গল্প:- #মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০১+২)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
গার্লস কলেজের সামনে আম্মুর সাথে দাড়িয়ে আছি তখনি আম্মা একটা মেয়েকে দেখিয়ে বলে। আল তোকে এই মেয়েটার সাথে প্রেম করতে হবে। আর প্রেমের ফাদে মেয়েটাকে ফেলে এরপর ভাগিয়ে বিয়ে করতে হবে। আম্মার এমন কথায় আমি কিছুটা না অনেকটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি আম্মার দিকে। তখন আম্মা বলে।
আম্মা:- এমন ভাবে ডেব ডেব করে আমার দিকে না তাকিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখ। আর শোন যদি কোনো মেয়ে আমার বাড়ির বউ হই তাহলে একমাত্র এই মেয়েটা হইবে। এই নে মেয়েটার নাম আর ফোন নাম্বার মেয়েটার সাথে যেভাবে হোক রিলেশন করে বিয়ে করবি।
আল:- আম্মা আপনি কি মেয়েটাকে চিনেন?
আম্মা:- এত কিছু যানার কোনো দরকার নেই আমি যা বলছি তাই করবি। আর শোন মেয়েটা মনে হই একটা ছেলেকে ভালোবাসে। আমার মনে হই মেয়েটা তোকে পাত্তা দিবে না। কিন্তু তুই যেভাবে হোক মেয়েটাকে তোর প্রেমে বন্ধি করে ভাগিয়ে বিয়ে করবি। কি পারবি না?
আল:- আম্মার দিকে তাকিয়ে আছি কি বলবো বুঝে উঠতে পারছি না। তাও আম্মাকে বলি। আম্মা মেয়েটা অলরেডী একটা ছেলেকে ভালোবাসে সেই মেয়েটাকে কি করে আমার প্রেমে ফেলবো?
আম্মা:- আমি এত কিছু বুঝিনা তোকে যা বলছি তাই করবি। আর শোন মেয়েটার সম্পর্কে আজ থেকে তোর সব খোঁজখবর রাখতে হবে। আজ থেকে তোর কলেজ তোর কাজকর্ম সব কিছু বন্ধ। তোর একটা মাত্র কাজ সেটা হচ্ছে মেয়েটাকে তোর সাথে প্রেম করাতে রাজি করিয়ে পালিয়ে বিয়ে করতে হবে। এই নে টাচ্ মোবাইল আর পাঁচশত টাকা রাখ। এখন থেকে প্রতিদিন তোর হাত খরচ হবে পাঁচশত টাকা।
মোবাইল আর টাকা হাতে আল দাঁড়িয়ে আছে আর তখনি ওর মা চলে গেছেে। যেই একটা বাটন মোবাইলের জন্য আম্মার পায়ে পড়েছি আর সেই আম্মা আমাকে এত দামী একটা মোবাইল দিছে। আল দাঁড়িয়ে আছে আর মেয়েটাকে দেখছে। আল কাগজের দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়েটার নাম উম্মে এতিহা দেখতে বেশ লম্বা আর উজ্জল ফর্সা টাইপের গায়ের রঙ। চুল গুলি ছাড়া প্রায় কোমড়ে পড়ছে আলের পছন্দ হইছে এতিহাকে। কিন্তু এতিহা তো দাঁড়িয়ে একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। ছেলেটা দেখতে বেশ সুন্দর তবে কেনো জানি ছেলেটার চরিত্রগত ঠিক ঠাক লাগছে না। আল দেখতে শোনতে বেশ সুন্দর ওর কলেজের অনেক মেয়ে ওকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু আল রাজি হইনি। আল এতিহার নাম্বার সেইব করেছে এতিহা সাথে লাভ ইমুজ দিয়ে। অনেক্ষন যাবৎ আল এতিহাকে ফলো করছে তখনি ওরা দুজনে একটা রিক্সা করে চলে যাচ্ছে আল একটা রিক্সা নিয়ে ফলো করতে লাগলো। কিছুদুর যাবার পর ছেলেটা নেমে গেছে আর এতিহার রিক্সা নিয়ে চলে গেছে। আল ও যেতে ছিলাম কিন্তু সিগনালে আটকা পরে গেছে। আজকের মত আর দেখা হলো না এভাবে বেশ কিছুদিন ফলো করেছে আল। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছে এতিহা তো তার বয়ফ্রেন্ডকে পচন্ড ভালোবাসে। তাই আল সিদ্যান্ত নিছে এতিহাকে আর ফলো করবো না। আম্মা যা বলার বলবে তাও ওদের ভালোবাসার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাইনা। আল চিন্তা করছে কি করে বলবে তখনি আলের বাবা বলে।
