কতটা চাই তোকে পর্ব ৯+১০

#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—09
.
.
🍁
“অফিসে বসে আছে কাব্য আর ভাবছে তার সাথে কাল ঠিক কী হয়েছে’!!কিন্তু যতবারই ভাবার চেষ্টা করছে ততবারই ব্যর্থ সে’!!কারন তার কিছু মনে পরছে না’!!শুধু এতটুকুই মনে পরছে লাবন্যের দেওয়া ওই জুসটা খাওয়ার পরই তার কেমন একটা লাগছিল’!!কিন্তু লাবন্য কেন তাকে এটা ভেবেই তার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে’!!এমন সময় রুমে ঠুকলো রিয়াদ’!!রিয়াদ ভিতরে ঢুকেই বললোঃ

——–“কি অবস্থা কেমন আছোস তুই এখন……

——–“হুম ভালো কিন্তু তুই জানলি……

——-“কেন তুই ভুলে গেলি নাকি কাল রাতেই তোর সাথে আমার কথা হয়েছিল আর আমি তো তোকে বাড়ি পৌঁছে দিলাম……

——–“ওহ আচ্ছা আমার কাল কি হয়েছিল বল তো’!!আমার না কিছু মনে নেই…….

——–“সব ভুলে গেছিস…..

——–“হুম…….

——–“অবশ্য ভুলে যাওয়ারই কথা কালকে রাতে তুই ড্রিংক করেছিলি তাও হায় লেভেলের……

“রিয়াদের কথা শুনে কাব্য অবাক’!!রিয়াদ আবারো বলে উঠলঃ

———“কাল রাতে আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে তুই ড্রিংক করেছিলি’!!

“কাব্য চিন্তিত স্বরে বললোঃ

———“বিশ্বাস কর রিয়াদ কাল রাতে কি করে কখন ওইসব খেয়েছিলাম আমি বুঝতেই পারি নি’!!আমি তো শুধু লাবণ্যের দেওয়া সফট ড্রিংকস খেয়েছিলাম’!!

———“কিন্তু সফট ড্রিংকস খেলে নেশা হওয়ার কথা নয় কাব্য হয়তো ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলি……

“রিয়াদের কথা শুনে ছোট্ট করে বলে উঠলঃ

——–“হয়তো’!!তা এখন বল কি খাবি তুই চা না কফি………

——–“এখন কিছু খাবো না আমার জরুরি কিছু কাজ আছে কালকের বিষয় নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম তাই তোকে দেখতে এসেছি’!!এই বলে কাব্যের সাথে হাত মিলিয়ে চলে যায় রিয়াদ’!!

“এদিকে কাব্য কিছুতেই কিছু বুঝতে পারছে না’!!এমন রুমে আসে কাব্যের বাবা’!!আগে বিজনেসের সব কাজ উনি করতেন এখন কাব্য করে আর উনি ওনার চেম্বারে বসে থাকে……..’!!কাব্য তার বাবাকে ভিতরে আসতে দেখে অবাক হয়ে বললোঃ

——–“বাবা তুমি কোনো কাজ ছিল……

——–“হুম তোকে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরের যেতে হবে…..

———“কেন??

———“কেন আবার ঘুরতে যাবি তুই মাইশাকে নিয়ে…….

———“সেটা কিসের জন্য দরকার’!!আর মাইশার পড়াশোনা নষ্ট হবে এতে’!!এখন যাওয়ার দরকার নেই বাবা’!!আমরা পড়ে একসময় যাবো’!!

———“না এখনই যাবি তোরা শোন বেশি দূরে কোথাও যাওয়ার দরকার আমাদের পুরনো বাগান বাড়ি থেকে ঘুরে আয়’!!

——–“কিন্তু বাবা……….

——–“আমি কোনো কিন্তু টিন্তু শুনতে চাই তোকে যেটা বলেছি সেটা কর’!!আমি তোর রেনু খালাকে ফোন করে বলে দিয়েছি সে সব গুছিয়ে রাখবে…….আর কালকেই যাবি’ তোরা…….

