#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—07
.
.
🍁
“কাব্য ভাইয়া আমাদের ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল তার অফিসে’!!আমরাও হাসি মুখ নিয়ে ভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করলাম’!!এমন সময় আমাদের সামনে আসলো দিহান’!!ও আমাদের ক্লাসমেট’!! বলতে গেলে আমরা ভালো বন্ধু’!!ও আমাদের সামনে এসে বললোঃ
——-“কি সাতচুন্নিরা তোরা এতদিন কোথায় ছিলি কোনো খোঁজ খবরই নেই’!!
“দিহানের কথা শুনে তানিশা রেগে বললোঃ
——-“ওই তুই আমাদের সাতচুন্নি বলিস কেন আমাদের কি সাতচুন্নির মতো দেখতে…….
“তানিশার কথা শুনে দিহান হেঁসে বললোঃ
——-“মাইশাকে না হলেও তোকে একদম ওই রকমেই দেখতে…….
“তানিশা দিহানের কথা শুনে রেগে গিয়ে বললোঃ
——-“তুই কি বলল্লি দিহাইনার বাচ্চা আজকে তোর একদিন কী আমার যে কয়দিন লাগে’!!
“তানিশার কথা শুনে দিহান দিলো দৌড় সাথে তানিশাও দিলো দৌড় তারপর শুরু হয়ে গেল তাদের মধ্যে লড়ালড়ি দৌড়’!!আর আমি ওদের কান্ড দেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলাম’!!অবশ্য এটা নতুন নয় ওরা সবসময় কোনো না কোনো কারন নিয়ে সারাদিন ঝগড়া করবেই’!!!
“হর্ঠাৎই কেউ পিছন থেকে বলে উঠলঃ
“এতো হাসো কেন তোমার হাসি দেখলে তো আমি পাগল হয়ে যাই’!!মুহূর্তের মধ্যে হাসি থামিয়ে দিয়ে পিছন ঘুরে তাকালাম আমি’!!সামনে আবির ভাইয়াকে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম আমি'”!!উনি হলেন আমাদের ভার্সিটির সিনিয়র’!!কিন্তু প্রায় এইসব আলতু ফালতু কথা বলে যেটা আমার কাছে সবসময় বিরক্তিকর লাগে’!!যেমনটা এখন লাগছে’!!আমার বিরক্তকর মেজাজে উনি আবার বলে উঠলেনঃ
———“কি হলো মাইশা কথা কেন বলছো না’!!
———“ভাইয়া প্লিজ আমার সাথে এই ধরনের কথা বইলেন না আমার কাব্য ভাইয়া জানতে পারলে আমাকে আর আস্ত রাখবে না(মনে মনে)
——–“কি হলো চুপ কেন??
——–“না ভাইয়া কিছু না এমনি……
——–“তা এতদিন ভার্সিটি আসো নি কেন??
——-“আসলে ভাইয়া আমার বি……এতটুকু বলতেই এমন সময় তানিশা আর দিহান ডাক দিলো আমায়’!!আমিও আর কিছু না বলে ওখান থেকে চলে আসলাম’!!তারপর তিনজন মিলে চলে গেলাম ক্লাসরুমে……….
“এদিকে মাইশা যেতেই আবির হেঁসে বললোঃ
——-“আজকে যখন তুমি এসেছো তাহলে আমি আর দেরি করবো না আজকেই তোমায় সব কথা বলে দিবো’!!এই বলে হেঁসে চলে গেল আবির’!!
_____________________
“আজকের মতো সব ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফেরা উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম আমি আর তানিশা’!!কাব্য ভাইয়াও ফোন করে বলেছে কিছুক্ষনের মধ্যেই চলে আসবে আমাদের নিতে’!!ভার্সিটির মাঠে আসতেই এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালো আবির ভাইয়া ওনাকে দেখে কিছুটা অবাক হলাম আমি’!!উনি হাতে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে বললোঃ
——-“মাইশা “আই লাভ ইউ”……..
“ওনার কথা শুনে রীতিমতো চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!আমিসহ তানিশাও হয়তো হা হয়ে তাকিয়ে আছে’!!আমাদের এইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবির ভাইয়া বললোঃ
———“কি হলো মাইশা কথা বলো…….
“ওনার কথা শুনে আমি বলে উঠলামঃ
———“ভাইয়া এসব কি বলছেন আপনি ভাইয়া,,আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে ভাইয়া’!!
