তুমি শুধু আমারই হও ২ পর্ব – ০৩

#তুমি_শুধু_আমারই_হও
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#অরনিশা_সাথী

|৩|

পাশ ফিরে শুয়ে আছে অর্নি। উৎসবের উপর ভীষণ ক্ষেপে আছে ও। উৎসবটাও সাহস করে অর্নির সামনে এসে কিছু বলতে পারছে না। কেননা উৎসব কিছুটা আঁচ করতে পারছে অর্নির এমন রেগে থাকার কারণ৷ উৎসব আজ খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে,
–“ছেলেরা বাইরে বাঘের মতো গর্জন করলেও বউয়ের কাছে গিয়ে সেই বিড়ালের মতো মিউমিউ করে।”

উপরোক্ত এই কথাটা মানুষ কেন বলে। উৎসব ধীর কন্ঠে কয়েকবার অর্নিকে ডাকলো। অর্নি সাড়া দিলো না। উৎসব নিজেই এবার অর্নির দিকে এগিয়ে গেলো। অর্নি রাগে রীতিমতো কাঁপছে৷ উৎসব অর্নির বাহুতে হাত রাখতেই অর্নি ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিলো। উৎসব বুঝলো প্রচন্ড ক্ষেপে আছে তার মহারানী। বেশ কয়েকবার হাত রাখার পরেও অর্নি একইভাবে হাত সরিয়ে দিলো। শেষে উৎসব জোর করেই অর্নিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। বেশ কিছুক্ষণ ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েও যখন অর্নি ব্যর্থ হয় তখন একদম শান্ত হয়ে গেলো। হঠাৎ ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো অর্নি। অর্নিকে নিয়েই দ্রুত উঠে বসলো উৎসব। অর্নির দুগালে হাত রেখে বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
–“অর্নি? এই অর্নি কাঁদছো কেন তুমি?”

অর্নির কান্নার বেগ বেড়ে গেলো। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি উঠে গেছে। উৎসব অর্নিকে শান্ত করার চেষ্টা করে বললো,
–“এই পাগলী কাঁদছো কেন? আমি তো তোমার কাছেই আছি দেখো। আচ্ছা স্যরি ইশাকে আর আমার ঘরেও ঢুকতে দিবো না।”

–“সব দোষ আপনার। আপনি কেন রুম লক না করে টাওয়াল পড়ে রুমের মধ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন? জানেন না ইশা আপনাকে চায়? আর, আর ও আপনাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমার স্বামীকে ও কেন জড়িয়ে ধরবে? ওর সাহস হয় কি করে? আপনি, আপনি কেন সেটা এলাউ করলেন? ও জড়িয়ে ধরার আগেই কেন ওকে সরিয়ে দেননি নিজের থেকে?”

–“আমি তো বুঝে উঠতে পারিনি বউ, ইশা হুট করে রুমে ঢুকেই ওরকম করবে।”

–“কেন বুঝতে পারবেন না আপনি? আপনার বোঝা উচিত ছিলো। যে মেয়ে আপনাকে পাওয়ার জন্য আমায় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করতে পারে সে মেয়ে আমার অনুপস্থিতিতে আপনার কাছেও আসবে।”

–“স্যরি তো, আর হবে না এমন।”

–“এরপর থেকে রুমে টাওয়াল পড়ে ঘুরতে পারবেন না। একেবারে ওয়াশরুম থেকে চেঞ্জ করে তারপর বের হবেন আর অবশ্যই আপনি যতটা সময় রুমে থাকবেন রুম লক করে রাখবেন। আমার স্বামীকে অন্যকেউ বাজে নজরে দেখবে তাকে জড়িয়ে ধরবে এটা একদম মেনে নিবো না আমি।”

উৎসব অর্নির গালে চুমু খেয়ে বললো,
–“আচ্ছা বউ।”

অর্নি এবারে চোখের পানি মুছে বললো,
–“না থাক দরকার নেই। এর থেকে বরং আমি বাসায় চলে যাবো। থাকবো না আমি এখানে। বাড়িতে নিয়ে চলুন আমাকে। তারপর আমিও দেখি ওই ইশা আপনার আশেপাশে আসে কি করে।”

–“আরেহ বাহ! আমার বউটা দেখি এখন রণচণ্ডী রুপ ধারণ করেছে।”

–“আ’ম সিরিয়াস, এই মূহুর্তে আমি কোনো মজা করছি না উৎসব।”

