গোধুলী বেলায় পর্ব ৯

#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_9

-এতো রাত করে ফিরলে যে?
– তোমার না আজ অন্য রুমে থাকার কথা ছিল।

সমাপ্তর এই একটা কথায় হঠাৎ করে বুক ফেটে কান্না আসতে চাইছে আনন্দির। কাল না হয় বলেছিল তাই বলে সমাপ্ত ওকে এভাবে বলবে। এখন তো ওরা স্বামী স্ত্রী নাকি, চাইলেই তো সম্পর্কটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সমাপ্ত এই খাপছাড়া ভাব তো তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আনন্দি মুখটা নিচু করে বলল, তাহলে কি আমি এখন চলে যাব?

– না থাক যাও নি যখন তখন এতো রাতে আর কোথাও যেতে হবে না। ঘুমিয়ে পড়।
ওয়াসরুমের দিকে যেতে যেতে বলল সমাপ্ত।

কিন্তু আনন্দি প্রচুর রাগ হয় কেন রাগ হয় সে জানে না। অতিরিক্ত রাগে ফুসতে ফুসতে ও বলল,, বলেছি না আমাকে করুণা করতে হবে না। তোমার আমার থাকাটা পছন্দ না হলে চলেই যাচ্ছি।

সমাপ্ত ততক্ষণে ওয়াসরুমে ঢুকে পড়েছে। ও আনন্দির কথার কোন উত্তর দেয় নি। হয়তো শুনে নি।
আনন্দি কি করবে বুঝতে পারছে না। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে তার রাগ ওঠে যাচ্ছে কিছুদিন থেকে। তখন ও কি করে আর কি বলে তার কোন নিয়ন্ত্রন ওর থাকে না। পরক্ষনেই অবশ্য বুঝতে পারে।
এমনিতে খুব কম রাগলেও একবার রাগলে যে তা ভয়ঙ্কক রুপ নেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু পরক্ষনেই ওর মনে হয় আমি তো অনাথ। আমার রাগ কে দেখবে এখানে। যাদের বাবা মা আছে তাদেরই শুধু রাগ করতে আছে, অনাথদের তার কোন অধিকার নেই রাগ করার।
কিন্তু কেন জানে না সমাপ্তর এই উদাসীন ভাবটা ওকে বারবার রাগিয়ে দিচ্ছে।
ও কি সমাপ্তকে নিজের আপন কেও ভাবতে শুরু করেছে? ও কি নিজেকে আর অনাথ ভাবে না, স্বাভাবিক মানুষ মনে করে? না হলে এই রাগের কি মানে?
কিন্তু আফসোস আজ ওর মন যাকে নিজের কেও ভাবছে সে ওর উপস্থিতি পর্যন্ত সহ্য করতে পারে না।

সমাপ্ত ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখল আনন্দি এখনও সেভাবেই দাড়িয়ে আছে যেমনটা ও ওয়াসরুমে যাওয়ার আগে দেখে গেছিল।

তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে এগিয়ে এসে আনন্দিকে বলল, কি হল এখন যাওনি?

আনন্দি চট করে সমাপ্তর দিকে ফিরে তাকালো। মুহু্র্তে ওর চোখ দুটো লাল হয়ে গেল। মাথাটা নিচু করতেই কয়েকফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল গাল বেড়ে।
ঘুরে দাড়াল আনন্দি তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে গেল দড়জার দিকে।

– বিছানায় এসে বসো, কথা আছে।

সমাপ্তর কথায় থমকে দাড়াল আনন্দি। কিন্তু পিছনে ফিরল না। ওভাবেই কিছুক্ষণ দাড়িয়ো থেকে আবার দড়জার দিকে পা বাড়াল।

এবার সমাপ্ত বেশ ঝাঝালো গলায় বলল, কি হল? কি বলেছি শুনতে পাও নি?

– আমার আপনার সাথে আর কোন কথা বলার আছে বলে আমার মনে হয় না।

সমাপ্ত চট করে এসে আনন্দির হাতটা আকড়ে ধড়ল তারপর এক ঝটকায় নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে বলল, কিন্তু আমার আছে, আর তোমাকে,,,,

আর কিছু বলতে পারল না সমাপ্ত। আনন্দির দুটি চোখে যেন তার চোখ দুটি আটকে গেছে। কি সুন্দর দুটি চোখ যা আপাতত লাল বর্ণ ধারণ করেছে। আর চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়া পানি গুলো যেন চোখের সোন্দয্যকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে আনন্দি।

