ভালোবাসার পরিনতি পর্ব ১০+১১

~~~১০+১১~~~

#ভালোবাসার_পরিনতি
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১০

রাত ১০টা সময় প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছি। মাকে ডাক দেওয়ার শক্তিটুকু পাচ্ছি না, রাফিসা ফোনে গেম খেলছে ওকে কোনো মতে বললাম,
-তোমার নানুকে ডেকে নিয়ে আসো
-আচ্ছা।
রাফিসা মাকে ডাক দেওয়ার আগে মা গরম দুধ নিয়ে আসে। আমাকে এই অবস্থায় দেখে তাড়াতাড়ি হাত থেকে দুধের গ্লাস টেবিলের উপর রেখে ভাইয়া, ভাবিদের ডেকে আমাকে হসপিটালে নিয়ে গেলো।
জ্ঞান ফিরে দেখি সবাই বাচ্চাটাকে আদর করছে। কে কোলে নিবে সেটা নিয়ে তর্ক, এ বলছে এখন কোলে নিবো আবার ও বলছে আমি কোলে নিবো। সবাই খুব খুশি।
তিহান ভাইয়া আমার পাশে বসে আছে। আমার জ্ঞান ফিরেছে দেখে তিহান সবাইকে বললো,
-ইভার জ্ঞান ফিরেছে বেবিটা ওর কাছে দেও।
মা এসে আমার কাছে বেবি দিলো।ছেলেটার মুখ দেখে সব কষ্ট এক নিমিশে ভুলে গেলাম। অনেক রাত হয়েছে তাই সবাই কিছুক্ষণ থেকে বাসায় চলে গেলো। রাতে তিহান একা থেকেছে।
খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেছে। চোখ গেলো তিহানের দিকে ও চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে। মানুষটা সত্যি আমার জন্য অনেক করেছে পরিবারের সাপোর্টর সাথে ও আমার শক্তি ছিলো। ছায়ার মতো তিহান আমার সাথে ছিলো, অনেক বার মনে করেছি ও আমাকে দয়া করছে কিন্তু না আমার ভুল ভেঙ্গেছে। তিহান যা করছে সব মন থেকে ভালোবেসে করেছে।
আমি এক ধ্যানে তিহানের দিকে তাকিয়ে আছি ওর ঘুম ভেঙ্গে গেছে আমাকে বললো,
-তোর কি অসুস্থ লাগছে?
-না, আমি ঠিক আছি।
বাবুটাও ঘুম থেকে উঠে গেছে। তিহান কোলে নিয়ে হাটছে আর কতো কথা বলছে। মনে হচ্ছে বাবা -ছেলে কথা বলছে।
-দেখ ইভা তোর ছেলের হাসি কি মিষ্টি, উম্মাহ আমার সোনা বাবা।
-হাহাহাহ্ ভাইয়া তুমি তো ওর মতো বাচ্চা হয়ে গেছো।
-একদম ভাইয়া বলবি না, ছেলের বাবা হয়ে গেলাম আর এখনও ভাই ভাই করে।
-কি বলছো এসব ভেবে বলো।
-আমি ঠিকই বলছি, ওর বাবা আমি হবো। এবার তোর আর কোনো কথা শুনবো না
-এটা হয় না।
-হয় কি না তা আমি বুঝে নিবো।
-একটা কথা ছিলো বলবো?
-তোর হাজারটা কথা শুনতে রাজি আছি, তুই বল?
-একটা স্কুলে জবের জন্য এ্যাপলাই করেছিলাম, ওনারা ইন্টারভিউ দিতে ডেকেছে।
-খুব ভালো কথা, তুই জব করলে আমার কোনো আপত্তি নেই। তোকে আমি নিজে ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে যাবো।
-তুমি খুব ভালো ভাইয়া।
-আবার ভাইয়া বললে মাইর দিবো
-হাহাহাহ্

রাফিসা এসে ভাইকে কোলে নিয়ে কতো আদর করছে। তিন্নি, তিয়াসও কম না ওরাও ছোট ভাইকে নিয়ে খুব আদর করছে। একটা বাচ্চা আসায় সবার মুখে হাসি। কিন্তু যে বাচ্চার বাবা ছিলো সে খুশি হতে পারি নি। আজও তার কথা ভাবলে চোখে পানি আসে। মা আমার পাশে বসে বললো,
-মা রে এই খুশির দিনে চোখে পানি আনতে নেই। ওরা তো তোর সব এখন আর কষ্ট পাওয়ার সময় না।
-হ্যাঁ মা আমি আর কষ্ট পাবো না।
-আমার সোনা মেয়ে

চার দিন হসপিটালে সারাক্ষণ তিহান সাথে ছিলো, অনেক করে বলেছি বাসায় যেতে কিন্তু না তার এক কথা আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে তার ছুটি হবে তার আগে না।মা,বাবা,ভাইয়া বাবুকে নিয়ে আগে গাড়িতে গিয়ে বসেছে। আমি আর তিহান হসপিটাল থেকে বের হতে চোখ গেলো রোহানের দিকে সাথে নিশিতাও ছিলো।

একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ওদের এরিয়ে যেতে লাগলাম তখন নিশিতার আমার কাছে এসে বললো,
-কেমন আছো?