“আমার কথা শুনে আবির ভাইয়া অবাক হয়ে বললোঃ
———“এসব কি বলছো তুমি কবে হলো তোমার বিয়ে আর কার সাথেই হলো’!!
“ওনার কথা শুনে তানিশা বলে উঠলঃ
——–“ভাইয়া সেটা একটা বড় কাহিনি এখন বলা যাবে না আর বিয়েটা হয়েছে কাব্য ভাইয়ার সাথে…….
“আবির ভাইয়া হয়তো অবাক হলো তানিশার কথা শুনে’!!হর্ঠাৎই ভাইয়া বলে উঠলোঃ
———“তাহলে সরি মাইশা তোমার সম্পর্কে না জেনেই এত বড় ভুল করে ফেলেছি,, আই এম সো সরি মাইশা…..
“আমিও হালকা হেঁসে বললামঃ
———“It’s okk ভাইয়া……..
——–“আচ্ছা আরেকটা কথা বলি
——–“জি বলুন ভাইয়া……..
——–“এই গোলাপটা তোমার জন্য নিয়ে এসেছিলাম কিছু মনে না করলে এটা কি তুমি নিবে’!!ভালোবাসা ভেবে নয় এমনি জাস্ট ছোট গিফট হিসেবে নেও (কিছুটা নরম গলায়)
“ওনার কথা শুনে আমার একটু খারাপ লাগলো’!!যার কারনে আমিও মুচকি হেঁসে বললামঃ
——–“ঠিক আছে ভাইয়া দিন…..
“আমার কথা শুনে উনি খুব খুশি হয়ে গেলেন তারপর তার হাতে থাকা গোলাপটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন আমিও মুচকি হেঁসে গোলাপটা হাতে নিলাম’!!
.
“এদিকে দূর থেকে কাব্য এমন দৃশ্য দেখে চোখে আগুন জ্বলে উঠল তার’!!
.
“আবির ভাইয়া গোলাপটা দিয়েই চলে গেলেন’!!এমন সময় কোথা থেকে কাব্য ভাইয়া এসে আমার হাত শক্ত করে ধরে টানতে টানতে ভার্সিটির বাহিরে বের করে নিয়ে আসলো’!!আমাদের পিছন পিছন তানিশা আসলো’!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ঘাবড়ে গেলাম’!!পরক্ষণেই মনে হলো ভাইয়া কি তাহলে দেখে ফেললো নাকি আবির ভাইয়ার কাছ থেকে গোলাপ নিছি’!!ভাবতেই ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!ভাইয়া আমাকে গাড়ির সামনে নিয়ে এসে চেঁচিয়ে বললোঃ
———“তোর সাহস কি করে হলো অন্য ছেলের কাছ থেকে গোলাপ ফুল নেওয়ার’!!
“ভাইয়ার দমক শুনে আমি পুরো ভয়ে কেঁপে উঠলাম’!!এমন সময় তানিশা বলে উঠলঃ
——–“-ভাইয়া তুমি যা ভাবছো তেমন কিছু নয়………
“তানিশার কথা শুনে ভাইয়া আরো রেগে গিয়ে বললোঃ
——”চুপ কর তুই…….
“ভাইয়ার দমক শুনে তানিশাও আর কিছু বলতে পারলো না’!!ভাইয়া ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে যাতে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া কতটা রেগে গেছে’!!আমি আর তানিশা চুপটি করে কোনো কথা না বলেই গাড়িতে বসে পরলাম’!!তারপর ভাইয়াও কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!আর যাইহোক এই রাস্তার ভিতর চেচামেচি করা ভালো দেখাবে না……..
“ঝড়ে গতিতে ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে’!!আর ভাইয়ার এমন কাজে আমি ভয়ে পুরো অর্ধেক হয়ে যাচ্ছি’!না জানি এখন৷ বাসায় গেলে কি করবে আমায়’!!
__________________________________________
_____________________
“আধা ঘন্টার রাস্তা আজকে ভাইয়া ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ে এসেছে’!!যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া কতোটা রেগে আছে’!!ভাইয়া গাড়ি থামাতেই আমি গাড়ি থেকে নেমে এক দৌড় আমায় পায় কে??বাসায় ঢুকেই সোজা তানিশার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছি আমি’!!আজকে আর আমায় পায় কে??আজকে কোনো ভাবেই কাব্য ভাইয়ার সামনে যাওয়া যাবে না’!!এই ভেবে বসে পরলাম তানিশার বিছানায়’!!
