#ডার্ক ডায়মন্ড
#আফরিন ইভা
#পর্ব-০৮
_______________________
” অদৃশ্য অবয়বটা ছলছল চোখে মীরার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে হাত দিয়ে নিজের চোখের জল মুছে নিলো।
মীরার হাত টা চুমু খেয়ে নিজের বুকের বাঁ পাশে চেপে ধরলো।
মীরা আমি আর কাঁদবো না তোমাকেও কাঁদতে দেবোনা।
আমি আমার মীরাকে শুধুই ভালো বাসবো, দূর আকাশের পাখিদের মতো করে ফিরে যাবো আমাদের কিংডমে।
অদৃশ্য অবয়বটা আস্তে করে মীরার হাত টা আরাম করে রাখলো, মাথাটা চেয়ারের সাথে সোজা করে রাখলো। অদৃশ্য অবয়বের চোখে মীরাকে আজ অন্যরকম লাগছে, যেনো পৃথিবীর সব মায়া মীরার মুখের আদল খানায়। অদৃশ্য অবয়বটা মীরার পায়ে হাত ছুঁয়ালো।
মীরা কারো স্পর্শে নড়েচড়ে উঠলো।
অদৃশ্য অবয়বটা চোখ বন্ধ করে একটা পায়েল নিয়ে আসলো।
পায়েল টা সামনে এনে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে মীরার কোমল পায়ে পরিয়ে দিলো। পায়েলটা মীরার পায়ে পরিয়ে দেওয়াতে যেনো পায়েল টার সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। অদৃশ্য অবয়বটা মীরার পায়ে কোমল হাতে হাত বুলিয়ে দিলো।
অবয়বটা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি, অজান্তেই মীরার কপালে চুমু খেয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলো।
– জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে থাকা লাল চোখ বিশিষ্ট প্রাণীটা মীরার মুখপানে চোখ চড়াক গাছ করে রাগে বেশ ফুলতে ফুলতে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চলে গেলো।
“ভোরের আলো সবেমাত্র ফুটে উঠলো। বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে রোদ এসে উঁকি দিচ্ছে।
বাহিরের হিম বাতাসে মীরার চোখের পাপড়ি নড়েচড়ে উঠলো।
মীরা চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলো সূর্য্যিমামা চারদিক আলো করে রেখেছে, কিন্তু মীরার মনে এখনো কালো ঘুটঘুটে অন্ধকার।
কালো অন্ধকারের রেশ যেনো কাটতেই চাইছে না।
সন্ধ্যার পুরো ঘটনা মীরার চোখে আবারও ভেসে উঠলো। মীরার চোখ আবারও ভিজে আসছে, বিন্দু বিন্দু ঘাম কপালে এসে জমা হচ্ছে, মনে হতাশার চাপ এসে জমে যাচ্ছে। অবাধ্য মন বার-বার রুদ্র ভাই কে নিয়ে ভাবতেই ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
রুদ্র ভাইকে নিয়ে মীরা আর ভাববে না বলে ঠিক করেছে।
তা-ই মীরা নিজেকে ঠিক করবে বলে মনোস্থির করেছে।
যে-ই উঠে দাঁড়াবে তখুনি টের পেলো পায়ে কিছু একটা আছে, যেটা মীরা কে কিছু একটার সাথে আবদ্ধ করতে চাইছে।
মীরা পা’টা সামনে নিয়ে এসে যা দেখলো চোখ কপালে।
মীরা নিচে বসে পা- টা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো।
তাকিয়ে দেখলো পায়ে চমৎকার একটা পায়েল জ্বলজ্বল করছে। এমন পায়েল মীরা বাস্তবে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না।
মীরা হাত দিয়ে পায়েল টায় স্পর্শ করে দেখলো, মীরার মনটা চমৎকার এক অনুভূতিতে নেড়ে উঠলো।
মীরা পায়েল টায় গভীরভাবে তাকিয়ে দেখলো পায়েল টায় অনেক দামী দামী হিরা দিয়ে খচিত করা হয়েছে, যার মূল্য অমূল্য। এরকম একটা পায়েলের গল্প মীরা কোনো এক সময় বান্ধবীদের কাছ থেকে শুনেছে।
মীরা শুনেছে এসব পায়েল পুরনো যুগের কোনো প্রিন্স তাঁর প্রিন্সেস কে পরিয়ে দেয় যখন কোনো কিছুর শুভকামনা করা হয়।
এটা তাদের ঐতিহ্যের নিয়মের মধ্যে পরে। মীরা এটা নিয়ে একটা বইয়েও পড়েছিলো।
পায়েল টা নিয়ে ভাবতে গিয়ে মীরার কলিজা শুকিয়ে আসছে, নিঃশ্বাস আটকে আসছে।
মীরা তো সাধারণ মানুষ, তাহলে এই পায়েল মীরার পায়ে কেনো?
