ভালোবাসিনী পর্ব ৯এবং শেষ

ভালোবাসিনী…..
লেখিকা – রুবি আক্তার

পর্ব – ৯

সেদিন সকাল সকাল চলে আসলাম কলেজে। কয়েকজন রাজনৈতিক বড় ভাই তাদের সাথে দেখা করতে হবে। অনেকেই বলেছিলো আর্থিক অনুদান দিবে, তাই। আমি গেটের কাছে আসার সাথে সাথে হেনা ,সিমা আর যুথিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। সাথে অচেনা কিছু ছেলেমেয়ে। হবে হয় তো পিচ্চির ক্লাসমেট। আমি ওদের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম”এতো তাড়াতাড়ি এসে পড়েছো আজকে?”
হেনা তার হাতের অনুদানের একটা বক্স দেখিয়ে বললো” ভাইয়া, ওর কাছে যেতে না পারি তো কি। এখানে বসে তো একটু সাহায্য তো করতে পারি। আপনি তো আজ ঢাকা যাচ্ছেন। ওর জন্য এই ফল আর খাবার গুলো নিয়ে যাবেন।” সিমা আর যুথির হাতের ব্যাগ গুলো দেখালো। বুঝতে পারলাম ওরা অনেক ভালোবাসে শিউলিকে।
আমি বললাম”অবশ্যই, আর হ্যাঁ, যা ওঠে আমার বিকাশে পাঠিয়ে দিও। আমি এখন একটা জরুরি কাজে যাবো।”

বলে বিদায় নিলাম ওদের কাছ থেকে। শিউলির ভাই এসে আমার দোকানে অপেক্ষা করবে। তেমনটাই কথা হয়েছে। আমার কাজ হতে হতে প্রায় সাড়ে বারোটা। অনেক দেরী হয়ে গেছে। তবুও এর ফলে আমার বড় একটা লাভ হয়েছে। এখন মোটামুটি নব্বই হাজার টাকা মতো আমার হয়ে গেছে। এখানের ডিসি, এনডিসি, চেয়ারম্যান সহ সবাই অল্প বিস্তর দিয়েছে। তাদের অল্প মানে তো আর এক দুই হাজার না।
আমি তাড়াতাড়ি দোকানে গেলাম। দেখি পিচ্চির ভাই বসে আছে। আর অস্থির দৃষ্টিতে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি ওর কাছে গিয়ে বললাম” ভাই, সরি অনেক দেরি হলো জানি। তবে খুশির বিষয় হলো আমাদের কাছে অনেক টাকা আছে।” এই কথাটা শুনে দেখলাম ওর মুখটা আরো ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। মাথানিচু করে কাঁদছে। আমি বুঝতে পারছি না কেনো এমন কাঁদছে। তারমানে কি…? না ,আর ভাবতে পারলাম না। আমি ওর হাত ধরে ঝাকুনি দিলাম, বললাম,”এই ছেলে, পুরুষ মানুষ হয়ে কাঁদতে আছে। চলো টিকেট কাটতে হবে।”

