তুমি শুধু আমারই হও ২ পর্ব – ০২

#তুমি_শুধু_আমারই_হও
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#অরনিশা_সাথী

|২|

সকাল সাড়ে নয়টা বাজে। উৎসব ঘুম থেকে উঠে আবারো শাওয়ার নিয়েছে। শুধুমাত্র একটা টাওয়াল পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়ানো উৎসব। প্রথমেই চুলগুলো সেট করে নিলো। কাবার্ড থেকে একটা শার্ট বের করে সেটা গায়ে জড়িয়ে আবারো আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। গায়ে পারফিউম লাগিয়ে বোতাম লাগাতে শুরু করলো। এমন সময় পেছন থেকে ইশা জড়িয়ে ধরে উৎসবকে। উৎসব ঝাড়া মেরে ইশাকে সরিয়ে দেয়। উৎসব দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“তোকে বলেছি না আমাকে স্পর্শ করবি না?”

ইশা আবারো এগিয়ে গেলো উৎসবের দিকে। উৎসবের গাল স্পর্শ করতে গেলেই উৎসব খপ করে ইশার হাত ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে,
–“ডোন্ট ডেয়ার টু টাচ মি।”

–“এমন করো কেন? এখন তো আর অর্নি নেই। ও তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে তাহলে আমাকে একটা সুযোগ দিলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে?”

–“অর্নি ফিজিক্যালি এখানে থাকুক বা না থাকুক ও সবসময় আমার কাছেই আছে। এন্ড অলওয়েজ থাকবে। ওর জায়গা কেউ নিতে পারবে না। তুই তো কিছুতেই না।”

কথাটা বলে উৎসব শার্টের বোতাম লাগিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো। ইশা আবারো উৎসবের পাশে বসে বললো,
–“অর্নির থেকে কিন্তু কম যাই না আমি। যেভাবে চাও সেভাবেই পাবে আমাকে। যদি ডিপলি চাও তাহলে সেটাও___”

উৎসব শক্ত করে ইশার গাল চেপে ধরে বললো,
–“তোর কি আমায় রাস্তার ছেলে মনে হয়? যে তোর শরীর দেখাবি আর আমিও তোর রুপ দেখে গলে যাবো? একদম ওইসব ছেলেদের সাথে মেশাতে যাবি না আমাকে, খবদ্দার।”

কথাটা বলে ইশাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। ইশা গাল-মুখে আলতো স্পর্শ করছে৷ ফর্সা গাল লাল টুকটুকে হয়ে আছে, উৎসব জোরে চেপে ধরায়। ইশার চোখে পানি টলমল করছে। উৎসব কপালে দু আঙুল ঘঁষে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইশার হাত ধরে টেনে ওকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা লক করে দিলো। অফিসের জন্য রেডি হয়ে নাস্তা না করেই উৎসব বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো।

একটা রেস্তোরাঁয় বসে আছে ইশা। একদম কোনার একটা টেবিলে বসেছে ও। যেখানে বসলে সচরাচর কারো চোখে পড়বে না ও এমন একটা জায়গা দেখে বসেছে৷ অনেকটা সময় যাবত বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে ইশা। মানুষটার আসতে দেরী হচ্ছে। মানুষটার জন্য অপেক্ষা করতে করতে তিন কাপ কফি অলমোস্ট শেষ করে ফেলেছে ইশা। কিন্তু সেই মানুষটার আসার খবর নেই। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একটা লোক এসে বসলো ইশার সামনে। পরণে ব্ল্যাক হুডি। মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস। পাক্কা ত্রিশ মিনিট লেট করে এসেছে লোকটা। লোকটাকে দেখে ইশা রেগে বললো,
–“কেন ডেকেছো এখানে? আর এখন তোমার আসার সময় হলো? লাস্ট হাফ এন আওয়ার আমি তোমার অপেক্ষায় বসে আছি এখানে। আর তুমি এখন____”

–“ডোন্ট শাউট। গলাবাজি করা একদম পছন্দ করি না আমি।”

থমথমে গলায় জবাব দিলো লোকটা। লোকটা টেবিলে থাবা মেরে বললো,
–“প্ল্যান ছিলো অর্নিকে আমি নিজের করে নিবো আর উৎসব তোমার হয়ে যাবে৷ আর তুমি আমার প্ল্যানের উপর দিয়ে নতুন প্ল্যান সাজিয়ে অর্নিকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে?”

