গোধূলি বেলায় পর্ব ১১

#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_11

– তুই কি সত্যি চলে যাচ্ছিস?
– হুম।

– আর কতো বার সরি বলব তোকে? বলছি না আমি সেদিন বুঝি নি। আসলে জানিস তো ড্রাংক ছিলাম, আর জীবনে প্রথম বার ড্রিংক করেছিলাম তাই নেশাটা একটু বেশী হয়ে গেছিল। আমি জীবনে আর কোন দিনও ড্রিংক করব না কিন্তু তুই আমাকে ভুল বুঝিস না।

– সমাপ্ত আমি সেই রাতের জন্য কোন রিয়াক্ট করছি না। ইভেন সেদিনের সেটাকে আমি অন্যায় ও ভাবি না।
ইসলামিক শরীয়ত মতে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আমাদের কোন এক সময় বিয়ে হয়েছিল। তাই এটার অধিকার তোর আছে।
বরং আমার কাছে বারবার ক্ষমা চেয়ে আমাকে ছোট করিস না। আমি জানি তুই আমাকে স্ত্রী হিসেবে মানিস না।
কিন্তু সে রাতে যা কিছু হয়েছে তা আমি স্বামী-স্ত্রীর একটি পবিত্র মিলন হিসেবে গ্রহন করেছি। অন্ততঃ আমার এই ভাবনাটাকে ছোট করিস না।

– তাহলে তুই চলে যাচ্ছিস কেন?

– আমার ছুটি শেষ তাই। তোর হয়তো মনে নেই আমি আসার পরই বলেছিলাম আমি দশদিন পর চলে যাব আর হিসেব করে দেখ কাল সেই দশ দিনের শেষ দিন।

– কয়েকটা দিন দেরী করে যাওয়া যায় না?

– কিভাবে? আমার ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। আমি তোকে যদি বলি তোর ক্লাস বাংক করে আমার সাথে ঘরের মধ্যে বসে থাক তাহলে কি তুই থাকতি?

– তুই আসবি তো আবার?

– হুম।

– কখন?

– ছুটি হলেই আসব।

– আচ্ছা আমি যদি তোর সাথে দেখা করতে তোর ভার্সিটিতে যাই তাহলে কি তুই রাগ করবি?

– না।

– আচ্ছা সব কিছু গুছিয়ে নে আমি তোকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে আসব।

– তার দরকার নেই।

– দরকার আছে কিনা তা আমি দেখব। যা বললাম তা কর।

আনন্দি চুপচাপ আবার ব্যাগ গোছাতে লাগল। আর সমাপ্ত হনহন করে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। মনোয়ারা বেগম ছেলেকে এমন ভাবে চলে যেতে দেখে ঠিক বুঝলেন তার ছেলে আর বউমার মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে। তাই তিনি আর আনন্দির কাছে না গিয়ে নিজের ঘরে গেলেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

পরের দিন সকালে আনন্দিকে নিজের বাহুডোরে আবিষ্কার করেছিল সমাপ্ত। নিজের আর আনন্দির দিকে তাকিয়ে ওর বুঝতে বাকি থাকে নি যে গত রাতে ঠিক কি হয়েছিল। কিন্তু ঠিক ভাবে কিছু মনে করতে পারে নি।

তারপর থেকেই আনন্দির চোখে চোখ রাখতো পারত না সমাপ্ত। অজানা এক অপরাধবোধ ঘিরে ধরত ওকে। ও তো আনন্দিকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মানে না তাহলে এমনটা কেন করল ও। ও কি সেসব হিংস্র পুরুষের মতো হয়ে গেল যারা একা কোন মেয়ে পেলে তাকে ভোগ করতে মেতে ওঠে, কিন্তু ও তো এমন ছিল না তাহলে সেদিন রাতে এতো বড় ভুলটা কেন করল? আনন্দি কি ভাববে ওর বিষয়ে? আনন্দিও তো ভাববে যে ও আনন্দির সরলতার সুযোগ নিচ্ছে। এই অপরাধ বোধের জন্য ও আনন্দির দিকে তাকাতে পারত না।

এই কয়েকদিনে আনন্দি ওর সাথে যতোবার কথা বলতে এসেছে ততবার আনন্দিকে ইগনোর করে গেছে। মনে হতো যেন এক অপরিচিত মানুষ আনন্দি, সমাপ্ত ওকে চেনেও না। এমনই একটা ব্যবহার করেছে এতোদিন আনন্দির সাথে।

