তুমি শুধু আমারই হও পর্ব -০১

#তুমি_শুধু_আমারই_হও
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#অরনিশা_সাথী

|১|

বারোটা কি সাড়ে বারোটা বাজে। এতরাতে হঠাৎ কলিংবেল বাজার শব্দে অর্নি অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। ভাবতে থাকে এসময়ে কে আসতে পারে? আর অর্নি কোথায় আছে সেটা একমাত্র উৎসব ছাড়া অন্যকেউ জানে না। তবে কি উৎসব এসেছে? এই ভেবে অর্নি দ্রুত এগিয়ে গেলো দরজা খুলতে। দরজার সামনে এসে ক্ষানিকটা ভয় লাগছে। খুলবে কি খুলবে না বুঝতে পারছে না। আর ওদিকে অনবরত কলিংবেল বেজেই চলছে। অর্নি দরজাটা খুলতেই উৎসব দ্রুত ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। মিনিট দুয়েক শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে অর্নিকে৷ উৎসব অর্নিকে ছেড়ে দাঁড়াতেই অর্নি বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। আর একটু হলেই যেন শ্বাস আটকে মরে যেতো ও। এত শক্ত করে কেউ চেপে ধরে? অর্নি চোখ কটমট করে উৎসবের দিকে তাকাতেই উৎসব ওর ভুবন ভুলানো হাসি দেয়। যা দেখে অর্নি গা পিত্তি চলে যায়। ঝাঁজালো কন্ঠে বললো,
–“পাগল আপনি? এভাবে কেউ ধরে? আর একটু হলেই তো দম বন্ধ হয়ে যেতো আমার।”

উৎসব অসহায় ফেস করে বললো,
–“কি করবো বলো? গত ছয় মাস যাবত তেমন ভাবে কাছে পাচ্ছি না তোমায়। তার উপর আবার লাস্ট অনেকদিন এখানে আসতে পারিনি। আমার কি ইচ্ছে করে না বউটাকে আদর করতে?”

অর্নি মুখ বাকিয়ে অন্যদিকে তাকালো। উৎসব অর্নিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো,
–“ওভাবে জড়িয়ে ধরাতে আমার বউটার কি খুব বেশি কষ্ট হয়েছে?”

অর্নি উৎসবকে নিজের থেকে সরিয়ে বললো,
–“তার আগে বলুন, এতরাতে আপনি এখানে কি করছেন? কেন এসেছেন?”

–“বউকে আদর করতে___”

–“মজা না করে সত্যিটা বলুন।”

–“নূরের খোঁজ পেলে কোনো?”

–“এখনো না, পেলে তো অবশ্যই জানাতাম।”

দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো উৎসব। কবে বোনটার খোঁজ পাবে এই ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে আছে৷ উৎসব বললো,
–“তুমি সত্যিই নূরকে দেখেছিলে তো?”

–“বিশ্বাস করেন না আমায়? আমি কেন মিথ্যে বলবো? আমি সত্যিই নূরকে দেখেছি।”

–“এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা না অর্নি। তোমার তো কোথাও একটা ভুল___”

–“এতবড় ভুল আমি করবো না। আমি নূরকেই দেখেছি।”

অতঃপর এ বিষয়ে আরো বেশকিছুক্ষণ কথা বললো দুজনে। নূর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ইশা একপ্রকার কৌশল করেই অর্নিকে বাড়ি ছাড়া করেছে। কিন্তু ইশা এটা জানে না অর্নিও প্ল্যান মাফিকই বাড়ি ছেড়েছে, মিসিং হওয়ার মিথ্যে নাটক সাজিয়েছে। অর্নি খুব ভালো করেই জানে এসবের পেছনে ইশা আছে, প্রথমে অর্নির মাথাতেও এসব আসেনি। কিন্তু নূর খাদে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই ইশা এরকম সব বিহেভিয়ার করেছে যাতে অর্নি নিশ্চিত ইশা-ই কোনো কিছু করেছে। কিন্তু ওর হাতে কোনো প্রমান না থাকায় সবটা খোলসা করতে পারছে না। ইশা একা নয়, ওর সাথে আরো কেউ আছে। সেই জনকে গর্ত থেকে বের করতেই অর্নি বাড়ি ছেড়েছে৷ যাতে ইশা বোঝে ওদের প্ল্যান ঠিকঠাক ভাবে এগোচ্ছে। উৎসব নিজেই অর্নিকে এই ফ্ল্যাটে রেখেছে। এই কথাগুলো অর্নি আর উৎসব ছাড়া অন্যকেউ জানে না। এখান থেকে অর্নি প্রায়শই ওই খাদের ধারে যেতো। হুট করেই একদিন নূরকে দেখতে পায়, মধ্যবয়স্ক দুজনের সাথে গাড়িতে করে কোথাও একটা যাচ্ছে। অর্নি পিছু নিয়েছিলো, কিন্তু শেষ অব্দি গাড়িটা চোখের আড়াল হয়ে যায়।

ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দে অর্নি কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসে। উৎসব কাবার্ড থেকে একটা টি-শার্ট বের করে গায়ে জড়িয়ে নিলো। তারপর অর্নির কাছে গিয়ে বললো,
–“বউ খেতে দাও কিছু, পেটের মধ্যে ইদুর দৌড়াচ্ছে।”

অর্নি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
–“রাতে খাননি আপনি?”

–“উঁহু, ভাবলাম বউয়ের কাছে যেহেতু আসবোই তাহলে বউয়ের হাতেই খাবো।”

–“এই লোকটা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।”

দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো বলে কিচেনের দিকে চলে গেলো অর্নি। মিনিট দশেক বাদেই খাবার গরম করে রুমে নিয়ে আসলো। উৎসব বিছানায় আয়েশ করে বসেছে। উৎসবের বসার ধরন দেখেই অর্নি বুঝেছে খাইয়ে দিতে হবে, এই ছেলে হাত দিয়ে খাবে না আজ। তাই আর কথা না বাড়িয়ে উৎসবকে খাওয়াতে শুরু করলো। খাওয়ানো শেষে এঁটো প্লেট হাতে কিচেনে চলে গেলো আবার। প্রথমেই খাবারগুলো সব ফ্রিজে রেখে বেসিনের কাছে গিয়ে এঁটো বাসনগুলো ধুঁতে শুরু করলো। এমন সময় এক-জোড়া হাত পেছন থেকে অর্নিকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ে মুখ গুজলো। অর্নি প্রথমে কিছুটা কেঁপে গেলেও মূহুর্তেই মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো। হাসিটা আড়াল করে থমথমে গলায় বললো,
–“উফস্ কি শুরু করলেন আপনি? কাজ করছি তো, ছাড়ুন।”

উৎসব অর্নির ঘাড়ে নাক ঘঁষে বললো,
–“কাজ-টাজ সব বাদ, ঘরে চলো।”

অর্নি কিছু না বলে কাজে মনোযোগ দিলো। কিন্তু ঠিকঠাক ভাবে মনোযোগ রাখতে পারছে না উৎসবের এমন লাগাতার গভীর স্পর্শে। দাঁতে দাঁত চেপে আছে অর্নি। এই লোকটা ওকে পাগল করে ফেলবে৷ অর্নি ওভাবেই কাজগুলো শেষ করে উৎসবকে বললো,
–“এখন তো ছাড়ুন, না ছাড়লে ঘরে যাবো কি করে?”

উৎসব চট করেই অর্নিকে কোলে তুলে নিলো। অর্নি দুহাতে উৎসবের গলা জড়িয়ে ধরে নিজেকে ব্যালেন্স করলো। উৎসবের ঠোঁটের কোনে বাঁকা হাসি। কিচেনের লাইট অফ করে অর্নিকে নিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়ালো উৎসব।

বহু চেষ্টার পর আটপৌড়ে ভাবে শাড়ি পড়তে সক্ষম হয়েছে অর্নি। লাল পাড়ের কালো সুতি শাড়ি পড়েছে। পেট পিঠ সব দৃশমান। লম্বা চুলগুলো সারা পিঠময় জুড়ে আছে। চোখে গাঢ় কাজল, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। দেখতে খুব আকর্ষণীয় লাগছে অর্নিকে৷ উৎসবের ইচ্ছেতেই এই মধ্যরাতে এরকম সাজতে হচ্ছে অর্নিকে। সাজার সময় কয়েক দফা গালমন্দও করেছে উৎসবকে। যেখানে অর্নি এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতো সেখানে এখন এই মাঝরাতে এই বদলোকটার খায়েশ মেটানোর জন্য সাজতে হচ্ছে ওকে৷ উৎসবের মনমতো নিজেকে সাজিয়ে উৎসবকে ঘরে আসতে বললো অর্নি।

