নিয়তি পর্ব -০২

#নিয়তি
#সেলিনা_আক্তার_শাহারা,
#পর্ব—-২
______________

নন্দির চিৎকার কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার মতই,
তুর্জ ও চিৎকার করে বললো আরে পুচকি চুপ কর !!

এবার নন্দিনির রাগ চৌগুন হয়ে গেলো।
বাড়ির সকলে হাজির দরজার সামনে তবে লক থাকায় কেউ ঢুকতে পারছে না রুমে।

রাগে গজ গজ করতে করতে তুর্জের কাছে গিয়ে নন্দিনির রাগি গলায় তুই পুচকি কইলি কারে বুইড়া !!!

তুর্জও সমান তালে ওর কাছে ঘেসে বললো ওই বুইড়া কইলি কারে পুচকি,

সমান তালে ঝগরা চলছে,
নন্দিনি এবার দারিয়ে দুহাত মেলে বললো দেখ তুই কিভাবে পুচকি বললি আমি পুচকি তো বিয়া করলি কেন???

তুর্জও কম জায় না বহু দিন পর মন খুলে কারো সাথে ঝগরা করছে, সায়মা মরার পর তো কথা বলাই বন্ধ ছিলো, তবে আজ নন্দিনির সাথে বাচ্চাদের মতই করছে।
বাহিরে উপস্থিত সবাই বুঝার চেষ্টা করছে ভিতরে হচ্ছেটা কি!!!

রাগে না জানি কেও কাওকে খুন করে দেয়।

তাদের ঝগরায় তুলি ঘুম ভেংগে গেছে কখন, লক্ষি মেয়ের মত চুপ হয়ে শুয়ে তাকিয়ে আছে দুজনের দিকে,

নন্দিনির চোখ তুলির দিকে পরতেই বললো দিলিতো মেয়েটাকে উঠিয়ে!!

তুর্জ খাট থেকে নেমে চুল ঠিক করতে করতে বললো এই তুই কেমন মেয়ে হে স্বামিকে তুই করে বলছিস!

নন্দিনি তুলিকে কোলে নিয়ে উঠে যেতে যেতে বললো তর মত বুইড়া কে স্বামি তো দূরে থাক নিজের ড্রাইভার ও রাখতাম না,

ওহ তাই নাকি তা বিয়ে করতে কি আমি হাতে পায়ে ধরে ছিলাম বুঝি!!!

তুর্জের এমন কথায় নন্দিনি দমে গেলো,
নিলয়কে জেলাস করাতে গিয়ে না দেখেই বিয়ে টা করেছি তা কি করে বলি,,

কি হল থেমে গেলেন কেন ম্যাডাম!! তুর্জের ডাকে তুলি তুর্জর দিকে ফিরে বললো দেখুন আপনার সাথে আমার কথা বলতেও রুচিতে বাধে,সো প্লিজ দূরে থাকুন।

তুর্জ হা হা করে হেসে বলল বয়ে গেছে আপনার সাথে কথা বলতে, কি অপসরা আপনি যে আপনার সাথে কথা না বললে কাঠগরায় দাড়াতে হবে!!

নন্দিনি রেগে কিছু বলবে তার আগেই তুর্জ আবার বললো আপনার চেয়ে আমার অফিসের পি এ অধিক সুন্দরি, আর আমি মুটেও বুড়া নই বয়স ৩০ মাএ এখনও চাইলে ৮/১০ টা মেয়েকে পিছনে ঘুরাতে পারি বুঝলেন,

নন্দিনিকে আর কথার সোজগ না দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো,

দরজা খুলতেই সোহাম সপ্না আর শিলা বেগম তুর্জকে দেখে এদিক ওদিক ফিরে বললো এই আমার চুলায় কড়াই চাপানো গেলাম,
আমার খবরের কাগজ কোথায়, একেক জন একেক বাহানায় বেরিয়ে গেলো,