উৎসব হেসে বললো,
–“আমিও মজা করছি না বউ।”

অর্নি উৎসবের বুকে কিল-ঘুশি দিয়ে বললো,
–“আপনি আমার কোনো কথা সিরিয়াসলি নেন না। আমার সব কথা মজা ভাবেন আপনি।”

বলে আরো কয়েকটা কিল দিলো উৎসবের বুকে। উৎসব অর্নিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বললো,
–“এখন ওই ইশার কথা ছাড়ো তো। কই আমি জামা-কাপড় গুছিয়ে তোমার কাছে চলে এলাম তুমি খুশি হবে তা না। ওই ইশার কথা বলে বলে মুড নষ্ট করছো।”

এতক্ষণে অর্নির হুশ ফিরলো। আসলেই তো, উৎসব লাগেজ নিয়ে এসেছে আজ। কিন্তু কেন? কথাটা মাথায় আসতেই চট করে উৎসবের থেকে সরে বসলো। ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে বললো,
–“আসলেই তো, আপনি আজ লাগেজ নিয়ে এসেছেন কেন?”

উৎসব পেছন থেকে অর্নিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“বউয়ের কাছে সপ্তাহ খানেক থাকবো তাই।”

অর্নি ভ্রু কুঁচকে তাকালো। তারপর বললো,
–“মাথা খারাপ হইছে আপনার? এতদূর এসে এখন সব ভেস্তে দিতে চাচ্ছেন তাই না?”

অতঃপর উৎসব সব খুলে বললো অর্নিকে। কথাগুলো শুনে চুপ করে রইলো অর্নি। উৎসব অর্নির ঘাড়ে থুতনি রেখে বললো,
–“তোমার বরের মাথায় অন্তত তোমার থেকেও কিছুটা বেশি বুদ্ধিশুদ্ধি আছে, বুঝলে বউ?”

অর্নি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্যদিকে তাকালো। উৎসব জিজ্ঞেস করলো,
–“রাতে খাওয়া হয়েছে?”

অর্নি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। উৎসব অর্নিকে ছেড়ে দিয়ে বললো,
–“আমার লাগেজে একটা নাইটি আছে বউ, চট জলদি ওটা পড়ে আসো তো।”

এহেন কথায় অর্নি চোখ বড়বড় করে তাকালো উৎসবের দিকে। উৎসব দুষ্টু হাসলো। অর্নি বললো,
–“ঘুম আসছে আজ, এখন ঘুমাই আমি? কাল পড়বো।”

কথাটা বলেই শুয়ে পড়লো অর্নি। উৎসব টেনে তুললো অর্নিকে। চোখ গরম করে তাকালো অর্নির দিকে। অর্নি আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ উঠে চলে গেলো। উৎসব অর্নির গোমড়ামুখ দেখে নিঃশব্দে হাসলো।

ছাদে বসে গিটারে টুংটাং সুর তুলছে শান্ত। অনেকটা সময় যাবত একা একা ছাদে বসে আছে ও। শান্ত’র মা এসে বেশ কয়েকবার শান্ত’কে ডেকে গেছে৷ কিন্তু শান্ত’র সেদিকে কোনো হেলদোল নেই। ও নিজের মতো বসে বসে গিটারে সুর তুলছে। একটা মেয়ে এসে বসলো শান্ত’র পাশে৷ শান্ত একবার পাশ ফিরে তাকিয়ে আবারো নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। মেয়েটা এবার শান্ত’র হাত থেকে গিটার’টা টেনে নিয়ে দূরে সরিয়ে রাখলো। শান্ত রাগী গলায় বললো,
–“গিটার’টা দে নিশি।”

–“উঁহু, তুই এখন আমার সাথে নিচে যাবি। খালামণি সেই কখন থেকে তোকে ডাকছে তুই শুনছিস না কেন?”

