~~~৮+৯~~~
#ভালোবাসার_পরিনতি
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৮
“তোকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি, তুই কি আমার ভালোবাসা বুঝিস না”
“তোর মুখে ভাইয়া ডাকটা একদম সহ্য হয় না”
“তোকে খুব বেশি ভালোবাসি ”
“তুই হাসলে মনে হয় আমি খুব সুখী ”
“আজকে অনেক সাহস নিয়ে তোকে প্রোপজ করতে গিয়েছিল কিন্তু শুনলাম তুই বিয়ে করতে রাজি হয়েছি ”
“চলে যাচ্ছি প্রিয় মানুষকে ছেড়ে ”
“এতো বছর পরে তোকে দেখতে পেয়ে যতোটা ভালো লেগেছে ঠিক ততো বেশি কষ্ট পেয়েছি তোকে কষ্ট পেতে দেখে ”
“খুব ইচ্ছে করছে তোকে বৌ করে পৃথিবীর সুখ এনে দেই কিন্তু আমি যে নিরুপায় ”
তিহানের ডায়েরিতে হাজার টা কথা লেখা আছে শুধু মাত্র ইভাকে নিয়ে । তিহান সব সময় ডায়েরিটা সাথে নিয়ে ঘুরে আর ঘুম থেকে উঠে ডায়েরির ভেতর ইভার একটা পিক আছে সেটা দেখে। আজকে ঘুম থেকে উঠে ডায়েরিটা দেখতে না পেয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগলো। ইভার রুমের দরজায় নক করলো,
-এই ইভা দরজা খুল, তাড়াতাড়ি দরজা খুল তো।
ইভা দরজা খুলে বললো,
-কি হয়েছে কি?
-সামনে থেকে সর
-কেনো?
-আমার দরকারী জিনিস খুঁজছি
-সেটা কি এটা? (ডায়েরি টা দেখিয়ে বলছে)
খপ করে ডায়েরিটা তিহান হাতে নিয়ে বললো,
-তুই আমার ডায়েরিতে কেনো হাত দিয়েছিস? অন্যের পারসোনাল কোনো কিছু দেখতে নেই তা জানিস না?
-ভাইয়া তুমি কেনো এমন করছো? তুমি কেনো বুঝো না তোমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।
-আমার জীবন নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না, আগে কোনো দিন ভাবিস নি এখন ভেবে করবি কি? যত্তসব
তিহান রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো। ইভা খাটের উপর ধপাস করে বসে পরে।
এসব কি হচ্ছে? এতো বছর পর কেনো তিহানের ভালোবাসার কথা জানলাম? শুধু মাত্র আমার জন্য তিহান ভাইয়া সবাই ছেড়ে দূরে থাকে? আবার এখনও আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে, আমি তার চোখের সামনে থাকলে বেশি কষ্ট পাবে। না আমি দ্বিতীয় বারের মতো কারো ভালোবাসায় জড়াবো না। আমি চলে গেলো সবাই ভালো থাকবে?
তিহানের মা ইভার মাথায় হাত রাখতে ইভা ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে বলে,
“কিছু কি বলবে? ”
“তোকে কিছু কথা বলবো মন দিয়ে শোন, যে স্বামী তোকে প্রেগনেন্ট অবস্থায় ডিভোর্স দিয়েছে তাকে কেনো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকবি? প্রেগনেন্ট অবস্থায় ডিভোর্স দেওয়া যাবে না, সন্তান পৃথিবীতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ডিভোর্স দিতে পারবে কিন্তু সে তোকে এতোটুকুও সময় দেয় নি, সন্তানকে অশিকার করেছে। তোর এখনও অনেক দূর পথ চলা বাকি। সিঙ্গেল মাদার হয়ে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। সমাজ তোকে ভালো ভাবে থাকতে দিবে না প্রতিদিন তোকে লড়াই করতে তাতে তোর সন্তানদের উপর খারাপ প্রভাব পরবে তাই আমি তোকে আমার ছেলের বৌ করতে চাই ”
“না ফুপি এটা হয় না ”
“কেনো হয় না?তোর কি মনে হয় তিহানক তোকে ভালোবাসবে না”?