শিলা বেগম ও চলে গেলো তাদের পিছু পিছু,
তুর্জ বুঝতে পেরেছে তাও কাওকে কিছুই বললো না, কারন সকাল সকাল এমনি মাথা চটিয়ে দিয়েছে অভদ্র মেয়েটা, আল্লাহ জানে একে নিয়ে কিভাবে এক ছাদের নিচে থাকবো,

নন্দিনি তুলিকে নিয়ে রুম ছেরে বাহিরে এলো,
নন্দিনিকে দেখে সবাই এমন ভাবে তাকিয়ে আছে জেনো এলিয়েন,
সোহাম তো নিজেকে সামাল না দিতে পেরে ফিক করে হেসেই দিলো,

সাথে সপ্নাও তাল মিলালো, জামাই বৌ একখান পিছ বটে দুটাই সয়তানের হাড্ডি,

নন্দিনি একটু লজ্জা পাচ্ছে উনারা তাদের ঝগরা শুনেন নিতো!!!

সপ্না নন্দিনির কাছে এসে বললো বাহ পারবে তুমি আমার দেওর টাকে নাচাতে,
আজ যা দিলেনা আহা হা সকালই ফুর ফুর লাগছে,

নয়তো ওর চেচামেচিতে সবাই অতিষ্ট ছিলাম এখন তোমার টাও শুনবো, ওর উপরে ফেলা বমের শব্দ বলেই হাসছে দুজন,
শিলা বেগমও টিপা হাসি হাসছে,

নাস্তার টেবিলে বসেছে সবাই খেতে,
কাজের মেয়েরা সার্ফ করছে,

নন্দিনি এক গ্লাস জুস আর সালাড নিয়েছে প্লেটে,

এতে তুর্জ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,

সপ্না তুর্জের মনের ভাব বুঝে বললো তোমার বৌ ডায়াটে আছে গো তাই,

তুর্জ এবার এক গাল হাসি দিয়ে বললো আমায় বুড়া বলে আর নিয়ে শুকনা পাতা, পুচকি তাও ডায়েট করে!!!

আর কদিন করলেতো খুজেই পাওয়া জাবেনা এই ২ দিনের বাবুটাকে,

তুর্জের এমন ইজ্ঞিত কথা নন্দিনিকে বিরক্ত করছে, কোন শব্দ না করে জোস টা তুর্জের মাথায় ঢেলে দিয়ে বললো ঠিক বলেছেন, ডায়াট তো আপনার করার কথা আমি কেন করব আমি তো এক দম ফিট আপনার মত বুইরা নই হুম।

তুর্জ রেগে আগুন সবে মাএ কোটে জাবে রেডি হল আর এই মেয়ে কিনা এই করলো,

তুর্জ রেগে চেয়ার ছেরে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বললো দারা তর একদিন কি আমার একদিন, আমার পোশাক নষ্ট করা,

নন্দিনিকে ধরতে গিয়ে পারলোনা, কারন তুলিকে কোলে নিয়ে নিয়েছে, তুর্জের হাতে পানির জগ জা কিনা এখন নন্দিনিকে গোসল করাতো, তাই তুলিই একমাএ ভরসা।

তুর্জ রেগে জগ টা রেখে বললো ভিতু দেখি, পুচকি তো তাই ভয় পায় তা এত ভয় আমার সাথে লাগতে আসেন কেন।

নন্দিনি তুলিকে ভাবির কোলে দিয়ে বললো মোটেও ভিতু নই আমি, আর আপনার মত বুড়ো কে শিক্ষা দিতে তো আমার বা হাতই যথেস্ট,

তুর্জ এবার নিজে প্রস্তুত করে বললো তাহলে দেখা জাক কার কত দম আছে, পুচকি আজ তর খবর আছে,