———-“বিনিময়ে কাব্য আর কিছু বলতে পারলো না’!!এই মুহূর্তে কাব্যের মাথায় অন্যকিছু ঘুরছে…….আর মনে হাসছে সে’!!

_____________________

“ছাদে বসে আছি আমি আর তানিশা’!!ভালো লাগছে না কিছু’!!হর্ঠাৎই সামনে থাকা আম গাছের দিকে চোখ গেল আমার’!!আম দেখলেই লোভ লাগে আমার’!!হর্ঠাৎই তানিশার মাথায় একটা চাটি মেরে বললামঃ

——-“দোস্ত আম খাবি…..

——–“আম কোথায়??

——–“কেন ওই যে গাছে……

“তানিশা সামনে তাকিয়েই চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ

——–“যার গাছ সে দেখলে প্রচুর বকবে…….

———“আরে ধুর বকবে না,,আর দেখবে তারপর তো……..

——–“না না আর ভাইয়া জানলে প্রচুর মন্দ বলবে……

——–“চুপ করতো তুই, কেউ জানবে না চল……

——-“না আমি যামু না…..

——-“তুই যাবি না তোর শশুড়ে যাইবে……

——-”আমার শশুড়রেই নিয়ে যা তারপরও আমি যামু না……..

———“তানিশা চল(একটু রেগে)

——–“দেখ কেউ দেখলে প্রবলেম হবে……

——–“কেউ দেখবে না চল এই বলে তানিশার হাত ধরে এক প্রকার জোর করেই নিয়ে আসলাম……

“নিচে নেমে গাছটার কাছে যেতে আরো লোভ লাগলো আমার’!!জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে তানিশাকে বলে উঠলাম আমিঃ

———“গাছের কাছে তো চলে এসেছি এখন পারবো কিভাবে……

———-“সেটা তুই জানিস……..

“অনেকক্ষণ ভেবে বললামঃ

——–“গাছে উঠতে হবে…….

——-“না……..

———“তুই চুপ কর তুই এখানে দাঁড়া আমি উঠছি কেউ আসলে আমায় বলবি……..

———“না শোন মাইশা লাগবে না তার চেয়ে চল বাসায় যাই ভাইয়া জানলে……

———“চুপ কর আম তো নিতেই হবে……এই বলে ওড়নাটা কোমড়ে বেঁধে উপরে উঠতে লাগলাম আমি’!!আস্তে আস্তে উপরে উঠে একটা আম এনে মারলাম তানিশার দিকে’!!তারপর আর একটা মারলাম পর পর পাঁচ টা মারার পর এমন সময় গাছের মালিক চেঁচিয়ে উঠলঃ

——–“সাথে সাথে গাছ থেকে লাফ মেরে আমি তানিশা দৌড় আমাদের আর পায় কে??গাছের মালিক আসতে আসতে আমরা হাওয়া……

_____________________

“আমরা দৌড়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম’!!তারপর দুজন মিলে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে একসাথে হেঁসে দিলাম’!!তারপর বলে উঠলাম আমিঃ

———“কেমন ছিলো বল……

——–“ঠিকই ছিলো কিন্তু ভাইয়া জানলে…….

——–“কখন থেকে শুধু ভাইয়া ভাইয়া করছিস তোর ভাইয়াকে ভয় পাই নাকি(কিছুটা কাঁপা গলায়)

———“তুই ভাইয়াকে ভয় পাস কি পাস না তা তো আমার ভালো করেই জানা আছে’!!কালকে তো ভার্সিটি থেকে এসেই দৌড়ে আমার রুমে……

———-“হইছে চুপ কর এখন তাড়াতাড়ি আমগুলো কাট’!!

“তারপর দুজন মিলে আম বানিয়ে খেলাম😋যারা দুপুর এভাবেই কেটে গেল……..

__________________________________________

_____________________

“রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে সবাই মিলে ডিনার করছি’!!এমন সময় মামা বলে উঠলেনঃ

———“মাইশা কালকে তুই আর কাব্য আমাদের বাগান বাড়ি যাচ্ছিস…..

———“কেন আব্বু……

——–“এমনি যাবি আর শোন পুরো বাড়ি ঝাড়ু দিস…..

