#প্রেম_পড়শী
#পর্ব_৩ (প্রশ্নোত্তর)
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ
[প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত]
শফিক সাহেব মাহফুজ সাহেবের ভার্সিটির সিনিয়র ভাই ছিলেন, অন্যদিকে রুমা ছিল মাহফুজ সাহেবের কাকাতো বোন ও সমবয়সী বন্ধু। এরপর যখন রুমার সাথে শফিক সাহেবের প্রণয় বিয়েতে গড়ায়, মাহফুজ সাহেবের সাথে শফিক সাহেবের সম্পর্ক আরও জোড়াল হয়। মাহফুজ সাহেব স্বল্পভাষী অথচ মিষ্টভাষী, অন্যদিকে শফিক সাহেব ছিলেন তার উলটোটা। প্রচুর কথা বলতেন কিন্তু কথায় রস সামান্যও ছিল না। এজন্য তার ছিল খোলামেলা প্রেমের সম্পর্ক, পুরো এলাকা জানত। এদিকে মাহফুজ সাহেব দীর্ঘ সাড়ে চার বছর শেফার সাথে সম্পর্কে ছিলেন, তা কেউই বুঝতে পারেনি। বুঝতে পারলেন তখন, যখন তিনি চাইলেন। একদিন হুট করে এসে শফিক সাহেবকে বলে বসেন,
-“শফুদা, আমি বিয়ে করতে চাইছি। তুমি কি বিষয়টা আমার আব্বা-আম্মাকে জানাবে? বাড়ির জামাই তুমি, তোমার কথা ফেলবে না কেউ।”
শফিক সাহেব বিষয়টা বাড়িতে জানান। সবাই হাসিমুখেই শেফার বাড়িতে প্রস্তাব নিয়ে যায়। এই-যে অমিল! এই এত এত অমিলের মাঝেও বেশ বড়ো-সড়ো কিছু দিকে দুজনেরই ভারি মিল ছিল। সবচেয়ে বড়ো কথা—স্বভাবে বিপরীত দুটো মানুষের মতের ছিল শতভাগ অভেদ।
তারা দুজনেই ছিলেন সৎ, মেধাবী ও নিজের মতকে প্রাধান্য দেওয়া মানুষ। তারা একসময় বুঝতে পারেন—অন্যের অধীনে কাজ করা সম্ভব নয়, কেননা তারা কারো নির্দেশ মান্য করতে পারেন না। তাই রুমা আর শফিক সাহেবের বিয়ের পর, একদিন নিজেদের জমানো সামান্য পুঁজি নিয়ে একটা ছোটো-খাটো ব্যবসায় নামেন। সেই ব্যবসা টিকল বোধ করি মাস তিনেক। সুবিধায় আসতে পারেন না কেউই। তারপর ধরলেন খাবারের ব্যবসা। তাতেও মন মজছিল না। এভাবে চলতে থাকল বছর চারেক। অবশেষে তারা স্থায়ী সিদ্ধান্ত হিসেবে কাপড়ের ব্যবসাকে বেছে নিলেন।
তারা দেখলেন—গ্রামে থেকে ঠিক জমছে না। শহরে যেতে হবে। ফ্যামিলিকে ময়মনসিংহে রেখেই তারা ঢাকায় গিয়ে রইলেন আরও এক বছর। এর মাঝে রঙ্গনের জন্ম হলো। আর তারপরই ব্যবসার উন্নতির দরজা খুলে যেতে লাগল। একটা, দুটো করে শহরে বেশ কয়েকটা দোকান হয়ে গেল, হলো নিজস্ব ব্র্যান্ড।
একদিন তা নিয়ে কথা বলতে বলতেই দুজন চলে এসেছিলেন দিঘুরিয়ায়। জায়গাটা একটু শান্ত-শিষ্ট, খোলামেলা। এর আগে এখানে আসা হয়নি। দুজন মিলে সারা বিকেল, সারা সন্ধ্যা ঘুরলেন। অতঃপর দিঘুরিয়ার একদম শেষমাথায় এসে থেমে গেলেন। সেখানে একটা বড়ো-সড়ো বিল। বিলের নাম সাতনোহারা। চাঁদের আলোয় কী চমৎকারই না দেখাচ্ছিল! সচরাচর শহরের মাঝে এরকম জায়গা খুবই কম হয়। ফেরার পথে সাতনোহারার পাশে লোকালয়ের দিকটায় একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলেন। লেখা ছিল—‘জমি বিক্রি হবে।’
