নিয়তি পর্ব -০১

#নিয়তি
লেখিকা-♦#সেলিনা_আক্তার_শাহার।
#পর্ব—১

______________
ছাদের এক কিনারায় দারিয়ে আছে তুর্জ, মোট ১০ টা সিগারেট তার খাওয়া শেষ।
ঘরে তার নতুন বৌ বসে আছে তার অপেক্ষায়,

তুর্জ আজ বিয়ে করেছে নন্দিনি নামের এক অচেনা মেয়েকে।

তার বিন্দু মাএ খেয়াল নেই বাসর ঘরে বসে থাকা বৌ এর কথা, থাকবে কি করে

সে তো তার সায়মা কে ভালোবাসে, তারা বিয়েও করেছিলো,
তাদের একটা ছোট্ট মেয়েকে জন্ম দিয়ে গিয়ে সায়মা মারা গেলো,

মেয়েটাকে এতিম করে, আর তুর্জকে একা করে,

সেই থেকে তুর্জ খুব চুপ চাপ থাকে, মেয়েটার প্রায় ১ বছর হল, নাম তুলি।

বিয়েটা তার মায়ের জুরাজুরিতে এক প্রকার হয়েছে।

তবে তা তো নন্দিনির জানা নয়!!!!!

১২ টার উপরে ঘড়ির কাটা ঝুলছে, নন্দিনি সেই কখন থেকে অপেক্ষায় আছে তার বরের জন্য,

আসলে না দেখেই বিয়েটা করেছে নন্দিনি,
তার মনে জে বাস করত সেই কিনা তাকে ঠকিয়ে অন্য কারো বুকে ঠাই নিয়েছে,

তাই মনের মানুষটাকে মনের খাচায় বন্দি করে,
বাবার পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করে ফেলেছে।

তুর্জ আকাশ পানে চেয়ে তার সায়মার কথা ভাবছে, রাগ করেনিতো সায়মা তোমার ঘরে অন্য কাউকে দেখে!!!

পিঠে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব হল তুর্জের, তবে কার স্পর্শ তা সে জানে,

তার মা এসেছে!!!
মা এত রাতে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলে কেন?

তুর্জের এমন পশ্নে তার মা রাগ হবে নাকি অবাক বুঝতে পারলোনা,
তুর্জের মা শিলা বেগম একটু এগিয়ে তার সামনে এসে একটা রাগি লুক নিয়ে বললো – এলাম কেন তা কি তর জানা নয় রে তুর্জ???

মায়ের কথার উওর সে দিলো না ১১ তম সিগারেট টায় আগুন ধরাতে ধরাতে বললে মা নিচে গিয়ে ঘুমিয়ে পরো,
এই ধোয়া তোমার শরিলের জন্য ক্ষতি কর–

শিলা বেগম আর কথা বাড়ায় নি, জুর করে বিয়ে করিয়েছি ছেলেকে এমনি রাগে দুখে অতিস্ট সে, তাই এবার তার মন মতই হক তবে তার মনটা জেনো নন্দিনি বাধতে পারে,
মনে মনে ভাবতে ভাবতেই নিচে নামছে শিলা বেগম।

পিছন থেকে তুর্জ তার মাকে ডাক দিয়ে বলে”” মা তুলি ঘুমিয়েছে তো!!!

শিলা বেগম ছোট্ট একটা উওর দিলো “”” হুম”””””

বলেই নেমে গেলো,

নন্দিনির বসে থাকতে থাকতে কোমর ধরে এসেছে ,

একটু বালিশে মাথাটা হালকা গুজে চোখের পানি ছারছে,

যাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসলাম সে কিনা আমায় ঠকালে সে অন্য কাওকে বিয়ে করে নিয়েছে, কিন্তু কেন?? সেতো এমন না কেন করল এমন টা কেন!!!