” তিহান ভাইয়া আমাকে এখন ভালোবাসলে সেটা হবে আমাকে দয়া করে ভালোবাসা আর আমার সন্তানদের কখনও বাবার ভালোবাসা দিতে পারবে না। সমাজও অনেক কথা বলবে। ”
“না রে মা, তিহান তোকে সত্যি খুব ভালোবাসে, তোর সন্তানদের ও কখনও বাবার অভাব বুঝতে দিবে না। তুই রাজি হয়ে যা মা ”
“না না না এটা হয় না”
ইভার মা এসে বললো,
“আমার তো তোর ভালো চাই, তুই সুখী হবি”
“না মা এসব হয় না, আমি কি তোমাদের কাছে বোঝা হয়ে গেছি”
“তোর মাকে এভাবে বলিস না কষ্ট পাবে। তাদের কোনো দোষ নেই, আমি নিজে চেয়েছি তোকে বৌ করতে ” (ফুপি)
“তোমাদের কারো আমার কথা ভাবতে হবে না। এখন আমাকে একা থাকতে দেও”
ফুপি আর মা চলে গেলো। রাফিসার খেলার সাথী পেয়ে আমাকে জ্বালায় না, আগের মতো আবদার করে না আম্মু এটা এনে দেও, এটা করো। এখন সে বুঝে গেছে তার মা কিছু করতে পারবে না কিন্তু আমার সামনের দিনগুলো সন্তানদের নিয়ে থাকতে হলে কিছু করতে হবে।এমন অবস্থায় কিছু করা যাবে না বলে আমাকে তিহান ভাইয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে আপদ বিদেয় করতে চাইছে। তারা কেনো বুঝে না আমি কারো মায়ায় জড়িয়ে থাকতে চাই না।ভাবতে ভাবতে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে তাই শুয়ে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর বড় ভাইয়া এসে বললো,
-বিকেলে রেডি হয়ে থাকিস তোকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো।
-আচ্ছা।
সকালের ও-ই ঘটনার পর থেকে তিহান ভাইয়ার সাথে দেখা হয় নি।
বিকেলে রেডি হয়ে ডক্টরের কাছে যাবো তখন তিহান ভাইয়ার সাথে দেখা। আমার সাথে কোনো কথা না বলে চলে যেতে লাগলো তখন বড় ভাইয়া বললো,
-তিহান তুই কোথাও কি যাচ্ছিস?
-হ্যাঁ ভাইয়া, সামনে রাস্তার কাছে একটু ঘুরতে
-তাহলে তুই ইভাকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যা
-আচ্ছা
অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিহান ভাইয়ার সাথে গেলাম। যাওয়ার পথে কোনো কথা বলি নি
ডক্টর দেখিয়ে আসার পথে ফুসকা দেখে খেতে ইচ্ছে করলো কিন্তু সাহস করে কিছু বললাম না। তিহান রিকশা থামাতে বলে, গিয়ে অনেক ফুসকা কিনে আনলো। বাসায় এসে সবাই একসাথে ফুসকা খেতে লাগলাম তখন আবার সেই এক প্রশঙ্গ শুরু হলো তিহানের সাথে বিয়ে নিয়ে।
রুমে এসে নিজের আর রাফিসার টুকিটাকি জিনিস গুছিয়ে রাখলাম।
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমাতে গেলো। আমার চোখে ঘুম নেই সবাই ঘুমাবে সেই অপেক্ষা করতে আছি। এই বাড়িতে থাকলে কেউ আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না তাই আজকে রাফিসাকে নিয়ে চলে যাবো ।
[আমাদের সমাজে এখনও অনেক পুরুষ আছে তারা সন্তানদের কথা না ভেবে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। তাদের লোভ লালসা জন্য মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটে। আমাদের উচিৎ সে সব মেয়েদের সাপোর্ট করা তারা যেনো অতিত ভুলো সামনের দিনগুলোতে সুখী হতে পারে।
গল্পে ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবে এবং গঠন মূলক কমেন্ট করবেন তাতে গল্প লেখার আগ্রহ পাই]
চলবে,,,,,
#ভালোবাসার_পরিনতি
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_৯
সবাই ঘুমিয়ে গেছে এখনই পালানোর সময়। রাফিসা ঘুমাচ্ছে তাই ওকে কোলে নিলাম আর এক হাতে ব্যাগ নিয়েছি। প্রেগনেন্ট অবস্থায় রাফিসাকে কোলে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাও কিছু করার নেই। সন্তানদের ভালোর জন্য এতোটুকু কষ্ট সহ্য করতে হবে। রুমের দরজা আসতে করে খুলে বেরিয়ে মেইন দরজার কাছে গিয়ে দরজাটা খুললাম তখন আমার বাবা বললো,
-তুই এতো রাতে কোথায় যাচ্ছিস?
-তুমি এখনও ঘুমাও নি কেনো?