ও আমার হাত ধরে বললো,” ভাই, আমার আফা কি আর বাঁচবে না? ডাক্তার তো বলছে আর মাত্র কয়দিন…।”বলেই হাত দিয়ে চোখ ডাকলো। শরীর মৃদু মৃদু কাঁপছে।
আমি বুঝতে পারলাম না এই পরিস্থিতিতে আমার কি বলা উচিত। তাও বললাম,” আরে বোকা, এই রোগে কেউ মারা যায় না।”কথাটা নিজের কানেই বেখাপ্পা লাগছে। কারণ এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা।
-“শোনো, এখন না উঠলে কিন্তু পি.. শিউলির অনেক কষ্ট হবে। ওকে ঔষধ রক্ত দিতে হবে না। এরজন্য তো টাকা লাগবে। আমরা যদি টাকা নিয়ে না যাই তাহলে কিভাবে কি?”
এখন একটু মনে হলো শক্ত হলো। উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ব্যাগটা কাঁধে নিলো। আর বললো” ভাইয়া,চলেন। আফারে কষ্ট পাইতে দিমু না। আল্লাহর নাম নিয়ে চলেন। আমার আফা এইবার ভালা হইবো।” দেখলাম কথাটা শেষ করে মুখে কি যেনো বিড়বিড় করছে। নিশ্চয়ই সুরা আর আল্লাহর নাম জবছে।
আমরা রওনা দিলাম যখন প্রায় গেটের কাছে। তখন সেই কথাটা মনে পড়ে গেলো।
ও গেটের কাছে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখছে আর আমি ওর অগোচরে পিছনের গেট দিয়ে চলে গেছিলাম। আর যেতে হবে না কারো অগোচরে। সেই এখন আমাদের গোচরে চলে যাবে অজানার উদ্দেশ্যে। চোখের পাতা কেমন কেঁপে উঠলো। ভারি একটা নিঃশ্বাস ফেলে মোবাইলটা হাতে নিলাম। হেনাকে ফোন করে জানালাম আমরা গেটের কাছে আছি। ওরা যেন আগায়। গিয়ে দেখলাম ওরা আসছে মহিলা হোস্টেল এর ভিতর থেকে। কাছে এসে বললো” এইযে ভাইয়া এখন পর্যন্ত মোটে হাজার হয়েছে। আর এইযে ওর জন্য জিনিস গুলো।” তা হাতে নিয়ে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসের টিকেট কাটলাম। ওরা যেই এক হাজার দিছিল তা দিয়েই। আমি যাচ্ছি না ওর অনুদানের বড় অংশে হাত দিতে পরে আমি এটাকাও পুষিয়ে দিবো।

ঢাকা নামতে নামতে রাত সাতটা। আর মেডিক্যাল এ যেতে আরো দুই ঘন্টা। সারাটা সময় মনে হতে লাগলো। পিচ্চি কি আমাকে দেখে খুশি হবে? তার সেই আগের অভিমান নিয়ে আমার সাথে কথা বলবে না। ভালোবাসিনী কিন্তু একটা অদৃশ্য সুতোর টানে আজো আমি বাঁধা।

ওকে ভর্তি করা হয়েছে মেডিকেল এর দ্বিতীয় তলায়। মহিলা ওয়ার্ডে। আমি একটু অস্বস্তিতে পড়েছিলাম সেখানে ঢোকার আগে। কিন্তু পরে ঢুকেই গেলাম। গিয়ে অনেক খুঁজতে হলো। আসলে ওর ভাইয়ের কথা মতো তেরো নাম্বার বেড। কিন্তু গিয়ে দেখি মাটিতে একটা তোশক বিছিয়ে ওকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তা তেরো না কোনো নাম্বার দেয়া নেই। যখন আমরা ওর বেডের কাছে গেলাম তখন ওর বেডের কাছে একটা পানি ভরা বালতি। থাকতেই পারে এমন । কিন্তু বড় শকটা পেলাম যখন দেখলাম ওর মা ওর বেড পরিষ্কার করছে। একটা চাদর পুরা লাল রক্তে ভরে আছে। আর ওর মা কাঁদছে আর ওকে পরিস্কার করছে। ওর কোমড় এর কাছ থেকে পায়ের সব জায়গায় খালি টকটকে রক্ত। তার রং এ বালতির পানি লাল হয়ে গেছে।
ওর মা বিড়বিড় করে বলছে,”মারে জীবনে তোর মাকে তোর কাপড় ও ধুতে দেস নাই। এখন আমি তোর এই কাপড় ধুই। তোর কি একটুও কষ্ট হয়না। ওঠ মা। আমারে আর কষ্ট দিস না।”