আজ তার জন্য নিজের উপর রাগ হয়ে এক বাচ্চার বাবা তাও নিজের থেকে ১০ বছর বয়সি এক লোক কে বিয়ে করে নিলাম, সব তোমার জন্য নিলয় সব তোমার জন্য,

খুবতো বলেছিলে আমার নন্দি কে ছারা বাচবোনা, আর আজ!!

কি ভাগ্য আমার!! আমার মনে যে সে আমার নয়,

যাকে বিয়ে করলাম তার মনে হয়তো আমি নেই,
নিয়তি কি খেলাটাই না খেললো।

একটু পর দরজায় আওয়াজ হল,ধাক্কা দিয়ে কেও দরজা খুলছে,
নন্দিনি ঝট করে উঠে চোখের পানি মুছে বসে পরলো।

তুর্জকে মাথা উঠিয়ে দেখছেও না নন্দিনিকে,
তুর্জ ঘরে না ঢুকে আবার বাহিরে বেরিয়ে এলো,

তার ভাই ভাবির রুমের দরজায় টুকা দিলো তুর্জ, কারন তার অক্সিজেন এখানে বন্দি আছে,

তার ভাবি দরজাটা খুলে তুর্জকে দেখে দরজা ছেরে সাইড হয়ে গেলো, করন জানে সে কেন এসেছে,
গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা।

তুর্জ বিছানায় চেয়ে আছে, তার আর সায়মার মেয়ে তুলি এখানে শুয়া,
মেয়েকে কোলে নিয়ে চলে গেলো নিজের রুমে,

গিয়েই ঘুমন্ত তুলিকে খাটে শুইয়ে নিজে ওর পাশে শুয়ে পরলো তুর্জ,
তুলিকে ছারা এক রাতও ঘুমাতে পারেনা তুর্জ,

নন্দিনি ওয়াসরুমে তাই তাকে না দেখে আয়েশ করে শুয়ে পরলো তুর্জ,

নন্দিনি ফ্রেস হয়ে এসেছে, সব মেকাপ ভারি গহনা সব খুলে হালকা একটা সুতির শাড়ি পরে বের হল।
এসে দেখে তুর্জ আর তুলি সুন্দর করে খাটে আয়েশ করে শুয়ে আছে,

তাহলে আমি শুবোটা কই!!

অবশ্য এই বুড়ো লোকটার সাথে এমনিতেও এক খাটে ঘুমাতাম না ভালোই হল এখন ,

তাহলে শুবোটা কই!! সোফায় শুয়া সম্ভব নয় এটা তেমন বড় না যে শুয়া জাবে, এক জন বসার মত সোফা,

তাই একটু ভেবে আলমারি খুলে একটা চাদর নিয়ে মেঝেতে বিছিয়ে শুয়ে পরলো নন্দিনি,৷
শুয়ে শুধু এপাশ ওপাশ করছে নন্দিনি, এত শক্ত বিছানায় তার জন্মেও শুয়নি সে,
বাবার দুলারি সে তাও যে কেন তার বাবা এই বুড়োটার সাথে বিয়ে দিলে, তার বাচ্চা আছে আল্লাহ জানে কয়দিন থাকতে পারি কে জানে!!

নন্দিনি উঠে বসে পরে, খাটের দিকে চোখ জেতেই তুর্জকে ভালো করে দেখলো এই প্রথম দেখছে তার বর কে….

নাহ দেখতে তেমন টা খারাপ নয়, উজ্জল শ্যামলা চুল গুলো আর্মি কার করা, হয়তো বড় বড় চুল পছন্দ করে নাহ,
গলায় প্লেটিনামের একটা চেন আছে তাতে লকেটও রয়েছে,

নাহ ভালোই বুঝা জায় না লোকটার ৩০ বছর
দেখলে মনে হবে ২৪/২৫ বছরের যুবক,

তবে আমার নিলয়ের থেকে হ্যান্ডসাম নয়,

চোখটা তুর্জদিক থেকে শরিয়ে এবার কোমরে ধরে আছে, ওফ কি অসজ্য রে বাবা এভাবে কি করে ঘুমাই? গল্পের আসল লেখিকা সেলিনা আক্তার শাহারা

