#গল্প: নেতার মেয়ের সাথে প্রেম
#পর্ব_০৭
=====
আর ভাবতাম যদি কোনদিন মেয়েটাকে পেয়ে যায় তাহলে ওই আমার হবে জীবনের প্রথম ভালোবাসা,,, জানিনা তুমি আমার জীবনসঙ্গী হতে পারবে কিনা কিন্তু এটা জানি যে তুমি যদি আমার ছেড়ে চলে যাও তাহলে হয়তো আমি আর বাঁচতে পারবো,,,, তখন হয়তো বাঁচার ইচ্ছেটাই শেষ হয়ে যাবে,,,
√√এতো ভালোবাসো আমায়
√√এখনো তো ভালোবাসার কিছুই দ্যাখো নি
√√আচ্ছা চল
√√এখন ক্লাসে যাব
√√হ্যাঁ তা নয়তো কোথায়
√√না আজকে কোন ক্লাস করবো না চলো আজকে কোন একটা জায়গা থেকে ঘুরে আসি
√√সত্যি তুমি এখন আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে
√√হ্যাঁ যাবো
√√তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন চলো কতদিন ধরে জানো আমি ঘুরি না,,,, শুধু ক্যাম্পাস আর ঘর
√√চলো আজকে তুমি যেখানে যেতে চাইবে ওই জায়গায় আমি তোমাকে নিয়ে যাব,,,,
ঈশিতার সাথে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় বিকাল হয়ে আসলো,,, তাই ইসিতাকে ঈশিতার বাসায় নামিয়ে দিয়ে এসে আমি বাসায় চলে আসলাম,,
বাসায় আসার সাথে সাথেই টুম্পা এসে বলতে লাগল,,,
√√ভাইয়া আমাকে কিছু টাকা দে তো
√√ওরে বাবারে যেভাবে চাচ্ছিস মনে হচ্ছে আমি কত বড় কাজ করি প্রতিদিন টাকা রোজগার করি
√√ওমা টাকা রোজগার করলেই টাকা দেওয়া যায় বুঝি
√√তুমি যেভাবে এসব যাচ্ছিস তাহলে তো এটাই মনে হচ্ছে
√√আচ্ছা এখন এত কথা না বলে আমার কিছু টাকা দে
√√কি করবি তুই টাকা দিয়ে,,, আমাকে বলা যাবে
√√আমি তোর মত আজ বাজে জায়গায় টাকা খরচ করি না ,,,,
√√হয়েছে আর কোন কথা বলতে হবেনা কত দিতে হবে সেটা বল
√√বেশি না দুই হাজার টাকা দিলেই হবে
√√কি বলিস তুই দুহাজার,, এত টাকা কোথায় পাব আর এমনি আজকে কিছু টাকা ভেঙে ফেলেছি
√√আমি কিছু জানিনা তুই আমাকে টাকা দিবি
√√আচ্ছা সকালে এসে নিয়ে যাস
তারপর টুম্পা আমার রুম থেকে চলে গেলো,,, আমি জানি সকালে টাকাটা নেওয়ার পর কোন সময় কোন টাকা খারাপ কাজে ব্যবহার করে না , আর আমার মত সারাদিন ঘুরেফিরে টাকা নষ্ট করে না,,,,,,
তার পরদিন যখন ক্যাম্পাসে গেলাম তখন গিয়ে ওয়েট করছিলাম তার জন্য,,,,, মানে ঈশিতার জন্য,,,,অপেক্ষার একটি পর্যায়ে দেখা গেল ক্লাস শুরু হওয়ার টাইম হয়ে গেছে তারপরও ঈশিতা ক্যাম্পাসে আসছে না,,,, তাই অবশেষে আমি আর কোন উপায় না পেয়ে ক্লাস করতে চলে গেলাম,,,,,
ক্লাস শেষে যখন সে তার কথা চিন্তা করছিলাম তখনই বন্ধুর আসো আমার কাছে আর এসে বলতে থাকলো,,
√√কিরে তোর কি হয়েছে রে,,, সব সময় দেখি চুপচাপ থাকি কার সাথে কথা বলিস না [শাহানুর ]
√√কি নিয়ে চিন্তা করছিস এতো তাকি আমাদের বলা যাবে,,,, [রাব্বি ]
√√আজকে কলেজে আসো না তো তাই কিছু ভালো লাগছে না