বাবা:- আল তোকে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখতেছি তুই কলেজে যাচ্ছিস না। আর তোর হাতে মোবাইলটা আসলো কি করে? তখনি আম্মা বলে।
আম্মা:- আল কিছুদিন আমার একটা কাজ করে দিচ্ছে। আর ওর হাতের মোবাইলটা আমি দিয়েছি।
বাবা:- তুমি দিয়েছো কিন্তু তুমি তো কখনো ওকে মোবাইল দিতে বারণ করেছো?
আম্মা:- তখন ছোট ছিলো আর এখন বড় হইছে। আচ্ছা তোমার এই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। বড় বউ সবাইকে খাবার খেতে আসতে বলো। আর আল তোকে যা বলেছি তুই কি তা ঠিক ঠাক মত করতেছিস?
আল:- আম্মা আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আম্মা:- কি কথা?
আল:- আপনি যা বলছেন তা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তখনি আম্মা আমাকে ঠাসস করে একটা থাপ্পড় দিয়েছে। ভাবি ভাইয়া বাবা আর নানী থমকে গেছে। সবাই চুপচাপ কেউ কোনো রকম কথা বলছে না।
আম্মা:- তোকে একটা কাজ করতে বলেছি আর তুই মুখের উপর বারণ করে দিয়েছিস? বাবা নানী কিছু বলতে চাইছে কিন্তু সাহোস করে বলতে পারছে না। আমি গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। শোন তোকে এক মাসের সময় দিলাম কাজটা এর মাঝে শেষ করে দিবি বলে দিলাম।
নানী:- আল কি এমন কাজ করবে এক কাজ কর। আল যদি না পারে তাহলে আসাদকে দিয়ে দে। আসাদ তোর কাজটা করে দিবে।(আসাদ হলো আমার বড় ভাই। আর আমার দাদা দাদী দুজনে মারা গেছে। তবে আমার একটা খালাম্মা আছে ওনার ছোট একটা মেয়ে আছে নাম সিন্থিয়া। আর নানা তো মারা গেছে তাই নানীকে বাবা আমাদের বাড়ীতে নিয়ে এসেছে আমাদের সাথে থাকেন। তবে আমার এক চাচা আর এক ফুপি আছে কিন্তু কোনো দিন দেখিনি।)
ভাইয়া:- হ্যা মা কি এমন কাজ আমাকে বলেন আমি করে দিচ্ছি।
আম্মা:- তুই পারবি না। আর আলকেই কাজটা করতে হবে। আল কিছু না বলেই চলে গেছে। রাতে কিছু খায়নি সারা রাত চিন্তা করছে আম্মা কেনো এতিহাকে ভাগিয়ে বিয়ে করতে বলছে। এর রহস্যটা আমাকে তো বের করতে হবে আর তার থেকে বড় জিনিস হলো এতিহার সাথে ওর বয়ফ্রেন্ডের ব্রেকাপ করাতে হবে।
আল:- হ্যা এই প্লানিং মতে কাজ গুলি করতে হবে। আমি কতগুলি সুন্দর সুন্দর মেসেজ লিখে এতিহার নাম্বারে সেন্ড করেই সিমটা অফ করে দেয়। এভাবে মেসেজ করতে থাকলাম প্রায় এক সাপ্তাহ। আজ এক মাস পড়ে কলেজে যাচ্ছি তখনি দেখি ঐ ছেলেটা একটা মেয়ের সাথে রিক্সা করে যাচ্ছে। আরে এইটা এতিহার বয়ফ্রেন্ড তাহলে মেয়েটা কে? আমি ওকে ফলো করতে থাকলাম। ফলো করতে করতে দেখি ছেলেটা একটা রেস্টুরেন্টে গেছে। আমিও গেলাম রেস্টুরেন্টের ভিতরে। আমি ঠিক ওদের পেছনের টেবিলে বসেছি। মেয়েটা বলছে।
মেয়ে:- রাসেল বলো কি খাবে?(তার মানে ছেলেটার নাম রাসেল)
রাসেল:- নাহ জান তুমি যা খাবে তাই। বলো তুমি কি খাবে?
