তোলপাড় পর্ব ২৭

তোলপাড়
ইসরাত জাহান তানজিলা
পর্ব-২৭
_________________
কিছুক্ষণ পর রুদ্র ভাবলো এভাবে অরূণীর রুমে দাঁড়িয়ে থাকা সমীচীন নয়।কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লো রুদ্র।বাসায় চলে যাবে?এসব ভাবতে ভাবতে সেলিনা আহমেদের উদ্দেশ্যে বলল, “আন্টি আজ তাহলে আমি আসি।অরূণী তো অসুস্থ..।”
সেলিনা আহমেদ অরূণীর পাশ থেকে উঠে রুদ্রের দিকে এগিয়ে গেল। এর ভিতর সাহেদ আহমেদ বলে ওঠল, “রুদ্র আজকে থেকে যাও আমাদের বাসায়। দুপুরে খেয়ে যাবে।”
রুদ্র প্রত্যুত্তরে হাসলো। সেলিনা আহমেদ রুদ্রর কাছে এসে বলল, “চলো নাস্তা খেয়ে তারপর যাবে।”
এসব কথার ভিতর রুদ্র বার কয়েক তাকালো অরূণীর দিকে।অরূণী রুদ্রর দিকে তাকালো না।ধরনীর সমস্ত অভিমান অরূণীর হৃদয়ের ভর করেছে যেন। অরূণীর মুখাবয়বে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে রুদ্রর প্রতি তীব্র অভিমান। রুদ্র ব্যস্ত গলায় বলল, “না আন্টি আজ খাবো না।অন্যদিন।”
সেলিনা আহমেদের কথা উপেক্ষা করে রুদ্র বেরিয়ে পড়লো। রুদ্র ধীর পায়ে অমনোযোগী ভাবে হাঁটতে লাগলো।অরূণী’কে নিয়ে নানান চিন্তা-ভাবনায় বিবশ হয়ে থেকে পথ এগুতে থাকে।অরূণীর হাস্যেজ্জ্বল মুখ,চঞ্চল চালচলন সব নতুন রূপে আজ রুদ্রর চোখে ভাসছে।
রুদ্র হঠাৎ নিজের উপর বিরক্ত হলো।অরূণীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা উচিত হয় নি। অরূণীর এই নির্জীব, চুপচাপ অবস্থা দেখে রুদ্রর মনে উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে।অরূণী চঞ্চলতায়ই সুন্দর।চঞ্চলতাই অরূণীর সৌন্দর্য।

রুদ্র ভার্সিটিতে গিয়ে দেখে কিরণ বেশ গম্ভীর হয়ে আছে। কিরণের এই গম্ভীর রূপ রুদ্রর কাছে একদম নতুন।অরূণীর বিষয়’টা নিয়ে রুদ্র মনে মনে অস্থিরতায় ভুগছে।এসব কিরণের কাছে বলতে গিয়েও বলল না। জিজ্ঞেস করলো, “কী হলো তোর হঠাৎ?”
কিরণ গম্ভীর গলায় উত্তর দিলো, “দোস্ত এবার বোধ হয় আমার ব্রেকাপ’টা হয়ে যাবে।”
রুদ্র চমকে ওঠে বলল, “কী বলিস!কেন?কি কারণে ব্রেকাপ হবে?”
কিরণের গলার গাম্ভীর্য ভাব আরো ভারী হয়, “আমি নীলা’কে অসভ্য মেয়ে লোক বলছি তাই।”
রুদ্র শব্দ করে হেসে ওঠে।কিরণ বিরক্ত হয়ে তাকায় রুদ্রের দিকে। রুদ্র বলে, “অসভ্য মেয়ে লোক তো একটা নিরীহ গালি।আর এই গালির আবিষ্কারকও তো তুই। সামান্য এই গালিতে যদি ব্রেকাপ হয়ে যায় সে প্রেম থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।”
– “ব্রেকাপ হবে মানে?তুই তো জানিস আমি নীলাকে কত ভালোবাসি।”
– “তো অসভ্য মেয়ে লোক বললি কেন? গার্লফ্রেন্ডরা হলো কাল নাগিন। এঁদের দুধ কলা খাইয়ে পোষ মানিয়ে রাখতে হবে।আর সেখানে তুই গালি দিয়েছিস।ব্যাপার’টা একদম অনুচিত। ব্রেকাপ তো হবেই।”
রুদ্রর গলায় কৌতুক ছিলো। কিরণ গাঢ় স্বরে বলল, “আরে ভাই নীলাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম। খাওয়ার মাঝে নীলা বলে একটা চুমু দেও। চারদিকে কত মানুষ ছিলো। ছিঃ কী অসভ্য মেয়ে লোকের মত কথা!”