কিন্তু কে উত্তর দিবে। সে যে অবচেতন। একপাশে স্যালাইন আর একপাশে রক্তের ব্যাগ ঝুলানো। মুখে অক্সিজেন মাস্ক। এমনিতেই শুকনা ছিল। কিন্তু এখন ওর শরীর বিছানায় এমনভাবে মিশে আছে যে ওখানে যে একজন মানুষ আছে তা বোঝা ভার। আমি আর থাকতে পারলাম না। দ্রুত পায়ে বাইরে চলে আসলাম। একি দেখছি আমি। আল্লাহ, এই মেয়েটা কি করেছিলো যার জন্য ও এতো কষ্ট পাচ্ছে।
ততক্ষণে ওর মা আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি পিচ্চি কে ঢেকে দিয়েছিল। আমি চলে আসায় হয়তো সব ঠিক করে ফেলবে।
অনেক সময় বাদে আমি দেখলাম ওর মা বালতিতে ওর জামা কাপড় আর কি কি হাতে নিয়ে বের হচ্ছে। তখন আমি ভিতরে ঢুকলাম। ওর ভাই সেখানে ছিল।‌সে তোর বোনের কানের কাছে বসে পকেট কোরআন শরীফ পড়ছে। এই দৃশ্য দেখে বুকের ভেতর কেমন করে উঠলো। আমি তাড়াতাড়ি ওদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম।
ওর ভাই মুখ তুলে আমাকে বললো”ভাই, আম্মা কইছে, প্রতিদিন নাকি এমন হয়। আর তিন দিন ধরে জ্ঞান আসে না। সরকারি বেড দেয় নাই। পরশু দিন নামাই দিছে। বেড ভাড়া না দেওয়ায়। এইগুলো নাকি আম্মা কিন্না আনছে। কেউ এহন আর ডাক্তার ও আহে না। আব্বাও এই হাসপাতালে ভর্তি। আল্লাহ আমাগো পরীক্ষা নিতাছে। দেইখেন ভাই। আমরা এই পরীক্ষায় পাশ করমু।”
ছেলেটার কথাগুলো জানি কেমন লাগলো। ও নিজে এইটুকু একটা ছেলে তাও অনেক শক্ত কথা বলে গেছে। হয়তো গুছিয়ে বলতে পারেনি। কিন্তু যা বলেছে তাই অনেক। পিচ্চির বিছানা পাশে অনেক গুলো রিপোর্ট রাখা। আমি একে একে সব দেখলাম। যা বুঝলাম একদম লাস্ট পর্যায়ে ধরা পড়েছে। আর অবস্থা খুবই মারাত্মক। গাদা গাদা ঔষধ এর তালিকা দেখলাম ওর প্রেসক্রিপশনে। এগুলো হাতে নিয়ে আমি তাকালাম পিচ্চির দিকে। এখন ওকে ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে। এটার বড় কারণ শরীরে রক্ত না থাকা।