মেয়ে:- ঠিক আছে আমি অর্ডার করছি। আল বসে বসে ওদের কিছু পিক তোলে নিছে। এবার আল ছবি গুলি এতিহাকে মেসেজ করে বলছে। এতিহা তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে যদি হাতে নাতে ধরতে চাও তাহলে এখুনি ক্যাফেইন রেস্টুরেন্টে চলে এসো। তোমার আদরের বয়ফ্রেন্ড তার বান্ধবীর সাথে বসে আছে। সাথে ছবি গুলি দিয়েছি।
রাসেল:- আচ্ছা রিয়া আমি কি তোমাদের বাড়ীতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো?(তার মানে মেয়েটার নাম রিয়া)
রিয়া:- আপুর বিয়েটা সবে মাত্র শেষ হইছে। কিছুদিন যাক তারপর আমি নিজেই বলবো।
আল:- শালা কত বড় চিটিং বাজ এক সাথে কত মেয়ের সাথে লাইন মারে। আর আমাদের কপালে একটাও জুটেনা। আল বসে বসে মুচকি হাসছে কিছুক্ষণ পর দেখি এতিহা আর সাথে আরো দুইটা বান্ধবী নিয়ে এসেছে। আমি তো দেখি বেশ খুশি হলাম। এতিহা সোজা এসেই রাসেলের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়েছে।
রাসেল:- এতিহা তুমি এখানে? রাসেল দাঁড়িয়ে গেছে। আমি তো বেশ আগ্রহো নিয়ে তাকিয়ে আছি। এতিহা কি বলবে আর রিয়া কেমন রিয়াক্ট করবে। ঠিক তখনি এতিহা বলে।
এতিহা:- রাসেল এটা আমি কি দেখছি?
রাসেল:- এতিহা তুমি বসো আমি তোমাকে সবটা বুঝিয়ে বলছি।
রিয়া:- রাসেল তুমি মেয়েটাকে চিনো?
রাসেল:- হ্যা আমার কাজিন লাগে আর তখনি এতিহা ঠাসস করে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
এতিহা:- কি বলছিস আমি তোর কাজিন শালা বেয়াদব। আমার সাথে আজ এক বছর যাবৎ প্রেমের অভিনয় করে এখন বলছিস কাজিন।
রিয়া:- কি তোমার সাথে এক বছর যাবৎ প্রেম? রাসেল এটা আমি কি শুনতেছি? তুমি আমার জীবনটা শেষ করে দিছো বলেই এক থাপ্পড়। এতিহা ওকে মন মত বকা জকা করে চলে গেছে। সাথে রিয়াও বলে বেরিয়ে গেছে। আল বেরিয়ে এসে দেখে এতিহার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।
এতিহা তার বান্ধবীদের বলছে।
এতিহা:- দেখছিস দোস্ত যাকে এত ভালোবেসসেছি সেও এত বড় বেঈমানিটা করেছে। এতিহার বান্ধবীরা বলছে দোস্ত কি করবি বলো। রাসেল যে এমনটা করবে তা কোনোদিন ভাবি নি।
আল তার মোবাইলটা বের করে এতিহাকে ফোন করছে। আল কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে আছে। এতিহা প্রথমে রিসিভ করেনি আবার করেছে। এবার রিসিভ করতেই আল বলে। মিস এতিহা কান্না করতে আপনাকে একটুও ভালো লাগে না। কিন্তু হাসি মাখা মুখে আপনাকে খুব সুন্দর লাগে।
এতিহা:- এই আপনি কে? আর আমার নাম জানেন কি করে? আমাকে কি আপনি ফলো করছেন?