√√ও আচ্ছা তাহলে এই ব্যাপার,,,, জানেমান ক্যাম্পাসে নেই তার জন্য মন খারাপ,, চিন্তা করিস না এখন বাসায় চলে যা আজকে হয়তো কোন একটা কারণে আসতে পারেনি আগামীকালকে চলে আসবে,,,, [শাহানুর ]
√√হ্যাঁ দোস্ত ঠিকই বলেছে তুই এখন বাসায় চলে যান,,,,
তারপর আমি ওদের কথা মত বাসায় চলে আসলাম,, পরদিন আবার ক্যাম্পাস আমি তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম,,, তবে আজকেও ঈশিতা আসলো না,,,
এভাবে চলে গেল সাত দিন,,, এই 7 দিনে না পেরেছি ওর সাথে কথা বলতে না পেরেছি ওর সাথে দেখা করতে,,, খুব চিন্তা হচ্ছিল ঈশিতার কিছু হয়ে গেল না তো আবার,,, ঠিক এমন সময় ঈশিতার বান্ধবী পড়ে এসে বলতে লাগল,,,,
√√কী খবর ভাইয়া কেমন আছেন
√√এইতো আল্লাহ তাআলা যেমন রেখেছে,,, তুমি কেমন আছো
√√হ্যাঁ ভালো
√√কিছু বলবে নাকি আমায়
√√হ্যাঁ ভাইয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল
√√ও আচ্ছা বল
√√ভাইয়া ঈশিতার ব্যাপারটা জানেন কিছু
√√ঈশিতার ব্যাপার জানব মানে ঠিক বুঝলাম না তুমি কি জানো ওর কি হয়েছে কেন ক্যাম্পাসে আসছে না,,,
√√ভাইয়া আপনার সাথে কথা বলার সুবাদে ঈশিতাকে ঘর থেকে আর বের হতে দেওয়া হয় না,,,,
√√কি বলছো তুমি এসব আর আমি তো ভেবেছিলাম,,, ওর মনে হয় শরীর খারাপ,,,,, আচ্ছা তুমি কি আমাদেরকে দেখা করে দিতে পারবে কোন একটা জায়গায়
√√তা হয়তো পারবো কিন্তু যদি ধরা পড়ে যায় তাহলে অনেক খারাপ কিছু হবে
√√আগে একটু দেখা করিয়ে দাও না সব দোষ আমার বলব,,,,
√√ আচ্ছা তাহলে কালকে আপনি বিকাল পাঁচটায় লঞ্চঘাটে থাকবেন,,,,
√√জানো অরিন তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেব আমার জানা নেই,,,,,
√√আরে ভাই এসব কি বলছেন,,, আমার জায়গায় আপনি থাকলে হয়তো এর থেকে বেশি কিছু করতেন,,, এমনও তো হতে পারে আমার জন্য একদিন কিছু করতে হবে,,,,
√√তা হয়তো কোন একদিন হতে পারে
√√আচ্ছা তাহলে এখন আমি যাই কাল কিন্তু ঠিক বিকাল পাঁচটায় চলে আসবেন
তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম,,,, পরবর্তী দিনে আমি আর ক্যাম্পাসের যাইনি কারণ খুব খুশি ছিলাম বিকেলে তার সাথে দেখা হবে বলে,,,, তাই আমি বিকাল চারটার দিকে লঞ্চঘাটে গিয়ে,,, একটা লঞ্চের ছাদে ঈশিতা আর অন্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,,,
পাঁচটা বাজার কিছুক্ষণ পর এমন একটা হবে আমি যা কখনো কল্পনাও করতে পারলাম না,,,, আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এমন কিছু একটা হয়ে যাবে আমার সাথে,,,,,,
তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম,,,, পরবর্তী দিনে আমি আর ক্যাম্পাসের যাইনি কারণ খুব খুশি ছিলাম বিকেলে তার সাথে দেখা হবে বলে,,,, তাই আমি বিকাল চারটার দিকে লঞ্চঘাটে গিয়ে,,, একটা লঞ্চের ছাদে ঈশিতা আর অন্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,,,