-আমরা কি তোর কেউ হই না? এতোটা পর হয়ে গেছি যে তোর সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছিস? আমরা কি তোর কোনো ক্ষতি চাচ্ছি নাকি?
-না বাবা এভাবে বলো না, আমরা জন্য তোমাদের কোনো অসুবিধায় ফেলতে চাই না।
-খুব বেশি বড় হয়ে গিয়েছিস, যা ইচ্ছে হবে তাই করবি নাকি? রুমে গিয়ে ঘুমা যা। বলে,
বাবা রাফিসাকে আমার কোল থেকে নিলে গেলো।
বাবা খুব রাগ হয়ে গেছে তাই কিছু না বলে রুমের চলে যেতে লাগলাম ,
Happy birthday to u Eva
কয়েকটা বেলুন ফাটানোর শব্দ, পিছনে ফিরে দেখি বাবা,মা,ভাইয়া, ভাবি,ফুপি,তিহান দাঁড়িয়ে আছে সাথে একটা কেক।
চোখ ঝল ঝল করছে,যারা আমাকে এতো ভালোবাসে তাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছিলাম শুধু মাত্র কারো স্মৃতি আগলে রাখার জন্য যে আমার সাথে বেইমানি করেছে।
না আমি ভুল করেছি তাদেরকে আবার কষ্ট দিয়ে। মা আমার কাছে এসে বললো,
-তুই তোর সন্তানদের কথা ভেবে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তুই কি আমার সন্তান না যে তোর কথা আমরা ভাববো না? আমরা তো তোর ভালো চাই।
-মা আমার ভুল হয়ে গেছে।
-তোর এই ভুলের শাস্তি অনেক কঠিন হবে (বড় ভাই)
-এ্যাহ্
-এ্যা না হ্যাঁ। তোর শাস্তি হচ্ছে কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দে (ছোট ভাই)
সবাই হাহাহাহ্ করে হেসে উঠলো। খারাপ সময় পরিবার পাশে থাকলে হাজারটা খারাপ সময় অতিক্রম করা যায়।
কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলাম, তিহান ভাইয়া আমার দিকে তাকায় নি।
-আজকে তিহানের জন্য তোকে ধরতে পেরেছি, তিহান তোকে দেখেছে তুই জিনিসপত্র গোছাচ্ছি (বাবা)
-তুই চলে গিয়ে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলি তাই আমরা আগে তোকে সারপ্রাইজ দিলাম। (ছোট ভাই)
-তোর বার্থডে কেক তিহান নিজে বানিয়েছে (বড় ভাই)
আমি তিহান ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম,
-ধন্যবাদ ভাইয়া। তোমার জন্য আবার পরিবারকে ফিরে পেলাম, আমার একটা ভুলে অনেক ক্ষতি হয়ে যেতো
-তোর সুন্দর জীবন নষ্ট হয়ে যাবে সেটা কি আমি চাইতে পারি নাকি?আমরা সবাই তোর ভালো চাই
-হুম, আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।।
-আচ্ছা সবার এখন ঘুমানোর দরকার, বিশেষ করে তোর। যা গিয়ে ঘুমা
যে যার মতো করে ঘুমাতে গেলো। আমিও ঘুমাতে এসেছি কিন্তু ঘুম আসছে না।
এপাশ ওপাশ করতে লাগলাম, ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করছি তাও ঘুম আসছে না। ঘড়ি দেখলাম ২:৩০টা বাজে তাই ওজু করে তাহাজ্জুদ নামাজ পরি তারপর একটু ঘুমিয়ে ফজরের নামাজ পরে ছাদে গেলাম। ছাদের অনেক গোলাপ ফুলের গাছ আছে আমার খুব ভালো লাগার জিনিস। গাছে পানি দিয়ে হাটতে শুরু করি।
তিহান ভাইয়ার আগমন ঘটে সেও নিয়মিত ফজরের নামাজ পরে। আমাকে দেখে বললো,
-তোর এই সময়ে ছাদে আসা একদম উচিৎ হয় নি, আর কখনও একা আসবি না
-জানি উচিৎ হয় নি তাও প্রকৃতির সাথে একা থাকতে ইচ্ছে হলো।
-বেবিটা আসুক তারপর তোর যতো খুশি একা থাকিস।
-আমাকে এতো ভালোবাসো তাহলে সেদিন অন্যের বৌ হতে দিয়েছিলে কেনো?