ইশা শুকনো ঢোক গিললো৷ লোকটা যে ওর প্ল্যান বুঝে যাবে ভাবেনি ও। ইশা আমতা আমতা করে বললো,
–“আসলে, আমি___”

–“অর্নি’র কিছু হয়নি তাই এবারের জন্য ছেড়ে দিলাম। যদি ভুল করেও অর্নির গাঁয়ে একটু আঁচড় লাগতো তাহলে জানে মেরে ফেলতাম তোমাকে।”

ইশা চুপ করে আছে। লোকটার এমন ভয়ংকর হুমকি শুনে আর কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না ও। ইশা আমতা আমতা করে বললো,
–“অর্নির খোঁজ পেয়েছো?”

–“এখনো না।”

–“আমাদের প্ল্যান মতোই অর্নিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়েছি আমি। আর ওর উপর সর্বদা নজর ছিলো আমার। অর্নি বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই তো তোমাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমি।”

–“হ্যাঁ বাসা থেকে বের হয়েছে ও। কিন্তু হঠাৎ করেই চোখের আড়াল হয়ে যায়। আজ ছয়মাস ওকে খুঁজে যাচ্ছি, কোথাও খোঁজ পাচ্ছি না। যে করেই হোক অর্নিকে খুঁজে বের করতে হবে৷ অর্নিকে আমার চাই। এট এনি কস্ট।”

ইশা চুপ করে লোকটার কথা শুনলো। লোকটা আবারো প্রশ্ন করলো,
–“উৎসবের মাঝে কোনো চেঞ্জ দেখতে পাও?”

–“নাহ, উৎসবকে সবসময় নজরে নজরে রাখি আমি। আমার মনে হয় না ও কোনোরুপ ভাবে আমাকে সন্দেহ করে৷ আর অর্নির খোঁজ নেই ওর কাছে আমি সিয়র। ও এখনো অর্নির শোকে বাড়িতে দেবদাসের মতো পড়ে থাকে। শুধু অফিসে যায় আর সারাক্ষণ বাড়িতেই মনমরা হয়ে পড়ে থাকে।”

–“সিয়র তো? চালে ভুল হলে কিন্তু___”

–“হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিয়র। উৎসব কিছুই আঁচ করতে পারেনি আর পারবেও না।”

–“হু, বি কেয়ারফুল। এখন উঠছি আমি।”

ইশা কিছু বলার আগেই লোকটা উঠে গটগট করে হেঁটে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে গেলো। ইশা ফ্যালফ্যাল চোখে ক্ষানিক সময় তাকিয়ে রইলো সেদিকে। তারপর নিজেও উঠে দাঁড়ালো৷ কফির বিল মিটিয়ে বেরিয়ে গেলো রেস্তোরাঁ থেকে।

মিটিং শেষে সবেই নিজের কেবিনে এসে চেয়ারে বসে গাঁ এলিয়ে দিলো উৎসব। এমন সময় দরজায় নক করলো কেউ৷ উৎসব চোখ বন্ধ রেখেই ভিতরে আসার অনুমতি দিলো। লোকটা ভিতরে এসে বললো,
–“স্যার, ইশা ম্যাম আজ রেস্তোরাঁয় একজন লোকের সাথে দেখা করেছে।”

তড়িৎ চোখ মেলে তাকালো উৎসব। ওর সামনে দাঁড়ানো ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“বসো সুমন।”

অনুমতি পেয়ে ছেলেটা চেয়ার টেনে বসলো। উৎসব বললো,
–“কার সাথে দেখা করেছে ইশা?”

–“লোকটার চেহারা দেখার কোনো স্কোপ ছিলো না স্যার। কালো হুডি পড়া ছিলো সাথে মুখে মাস্ক আর চোখে সানগ্লাস। তাই দেখে বোঝার উপায় ছিলো না লোকটা কে।”

উৎসব পেন হাতে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,
–“মূলত সবার থেকে নিজেকে আড়াল রাখার জন্যই এরকম গেট-আপে ইশার সাথে দেখা করেছে ও। যাতে ইশার উপর আমরা নজর রাখলেও ওকে চিনতে না পারি।”

–“হতে পারে স্যার।”

–“আচ্ছা সুমন, কথা বলার সময় কোনো নাম উল্লেখ করেছে ওরা? ইশা কোনো নামে সম্বোধন করেছিলো লোকটাকে?”