মীরা তো এইজীবনে কোনো পায়েল কেনেনি বা কেউ গিফটও করেনি।
তবে পায়েল মীরার খুব ছোটকাল থেকেই পছন্দের ছিলো।
কিন্তু কাউকে কখনো কিনে দিতে বলেনি নিজেও কেনেনি। তবে পায়েলটা পায়ে জড়িয়ে মীরার ভেতর ভীষণ ভালো-লাগা কাজ করছে।
মীরা রাতে একটা বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, যা ভাবলো তা আজ করতে ভার্সিটিতে যেতে হবে।
তাই মীরা পায়েল নিয়ে আর না ভেবে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নিলো।
– মীরা মা’কে বলে ভার্সিটি তে রওনা দিলো। একঘন্টার মধ্যে মীরা ভার্সিটির কলেজ গেইটে পৌঁছে গেলো।
মীরা রিকশা ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ভার্সিটির একটু ভেতরে গিয়ে শুনতে পেলো রকি নামের ছেলেটা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
তাও কিছু একটাকে নাকি রকি দেখতে পায়।
রকির পুরো শরীর নাকি রক্তশূণ্য হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে আছে।
অনেকেই হসপিটালে গিয়ে রকিকে রক্ত দিয়ে আসছে কিন্তু কোনো কিছুর উন্নতি হচ্ছে না।
হয়তো আর বাঁচবেনা।
হসপিটালে যে-ই যাচ্ছে তাকেই ধরে ধরে বলছে মীরা যেনো রকিকে একটিবারের মতো হলেও ক্ষমা করে দেয়।
” কথাগুলো শুনে মীরার মাথা ধরে এসেছে, মীরার মাথার স্নায়ুটা যেনো একদম কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
মীরা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলোনা, প্রিন্সিপালের রুমে ছুটে গেলো।
” প্রিন্সিপাল মীরা কে দেখে মিষ্টি করে হাসলো। মীরা কে বসতে বললো।”
ভার্সিটিতে মীরা খুবি মেধাবী, তাই প্রিন্সিপাল স্যার উনিও চান মীরা ইংল্যান্ডে গিয়ে বাকি পড়াশোনাটা শেষ করুক।
প্রিন্সিপাল স্যার মীরাকে আগে প্রস্তাব করলেও মীরা তখন না করেছিল কিন্তু এখন মতামত পাল্টে ফেলেছে।
মীরা দূরে কোথাও চলে যেতে চায় এখন,
যেখানে রুদ্র ভাইয়ের ছায়া পর্যন্ত থাকবে না। তাই ইংল্যান্ড যাওয়ার প্রচেষ্টা এখন।
মীরা প্রিন্সিপালের কাছে পাসপোর্ট আরো কিছু দরকারি কাগজপত্র জমা দিয়ে অফিস রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
ফাইনামি সব হয়ে গেলো বন্দোবস্ত।
মীরা চিন্তা করছে বাসায় এখন কিভাবে খবরটা জানাবে।
প্রিন্সিপাল স্যার মীরা কে বলে দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সকল গোছগাছ
কমপ্লিট করে ফেলতে।
মীরা হাঁটছে আর ভাবছে সবাইকে বুঝানো গেলেও মীরা মীরার মাকে কিভাবে কি বুঝাবে?
কিছুই যেনো বুঝতে পারছেনা মীরা।
মাথায় শুধু একটা চিন্তা এসেই ঘুরপাক খাচ্ছে কিভাবে কি জানানো যায় ।
চিন্তা করছে আজ কি কথাটা বলে দেবে মাকে না-কি একটু সময় নিয়ে বলবে মীরা।
মীরা এ নিয়ে আর ভাবতে পারছে না।
মাথাটা হঠাৎ প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে পুরো শরীরে অসহ্য রকম ব্যাথা অনুভব হচ্ছে মীরার।
একটা জিনিস মীরাকে বড্ড বেশি ভাবাচ্ছে, রোদটা মীরার একদমই সহ্য হয়না কেনো।
মীরার চামড়ায় কি কোনো ইনফেকশন দেখা দিয়েছে তাহলে, নাকি কোনো কঠিন অসুখ করলো মীরার শরীরে।
-মীরা একটা মিথ্যা হাসি ফুটিয়ে মনে মনে বললো, আমিও যে চাই চলে যেতে, হয়তো রুদ্র ভাইয়ের আড়ালে নয়তো দৃষ্টির অগোচরে। কিছুক্ষণের মধ্যে মীরা বাসায় চলে আসলো।
মাকে পেছন থেকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরলো।
“মীরার মা পেছন ফিরে তাকালো, হঠাৎ মীরা এভাবে জড়িয়ে ধরাতে উনি অবাক হলো। মীরার মা মীরার কপালে চুমু খেয়ে বললো, কিরে মা কি হয়েছে, ভার্সিটি থেকে ফিরে সোজা মায়ের বুকে।
আমার মীরার কি আজ খুব মন খারাপ হয়েছে?