সমাপ্তর মনে হচ্ছে ও এই চোখে তাকিয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। কি মায়াবী ভাসা ভাসা দুটি চোখ। মনে হচ্ছে যেন চোখ গুলো কথা বলছে। চিৎকার করে ওকে কিছু বলতে চাইছে। আশ্চর্য তো চোখ কি কখনও কথা বলে। কিন্তু আনন্দির চোখের দিকে তাকিয়ে ওর এমনটাই মনে হচ্ছে।
কি বলছে বোঝার জন্য কিছু সময় আনন্দির চোখের দিকে তাকিয়ে সমাপ্তর মনে হল এই চোখে আর বেশী সময় তাকালে ও খুন হয়ে যাবে। নিশ্চিত খুন হয়ে যাবে।

একসময়ের সব রাগ যেন এই চোখের দিকে তাকিয়ে হাওয়াতে মিলে গেছে। সমাপ্ত বুঝতেও পারল না কখন ওর মনটা আনন্দির চোখে আটকে গেছে।

চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে রোবটের মতো সমাপ্ত হাত বাড়াল আনন্দির দিকে। গাল থেকে পানি গুলো মুছে হাতটা নিজের চোখে সামনে কিছুক্ষণ ধরে রাখল। কিছুক্ষণ কি যেন ভাবল তারপর হাতটা নামিয়ে আলন।

হঠাৎ কি হল, সমাপ্ত আচমকা আনন্দির হাতটা ছেড়ে দিল। একটু দুরে এসে জোরে জোরে কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার তাকাল আনন্দির দিকে। আনন্দি তখনও চোখ বন্ধ করে সেই জায়গাটাতে দাড়িয়ে আছে। এখনও ওর চোখ দিয়ো গলগল করে পানি পড়ছে।

সমাপ্ত একমুহূর্তের জন্য কি করবে ভেবে পেল না।আবারও মন চাইছে আনন্দির চোখের পানি গুলো মুছে দিতে। কিন্তু আবার সেই রিস্ক নিল না সমাপ্ত।

আনন্দি নিজেকে হঠাৎ করে হালকা মনে হল। এতোক্ষন সমাপ্ত ওর কাছে ছিল। সমাপ্তর ভারী নিশ্বাস গুলো আনন্দির মুখে আছড়ে পড়ছিল। সেই নিশ্বাসের বেগে আনন্দি যেন আর নিজের মধ্যে থাকতে পারছিল না। ইচ্ছে করছিল সমাপ্তর বুকে ঝাপিয়ে পড়তে। কিন্তু সব ইচ্ছে কে প্রশ্রয় দিতে নেই তাই আনন্দি চোখ বন্ধ করে দাঁত খিচে দাড়িয়ে ছিল।

আনন্দি যখন ধীরে ধীরে চোখটা খুলল তখন দেখল সমাপ্ত ওর সামনে একটা টিস্যুর বক্স হাতে দাড়িয়ে আছে। ওর দিকে একটা টিস্যু বাড়িয়ে দিয়ো বলল,, এমন হুটহাট করে কাঁদো কেন কোন কারন ছাড়ায়? তোমার চোখের সাথে কি প্রশান্ত মহাসাগরের সংযোগ আছে নাকি? সাগরে পানি বৃদ্ধি পেলে তা তোমার চোখ দিয়ে নিষ্কাশিত হয়।

আনন্দি কি করবে বুঝতে পারল না। সমাপ্তর হাত থেকে টিস্যুটাও নিল না। নিজের আচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে একটা ভয়ঙ্কক প্রতিজ্ঞা করল যে ও আর কখনও সমাপ্তর সামনে কাঁদবে না। যে লোকটা ওর কাঁন্নার পেছনের কারনটা জানার চেষ্টা করে না। তার চোখের জলের ভাষা বোঝে না তার সামনে সে আর কখনও চোখের জল ঝড়াবে না। কখনও না।

সমাপ্ত কিছুক্ষণ আনন্দির দিকে তাকিয়ে থেকে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকল তারপর মনে মনে ভাবল, মেয়েটা বেশ ত্যাগড় আছে। এমনিতে যতো সহজসরল মনে হয় আসলে তা না। ওর সাথে যাবে ভাল ওর মতোই ঘাড়ত্যাড়া। বলে মনে মনে কিছুটা সময় হাসল তারপর আনন্দির দিকে তাকিয়ে অনুরোধের ভঙ্গিতে বলল,

– আমার সাথে বসে কথা বলার মতো আপনার একটু সময় হবে। আমার কিছু বলার ছিল আপনাকে।

আনন্দি কিছু বলল না ধীর পায়ে এসে বিছানার একপাশে বসে পড়ল। সমাপ্ত দড়জাটা ভাল করে লাগিয়ে এসে বসল আনন্দির পাশে।