-আলহামদুলিল্লাহ, আপনি?
-ভালো। সামান্য একটা কাজের মেয়ে হয়ে এতো নামি-দামি হসপিটালে কি করছো?
-সেটা আপনার না জানলেও চলবে।
রোহান এসে বললো,
-যার তার সাথে পাবলিক প্লেসে কথা বলটা আমার একদম পছন্দ না, এখান থেকে চলো।
-না দাঁড়াও শুনি ওর দিনকাল কেমন যাচ্ছে আর আমাদের বাসায় কাজের লোকের দরকার আছে ওকে রাখলে ভালো হয়।
তিহান এবার রেগে বললো,
-আপনি কাকে কাজের লোক বলছেন হ্যাঁ? জানেন আপনার স্বামীর আসল কুকীর্তি কি? এই মেয়েটা আপনার স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী।
-মানে কি?
-মানে খুব সহজ আপনার স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী যাকে কাজের লোক বলছেন সে ছিলো তাকে ঠকিয়ে আপনাকে বিয়ে করেছে এবং আপনাকেও ঠকিয়েছে মিথ্যা কথা বলে। ইভা চার মাসের প্রেগনেন্ট ছিলো তখন ডিভোর্স দিয়েছে ভাবতে পারছেন কতোটা নিচু মনের মানুষ। আপনার টাকার লোভে পরে বিয়ে করেছে এখন আপনার থেকে বেশি টাকা আওলা মেয়েকে পেলে আবার যেনো বিয়ে না করে সেদিকে নজর রাখবেন।
-তিহান চুপ করে, চলো এখন। (ইভা)
-কাজটা ঠিক করিস নি (রোহান)
-কাজটা ঠিক করেছি কি না তা আপনার থেকে জানার কোনো ইচ্ছে নেই (তিহান)
-তোমার মতো খারাপ লোকের বেবি আমি রাখাবো না, আজ-ই এবোয়শন করবো। (নিশিতা)

নিশিতা রেগে চলে যাচ্ছে, পিছনে রোহানও যাচ্ছে।

-তোমার এতোটা রাগ হওয়া দরকার ছিলো না, ওদের মতো করে তো ওরা ভালো ছিলো।
-ও তোকে কষ্ট দিবে আর আমি চোখের সামনে এসব সহ্য করতে পারবো না।
-উপর আল্লাহ একদিন ঠিক শাস্তি দিবে তো।
-আমিও চাই ওর কঠিন শাস্তি হোক
-শাস্তির আগুন তো তুমি শুরু করিয়ে দিলে
-হাহাহাহ্, এটা ওর প্রাপ্য ছিলো।

বাসায় সারাক্ষণ বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড় লেগে আছে। তিহান বাসায় এসে কিছু সময় ঘুমিয়ে আবার লেগে পড়েছে বাচ্চাদের সাথে খেলতে।
ফুপি এসে বললো,
-জানিস ইভা গত ছয় বছরে তিহানকে এরকম খুশি দেখি নি। তোর বাচ্চাদের নিয়ে আমার ঘর খুশিতে ভরে দে মা।
-ফুপি তুমি আবার শুরু করলে
-মরার আগে তোদের সুখী দেখতে চাই, আমার কথাটা শোন
-আচ্ছা তোমার কথা শুনবো, এখন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেও তো আমি ঘুমাবো।
-হুম দিচ্ছি

তিন দিন পরে রোহানের মা বাবা দেখতে এসেছে। তারাও খুব খুশি হয়েছে। রোহানের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

রাতে বাবা আর ফুপি আমার রুমে এসে বললো,
-দশ দিন পরে তোর আর তিহানের বিয়ে হবে, আমার কথার নড়চড় হবে না (বাবা)
-না বাবা আমার একটু সময় চাই।
-তোকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে, আর সময় দিতে পারবো না (ফুপি)
তিহান এসে বললো,