আল:- খয়রি ক্লার চুড়িদার সাথে ম্যাচিং চুড়ি আর খোলা চুলে সাক্ষাত পরী লাগছে আপনাকে। এতিহা এদিক সেদিক তাকাচ্ছে! চোখের পানি গুলি মুছে নিছে। আল হাসছে এতিহার কান্ড দেখে।
এতিহা:- আচ্ছা আপনার নাম কি আর আমার সম্পর্কে এত কিছু জানেন কি করে?
আল:- আচ্ছা বাই আজকের মত আর হাঁ রাসেলের মত ছেলেদের কাছ থেকে কিছুটা দুরে থাকবেন আল্লাহ হাফেজ বলে ফোন কেটে দেয় আল। আর সাথে সাথে মোবাইলটা বন্ধ করে নিছে।
এতিহা:- আজব ছেলে আমাকে দেখছে অথচ কাছে আসছে না। ছেলে মনে হচ্ছে রাসেলের কোনো দোস্ত হবে। নিজে ধরা খায়ছে তাই নিজের বন্ধুকে আমার নাম্বারটা দিছে। হঠাত করে খেয়াল করে দেখে আরে এইটা সেই নাম্বাটা যেটা প্রতিদিন রাত ১২টায় মেসেজ করে মোবাইলটা সারাদিন বন্ধ রাখে। এতিহা মন খারাপ করে বাড়ীতে গেছে। এতিহার মা এতিহাকে দেখে বলে।
এতিহার মা:- কিরে তোর এই অবস্থা কেনো?
এতিহা:- কিছু না বলেই রাগ করে চলে গেছে। রুমে গিয়ে রাসেলের সব কিছু মুছে নিছে। ওর সব নাম্বার ফেসবুক ইমু টুইটার সব কিছু থেকে বল্ক করে দিছে। তবে এতিহার এখন মনে প্রানে একটা প্রশ্ন যাগছে কে ছেলেটা? আজকের যে এতিহার ব্রেকাপ হইছে সেই দিকে কোনো চিন্তা নেই কিন্তু ঐ ছেলের চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ছে। আর ঐদিকে রাত ১২টার সময় আল তার মোবাই অন করছে।
আল:- এতিহাকে কি বলবো ভালোবাসি। নাহ থাক যদি বারণ করে দেয় কিন্তু মেসেজ করতে থাকি কোনো একদিন বলে দিবো। আল যখনি মেসেজ করতে যাবে তখনি এতিহা ফোন করছে। রিং হতে হতে কেটে গেছে আল রিসিভ করেছি। এভাবে দুইবার ফোন করার পর আল রিসিভ করছে।
এতিহা:- কে আপনি আমাকে চিনেন কি করে?
আল:- তারমানে আজকে যে আপনার ব্রেকাপ হইছে সেই দিকে খেয়াল নেই। আমি কে সেটা জানার জন্য চিন্তায় ঘুম আসছে না তাই তো?