নন্দিমি হাসি দিয়ে বললো তা তো সময়ই বলবে হুম।

তুর্জ পানির জগটার পানি নন্দিনির দিকে ছুরে মারলো।
নন্দিনিও দেরিনা করে তুর্জের চুল টেনে ধরল দু হাতে চুল ছোটে হওয়ায় ধরতে অসুবিধাও হচ্ছিলো নন্দিনির।

তবে তুর্জও নন্দিনির চুল ধরেছে তবে সহজই কারন এত বর চুল ধরতে সমস্যা হচ্ছেনা,

সপ্না আর শিলা বেগম হা তুর্জকে এমন রুপে কখন দেখনি, আর এই মেয়েতো কম নয় বাবা রে বাবা এই পারবে তুর্জের ঘরটা সামলাতে,

দুজনেই চুল টানছে , সোহাম রেফারি হয়ে দুজনকেই উৎসাহিত করছে,
হুম ডানে দাও তুর্জ তুই ওরে কামর দে, নন্দিনি তুমি কর মাথায় গুতা মারো এইসব,

নন্দিনি তুর্জের হাতে জোরে কামর বসিয়ে দিয়েছে,

সোহাম তুর্জে ডেকে বললো তুইও দে ওর ঘারে দে ঘারে রাক্ষস এর মত ধর,

তুর্জ নন্দিনির ঘারে হালকা কামর দিলো,

সোহাম আবার নন্দিনিকে শিখিয়ে দিচ্ছে নন্দিনি এবার ওর পায়ে লেং মেরে নিচে ফেলো।
নন্দিনি তুর্জকে লেং মেরে ফেলে দিলো,
নিচে ফেলে নন্দিনি তুর্জের উপর চেপে বসে ওর চুল ছিরছে,এবার তুর্জ নিজেকে ছারাতে ব্যাস্ত,
সোহাম আগের মতই এমন বক বক করছে,

এতে তুর্জও নন্দিনি দুজনই বিরক্ত,

নন্দিনি তুর্জকে ছেরে দিয়েছে তুর্জ ও উঠে দুজন মিলে সোহাম কে এলোপাতারি কিলাচ্ছে,
আর বলছে একজনের সাইডে থাকা জায় না দুজন কে লাগিয়ে দিয়ে মজা নেয়া হচ্ছে তেমার মত ভাই লাগবে না আজ তুমি শেষ,

নন্দিনিকে সোহাম ঠোট বাকিয়ে বলছে ও নন্দিনি বাচাঁও বোন।

নন্দিনি সোহাম কে হাতে কামরে বললো আপনাকে কখনোইনা। কেমন ভাসুর আপনি নাকি অসুর দুজন ঝগরা করছি ছারাবেন তা না আপনি আমাদের রেসলিংএর মত লরাচ্ছেন।

সপ্না এবার তুলিকে রেখে তিন জন কে ছারালো বহু কষ্টে,

শিলা বেগম ভারি মেজাজ নিয়ে বললো তরা কি বাচ্চা নাকি!!

তদের বাচ্চারা তদের কাছ থেকে এগুলোই শিখবে ছি ছি সোহাম তুই তুই তো বড় ছিলো,
আর তুর্জ মেয়েদের কিভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলতে হয় তা ভুলে গেছিস নাকি!!!

তুর্জ নিজে ঠিক করে বললো এটা মেয়ে নাকি কই মনেতো হয় না রাক্ষসি ডায়নি মনে হয়।
নন্দিনি আবার ক্ষেপে তুর্জর দিকে তেরে এলো,

তুর্জও প্রস্তুত ঝগরা করতে,সপ্না তুর্জকে টেনে নন্দিনির কাছ থেকে এক হাত দূরে নিয়ে এলো, তবে নন্দিনি নাছর বান্দা আবার তেরে জাচ্ছে দেখে সোহাম নন্দিনিকে টেনে ধরে রেখেছে, সপ্না সোহাম দুজনে দুজন কে দুদিকে টানছে,