ফ্লোর থেকে উঠে সোফায় বসে পরলো নন্দিনি,

রাতটা বসেই পার করি কি আর করা, এই ছিলো কপালে সব নিলয়টার জন্য ওকে শিক্ষা দিতে গিয়ে কি ভুল টাইনা হল।

সকাল হয়ে গেছে, তুর্জর ঘুম ভাংগে তুলির কান্নায়, হয়তো খিদে পেয়েছে,
তুলিকে কোলে করে নিয়ে তার ভাবির কাছে দিয়ে দিলো, তাকে হালকা খিচুরি খাওয়াতে লাগলো তার ভাবি,

তুর্জর ভাই সোহাম বড় রসিক মজাদার লোক,
কি রে রাতে ঘুম হল নাকি???

সোহামের পশ্নে তুর্জ বিরক্ত, ভাইয়ের দিকে মুখ ঘুরিয়ে কিছু বলবে তার আগেই সোহাম পএিকায় মুখ লুকিয়ে ফেলে।

তুর্জ ফ্রেস হওয়ার জন্য আবার তার রুমে চলে গেলে,

রুমে গিয়ে চোখ গেলো তার বিয়ে করা বৌ এর দিকে সোফায় বসে ঘুমিয়ে গেছে এক হাত মাথার নিচে দিয়ে,

চুপ চাপ দেখে সে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এলে,
খয়েরি রংগের শার্ট পরেছে সাদা পেন্ট, ম্যাচ করে টাই বেধেছে,
ব্লেজার টা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো,

কোর্টে আজ একটা কেস আছে তার, সে অনেক পপুলার এক জন উকিল,
তার হাতে নেয়া কেস একটাও সে হারেনি তার হারার কোন রেকর্ড নেই,,,,।
নাস্তার টেবিলে একা বসে আছে তুর্জ, তার ভাবি সপ্না নাস্তা দিচ্ছে,

শিলা বেগম টেবিলে নন্দিনিকে দেখতে না পেয়ে, তুর্জেক দিকে রাগি লুক নিয়ে চেয়ে রয়েছে, তবে এতে ওর কিছু জায় আসেনা চুপ চাপ খেয়ে বেরিয়ে গেলো তুর্জ।

তুর্জের মা শিলা বেগমের গলা দিয়ে আর খাবার নামলোনা,
তুর্জের বাবা নেই মা বড় ভাই ও ভাবি আর ছোট্ট বোন, বোনটা হোস্টেলে থাকে পড়াশুনার জন্য।

এই তাদের সংসার,এই সংসারে আরো এক জন ছিলো, তবে সে এখন তো নেই!!!
গলৃপের আাল।লেখিকা #সেলিনা_আক্তার_শাহারা।
তুর্জের মা চুপ চাপ তার রুমে চলে গেলো।

সপ্না খাবার নিয়ে নন্দিনির রুমে গেলো, গিয়ে নন্দিনিকে সোফায় দেখে একটুও অবাক হয় নি, কারন সে জানে এমনটাই হওয়ার ছিলো,
তুর্জ সায়মার জায়গা কাওকে দিবে না তাও জে কেনো মা জুর করে বিয়েটা দিলো,

সপ্না নন্দিনিকে একটা ডাক দিতেই নন্দিনি উঠে পরে খুব পাতলা ঘুম ছিলো কারন এখানেতো আর ঘুমানো জায়না,

সপ্না একটা হালকা হাসি দিয়ে বললো আমি তোমার ভাবি হই,
বোন ও ভাবতে পারো, জাও ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নাও,

নন্দিনি আর কথা না বলে হামি তুলতে তুলতে ফ্রেস হতে চলে গেলো,
একটু পর বের হয়ে এসে দেখে সপ্না এখনও বসা, নন্দিনি ও হালকা হাসি দিয়ে সপ্নার পাশে বসে বললো আমি সকালে এত হেবি নাস্তা করিনা,
ডায়াটে আছি!!!!

