#নিঃশ্বাসে_তুই |১৮|
গোছগাছ সেরে বিছানার এক কোণে গুটিশুটি মে’রে বসে আছে অহমি। অপেক্ষায় ধ্রুবর। কিছুক্ষণ পর-ই ধ্রুব বেড়িয়ে আসে ওয়াশরুম থেকে। হাতে তার টাওয়াল। গায়ে সাদা শার্ট, প্যান্ট। চুলে এখনো পানি। ধ্রুব টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে অহমির গা ঘেঁষে বসে পড়ে। অহমি আরেকটু খাটের সঙ্গে চেপে যায়। পরপরই ধ্রুবও চেপে বসে। অহমি পুনরায় সরে যেতে চাইলে ধ্রুব তড়িৎ গতিতে তার কোমর চেপে ধরে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে রাখে। অহমি শাড়ির আঁচল খামচে ধরে শক্ত ভঙ্গিতে বসে থাকে। ধ্রুব আরেক হাতে অহমির চিবুক ধরে মুখটা উপরে তুলে ধরে। অহমি চোখ বন্ধ করে নেয়। ধ্রুব কিয়ৎক্ষণ তাকিয়ে থাকে অহমির মুখশ্রীতে। পরপরই নিঃশব্দে হাসে। অহমির বদ্ধ চোখের পাতায় ফুঁ দিয়ে বলে,
“কোনো প্রবলেম হচ্ছে কী? আনকমফোর্টেবল ফিলিং বা অন্যকিছু ? শারীরিক কোনো সমস্যা?”
অহমি দ্রুত মাথা ঝাকায়। যার অর্থ না। ধ্রুব অহমির কপালে গাঢ় চুম্বন একে দেয়। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বক্ষপিঞ্জরে। তারপরই অহমিকে ছেড়ে দিয়ে উঠে পড়ে। পুরোপুরি তৈরি হয়ে একসঙ্গে নিচে নামে দু’জনে।
খাবার টেবিলে তখন অর্পা সহ সকলেই উপস্থিত। অহমি অর্পার ছোট বোন অর্থাৎ ধ্রুব ব্যতিত ওখানে উপস্থিত সকলেরই ছোট বোন। সেই সুবাদে অহমির সঙ্গে রসিকতা করাটা ওদের মানায় না। তাই সকলে স্বাভাবিক হয়েই কথা বার্তা চালিয়ে গেল। সেই সঙ্গে অহমিকেও স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করল। অহমি গিয়ে বসল অর্পার পাশের চেয়ারটাতে। ধ্রুব এক পল সেদিকে দেখে নিয়ে পুনরায় দৃষ্টি সরিয়ে নিল। আর যাই হোক এদের সামনে এখন কিচ্ছু বলা চলবে না। এমনিতেই একা পেলে তাকে কী করবে কে জানে তার ওপর যদি এখন সে মুখ খোলে তবে মান ইজ্জত সব এখানেই খেয়ে নেবে এরা। তারচেয়ে বরং চুপ থাকাই শ্রেয়।
খাওয়ার টেবিলে পুরোটা সময় অহমি অর্পার সঙ্গে লেপ্টে ছিল। অর্পাও বোনকে পরম যত্নে খায়িয়ে দিল। অহমি খাওয়ার ফাঁকে মা, ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতে ভুলল না। অর্পা তাকে বোঝাল ওদিকে সব ঠিক আছে টেনশন না করতে। অহমির মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগ্রত হলো। তা হলো পুষ্প। গতকাল থেকে সে লাপাত্তা। অহমি নিজের জীবনের এমন একটি ঘটনা অবশ্যই পুষ্পকে ছাড়া কল্পনা করতে পারে না কিন্তু পুষ্প। সে তো গতকাল থেকে অহমির ফোনই তুলছে না। অহমির চাপা টেনশন হচ্ছে। পুষ্প তো এমন করে না কখনো। তাহলে কী তার কোনো বি’প’দ হলো? পরক্ষণেই আবার নিজের ভাবনাকে থামিয়ে দিয়ে সে মনে মনে আওড়াল,