শান্ত কাটকাট গলায় জবাব দিলো,
–“সেই কৈফিয়ত আমি তোকে দিবো না।”

–“আচ্ছা দিতে হবে না, তুই এখন নিচে চল।”

কথাটা বলে নিশি একপ্রকার টানতে টানতেই শান্তকে নিচে নিয়ে গেলো। শান্ত চেয়েও আর কিছু বলতে পারলো না৷ নিশি শান্ত’র মায়ের খুব আদরের। নিশি শান্তকে নিয়ে ডাইনিংয়ে বসালো। একে একে সবাই এসে বসলো ডাইনিংয়ে। শান্ত’র জন্য এখনো কারো রাতের খাবার খাওয়া হয়নি। নূর খাদে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই ছেলেটা কেমন যেন হয়ে গেছে। শান্ত’র এই অবস্থা দেখে শান্ত’র মা আঁচলে মুখ গুজে কাঁদেন। শান্তকে ঠিক করার জন্যই শান্ত’র মা নিশিকে এই বাড়িতে নিয়ে আসেন। শান্ত’র জন্য নিশিকে উনার ছোট থেকেই পছন্দ ছিলো। মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন শান্ত’র পড়াশোনা শেষ হলেই নিশিকে শান্ত’র বউ করে নিয়ে আসবেন। কিন্তু শান্ত তার আগেই নূরের কথায় জানায়। শান্ত উনাদের একমাত্র সন্তান হওয়াতে হাসিমুখেই নূরকে মেনে নিয়েছিলেন উনারা। কেননা উনাদের কাছে সবার আগে শান্ত’র ভালো থাকাটা। শান্ত’র মায়ের মনে হয় সেদিন নূরকে মেনে না নিয়ে জোর খাটিয়ে নিশির সাথে বিয়ে দিলে প্রথমে একটু কষ্ট হলেও এখন শান্ত ভালোই থাকতো৷ অন্তত নিশি শান্তকে ছেড়ে যেতো না। কিন্তু নূর একবারের জন্যেও শান্ত’র কথা না ভেবে নিজের বান্ধবীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে খাদে পড়লো। সেই শান্তকে বিরহের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলো। মনে মনে এসব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন শান্ত’র মা।

নিশি খুব যত্নসহকারে সবার প্লেটে খাবার সার্ভ করছে। তা দেখে শান্ত’র মায়ের দু’চোখ জুড়িয়ে গেলো। গলা ঝেড়ে শান্ত’র মা বললো,
–“আমার কিছু বলার আছে।”

সকলেই শান্ত’র মায়ের দিকে তাকালেন। শান্ত’র মা বললো,
–“আমি শান্তকে আবার বিয়ে করাতে চাই।”

কথাটা শুনে শান্ত’র মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। শান্ত কিছু বলার আগেই শান্ত’র মা আবারো বললো,
–“এভাবে তোমার জীবন চলতে পারে না শান্ত। তোমার জীবনের পুরোটাই বাকী এখনো। নূরের জন্য তোমার জীবন থেমে থাকতে পারে না।”

–“স্যরি আম্মু, আমি বিয়ে করতে পারবো না। মানুষ একবারই বিয়ে করে, আর আমার বিয়ে নূরের সাথে হয়ে গেছে।”

–“নূর বেঁচে আছে না মরে গেছে সেটারই ঠিক নেই। নূরের জন্য কতদিন অপেক্ষা করবি তুই? নূরের কোনো খোঁজ আছে তোর কাছে?”

কথাটা বলল শান্ত’র মা। শান্ত’র বাবা নিজের স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বললো,
–“বছরও হয়নি মেয়েটা নিখোঁজ হয়েছে আর তুমি এখনই ছেলের বিয়ের চিন্তা করছো? মেয়েটার জন্য একটুও কষ্ট হচ্ছে না তোমার?”

–“আমারও নূরের জন্য যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। নূর বেঁচে থাকলে এতদিনে ওর একটা না একটা খোঁজ নিশ্চয়ই হতো। নূর আর বেঁচে নেই, তোমার বাপ-ছেলে সেটা কেন বুঝতে পারছো না? আমি আমার ছেলের জীবন এভাবে শেষ হতে দিবো না। সামনের সপ্তাহেই নিশির সাথে শান্ত’র বিয়ে দিবো আমি। নিশির পরিবারের সাথে কথা হয়েছে আমার। ওরা সকলে রাজি আছে।”

শান্ত এবার খাবার প্লেট ঠেলে দূরে সরিয়ে উঠে দাঁড়ালো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“ভুলে যাও আমার বিয়ের কথা। এই শান্ত শুধু নূরের’ই। নূর বেঁচে না থাকলেও শান্ত নূরের’ই থাকবে৷ শান্ত শুধু নূরের হয়েই থাকবে। কথাটা ভালো করে বুঝে নিও।”

কথাটা বলেই শান্ত গটগট করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। নিশি শান্ত’র পেছন পেছন গিয়ে বার কয়েক ডাকলো ওকে। কিন্তু শান্ত আর পেছন ফিরে তাকায়নি।