সপ্না হাসবে নাকি কাদঁবে বুঝতে পারছেনা, কারন এই শুকনা পাতার মত মেয়ে নাকি ডায়াট করে””” দেখো কারবার””

নন্দিনি এক কাপ চেয়ে খেয়ে বললো এতেই হবে,

সপ্না হাসতে হাসতে গরাগরি তাও কোন রকম রুম থেকে বেরিয়ে আবার হাসতে শুরু করল,

সোহাম সপ্নার হাসির কারন জিজ্ঞাসা করতেই সপ্না হাসি টা একটু কমিয়ে বললো, তোমার ছোট ভাইয়ের বৌ নাকি ডায়াটে আছে তাই নাস্তা করলো না,

বলেই হাসতে হাসতে শেষ,

সোহামও হাসির তালে জোগ দিয়েছে,,

নন্দিনি বাহিরে এসে সব দেখছে, আর লজ্জাও পাচ্ছে,
কি বলবে জানা নেই তাই চুপ তাকাই শ্রেয়ো,

হাসার পর্ব শেষ করে সপ্না নন্দিনির কাছে এসে বললো তা কি খাবে একবার বলে দিও তাই হয়ে তোমার জন্য আলাদা,

নন্দিনি খুশি হয়ে বললো আচ্ছা ভাবি,

~~~~~

শিলা বেগমের কোলে কান্না করছে তুলি, বহু চেষ্টায়ও করছে থামানোর মত নয়,
সোহাম অনেক খেলনা দিয়েছে তাও কমছেনা,

নন্দিনি বাচ্চা একদমই পছন্দ করে না, তার পরও এই মেয়েটার কান্না তার সজ্য হচ্ছেনা, তাই কাছে গিয়ে হাত বারাতেই তুলি নন্দিনির কোলে ঢলে চলে গেলো।

সবাই অবাক ওতো তেমন কারো কোলে জেতে চায় না তাও একবার দেখে সে নন্দিনির কোলে চলে গেলো।

তুলির কান্না বন্ধ খিল কিল করে হাসছে আর কি জেনো বলছে তার কথা তো বুঝা যায় না এখনও।
নন্দিনিও বেশ আদর করছে তুলিকে।
তুলিকে রুমে শুইয়ে দিলো, তাকে খাইয়ে ঘুম ও পারিয়ে ফেলেছে নন্দিনি, সবাই অবাক হলে খুশিও বটে মা মরা মেয়েটা হয়তো একটা মা পেলো।

শিলা বেগম নন্দিনির কাছে এসে বললো সামলেনে মা আমার তুর্জের ভাংগা সংসার টা জুরে নে মা।

নন্দিনি কোন কথাই বললোনা কারন মিথ্যা আশসাস দেওয়া ঠিক হবে না, কারন আমার মনে তো নিলয়ের বাস তার জায়গা কাওকে দিতে পারব না,

সারা দিন ভাবির পিছনে ঘুরেই কেটেছে নন্দিনির, দুপুরের রান্না করছে সপ্না, নন্দিনিও এটা ওটা এগিয়ে দিচ্ছে, আর বাড়িতে জীবনে এক গ্লাস পানি ভরে খায়নি,

সপ্নার সাথে কথা বলতে বলতে শুনতে পেলো তুর্জ ও সায়মার ঘটনা,
তারা ভালো বেসে বিয়ে করেছিলো, বিয়ের ২ বছর খুব সুন্দরই কেটেছিলো, পরে তুলি সায়মার গর্ভে আসে,
তুর্জ খুব খুশি ছিলো তবে সায়মা একটা কথা লুকিয়ে ছিলো, ডাক্তার আগেই বলেছিলো এই বাচ্চা নষ্ট করতে কারন এই বাচ্চা জন্মের সময় অনেক সমস্যা হতে পারে সায়মার জীবন ও হারাতে পারে, রিপোর্ড ভালো আসে নি তাই,