রুদ্র মনে মনে হাসলো।বলল, “কেন তুই কী তোর গার্লফ্রেন্ড কে চুমু টুমু দেস না?এত সভ্য লোক তুই?”
– “দেই তো।তাই বলে রেস্টুরেন্টে বসে অত মানুষের মধ্যে।”
কিরণ একটু থেমে সন্ধিগ্ধ হয়ে বলল, “ দোস্ত আমার মনে হয় নীলার মাথায় সমস্যা হয়েছে। নীলা তো আগে এমন অসভ্য মেয়ে লোক ছিলো না।”
রুদ্র হাসতে হাসতে বলল, “তা কী সত্যি ব্রেকাপ? মানে একদম ফাইনাল? ব্রেকাপ পার্টি কবে দিবি তাই বল?”
কিরণ বিরক্ত মুখে বলল, “ভাই মজা নিস না তো।চার ঘণ্টা ধরে ব্রেকাপ চলতেছে।”
রুদ্র কিরণের কথার পিঠে আর কিছু না বলে পকেট থেকে ফোন’টা বের করে অরূণীর নম্বরে ডায়েল করলো। সুইচ অফ দেখাচ্ছে ফোন। রুদ্র বেশ কয়েকবার ফোন দিলো।এর ভিতর কিরণ উৎসুক গলায় জিজ্ঞেস করল, “দোস্ত লাবণ্য’কে না থাপ্পড় দিয়েছিস?এসব আমার কাছে বললি না?”
রুদ্র ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকেই কিরণের প্রশ্নের উত্তর দেয়, “মনে ছিলো না।”
– “এত ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার তোর মনে ছিলো না?এত দিনে কাজের মত কাজ করেছিস। আজকে আমি তোকে রেস্টুরেন্টে খাওয়াবো। লাবণ্যের ব্যাপারটা একদম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। লাবণ্যও অসভ্য মেয়ে লোক।”
রুদ্র হালকা হেসে বলল, “থাপ্পড়ে কাজ হয়েছে।প্যারা থেকে মুক্তি পেয়েছি।এখন আর ফোন,ম্যাসেজ দেয় না।”
– “অরূণীর কী খবর?প্রেমটা করে ফেল দোস্ত।”
রুদ্র উত্তরে বলল, “তুই নিজের প্রেমের চিন্তা কর। অসভ্য মেয়ে লোক এসব গালি আর গার্লফ্রেন্ড কে দিস না।স্যরি বল।”
কিরণ হতাশ গলায় বলল, “স্যরি তো কয়েক’শ বার বলেছি।জান, কলিজা কত কিছু বলেছি। কাজ ই হচ্ছে না।”
রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ থাকে। মোবাইল টা প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে কিরণের দিকে তাকিয়ে আম্ভরিক গলায় বলল, “কিরণ অরূণী’কে তোর কেমন লাগে?”
কিরণ কৌতুক মাখা গলায় বলে, “অরূণী কে আমার ভালো লাগে এটা কয়েক হাজার বার বলেছি।ভালো লাগলেও কী অরূণী আমার সাথে প্রেম করবে? তাছাড়া আমার গার্লফ্রেন্ড আছে।” ‌
কিরণ সন্দিহান হয়ে আবার বলল, “হঠাৎ এই কথা জিজ্ঞেস করলি কেন?কারণ কী বল তো?”
রুদ্র হালকা গলায় বলল, “ধুর কিছু না।”
_________________
অরূণী ড্রয়িং রুমের সোফার উপর গুটিসুটি মেরে বসে আছে। নিজের উপর তীব্র ক্ষোভ অরূণীর। রুদ্রর জন্য এত পাগলামি আর হাস্যকর কাণ্ডের কথা ভেবে নিজের উপর এখন বিরক্ত হচ্ছে। এভাবে যদি প্রতিদিন ঘুম ভেঙেই রুদ্রর সাথে দেখা হয় তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করার ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাবে।অরূণী কিছুক্ষণ পর সেলিনা আহমেদ’কে ডাকলো।কয়েকবার ডাকার পর সেলিনা আহমেদ আসে।অরূণী বলে, “আম্মা আমি বেড়াতে যাবো।”
সেলিনা আহমেদ যেন একটু চমকালো।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “বেড়াতে যাবি মানে?কোথায় বেড়াতে যাবি? হঠাৎ তোর বেড়াতে যেতে ইচ্ছে হলো কেন?”