———-“কি আমি ঝাড়ু দিতে যামু,আমি যামু না (ইনোসেন্ট মুখ করে)

“আমার কথা শুনে হেঁসে দিলো মামু’!!তারপর বললোঃ

——–“আরে মজা করছিলাম”!!

“এদিকে কাব্য বিড়বিড় করছে……

“তোমার মজাই বাবা ওর জন্য শাজা করে দিবো’!!এই বলে মনে মনে হাসলো কাব্য’!!

“রাতে আমি আর কিছু বললাম না’!!অবশ্য এর আগেও আমি বাগান বাড়িতে গিয়েছিলাম তবে বহু বছর আগে’!!এখন কিছু মনে নেই’!!আবার যাবো ভাবতে মজা লাগছে আমার’!!তার সাথে কাব্য আর আমি শুধু এটা ভেবে কিছুটা ভয় লাগছে……….
.
.
.
.
.
🌼
“রাতে ডিনার শেষ করে রুমে ঢুকতেই কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

———“তা চুরি করা আম খেতে খুব মজা ছিলো তাই না……

“ভাইয়ার কথা শুনে রীতিমতো ভয়ে কেঁপে উঠলাম আমি’!!এই রে ও জানলো কেমনো……’!!আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ

——-“কিসের আম…..কই আমি আর তানিশা ছাঁদে বসে আম খাই নাই তো…….

———“ওহ তার মানে ছাঁদে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়েছিস……

“ভাইয়ার কথা শুনে আমি একদম বোকা বনে গেলাম’!!যা অতিরিক্ত ভয় পেয়ে মুখ ফসকে কি বললাম আমি’!!এখন তোকে কে বাঁচাবে মাইশা’!!কিন্তু ভাইয়া কি করে জানলো……….

_____________________

“এদিকে কাব্য ভাবছে তখন মাইশাকে দৌড়ে ছাঁদে যাওয়ার কথা’!!দুপুরে কাব্য কিছু কাজে বাড়ি এসেছিল’!!তখন বাড়ি থেকে ফেরার পথে মাইশাকে দৌড়াতে দেখে অবাক হয় সে’!আর হাতে আম দেখে কাব্যের আর বুঝতে বাকি রইলো না ও কোথা থেকে আম পেয়েছে'”!!এসব ভেবে কাব্য বলে উঠলঃ

———“কি হলো কথা বলছিস না কেন???

“কাব্যের কথা শুনে হাত মোচড়াতে মোচড়াতে বললাম আমিঃ

——–“ইয়ে না মানে সরি “জামাই”………

“মাইশা কথা শুনে কাব্য অবাক হয়ে বললোঃ

———“কি বললি তুই……..

——–“কই না তো কিছু না,,আজকের মতো সরি……..

“বিনিময়ে ভাইয়া কিছু বললো না’!!চুপচাপ শুয়ে পরলো’!!কাব্যের কাজে অবাক হলাম আমি’!!

——–“আহ সত্যি সত্যি কিছু বললো না……

“বাহ বাহ খুব ভালো এই বলে নাচতে নাচতে শুয়ে পরলাম আমি’!!

_____________________

“সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরলাম আমরা’!!মামুনি সব কিছু গুছিয়েই রেখেছিলো’!!গাড়ি চালাচ্ছে কাব্য আর আমি কাঁচের জানালা ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে আছি’……….
!
!
!#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—10
.
.
🍁
“আমাদের গাড়ি এসে থামলো ইয়া বড় একটা গেটের সামনে’!!কাব্য গাড়ির হন বাজানোর সাথে সাথে রহিম চাচা ইয়া বড় গেট খুলে ফেললেন’!!গেট খুলার সাথে সাথে কাব্য আবার গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!ভিতরে ঢুকে সামনে তাকাতেই মুখ থেকে জাস্ট বেরিয়ে আসল ”ওয়াও”!!কাব্য ভাইয়াদের বাগান বাড়ি এত সুন্দর হয়ে গেছে জানাই ছিলো না আমার’!!পুরো রাস্তা চারদিক ঘিরে আছে অসংখ্য ফুলগাছ'”!!চারপাশে রয়েছে আমার সবচেয়ে ফেভারিট ফুল “লাল গোলাপ”!!গোলাপ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ আছে’!!চারপাশে ফুলের গন্ধে মন হয়ে যাচ্ছে ফুড়ফুড়ে’!!কাব্য ভাইয়া গাড়ি থামাতেই আমি নেমে গেলাম গাড়ি থেকে’!!গাড়ি থেকে নেমে জোরে এক নিশ্বাস নিলাম’!!ফুলের গন্ধে পুরো মন ভরে যাচ্ছে আমার’!!হর্ঠাৎ একটা গোলাপের দিকে চোখ গেল আমার অসম্ভব সুন্দর দেখতে লাল গোলাপ’!!আমি সামনে গিয়ে যেই না ফুলটা ধরতে যাবো এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয়”!!তাই ফুল ছিঁড়বি না’!!