তবে সায়মা গোপন করে ছিলো, তুর্জের খুশির কারন সে ছিনিয়ে নিতে চায় নি,

তার পর তুলি কে জন্ম দিয়েই চলে গেলো সবাইকে ছেরে,

জানো নন্দি আমি তোমায় নন্দি বলি??

হ্যা ভাবি ডাকুন না সমস্যা নেই, নন্দিনির মুখে অনুমতি পেয়ে সপ্না খুশি হয়ে আবার বললো।

নন্দি শুনো তার পর থেকে তুর্জকে হাসতে দেখিনি সায়মার মারা গেছে তাও সে কাদে নি, কাদা আর হাসা জেনো ভুলে গেছে,

শুধু বেচেঁ আছে মেয়েটার জন্য, তাই বলি কি নন্দি সামলে নাও তুর্জকে, দেখো অনেক ভালেবাসবে তুর্জ তোমায় অনেক ,

নন্দিনির অনেক মায়া হল, এই ছোট্ট মেয়েটা মা ছারা কি করে থাকবে আল্লাহ জানেন।

সারা দিন পার হয়ে গেলো তুর্জ বলেছিলে লান্চের আগে আসবে, কিন্তু ডিনারের সময় হয়ে গেলো এখনও আসেনি।তবে এটা নতুন কিছু নয়, তুর্জ এমনই করে সায়মা মারা জাওয়ার পর থেকে।

নন্দিনি তুলিকে খাইয়ে হালকা খেয়ে, গিয়ে শুয়ে পরেছে খাটে আজ আর না ঘুমিয়ে থাকা গেলো না, তুলিও সুন্দর করে নন্দিনিকে জরিয়ে দরে ঘুমিয়ে গেছে,

তুর্জ এসেই তুলিকে খুজছে মনে হয় তার অক্সিজেন কমে গেছে ওকে পেলে আবার শ্বাস নেয়া জাবে।
সপ্না তুলি খুজ দিতেই দৌরে রুমে গেলে গিয়ে দেখে দুজন কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে।
তুলির কাছে গিয়ে তুলির কপালে একটা চুমু দিয়ে চেয়ে রয়েছে নন্দিনির দিকে, চুল গুলো উরছে বাতাসে মুখে হালকা বিরক্তির ছাপ নিয়ে ঘুমাচ্ছে হয়তো ঠান্ডাটা লাগছে বেশি এসিটা কমিয়ে দিলো তুর্জ, এখন সমস্যা হল সে ঘুমাবে কোথায় অন্য রুমে জাওয়া চান্স নেই মা দেখলে রাগ করবে তার পর প্রেসারটা আবার বাড়বে কি করবে তা আর ভাবতেই পারছেনা।

হঠাৎ মনে হল কাল রাতে তো এই মেয়েটাও এমনি ধিদ্বায় ছিলো।
তুর্জ কি করবে ভেবে না পেশে তুলির পাশে শুয়ে পরলো গুটি মেরে,
~~~

সকালে ঘুম থেকে উঠে গেলো নন্দিনি তুর্জোকে তুলির ঐ পাশে দেখে রেগে আগুন , এই লোকটা এখানে কি করছে??

নন্দিনি রাগি গলায় ডাক দিলো এই মিস্টার বুইরা হ্যালো এই বুইরা খাটাস….

কানের কাছে কেও বুইরা বুইরা বলছে, চোখ খুলে দেছে নন্দিনি তাকে বুইরা বলে ডাকছে,এতে তুর্জও খেপে গেলো কোন দিক দিয়ে আমায় বুইরা দেখো??

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here