সে-মাসেই জমি কিনে খুবই নৈকট্যে পাশাপাশি দুটো দোতলা বাড়ি বানিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। কলোনির একদম শেষ মাথায় একই ডিজাইনের, একই সমান, একই রঙের বাড়ি। দুটো বাড়ির মধ্যাংশ খুবই নৈপুণ্যতার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে করে পেছনের দিকে পড়ে গেল সাতনোহারা। আর দু-বাড়ির মাঝের বারান্দা দুটোয় বসে এখন গভীর চিত্তে প্রেমালাপে মশগুল থাকে দুই পরিবারের ছেলে-মেয়ে; রঙ্গন আর মোহ।
মোহকে ঘুমোতে বলে রঙ্গন রুমের ভেতরে গিয়ে তৈরি হয়ে নিল। ঘড়িতে বাজে এগারোটা বত্রিশ। রঙ্গন ফোন হাতে তুলে মোহর ম্যাসেজ দেখল। রিপ্লাই করল না। এড়িয়ে গিয়ে বন্ধুদের গ্রুপে ঢুকে পড়ল। দক্ষ হাতে টাইপ করল,
-“মুহাদ অ্যান্ড আশফি! মিট মি সাতনোহারা, রাইট নাও।”
চার সদস্যের গ্রুপটিতে অহনা বাদে বাকি দুইজনই সিন করল। কেউ রিপ্লাই দিয়ে টাইম নষ্ট করল না। ১২টার মধ্যে সাতনোহারায় পৌঁছে গেল। এসে রঙ্গনকে পেছন দিক থেকে দেখতে পেল। একদৃষ্টিতে সে জলের দিকে তাকিয়ে আছে। একহাত প্যান্টের পকেটে আর অন্যহাতে সিগারেট, যা ঠোঁট স্পর্শ করছে ক্ষণে ক্ষণে। মুহাদ আর আশফি এগিয়ে গিয়ে ওর দু’ধারে দাঁড়াল।
রঙ্গন টের পেয়েছে অনেকক্ষণ আগেই। কিছুক্ষণ পর আস্তে-ধীরে বলে উঠল,
-“মামনি নেই বলে ছয় বছর আগে মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া খেলাটা ফের শুরু হয়ে গেল।”
ঘটনাগুলো রঙ্গন ব্যাখ্যা করেছিল ছাদ থেকে ফিরেই। মুহাদ আর আশফির বুঝতে সমস্যা হলো না। তারা দু’জন নিশ্চুপ রইল। হাতের সিগারেটটা শেষ হতেই সে স্থির থেকে অশান্ত হতে লাগল। দাঁতে দাঁত চেপে নিচু গলায় হুঙ্কার ছুড়ল,
-“শুয়োরের বাচ্চাকে সেদিনই গেড়ে ফেলা উচিত ছিল।”
তারপর আবার পরিবেশ শান্ত। নিজেকে স্বাভাবিক করতে রঙ্গন আরেকটা সিগারেট ধরাল। অস্থির ভঙ্গিতে পায়চারি করতে করতে সিগারেট ফুঁকতে লাগল। আশফি থেমে থেমে শুধাল,
-“অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তিটা করে ফেললে ভালো হয় না?”
রঙ্গনের পা থেমে গেল। মাথা ঘুরিয়ে আশফির দিকে তাকিয়ে বলল,
-“নিড অ্যা স্ট্রং প্ল্যানিং। এজন্যই ডেকেছি।”
মুহাদ শুধাল,
-“আন্টি নেই। এবার যদি ফেঁসে যাস, কে বাঁচাবে?”
রঙ্গন যেন কৌতুক শুনল। অধর বাঁয়ে সামান্য এলিয়ে হেসে বলল, “মামনি নেই। এবার ওকে বাঁচিয়ে দেখা আমার হাত থেকে।”
_____
সকালে মোহর ঘুম ভাঙল ফোনকলে। আটটার বেশি বাজে। রাতে বিছানায় শুতেই সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। বরাবরের তুলনায় দেরিতে ঘুম ভেঙেছে, সেই হিসেবে ঘুমটা তার বেশিই হয়েছে। সবটাই অতিরিক্ত টেনশনের জন্য। বেশি দুশ্চিন্তায় থাকলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঘুম বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
মোহ ফোন রিসিভ করে কানে তুলতেই, ওপাশ থেকে রঙ্গন বলল,
-“ম্যাম, গুড মর্নিং।”
মোহ হামি তুলে শুধাল,
-“বারান্দায় আসো।”
-“আমি তো বাড়ি নেই, সোনা।”
-“কই গেছ?”
-“অফিসে আসতে হয়েছে।”
-“ও।”
-“আচ্ছা, একটা কথা ছিল।”
-“হুম?”
-“তুমি কি আর ভার্সিটিতে যাবে না? এডমিশনের পর থেকে একমাস কোনো ক্লাসই এটেন্ড করোনি। পড়াশোনার ইচ্ছে নেই নাকি?”