“মনে মনে ভেবেছিলাম ফুলটা ছিঁড়ে মাথায় লাগাবো কিন্তু আমার ইচ্ছেতে এক বালতি পানি ঢেলে দিলো কাব্য ভাইয়া’!!অবশ্য কথাটা সত্যি বলেছে’!!কিন্তু ভিতরে ভিতরে খারাপ লাগলো’!!আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ সামনে এগোতে লাগলাম’!!

“মাইশার কাজ দেখে কাব্য একবার ফুলটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে ভিতরে চললো’!!

“বাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজা খুলতেই রেনু খালা এসে বললোঃ

——-“কেমন আছো মাইশা মামুনি……

“ওনার কথা শুনে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

——–“খুব ভালো তুমি কেমন আছো…..

“আমার কথা শুনে খুশি হলেন উনি’!!তারপর বললোঃ

———“আমিও আছি ভালো……’!!তোমরা উপরে যাও আমি তোমাদের জন্য খাবারে ব্যবস্থা করছি……

“এমন সময় কাব্য এসে হাজির’!!কাব্য রেনু খালাকে দেখে বললোঃ

——–“কেমন আছো তুমি,এই বলে জড়িয়ে ধরল কাব্য মহিলাকে……

“মহিলা খুব খুশি হয়ে বললোঃ

——–“খুব ভালো আছি বাবা তুমি কেমন আছো…….

——–“আমিও ভালো আছি এখন তোমার সাথে থেকে আরো ভালো থাকবো’!!

——–“হুম তা তো থাকবি…….এখন উপরে যাও আমি খাবারের ব্যবস্থা করছি আর তোমাদের ব্যাগ নামানোর ও ব্যবস্থা করছি……

——–“ঠিক আছে এই বলে কাব্য চলে আসলো উপরে’!!আমিও আসলাম ভাইয়ার পিছনে……

“পুরো বাড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে কালকেই হয়তো পুরো বাড়ি পরিষ্কার করেছে উনি’!!পুরো বাড়িটাই খুব সুন্দর আর পরিপাটি করে সাজানো’!!

“আমি আর ভাইয়া রুমে ঢুকলাম’!!কাব্য রুমে ঢুকেই গিয়ে বিছানায় বসে পরল’!!আর আমি পুরো রুমে চোখ বুলাচ্ছি’!!রুমটাও খুব সুন্দর করে গোছানো’!!তবে জিনিসপএ দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলল অনেক বছরের পুরনো ফার্নিচার’!!এত বড় বাড়িতে কি করে রেনু খালা একা থাকে’!!আমার তো এখনি ভয় করছে’!!বাড়িটা অনেক বছর আগের পুরনো’!!তাই একটু ভয় ভয় করছে’!!আর এত বড় বিশাল বাড়িতে শুধু মাএ তিনজন মানুষ’!!আমার ভাবনার মাঝে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“কি এতো ভাবছিস তুই…….

———“না তেমন কিছু না, ভাবছি এত বড় বাড়িতে রেনু খালা কি করে একা থাকে’!!বাড়ির সামনে দিকটা খোলা মেলা হলেও ভিতরে কেমন জেনো আমার খুব ভয় ভয় লাগছে’!!