ব্যালকোনি থেকে ঘরে এসেই পা থেমে গেলো উৎসবের। অর্নির উপর থেকে চোখ সরাতে পারছে না। ফ্যানের বাতাসে চুলগুলো উড়ছে। শাড়ির আচঁল উড়ছে। সাদা পেট স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। একটা শুকনো ঢোক গিললো উৎসব। অর্নির চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসছে৷ কিন্তু টেনেটুনে চোখটা খোলা রেখেছে ও। উৎসবকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে অর্নির রাগ হচ্ছে। বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে বললো,
–“ওভাবে হা করে কি দেখছেন? আপনার ইচ্ছেমতো সেজেছি এবার আমাকে ঘুমাতে দিন প্লিজ।”

উৎসবের হুঁস ফিরলো৷ বাঁকা হেসে এগিয়ে গেলো অর্নির দিকে। দুহাতে অর্নির কোমড় ধরে টেনে অর্নিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো উৎসব। অর্নির কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে বললো,
–“কতটা সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগছে তোমাকে তুমি জানো? উঁহু জানো না। আ’ম স্পিচলিস বউ। তোমাকে এভাবে দেখার পরেও আমি এত সহজেই ঘুমাতে দিবো ভাবলে কি করে?”

কথাটা বলেই অর্নির কোমড় থেকে এক হাত সরিয়ে নিলো উৎসব। একহাতে অর্নির কোমড় চেপে ধরে অন্যহাত দিয়ে অর্নির ঘাড়ের কাছের চুল মুঠো করে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। চোখ বড়বড় করে তাকালো অর্নি। ও জানতো লোকটা এরকম করবে, এজন্যই শাড়ি পড়তে চায়নি ও। কিন্তু এই লোকটা ওর কথা শুনলে তো। ছাড়া পাওয়ার জন্য হাঁস-ফাঁস করছে অর্নি। শেষে শান্ত হয়ে গেলো অর্নি। চোখ বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলো উৎসবের চুমু। পাগলের মতো চুমু খাচ্ছে উৎসব৷ আজকে অর্নির ঠোঁট জোড়ার কি হাল হবে সেই ভেবে মনে মনে বেশ দুঃখ পেলো অর্নি।

বেশ অনেকটা সময় বাদে অর্নির ঠোঁট ছেড়ে দিলো উৎসব। অর্নি জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। হাঁপাচ্ছে মেয়েটা৷ এভাবে কেউ চুমু খায়? ঠোঁট জ্বলে যাচ্ছে। শুধু চুমু হলেও একটা কথা ছিলো কিন্তু উৎসব তো ঠোঁট জোড়া কামড়ে কুমড়েও রাখেনি। অর্নি আয়নার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। ঠোঁটের লিপস্টিক লেপ্টে আছে৷ উপরের ঠোঁট ফুঁলে আছে অনেকটা৷ নিচের ঠোঁটের এক কোনে ক্ষানিকটা রক্তও দেখা যাচ্ছে। অর্নি চোখ রাঙিয়ে তাকালো উৎসবের দিকে৷ উৎসব বোকা বোকা হাসলো৷ অর্নি রাগী স্বরে বললো,
–“কি করেছেন এটা? ধীরে সুস্থে চুমু খাওয়া যেতো না? আমি কি পালিয়ে যাচ্ছিলাম?”

–“স্যরি বউ, অনেক দিন পর পেলাম তো কাছে তাই আর কি___”

রাগে ফুঁসছে অর্নি। উৎসব চট করে অর্নিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে ফিসফিস করে বললো,
–“আজ নিজেকে ধরে রাখতে পারবো না বউ। কষ্ট মিশ্রিত তীব্র সুখ দেবো তোমায়। আর সেই সুখের যন্ত্রণায় আজ সারা-রাত ছটফট করবে তুমি।”

কথাটা বলেই অর্নিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে অর্নির উপর পুরো ভর ছেড়ে দিলো উৎসব। বুকের উপর থেকে আচঁল সরিয়ে গলায় মুখ ডুবালো উৎসব। বিছানার চাদর খামচে ধরলো অর্নি। বেশ অনেকটা সময় গলায় ঘাড়ে অজস্র চুমু অজস্র স্পর্শ দিতে লাগলো উৎসব৷ গলায় মুখ গুজেই একহাত দিয়ে পেটে স্লাইড করতে লাগলো। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে অর্নি। এভাবেই চললো বেশ কিছুক্ষণ তারপর এক হাত এগিয়ে দিলো অর্নির ব্লাউজের দিকে। অতঃপর____