“না, না তোর কিচ্ছু হয়নি। তোর সকল বি’প’দ আমার হোক পুসি। শুধু তুই ঠিক থাক। আমি আসব পুসি খুব শীঘ্রই তোর কাছে আসব। আমার মন বলছে তুই ঠিক নেই। মন কেন এমন বলছে পুসি? আমার যে মানতে কষ্ট হচ্ছে। সত্যি যদি এমন হয় আমি কিন্তু তবে পা’গ’ল হয়ে যাব বলে দিলাম।”
অর্পার ডাকে ধ্যান ভাঙে অহমির। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে প্রায় সকলে খেয়ে চলে গেছে। শুধুমাত্র ধ্রুব, অহমি, অর্পা আছে। আর রহিম চাচা উৎফুল্ল মনে টেবিল গোছাচ্ছেন। তার চোখে মুখে উপচে পড়া খুশির ঝিলিক। এরই মধ্যে অর্পা বলে উঠল,
“অমু তুই ওপরে গিয়ে তৈরি হয়ে আয়। আমাদের বেড়াতে হবে। আর ধ্রুব একটু আমার সঙ্গে আয় তো কথা আছে।”
অহমি মাথা নাড়ল। অর্পাও সঙ্গে সঙ্গেই উল্টো পথে হাঁটা দিল। ধ্রুবও সেদিকে গেল। অহমি সেদিক পানে এক পল তাকিয়ে ওপরে উঠতে উদ্যত হলে বাঁধ সাধেন রহিম চাচা। অকস্মাৎ তিনি দৌড়ে এসে দাড়ান অহমির সামনে৷ কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলেন,
“জানেন আম্মা ছোট বাবা! আমার ছোট বাবা অনেকদিন পর ঠিক আগের মতো আবার হাসিখুশি হয়ে উঠছে। তা কেবল শুধুমাত্র আপনার লাইগা। আমি জানি আপনি সারাজীবন এমনে কইরাই তারে ভালো রাখবেন। জানেন তো মানুষটার মনে না অনেক কষ্ট। সময় করে একদিন শুইনা নিয়েন তার দুঃখের ইতিহাস।”
রহিম চাচা চোখ মুছলেন। অহমি অসহায় হয়ে তাকিয়ে ছিল শুধু। রহিম চাচা নিজের মনে আরও কিছু বলতে বলতে চলে গেলেন। অহমি শুধু তাকিয়েই দেখল। মানুষটা ধ্রুবকে ঠিক একটু নয় অনেকটা বেশিই ভালবাসেন।
.
বেলা বারোটা। এখনো পুষ্পর জ্ঞা’ন ফেরেনি। প্রমি কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে বিভোরের কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে আছে। সাবিনা বেগমের এখনো কোনো দেখা নেই। বিভোরের মনে বারংবার উঁকি দিচ্ছে এই একটি প্রশ্ন। সাবিনা বেগম বারবার প্রমিকে ফোন করে বাড়িতে ফিরে যেতে বলছে। কিন্তু পুষ্পর কাছে আসা তো দূর একটিবার জিজ্ঞেসও করছেন না ও কেমন আছে। মনের কৌতুহল মেটাতে বিভোর প্রমিকে প্রশ্নটি করেই বসে। শীতল কন্ঠে কৌতুহল মিশিয়ে বলে,
“প্রমি! তোমার মা তো একটি বারের জন্যও এলেন না তার ছোট মেয়েকে দেখতে। আর না নিলেন কোনো খোঁজ খবর। অথচ তিনি এই একটি রাতের মধ্যে তোমাকে কল করতে করতে হয়তো হাত ব্যথা করে ফেলেছেন? এমনটা কেন প্রমি?”