আবশেষে সকালে ভাবীর থেকে যখন জানতে পাড়ল আজ আনন্দি চলে যাবে তখন ও বুঝতে পারে ও আসলে এতোদিন যা করেছে তা ঠিক হয় নি। ওর আনন্দির সাথে বসে কথা বলে সবটা ক্লিয়ার করে নেওয়া উচিত ছিল। তখন থেকে ও আনন্দির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু আনন্দি আর ওর সাথে কথা বলে না।

সকাল থেকে আনন্দিকে অসংখ্য বার সরি বলেছে। আনন্দিও বলেছে ও এতে ও কিছু মনে করে নি কিন্তু তবুও মন থেকে শান্তি পাচ্ছে না সমাপ্ত। তাই তো নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে আর সেই রাগটা এভাবে বেড়িয়ে আসছে।

আনন্দি কিছুতেই বুঝতে পারছে না সমাপ্ত এতো রেগে কেন ও তো বলেছে ও নিজের দিক থেকে পরিষ্কার। তবে কি ও নিজেকে সমাপ্তর স্ত্রী দাবি করেছে তাই সমাপ্ত এমন রেগে আছে। বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো আনন্দির।

~~~~~~~~~~~~~~~~~

আনন্দি আপন মনে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে মনোয়ারা বেগমের কাছে গেল। মনোয়ারা বেগম তখন বিছানায় আধশোয়া হয়ে কিছু একটা ভাবছিলেন। আনন্দি গিয়ে ডাকল,,

– মা!

মনোয়ারা বেগম আনন্দির ডাকে ফিরে তাকালেন তারপর সোজা হয়ে বসে আনন্দিকে হাতের ইশারায় নিজোর কাছে ডাকলেন। আনন্দি পাশে গিয়ে বসল। মনোয়ারা বেগম আনন্দির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,,

– কিছু কি হয়েছে মা?

– কিসের কি হয়েছে মা ? ভারী আশ্চর্য হয়ে আনন্দি জিজ্ঞেস করল ।

– সমাপ্ত সাথে কি তোর কিছু হয়েছে?

– না তো।

– তবে সমাপ্তকে যে দেখলাম কেমন করে যেন বেড়িয়ে গেল?

– আপনার ছেলে তো রাগচটা আগে থেকেই। কখন তার কি হয় তার খবর কে রাখে।

মনেয়ারা বেগম আনন্দির কথায় সামন্য তেঁজ আঁচ করলেন। আবারও আনন্দির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,

– সংসারে চড়ায় উতরাই সবসময় লেগেই থাকে জানিস তো । কিন্তু তারপরও বুদ্ধি দিয়ে ঠান্ডা মাথায় সবটা সামলাতে পারার নামই নারী জাতি বুঝলি মা । আমরা এসব পারি বলেই আমরা নারী জাতি, পুরুষরা এসব পারে না।
হ্যা আমি জানি তারা অল্পতেই রেগে যায়, চিৎকার করে। কারন তারা এটুকুই পারে। কিন্তু তাদের মায়ার বাধনে বেধে সংসারে প্রবেশ করায় নারীজাতি। আমাদের এই ক্ষমতা আছে, ইভেন সব মেয়েদের মধ্যে আছো।
কিন্তু আমরাও যদি পুরুষদের মতো অল্পতে রেগে গিয়ে হাল ছেড়ে দেয় তাহলে কিভাবে হবে মা?
আমাদের মাথা ঠান্ডা রেখে সামনের মানুষটাকে বোঝাতে হবে তুমি নিজের মধ্যে কোন অসীম ক্ষমতা লালন কর। দেখবে সে তোমার ক্ষমতার কাছে হার মেনে মাথা নত করতে বাধ্য হবে।
আমি কি বলেছি তা নিশ্চয় তুমি বুঝতে পেরেছ?

আনন্দি মৃদু ভাবে মাথা নেড়ে হ্যা বোঝাল। মনোয়ারা বেগম আনন্দির মাথায় হাত দিয়ে বললেন, তা কখন বেরুচ্ছ?

– এই তো এখনই মা।

– কে রাখতে যাবে তোমাকে? একা তো যেতে পারবে না?

– আপনার ছেলে রাখতে যাবে বলল।

– ওহ্ তা বেশ। তা বেড়িয়ে পড় তাহলে এখন। নাহলে আবার দেরী হয়ে যাবে।

