#পরানের দুলাভাই
#সেলিনা আক্তার শাহারা
#পর্ব–১৭
———————–
কিছু ক্ষন এর মধ্যেই তারা কোর্ট এর সামনে চলে আসে,
অনিকা আর সাগর গাড়ি থেকে নামার সাহস টা পাচ্ছে না কি করবে,
সাগর মনে মনে ভাবছে অনিকাকে ছারা সে বাচঁবেনা কিছুতেই না তার অনিকাকে চাই কোন বাচ্চা তার দরকার নেই,
* গত কাল রাতে অনিকা আর সাগর রুম বসে ছিলো অনিকা মাথা চুল ঠিক করছে আর সাগর তা আর চোখেই দেকছে এই ৬ মাস কেও কারো সাথে তেমন কোন কথা বলেনি, তবে লুকিয়ে কেঁদেছে দুজনই,
সাগর একটু অভিমান ও করেছে কেন রেডি হয়ে বসে ছিলো উকিল এর কাছে জাওয়ার জন্য আমিতো বলিনি যে চলো জাই!!!
অনিকাও আয়না দিয়ে সাগরকেই দেখছে চোখ মুখটা লাল কয়দিন ধরে খায়না ঠিক মত দুএক বাইট খেয়ে চলে জায় অফিস এ,
চুল গুলো অনেক বেড়ে গেছে হয়তো অনেক দিন সেলুন মারায় না,
নিরবতা ভেংগে অনিকা বলে উঠলো কাল কয়টায় জেতে হবে???
সাগর অনিকার দিকে চেয়ে রয়েছে সে হয়তো ভেবেছিলো অনিকা জেতে চাইবেনা বা সরি বলবে,
১০ টার পর পর গেলে হবে অন্য দিকে ফিরে,( সাগর)
ওহ!!( অনিকা)
অনিকা এবার চোখের পানি ছেরে বললো তা বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখেছো কি??
নাকি আগেই রেডি করে রেখেছো।
সাগর অনিকার কথায় প্রচন্ড রেগে গেলো তাই কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে জেতে নিলো,
অনিকা উঠে খপ করে হাত টা ধরে বললো শুনো!!
হুম ( সাগর)
অনিকা এবার সাগর এর কাছে গিয়ে বললো আজকের রাত টা ধার দেবে আমায়, আজ না হয় বার এ গিয়ে মদটা নাই বা খেলে,
শুধু আজকের রাতটা দাও না আমায় আর তো কোন বায়না ধরবনা দাওনা শেষ বার এর মত একটু সেই সাগর কে ফিরিয়ে প্লিজ প্লিজ সাগর এর হাত নিজের কপাল এএ নিয়ে।
সাগর শুধু অন্য দিক ফিরে উপর নিচে চাইছে কারন চোখের পানিতো আরাল করতে হবে,
আর জিব্বা দিয়ে নিজের ঠোট ভেজাচ্ছে,
সাগর তো এটা চায় নি সে তো চেয়েছে অনিকা এসে সারা জিবন এর জন্য হাতটা ধরুক শুধু আজ রাত নয় সারা টা জিবন জত দিন বেঁচে থাকব,
অনিকা এবার সাগর এর পায়ে দরে কান্না করতে করতে বলে দাও না আজ রাত টুকু আমায় কাল তো চলে জাবে, আর তো ফিরবেনা আমিও আর দরজায় দারিয়ে অপেক্ষা করবো না!!!
সাগর এবার নিজেকে সামাল দিয়ে অনিকাকে টেনে বুকে জরিয়ে নিয়েছে চোখ দিয়ে দুজন এর পানি ঝরছে,
অনিকা সাগর এর গালে কপালে একে একে ভালোবাসার পরশ দিচ্ছে, সাগর ও অনিকাকে কাছে টেনে নিয়েছে,
অনিকাকে কোলে করে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো সাগর,
তার পর অনেক ক্ষন অপলক ভাবে তাকিয়ে নিজের ভর টা অনিকার উপর ছেরে দিলো,
সারা রাত তারা ভালোবাসার এক খেলায় মেতে ছিলো,
“””
সকালে অনিকা ফ্রেস হয়ে নিজে থেকেই আগে গাড়িতে বসে ছিলো,।আর সাগর ভেবেছিলো হয়তো কাল রাতের পর সে আর এ বিষয়ে কথাই বলবে না!!!
“”
বসে আছে গাড়িতে দুজন মাথা নিচু করে,
অনেক ক্ষন পর সাগর বলে উঠলো পারবেতো থাকতে!!
আমার কথা মনে পরবে নাতো, আমি তো খুব খারাপ মানুষ সুখ তো কপাল এ নেই, মাকে খুব ভালোবাসতাম তিনি ছেরে চলে গেলো,
আর তেমায় আকরে ধরে বাচতে চাইলাম শেষ তুমিও চলে জাবে,
অনিকা এবার নিচু মাথাটা উচু করে সাগর কে দেখছে সাগর এর চোখে শুধু ভালোবাসাই দেখছে অনিকা,, তাকে আর হারানো ভয়,
অনিকা বললো তুমি তো আমায় ছারতে চাও আমিতো তোমায় বাচ্চার সুখটা দিতে পারলাম না ডিভোর্স তো তুমি চেয়েছিলে আমি না!!!