“এদিকে কাব্য এখন গাড়িতে বসে ঘন ঘন শ্বাস ফেলে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে'”! এমন সময় গাড়ির ভিতরে বসে থাকা তানিশা বলে উঠল কাঁপা কাঁপা গলায়ঃ
——–“ভাইয়া রাগ করো না আগে আমার পুরো কথাটা তো শোনো’!!
”কাব্য চুপটি করে বসে রইল তানিশার প্রশ্নের কোনো উওর দিলো না’!!তানিশা কাব্যকে এই ভাবে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠলঃ
——–“ভাইয়া তুমি যেটা ভেবেছো আসলে কাহিনীটা তেমন নয় এই বলে তানিশা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া কাহিনী বললো কাব্যকে সব শুনে কাব্য কিছু বললো না’!!শুধু এতটুকু বললোঃ
——–“বাড়ি যা তুই…….
———“ভাইয়া মাইশার কোনো দোষ নেই…….
——–“তোকে যেতে বলেছি(দমক দিয়ে)
“কাব্যের কথা শুনে তানিশা আর কিছু না বলেই চলে গেল’!!
“কাব্য কিছুক্ষন বসে কিছু একটা ভেবে গাড়ি চালিয়ে চলে গেল…….
_____________________
“একরাশ ভয় নিয়ে বসে আছি তানিশার রুমে কি করবো এখন কিছুই বুঝতে পারছি না’!!ধুর কেন যে আবির ভাইয়ার কাছ থেকে গোলাপটা নিতে গেলাম’!!কিন্তু না নিলেও তো ভালো লাগতো না’!!কিন্তু এখন কি করবো কাব্য ভাইয়া এখন আমায় কি করবে কে জানে……না জানি কতোটা রেগে আছে'”!! এমন সময় দরজায় টোকা দিল কেউ’!!সাথে সাথে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!বিছানা থেকে উঠে ধীরে ধীরে দরজার কাছে যেতেই তানিশা বলে উঠলঃ
——-“মাইশা দরজা খোল আমি আসছি…..
“তানিশার কন্ঠ শুনে ছোট্ট একটা নিশ্বাস নিয়ে দরজা খুলে দিলাম’!!ও ঢুকতেই আবার দরজা বন্ধ করে দিলাম……..
“আমি তানিশার দিকে তাকিয়ে বললামঃ
——–“বোইন এখন আমার কি হবে……
——–“আমি কেমনে বলুন……’!!এই বলে ও চলে গেল ওয়াশরুমে……
“তানিশার কথা শুনে আরো ভয় পেলাম আমি’!!তারপর চুপটি করে তানিশার বিছানায় বসে রইলাম আর ভাবছি ভাইয়া আমার সাথে কি কি করতে পারে……….
.
.
.
.
.
🌼
রাত_৯:০০টা…….
“তানিশার রুমে পায়চারি করছি আমি’!!আর তানিশা বিছানায় বসে মোবাইল গুতাচ্ছে’!!ইচ্ছে তো করছে কিছু একটা মেরে ওর মাথাটা ফাটিয়ে দেই……..
“সারাদিনে কাব্য ভাইয়া বাড়িতে আসে নি’!!না জানি কোথায় গেছে’!!এদিকে কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছি না আমি’!!এমন সময় দরজায় নক করলো মামুনি’!!আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম’!!দরজা খুলতেই মামুনি বললোঃ
——-“তাড়াতাড়ি খেতে আয়…..
“আমি কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলামঃ
——–“মামুনি কাব্য ভাইয়া আসে নি……
——–“না আসে নি আজকে তার দেরি হবে কোনো এক কাজ আছে তাই’!!!এই বলে মামুনি চলে গেল……..
“মামুনির কথা শুনে আমি মনে মনে প্রচুর খুশি হলাম’!!তারপর খুশি মনে আমি আর তানিশা চলে গেলাম ডিনার করতে’!!ডিনার শেষে টেবিলের পাশে বসে আছি এখন কোথায় ঘুমাবো তানিশার বাচ্চায় তো ওর রুমে যেতে দিবে না’!!এখন তো ওই রুমেই যেতেই হবে’!!এমন সময় মামুনি বলে উঠলঃ
——–“কি হলো বসে আছিস কেন যা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে থাক’!!কাব্যের ফিরতে দেরি হবে তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়……..
