দহন পর্ব ১৩

#দহন
#পর্ব_১৩
#লেখা_মিম

-” ছেড়ে দাও বললেই তো আর ছেড়ে দেয়া যায় না। ও আমার বিয়ে করা বউ। ব্যাপারটা তো তোমাকে বুঝতে হবে।”
-” তাহলে আমি কে অনিম?”
-” তুমি আমার ভালোবাসা নীলা।”
-” শুধু মুখে ভালোবাসি বললেই তো হয় না। তোমার কর্মকান্ডে তো এর কোনো প্রমানই আমি দেখছি না। শোনো, অনিম এতসব কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। আমার একটাই কথা হয় শিমুলকে ছাড়ো আর নয়তো আমাকে।”
কথাটা বলে নীলা নিজের রুমে যেয়ে দরজা আটকে দিলো। অনিম ধুম করেই সোফায় বসে পড়লো। নিজের মাথার চুল নিজেই টানছে আর কিছু একটা ভাবছে। শিমুল নামের কেউ একজন যে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সেদিকটাতে তার কোনো খেয়ালই নেই। মেয়েটা একদৃষ্টিতে অনিমের দিকেই তাকিয়ে আছে। এই মূহূর্তে তো তার কান্নাকাটি করার কথা। কিন্তু একফোঁটা পানিও দেখা যাচ্ছে না ওর চোখে। হতে পারে খুব বেশি কষ্ট পেলে মানুষ কাঁদার ক্ষমতাটাও হারিয়ে ফেলে। সে আর এখানে এক সেকেন্ডও দাঁড়িয়ে থাকতে চায় না। দম আটকে আসছে তার। মনে হচ্ছে এই ঘরে বুঝি কোনো বিষাক্ত বাতাস চলাচল করছে। মুহিবকে আস্তে করে সে দুবার ডাকলো। তার গলার স্বরটা এতটাই ক্ষীন ছিলো যে মুহিব তার একহাত সামনে থাকা সত্ত্বেও শুনতে পেলো না। এবার শিমুল নিজের হাত বাড়িয়ে মুহিবের হাত চেপে ধরলো। এতক্ষনে মুহিবের নজর পড়লো শিমুলের উপর। শিমুলের মুখটা দেখা মাত্রই ওর বুকটাতে ধুক করে উঠলো।
-” মুহিব ভাই আমাকে একটু বাসায় দিয়ে আসবেন প্লিজ?”
-” হ্যাঁ চলো। এখানে আর থাকতে হবে না তোমাকে।”
এবার অনিমের নজরও পড়লো শিমুলের উপর। সে উঠে শিমুলের দিকে এগিয়ে এসে বললো,
-” শোনা শিমুল পুরো ঘটনাটা তোমাকে আমি বুঝিয়ে বলছি।”
-” এখানে শিমুল একমূহূর্তও থাকবে না। তোর যা কথা বলার বাসায় এসে বল।”
-” দাঁড়া আমি নীলাকে বলে আসি।”
-” তোর আসার দরকার নেই। তুই যেয়ে নীলার কোলে উঠে বসে থাক।”
মুহিব অনিমকে ফেলেই শিমুলকে নিয়ে নীলার বাসা থেকে বেরিয়ে এলো। সে শক্ত করে শিমুলের হাত ধরে রেখেছে। মুহিব তাকে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামাচ্ছে। শিমুল বর্তমানে এই জগতে নেই। নিজ কানে যা শুনেছে এরপর আর এই জগতে থাকার কথাও না। ওকে গাড়িতে তুলে মুহিব জিজ্ঞেস করলো,
-” পানি খাবে শিমুল?”
শিমুল ডানে বায়ে মাথা নাড়লো। মুহিব নিজে গাড়িতে উঠতে উঠতে বললো,
-” এখন তোমাকে তোমার বাসায় দিয়ে আসি। পরে নাহয় রাতের দিকে তোমার ভাই ভাবী কেউ যেয়ে তোমার কাপড় চোপড় নিয়ে আসবে।”
-” মুহিব ভাই আমি অনিমের বাসায় যাবো।”
-” কেনো? ওখানে যেয়ে তুমি কি করবা?”
-” ঐটা আমার সংসার। আমি ওখানেই যাবো।”
-” এতকিছুর পরও?”
-” প্লিজ মুহিব ভাই…..”