পাঁচটা বাজার কিছুক্ষণ পর এমন একটা হবে আমি যা কখনো কল্পনাও করতে পারলাম না,,,, আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এমন কিছু একটা হয়ে যাবে আমার সাথে,,,,,,
কারন একটা মেয়ে এখন সিঁড়ি বেয়ে ছাদের দিকে আসছিল ওর মুখের ঘুমটা খুলতে খুলতে ,,,, মেয়েটার চোখগুলো দেখতে একদম ইশিতার মত,,, তাই আমি শুধু মেয়েটার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম,,,,
মেয়েটার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে মেয়েটা আমার সামনে এসে দাঁড়ালো তা বুঝতে পারেনি,,, আমার কাছে মনে হচ্ছে এই মেয়েটি ঈশিতা,,, তাই আমি মেয়েটির দু গালে আমার দুটো হাত রেখে বললাম৷৷
√√ কেমন আছো ঈশিতা,,,
আমার কথার কোন উত্তর পেলাম না,, শুধু আমার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে,,, একটা সময় দেখলাম যে খুব চোখে পানি ছল ছল করছে,,, যা আমার কাছে একদম ভাল লাগছিল না,,,,
√√কি হলো তুমি কথা বলছো না কেন
√√তুমি আমাকে চিনতে পেরেছো
√√যাকে এত বেশি ভালোবাসলাম তাকে যদি চিনতে না পারে তাহলে কি হয়
√√আমি জানতাম তুমি কি আমাকে চিনতে পারবে
√√যার শরীরের ঘ্রাণ,,, মায়া ভরা দুটি চোখ,,, হিজাব পরার স্টাইল,,, আমার মুখস্ত,,,আমার খুব কাছের খুব চেনা,,, আর আমি যদি সেই মানুষটিকে না চিনি তাহলে কিভাবে হল,,, তাহলে কিভাবে সে মানুষটি আমার এত কাছের হল,,,,
√√আমি জানতাম তুমি আমাকে চিনতে পারবে আমায় বুঝতে পারবে কারণ তোমার মত আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ এত ভালবাসেনি,,,,,
ঈশিতা এই কথাগুলো বলছিল আর কান্না করছিল,,, যতগুলো কথা বলছে তার থেকে দ্বিগুন চোখের পানি ফেলেছে,,, মনে হয় চোখের পানিগুলো বহুদিন ধরে ঝরে না যা আজকে বৃষ্টি রূপে পরছে,,,
√√আচ্ছা তুমি এখন কান্না করছো কেন এখন তো আমি তোমার সামনে আছি দেখতে পারছো না,,,
√√আমি আবার কখন রান্না করলাম
√√এইতো তোমার চোখে এখনো পানি লেগে আছে
√√এই পানি কান্না নয় ,,,,
√√তাহলে
√√ওরে পাগল তোমাকে দেখার খুশিতে চোখে পানি চলে এসেছে,,, নিজের অজান্তেই
√√পাগলি একটা,,,,
√√হ্যাঁ তোমার পাগলী,,,
√√আমিও তো এটাই বলি তুমি শুধু আমার পাগলি,,,
√√আচ্ছা আমার না যেতে হবে বাসায় শুধু আম্মুকে বলে এসেছি,,,আব্বু এখনো জানেনা যে আমি বাসায় নেই,,,,
√√মাত্রই তো আসলে এখনি চলে যাবে,,,
√√কতদিন ধরে তোমায় দেখতে পারি না তাই একটু তোমাকে দেখার জন্য এসেছিলাম,,,
√√যদি আমি মরে যাই তাহলে কিছু তোমাকে এতোটুকু দেখার জন্য আসবে,,,
আমার কাছ থেকে এমন কথা শোনার সাথে সাথেই ইশিতা আমাকে জড়িয়ে ধরল আর বলতে লাগলো