অনেকক্ষণ উসখুস করে মিনমিনে গলায় বলা শুরু করল সমাপ্ত।

– আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে সরি। আসলে অনেস্টলি স্পিকিং আমি বিয়েটা করতে চাই নি, কিছুতেই করতে চাই নি। এর মানে এই না যে তুমি অযোগ্য। আমি আসলে এখন বিয়ে করতে চাই নি। এখন আমরা কেবল কলেজে পড়ি, এটা কি বিয়ে করে সংসার করার মতো বয়স,,,,

এই কথার মাঝে আনন্দি ফিক করে হেসে দেয়। সমাপ্ত অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,, আমি সিরিয়াসলি কথা বলছি আনন্দি। আনন্দি আর কিছু না বলে গম্ভীর হয়ে গেল তারপর বলল,, তো এখন কি করতে বলছ তুমি?

– কিছুই না। ভেবে দেখলাম তুমি কাল যা বলেছ তা ঠিক। আপাতত আমরা দুজন ফ্রেন্ডের মতো থাকব, না আমাদের মধ্যে কোন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক থাকবে না সংসার করার ঝামেলা। আপাতত আমরা আমাদের জীবনটা ইনজয় করি। এতে করে আমরা একে অপরকে চিনতে পারব, ফলে আমাদের আন্ডারস্টান্ডিং টাও ভাল হবে।

আনন্দি একবার সমাপ্তর দিকে তাকাল। সমাপ্তর কথাগুলোতে বেশ বাচ্চামি আছে। কিন্তু একজন কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্টের মনে, মনে হয় না এর থেকে বেশী কিছু আসতে পারে। এমনিতেই বয়সটা খুব একটা বেশী নয় যে তারা পুরো পৃথিবী চিনে ফেলবে। এসময় সবার ইচ্ছা হয় পুরো পৃথিবী ঘুরব। অনেক পড়াশোনা করব, অনেক বড় কিছু করব। কিন্তু ভুলেও কারও মাথায় বিয়ের চিন্তা তখন আসে না।

মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় একটু বেশী ম্যাচিওর হয়। আনন্দির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। ওর কাছে মনে হচ্ছে সমাপ্ত প্রচন্ড বাচ্চামি করছে ওদের সম্পর্কটা নিয়ে। কিন্তু ও কোন প্রতিবাদ করে না। ও সমাপ্তকে সময় দিতে চায় যথেষ্ট সময় দিতে চায়।

আনন্দি কোন রকমে হুম বলে বিছানার একপাশে শুয়ে পড়ল। সমাপ্ত তখনও বসে বসে কি যেন ভেবে চলেছে।

পরের দিন থেকে সব কিছু বদলে যেতে শুরু করে। নিজের কথা রেখেছে আনন্দি। ও বাসার সবাইকে রাজী করেছে নিজের সিধান্তে। আনন্দি উঠেছে নিজের আগের রুমেই। বিয়ের পর আনন্দির সব জিনিসপত্র সমাপ্তর রুমে ট্রান্সফার করা হয়েছিল আবার তা করা হলো।

আনন্দি এখন বাড়ির বউ না মেয়ের পরিচয়ে থাকে। আগেও থাকত এই পরিচয়ে। দুইদিনের ওর এই বউ হওয়ার সফর শেষ হয়েছে। তবে এতে কোন ইফেক্ট পরে নি বাড়িতে।
তবে বাইরের লোকের মুখ বন্ধ করা গেছে। তার আর এই বিষয়ে কোন অালোচনা করে না। করে হয়তো অন্য কারও বাড়ির সমস্যা নিয়ে।

আনন্দি আর আরফা ঠিক যেন নিজের দুইবোনের মতো থাকে। আরফার কোন ছোট বোন ছিল না আর আনন্দির কোন বড় বোন। আর তারা দুজনেই মনোয়ারা বেগমের দুচোখের মনি। দুজনে মিলে সারাটা সময় বান্দরের মতো বাড়িতে লাফালাফি করে বেড়ায়।
বাড়িটা যেন আগের চেয়েও খুশিতে ভরে গেছে। আর আনন্দির জীবনে তো এতো আনন্দ আগে কখনও ছিল না।

আহসান হোসেন বিদেশ থেকে ফিরেছে আনন্দির বিয়ের কিছুদিন পর। বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে না দেখে আর পাড়ার লোকের কথা শুনে তিনি বেশ অবাক হন। তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করেন না তার মেয়ে এমনটা করতে পারে। কি করবেন বুঝতে পারেন না।
তবে এটা বুঝতে পারেন যে তার মেয়েকে এভাবে একা সৎ মায়ের কাছে রেখে যাওয়া কিছুতেই উচিত হয় নি। এই প্রথম তার নিজের করা কাজের জন্য অনুশোচনা হল।
তার এই খামখেয়ালীপনার জন্য তার মেয়েকে কত বড় ফল ভোগ করতে হচ্ছে ভেবে তিনি ভয়ে কেঁপে উঠলেন। না জানি মেয়োটা কোথায় আছে এখন।

