি মস্ত বড় একটা খারাপ ছেলে যে দিনদুপুরে মানুষ খুন করে।গরীবদের লুঁটিয়ে ফুটিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করে।দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে।মদ,গাঁজা,ইয়াবার মতো বড় বড় ব্যবসা করে।তারউপর আবার চরিত্রহীনও!আগে লোকদের কথা বিশ্বাস হতো না!ভাবতাম মানুষ যতই খারাপ হোক তাদের মাঝে একটা না একটা ভালো দিক অবশ্যই থাকে।কিন্তু তোর কথা শুনে আমার ধারণাটা সম্পূর্ণ ই উবে গেল!কিছু দিলে তার প্রতিদানে এরা কিছু পেতে চায়!সব স্বার্থন্মেষী রে বোন!সব স্বার্থন্মেষী!”

বলেই পিয়ারা বেগম মুখে আরেক খিলি পান ভরেন।পৃথীর দৃষ্টি শূন্য আকাশে।সেই দৃষ্টিতে কোনো হিতবিত নাই।সে পিয়ারা বেগমের কথা কানে নিচ্ছে কি নিচ্ছে না বুঝা যাচ্ছে না।পিয়ারা বেগম থু করে পানের একটা ফিনকি দূরে পেলে পৃথীকে আবার বলেন,

“চিন্তা করিস না বোন।সব ভুলে যা।এরকম একটু আধটু হয় ই মানুষের চলার পথে।নিজে যে নিরাপদভাবে বাড়িতে চলে এসেছিস এ ই আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া,নাহলে এ যে বড় গুন্ডা!যাইহোক, এ’কথা তোর মাকে আবার বলতে যাস না।নাহলে তোর মা খুব কষ্ট পাবে।এমনিতেই ত বাসায় ফেরার পর কাল থেকে ওই ছেলের প্রতি তোর মার কি ই না কৃতজ্ঞতা, একেবারে চোখমুখ যেন আন্ধার করে ফেলে!আর সামনের দিকে আরো সতর্ক হয়ে চলবি।”

কথা শেষ করেই ব্যস্ত হয়ে যান।ব্যস্ততা এখন বাড়ি ফেরার তাড়া!পৃথী এবার নড়ে উঠে পিয়ারা বেগমের বুকে আলতোভাবে মাথা রেখে।পৃথীর চোখমুখ কুঁচকে আসতে চাইছে।কিন্তু কাঁদছে ইচ্ছে করছে না।পিয়ার বেগম মাথায় হাত বুলান।

“আহা আল্লাহ ভরসা!আল্লাহ ভরসা!আল্লাহই দেখবো আমাদের এই গরীবদের।”

“তুমি আরেকটু থাকো না নানু!”
“কাল আবার আসবো।তোর নানাজান আমাকে না দেখতে পেলে আবার চিল্লাপাল্লা করবে।রুটি দিয়ে গেলাম।বলছি রুটিটা খাওয়া শেষ করতে।এরমাঝে আমি তোর সাথে দেখা শেষ করেই বাড়িতে এসে চা বানাবো।এখন নিশ্চয়ই চায়ের জন্যে অপেক্ষা করছে।”

পৃথী পিয়ারা বেগমের থেকে মাথা তুলে।

“আচ্ছা বোন, যাই তাহলে।”