প্রমি চমকে উঠল। দূর্বল শরীরটা টেনে সোজা করল। অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল বিভোরের পানে। বিভোরও তাকিয়ে তার উত্তরের অপেক্ষায়। অকস্মাৎ প্রমি ডুকরে কেঁদে উঠল। বিভোর ব্যস্ত হয়ে উঠল প্রমিকে থামাতে। প্রমি তখন অনেক চেষ্টায় চোখের পানি মুছে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল। বিভোরের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল,
” পুষ্পকে মা একদমই সহ্য করতে পারেন না। তার একটাই কারণ। পুষ্প অনাথ আশ্রমের মেয়ে। ছোট থেকেই আমার প্রতিটি জন্মদিনে বাবা আমাকে নিয়ে কোনো না কোনো অনাথ আশ্রম যেতেন। সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যা হলে ওদের সঙ্গে কেক কেটে আমরা বাড়িতে ফিরতাম। এসবে আমি বেশ আনন্দ পেতাম। সেবার ছিল আমার পঞ্চমতম জন্মদিন। বাবার সঙ্গে প্রতিবারের মতো সেবারও গেলাম। কিন্তু কে জানত সে বছরে আমার জন্য উপর ওয়ালা খুব বড় উপহার রেখে দিয়েছিলেন। ছয় মাসের এক ফুটফুটে বাচ্চা শিশুকে সেই অনাথ আশ্রমে দেখে আমার মন তখন ভীষণ খুশি হয়ে গিয়েছিল। আমিও তখন বেশি বড় তো ছিলাম না। পাঁচ বছর কতটুকই বা বুঝতাম। বাবার কাছে বায়না ধরলাম ওকে আমার বোন বানাব। আমাদের সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে যাব। বাবা আমার বায়না ফেলতে না পেরে বাচ্চাটিকে নিয়ে এলো। বাড়িতে আসতে আসতেই ওর নাম করণ করলাম আমি আমার নামের সঙ্গে মিলিয়ে পুষ্প। বাবা আমাকে পড়িয়েছিলেন পুষ্প মানে ফুল। আমিও সেই অনুযায়ী ওর নাম দিলাম পুষ্প। আমার ফুটফুটে, মিষ্টি একটি বোন হলো। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছতেই বাঁধল বিপত্তি। মা পুষ্পকে বাড়িতে ঢোকাতে নারাজ। তার মতে কোন পাপের ফল পুষ্প কে জানে। কোনো অপবিত্র জিনিস তিনি ঘরে তুলবেন না। মায়ের সেই কথার অর্থ তখন না বুঝলেও এখন বুঝি। তাই সে-সময়ে জেদ ধরলাম পুষ্পকে ঘরে না তুললে আমিও থাকব না। আমিও পুষ্পর সঙ্গে অনাথ আশ্রম গিয়ে থাকব। বাবা – মায়ের সঙ্গে এটা নিয়ে তুমুল লড়াই চলল। এক পর্যায়ে আমার জেদ আর বাবার কথার কাছে হার মানতে বাধ্য হয় মা। পুষ্পকে থাকতে অনুমতি দিয়ে দেন। কিন্তু তা মন থেকে নয় বাধ্য হয়ে৷ সেজন্যই পুষ্পর সঙ্গে মায়ের এমন দূরত্ব। মূলত পুষ্পর সঙ্গে মায়ের এমন রুড বিহেভিয়ার সহ্য করতে না পেরে বাবা কাজের বাহানায় চিটাগং থাকেন। আমিও তাই। কিন্তু যার জন্য এতো কিছু সে মাকে ছেড়ে এক পা ও নড়বে না। মায়ের কটুকথা সহ্য করে পড়ে থাকে এ বাড়িতে। কত চেষ্টা করেছি আমি আর বাবা পুষ্পকে আমাদের সঙ্গে রাখতে কিন্তু তার এক কথা মা যত যাই বলুক না কেন মা তো মা -ই। মাকে একা রেখে সে কিছুতেই যাবে না।”
.#নিঃশ্বাসে_তুই |১৯| বোনাস পার্ট
“দেখ ধ্রুব বোঝার চেষ্টা কর। অহমি সকলের ভীষণ আদরের। আমি তো চিনি জানি তাই তো নিজের বোনকে বিনা দ্বিধায় তোর হাতে তুলে দিয়েছি তাও আবার তোর এক কথাতেই। কিন্তু আমার বাড়ির কেউ কিন্তু তোকে সেভাবে চেনে না। ওরা বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নেবে না। বরংচো সবকিছু জানলে ঝামেলা আরও বাড়তে পারে। তারচেয়ে আমি যা বলছি তাই শোন। অহমিকে আমি এখন নিয়ে যাই। পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হয়ে গেলে তখন না হয় একসঙ্গে থাকিস তোরা। এখন উল্টো পাল্টা কিছু করে পরিস্থিতি জটিল করে দিস না প্লিজ দোস্ত।”
অর্পা ধ্রুবর হাত ধরে রিকুয়েষ্ট করল। ধ্রুব কিছুক্ষণ ভাবল অতঃপর শান্ত হয়ে সম্মতি পোশন করল। অর্পা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। যাক শেষমেশ বুঝেছে তবে।
.