এবার সবাই ক্লান্ত হয়ে বসে পরেছে, তাও মুখ বন্ধ নয়,
নন্দিনি হাপাতে হাপাতে বললো এই যাত্রায় বেচেঁ গেলি পরে আর পারবিনা বুইড়া,

তুর্জও নিচে বসে হাপাচ্ছে আর বলছে আজ বাড়ি ফিরেনেই তার পর দেখাবো, বলেই উঠে রুমে চলে গেলো আবার নতুন করে নিজেকে ঠিক করে চলে জেতে জেতে নন্দিনিকে ইশায় দেখালো আজ তুই শেষ।

নন্দিনিও ইশারায় বললো সময় বলবে।

বাড়িটা নিরবতা বিরাজ করছে এখন, একটু আগেতো লংকা কান্ড বাধিয়ে ছিলো, ভাবা জায় দুটোই বাচ্চাদের মত লড়ছিলো উফ এরা কি করে জানিনা তুলিটা সব শিখবে।

নন্দিনি তুলিকে নিয়েই ব্যাস্ত নন্দিনিকে না পেলে তুলি খেতে চায় না ঘুমায় না, নিজের সন্তানের মতই জত্ন নিচ্ছে নন্দিনি তুলির।

শিলা বেগম তার রুমে ইজি চেয়ার টায় বসে চশমাটা হাতে নিয়ে ঘুরাচ্ছে আর ভাবছে,

সপ্না আদা দিয়ে এক কাপ চা করে এনেছে শিলা বেগমের জন্য, কারন তার মাথা ব্যাথা করছে তা সপ্না বেশ বুঝতে পারছে।

চা টা সাইডের টেবিলে রাখতেই শিলা বেগমের ধ্যান ভংগ হল।

চশমাটা পাশে রেখে সপ্নাকে ডেকে পাশে এনে বললো, আমি ভুল করলাম না তো তুর্জের সংসার গুছাতে গিয়ে আরো এলো মেলো করে দিলাম না তো!!!!

সপ্না শিলা বেগমের হাতটা হালকা চেপে বললো না মা ভুল করেন নি তুর্জের জন্য নন্দিনি একদম পার্ফেক্ট,
দেকবেন এমন করতে করতে তারা কতটা কাছে চলে আসে তারা নিজেই জানবেনা,

তুর্জকে এবার নন্দিনিকে মেনে নিয়ে আগে এগোনো দরকার,
তুলি বড় হচ্ছে তার বাবা মা দুই চাই, আর তুর্জেরও একটা সুখের দুখের মানুষ চাই,

আপনি দেখেন নি মা আজকের ঘটনা তুর্জ কত এক্টিব ছিলো, জেনো কত ফুর্তিলা!!

শিলা বেগম হাফ ছেরে চেয়ারটায় আয়েস করে বসে চোখ বুজে নিলো,

সপ্না আর শব্দ করলোনা চুপ চাপ বেরিয়ে এলো শিলা বেগমের রুম থেকে।

সারা দিন নন্দিনি নিজের ফোনটা বন্ধ রেখেছে,কারন তার বাবা বার বার ফোন দিচ্ছে তাই
,
কেমন বাবা নিজের মেয়েকে বাচ্চা ওয়ালা পুরুষের সাথে বিয়ে দিলো তাও এত ঝগরাটে না বাবার সাথে আরি আরি,

নন্দিনির বাবা ছারাও আর এক জন ফোন দিয়েছিলো বহুবার, একটু নন্দিনির গলার আওয়াজ টা শুনবে সে আশায়,তবে বার বার ফোন বন্ধ পেয়ে হতাশ হয়ে রয়েছে,

সে আর কেও নয় নিলয়, দু চোখ পানিতে ছল ছল করছে, তার নন্দিনিকে কাল থেকে একবারও দেখতে পায় নি,