√√তুমি কি জানো তুমি মরে গেলে আমি কি করবো
√√বলো একবার শুনি,,,
√√যেদিন তোমার মৃত্যু আসবে সেদিন হয়তো বিধাতা ছাড়া কেউ তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না সেই মরণ যন্ত্রণা থেকে,,,
√√হ্যাঁ এটা তো জানি
√√তোমার কবরের পাশে আমি অনেক সুগন্ধি ফুল গাছ লাগাবো আর প্রতিটা ফুলের মধ্যে থাকবে তুমি,,, যে ফুলের গন্ধে মাতাল হয়ে থাকতে পারি আমি,,,
√√বোকা মেয়েটা দেখি ভালবাসতে শিখে গেছে
√√হ্যাঁ তোমার জন্য শিখতে হয়েছে
√√কেন তোমার জীবনে আমি না আসলে কি শিখতে না
√√বিধাতা হয়তো তোমার মাধ্যমে আমাকে ভালোবাসে শেখাবে তাই আমার জীবনে তোমাকে পাঠিয়েছে
√√আচ্ছা তা না হয় বুঝলাম এখন,,, আমাকে জড়িয়ে না ধরে ভালোভাবে দাড়াও আশেপাশে মানুষ সবাই তাকিয়ে আছে
আমার কথা শুনে ঈশিতা একটু লজ্জা পেয়ে গেল,,, আর আশেপাশের কিছু মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে এটা দেখে তো মেয়েটা লজ্জায় লাল হয়ে গেল,, অবশ্য লজ্জা মুখ ঢাকতে কোন কিছু খুঁজে না পেয়ে আবার আমাদের জুড়িয়ে ধরল ,,,,
আমার আর এটা বুঝতে বাকি রইল না যে ঈশিতা খুব লজ্জা পেয়েছে,,, এভাবে প্রায় 5 মিনিট আমার বুকে থাকার পর ঈশিতা বলতে লাগলো,,,
√√শোনো এতদিন যেভাবে আমাকে ভালোবেসেছো এখনো কিন্তু ঠিক সেভাবে ভালোবাসতে হবে
√√এই দেখো আমার পাগলিটা বলে কি,,, তোমাকে ছাড়া আমি আর কাকে ভালবাসবে বলতো
√√এখন তো আমাকে দেখে ফেলেছো এখন যদি আমাকে আর তোমার ভালো না লাগে
√√তুমি জানো না আমি তোমার ওই সৌন্দর্যকে ভালোবাসিনি,,, আমি তোমাকে ভালোবেসেছি শুধু তোমাকে,,,, যেখানে শুধু তুমি ছাড়া অন্য কোন কিছু আসবে না,,,
√√আমি জানি তো তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো
√√ধন্যবাদ জানার জন্য
√√আচ্ছা এখন আমি যাই,,, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে,,, বাসায় এসে বাবা আমাকে দেখতে না পেলে আবার অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে,,,
তারপর আমি ঈশিতার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম আর ঈশিতা আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল,,,
তারপর আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,,, কারণ এমনি আমাকে মারার জন্য অনেক লোক আছে আর রাত্রিবেলা বাইরে থাকলে কি হয়ে যাবে কে জানে,,,,
এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম,,, বাসায় আসার সাথে সাথেই দেখি বাবা আজকে ড্রইং রুমের সোফায় বসে আছে,,, এটা দেখে আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম,,,
কারণ অবাক হওয়ারই কথা ভাবা কোন সময় এই সময়ে ড্রয়িং রুমে বসে থাকে না ,,,, বাবা তার নিজের ঘরে ব্যালকনিতে বসে পত্রিকা পড়ে,,,,