মীরা মায়ের বুকে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো।
– মায়ের বুক ধক করে উঠলো।
উনি কিছুতেই বুঝতে পারছে না মীরার হঠাৎ কি হলো।
উনি মনে মনে ভাবলেন এখন মীরা কে তিনি জোর করবেন না, মেয়ে বড় হয়েছে যখন ভালো লাগবে তখনই বলবে।
জাহানারা বেগম মীরার মায়ের নাম। উনি উনার মেয়েদের সঙ্গে খুবই ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক, কখনো কোনো কিছুতে জোর করেন না।
ইরা ঐদিন মুখ ফুটে বললো রুদ্র কে তাঁর পছন্দ তাঁর সাথে এনগেজমেন্ট টা করে রাখতে চায়, জাহানারা বেগমও আর না করেননি। এক কথায় রাজী হয়ে গেলো।
উনি মীরার ব্যাপারেও না করবেন না কখনো। উনার মেয়েদের উপর উনার অনেক বিশ্বাস রয়েছে।
জাহানারা বেগম মীরার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো, মীরা লক্ষী মেয়ে, আমায় তোকে কিছুই বলতে হবে না এখন, তুই তোর সময় হলেই বলিস।
– মীরা মায়ের কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চোখ মেলে মায়ের মুখপানে তাকালো। মায়ের আদর মাখা মুখে নিজের হাত রেখে বললো, মা তুমি এতো বুঝো কেনো আমায়?
” জাহানারা বেগম মুখে হাসি ফুটিয়ে মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললো, আমার মেয়েগুলো যে সবার চেয়ে ভালো তাই।
তুই ভার্সিটি থেকে এসেছিস অনেক ক্লান্ত লাগছে তোকে, উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।
” মীরাও আর দেরি না করে নিজের রুমে গেলো। নিজের রুম টায় একটি বার চোখ বুলিয়ে নিলো। মনটা হু হু করে উঠলো। হাত থেকে ব্যাগটা রেখে লম্বা একটা শাওয়ার নিলো।
আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজের লম্বা চুলগুলো মুছছে আর ভাবছে অনেক ভালোবাসার স্মৃতি, ভালোবাসার মানুষ গুলোকে রেখে চলে যেতে হবে দূর দেশে।
হয়তো রুদ্র ভাই আর ইরা আপুর বিয়ে টা দেখা হবে না মীরার।
দেখতেও চায় না মীরা, কারণ মীরা খুব ভালো করেই জানে আর যা-ই হোক যতই ভুলে থাকুক না কেনো রুদ্র ভাই কে, তাঁর বিয়ে যে নিজের স্বচক্ষে দেখতে পারবে না কখনো।
– কিছুক্ষণের মধ্যে জাহানারা বেগম মীরার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে এসে পরম যত্নে নিজের হাতে খাইয়ে দিলো।
মায়ের আদর মাখা হাতে ভাত খাওয়াটা যে কতটা সুভাগ্য মীরা খুব করেই বুঝতে পারছে। মীরা খুব করেই অনুভব করতে পারছে দূর দেশে গিয়ে যে মায়ের আদর খুব মিস করবে।
মিস করবে বাবা কে, মিস করবে আদরের আপুকে, মিস করবে ভালোবাসার আরো কিছু মানুষকে।
সবচেয়ে যাকে মিস করবে তাঁর কথা মীরা এ-ই মূহুর্তে মনে করে নিজের মন টাকে আর বিষন্ন করতে চায় না।
জাহানারা বেগম মীরার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে মীরার মুখ নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছিয়ে চলে গেলো।
মীরা ছলছল চোখে বিষন্ন মন নিয়ে মায়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।
মীরার শরীরটা বড্ড বেশি ক্লান্ত লাগছে।
শরীরের সাথে মনের যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে তেমনি রয়েছে মনের সাথে শরীরের।
মন খারাপ হলে শরীরও খারাপ হয়।
মীরার দু-চোখ জুড়ে ক্লান্তির ঘুম নেমে এলো।
– জাহানারা বেগমের মনটা আজ খুব একটা ভালো নেই।
সন্তানের কিছু একটা হলে মা ঠিক বুঝতে পারে।
তেমনি জাহানারা বেগমও কিছু একটা বুঝতে পেরেছে মীরার যে কিছু একটা হয়েছে। কিছু একটা নিয়ে ভীষণ মন খারাপ। জাহানারা বেগম দুপুরে কিছুই খায়নি। জাহানারা বেগম কপালে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
– এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো কিন্তু এখন পর্যন্ত মীরা ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো নাম নেই। রাত ন’টা ছুঁইছুঁই।
মীরা ঘড়ির কাঁটা’র দিকে তাকিয়ে অবাক।
বিষন্ন মন নিয়ে নিচে নেমে দেখলো সবাই খাবার টেবিলে বসে মীরার জন্য অপেক্ষা করছে।
” ইরা মীরা কে দেখে বললো, কিরে ময়নার মা এই তোর সময় হলো নিচে নামবার?