-তোকে বলার সাহস পাই নি
-সাহস করে বলে দিতে, যা হবার হতো।
-বুঝতে পারি নি তুই এতো তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে যাবি
-এখন নিজের জীবনটা গুছিয়ে নেও
-তোকে ছাড়া সম্ভব না, অনেক চেষ্টা করেছি তাও পারি নি তুই চাইলে তোকে আমার বৌ করবো
-এটা হয় না।
-কেনো হয় না? আমাকে একটা বার সুযোগ দে তোর আমি সব থেকে আমি সুখী রাখতে পারবো
-আমার দুটো সন্তান আছে তাদেরকে ছেড়ে কখনও থাকতে পারবো না আর তুমি অন্যের সন্তানের দায়িত্ব কেনোই বা নিবে?
-তোর সন্তানেরা কখনও বাবার অভাব বুঝবে না, আমি ভালো বাবা হয়ে দেখাবো।
-না ভাইয়া, চাইলে সব হয় না।
তিহান ভাইয়া আমার হাত ধরে বলে,
-শুধু একটা বার আমাকে বিশ্বাস করে দেখ, তোর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবো।
আমি হাতটা সরিয়ে দিয়ে বললাম,
-আমি প্রতিষ্ঠিত হতে চাই, কারো উপর ডিপেন্ড করে বাঁচতে চাই না কারন আমার মনে হবে সে আমাকে দয়া করছে।
-আচ্ছা সবকিছুতে তোকে আমি হেল্প করবে, আমাকে সাথে রেখে দেখিস তারপর তোর যদি মনে হয় আমি তোর বিশ্বাসের জায়গা করতে পারি নি তখন আমি সারাজীবনের জন্য তোর জীবন থেকে সরে যাবো।
-ঠিক আাছে তাই হকে, এখন তুমি সবাই বলবে যে তুমি বিয়ে করবে না
-আচ্ছা
নিচে এসে সবার জন্য চা বানালাম। মা একটু রাগারাগি করেছে কেনো রান্না ঘরে গিয়েছি তাই । আজকে আমার পছন্দের সবকিছু রান্না করেছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষন শুয়ে থেকে রেডি হয়ে বের হলাম, কাছেই একটা পার্কে ঘুরতে যাবো আমি, তিহন, রাফিসা আর তিয়াস।
বাসা থেকে বের হতে পাশের বাসার একজন আরেক জনকে আমাকে শুনে বললো,
-ডিভোর্স হয়েছে তাও কোনো লজ্জা নেই, প্রেগন্টে অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়েছে।
-হ্যাঁ, স্বামীকে ধরে রাখতে পারে নি নিশ্চয় কোনো দোষ আছে নয়তো এই অবস্থায় কেউ কি ছেড়ে দেয়।
ওদের কথা শুনে তিহান বললো,
-আল্লাহ না করুক আপনার মেয়ের সাথে যদি কিছু হয় তাকেও কি এসব কথা বলবেন?ও কি আপনার টাকায় খায় না পড়ে যে আপনার অসুবিধা হচ্ছে?
তিহানের কথা শুনে নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো তাই আমিও গিয়ে প্রতিবাদ করলাম,
-প্রেগনেট অবস্থায় বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না কেনো? কোথাও কি লেখা আছে? আর আমার দোষ আছে কি না তা আপনি জানলেন কিভাবে? কোনো নিউজ পেপারে আমার নামে লেখালেখি হয়?
-এসব বাদ দিয়ে ভালো কিছু চিন্তা করুন।
ওনাদের সাথে আর কোনো কথা না বলে আমরা পার্কে গেলাম। ওনাদের কথা শুনে খারাপ লাগলে, ঘুরতে এসে খুব ভালো লাগলো । ফুসকা ও আইসক্রিম খেয়ে সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরে গেলাম।
পরেরদিন তিহান ভাইয়া তাদের বাসায় চলে গেলো। মাঝে মাঝে দেখতে আমাকে আসতো আর প্রতিদিন খোঁজ নিতো এভাবে কেটে যায় কয়েক মাস।
[ডিভোর্সি মেয়েরা যারা প্রতিদিন এরকম আন্টি, আঙ্কেলদের কথা শুনছেন তারা সামনের দিনগুলোতে ভালো থাকতে প্রতিবাদ করুন তাতে আপনার ভালো হবে এবং সন্তানের জন্যও ভালো। অন্যের কথায় কান দিয়ে নিজেদের ক্ষতি করবেন না। সবার ভালো থাকার অধিকার আছে।
গল্পটা কেমন হচ্ছে গঠন মূলক কমেন্ট করবেন]
চলবে,