মুহিব আর কথা বাড়ালো না। সে জানে এই মূহূর্তে কথা বাড়িয়ে কোনো লাভও হবেনা। শিমুলকে নিয়ে বাসায় পৌঁছানোর ঠিক দশ মিনিটের মাথায় অনিম এসে হাজির হয়েছে। বাসায় ঢুকে দেখে শিমুল সোফায় মাথা হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। মুহিব ওর মুখোমুখি সোফাটাতে বসে আছে। শিমুলের পাশে বসে অনিম বললো,
-” শিমুল তোমাকে আমি সপ্তাহখানেক যাবৎ পুরো ঘটনাটা বলার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সাহস করে উঠতে পারছিলাম না। বিশ্বাস করো……..”
-” অন্যমেয়ের সাথে বিয়ের পরে প্রেম করার সাহসটা তো ঠিকই পেয়েছো। তখন মনে হয়নি একদিন তো শিমুল সব জানতে পারবে। তখন কিভাবে ওর সামনে যেয়ে দাঁড়াবো?”
-” সত্যিই তখন এতকিছু মাথায় আসেনি শিমুল। নীলাকে দেখার পর নিজের উপর পুরোপুরি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি।”
-” তুমি না আমাকে কত ভালোবাসতে অনিম? আমাকে হারানোর ভয়ে কথায় কথায় কেঁদে উঠতে? বিয়ের একসপ্তাহ পরই সব ভালোবাসা শেষ?”
-” তোমাকে আমি কখনো ভালোবাসিনি শিমুল। তোমার প্রতি যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে নীলার শূন্যস্থান পূরনের একটা তাগিদমাত্র। নীলাকে হারানোর পর সর্বক্ষন একটা ভয় কাজ করতো যদি পূরন করা শূণ্যস্থানটা আবার শূন্য হয়ে যায়। তুমি যদি চলে যাও। সেটাকে আমি ভুল করে ভালোবাসা ভেবেছিলাম। সেদিন যখন এতবছর পর নীলাকে দেখলাম তখন আমার এই ভুলটা ভেঙে গিয়েছিলো শিমুল।”
-” ফাইযলামি পাইছিস তুই? এতবছর এই মেয়ের সাথে প্রেম করে এখন তুই বলছিস তুই ওকে ভালোবাসিস না। নীলা তোর অতীত অনিম। ও তোকে cheat করেছিলো। ভুলে গিয়েছিস সব?”
-” হ্যাঁ ভুলে গিয়েছি। ওর মুখ দেখার পর যে ঝড়টা সেদিন আমার মনে উঠেছিলো তা তোদের বুঝার ক্ষমতা নেই। কারন আমার জায়গায় তোরা নেই। ওর ডাকে আমি সাড়া না দিয়ে পারিনি।”
-” সেদিন কবে? পুরো ঘটনা বল।”
-” শিমুলের সাথে হানিমুনে যাবার তিনদিনের মাথায় সকালে যখন রেস্টুরেন্টে ব্রেকফাস্ট করতে গিয়েছিলাম তখন সেখানে নীলাকে দেখতে পাই। পুরো চারটা বছর ওকে আমি দেখেছি। এক মূহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিলো নিঃশ্বাসটা বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার। বুকের বামপাশটায় চিনচিন ব্যাথা অনুভব করতে পারছিলাম। ব্যাথাটা ছিলো নীলার জন্য। মা-বোনদের নিয়ে নীলাও সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলো। ওর মুখটা দেখে, ওর চাহনী দেখে খুব বুঝতে পারছিলাম ও আমাকে ভালোবাসে, আমাকে এখনও ও অনেক মিস করে। ও বুঝতে পেরেছিলো আমি শিমুলকে নিয়ে হানিমুনে এসেছি। শিমুল বারবার আমার হাতের উপর হাত রাখছিলো। দূর থেকে নীলা আমাদের দুজনের হাতের দিক তাকাচ্ছিলো বারবার। কিছুক্ষন বাদেই ও উঠে চলে যাচ্ছিলো। যাওয়ার সময় ওর চোখে আমি পানি দেখতে পাচ্ছিলাম। একটা মোড়ানো টিস্যু পেপার ও আমার পায়ের কাছে ফেলে ইশারা দেয় সেটা যেনো আমি তুলে নিই। শিমুল ওয়াশরুমে গিয়েছিলো হাত ধুতে। তখন টিস্যু খুলে দেখি সেটাতে একটা ফোন নম্বর। নিচে লেখা আছে ফোন করো, অপেক্ষায় থাকবো।