সেই দুপুরে দরজা বন্ধ করে রেখেছিস আর এখন তোর সাথে দেখা হলো।
– মীরা তাঁর আদরের বোনটার মুখের আদল খানায় তাকিয়ে দেখলো কতো মায়া, মমতা তাঁর আপুর চোখে, কি করে মীরা পারবে এই বোনটার খুশি কেড়ে নিতে, তাঁর রুদ্র ভাইকে কেড়ে নিতে।
মীরা ভালোই করেছে দূরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে।
সে কখনো পারবে না তাঁর নিজের ভালোবাসার জন্য বোনের খুশি কেড়ে নিতে। আর রুদ্র ভাই তো কখনো আমাকে ভালোই বাসেনি।
আমিই সেই ছোটবেলা থেকে একতরফা ভালোবেসে আসছি রুদ্র ভাইকে।
দূর থেকেও না হয় ভালো বাসবো।
ভালোবাসা যে শুধু কাছ থেকে বাসতে হয় তা কিন্তু নয়, দূর থেকেও ভালোবাসা যায়।
কাছের ভালোবাসা হয় আবেগি
দূরের ভালোবাসা হয় সোহাগি।
যা সবাই বাসতে জানেনা, মীরা না হয় একতরফা দূরের ভালোবাসা টুকুই বেসে জীবন সার্থক করে নেবে।
” মীরা টেয়ার টেনে বসলো।”
জাহানারা বেগম মীরার প্লেটে ভাত বেড়ে দিলো।
মীরা তাকিয়ে দেখলো আজ সব মীরার পছন্দের খাবারের আইটেম রান্না করেছে, চিংড়ি মাছের ঝুল, ইলিশ ভাজি, মুরগির রোস্ট, কাবাব আরো অনেক আইটেম।
মীরা মায়ের দিকে তাকালো।
মা চোখ দিয়ে মীরা কে ইশারা করলো খেতে।
-সবাই খাওয়া শুরু করলো।
– মীরা একটু ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছে কিছুতেই গিলতে পারছে না।
গলায় ভাত যেনো আঁটকে আসছে।
মীরা আর সহ্য করতে না পেরে বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো, বাবা আমি ইংল্যান্ড চলে যাচ্ছি।
-মীরার কথা শুনে সবাই খাওয়া বন্ধ করে মীরার মুখপানে তাকিয়ে রইলো।
কারো মুখে কোনো কথা নেই।
– মীরা মা-বাবা, আপুর দিকে তাকিয়ে দেখলো সবার মুখে অন্ধকার ছায়া নেমে এসেছে। কেউ যে খুশি হতে পারেনি মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
” মীরার ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা শুনে কেউ খুশি হতে না পারলেও একজন খুবি খুশি হয়েছে, প্রাণ খুলে হাসছে আর কালো ঘুটঘুটে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে বলছে, মীরা ধন্যবাদ তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিন্সেস। তুমি নিজ থেকেই আমার কাছে আসতে চাইছো , তাই তো হওয়ার কথা ছিলো , দেখা হবে খুব তারাতাড়ি সামনাসামনি। ভালোবেসে আপন করে নিবো খুব যতনে প্রিন্সেস। তোমাকে ছাড়া এই বিষন্ন মন খুবি আনচান।
#চলবে——