সমাপ্ত ওর মায়ের ঘরের দড়জায় দাড়িয়ে দেখে ওর মা আনন্দিকে বুকে জাড়িয়ে রেখেছে। ফিরে এসে আনন্দিকে ঘরে না দেখে চিন্তায় পড়ে যায় সমাপ্ত। মেয়েটা কি তাহলে ওর কথা না শুনে চলে গেল নাকি?
পর মুহূর্তে ওক মায়ের ঘরের কথা মনে হতেই পা বাড়ায় মায়ের ঘরে। আর এখানে এসে এই দৃশ্য দেখে।

কিছুক্ষণ দাড়িয়ে ওদের দেখে। তারপর আনন্দিকে তাড়া দেয় বের হওয়ার জন্য। আনন্দি একে একে সবার কাছে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে আসে।

স্টেশনে পৌছাতে বেশ দেরী হয়ে যায় ওদের। ট্রেন ছাড়তে আর বেশী দেরী নেই। আনন্দির টিকিটটা অনলাইন থেকে কাটা হয়েছিল। তাই সমাপ্ত স্টেশনে পৌছেই আনন্দিকে দাড়াতে বলে ছুটে যায়। প্রায় ট্রেনের সমান লম্বা লাইন পেরিয়ে টিকিট কালেক্ট করে নিয়ে আসে সমাপ্ত। এতোটা ভিড়ে এমন ধাক্কা ধাক্কি করে টিকিট নিতে গিয়ে ঘেমে নেড়ে একাকার হয়ে গেছে সমাপ্ত।

আনন্দি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সমাপ্তর দিকে। সমাপ্তর মধ্যে যেন আজ অন্য কিছু আবিষ্কার করছে আনন্দি। আজকের সমাপ্ত আর আগের সমাপ্তের মধ্যে যেন আজ আকাশ পাতাল তফাৎ। তবে পার্থক্যটা কি সেটা বুঝতে পারছে না।

সমাপ্ত আনন্দির সামনে এসে আঙ্গুল দিয়ে তুড়ি বাজিয়ে বলল, কি ব্যাপার এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছিস। দেরী হয়ে যাচ্ছে তো।

সমাপ্তর কথায় আনন্দির হুস আসে। এতোক্ষন ও সমাপ্তর মাঝে সৃষ্টি হওয়া অন্য এক সমাপ্তকে খুঁজতে ব্যস্ত ছিল। সমাপ্ত কথায় বাস্তবে ফিরে কোন রকমে মাথা নেড়ে হ্যা বলল।

সমাপ্ত আনন্দির ব্যাগটা নিয়ে আগে আগে হাটতে লাগল। আনন্দি পেছন পেছন স্বামী পদচিহ্ন অনুসারন করে এগোতে লাগল। ট্রেনের সামনে পৌছে বগি খুঁজে আনন্দিকে উঠিয়ে দিল।
নেমে আসার সময় আবার আনন্দির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল পানি আছে কিনা। আনন্দি মাথা হেলিয়ে না বলাতে সমাপ্ত পানি এবং কিছু হালকা খাবার কিনে দিল আনন্দিকে।

আনন্দির সমাপ্ত দিকে তাকিয়ে থেকে বুঝতে পারল ও এতোক্ষন সমাপ্তর মধ্যে নতুন কি দেখেছিল। সমাপ্তর মধ্যে অদ্ভুত যে পরিবর্তনটা ও দেখছে তা হলো সম্পর্কের। আজ কেন যেন হঠাৎ করে সমাপ্তর ব্যাবহারে ও স্বামী জিনিসটাকে খুঁজে পাচ্ছে। কেন যেন সমাপ্তর দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে এই লোকটাই আমার স্বামী। আর সমাপ্তর মধ্যেও যেন অদ্ভুত এক দ্বায়িত্ব বোধ তৈরী হয়েছে যেটা ওর ঘেমে একাকার হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে বোঝা যাচ্ছে।

আনন্দি জানলা দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সমাপ্তর দিকে। সমাপ্তও জানলার পাশেই দাড়িয়ে আছে কিন্তু তার দৃষ্টিতে একটা কাঠিন্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আনন্দির ট্রেনটা ছেড়ে দেয়। আস্তে আস্তে আনন্দি দুরে চলে যেতে থাকে তবুও দুটি মানুষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে যেন অনন্তকাল ধরে তারা এভাবেই তৃষ্ণার্ত হয়ে দেখে চলেছে একে অপরকে। অবশেষে আনন্দির ট্রেনটা দৃষ্টি সীমানার বাইরে চলে যায় তবুও তাকিয়ে থাকে সমাপ্ত।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