–“না স্যার।”

–“আচ্ছা তাহলে তুমি ওদের উপর নজর রাখতে থাকো। আর নেক্সট টাইম যদি ইশাকে আবারো ওই লোকটার সাথে দেখো তাহলে ওই লোকটার পেছনে একজন লোক লাগিয়ে দিও নজর রাখার জন্য।”

–“ওকে স্যার।”

–“ঠিক আছে, তুমি আসো এখন।”

সুমন ছেলেটা আর কিছু না বলে উৎসবের কথায় সম্মতি জানিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।

নিলয় আবরার, শায়লা বেগম, ইশা আর উৎসব একসাথে রাতের খাবার খেতে বসেছে। খাবার টেবিলে বসে কেউ কোনো টু শব্দটি করছে না। নিরবতা ভেঙে উৎসব বললো,
–“আজ রাতেই অফিসের কাজে কয়েকদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যেতে হবে আমায়।”

উৎসবের দিকে তাকালো সকলে। শায়লা বেগম বললো,
–“কোথায় যাবি?”

–“কক্সবাজার।”

নিলয় আবরার বললো,
–“হ্যাঁ যাও, হাওয়া বদল করলে রিফ্রেশ লাগবে নিজেকে।”

–“আমিও যাবো উৎসবের সাথে।”

ইশার কথায় শায়লা বেগম ভ্রু কুঁচকে তাকালো। উৎসবের প্রতি যে ইশার একটা দূর্বলতা আছে সেটা উনি শুরু থেকেই বুঝেছেন। কিন্তু উনার ছেলে তো প্রথম থেকেই অর্নি বলতে পাগল। এখন অর্নির নিখোঁজের পর থেকে ইশা আরো জেঁকে বসেছে যেন উৎসবকে নিজের করে পেতে। কেউ কিছু বলার আগেই উৎসব বললো,
–“কাজে যাচ্ছি আমি, ট্যুরে না। আর যদিওবা ট্যুরে যেতাম তবুও তোকে সাথে নিতাম না।”

ইশা নিলয় আবরারকে হাত করে উৎসবের সাথে যেতে চাইলে নিলয় আবরার বললো,
–“দেখ মা, উৎসব কাজে যাচ্ছে ওখানে। ওর সাথে ওখানে থাকলে তুই বোর ফিল করবি। ও তোকে সময় দিতে পারবে না। তুই বরং তোর বন্ধুদের সাথে গিয়ে কোথাও থেকে কয়েকদিনের ট্যুর দিয়ে আয়।”

–“কিন্তু চাচ্চু___”

শায়লা বেগম এবার কাটকাট গলায় বললো,
–“উৎসবের সাথে গিয়ে তোমার কাজ কি শুনি? একা একটা পুরুষের সাথে যেতে চাও বিবেকে বাঁধছে না? আর উৎসব বিবাহিত ভুলে যাও কেন? উৎসবের বিয়ের আগে ওকে পছন্দ করতে এটা মানা যায়। এখন উৎসব বিয়ে করে নিয়েছে। এখন ওর পিছু নেওয়াটা বন্ধ করো।”

–“উৎসবের বউ উৎসবকে ছেড়ে চলে গেছে, এটাই বা ভুলে যাও কি করে তোমরা? এখন তো আর অর্নি নেই, তাহলে আমি উৎসবকে নিজের করে চাইলে দোষ কোথায়?”

–“এনাফ ইশা। আগেও বলছি, এখনও বলছি অর্নি স্ব-শরীরে এখানে প্রেজেন্ট থাক বা না থাক ও আমারই আছে। ওর জায়গা এ বাড়ি থেকে আর আমার মন থেকে কেউ মুছতে পারবে না। গট ইট।”

কথাটা বলেই উৎসব খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলো। শায়লা বেগম সেদিকে তাকিয়ে ঝাঁজালো কন্ঠে বললো,
–“ছেলেটা না খেয়েই উঠে গেলো, এবার হলো তো শান্তি তোমার?”

ইশা কিছু না বলে নিজেও চলে গেলো এখান থেকে।

উৎসব নিজের লাগেজ প্যাক করছিলো। এমন সময় শায়লা বেগম রুমে আসলো৷ বিছানায় বসে উৎসবকে জিজ্ঞেস করলো,
–“কখন বের হবি?”

–“এই তো কিছুক্ষণের মাঝেই বেরিয়ে পড়বো।”

লাগেজ গোছানো শেষে উৎসব শায়লা বেগমের পাশে বসলো। শায়লা বেগম উৎসবের গালে হাত রেখে বললো,
–“এভাবে আর কতদিন চলবে বাবা? অর্নির কোনো খোঁজ পেলি?”