এতিহা:- দেখুন আপনি আজকের পর আর কোনো সময় আমাকে মেসেজ বা কল করবেন না। যদি করেন তাহলে বল্ক করে দিবো বলে দিলাম।
আল:- ঠিক আছে বল্ক করে দেন। তবে আপনার চোখ গুলি অনেক সুন্দর আর আপনার হাসিটার প্রেমে পড়ে গেছি।
এতিহা:- আমি জানি আপনি কে এতক্ষনে বুঝতে পারছি আপনি কে! আজকের পর যদি আর কোনো দিন মেসেজ বা ফোন করেন তাহলে সোজা আপনার বাড়ীতে গিয়ে বিচার দিবো। আর আপনার আম্মাকে খুব ভালো করে আমি চিনি।
আল:- ও আচ্ছা তাই ঠিক আছে তাহলে এখন থেকে বেশি করে আপনাকে জ্বালাবো। আর হাঁ আপনার ঠোঁট গুলি সত্যি খুব সুন্দর সাথে লম্বা চুল যার ঘ্রাণ আমার খুব পছন্দ। এতিহাকে কেউ এমন ভাবে প্রশংসা করেনি।
এতিহা:- দেখুন আপনাকে ভালো করে বলছি আমাকে আর ফোন করবেন না। এতিহা ফোন কেটে দিয়ে কিছুটা রাগ করে শুয়ে পড়েছে। আল এভাবে রোজ রোজ মেসেজ করছে। আর এতিহা খুব এনজয় করছে মেসেজ গুলি পড়ে পড়ে। দেখতে দেখতে কিছুদিন চলে গেছে দিন দিন এতিহা কেমন একটা দুর্বল হয়ে আসছে আলের দিকে।
আলের মা আলকে প্রতিদিন সব কিছুর খবর জানতে চাই আর আল ওর মাকে সব বলে। এভাবে বেশ কিছু দিন গেছে। দিন দিন এতিহা আলের প্রতি দুর্বল হয়ে গেছে। এতিহা আলকে ফোন করে নিজে থেকে। ওরা দুজনে ঠিক করে দেখা করবে তবে কন্ডিশন থাকে আলের।
আল:- দেখা করতে পারি তবে আমাকে ভালোবাসতে হবে। এতিহা রাজি হয়ে যাই। এতিহা চিন্তা করে সুন্দর ছেলের সাথে তো প্রেম করেছি তার আসল চেহারাটা দেখছি। যদি ছেলেটা যেমনি হোক ওকেই বিয়ে করবো।
এতিহা:- ঠিক আছে রাজি আছি। তাহলে আজ আমার কলেজের সামনে আসবে।
আল:- ঠিক আছে। আল কথা মত গিয়ে হাজির এতিহা গিয়ে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। এতিহা ফোন করছে আল সামনে গিয়ে মোবাইলটা বের করে বলে। এতিহা আমি আল তখন এতিহা ঘুরে তাকিয়ে হাসি মাখা চেহারাটা কালো করে নিছে।
এতিহা:- এতদিন আপনার সাথে কথা বলেছি?
আল:- হ্যা এই দেখো তোমার নাম্বার। এতিহা নাম্বারটা দেখে মাথায় হাত দিছে। আল মুচকি হাসতেছে ঠিক তখনি ঠাসস করে এতিহা একটা থাপ্পড় দিয়ে বসে। আশে পাশের সব মানুষ গুলি দাঁড়িয়ে আলের দিকে তাকিয়ে আছে। আল কিছু বলতে যাবে আবারো থাপ্পড় দিছে। এবার আল এতিহার হাত ধরে নিছে। কি হলো থাপ্পড় দিচ্ছো কেনো?
এতিহা:- তুই কি বুঝেছিস আমি কিছুই জানিনা আমি সব জানি আমার সাথে তুই প্রেমের অভিনয় করছিস। তোর বোনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। তুই কি করে ভাবলি যে আমি তোকে চিন্তে পারবো না। আমি খোব ভালো করেই চিন্তে পারছি। এতিহার কথা শুনে আল থমকে গেছে।
!!
চলবে,,,,,
!!