– কি রে তুই এখনে? হঠাৎ?

ঘরে ঢুকেই সোফার উপর আনন্দিকে তার দুই পা ছড়িয়ে বসে থাকতো দেখে প্রশ্ন করে সমাপ্ত। আনন্দি একটু সোজা হয়ে বসে উত্তর দেয়, কেন আসতে পারি না বুঝি?

সমাপ্ত আনন্দির পাশে গিয়ে বসে। ঘেমে ভিজে যাওয়া শার্টটা খুলতে খুলতে আবার বলে,

– আমি কি বলেছি আসতে পারবি না। কিন্তু আপনি তো লাপাত্তা গত একমাস তো আপনার কোন খবরই ছিল না। ফোন বন্ধ সামাজিক যোগাযোগ সাইটেও আপনি একটিভ না। আমি তো আপনাকে খুঁজে খুঁজে হয়রান। তারপর আবার আপনার শুভ আগমন। এভাবে হাড়িয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসলে স্বাভাবিক মানুষরা একটু আশ্চর্য তো হবেই।

আনন্দি নিজেকে সমাপ্তর ঘামে ভেজা শরীরের সাথে লেপ্টে নিয়ে একটা জোরে নিশ্বাস নেয়। যেন সমাপ্ত ঘামে ভেজা শরীর থেকে কোন সুগন্ধ বেড়িয়ে আসছে। এমন ভাবে জড়িয়ে ধরাতে সমাপ্ত একটু আশ্চর্য হয় কিন্তু নড়ে না ঠায় বসে থাকে।

আনন্দি কিছুক্ষণ সমাপ্তর শরীরের ঘ্রান নিয়ে ওভাবে বসে থেকেই উত্তর দিল, আমার সেমিস্টার ফাইনাল ছিল তখন।

– তাই বলে ফোন বন্ধ রাখবি? কারও সাথে যোগাযোগ করবি না? আমিও তো সেমিস্টার ফাইনাল দেই। কই আমি তো এমন করি না।

– তুমি কি মাত্র ফিরলে? খেয়েছ?

– তুই মনে হচ্ছে কয়েকদিনেই বাড়ির সব নিয়ম ভুলে গেছিস। এই বাসায় রাত দশটায় সবাই একসাথে ডিনার করে। আর এখন তো কেবল নয়টা বাজে।

– দুপুরে খেয়েছিলে?

– কি হয়েছে তোর বলতো? এমন অবান্তর প্রশ্ন কেন করছিস? তুই কি অসুস্থ? দেখি কপালে হাত দিয়ে।

আনন্দি সমাপ্তকে আরও চেপে ধরল তারপর সমাপ্তর বুকে মাথা রেখে হুহু করে কেঁদে উঠল। সমাপ্ত বুঝল না আনন্দি কাঁদছে কেন কিন্তু তবুও কিছু বলল না। কাঁদতে দিল আনন্দিকে কারন ও জানে আনন্দি কাঁদা হলেই ও নিজে থেকেই বলবে কি হয়েছে।

অনেকটা সময় হয়েছে আনন্দি কান্না থামিয়েছে কিন্তু এখনও ফোফাচ্ছে। সমাপ্ত আনন্দিকে বুক থেকে তুলে নিজের বরাবর বসাল। তারপর আনন্দির চোখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, কি হয়েছে বলত সত্যি করে।

আনন্দি সমাপ্তর চোখের দিকে তাকাতে পারল না। কিছুক্ষণ ওভাবে বসে থেকে উঠে গেল। টেবিলের উপর থেকে নিজের হ্যান্ড ব্যাগটা তুলে নিয়ে সেখান থেকে একটা কাগজ বের করল।

কাগজটা সমাপ্তকে দিয়ে আবার সোফায় বসে পড়ল। তবে এবার একটু দুরত্ব রেখে বসল।

সমাপ্ত কাগজটা বের করে চোখের সামনে ধরে যেন হতভম্ব হয়ে বসে রইল। এমন একটা কিছু আনন্দি ওকে দেখাবে সেটা ও বুঝতে পারে নি। ওর যেন আর মাথা কাজ করছে না। কাগজটা ওভাবে ধরেই চুপচাপ বসে আছে সমাপ্ত ।

কাগজটা যেনতেন কোন কাগজ ছিল না যে। ওটা আনন্দির প্রেগনেন্সি টেস্টের রিপোর্ট ছিল। আর কাগজে প্রেগনেন্সি টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ লেখা ছিল।
তার মানে আনন্দি এখন প্রেগনেন্ট। আনন্দির পেটে বেড়ে উঠছে আনন্দি আর সমাপ্তর ছোট্ট একটা আংশ।

চলবে,,,,

জাকিয়া সুলতানা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here