সাগর এবার অনিকার হাত চেপে ধরে বললো আমি তো রাগে না হয় বলেছিলাম তুমি তো আমায় মানাতে আসলে না আগের মত, নিজের রাগ দেখিয়ে আগে রেডি হয়ে বসে ছিলে আমিত একবার ও বলিনি তোমায় কোর্ট এ জাবো???
অনিকা সাগর এর কথা শুনছে খুব গভির ভাবে,
সাগর এবার অনিকাকে জরিয়ে ধরে বললো চাই না আমার সন্তান চাই না বংশ ধর আমি শুধু তোমায় চাই অনি শুধু তোমায় প্লিজ আমায় ছেরে জেও না ,
আমি কাল রাতে বুঝতে পেরেছি হারে হারে তোমায় ছারা আমি অপূর্ন প্লিজ অনি প্লিজ!!!
অনিকা আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না, কারন বছর পর সাগর তাকে ভালোবেসে অনি বলে ডেকেছে, বহু বছর পর তার চোখে ভালোবাসা দেখেছে,
অনেক ক্ষন পর সাগর অনিকাকে ছেরে দিয়ে অনিকার সামনে আসা চুল গুলো দুহাতে পিছনে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে গারি স্টার্ট দেয়,
অনিকা বলে উঠলো উদিকে কোথায় জাচ্ছি বাসা তো এদিকে!!!
আজ বাড়ি রাতে জাবো অনি সারা দিন ঘুরবো খাবো দাবো আর তোমায় ভালো বাসবো, কালকে তুমি এতটা আদর করলে আজ আমিই তা শুধে আসলে দেব।
অনিকা এবার কিছু টা লজ্জা পেলো,
নিতুর ৮ মাস এর পেট হাটতে খুব কষ্ট হয় শরিলের চেয়ে পেটা খুব বড় ডাক্তার বলেছে ডেলিভারিটা খুব কমপ্লিকেটেট হবে,
নিতুর কন্ডিশন তেমন ভালো না কোন স্টের্স দেয়া জাবেনা শুধু আরাম,
নিতু কোন মতে হাটতে হাটতে বারান্দায় দারিয়ে বাহিরের খুলা বাতাশ টা অনূভব করছে,
মুগ্ধ পেছন থেকে এসে হালকা জরিয়ে ধরে বললো চলো আজ তোমায় ডাক্তার এর কাছে নিয়ে জাবো!!
আজ তো ডেট না তাহলে( নিতু)
হুম জানি কিন্তু তোমার শরিল টা তেমন ভালো দেখাচ্ছে না , তাই একবার দেখিয়ে আসি,
নিতু আর কথা না বলে রেডি হয়ে নিলো,
মিতু এসে বললো আমিও আসবো কি??
নিতু মিতুর হাত ধরে বললো না আপু আম্মু আর মুগ্ধ জাবে তোমায় আর জেতে হবে না কয়দিন পর জেও আমার সাথে,
মিতু হাসি দিলো আর কথা বললো নাহ।
মিতুতো এটাই চায়,
গাড়ি নিয়ে বের হল তারা তিন জন ৫ মিনিট চলার পর মুগ্ধর ফোন আসে তার একটা জরুরি ফাইল নিয়ে এখন জেতে হবে,
ওফফ এখন কি করি!!
কেন রে কি হল??
মা আসলে এখন একটু অফিস জেতে হবে বাড়ি থেকে একটা ফাইল নিয়ে,
নিতু বলে উঠলো তাতে কি আপনি জান না, এখন সবাই বাড়িতে জাই ,, আপনি ফাইল নিয়ে অফিস চলে জাবেন আমরা ড্রাইভার কে সাথে নিয়ে আমরা চলে জাবো,
মুগ্ধ আর কিছ বললো না ফাইলটা খুব জরুরি বটে তাই, বাড়িতে গিয়ে ড্রাইভার এর সাথে নিতু আর মাকে পাঠিয়ে দিয়ে সে ফাইলটা নিতে বাসায় ঢুকে,
ফাইলটা দিয়েই সে হাসপাতালে চলে জাবে,
তাই চট পট রুমে চলে গেলো, রুম এ গিয়ে ফাইলটা হাতে নিতেই পিছন থেকে কেও মুগ্ধ কে জরিয়ে ধরেছে,
মুগ্ধের হাত থেকে ফাইল টা পরে গেলো, সে দেরি না করে পিছন ফিরে চেয়ে দেখে মিতু!!
মিতু এসব কি ফাজলামু হচ্ছে??