আমি বাসায় ঢুকার সাথে সাথেই টুম্পা দৌড়ে আমার কাছে আসলো আর এসেই বলতে লাগলো,,,
√√ভাইয়া জানিস আজকে না ঈশিতা আপুর বাবা এসেছিল আমাদের বাড়িতে,,,,,
আমি টুম্পার কাছ থেকে ঈশিতার বাবার কথাটা শুনে একটু অবাক হয়ে গেলাম কারণ উনি এসে বাবার কাছে কোনরকম ভালো কথা নিশ্চয়ই বলবেন না,,,,
তাই কোন রকম চিন্তা না করে টুম্পা কে বললাম,,,,
√√কি করেছে বাসায় এসে,,,,
√√জানিস ভাইয়া,,, উনি না বাবাকে হুমকি দিয়ে গেছে এই এলাকা থেকে চলে যেতে আর যদি তুই এলাকায় থাকিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবে,,, আর বলেছে যাতে তোকে আর কখনো কোন মেয়ের পিছনে ঘুরতে না দেখে,,,,
√√আচ্ছা কি করে যা তোর কোন চিন্তা করতে হবে না যা করার আমিই করছি,,,,
টুম্পা আমাকে এগুলো বলে ওর ঘরে চলে গেলাম আমি যখন ঘরে যেতে নিলাম তখনই বাবা মা কে ডাক দিলো আর বলতে লাগলো,,,,
√√তুই না আমাকে বলেছিলে যে তুই অ্যাক্সিডেন্ট করে মাথা ফাটিয়ে ছিস
√√হ্যাঁ বাবা,,,,
√√তা কিসের সাথে যেন এক্সিডেন্ট করেছিলি,,,,
√√ওই তো বাবা বাইক দিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলাম
হঠাৎ বাবা আমাকে এমন প্রশ্ন করছে কেন,,, নিশ্চয়ই বাবা জানতে পেরেছে যে আমি কথাটা মিথ্যা বলেছি,,, অবশেষে আমার মনে সন্দেহ তাই ঠিক হল,,,
√√আজকাল তো দেখছি খুব ভালো করে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারিস,,, ভালোই তো মিথ্যা বলতে শিখেছিস,,,
আমি বাবার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম বাবা বসেছিল সোফাতে বসে বসে পেপার পড়ছিল ঠিক এই কথাটা বলছিল আর ব্যাপারটা দেখে আমার কাছে আসছিল আর এসে বলতে লাগলো,,,,,
√√না মানে,,,,
√√কি ভেবেছিলি তুই খেয়ে মিথ্যা কথা বলবে আর আমি কোন খোঁজ খবর নিব না,,,, তুই কি ভাবিস আমি কিছুই জানিনা আমার ছেলে কার সাথে চলাফেরা করছে কোথায় যাচ্ছে আমি কিছুই খবর রাখি না,,,,
√√আসলে বাবা,,,,,
√√হয়তো টুম্পা তাকে বলেছেন আজকে ওই মেয়েটার বাবা এসেছিল আর আমাকে কিছু কথা শুনিয়ে গিয়েছে,,,,
আমি একটু অবাক হয়ে বাবাকে বললাম,,,,
√√তুমি কি চলে যাবে এখান থেকে,,,,
√√তোর কি মনে হয় আমি ভয় পেয়ে এখান থেকে চলে যাব,,, আমার ছেলে যদি চ্যালেঞ্জ করে একটা গুন্ডার মেয়েকে ভালোবাসতে পারে নিশ্চয়ই তার বাবার তার ছেলের থেকেও বেশি সাহসী,,,,,
বাবার কাছ থেকে এমন কথা শুনে আমি একটু হাসলাম আর তখন বাবা বলতে লাগলো,,,,
√√আমরা এখান থেকে যাচ্ছি না আর আমিও দেখবো তোর সাথে ওই লোকটা কি করতে পারে,,,,,, আর হ্যাঁ আরেকটা কথা কি কিন্তু বিয়ে ঈশিতা কেই করবি,,,,,,
বাবার কাছ থেকে এমন কথা শুনে আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম আর বলতে লাগলাম,,,,,