-“আমার সত্যিই ইচ্ছে করে না আর।”
-“কী করতে ইচ্ছে করে?”
-“চুপচাপ বসে থাকতে ইচ্ছে করে, আকাশ দেখতে ইচ্ছে করে।”
-“বই পড়তে ইচ্ছে করে না?”
-“করে না।”
-“লিখতে?”
-“তা-ও না।”
-“লেখালিখির প্রতি বিতৃষ্ণা এলো কী করে?”
-“যখন থেকে বুঝতে শিখেছি—সব আমার ইচ্ছেমতো হয় না।”
তখনই রঙ্গনের মনে পড়ে গেল তাদের প্রণয়ের শুরুর দিকে মোহর সবচেয়ে বেশি বলা কথাটা—সব আমার ইচ্ছেমতো হবে। যখনই রঙ্গন কিছু বলত, মোহ নির্বিকার ভঙ্গিতে কেবল জবাব দিত,
-‘ইচ্ছে করছে না।’
-‘কেন?’
-‘এমনি।’
-‘সব তোমার ইচ্ছেতে হবে, মোহ?’
-‘হ্যাঁ, সব, স–ব।’
অবশেষে হতোও তাই। সব মোহর ইচ্ছেমতোই হতো। রঙ্গন প্রলম্বিত শ্বাস ফেলে কোমলভাবে বলল,
-“মামনি চাইত—তুমি পড়াশোনা করো।”
-“আম্মু চাইত, না?”
-“খু–ব।”
-“আচ্ছা। এখন ভার্সিটিতে যেতে ইচ্ছে করছে।”
-“দ্যাট’স লাইক মাই গার্ল! চটজলদি উঠে ফ্রেশ হও, খাও। আমি আসছি আধঘন্টার মধ্যেই।”
রঙ্গন ঠিক আধঘন্টা পর গাড়ি নিয়ে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। হর্ন বাজাতেই মোহ খোলা জানালার বাইরে তাকাল। হাতের ইশারায় বোঝাল,
-“আসছি।”
রুম থেকে বেরোনোর আগেই বাচ্চা ছেলেটা দৌড়িয়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। মোহর দিকে তাকিয়ে চশমা ঠিক করে বলল,
-“আপা, কোথাও যাচ্ছ?”
মোহ কিছু বলল না। পাশকাটিয়ে যেতে নিলে নাফসিন তার সামনে এসে দাঁড়ায়,
-“স্কুলে যাওয়ার আগে মা সবসময় আমাকে পেট ভরে খাইয়ে দেয়। আমার খেতে ইচ্ছে করে না। তখন মা কী যেন বলে! উম.. হ্যাঁ! সকাল পেটে বাসি বাড়ি থেকে বেরোতে নেই। ও না! বাসি পেটে সকালে বাড়ি থেকে বেরোতে নেই। সূয্যিমামুও লাঞ্চ করবে একটু পর। তোমার খিদে পাচ্ছে না?”
-“পাচ্ছে না।”
মনমরা হয়ে পড়ল নাফসিন, থুতনি গিয়ে ঠেকল বুকে। নরম স্বরে বলল,
-“কাল রাতেও খাওনি!”
-“তোমাকে ভাবতে হবে না। সামনে থেকে সরো।”
যথেষ্ট শান্ত ভঙ্গিতে মোহ কথাটা বললেও, নাফসিন খানিকটা কেঁপে উঠল। বিনাবাক্য ব্যয়ে পথ ছেড়ে দাঁড়াল। মোহকে তার ভালো লাগে, আবার অকারণেই খুব ভয় লাগে। ছোট্টো নাফসিন ধরতেই পারে না—মোহকে ভয় পাওয়ার কারণটা কী! ধমক তো এখনও খায়নি। তবে? মোহ বেরিয়ে যেতেই সে মায়ের রুমে চলে গেল।
____
মোহ সামনে এসে দাঁড়াতেই রঙ্গন গাড়ির দরজা খুলে দিলো। মোহ ভেতরে বসে সিটবেল্ট বেঁধে নিল। রঙ্গন ফের ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসল। শুধাল,
-“মন খারাপ কেন?”
মোহ গা এলিয়ে দিয়ে নিরসভাবে জবাব দিলো,
-“এমনি। কিছু কিছু মানুষ থাকে—যাদের মন খারাপেই মানায়। সুখ তাদের স্বভাববিরুদ্ধ। ভুলক্রমে একবার স্বভাব থেকে বাইরে এসে পড়লে, দুঃখ তাদের আরও গভীরে টেনে নিয়ে যায়। তার চেয়ে আমি এভাবেই ভালো আছি।”
কথাটা বলে রঙ্গনের দিকে তাকাল সে। রঙ্গন তার দিকেই তাকিয়ে আছে। মোহ আবার বলল,
-“তোমাকে এতটা দায়িত্বশীল হতে দেখে খুব ভালো লাগছে, রঙ্গন। তোমার মনে আছে—একসময় আমি তোমাকে বলতাম, আমার ইমম্যাচিউর রঙ্গনকে ভালো লাগে। মনে আছে?”