অরূণীর মুখে বিরক্তির ছাপ।বলল, “মেজো মামার বাসায় যাবো।”
সেলিনা আহমেদ অরূণীর পাশে বসে চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল, “অরূণী তোর হয়েছি কী?তোর হাবভাব মোটেও স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।”
– “বেড়াতে যাবো এতে অস্বাভাবিকের কী আছে বলো তো?”
অরূণীর মেজো মামা চাকরির সুবাদে পটুয়াখালী থাকে।আগে থাকতো যশোর। সেলিনা আহমেদ বলল, “তোর মেজো মামা থাকে পটুয়াখালী। কতদূর তুই জানিস?কত বড় নদী পার হতে হবে!”
সেলিনা আহমেদ একটু থেমে আবার বলল, “দরকার নেই যাওয়ার।”
অরূণী জোর গলায় বলল, “দরকার আছে।আমার মন ভালো লাগছে না।কোথায়ও বেড়িয়ে আসলে ঠিক হয়ে যাবে।”
সেলিনা আহমেদ বলল, “এত কিছু আমি জানি না বাপু।তোর আব্বার কাছে বলিস।”
রাতে সাহেদ আহমেদ আসলে অরূণী বেড়াতে যাওয়ার কথা বলতেই সাহেদ আহমেদ রেগে গিয়ে বলল, “ওঁর এতসব অসুখ-বিসুখ,মন খারাপ সব হলো বাহানা।বাসায় টিচার রাখলেই ওঁর সব সমস্যা শুরু হয়। পড়ালেখায় ফাঁকি দেওয়া ওঁর স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বদমাশ।”
সূর্য বিরক্ত গলায় বলল, “আব্বা কী শুরু করলেন?সব কিছুতে লেখাপড়ার বিষয় টানেন কেন?অরূ কী বলেছে ও পড়বে না?”
সাহেদ আহমেদ বলল, “তাই বলে পটুয়াখালী যাবে?”
সূর্য বলল, “তো কী হয়েছে? আমি ও’কে দিয়ে আসবো।”
অরূণী সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলল, “দাদা কালকে যাচ্ছি তাহলে।”
সূর্য কি যেন ভেবে বলল, “কালকেই যেতে হবে?”
অরূণী হ্যাঁ সূচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়ায়।রাতে অরূণীর ঘুম হচ্ছিলো না। ফোনও ভেঙে ফেলেছে।বার বার রুদ্রর কথা মনে পড়ছে। সবকিছু ভুলতেই অরূণী এবার বেড়াতে যেতে চাচ্ছে।বেশ কয়েক দিন থাকবে পটুয়াখালী।মনের এক কোণে রুদ্রর প্রতি অভিমান, অভিযোগটা এখনো রয়েছে। অরূণীর অপ্রবোধনীয় মনে রুদ্রর প্রতি মায়াটা আগের মতই রয়েছে। এখন শুধু সেটা অপ্রকাশিত থাকে। এসব ভাবতে ভাবতে অরূণীর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকে অরূণী।

সূর্য অরূণী’কে ওঁর রুমে খুঁজলো।রুমে না পেয়ে ছাদের দিকে যেতে লাগলো।অরূণীর রাত-বিরাতে ছাদে যাওয়ার স্বভাব আছে। সূর্য ছাদে গিয়ে অরূণীকে দেখে ডাকলো, “অরূ।”
অরূণী হকচকিয়ে উঠলো।ভয় পেয়েছে। বলল, “দাদা তুমি?”
– “তোকে রুমে না পেয়ে ছাদে আসলাম।”
সূর্য একটু থেমে বলল, “তোর সাথে জরুরি একটা কথা আছে।”
অরুণী ভীতি হয়ে গেল।কী কথা বলবে সূর্য?অরূণীর অবচেতন মনে শঙ্কা জাগছে রুদ্রের কথা বলবে?এই ভাবনাটা অরূণীর হাত-পা শীতল করে দিলো। অরূণী বলল, “কী কথা দাদা?কী জরুরি কথা?”
সূর্য একটু ইতস্তত বোধ করছে কথাটা বলতে।অরূণী এবার ভয় না পেয়ে অবাক হলো। কী এমন কথা যার জন্য সূর্য ইতস্তত বোধ করছে?বিষয়টা কেমন অস্বাভাবিক লাগলো অরূণীর কাছে। সূর্য কিছুক্ষণ পর বলল, “মিলার বাসা থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলছে।তুই একটু আমাদের ব্যাপারটা আব্বা-আম্মা কে বল। আমি নিজে কীভাবে বলবো?লাজ-লজ্জার একটা ব্যাপার আছে না?”