পিয়ারা বেগম চলে গেলো।পৃথী কিছু বলতে পারলো না।তার ইচ্ছে হলো পিয়ারা বেগম আরেকটু তার সাথে থাকুক,কথা বলুক।পিয়ারা বেগম সম্পর্কে তার প্রতিবেশী।পৃথী তার মার পরে এই একটা মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে।কোনো সমস্যা হলেই প্রথমে দৌড়ে যায় ইনার কাছে।সব কথা ত মাকে বলা যায় না।যেগুলো বলা যায় সেগুলোই এই মহিলাকে সঁপে।এই মহিলাও সমস্যা সমাধানের এক অন্যতম জাদুকরী হাতিয়ার!পৃথীর যেকোনো সমস্যা ই সমাধান করে দেন।একবার হলো কি,পৃথী কলেজে যাওয়ার পথে কিছু ছেলে তাকে ডিস্টার্ব করে।কলেজ থেকে আসতে-যেতে প্রতিনিয়ত তাকে দেখলে শিষ বাঁজাতো।কিছুতেই এদের শিষ বাঁজানো বন্ধ হতো না।এ নিয়ে পৃথী পড়লো বিপাকে।ছেলেগুলোর জন্যে তা কলেজে যাওয়া একেবারে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন পিয়ারা বেগম এসে গদগদ বুলিতে সমাধান বানী শুনান,শুন বোন,তোরা সবগুলা বান্ধবী এখন থেকে একসাথে কলেজে যাবি।যাওয়ার সময় এগুলাকে দেখলে এগুলার দিকে সবাই একযোগে আড়নয়নয় করে তাকিয়ে থাকবি।তারপরও যদি শিষ না কমে তাহলে হাতে লাঠি নিয়ে আবার আড়নয়ন করে তাকিয়ে থাকবি।পিয়ারা বেগমের কৌশলটি সত্যিই কাজে লাগলো!ছেলেগুলা যেমন লজ্জা পেল,তেমনি হাতে লাঠি দেখে ভয়।তারপর আর সেই পথে এসে দাঁড়ালো না,আর শিঁষ ও বাঁজাতে এলো না। কিন্তু আজ পিয়ারা বেগম তাকে কোনো সমাধান পথ বের করে দিয়ে গেল না।শুধু সান্ত্বনা দিয়ে গেলো।এ নিয়ে পৃথীর এখন খুবই মন খারাপ!

বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পৃথী চোখের কোণের পানি মুছলো।তারপর বহু কষ্টে উঠে দাঁড়ালো।রান্না চড়াতে হবে।রাতে খাওয়ার মতো তেমন কিছু নেই।পৃথী ধীর পায়ে হেঁটে কিচেনের দিকে যেতে নিলেই মার রুমে একবার উঁকি দেয়।ওমনি তার মা তাকে দেখে ফেলে।খাঁক খাঁক গলায় বলে উঠে,

“ওরে পৃথী,আমার একটু রুমে আয় না অনেক কথা আছে তোর সাথে!”

পৃথীর ভেতরে যেতে ইচ্ছে করছে না।সে জানে গেলেই তার মা ওই বদমাশ ছেলেটার শুধু গুণগান গাইবে।এরমাঝে বলেও দিলো,

“ছেলেটা কি ভালো রে।দেখলি আমার জীবনটা বাঁচিয়ে দিলো।ছেলেটার সাথে একদিন দেখা করিয়ে দিস।সাথে করে ফল মিষ্টি নিয়ে যাবো।আগে ভালোভাবে সুস্থ হয়ে নিই।”

“মা আমি এখন কিচেনে যাচ্ছি।রান্না বসাতে হবে।”

৩.