-“আছে।”
-“আর এখন বুঝতে পারছি—ম্যাচিউরিটি সম্পন্ন রঙ্গনকে খুব আকর্ষণীয় লাগে। গা শিরশির করা আকর্ষণীয়।”
-“গা শিরশির করছে, মোহ?”
রঙ্গনের চোখে-মুখে প্রবল দুষ্টুমি খেলা করে যাচ্ছে। মোহ সামান্য হেসে বলল,
-“মস্তিষ্ক ঠিক নেই তো এখন, তাই করছে না। অনুভূতিরা দুঃখের দিকে ঝুঁকেছে, তোমার দিকে তাকাতেই চাইছে না।”
রঙ্গন গাড়ি স্টার্ট দিলো। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এসে একটা ব্রিজের নিচে ব্রেক কষল। ড্রাইভিং সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে শার্টের ওপরের দুটো বোতাল খুলে নিজের ফরমাল লুকটা থেকে সামান্য বেরিয়ে এলো। দৃঢ় ও অবিচল গলায় মোহকে বলল,
-“একটা উইশ বলো।”
-“কেমন উইশ।”
-“প্রশ্ন ছাড়া।”
-“যে-কোনো উইশ?”
-“যে-কোনো, তবে বাস্তবিক। চাঁদ চাইতে পারো, পাওয়া অসম্ভব; এটা তোমার ফ্যান্টাসি। উইশ সেটা, যেটা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। অথচ আশা রাখাই যায়।”
রঙ্গনের দিকে না তাকিয়ে মোহ চোখ বন্ধ করে নিল। কিছু চাওয়ার আগেই রঙ্গন পুনর্বার বলে উঠল,
-“আমার মোহিনী অবুঝ নয়, সে এমন কিছু চাইবে না—যাতে অন্য কারো ক্ষতি হয়। কী? চাইবে না, তাই-না?”
মোহ সামান্য হাসল। ভাগ্যিস রঙ্গন সাবধান করল, নয়তো চেয়ে বসত এমনই কিছু। মোহ হাসি কমিয়ে বিরবির করে বলল,
-“এসব থেকে দূরে যেতে চাই।”
-“পারমানেন্টলি?”
-“না, মোহ এতটাও ভেঙে পড়ার মতো মেয়ে নয়। সব কিছু থেকে পালিয়ে বেড়ানো গেলেও, ভাগ্য থেকে পালানো যায় না। কিছুদিনের জন্য যেতে চাই। ফিরে এসে এসবের মুখোমুখি হব। এখন মোহ কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে, তাই-না? নিজেকে ঠিক করতে হলেও এ-বাড়ি থেকে খানিকটা সরতে হবে।”
রঙ্গন পুরোটা শুনল। মুচকি হেসে বলল,
-“রেডি থেকো, নেক্সট থার্সডে সিলেট যাব। একটা মিটিং আছে ওখানের ব্রাঞ্চে, ওটা এটেন্ড করে ঘুরে-ফিরে রোববার চলে আসব। রূশীকেও নিয়ে যাব। তবে আঙ্কেল পারমিশন দেবে কি?”
মোহ তাচ্ছিল্যের সাথে হাসল,
-“আম্মু যখন ছিল, তখন ছাদে গেলেও বলে যেতে হতো। এখন আম্মু নেই, কাকে বলব? আরেকটা মানুষ তো তার দ্বিতীয় পরিবারে ব্যস্ত, মত্ত। দাদিকে জানিয়ে যাবনি।”
রঙ্গন মোহর হাতের ভাঁজে হাত নিয়ে, সে হাতটা ওপরে তুলে শুষ্ক চুমু খেল। বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে হাতের পৃষ্ঠে বোলাতে বোলাতে বলল,
-“আমার মোহ তো ইন্সপিরেশনের ফুল প্যাকেজ ছিল। এত হতাশা মানায় না। আর দীর্ঘশ্বাস ফেলবে না। আমি কী জন্য আছি? বলেছি না সব ঠিক করে দেবো?”
-“সব ঠিক না হলেও চলবে। আমার উত্তর চাই।”
-“কোন প্রশ্নের?”
-“আমার আব্বুতে কেন ভাগ বসল? এখন আর তাকে নিজের আব্বু বলতে পারি না কেন?”
চলবে..
শব্দ-সংখ্যা: ১৭০৯
[রেসপন্স করছেন না কেন? ভালো লাগছে না গল্প? ☹️]