মুগ্ধ পর্চন্ড রেগে।
ওমা আদর করছি কারন নিতুকে তো আর পাও না তাই আমি না হয় আদর টা করে পুশিয়ে দিলাম,
মুগ্ধ এবার চরম পর্যায়ে রেগে গিয়ে কশিয়ে মিতু কে চর মারে,
মিতু এবার রেগে বললো চেয়েছিলাম একটু আদর করবো কিন্তু তুমি তা হতে দিলেনা এবার দেখো কি করি বলেই মুগ্ধ কে জুরে চেপে ধরে তার ঠোট এর কাছে নিজেকে নিয়ে গেলো,
মুগ্ধ মিতুকে সরাতে ওর দুই বাহুতে চেপে ধরে টান দিয়ে সরাবে তার আগেই দরজার বাহিরো চিৎকার এর শব্দ পায়।।
কি করছেন আপনি??
নি নি নিতু বৌ তুমি তুমি মানে এসো আগে আমার কথা শুনো প্লিজ…. ( মুগ্ধ নিতুর কাছে জেতে জেতে)
★* একটু আগে তারা হাসপাতে রৌনা দিলে ডাক্তার এর পিএ কল দিয়ে জানায় আজ ডাক্তার আসবেন না আপনারা কালকে আসুন/ নিতু আর মুগ্ধকে কল দিয়ে বললো না ভাবলো বাসায় গিয়ে কল করো জানাবো,★**
আর বাড়ি এসে মুগ্ধ আর নিজের বোন কে এই অবস্থায় দেখলো ,
নিতু ধপ করে পেট টা ধরে ফ্লোরে স বসে মুখ চেপে কাদঁছে,
এত ক্ষনে বাড়ির সবাই চলো এসেছে।
মিত এবার মুগ্ধর আগে নিতুর কাছে গিয়ে বললো বোন আমার তর স্বামীর চরিএ ঠিক না, তরে ডাক্তার এর কাছে পাঠিয়ে দিয়ে আমার ঘরে ডেকে এনে বললো তার আমায় চাই আরো নোংরা কথা,
আমি রাজি না হলে ও আমায় জোর করে বলে মিতু কাদঁছে”””””
মুগ্ধ বাকরোদ্ধ মিতুর কথায় ছি কত নষ্টা মেয়ে হলে এমন কাজ করতে পারে।
নিতু কোন কথাই বলছে না সে উঠতে চেষ্টা করছে , কিন্তু পেরে উঠছে না তাই মুগ্ধ হাত বারিয়ে ধরতে গেলে তার হাত এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে নিতু বলে উঠলো ছি ছি লজ্জা করে না আপনার,!!!
বৌ থাকতে ওহহ হ্যা আমায় তো কাছে পান না তাি আপনার কষ্ট হত,, তাই ছি ছি এক দম আমার কাছে আসবে না আমায় ছোবেন না ঘিন্না হয় আপনায় ঘিন্না,
মুগ্ধর চোখ বেয়ে পানি ঝরছে,
মিতু এবার নিতুকে টেনে উঠিয়ে দিচ্ছে, নিতু ও মিতুকে হাত বারিয়ে দিয়েছে,
তার মানে কি সে মিতুকেই কিনা বিশ্বাস করলো!! একমনে দেখছে আর ভাবছে মুগ্ধ/
আবার ও সে নিতুকে বললো বৌ তুমি ভুল করছো আমি কি…. শেষও করতে দেয় নি কথাটা নিতু চিৎকার দিয়ে বলে এক দম আমার কাছে আসবেন না এক দম না,
এত জুরে চিৎকার দিয়েছে সে তার পেট চেপে ধরে মাগো বলে চিৎকার করে দেয় নিতু,
বাড়ির সবাই এখন নিতুকে নিয়ে চিন্তায় পরে গেলো,,
পেট ব্যাথায় নিতু কুকরিয়ে উঠেছে ফ্লোরে রক্তে ভেসে গেছে,
মুগ্ধ এবার নিতু বলে নিতুকে জরিয়ে ধরে, নিতু এত ব্যাথার মধ্যেও বলে উঠলো ছোবেন না আপনার নোংরা হাতে আমায় ও আমার বাচ্চা থাকা পেট ওও,,
মুগ্ধ এবার হাত বাড়িয়েও জেতে পারছেনা কারন নিতু আরে চিৎকার করছে,
তাই বিলাশ দৌড়ে এসে নিতুকে কোলে নিয়ে নিলো,
বাড়ির সবাই নিতুর পিছন এএ ছোটছে,,,
মুগ্ধ জেনো তার শরিলে কোন শক্তি পাচ্ছে না এই ২ মিনিট এর মধ্যে কি হল তা সে কল্পনা করছে, নিতুর ব্যাবহারে সে আহত হয়েছে,
মিতু এবার দুকদম চলে আবার রুম দরজার কাছে এসে বললো কেমন দিলাম শুনি,,চুপ চাপ আমায় মেনে নিতে তাহলে এমন হত না,,, হেসে হেসে।
মুগ্ধ এবার পা চালিয়ে মিতু কাছে গিয়ে তার মুখটা চেপে ধরে বললো ডায়নি তুই যেটার জন্য আমার পিছন এএ ঘুর ঘুর করছিস তা আমার কাছে নেই,,, তা নিতুর কাছেই আছে……..
মিতু অবাক হয়ে রইলো আমার কি চাই তা তুমি কি করে জানলে???
চলবে