চারদিকে ফর্সা আলো নামলো।কি স্নিগ ফর্সা!এই স্নিগ্ধ ফর্সা আলোর সাথে হালকা বাতাসও ধেঁয়ে আসছে।পৃথী একটু আরাম করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু কাল রাতের মতো এখনও ঘুম চোখে ধরলো না।সে রাতে ভালো করে ঘুমাতে পারে নি।সারারাত চাপা চাপা গলায় খুব কেঁদেছে।অয়ন নামের ওই অমানুষটাকে খুব অভিশাপ দিয়েছে। এবং আল্লাহর কাছেও বলেছে-ওই অয়ন লোকটির সামনে আর যেন কখনোই না পড়ে।নাহলে সেদিনই ওর দুই চোখ অন্ধ হয়ে যাবে!”
এখন মাথাটা তার প্রচন্ড ভার ভার।মাথা নাড়তে পারছে না কিছুতেই।একটু কড়া করে চা খেতে পারলে খুব ভালো হতো।ভেবেই বিছানা থেকে সুড়সুড় করে নেমে গেলো।কিচেনে যেয়ে কড়াইয়ে পানি বসালে।তারপর চিনির বৈয়াম খুঁজে বের করলো।কিন্তু বৈয়ামের ভেতর চিনি পেলনা।হয়তো চিনি শেষ হয়ে গেছে।পৃথী মোড়ার উপর বসে পড়লো।এখন দোকান খোলার অপেক্ষায়।ন’টার আগে দোকান খুলে না এদিকে।তারপর দশটা প্রায় বাঁজে বাঁজে তখন পৃথী বেরুলো চিনি কিনতে।দোকানের কাছে যেতেই দেখলো দোকাগুলোর ভেতরে ঘ্যামজ্যাম বেজেছে।ভেতরে ঢোকার উপায় ।পৃথী একটু এগিয়ে দেখলো কিছু লোক একজন দোকানীকে ধরে খুব চরমভাবে থাপড়াচ্ছে!কেন থাপড়াচ্ছে তার কারণ জানে না।সে পাশের দাঁড়ানো একজন আঁধাবয়সী লোককে জিজ্ঞেস করে,

“আচ্ছা মামা,উনাকে মারছে কেন এই লোকগুলো?কি অপরাধ করেছেন উনি?”

লোকটি সেই দিকে দৃষ্টি রেখে অমনোযোগ সহকারে বলেন,

“আরেহ ওই যে গ্যাং স্টার অয়নের লোকজন এরা। দোকানি চাঁদা দেয়নি দেখে তাই মারতেছে!”

“গ্যাং স্টার অয়ন”-নামটা শুনামাত্রই পৃথীর ভেতরের পানি শুকিয়ে আসা উপক্রম।ওই অয়ন তাহলে এখন এখানে আছে?মাই গড!এখানে একটা মুহূর্তে ও আর থাকা যাবে না।ভেবেই পৃথী দাঁড়ালো না। পেছনে ঘুরে তরহর করে কিছুটা হেঁটে যেতেই কারো গাঁয়ের সাথে খুব জোরে একটা ধাক্কা খেল।টাল সামলে নিচে পড়ে যেতে নিলেই ধাক্কা খাওয়া লোকটি তাকে ধরে ফেলে।পৃথী অচেতন বলে উঠে,
” সরি!আমি আসলে…!”

বাকি টুকু আর বলতে পারলো না।ওমনি তার মুখটা স্তব্ধ হয়ে গেল।কথা আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধা হয়।পৃথীর ও এখন তাই হলো।সে যার সাথে ধাক্কা খেয়েছে সে লোকটিই অয়ন, অর্থাৎ গ্যাং স্টার মিস্টার অয়ন!অয়নের ধবধবে সাদা মুখটা পৃথীর দিকে লাল লাল চোখ করে তাকিয়ে।বাঁজখাই গলায় বলে উঠে,

“ছেলে মানুষ দেখলেই খালি গা ঢলাঢলি করতে ইচ্ছে করে, তাই না?”

পৃথী মাথা নিচু করে ফেলে।অয়ন বলে,

“কমনসেন্সলেস!দিলো ত এত দামী জামাটা খইয়ে…!!!”

বলেই অয়ন গাঁ ঝাঁটা দিতে থাকে।ঝাঁটা টা দেয় পৃথী ওর গাঁয়ের সাথে যে স্থানে ধাক্কা খেয়েছে।ও স্থানটিতে এমনভাবে ঝাঁটছে পৃথী যেন একটা ময়লা।কিন্তু সেখানে কোনো ময়লা লাগে নি!এটা জাস্ট পৃথীকে ছোট্ট করার জন্যে!পৃথীর খুব আত্মাসম্মানে লাগে।