গল্প:- #মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০২)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
বোনের প্রতিশোধের জন্য তোমার সাথে প্রেমর অভিয়ন করছি মানে? আমার তো কোনো বোন নেই। তখনি এতিহা মুচকি হেসে বলে। তোমার বোন নেই আল আমাকে তুমি হাসালে। তোমার পরিবারের সবাইকে খোব ভালো করেই আমি চিনি।
এতিহার কথা শোনে আল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
এতিহা:- আল তুমি ভুল যায়গা ট্রাই করেছো। আমি যানি তোমাকে আমার নাম্বার আর নাম এমন কি আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে তোমার আম্মু।
আল:- এতিহা তুমি জানলে কি করে?
এতিহা:- আমি যানবো না তো কে যানবে? আল যা হবার হয়ে গেছে আমি চাইনা অতীত আবার সামনে আসুক। এমনিতেই আমাদের পরিবার অনেক সমস্যা হইছে তোমার পরিবারের জন্য।
আল:- এতিহা তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে। সত্যই আমার কোনো বোন নেই।
এতিহা:- তোমার বোন আছে তুমি ঠিক করে যেনে নিও আর হাঁ তোমার বড় ভাইয়ার নাম আসাদ। তোমার বড় ভাই বিয়ে করেছে নিছে। তোমার বাবার ব্যবসা আছে। তোমার নানি তোমাদের সাথে থাকে। আর কিছু জানতে চাও?
আল:- এতিহা আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি কথা দিতেছি সত বাধার মাঝেও তোমাকে ছেড়ে যাবো না। আমি জানি না তুমি কে আর তোমার সাথে আমার মায়ের চেনা জানা কি করে? তবে আমি তোমাকে সত্যই খোব ভালোবেসে ফেলেছি।
এতিহা:- আফছুস আল তোমার মা তোমার অভিনয়টা দেখতে পেলো নে। তবে সত্যিই তোমার মা তোমাকে খোব ভালো করে অভিনয় করতে বলে দিছে। সত্যিই তোমার অভিনয় অনেক সুন্দর যদি তোমার মা অভিনয় গুলি দেখতো তাহলে অনেক খুশি হতেন। আজকের পর যদি আর কোনো সময় আমার সাথে যোগাযোগ করেছো তাহলে তোমার বোনের মত তোমার পরিস্থিতি হবে।
আল:- বার বার বলছি আমার বোন নেই তাও কেনো একিই কথা বলছো?
এতিহা:- তোমার বোন আছে কি নেই সেটা তোমার মায়ের কাছ থেকে যেনে নিও। আল এতিহার দিকে তাকিয়ে আছে। এতিহা রিক্সায় উঠে চলে গেছে। আল এতিহার চলে যাওয়ার দৃশ্য দেখছে। আল ভেঙ্গে পড়ছে কি হচ্ছে ওর সাথে! আলের বোন আছে সেটা আল যানে না আলের মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে বাড়িতে এসেছে। আলকে দেখে আলের নানি বলে।
নানি:- আল কি হইছে তো! তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?
আল:- নানি আম্মা কোথায়?
নানি:- তোর মা তো স্কুলে গেছে। এখনো আসেনি। তবে সময় হইছে আসার মনে হই এখুনি চলে আসবে।
আল:- নানি তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো তার সঠিক উত্তরটা তুমি দিবে!
নানি:- কি কথা!
আল:- আমার কোনো বোন আছে আর কোনো সময় ছিলো? নানি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেছে। যখনি নানি কিছু বলতে যাবে তখনি আম্মা এসেছে। নানি তখনি চুপ করে গেছে।
আম্মা:- আরে আল আজকে তুই এত তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে এসেছিস! আজকে না তোর এতিহার সাথে ফাইনাল কথা বলার ছিলো! তা এতিহা তোর সাথে প্রেম করতে রাজি হয়ে গেছে?