রেহেনা বেগমকে একটু চাপ দিয়ে তাকে তালাক দেওয়ার ভয় দেখাতে তিনি ফরফর করে সব সত্যি কথা বলে দিল। যে স্বামী জন্য উনি এতো কিছু করলেন সেই স্বামী যদি তাকে ছেড়ে দেয় তাহলে কোথায় যাবেন উনি, কিছুই তো করার নেই উনার। সাথে আবার একটা ফুটফুটে বাচ্চা। তাই নিজের কথা ভেবে উনি আনন্দির সাথে যা করেছেন সব শিকার করে নেন।

সমাপ্তদের বাড়িতে একটা শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। আহসান সাহেব এসেছে মেয়েকে আনতে। তার অনুমতি ছাড়াই তারা আনন্দির সাথে নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছেন এখন যদি উনি নিজের মেয়েকে নিতে চায় তাহলে ওদের তো করার কিছু থাকবে না। আনন্দি কি সত্যি চলে যাবে। এতোদিন সুখের মধ্যে থেকে ভাবতেই পারে নি হুট করে সব এভাবে শেষ হয়ে যাবে।

আহসান সাহেব সবার মুখের দিকে তাকিয়ে বেশ ভড়কে যান। তাদের মুখ দেখে মনে হয় না তারা তার আগমনে খুশি হয়েছে। কিন্তু তিনি তো এমনি আসেন নি, মেয়েটাকে নিতে এসেছে। নিয়েই চলে যাবে আবার।

আনন্দির সাথে দেখা হয়ে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে গেল আহসান সাহেবের। এখন আর আশেপাশের মানুষদের কথা তিনি খুব একটা ভাবছে না। মেয়েটাকে কত দিন পর দেখলেন। মেয়েটা যেন মায়ের আদলে তৈরী। মেয়ের দিকে তাকালে উনি উনার প্রথম স্ত্রীর ছায়া দেখতে পান। এটাই হয়তো আনন্দির প্রতি উদাসিনতার প্রধান কারন।

আনন্দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ খুশি থাকলেও সবটা শুনে উনি বেশ অবাক হয়। সবাই যখন চুপচাপ ছিল তখন আনিসুর রহমান সাহস করে এগিয়ে আসেন আর খুলে বলেন এই কয়েকদিনে কি কি ঘটছে।

আনন্দিকে একবার আহসান সাহেব জিজ্ঞাসা করেন আনন্দি কি এখানে থাকতে চাই। আনন্দি চুপ ছিল পুরোটা সময়, কিছুই বলে নি সে। আহসান সাহেব যা বোঝার বুঝে গেছেন।

ছলছল চোখ নিয়ে একবার আনন্দির দিকে তাকালেন তিনি। তারপর আনিসুর রহমানের কাছে গিয়ে বললেন, আমি মেয়েটাকে আপনাদের কাছো দিয়ে যাচ্ছি। অনেক ছোটতে মাকে হারিয়েছ মেয়েটা। তারপর মায়ের আদর আর পায় নি আমিও ওকে কাছে টেনে নেই নি। এখানে এসে মেয়েটা সব পেয়েছে। আমি আমার মেয়ের মুখ দেখেই বুঝতে পেরছি ও কতোটা খুশি আছে এখানে। আমার মেয়ের খুশির জন্যই ওকে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম। আসি,,,

আহসান সাহেব যেতে নিলে আনন্দি এসে ঝাপিয়ে পরে বাবার বুকে। কেঁদে কেঁদে ভিজিয়ে দেশ আহসান সাহেবের সার্টের অগ্রভাগ। এতো ভালবাসা ছেড়ে আবারও ওই নরকে যেতে ওর কিছুতেই ইচ্ছে ছিল না। তাই এতোটা সময় চুপ ছিল ও। কিন্তু এতো দিন পর বাবাকে দেখে আবারও দুরে যেতে দেখে আর নিজেকে সামলে রাখতো পারে না। যতোই অন্যায় করুক বাবা তো উনি। আর আনন্দি ছোট থেকেই বাবার নেওটা ছিল। তাই বাবার চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারে না।
অবশেষে মেয়েকে মাঝে মাঝে দেখতো আসার কথা বলে বিদায় নিয়েছেন আহসান সাহেব ।

চলবে,,,,,

জাকিয়া সুলতানা

বি দ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here