চলবে…..#ওই আকাশটা আমার ছিল
#রোকসানা আক্তার
বোনাস পর্ব

অয়ন খুব বড় বড় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে।সেই ধোঁয়াগুলো কুন্ডলী পাঁকিয়ে এক একটা এসে পৃথীর মুখে উপচে পড়ছে।পৃথী কাশতে কাশতে হাঁপিয়ে যাচ্ছে তারপরও সে অয়নকে কিছু বলতে পারছে না!কারণ এখন তার মুখ কস্ট দিয়ে বন্ধ করা।হাত-পা চেয়ারের সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা।সে চাইলেও জোরে চিৎকার করে বলতে পারবে না,

“প্লিজ ছাড়ুন আমায়!এভাবে বেঁধে রেখে আমাকে সিগারেট ধোঁয়া খাওয়াচ্ছেন কেন!”

মুখে শুধু সমান্য, কুকুকুকু” শব্দ ছাড়া আর কিছুই নেই পৃথীর মুখে।অয়ন খুব আয়েশ করেই খাচ্ছে।পৃথী যে শেষ হয়ে যাচ্ছে তাতে অয়নের মোটেও ভাবান্তর নেই।সে ইতোমধ্যে দুইটা সিগারেটের প্যাকেট শেষ করেছে।আরেকটা হাতে নিবে ওমনি পৃথীর দিকে তাকায়।পৃথীর চোখে পানি!তা দেখে ওর বড্ড হাসি চলে আসে।সে খিলখিল করে হাসে।তারপর আর সিগারেটের প্যাকেট হাতে নেয় নি।চেয়ারটা আরো কাছে এনে পৃথীর দিকে ঝুঁকে বসে।বলে,

“কিছু বলবে তাই তো?জাস্ট আ মিনিট ওয়েট।এখনই তোমার মুখের কস্টিপ সরিয়ে দিচ্ছি।”

বলেই অয়ন পৃথীর মুখ থেকে এক টানে কস্টিপটা সরিয়ে ফেলে।সাথে সাথে পৃথী বলে উঠে,
“আমাকে কিডন্যাপ করেছেন কেন!”

প্রায় দুই ঘন্টা আগে,
পৃথী যে চিনি নিতে দোকানে এসেছিল করে আর বাসায় ফিরতে পারে নি।অয়নের কথা শেষ হলে পৃথী অয়নকে পাশ কেঁটে বাড়ির রাস্তা ধরে হাঁটা ধরে।ঠিক তখন অর্ধাংশ পথেই অয়ন তার লোকদের দিয়ে পৃথীকে কিডন্যাপ করে।এখন পৃথী অয়নের বাড়িতে!

বর্তমানে,,,

অয়ন পৃথীর কথা শুনে মাথা উঁচিয়ে হো হো হো করে হেসে দেয়।কয়েক সেকেন্ড ধরে এভাবে হাসতে থাকে।তারপর হাসি চাপিয়ে বলে,

“তোমার কি ধারণা এই অয়ন মানুষদের অপমাণ খুব সহজে সহ্য করার ক্ষমতা আছে?”
“ক্ষমতা আছে কি নেই তা আমার জানার বিষয় না।আমার জানার বিষয় এভাবে আমাকে আর কতক্ষণ বেঁধে রাখবেন?”
“যদি বলি সারা যুগ?…”
বলেই অয়ন ভ্রু কুঁচকে পৃথীর দিকে তাকিয়ে থাকে।
“দেখুন কাল আপনি আমাকে অনেক কথা বলেছেন আমি আপনাকে কিছুই বলি নি।আজ আপনি আপনার লিমিট একদমই ক্রস করেছেন আমাকে কিডন্যাপ করে!..”
“তা আজ কিছু বলবে?”
“বাঁধন খুলে দিন আমার! আমি বাসায় যাবো!”