গভীর রাত। সেই পাহাড়ি রাস্তায় এসেছে আজ শান্ত। যেখান থেকে নূর খাদে পড়ে গিয়েছিলো। রাস্তার ধাড়ে গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ডিকির উপর বসে আছে শান্ত। চোখজোড়া গভীর খাদের দিকেই তাক করা। আবছা আলোয় খাদটা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। শান্ত সেদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নূরের কথা যখন খুব বেশি মনে পড়ে, শান্ত এখানে এসে বসে থাকে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। শান্ত ধরা গলায় বললো,
–“নূর জানো, আম্মু আবার আমার বিয়ে দিতে চায়। আমি আবার কি করে বিয়ে করি বলো তো? আমি তো তোমায় বিয়ে করেছি। তুমি আমার বউ না বলো? হোক না একটা রাতের জন্যই তোমাকে বউ হিসেবে পেয়েছি। তাতে কি? আমার ভালোবাসাটা তো এতো সস্তা না যে আজ তুমি নেই বলে তোমাকে ভুলে আমি অন্যকাউকে বিয়ে করে নিবো। অন্যসবার মতে, পুলিশ স্টেটমেন্ট অনুযায়ী তুমি সবার কাছে মৃত হলেও আমার কাছে এখনো তুমি বেঁচে আছো। আমার এখানটায় তুমি এখনো বেঁচে আছো নূর।”

লাস্ট কথাটা শান্ত নিজের বুকের বা পাশে হাত রেখে বললো। শান্ত’র চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে। খুব বেশি ভালোবাসে কিনা নূরকে৷ শান্ত চোখের পানি মুছে আবারো বললো,
–“তুমি তো আমায় বলেছিলে, #তুমি_শুধু_আমারই_হও, বলো বলেছিলে না? বলেছিলে তো। নূর আমি তো তোমারই আছি। তুমি কেন আমাকে এভাবে রেখে চলে গেলো? প্লিজ ফিরে আসো না। তোমাকে ছাড়া থাকতে যে আমার ভীষণ কষ্ট হয়। ঠিক এইখানটায় (বুকে হাত দিয়ে দেখিয়ে) দেখো ঠিক এইখানটায় ভীষণ কষ্ট হয় আমার নূর।”

কথাগুলো বলে আবারো থামলো শান্ত। চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরছে। শান্ত আবারো দুহাতে চোখের পানি মুছে নিলো। তারপর বললো,
–“আমি আম্মুকে সাফসাফ না করে দিয়েছি আমি বিয়ে করবো না। আমি যে শুধু আমার নূরের। আমার আম্মুর উপর আবার রাগ করো না নূর। মা তো উনি। তাই আমার এই অবস্থাটা মেনে নিতে পারছে না। আম্মু ভাবছে আমাকে আবার বিয়ে করালে আমি ঠিক হয়ে যাবো। কিন্তু আম্মু তো জানে না আমার নূরকে ছাড়া আমি ঠিক হবো না। আমার ভালো থাকার জন্য যে আমার নূরকেই চাই। আম্মুর উপর প্লিজ রেগে থেকো না। তুমি একবার ফিরে আসো দেখবে আম্মুই সবার আগে তোমাকে বুকে টেনে নিবে।”

এবার ক্ষানিকটা শব্দ করেই কেঁদে দিলো শান্ত। শুনেছি ছেলেরা নাকি কাঁদে না? কিন্তু শান্ত যে আজ কাঁদছে। ওর নূরের জন্য ও কাঁদছে। ছেলেরা সহজে কাঁদে না। ছেলেদের সহ্যক্ষমতা পেরিয়ে গেলেই ওরা কাঁদে। যেমনটা আজ শান্ত কাঁদছে। শান্ত এবার চিৎকার করে বললো,
–“নূর? ও নূর___প্লিজ ফিরে আসো না বউ। আমি তো তোমায় হাফ বউ বলেই ডেকে গেলাম। ফুল-বউ বলে তো মাত্র একদিন ডেকেছি। আমার যে তোমাকে সারাজীবন ফুল-বউ বলে ডাকা বাকী নূর। তোমার সাথে সংসার সাজানো বাকী এখনো। প্লিজ ফিরে আসো না। আমি সত্যিই আর পারছি না। এভাবে থাকতে একদমই পারছি না আমি।”

চলবে~

|কাল গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here