কতটা ভালোবাসে তা নন্দিনিকে কখনোই বলবেনা নিলয়,সে চায় এগিকে জাক জীবনে নন্দনি নামক মেয়েটা তার কোন অস্তিত্ব সে রাখতে চায় না,

এতটাই ভালোবাসা রুজ দেখা করে কতই না ঝগরা প্রেম তাদের।

মানুষতো হিংসাও করতো।

নন্দিনি একবার বলেছিলো নিলয় কে লিপ কিস করলে কি ঘিন্না হয় না মানুষের কেমনে করে!!
!
নিলয় বাকা হাসি দিয়ে বলেছিলো বিয়ের পর তোমায় ও কিস করব তখন দেখে নিও,

নন্দিনি তখন খুব কিল ঘুসি মেরেছিলো নিলয়ের বুকে। আর বলেছিলো মুটেও না তকে আমার ঠোটে কিস করতে দিব না কুত্তা,
খুব ঝগরাটে না জানি শশুর বাড়িতেও এমন করে।

সেই খালি বুকটায় হাত বুলাচ্ছে নিলয় তার বুকটা এখন তো খালি, একবার জদি নন্দিনির গলার আওজায়টা শুনতে পেতাম।

সন্ধায় বাসায় ফিরেছে তুর্জ হাতে অনেক চকলেট তুলির জন্য সায়মার মত তুলিও চকলেট পছন্দ করে।

রুমে ঢুকে চকলেট গুলো সাইডের টেবিলে রেখে ফ্রেস হতে চলে গেলো তুর্জ।

নন্দিনি সপ্নার রুমে আড্ডা দিচ্ছিলো,হঠৎা কিছু মনে পরতেই তুলেকে রেখে রুমের দিকে পা বারায়,

তুর্জ ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে দেখে নন্দিনি বসে একে একে চকলেট খুলছে আর খাচ্ছে,

সে তো অবাক ভেবেছিলাম সায়মার পছন্দ এখন দেখি সব মেয়েদেরই পছন্দ,
যাহ বাবা সব খেয়ে নিচ্ছে তুলি কি খাবে!!!

নন্দিনিকে তুর্জকে দেখে এক গাল হাসি দিলো, মুখ ভর্তি চকলেট কথা বলতে পারছে না ঠিক মত,
তাও মুখে চকলেট গুজেই বললো আপনিতো বেশ ভালো, আমার চকলেট পছন্দ তাই এনেছেন বুঝি,

তুর্জ ভেবাচ্যাকা খেয়ে বললো হুম আপনার জনই সকালে ঝগরায় জিতেছেন তো তাই প্রাইজ দিলাম,
নন্দিনি মুখটা ভেংচি দিয়ে আবার চকলেট খাওয়ায় মন
দিলো,
লাস্ট একটা রয়েছে এটাও খাওয়া জন্য খুলছে নন্দিনি, তুর্জ একটু নিচু গলায় বললো এটা তুলিকে দিন খেতে কাল আপনায় আরো এনে দেবো।

নন্দিনি এবার বুঝতে পারলো এগুলে তুলির জন্য ইস বুলেই গেলাম ওর কথা ওতো চকলেট খেতে পারে ছি এখন কি লোভি ভাবলো বুড়ো লোকটা,

চকলেট টা রেখে চুপ করে বেরিয়ে গেলো নন্দিনি,

তুর্জও চুপ রাগ করলোনা তো ওনি, না বললেই ভালো হত হয়তো ঝগরাটা কম করত।

মনটা খারাপ করে দিলাম ধ্যাত,

নাহ কাল অনেক গুলো আনবো জা ১ মাসেও ফুরাতে পারবেনা,
এই মেয়েতো ডায়াট করে তাও চকলেট এভাবে খায় বাবাহ।

তুর্জও পা বারায় বাহিরে দেখে আসি তুলি মা কই, আর এই মেয়েটা আবার কান্না জুরেছে কিনা…..

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here