“আমিও আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চলে গেলাম কাব্যের রুমে’!!রুমে ঢুকেই সোজা বিছানায় শুয়ে পরলাম’!!ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার’!!ঘুম আসছে না অতিরিক্ত ভয়ে থাকলে ঘুম আসে নাকি’!!বেশ কিছুক্ষণ নড়ে চড়ে কাটিয়ে দিলাম’!!তারপরও ঘুম আসলো না’!! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত_১ঃ০০টা বাজে কাব্য ভাইয়া এখনো আসে নি’!!কেমন যেন টেনশন হচ্ছে আমার’!!এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজে নড়েচড়ে বসলাম আমি’!!কাব্য ঢুলতে ঢুলতে রুমে প্রবেশ করলো’!!রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সোজা আমার দিকে এগোতে লাগলো’!!চোখ তার পুরো লাল হয়ে গেছে’!!দেখে বুঝতে পেরেছি ভাইয়া ড্রিংক করেছে’!!ভাইয়ার এভাবে আমার দিকে এগোতে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি……..
!
!
!
!
!#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—08
.
.
🍁
“তুমি ড্রিংক করেছো,, কিন্তু তুমি তো ড্রিংক করো না একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম আমি কাব্য ভাইয়াকে’!!
_____________________
“এদিকে কাব্য ভাবছে সে কি করে ড্রিংক করলো’!!
অফিসে নিজের রুমে বসে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করছিল কাব্য’!!বার বার নিজেকে বোঝাতে ছিল যা হয়েছে তাতে মাইশার কোনো দোষ নেই’!!এসব ভেবে বেশকিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করতে পারল কাব্য’!!এমন সময় রুমে আসলো লাবন্য’!!আর লাবন্য হলো কাব্যের খুবই ভালো বন্ধু’!!লাবন্য রুমে ঢুকে বললোঃ
——–“May i Come in Sir…….
——–“yes Come এই বলে সামনে তাকাতেই কাব্য লাবন্যকে দেখে হেঁসে বললোঃ
——–“আরে তুই কি খবর কেমন আছিস…..
“লাবন্য কাব্যের কথা শুনে হেঁসে ভিতরে ঢুকে বললোঃ
——–“হুম ভালো তোর খবর কেমন…….
——–“এই তো চলছে তা তুই কবে ফিরলি দেশে’!!আমেরিকার হাওয়া আর ভালো লাগছে না নাকি……..
———“হুম ফিরেছি কালকে,,
———-“কাল ফিরলে আজ আসছিস কেন কাল কি সমস্যা ছিলো……..
———-“দোস্ত রাগ করিস না কালকে প্রচুর টায়ার্ড ছিলাম সারাদিন ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিয়েছি তাই আর আসা হয় নি’!!এখন বল আমায় বিয়ে কবে করছিস………..
“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল’!!লাবন্য কাব্যের হাসি দেখে বললোঃ
———-“তুই হাসছিস কেন????
“লাবন্যের কথা শুনে কাব্য নিজের হাসি থামিয়ে বললঃ
———“হাসছি তোর কথা শুনে কি সব বলছিস তুই, আমি তোকে বিয়ে করতে যাবো কেন,,আর আমার বিয়ে হয়ে গেছে……..
“কাব্যের কথা শুনে অবাক হয়ে লাবন্য বললোঃ
——–“কি কবে কখন করলি বললি না তো……..
“ওই তোরে আমি বলিনি আমি বিয়ে করেছি,,তোকে তো মেসেজ দিয়ে ছিলাম’!!
———“আমি তো ভেবেছিলাম তুই মজা করছিস’!!সত্যি তোর বিয়ে হয়ে গেছে’!!
———“আরে সত্যি বিয়ে হয়ে গেছে আর তুই তো আমার সব জিনিসই মজা মনে করিস’!!
———“আর আমিও তো মজা করছি পাগল,,তুই কি ভেবেছিস আমি সত্যি সত্যি তোকে বিয়ে করতে বলেছি’!!
“কাব্য লাবন্যের কথা শুনে আবারো হাসলো’!!তারপর বললোঃ
—–“হুম জানি আমি বহুবার করেছিস……এই বলে আবারো হাসলো কাব্য’!!