সেদিন আমি গিয়ে ডাক্তার কে নিজে ডেকে আনলাম। অনেক অনুরোধ করে। তার নাকি সময় নাই। এসে কোনো মতে দেখে বললো” এখন আর দেখে কি হবে। যা হওয়ার হয়েছে। খালি ঘুম পাড়িয়ে আর ব্যাথা কমানোর ওষুধ দিয়ে ওর কষ্ট একটু দূর করা যায়।”বলেই নিজের পথ ধরতে লাগলো। আমি তার পিছু পিছু যাচ্ছি আর বলছি” দেখুন, গরিব মানুষ। টাকা দিতে পারি নি তাই তার সেবা আপনারা করবেন না। এটা কেমন কথা। আর বেড় ভাড়া দিতে না পারায় ওকে ফ্লোরে নামিয়ে দিবেন। এটা কি অন্যায় না?”
-” দেখুন ন্যায় অন্যায় শিখাবেন না। এখানে আসবে দিয়া সব হয় না। অনেক ছাড় দিছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তাই ঝামেলা করবেন না।আপনি এই ওষুধ গুলো কিনে আনেন। নার্স বুঝি দিবে।” বলে হেঁটে বাইরে চলে গেল ডাক্তার। এখানে কি হচ্ছে?
ডাক্তার না কসাই। যে রক্তের ব্যাগ দেয়া ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। আর স্যালাইন হালকা আছে। আর কিছু নেই। আমি যে খাবার গুলো এনেছিলাম হেনাদের তা পিচ্চি তো খেতে পারবে না। ওর মাকে খেতে বললাম। মহিলাও ওর মতোই শুকনা। জানা আরো শুকিয়ে গেছে। বয়স্ক মহিলা স্বামী আর মেয়ের এই হাল দেখে অর্ধেক মরে গেছে। দেখলেই বোঝা যায়। সেদিন যা টাকা ছিল সব দিয়ে ওর জন্য ওষুধ আর রক্ত কিনলাম। আরো রক্ত কিনতে যেতে হবে ব্লাড ব্যাংকে। কিন্তু ওর ওষুধের দাম এতো যে রক্ত কেনার টাকা আর রইলো না। মাত্র তিন ব্যাগ কিনতে পেরেছি। আমি ওখানে তিনদিন ছিলাম। তাদের একটু হাতে হাতে সাহায্য করে দিয়েছি। এর মধ্যে হেনারা কিছু টাকা পাঠিয়েছে। তা দিয়ে রক্ত কিনে দিয়েছি। রক্ত থাকে না শরীরের। পায়ুপথে বা প্রস্রাব এর সাথে বের হয়ে যায়। এই তিনদিনে আর জ্ঞান ফিরে নাই। আমি চলে আসবো। তখন ওর মা বললো” বাপ, তুমি আমার অনেক উপকার করছো। আরেকটু করবা। ওর বাপ তো এখন সুস্থ। তারে সাথে করে নিয়ে যাবা।”

তাই শিউলির বাবা আর আমি একসাথেই ফিরে আসলাম। প্রতিদিন খবর নেই কেমন অবস্থা জানতে। কোনো উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে।

একদিন খুব রাত। কত একটা দেড়টা হবে। একটা ফোন আসলো। আমি নাম্বার টা চিনলাম না। কিন্তু ধরতেই ওপাশ থেকে ক্ষীণ একটা কণ্ঠ বলে উঠলো,” দাবি ছেড়ে দিলাম, ভুল গুলো মাফ করবেন।” এই কটা কথা বলতে প্রায় পাঁচ মিনিট লাগলো। তাতে অনেক কষ্ট আর বেদনা ছিল। কুট করে লাইনটা কেটে গেলো। আমি অনেকক্ষন মোবাইলে সেই নাম্বার এর দিকে তাকিয়ে রইলাম। কার হতে পারে। পরক্ষনেই আমি আবার নাম্বার টায় ফোন দিলে। একটা পুরুষ ধরলো। এ যে শিউলির ভাইয়ের গলা। সে ফোন ধরলো কিন্তু ছেলেটা এতো কাঁদছে কেন। কান্নার তোড়ে কথা বলতে পারছে না।
আমি অনেকক্ষন হ্যালো, হ্যালো বলার পর কে যেন ফোন ধরে বললো,” ভাই আমরা এদের পাশের বেডের লোক। এখানের মেয়েটা একটু আগেই মারা গেছে। তাই এরা কথা বলতে পারছে না।”
ওপাশে কথাগুলো শুনলাম। কিন্তু কিছুতেই মিলাতে পারলাম না। তাহলে দাবি ছাড়ালো কে? ক্ষমা চাইলো কে?

আজ এক মাস হলো শিউলি মারা গেছে। কিন্তু আজও আমার কাছে একটা রহস্য রয়ে গেল কে ফোন করে দাবি ছাড়ালো আর ক্ষমা চাইছিল। দোকানে আর বসি না। মন টিকাতে পারি না। ঢাকা থেকে লাশ যখন আসছিল তখন সেটা এক নির্মম পরিবেশ ছিল। এখনো আমি শিউলির নির্জনতা অনুভব করি। কি দোষ ছিল মেয়েটার?