–“দেখছি আমি, খোঁজ পেলেই জানাবো তোমাকে।”

–“আমার নূরটা চুলে গেলো, সাথে অর্নিটাও চলে গেলো বাসাটা শূন্য করে। আমার যে এই শূন্যতা ভালো লাগে না। ওরা কেন এভাবে একে একে চলে গেলো বল তো?”

বলেই ডুঁকরে কেঁদে উঠলো শায়লা বেগম। উৎসব মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
–“কেঁদো না তো, সব ঠিক হয়ে যাবে। তোমার ছেলে সব ঠিক করে দিবে।”

শায়লা বেগম ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন বুকে। উৎসবও আলতো করে শায়লা বেগমকে জড়িয়ে ধরে তার মাথায় চুমু খান। শায়লা বেগম উৎসবকে ছেড়ে দিতেই উৎসব লাগেজ হাতে উঠে দাঁড়ালো৷ ঘর থেকে বের হতেই দেখা হলো নিলয় আবরার আর ইশার সাথে৷ উৎসব সকলের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লো বাসা থেকে৷ অবশ্য নিজের গাড়ি নেয়নি সাথে৷ সুমন গাড়ি নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলো। নিজের ফোন থেক সিম খুলে সুমনের কাছে দিয়ে দিলো। সুমন সেটা নিজের ফোনে সেট করে নিলো। উৎসবের এই সিমের নাম্বারটা বাসার সবার কাছে আছে। ইশাও এই সিমের নাম্বারটাই জানে। আর সুমন এখান থেকে সোজা কক্সবাজার গিয়ে মিটিং এটেন্ড করবে। উৎসব যাবে অর্নির কাছে। ইশা কোনোভাবে সিমের লোকেশন ট্র‍্যাক করলে যাতে উৎসবের প্রতি কোনোরুপ সন্দেহ না জাগে সেজন্যই নিজের ওই সিমটা খুলে সুমনকে দিয়ে দিলো। আর কোনো ফোন আসলে সুমনই উৎসবের অন্য সিমের সাথে কানেক্ট করে দিবে যাতে উৎসব কথা বলতে পারে। সুমন উৎসবকে অর্নির ফ্ল্যাটের সামনে নামিয়ে দিয়ে নিজে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য চলে গেলো।

বিছানায় বসে রাগে ফুঁসছে অর্নি। একটু আগেই উৎসবের রুমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে ও। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সকালে ইশা উৎসবের সাথে গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করেছে। সেটা দেখেই রাগে মাথা ফেঁটে যাচ্ছে ওর। অর্নি বাড়ি থেকে আসার আগে ওদের ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলো। যাতে উৎসব কি করে না করে সব দেখতে পারে। সবসময় এর জন্য তো আর কাছে পাবে না৷ তাই ওইটুকুতেই মন ভরাতে চেয়েছিলো অর্নি। আর সেই সাথে যেন এটাও দেখতে পারে অর্নির অনুপস্থিতিতে ইশা ওদের ঘরে এসে উৎসবের সাথে ঘেঁষাঘেঁষি করে কিনা। অর্নির কথাতেই উৎসব নিজের করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে। আর সেটা অর্নির ল্যাপটপের সাথে কানেক্ট করে দিয়েছে যাতে ফুটেজ গুলো অর্নি দেখতে পারে৷

অর্নির বেশি রাগ হচ্ছে উৎসবের উপর। উৎসব কেন রুম লক না করে শুধু টাওয়াল পরে ঘুরবে রুমে? রাগ হচ্ছে প্রচুর অর্নির। একবার লোকটাকে কাছে পেলেই হলো, আচ্ছামত ঝাড়বে ও। এসব ভাবতে ভাবতেই কলিংবেল বেজে উঠলো। অর্নি সময় দেখলো একবার। পৌনে এগারোটা বাজে। এ সময় কে আসতে পারে? অর্নি বেডরুম ছেড়ে বেরিয়ে এলো। ডোর ভিউয়ার্সে চোখ রেখে দেখলো উৎসব দাঁড়িয়ে আছে দরজার ওপাশে। মূহুর্তেই আবার রাগটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। দরজা খুলে দিয়ে ভিতরে চলে এলো অর্নি। উৎসব লাগেজ নিয়ে ভিতরে ঢুকে দরজাটা আটকে দিলো। লাগেজটা একপাশে রেখে পেছন থেকে অর্নিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“মিসেস সা’য়াদাত আবরার উৎসব বেশ রেগে আছে মনে হচ্ছে?”

অর্নি কিছু না বলে উৎসবের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বেডরুমে চলে গেলো। উৎসবও অর্নির পিছু নিলো।

চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here