_____________________
“এদিকে লাবন্যের কাব্যের হাসি দেখে বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে’!!সেই ভার্সিটির লাইফ থেকে লাবন্য কাব্যকে ভালোবাসে কখনো সাহস করে বলতে পারে নি’!!আর যতবারই বলেছে প্রত্যেক বারই কাব্য মজা মনে করে তা উড়িয়ে দিয়েছে’!!তারপর হর্ঠাৎ তাকে একবছরের জন্য আমেরিকা যেতে হলো জরুরি কাজে যার কারনে আর বলা হয় নি সিরিয়াস ভাবে’!! বলা হয়নি কাব্যকে তার মনের কথা’!!এই মুহূর্তে লাবন্য কাব্যকে কাছে পাওয়ার পুরো নেশায় ছিলো’!!এত দিনের ইচ্ছে এইভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তা হয়তো ভাবতেও পারে নি লাবন্য’!!লাবন্য হালকা হেঁসে বললোঃ
———-“তা মিষ্টি কবে খাওয়াচ্ছিস আমার কিন্তু ট্রিট চাই……..
“কাব্য হাসলো তারপর বললোঃ
——–“ঠিক আছে তুই যেহেতু বিয়েতে ছিলি না তাই একটা ছোট্ট ট্রিট দেওয়াই যায়’!!
“এই নিয়ে দুজনের মধ্যে গল্প শুরু’!!তারপর ওরা মিলে ঠিক করে রাতে একটা বড় ডিস্কে গিয়ে পার্টি করবে’!!কাব্য আর কিছু বলে নি……
“কাব্য বাসায় ফোন করে বলে দেয় তার আজকে ফিরতে দেরি হবে’!!কথা মতো রাতের সব কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি কাব্য বেরিয়ে যায় অফিস থেকে’!!
__________________________________________
_____________________
“রাতে ডিস্কে………
“লাবন্য সফট ড্রিংকস এর মধ্যে নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়ে কাব্যের হাতে দিলো’!!এমন সময় কাব্যের সাথে দেখা হয়ে যায় তার আরেক বন্ধু রিয়াদের সাথে যার ফলে লাবন্য কাব্যকে ড্রিংক খাওয়াতে পারলেও যেটা করতে চেয়েছিল সেটা করতে পারে নি………..’!!রিয়াদ গাড়ি করে কাব্যকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে চলে যায়’!!
“বর্তমানে………
——-“কি হলো কথা বলছো না কেন……..
——–“না কিছু না তুই সর আমি ঘুমাবো……
“কাব্যের কথা শুনে আমি কিছুটা সরে বসলাম’!!ভাইয়া বিছানায় শুয়ে পরলো’!!এমন সময় আমি বিছানা থেকে উঠে যেতে নিলে ভাইয়া আমার হাত ধরে বললঃ
———“কোথায় যাচ্ছিস তুই……….
——–“না মানে কোথাও না তো…..এই বলে আবারো বিছানায় বসে পরলাম আমি’!!
“মাইশা বসতেই কাব্য এসে মাইশার কোমড় জড়িয়ে ধরে ওর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে বললোঃ
——-“একদম নড়বি না….
——-“ঠিক আছে…….
“আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ
——-“তুমি কি আমার উপর রেগে আছো ভাইয়া…….
——–“এই তোকে ভাইয়া বলতে বারন করেছি না’!(চেঁচিয়ে)
——–“সরি সরি তোমার নাম ধরে ডাকবো তাহলে……
———“না জামাই বলে ডাকবি……
———“কি……..
———“কানে শুনোছ না তুই…….
———“না মানে আমি সত্যি ওই নামে ডাকবো তোমায়……..
———–“ওই নামে না ডাকলে তোকে অনেক বড় শাস্তি দিবো………
———–“কি শাস্তি দিবা তুমি……..কথাটা বলতেই কাব্য মুখ তুলে তাকালো আমার দিকে’!!যা,দেখে রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে আমার’!!
.
“এদিকে কাব্য মাইশার দিকে নেশা ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ
———“কি শাস্তি দেওয়া যায় বল তো…..
——–“না কোনো শাস্তি দেওয়া লাগবে না আমি আর তোমায় ভাইয়া ডাকবো না…….
———“হুম তা ঠিক আছে কিন্তু এখন যে ভাইয়া ডাকলি তার জন্য তো একটা শাস্তি তোকে পেতেই হবে’!!আর তার সাথে দুপুরেও তুই আমায় প্রচুর রাগিয়েছিস তার শাস্তিও তোকে পেতে হবে’!!
“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ
———-“বিশ্বাস করো দুপুরে যেটা হয়েছে তাতে আমার কোনো দোষ ছিলো না ওই আবির ভাইয়া না বুঝে করেছিল তারপর আমি তো তাকে বলে দিয়েছি আমার বিয়ে হয়ে গেছে'”!! আর তোমার মতো এত সুন্দর ছেলেরে রেখে অন্য কারো দিকে তাকাবো কেন???(জোরপূর্বক হেঁসে)
———-“সত্যি বলছিস…….
