“ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤ সূচনা_পর্ব

শরীর দেখানোর যদি এতই ইচ্ছে থাকে তাহলে তো নষ্ট গলি তে যেতে পারেন বেকার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেনো??

–পিছন থেকে এমনই কিছু কথা চিৎকার করে বললো ” প্রকাশ ” একটি মেয়েকে,,,মেয়েটি দাঁড়িয়ে পরতেই তার সামনে গিয়ে বলা শুরু করলো

প্রকাশ: এই আপনাদের মতো কিছু নারীদের জন্য না পুরো নারী সমাজ কলঙ্কিত হয়,,,পুরুষদের লালসা জাগাতে এতই ইচ্ছুক আপনি তাহলে ওড়না টা পড়েছেন কেনো না পড়লেই পারতেন আপনার কাজেই সুবিধা হতো (জোরে জোরে)

আসলে মেয়েটির ওড়না বুক থেকে অনেকটাই সরে গেছিল তাই প্রকাশ সেটা দেখতে পেয়ে এই কথা গুলো বললো প্রকাশের কথা শুনে মেয়েটি কিছু বললো না নিজের ওড়না টা ঠিক করে নিয়ে চারিপাশে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো,,,

প্রকাশ পাঁচিলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল সেই সময় মেয়েটি প্রকাশের পাশ দিয়ে ডং ডং করে হেঁটে যায়,,,আর প্রকাশ কথাগুলো বলে,,,

প্রকাশ হলো একজন বড়লোক ঘরের ছেলে ওর বাবা একজন ব্যবসায়ী কিন্তু নিজের বাবা কে বা বাবার বিসনেস কে প্রকাশ পাত্তা দেয় না,,,শহরের সবাই প্রকাশ কে তার নিজের পরিচয়ে চেনে বেশ নাম করা মাফিয়া প্রকাশ,,,কিন্তু তা শুধু গরীবদের ভালোর জন্য তাদের সমস্যা মেটানোর জন্য

প্রকাশ বসে ছিলো একটা চায়ের দোকানে,,বসে বসে গেম খেলছিল তখনই ওর চোখ গেলো সেইদিনের মেয়েটির ওপর,,,মেয়েটি আবার ও আগের দিনের মতো হেঁটে যাচ্ছে মাঝ রাস্তা দিয়ে,,,পিছনে যে একটা গাড়ি দ্রুত বেগে ওর দিকে এগিয়ে আসছে তার খেয়াল নেই,,,

প্রকাশ সঙ্গে সঙ্গে ছুটল,,, মেয়েটিকে গাড়ি টা ধাক্কা মারবে তার আগের মুহুর্তে হাত ধরে এক টান মেরে সরিয়ে নিয়ে এলো সাইডে

প্রকাশ: আরেহ বাবা মরার এতো শখ থাকলে নিজের বাড়িতে গিয়ে মরুন না,,,রাস্তায় নেমে মরার কি আছে?? লোক দেখিয়ে মরার নাটক করে কি লাভ হবে আপনার?? যত্তসব ডিসগাসটিং পিপল (চিৎকার করে)

প্রকাশ কথা গুলো বলেই পিছন ফিরে গেলো আর নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো হঠাৎই পিছন থেকে “আঁ” “আঁ” আওয়াজ শুনল আর নিজের পিঠে কাওর হাতের ছোঁয়া পেলো,,,পিছন ফিরে তাকাতেই ঐ মেয়েটিকে দেখতে পেলো,,,কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেয়েটি হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে জোর পায়ে হেঁটে চলে গেলো,,,কাগজ টা খুলে দেখলো

” ধন্যবাদ আমাকে বাঁচানোর জন্য ”

প্রকাশ: বাহবা!! আজ কাল মুখে নয় মেয়েরা লিখে ধন্যবাদ জানাচ্ছে,,,স্ট্রেঞ্জ!!

প্রকাশ মেয়েটির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো মেয়েটির চোখ দিয়ে অঝোরে জল পরছে,,কিছু না বলে এদিক ওদিক তাকিয়ে মেয়েটি দৌঁড়ে চলে গেলো,,

প্রকাশ: এভাবে কাগজে ধন্যবাদ জানানোর মানে কি!!

–কারণ মেয়েটি কথা বলতে পারে না!!

প্রকাশ পিছন ফিরে তাকালো আর চায়ের দোকানের কাকা ওর দিকে এগিয়ে এসে বলতে শুরু করলো,,,

কাকা: যে মেয়েটিকে তুমি এতগুলো কথা শোনালে সেই মেয়েটি কথা বলতে পারে না মেয়েটি ” বোবা ” ওর বাবা মা শখ করে ওর নাম রেখেছিল ” ইশারা ” কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখো আজ সত্যি এই বাপ মা মরা মেয়েটাকে ইশারায় কথা বলতে হয়,,,ওর বাবা মার অ্যাক্সিডেন্ট ও নিজের চোখে দেখেছে,,,শেষ মুহুর্তে একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়,,যেহেতু জন্মগত বোবা নয় তাই ও কানে শুনতে পায় কিন্তু কানে শুনতে পেলে ওর কষ্ট হবে কথা বলতে চাইবে তাই ডাক্তার বলেছেন ওর কানে তুলো গুঁজে রাখতে,,,সেটাই করা হয়েছে কিন্তু খুব জোরে কথা বললে ও শুনতে পায় কিংবা জোরে গান চালালে ও শুনতে পায়,,,ঠিক ঠাক শুনতে না পেলেও তোমার মুখের অঙ্গ ভঙ্গি তে বুঝতে পেরেছে তুমি ওকে ভালো কথা বলোনি তাই তো কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো,,ঠিক হলো না এটা,,,

— এই বলে চায়ের দোকানের কাকা ভিতরে চলে গেলেন,,,আর প্রকাশ ওখানে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর বললো

প্রকাশ: ” ইশারা বোবা “!!!
,
,
,
,
,
,
#আসছে 🍁⚘

#ইশারায়_ভালোবাসার_প্রকাশ 🌸❤ [ You_Are_In_My_Gesture ]
#লেখিকা_আয়েশা (কোয়েল)
#সূচনা_পর্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here