অরূণী এত বিষণ্ণতার মাঝেও হেসে উঠলো সূর্যের মুখের অভিব্যক্তি দেখে। সূর্য অস্থির হয়ে বলল, “বিষয়টা মোটেও হাসির না অরূণী।হাসি বন্ধ কর।”
অরূণী হাসি বন্ধ করে বলল, “বিয়ের কথা বলবো?না-কি প্রেমের ব্যাপার’টা জানাবো?”
– “বিয়ের কথা বলবি।”
– “তোমার কী বিয়ের বয়স হয়েছে দাদা?নিজেই তো খাও বাপের হোটেলে।”
সূর্য কঠিন স্বরে বলল, “অরূণী এত কথা বলিস না তো।”
অরূণী থামে। সূর্য এ জন্যই একদম অরূণীকে পটুয়াখালী নিয়ে যেতে রাজি হলো। ব্যাপার’টা বোধগম্য হতে অরূণী আবার হেসে ওঠে। অরূণী বলল, “দাদা পটুয়াখালী লঞ্চে যাবো কিন্তু।”
সূর্য বলল, “তুই আমার ব্যাপারটা ম্যানেজ কর। লঞ্চে না প্লেনে নিবো তোকে।”
________________
রুদ্র রাত থেকে ফোন দিচ্ছে অরূণীর ফোনে।ফোন বন্ধ দেখে রুদ্র বিরক্ত হচ্ছে বার বার।কথা বলা প্রয়োজন অরূণীর সাথে।অরূণী এতটা কষ্ট পাবে কিংবা অভিমান করবে রুদ্র যেন বুঝতে পারে নি। কিছুটা দোটানায়ও ভুগছে রুদ্র। অরূণী’কে কি বলবে ভালোবাসার কথা? রুদ্রর একটু একটু করে উপলব্ধি করছে ও অরূণী’কে ভালোবাসে।অরূণীর চঞ্চলতা, চপলতা,হাসি সবকিছু ভীষণ ভাবে টানছে রুদ্র কে।অরূণীর সাথে ফোনে কথা বলার জন্য ক্রমশ তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠছে রুদ্র। সূর্য সকালের দিকে ফোন দিয়ে বলল অরূণী পটুয়াখালী যাবে।বেশ কয়েকদিন বেড়াবে। রুদ্র চমকে গেল।অরূণীর ফোন বন্ধ আবার বেড়াতে চলে যাবে।অরূণীর সাথে দেখা কিংবা কথা কিছুই হবে না? সূর্য কে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারলো না রুদ্র।
সূর্যের ব্যাপার’টা বাসায় জানালো অরূণী।অরূণীর ধারণা সাহেদ আহমেদ ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া করবে। কিন্তু অরূণীর ধারণা মিথ্যে করে দিয়ে সাহেদ আহমেদ ঠাণ্ডা মেজাজে বলল, “আমি খোঁজ খবর নিয়ে ভেবে দেখবো।”
অরূণী মোবাইল ভেঙে ফেলেছে শুনে সূর্য ফোন কিনে দেওয়ার কথা বললে অরূণী বলল, “না দাদা এখন ফোন লাগবে না। বেড়িয়ে বাসায় এসে ফোন কিনবো।”
সন্ধ্যার দিকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো অরূণী আর সূর্য।লঞ্চে যাবে। এই প্রথম লঞ্চে চড়লো অরূণী।মন জুড়ে অদ্ভুত এক শূন্যতা। রুদ্র নামক অনুভূতিটা ভুলতেই তো যাচ্ছে।
.
অরূণী পটুয়াখালী গেছে পাঁচ-সাত দিন হয়ে গেছে। রুদ্র নিয়ম করে অরূণীর ফোনে কল দেয়। রুদ্র কখনো ধারণা করতে পারে নি অরূণী এতটা অভিমান করতে পারে।যত দিন যাচ্ছে অরূণীর জন্য তত অস্থির হয়ে ওঠছে রুদ্র। অরূণীর সাথে কথা বলা প্রয়োজন,ভীষণ প্রয়োজন। রুদ্র কিরণ’কে জরুরি তলব করলো। কিরণ আসতেই রুদ্র বলল, “কিরণ পটুয়াখালী যাবো।”
কিরণ চমকে গিয়ে বলল, “পটুয়াখালী! কেন?কি বলছিস? পটুয়াখালী তোর কী কাজ?”
– “অরূণী পটুয়াখালী গেছে দশ-বারো দিন হয়ে গেছে। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না ও’কে।মেয়েটা হঠাৎ এমন করলো কেন? কীসের এত অভিমান ওঁর?”
কিরণ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। রুদ্র আবার বলল, “চল একটু পাগলামি করি।আজ’কে ই যাবো পটুয়াখালী।”
(চলবে)

1 COMMENT

  1. অসাধারণ….. পরবর্তী পার্ট গুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here