———“হুম একদম সত্যি বলছি……..
“এখন তাহলে একটা কিস কর’!!
“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে গেল’!!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলঃ
———“কি…….
———-“তুই কি কানে শুনোস না,,হর্ঠাৎই কাব্য আমার দু-গাল চেপে ধরে বললঃ
———“তুই কবে বুঝবি পাগলী…….
———“কি বুঝবো…….
———“আমার মাথা বুঝবি তোকে কিছু বুঝতে হবে না তোকে যেটা করতে বলেছি সেটা কর’!!
——–“না আমি পারবো না আমি ওগুলো পারি না………
———“তুই পারবি না……..
———-“না……
———-“সত্যি পারবি না(রেগে)
“আমি কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ
———-“আমি ওসব পারি না,,আচ্ছা গালে করলে চলবে……….
———-“হুম চলবে………
“তারপর আর কি মাইশা তার চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে আস্তে করে কাব্যের গালে চুমু দিলো’!!প্রথমে বাম গালে তারপর ডান গালে তারপর কপালে এইভাবে কাব্য হাতের ইশারায় মাইশাকে বলছিল আর মাইশা বেচারি আর কোনো উপায় না পেয়ে তাই করছিল…….
“হর্ঠাৎই কাব্য মাইশার মাথা ধরে মাইশার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিলো’!!ঘটনাটা হর্ঠাৎ করে হওয়ায় মাইশা,পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!!মাইশা কি হচ্ছে তা সব যেন তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে’!!পরক্ষণেই বুঝতে পেরে কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছিল’!!কিন্তু ব্যর্থ সে……….
“বেশকিছুক্ষন পর কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দেয়’!!কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পেতেই মাইশা জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে শুরু করল’!!কিছুক্ষন পর নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো সেঃ
——-“এটা কি হলো……
“বিনিময়ে কাব্য কিছু বললো না মাইশাকে তীব্রভাবে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো’!!
__________________________________________
_____________________
“সকালে সূর্যের আলো মুখে পরতে ঘুম ভাঙল কাব্যের’!!মাথাটা জিম জিম করছে তার’!!হর্ঠাৎই বুকের উপর ভাড়ি কিছু অনুভব করায় নিচের দিকে তাকালো’!!মাইশাকে তার বুকের উপর শুয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলো কাব্য’!!হর্ঠাৎই কাব্য কাল রাতের ঠিক কি হয়েছিল তা মনে করার চেষ্টা করলো’!!কিন্তু কিছুই মনে পরলো না তার’!!সে আস্তে করে মাইশাকে ছাড়িয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল’!!বেশকিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসলো কাব্য মাথাটা প্রচন্ড বেগে ভার হয়ে আছে তার’!!কাব্য তার মাথাটা ধরে সোফায় বসে পরল’!!কিছুক্ষণ পর সোফা থেকে উঠে নিচে চলে গেল’!!
“হর্ঠাৎ ঘুম ভাঙল আমার’!!পাশে কাব্য না থাকায় আমি বুঝতে পেরেছি ভাইয়া উঠে চলে গেছে’!!তারপর আমিও বিছানা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম’!!কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসতেই কাব্য ভাইয়াকে বিছানায় দেখতে পেলাম’!!আমি কিছু বললাম না’!!চুপচাপ টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে লাগলাম’!!হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ
———“মাইশা কাল রাতে আমার কি কিছু হয়েছিল……
“কাব্যের কথা শুনে আমি বুঝে গেছি ভাইয়ার কিছু মনে নেই’!!যাক ভালো হইছে’!!আমি হালকা হেঁসে বললামঃ
———-“কই না তো,হুম তুমি কালকে ড্রিংক করে এসেছিলে এটা কিন্তু ঠিক নয় তুমি জানো কালকে তুমি তোমার মধ্যে ছিলে না,,আর এসব ছাইপাস খাবে না,,কিন্তু তুমি তো এগুলো খাও না’!!কাল কেন খেয়েছিলে……..
“মাইশার কথা শুনে কাব্য নিজেও অবাক সত্যি তো সে ওইসব খায় না’!!আর তার যতদূর মনে পড়ে কালকে লাবণ্যের দেওয়া শুধু সফট ড্রিংকসই খেয়েছিল তাহলে কি ওটায় কিছু মেশানো ছিলো নাকি…………।
!
!
!
!
!
!
#চলবে………….
🖤🖤[