-” সাত পাঁচ না ভেবে টিস্যুটা শিমুল আসার আগেই পকেটে রেখে দিলাম। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। মনের ঝড়টাকে কোনোমতেই সামাল দিতে পারছিলাম না। হাত পা জমে যাচ্ছিলো আমার। কোনোমতে হোটেলে চলে আসি শিমুলকে নিয়ে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি আজই এখান থেকে চলে যাবো। নীলার সামনে যদি ফের চলে আসি তাহলে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারবো না। হোটেলে এসেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। বারবার মনটাকে বুঝাচ্ছিলাম আমি এখন শিমুলের হাজবেন্ড। নীলাকে ফোন করাটা মোটেই উচিত হবে না। কিন্তু মনটা একদম ছুটে গিয়েছিলো। কতবছর পর নীলার গলার স্বরটা শুনতে পাবো সেই লোভটা আর থামাতে পারিনি। রুম থেকে বের হয়েই ওকে ফোন করলাম। ও আমার সাথে অল্প কিছুক্ষনের জন্য দেখা করতে চাইলো। আমি ওর অনুরোধ ফেলতে পারিনি। ওর ঠিক করা জায়গাতে চলে গেলাম দেখা করতে। আমাকে দেখামাত্রই ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলো। জানিস মুহিব, ওকে হাজার ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু মন থেকে একদম সায় পাচ্ছিলাম না। কতটা বছর পর ওর স্পর্শ, উষ্ঞতার স্বাদ পেয়েছি। সেটাকে দূরে সরিয়ে দেই কি করে বলতো? আমাকে জড়িয়ে ধরে ওর সে কি কান্না! একটা মিনতি বারবার করেই যাচ্ছিলো ওকে যেনো আমি ক্ষমা করে দিই। ওকে যেনো আমি ফের আপন করে নিই। আমার সাথে করা অন্যায়ের শাস্তি ও পেয়েছে। আমার শূন্যতা ওকে প্রতিমূহূর্তে জেঁকে ধরে বসে। ভালো থাকতে দেয়না ওকে। তবুও কোনোমতে নিজেকে সামলে সেখান থেকে চলে এসেছি। ভেবেছিলাম নিজের ঘরে এসে পড়লে মনটা আপনা আপনি শান্ত হয়ে যাবে। ভুল ছিলাম আমি। মনটা আরো অশান্ত হয়ে উঠেছিলো। নীলা প্রতিনিয়ত ফোন করতো মেসেজ পাঠাতো। যতক্ষন ফোনে কথা বলতাম ততক্ষন কাঁদতেই থাকতো মিনতি করতেই থাকতো। ভেবেছিলাম অতীতে ও যা করেছে সেগুলো বেশি করে মনে করবো। তাহলে ওর প্রতি মায়াটা কেটে যাবে। ওকেও ওর অতীত স্মরন করিয়েছি। ও বারবার ক্ষমা চেয়েই যাচ্ছিলো। সেই কয়েকটা দিন যে কি অসহ্য যন্ত্রনায় দিন কাটিয়ছি তা তোকে বলে বোঝাতে পারবো না। একদিকে শিমুলের প্রতি দায়িত্ববোধ অন্যদিকে নীলার প্রতি ভালোবাসা। আমি কোনদিকে যাবো ভেবে ভেবে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলাম। শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম আমি শিমুলের পক্ষেই থাকবো। ওর সাথে আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করবো। নীলাকে সেদিন রাতে ফোনে স্পষ্ট জানিয়ে দেই শিমুল আমার বিবাহিতা স্ত্রী। আমি ওর হয়েই থাকবো সারাজীবন। সেই রাতে তিনটার দিকে নীলার মা ফোন করে জানায় নীলা বিষ খেয়েছে। মাথা কিছুক্ষনের জন্য হ্যাং হয়ে গিয়েছিলো। কি হলো এটা? কি করলাম আমি? আমার একটা সিদ্ধান্তের জন্য সেদিন সেই মেয়েটা মরতে বসেছিলো যে আমাকে ভালোবাসে। আর ওকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারিনি। কাছে টেনে নিয়েছি ওকে। এছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিলো না আমার। কিভাবে পারতাম মেয়েটাকে মৃত্যুর মুখেছেড়ে দিতে তুইই বল? মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে মুহিব।”
-” আর শিমুল? ও তোকে ভালোবাসে না?”
-” হ্যা বাসে। তবে নীলার চেয়ে বেশি না।”
-” কথাটা তুই কিভাবে বলছিস অনিম? কোন যুক্তিতে বলছিস? শিমুলের ভালোবাসার সাথে নীলার ভালোবাসার তুলনা করছিস তুই?”