“কাব্য আমার কথা শুনে হাসলো’!!ওনার হাসি দেখে বললামঃ

———“এতে হাসার কি আছে??

———“না কিছু না এই বলে কাব্য ওয়াশরুমের দিকে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই পিছন থেকে ফিস ফিস করে আমার কানের কাছে এসে বললঃ

——–“মাইশা”………

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ভয় পেয়ে চমকে উঠলাম’!!পিছন তাকাতেই দেখলাম কাব্য হাসছে………

“আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ফিসফিস করে আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে’!!আমি একটু ভীতু স্বরে বললামঃ

———-“এসব কি তুমি দেখছো তো আমি ভয় পাচ্ছি তার ওপর তুমি আবার ভয় দেখাচ্ছো কেন??

“আমার কথা শুনে কাব্য ভাইয়া হেঁসে বললোঃ

——–“সরি সরি আসলে কি বলতো তোকে ভয় পেতে দেখলে আমার হেব্বি লাগে’!!এই বলে আবারো হাসলো ভাইয়া’!!

“আমি ভীতু স্বরে বললামঃ

———“আমাকে ভয় পেতে দেখে তোমার তো মজা লাগবেই হুহ…….

“বিনিময়ে ভাইয়া ছোট করে সরি বলে চলে গেল ওয়াশরুমে………

“এমন সময় দরজায় কাছে এসে বললো কেউঃ

——–“আপনাদের ব্যাগ……

——–“আমি সামনে গিয়ে দেখলাম একটা ছেলে খুব একটা বয়স হবে না তবে আমার চেয়ে বড়’!!আমি তার দিকে তাকিয়ে বললামঃ

———“ঠিক আছে ওই খাটের ওপর রেখে দিন’!!আমার কথা শুনে ছেলেটি খাটের ওপর ব্যাগগুলো রেখে আর কিছু না বলে চলে গেল’!!

“ছেলেটির যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আমি চলে আসলাম ব্যাগের কাছে’!!তারপর ব্যাগটা খুলে কিছু জামাকাপড় বের করে রাখলাম বিছানার উপর’!!এমন সময় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো কাব্য ভাইয়া’!!

“ওনাকে দেখেই হা হয়ে তাকালাম’!!এই মুহূর্তে ভাইয়াকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে’!!চুলগুলো ভিজে গেছে এখনো সারা শরীরে পানি আছে অল্প অল্প দেখে বোঝাই যাচ্ছে শাওয়ার নিয়ে এসেছে ভাই……..
“ভাইয়া চুল মুছতে মুছতে বললোঃ

———“ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন???

“হর্ঠাৎই করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি’!তারপর আমতা আমতা করে বললামঃ

———“ইয়ে না মানে…….

———“তোর ইয়ে মানে ছাড়া আর কিছু আসে না………

——–“না তেমন কিছু না আসলে কি বলো তো ওখানে একটা পাখি বসেছিল সেটার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম’!!এই বলে খাটের ওপর থাকা সাদা রঙের চুড়িদার নিয়ে চলে গেলাম আমি ওয়াশরুমে…….

.

“এদিকে কাব্য আর কিছু না ভেবে তৈরি হতে লাগলো’!!বেশকিছুক্ষন পর শাওয়ার নিয়ে চলে আসলাম আমি’!!এখন অনেকটা ফ্রেশ লাগছে……..’!!!ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে লাগলাম আমি’!!

_____________________

”এদিকে কাব্য এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!অদ্ভুত এক চাহনি তার’!!কাব্য তাড়াতাড়ি তার চোখ নামিলে নিলো’!!তারপর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলঃ

———“আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়…….

“হর্ঠাৎ করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!আমি তো ভুলেই গেছিলাম রুমে ভাইয়া আছে’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ

——–“আমি…..

——–“তুই ছাড়া আর কেউ আছে এখানে……..

——–“না মানে রেনু খালা তো বললো আমাদের জন্য খাবার আনছে’!!!

———“তাতে কি হয়েছে তুই গিয়ে এখানে খাবার নিয়ে আয়’!!