√√অনেক ধন্যবাদ বাবা তোমাকে,,,,
√√বাবা হয়েছে কি জন্য ছেলের বিপদে থাকবো না,,, আমি চাইনা ওই বাজে লোকটার কাছে হেরে যাস,,, তাও আবার তোর একটা ভালোবাসা নিয়ে যেটা কিনা খুবই পবিত্র একটা জিনিস,,,,
এই কথাগুলো বলে বাবা তার নিজের রুমে চলে গেল,,, আর আমিও আমার রুমে চলে আসলাম,,,, তার পরদিন সকালে ভাবতে লাগলাম ঈশিতার বাবা কে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়,,,
ঠিক এই মুহূর্তে মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো তাই আমি রাব্বিকে ফোন দিলাম কারণ রাব্বি ঈশিতার বাবার থেকেও খুব ক্ষমতাবান মানুষ,,,, আর আমি যতদূর জানি না কি আমার কথা কখনো ফিরবে না ,
তাই তখন রাব্বিকে একটা ফোন দিলাম আর বলতে লাগলাম,,,,,
√√হ্যালো দোস্ত কেমন আছিস
√√আরে হারামি আগে তুই বল তুই কেমন আছিস,,,,, তুই নিশ্চয়ই ভালো নেই ফোনটা রাখ আমি তোদের বাসার সামনে,,,,
রাব্বি কাছ থেকে এমন কথা শুনে অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম,,,,, আমার বাসার সামনে আর কোন কথাই বলতে দিল না আমাকে ফোনে,,,,, এসব কথা ভাবছিলাম ঠিক এই সময় রাব্বি আর আমার বন্ধুরা ঘরে প্রবেশ করল,,,, আর এসেই বলতে লাগলো,,,
√√কি হয়েছে তোর তুই কলেজে যাস না আমাদের সাথে কথা বলিস না একটা ফোনও দেস না বিকেলে আড্ডা দিতে বের হস না সমস্যা কি,,,,
রাব্বির কাছ থেকে এমন কথা শুনে একটু হাসি দিয়ে রাব্বিকে বললাম,,,,,
√√ একসাথে এতগুলো প্রশ্ন করলে কোন প্রশ্নের উত্তরটা আগে দিব তুই বলতে পারিস,,,,
√√আচ্ছা একটা একটা করে সব কটা প্রশ্নের উত্তর দে,,,
তারপর আমি আমার বন্ধুদের কে বললাম কেন আমি এতদিন ওদের সাথে যোগাযোগ করে নিই কলেজে যায়নি সবকিছু শোনার পর শাহানুর বলতে লাগলো,,
√√সবই তো শুনলাম এখন কি করবি,,,,
√√আমি তো কিছু করতে পারব না যা করবে রাব্বি যদি আমাকে একটু সাহায্য করে,,,
√√কি বলিস তুই আমি তোকে সাহায্য করব কিভাবে [=রাব্বি ]
√√তুমি সাহায্য করবে কিনা সেটা বল কিভাবে করবে সেটা আমি তোকে বলে দেব,,,,,
√√দেখ তুই আমার বন্ধু আর তোকে সাহায্য করবো না তাকে সাহায্য করবো বলতে পারিস হ্যাঁ অবশ্যই তোকে সাহায্য করবো যদি আমাকে কাছে সাহায্য মত কিছু থাকে,,,,
তারপর রাব্বিকে সবকিছু বললাম,,, কখন কি করতে হবে,,,,
√√আরে দোস্ত এটা কোন কাজ হল আমিতো সারাদিন এই কাজ নিয়েই পড়ে থাকি,,,, এখন বল তুই কখন যাবি,,,,
√√এই ধর আজকে বিকেলে,,,,
√√আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আজকে বিকেলে আমি রেডি থাকবো আমরা যেখানে আড্ডা দেই ওই জায়গায় তুই সময় মতো চলে আসিস,,,,,
তারপর আমার সব বন্ধুরা চলে গেল আর আমি বিকেলের অপেক্ষায় রইলাম,,,,,
চলবে___________________