-” তুলনা করছি না, কথার প্রেক্ষিতে কথা দেখাচ্ছি।”
এতক্ষন শিমুল চুপ করে অনিমের কথাগুলো শুনছিলো। অপলক দৃষ্টিতে অনিমের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এতক্ষনে সে মুখ খুললো,
-” তুমি তাহলে সেদিন রাতে নীলার কাছে গিয়েছিলে হসপিটালে? আর বাসায় এসে আমাকে বলেছো বন্ধুর বোন অসুস্থ।”
-” তখন তোমাকে সত্যটা বলার সাহস করতে পারিনি।”
-” অনিম, আমার ভালোবাসাটাকে তোমার কাছে নীলার ভালোবাসার চেয়েও কম মনে হচ্ছে কেনো? আমি কখনো তোমার জন্য সুইসাইড এটেম্পট নেইনি তাই?”
-” না। ভালোবাসার উষ্ঞতা নামের কিছু একটা থাকা চাই সম্পর্কে। তোমার ক্ষেত্রে সেই উষ্ঞতাটুকু আমি পাইনি যা আমি নীলার কাছে পেয়েছি আর এখনও পাচ্ছি। তুমি বরাবরই নিজেকে আমার কাছ থেকে গুটিয়ে রাখতে এমনকি বিয়ের পরও তুমি তাই ই করেছো। যাকে ভালোবাসো তার কাছে কিসের সংকোচ শিমুল?”
-” তুমি এখন এসব কি বলছো? তুমিও তো কখনো আমার দিকে সেভাবে এগিয়ে আসোনি। কখনোতো আমার এই সংকোচ ভাঙতে চাওনি। তুমি সবসময়ই আমাকে বলেছো সম্পর্কটা তুমি অপবিত্র করতে চাওনা।”
-” হ্যা বলেছি। আমি এখনও বলছি আমি অপবিত্র করতে চাইনি। কখনোই তোমার সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে চাইনি বিয়ের আগে।”
-” তাহলে এখানে আমার দোষ আসলো কিভাবে?”
-” এখানে আমি দোষের কথা বলছি না শিমুল। বলছি আন্তরিকতার কথা, মায়ার কথা। তুমি কখনো বলতে পারবে যে তুমি নিজে থেকে ফোন করে সারাদিনে দুই একবারের বেশি ফোন করেছো। এই চারবছরে তুমি আমাকে কয়দিন মুখে তুলে খাইয়ে দিয়েছো সেটা আমি তোমাকে গুনেগুনে বলতে পারবো। বেশিরভাগ সময়ই আমি নিজ থেকে তোমাকে বলি খাইয়ে দিতে। কখনো তো আমি ব্যস্ত থাকলে আমার উপর জোর খাটিয়ে বলোনি সব কাজ বাদ, এখন শুধু আমাকে সময় দিবা। বিয়েটাও তো তুমি এখন করতে চাওনি। তোমাকে জোর করে বিয়ে করেছি আমি। অন্যদিকে নীলাকে দেখো।আমি যদি ওকে দুইঘন্টা পরপর ফোন করি ও আমাকে ফোন করে আধাঘন্টা পরপর। আমার উপর জোর খাটিয়ে বলে এখনই আমাকে সময় দিতে হবে, অন্য সব এখন বাদ।আমি ওর সাথে থাকলে ওই আমাকে নিজ থেকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। এমন আরো হাজারো কথা আছে শিমুল। এসব প্রেক্ষিতে তোমাকে আমি বলেছি নীলার চেয়ে বেশি ভালো তুমি আমাকে বাসোনা।”
-” এগুলো কি যুক্তি দেখাচ্ছিস তুই? শিমুল ঐ ফ্যামিলিতে বড় হয়নি যে ওকে সেখান শিক্ষা দেয়া হবে যে নিজ থেকে অন্য ছেলের গায়ের উপর যেয়ে পড়। যেহেতু তুই শিমুলের হাজবেন্ড এককালে প্রেমিক ছিলি সে হিসেবে তোর উচিত ছিলো ওর সংকোচটা কাটানো। ওকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেয়া কিভাবে কি করলে তোর মনের ইচ্ছাগুলো পূরন হবে। তুই তা না করে এত বছর পর এসে মেয়েটাকে এভাবে দোষারোপ করছিস?”
-” কেনো শিখাবো? শিমুলের তো উচিত ছিলো বুঝে নেয়া নিজ থেকে। কই নীলাকে তো আমি শিখাইনি। ও তো নিজে থেকেই বুঝে নিতো।”
-” তুই আবারো কেনো compare করছিস ওদের মধ্যে। নীলা আর শিমুল কখনোই এক না। নীলা যে শিক্ষাটা ফ্যামিলি থেকে পেয়েছে শিমুল সেটা পায়নি। তুই ভুলে য যাসনে তুই একটা সভ্য ফ্যামিলির মেয়েকে বিয়ে করেছিস।”

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here