খুব ভোরবেলা এলার্মের শব্দে অর্নি’র ঘুম ভেঙে গেলো। নড়াচড়া করার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না ও। উৎসব আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে শুয়েছে। ছাড়লেই যেন হারিয়ে যাবে ও। অর্নির নড়াচড়াতে উৎসবের ঘুম ভেঙে গেলো। পিটপিট করে চোখ মেলে বললো,
–“আহ অর্নি! এভাবে নড়াচড়া করছো কেন? শেষ রাতে ঘুমিয়েছি এখন একটু ঘুমাতে দেও বউ।”

–“আপনি একা নন, আমিও শেষ রাতেই ঘুমিয়েছি৷ এখন ছাড়ুন দেখি, উঠবো আমি৷ গোসল সেরে নাস্তা বানাবো তারপর খেয়ে বাড়ি ফিরবেন আপনি।”

–“উঁহু।”

–“ইশা কিন্তু আপনাদের বাড়িতেই আছে। আপনি চান আমরা ধরা পড়ে যাই?”

–“সকাল সকাল ইশার কথা বলে মুডটা ঘেঁটে দিলে তো?”

কথাটা বলেই অর্নিকে ছেড়ে দিলো উৎসব৷ অর্নি উঠে কাবার্ড থেকে জামা-কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। দরজা আটকাতে গেলেই উৎসব আটকে দেয়।
–“কি চাই এখানে?”

–“শাওয়ার নিবো।”

কথাটা বলেই ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলো উৎসব। শাওয়ার শেষে অর্নি ঝটপট নাশতা বানিয়ে ফেললো। অতঃপর দুজনে একসাথে নাস্তা শেষ করলো। ডাইনিংয়ের সবকিছু গোছগাছ করে অর্নি ঘরে ঢুকতেই দেখলো উৎসব বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে আছে। অর্নি যেতেই ওর হাত ধরে টেনে নিজের কোলে বসালো। কপালের চুলগুলো সরিয়ে শব্দ করে একটা চুমু খেলো। তারপর বললো,
–“সাবধানে থেকো বউ। ডোরবেল বাজলে দরজার ওপাশে কে আছে দেখে তারপর দরজা খুলবে। কেমন?”

অর্নি বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নাড়ালো। উৎসব বললো,
–“আমি আবারো খুব শীঘ্রই আসবো। কিছু লাগলে আমার প্রাইভেট নাম্বারে একটা ফোন/ম্যাসেজ করে দিও।”

–“হু।”

উৎসব দু মিনিটের জন্য অর্নির ঠোঁটে চুমু খেয়ে উঠে দাঁড়ালো। তারপর চলে গেলো নিজ বাসার উদ্দেশ্যে। অর্নি দরজা আটকে দিয়ে ডাইনিং কিচেন ড্রয়িংরুমে লাইট নিভিয়ে দিলো। তারপর নিজের রুমে চলে গেলো। ব্যালকোনিতে গিয়ে দেখলো সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করছে। যতক্ষণ উৎসবের গাড়ি দেখা গেলো ততক্ষণে ব্যালকোনির গ্রীল ধরে একদৃষ্টিতে সেদিকেই তাকিয়ে ছিলো অর্নি। উৎসবের গাড়ি চোখের আড়াল হতেই ব্যালকোনির দরজা আটকে রুমের আলো নিভিয়ে শুইয়ে পড়লো অর্নি। রাতে ঘুম হয়নি। তাই এখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ও এখানে একা থাকে। তাই খাওয়া-দাওয়া বা কাজ নিয়ে কোনো প্রেশার নেই। নিজের ইচ্ছেতেই চলে। মন চাইলে রান্না করে নয়তো অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দেয়। এখন যেহেতু নাস্তা করেছেই তাই আর সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্নার কোনো ঝামেলা নেই। উঠে এক মগ কফি খেলেই হয়ে যাবে৷ তাই এখন নিশ্চিন্তে ঘুমাবে অর্নি।

চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here