-ওকে বিয়ের জন্য জোর করতে হবে না আমি আমেরিকা চলে যাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি।

চলবে,,,,,

#ভালোবাসার_পরিনতি
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১১

“ইভাকে আমার সবাই অনেক বুঝিয়েছি, অনেক সময় দিয়েছি এখন আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না তাই বিদেশে চলে যাবো”
“না বাবা তুই বিদেশে যাস না, আমরা সবাই আছি তো ইভা ঠিক বিয়েতে রাজি হবে ”
“না মামা জোর করে কারো মন পেতে চাই না, যে এতোদিনে আমাকে বুঝলো না সে আর কখনো বুঝতে পারবে না, মা সকলে আমরা বাসায় চলে যাবো রেডি থেকে ”
তিহান রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। এবার ফুপি বললো,
-তোকে আর আমি জোর করবো না। জোর করে কোনো সম্পর্কে সুখী হওয়া যায় না তাই তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করতে হবে না।
-তোকে আমরা সবাই সুখী দেখতে চেয়েছি কিন্তু তুই আমাদের বিশ্বাস করতে পারলি না।
বাবা আমার রুম থেকে বেরিয়ে গেলো, ফুপিও চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেলো।
সকালে তিহান, ফুপি রেডি হয়েছে বাসায় যাওয়ার জন্য। রাফিসার সাথে তিহানের খুব ভাব। রাফিসা তিহানকে বললো,
-তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে আমাকে কে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলো?
-ফুলি তোমাকে ছেড়ে থাকতে আমারও কষ্ট হবে কিন্তু আমার অনেক কাজ আছে তাই যেতে হবে (তিহান রাফিসা আদর করে ফুলি ডাকে)
-তোমার সাথে আমিও কাজ করবো আমাকে নিয়ে যাও।
-না ফুলি, আমি কিছু দিন পরে আবার আসবো।
-আবার আসলে আমাকে নিয়ে যাবে তো।
-হুম।
তিহানের চোখ ঝল ঝল করছে। সবার সামনে নিজেকে কন্ট্রোল করছে সেটা বুঝতে পারছি।
আমি দরজার এক কোনে দাঁড়িয়ে আর আমার কোলে ছোট্ট ইশান আছে।
ছোট ভাবী আমাকে আসতে করে বললো,
-বোন আমার তুমি তিহানকে যেতে দিও না এখনো সময় আছে তিহানকে আটকাও।
-ভাবী আমি কি দ্বিতীয় বার সুখী হবে পারবো, কোনো গ্যারান্টি আছে ??
-খুব সুখী হবে, দেখেছো রাফিসার সাথে ভাইয়ার সম্পর্ক কতো ভালো। মনে হয় বাবা চলে যাচ্ছে তাই মেয়ে কাঁদছে আর বাবাও মেয়ের জন্য কাঁদছে।
বড় ভাবী বললো,
-ইভা যাও তিহানকে আটকাও।
-আচ্ছা তোমাদের সবার কথা রাখলাম।
তিহান শেষ বারের মতো ইশানকে কোলে নেওয়ার জন্য আমার কাছে এসে বললো,
“ইশানকে একটু কোলে নিবো”
“হুম নেও”
ইশানে কোলে নিয়ে খুব আদর করলো। তখন আমি সাহস করে বললাম,
“সারাজীবন বাচ্চাদের বাবার আদরে বড় করবে? ”
তিহান আমার কথা শুনে এক গাল হাসি দিয়ে বললো,
“সত্যি তুই চাস আমি ওদের বাবা হই?”
“হুম চাই তুমি তোমার ফুলি আর পুচকের বাবা হও। ”
তিহান ফুপির কাছে গিয়ে বললো,
-মা ইভা বিয়েতে রাজি হয়েছে
-সত্যি ইভা তুই রাজি হয়েছিস?