একদিন ওর ভাই আমার কাছে ফোন দিয়েছিল। কিছু অবাস্তব সত্যি কথা শুনাতে। ওর জন্য নাকি ওরা জালালি খতম পড়ছিল। ওকে কষ্ট থেকে রেহাই দিতে। তার দুই দিন পর জ্ঞান ফিরেছিল। আর তখনই ও সবার সাথে অনেক কষ্টে কথা বলেছিল। পিচ্চির মা আর ওর ভাই আমার অনেক কথা বলেছিলেন।
যে আমি তাদের কত সাহায্য করেছি। তারপর নাকি আমাকে ফোন দিতে বলেছিল শিউলি। আর আমার সাথে ঐ দুইটা কথা বলেই অবচেতন হয়ে যায়। আর তার পরই শেষ নিঃশ্বাস নেয়।

এক বছর কেটে গেছে। আমি অনার্স পাশ করে বের হয়েছি। আর হেনারা তাদের এইচএসসি পাশ করেছে। হেনারা আমাকে বিদায় জানাতে একবার দোকানে আসছিল। কথায় কথায় জানালো যে শিউলির নাকি একটা এফবি একাউন্ট ছিল। কিন্তু ওর নিজের এন্ড্রয়েড ফোন না থাকায় সে মাঝে মাঝে তার বাবার অগোচরে তার ফোন দিয়ে ঢুকতো। সেটা হলো তার বাবা যখন ফোন রেখে নামাজে চলে যেতো। আমি এই কথাটা শোনার পর এক মুহুর্ত থমকে গেলাম। নামাজের সময়! আর শিউলিকে মেডিক্যাল এ ভর্তি করার আগেই আমার কাছে শুকতারার বিয়ের মেসেজ আসে। দুয়ে দুয়ে চার মিলাতে কষ্ট হলো না মোটেও। এতো দিন আমার নামাজের এলাম ঘড়ি কি তাহলে পিচ্চি! বাস্তব পিচ্চি আর অদৃশ্য পিচ্চি এর ভিতর একটা বড় পার্থক্য আমাকে এখন কষ্ট দিচ্ছে। আসলেই মেয়েটাকে যদি আমি আরো গভীর থেকে দেখতাম তাহলে হয়তো বাস্তবে ও তাকে ভালোবেসে ফেলতাম। এখন আর সেই সুযোগ নেই। পিচ্চি চলে গেছে কিন্তু তার দেয়া একটা বড় ভালো অভ্যাস আমাকে দিয়ে গেছে। সেটা হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস।

আজ আমার ভাবির বাচ্চা হবে। তাকে সিজার করা লাগবে। তাই আমি, ভাইয়া আর আম্মা সবাই অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছি যখন শুনালাম মেয়ে হয়েছে। আমরা সবাই অনেক খুশি হলাম। গিয়ে দেখি একটা ছোট গুলুমুলু বাচ্চা। গায়ের রং কালো। চোখ দুটো অনেক সুন্দর। কেনো জানি বুকে একটা উথালপাথাল হচ্ছে। এই যে আমার পিচ্চি শিউলির মতো দেখতে। আমার চোখের ভ্রম হবে হয়তো। কিন্তু ওকে কোলে নিয়েই বললাম ” কিরে পিচ্চি। কেমন আছিস। আমি তোর চাচা।”
কেনো যেন এই বাচ্চাটা আমার কোলে আরো আরামে আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম দিলো।

হুঁ, পিচ্চি আবার আমার কাছে আসছে। আমি এখন ওকে অনেক ভালোবাসি।আমার কলিজা পিচ্চি।
(সমাপ্ত)

সব নায়িকা সুন্দর কেশবতী আর ভাগ্যবতী হয় না। কিছু কিছু নায়িকা পিচ্চির মতো ও হয়। গুছিয়ে লিখতে পারি নি মাফ করবেন। অনেক চাইছিলাম সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে। কিন্তু চেষ্টার পরও হয়নি। জানি পড়ে আরাম পাবেন না। ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here