বস বর পর্ব ১

#বস_বর
Part-1
Writer : Eti Chowdhury
.
.
.
.
– চলো….
-কোথায়?
হুট করে যাওয়ার কথা বলায় ইতি অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে রইল। সকাল সকাল হলো কি লোকটার কে জানে।
ইতির কথার কোনো জবাব না দিয়ে রোদ বললেন,
– Just Come…..
বলেই ইতির হাত ধরে এক প্রকার টেনে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো। ইতিকে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। রোদের কর্ম-কান্ডের কোনো হুদিসই পাচ্ছে না ইতি। অবাক হয়ে হা করে থাকা ছাড়া আর কোনো কিছুই করার নেই যেনো ইতির। তবু কিছুটা নিজেকে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
– But Sir আমরা যাচ্ছি কোথায়?
রোদ ইতির কথার কোনো জবাবই দিলো না গাড়ি চালাতে শুরু করল।
রোদের থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ইতি বলল,
– একটু পরে আমার একটা মিটিং আছে। আর ডিলটা খুব Important আমাদের জন্য।
রোদ অফিসে ফোন দিলো রিমিকে,
-হ্যালো রিমি।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

– জি Sir
– আজকের আমার আর ইতির যত Appointment আর মিটিং আছে সব Cancel করে দাও।
-But Sir ইতি ম্যামের আজকের মিটিং টা তো….
– আমি যা বলছি তাই করো।
– ওকে Sir.
– আর আমরা আজ অফিসে বেক করবো না।
ইতি অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকালো তর কথা শুনে। মনে মনে বলছে উনি কি বললো এগুলো। আর মুখে বলল,
– মানে কি Sir?
– তোমার এতো কিছু বুঝতে হবে না।
ইতি সারা রাস্তা বার বার জিঙ্গেস করল কোথায় যাচ্ছে তারা কিন্তু লোকটা ইত৭র কথার কোনো জবাবই দিলেন না।
কিছুক্ষণ পর গাড়ি থামলো। রোদ ইতির হাত ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ইতি হা করে আছে। রোদ ইতিকে একটা কাজি অফিসে নিয়ে এসেছে কিন্তু কেনো? ইতির হাত ধরে টেনে তাকে ভিতরে নিয়ে গেলো। অবাক হয়ে বিষ্ময় কাটিয়ে ইতি জিজ্ঞেস করল,
– আমরা এখানে কেনো?
কিন্তু রোদ ইতির কথার কোনো উত্তর না দিয়ে অন্য কিছু মানুষের কাছে এগিয়ে গেলো। কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে হয়ত রোদের বন্ধু। সাদ নামে একজন এগিয়ে এসে বললেন,
– আসলি এতক্ষণে?
– সব রেডি তো?
– হ্যাঁ সব রেডি শুধু তোদের অপেক্ষায় ছিলাম। চল।
– চলো।
রোদ ইতিকে চলো বলতেই ইতি রোদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। বলল,
– চলো মানে? কোথায়?
– উফফ……এতো প্রশ্ন করো কেনো?
রোদ আবার ইতির হাত ধরে ভিতরে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো। আর রোদ নিজে ইতির পাশের চেয়ারটায় বসে পরল। তাদের দুজনের সামনে কাজি। বিয়ে পড়ানো শুরু হলো। ইতি কিছু বুঝে উঠার আগেই সব হয়ে যাচ্ছে। ইতি চেচিয়ে উঠল,
– করছেন কি? এসব হচ্ছে কি?
খুব শান্ত গলায় উত্তর দেয় রোদ,
– বিয়ে।
-বিয়ে মানে কি? কোনো?
– বিয়ে মানে বিয়ে। আমি তোমাকে বিয়ে করছি তাই।
– আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।
সবাই হা হয়ে ইতির দিকে তাকিয়ে রইল।
রোদ কাজি সাহেবকে বললেন,
– ১০মিনিট বসেন আমরা আসছি এখনি।
বলেই রোদ ইতিকে টেনে রুমের বাইরে নিয়ে এলেন,
রুমের বাইরে নিয়ে এসে রোদ বলল,
– তুমি আমাকে বিয়ে করবে না?
– আপনার কি মাথা ঠিক আছে কি বলছেন এসব? আপনি আমার বস আর আমি জাস্ট একজন সাধারণ ইমপ্লই আপনার কোম্পানির। তাহলে কিভাবে আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?
– ওহ….. আমি তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম আমি তোমার বস। তাহলে বসের মতোই কথা বলি।
– মানে??
– মানে তুমি হয়ত ভুলে গেছো কিন্তু আমি ভুলিনি। তুমি কোম্পানি থেকে অনেক বড় একটা লোন নিয়েছো আর কোম্পানিটা আমার।
– Sir আপনি……
ইতি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। রোদ বলল,
– তুমি আমাকে বিয়ে করতে না চাইলে আমি তোমাকে Force করবো না কিন্তু….
– কিন্তু কি?
– এখন এই মুহূর্তে টাকাগুলো ফেরত দিতো হবে তোমায়।
ইতির মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছে না। বাবার অপারেশনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে ছিলো ইতি। যা এখন প্রতিমাসে কিছু কিছু করে দিয়ে দিচ্ছে কিন্তু ইতির বা তার পরিবারের পক্ষে একত্রে এতো গুলো টাকা দেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আর এই মুহুর্তে তো একদমই সম্ভব নয়।
ইতির ভাবনায় ছেদ করে রোদ বলে,
– আই হোপ এখন আর তোমার আমায় বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই। So Lets go….
ইতি আর কিছুই বলতে পারল না বিয়েটা হয়েই গেলো। ইতির কিছুই করার ছিলো না।
রোদের বন্ধু সাদ বলল,
– Congratulations দোস্ত…..
– Thank u দোস্ত তোরা না থাকলে এতো সব কিছু সম্ভব ছিলো না।
ইতি আর রোদের সাথে কোনো কথাই বলেনি। এই মানুষটার সাথে তার একদম কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। খুব বেশি রাগ হচ্ছে। কিন্তু রাগটা কার উপর হচ্ছে তা বুঝতে পারছে না। মনে মনে ভাবছে একটা মানুষ এতো খারাপ হতে পারে। কারো দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ কারো সাথে এমনটা করতে পারে। ভাবতেই ইতির কান্না আসছে।
সাদ বলল,
– তোরা হানিমুনে কবে যাচ্ছিস??
– আগে বাসায় যাই।
বলেই ইতির দিকে তাকায় রোদ।
ইতি বাসায় যাবার কথা শুনে রোদের দিকে তাকালো। এখন কার বাসার যাবে সে? নিজের বাসায় নাকি তার বস রোদ চৌধুরীর বাসায়??
.
.
.
চলবে…….
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here