-হুম বলে রুমে চলে এলাম। দ্বিতীয় বিয়ে তাও দুটো বাচ্চা নিয়ে সহ লজ্জা তো করবেই।

বাবা বাজার থেকে এসে শুনেছে আমি বিয়ে করতে রাজি হয়েছি তাতে খুব খুশি হয়েছে। ভাই, ভাবি, মা তারাও খুশি।
এখন সবার খুশিতে আমার খুশি হয়ে গেছে। নিজের জন্য আলাদা কোনো ভালো লাগা নেই। জীবনে সব ভালো লাগার রং মুছে গেছে।অনেক দিন হলো শাড়ি পড়ি না তাই আলমারি থেকে লাল -কালো কম্বিনেশন কালারের শাড়ি বের করে পরলাম। হাতে কয়টা চুড়ি, কানে ঝুমকো আর চুলগুলো খোপা করেছি। এমন সময় বড় ভাবি এসে বললো,
-ওয়াও, এতোগুলো কিউট লাগছে। দেখি দেখি কারো নজর যেনো না লাগে বলে একটু কাজল আমার কানের পাশে দিলো।
-আরে ভাবী কি করছো? এই বুড়ো বয়সে আমার দিকে কেউ তাকাবে না আবার তো নজর।
-ইসসস্, আমার ছোট বোনটাকে দেখতে কতো সুন্দর ।
-তোমাদের মতো ভাবী যেনো সবার ঘরে হয় তাহলে আমাদের মতো মেয়ের কোনো কষ্ট থাকবে না।
-হাহাহাহ্ তোমার মতো মেয়েও যেনো সবার হয়।
-চলো তোমার সাথে রান্না করবো
-আচ্ছা চলো।
ইশানকে কোলে নিয়ে তিহানকে বললাম,
-ওনাকে নিয়ে বসে থাকেন আমার কাজ আছে।
তিহান আমার হাত টেনে ওর পাশে বসিয়ে বললো,
-তোকে শাড়ি পরলে কতোটা সুন্দর লাগে জানিস আর এতো দিন কেমন ভুতুমপেঁচা হয়ে থাকতি
-তুমি আমার নামে একটু বেশি প্রশংসা করো
-হুহ আমার কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে তোর নামে প্রশংসা করবো, যেটা সত্যি আমি সেটা বলেছি পাগলী
-হয়েছে আর বলতে হবে না। আমি রান্না করতে যাবো।
-একটু সময় আমার কাছে থাক
-না এখন সময় নেই
-একটু কি ভালোবাসা যায় না?
-বিয়ের পর সব ভালোবাসা পাবে এখন গেলাম

হঠাৎ অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হলো তাই খিচুড়ি, ইলিশ মাছ ভাজা আর গরুর গোসত রান্না করলাম দু’ভাবী আর আমি।
আমার আর তিহানের বিয়ে ঠিক হলো পাঁচ দিন পরে। ঘরোয়া ভাবে আয়োজন হবে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই একসাথে বসে লিস্টি করছে বিয়েতে যা যা কিনতে হবে।

ওদিকে রোহান আর নিশিতার সাথে খুব ঝামেলা হচ্ছে। নিশিতা সব সত্যি জানার পর রোহানকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।রোহান অনেক আকুতি মিনতি করছে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য তাই নিশিতা বলেছে ক্ষমা করতে পারে একটা শর্তে সেটা হচ্ছে বেবি এবোয়শন করবে তাহলে রোহানের সাথে থাকবে। নিশিতার সাথে থাকলে রোহান সব সম্পত্তি, বড়লোক বিলাসিতা উপভোগ করতে পারবে পাবে তাই বেবি এবোয়শন করতে রাজি হলো। নিশিতার এতো তাড়াতাড়ি বেবি নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো না এখন যখন সুযোগ পেয়েছে বেবি এবোয়শন করার তাই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ফেললো।

বিয়ের সব কেনাকাটা করা কম্পিলিট। ঘরোয়া ভাবে বিয়ের আয়োজন হলেও কেনাকাটায় কোনো কমতি নেই।
বিয়ের দুদিন আগে স্কুলে জবের জন্য এ্যাপলাই করেছে সেটার ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে তাই তিহান এসেছে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার জন্য।
ইন্টারভিউ খুব ভালো হয়েছে মনে হয় জবটা হবে। ফুপি বলেছে নাতিনাতনিদের সে সামলাবে, আমি জব করলে কোনো সমস্যা নেই। দিন শেষ আমি আর তিহান ভালো থাকলেই তারা সবাই ভালো থাকবে।

[কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। একজন বিশ্বাস ঘাতকতা করছে বলে অন্যও করবে এমন কোনো কথা নেই । আমাদের সবার ভালো থাকার অধিকার আছে তাই ভালো থাকার পথ খুঁজে বের করে ভালো থাকতে হবে।
গল্পটা কেমন হচ্ছে তা গঠন মূলক কমেন্ট করে বলবেন]

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here