এ কথা বলার সাথে সাথেই পাশে থাকা টি-টেবিলের উপর একটা টব ছিল সেটা অয়ন খুব জোরে নিচে ছুঁড়ে ফেলে!মুহূর্তে তা ঝং ঝং শব্দ করে চারপাশে ভেঙ্গেচুরে গড়িয়ে যায় ।পৃথী আতকে অয়নের মুখের দিকে তাকায়।অয়নের চোখমুখ লাল টকটকে হয়ে গেছে।সে যে রাগ করে এরকমটা করেছে পৃথীর বুঝতে আর দেরী হলো না।পৃথী বার কয়েক গোপনে ঢোকর গিলে।অয়ন খুব এবং খুবই রাগান্ধিত গলায় বলে,

“কাল আমাকে ক’টা অপমাণ করেছিস একটু হিসেব কর তো?!”

পৃথী চুপ করে থাকে।

“হিসেব কর!”

তাও পৃথীর কোনো জবাব নেই!অয়ন এবার রাগে ফসফস করে উঠে!
“জবাব দিচ্ছিস না কেন এখন!জবাব দে!”
“ক-কি-সের জবাব!”

পৃথীর পাল্টা কথা দেখে অয়নের সর্বাঙ্গ জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।এই মেয়েকে কি করতে এখন মন চায় সে নিজেও জানে না।চোখমুখ খিঁচে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে!তারপর আস্তে গলায় বলে,

“আমার রাগের পরিমাণ জানিস তুই?জানিস না!কাল রাতে তোরজন্যে আমি ঘুমাতে পারি নি।নেশা করে আদ মাতাল থেকেছিলাম।আর তার কারণ তোর অপমাণ হজম করতে না পারা।মদ খেয়েও তোর অপমাণ হজম হয়নি।এবার বল তোকে আমার কি করা উচিত?”
“অপমাণ হজম করতে না পেরেই আমাকে কিডন্যাপ? হাউ ফানি!কিন্তু আমি তো আপনাকে অপমাণ করার মতো কিছুই বলি নি!বরং আপনি আমাকে বলেছিলেন!”
“ইউ’র শাট-আপ!”

পৃথী কেঁপে উঠে।এর ধমক এত কড়া ক্যান।এক ধমকেই বুকের ভেতরের হাতুড়ি পিটানোর গতি কত তরঙ্গ যে উঠানামা করে আল্লাহই জানে!তারপর পৃথী চুপ হয়ে যায়।অয়ন বলে,

“আমার সাথে কথা বলতে তোর ভয় করে না?”
“কিসের ভয়?”

অয়ন মশা তাড়ানোর ভঙ্গিমা করে মুখে একটা রহস্যময় হাসি টানে।তারপর বলে,
“মানুষ আমাকে দেখলে দশ হাত দূরে থাকে। কাছে আসতে চায় না।কারণ আমার হাতে তাদের প্রাণ সংশয় থাকে!আর তুই ভয় কেন আমার মুখের উপর কথা বলে দিচ্ছিস!সাহস আছে! প্রসংসা না করে পারলাম না!”
“আমাকে মেরে ফেলার এমন কারণ ত দেখছি না কারণ যারা মরে তাদের মরে যাওয়ার কারণ থাকে!আমার তা নেই।”

অয়ন পৃথীর এ’কথার জবাব দিল না।পৃথীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।এভাবে কয়েক সেকেন্ড!তারপর উঠে দাঁড়ায়।পা বাড়িয়ে চলে যেতে নিলেই পৃথী পেছন থেকে বলে উঠে,
“এই যে মিস্টার অয়ন,অপমাণের কি প্রতিশোধ নেবেন তা তাড়াতাড়ি নিয়ে আমাকে বিদেয় করুন!আমার এখানে বসে থাকতে আর ইচ্ছে করছে না।বাসায় যাবো।চা খাবো।”

অয়ন এ কথাটিরও জবাব দিল না।রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।অয়ন চলে যাবার পর পৃথী বিড়বিড় করে বলে,

“এত হ্যান্ডসাম এবং ড্যাশিং ছেলে গ্যাং স্টার হয়? আগে ত জানতাম শুধু হিরোরাই হ্যান্ডসাম আর ড্যাশিং হয়!”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here