“আমিও আর কিছু বা বলে টাওয়াল টা বিছানার পাশে রেখে চললাম নিচে…….

_____________________

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই’ দেখলাম টেবিলের উপর বিভিন্ন ধরনের খাবার সাজিয়ে রেখেছে রেনু খালা’!!আমি নামতেই উনি বলে উঠলেনঃ

——–“তুমি একা কেন মামুনি কাব্য বাবা কোথায়???

———“আসলে ভাইয়া উপরে বসে খাবার খাবে…..

——–“তুমি এখনো কাব্যকে ভাইয়া ডাকছো……

——–“সরি সরি থুক্কু তুমি আবার বলো না ভাইয়াকে মুখ ফোসকে বেরিয়ে গেছে আমার……

“আমার কথা শুনে হেঁসে বললেন উনিঃ

———“ঠিক আছে,,তারপর একটা ট্রে-তে করে কিছু খাবার বেরে দিলো আমার হাতে’!!তারপর আমিও খাবারগুলো নিয়ে চললাম উপরে……

__________________________________________

_____________________

“রুমে ঢুকে দেখলাম ভাইয়া লেপটপ নিয়ে বসে আছে’!!আমি খাবার গুলো সামনে রেখে বললামঃ

——–“তোমার খাবার……

“ভাইয়া আমার কথা শুনে আমার দিকে না তাকিয়েই বলে দিলঃ

———“খাইয়ে দে……

“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ

———-“কি????

———-“তুই কি কানে শুনিস না…….

———“না মানে আমি তোমায় খাইয়ে দিবো…….

———“না তুই দিবি না তোর পাশে যে ভূতটা আছে সে দিবে……

“ভাইয়ার কথা শুনে কিছু ঘাবড়ে গেলাম’!!কারন ছোট বেলা থেকেই এই ভূতেদের প্রচুর ভয় পাই আমি'”!!আমি একবার আশেপাশে তাকিয়ে বললামঃ

———“আমি খাইয়ে দিবো না বলি নি তো তুমি এইসব ভূত টূত কোথায় পাচ্ছো’!!একদম ভয় দেখাবে না আমায়……

———“তুই কি ভূতের নাম শুনেই ভয় পাচ্ছিস নাকি…..

———“কে বলছে আমি ভয় পাচ্ছি (কাঁপা কাঁপা গলায়)

“এতটুকু বলে কাব্যের পাশে বসে পরলাম’!!তারপর কাব্যকে খাইয়ে দিতে লাগলাম আমি’!!ভিতরে ভিতরে আমি প্রচুর পরিমানে ভয় পাচ্ছি আমি’!!এত ভয় কেন লাগছে আমার বুঝতে পারছি না……..

“কাব্যকে সব খাবার খাইয়ে দিলাম’!!তারপর ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“এখন থেকে রোজ আমার জন্য খাবার রুমে নিয়ে আসবি আর খাইয়ে দিবি…..আর শোন তুই গিয়ে খাবার খেয়ে এসে আমার মাথাটা একটু টিপে দিবি’!!এখন যা আমার কাজ আছে……….

“আমি হ্যাঁ না কিছু না বলেই চুপ করে চলে আসলাম’!!বাহিরে বেরিয়ে এসে শালা আমি পারুম না তোর মাথা টিপে দিতে,আমারে কি কাজে মাইয়া পাইছোস আর কে দিবে তোকে রোজ রোজ খাইয়ে’! পারুম না আমি…..’!!একা পাইয়া এখন তার সুযোগ নিতাছো………শালা,হনুমান,বান্দর………

“এমন সময় পিছন থেকে কাব্য বলে উঠলঃ

———“এই তুই কি বললি…….

“কাব্যের কথা শুনে আত্মা কেঁপে উঠল আমার’!!

——“এই রে শুনে ফেললো নাকি,শুনে ফেললে এখন আমার কি হবে এখন আমায় কে বাঁচাবে………..???
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট জানাবে’!!]😊😊😊

#TanjiL_Mim❤️
!
!
!
!
#চলবে………..

❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট জানাবে’!!]😊😊😊

#TanjiL_Mim❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here