অহমি তার বাড়ি থেকে পড়ে আসা পোশাক পড়ে নিল। ঠিক যেভাবে এসেছিল ওভাবেই তৈরি হয়ে নিল। ফোনটা হাতে নিয়ে যখনই ঘর থেকে বেড়তে যাবে সেই মুহূর্তে ঘরে প্রবেশ করল ধ্রুব। অহমি থমকে দাড়িয়ে পড়ল। ধ্রুবও টানটান হয়ে দাড়িয়ে এক দৃষ্টে অহমির পানে তাকিয়ে রইল। ধ্রুবর সাড়াশব্দ না পেয়ে অহমি দরজার কাছে তাকাতেই কেমন কেঁপে উঠল। ধ্রুবর শীতল দৃষ্টি তখনো তাহাতে নিবদ্ধ। এমন দৃষ্টি অহমির কাছে ভিন্ন মনে হলো। দৃষ্টির অগোচরে যেন লুকিয়ে আছে হাজারো কথা, হাজারো অনুভূতি। অহমি আমতা আমতা করে প্রশ্ন করল,
“ক কি কিছু বলবেন?”
ধ্রুব ধীর পায়ে এগিয়ে এলো। অহমির সম্মুখে দাড়িয়ে তার কোমর পেঁচিয়ে এক ঝটকায় কাছে টেনে নিল। অহমি আচমকা ধ্রুবর শার্ট খামচে ধরল। দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলে গেল দুজনার। ধ্রুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হলো অহমির মুখশ্রীতে। অকস্মাৎ মিলিত হলো দুজনের ওষ্ঠদ্বয়। অহমি আরও একটু দৃঢ় বন্ধনে আঁকড়ে ধরল ধ্রুবকে। প্রায় মিনিট খানেক পর ধ্রুব অহমির অধর ছেড়ে গ্রীবাদেশে নেমে এলো। অদ্ভুত ভাবে শিহরিত করতে করতে মৃদু কন্ঠে বলল,
“যেতে দিচ্ছি বলে ভেবো না মুক্তি পেয়ে গেছ। তুমি কিন্তু আমার চির বন্দিনী। আমার থেকে তোমার আ’মৃ’ত্যু মুক্তি নেই।”
অনুভূতি যখন আরও প্রগাঢ় হয়ে উঠল ধ্রুব তখন অহমিকে আচমকা বিছানায় ফেলে দিল। গায়ের ওড়না টেনে ফেলে দিল। অহমি চোখ খিঁচে বন্ধ করে বিছানার চাদর খামচে ধরল। ধ্রুব যেন এতে দ্বিগুণ বেশি উ’ম্মা’দ হয়ে উঠল। ঝাপিয়ে পড়ল অহমির ওপর। দিন দুনিয়া ভুলে অবাধ্য স্পর্শ একে দিতে লাগল তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর সর্বাঙ্গে। এমন সময় ভেসে এলো অনাকাঙ্ক্ষিত মুহুর্তে কাঙ্ক্ষিত সেই ডাক। অর্পা ডাকছে নিচ থেকে। ধ্রুব থেমে গেল। মস্তিষ্ক সচল হতেই ঝট করে উঠে পড়ল অহমির ওপর থেকে। শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে জোর কদমে হেঁটে বেড়িয়ে গেল ঘর থেকে। ধ্রুব চলে যেতেই অহমিও উঠে পড়ল। বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলল। পরক্ষণেই কী মনে করে দরজার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,
“কী হলো রেগে গেল নাতো ?”
.
পুষ্পর চে’ত’না ফিরেছে। প্রমি বোনকে জড়িয়ে ধরে নানারকম অভিযোগ করেছে। পুষ্প মুখ বুজে শুনেছে সব। তার যে কিছুই বলার নেই। বলার মতো ইচ্ছেও নেই। বিভোর কেবিনের বাহিরে ওয়েট করছে। ভেতরে আসার মতো সা’হ’স তার হচ্ছে না। অনেক সময় পর পুষ্প প্রমিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে যেতে বলল। বোনকে দেখেই বুঝে গেছে সে তার বোনের অবস্থাও নাজেহাল। তাই তো বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নিতে বলেছে। প্রমি শুরুতে রাজি না হলেও পুস্পর জোড়াজুড়িতে রাজি হয়।
পুষ্প একা একা শুয়ে আছে হসপিটালের বেডে। স্যালাইন চলছে তার। অহমির কথা বারংবার মনে পড়ছে। অহমি কী জানে তার এই অবস্থার কথা? কেউ কী বলেছে ওকে? হয়তো না, নয়তো এতক্ষণে কেঁদেকেটে ভাসিয়ে দিত। আনমনেই হাসল পুষ্প। তবে সেই হাসিতে না ছিল কোনো প্রাণ। তার চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ল অশ্রু। এমন সময় ধীর পায়ে কেবিনে প্রবেশ করল কেউ। পুষ্প সেদিকে তাকিতেই আঁতকে উঠল। মন হয়ে উঠল অস্থির।
.
চলবে,