আল:- আম্মা আমার বোন লিলি সে কোথায়? তখন আম্মা হাতের ব্যাগটা রাখছে আর হাসি দিছে। আম্মার হাসির পেছনে লুকিয়ে আছে হাজারো রহস্যময় গঠনা। কিন্তু তখনি মুবকি হেসে বলে।
আম্মা:- আল তোদের বোন কোথা থেকে আসবে? তোদের তো কোনো বোন নেই। আর লিলি মিলি নামের কোনো মেয়ে তো আমি জীবনেও দেখিনি।
আল:- মিথ্যাকথা কেনো বলছো তখনি আম্মা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কি হলো বলো লিলি নামে আমার কোনো বোন আছে বা ছিলো? তখনি আম্মা আমাকে ঠাসস করে থাপ্পড় দিয়ে বলে।
আম্মা:- আমার কথায় তোর বিশ্বাস হচ্ছে না। আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলার সাহোস কে দিছে তোকে? এত দিন ধরে তোকে ভালোবাসার প্রতিদান এমন ভাবে দিলি?
ভাবি:- আল কি হইছে আম্মার সাথে এমন ব্যবহার করছো কেনো?
আল:- বাহ সবাই শুধু আমাকে দুষারূপ করছেন! অথচ আমি যা বলছি তার কোনো উত্তর দিচ্ছেন না! যদি আমার কোনো বোন নাই বা থাকতো তাহলে এতিহা কেনো আমাকে বলবে আমার বোনের প্রতিশোধের জন্য এতিহার সাথে প্রেমের অভিনয় করে যাচ্ছি। আম্মা কিছু বলেনি চুপচাপ চলে গেছে এক এক করে সবাই চলে গেছে। নিজের প্রতি নিজের রাগ হচ্ছে। আম্মাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলাটা ঠিক হইনি। আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এতিহাকে ফোন করছি। প্রায় পঞ্চাশটা কল করেছি কিন্তু রিসিভ হইনি বরং একটু পর দেখি আর ফোন ঢোকে না। মানে বল্ক করে দিছে। মাথায় কোনো কাজ করছে না কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। দরজা বন্ধ করে শুয়ে রইলা আর কখন যে চোখে ঘুম চলে আসছে বলতে পারবো না। ঘুম থেকে উঠেছি দরজায় শব্দ শোনে। চোখ ডলতে ডলতে গিয়ে দরজা খোলেছি চেয়ে দেখি আম্মা দাঁড়িয়ে আছে। আম্মার চোখ গুলি লাল হয়ে আছে তার মানে আম্মা অনেক কান্না করছে।
আম্মা:- ভাত খাবি আয়। আমি কিছু বলিনি আম্মার সাথে গেলাম। ভেসিনে গিয়ে হাত মুখ দুইয়ে এসেছি। সবাই রাতের খাবার খেতে বসেছে। আমিও খাচ্ছি তখনি আব্বা বলে।
আব্বা:- আজকে সবাইকে একটা সত্য কথা বলতে যাচ্ছি। যদিও দুইজন ছাড়া সবাই যানে সেই সত্যিটা কি। আল কিছু বলছে না তবে দুই জলো ভাবি আর আল এমনটাই ধারনা করছে আল আর হলো তাই
আম্মা:- হ্যা আল আর বউ মা তোমরা শোনো কথাটা। আমি আর ভাবি দুজনে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার একটা মেয়ে ছিলো না লিলি। আসাদের চাইতে বড় যে আমাকে প্রথম মা বলে ডাকছে।
আল:- তাহলে আপু কোথায়?
আম্মা:- আমাকে কথাটা শেষ করতে দে! আল চুপ করে গেছে। আমার মেয়ের নাম ছিলো লিলি ইসলাম। দেখতে শোনতে বেশ সুন্দর কিন্তু এখন সে নেই। তোর যখন তিন বছর তখনি লিলি মারা গেছে। দয়া করে এই ব্যপারে আমাকে আর কোনো কিছু জিজ্ঞেসা যেনো না করা হয়। আর হাঁ আল তোকে বলি তোর বোনটা মারা গেছে এতিহার পরিবারের জন্য। সুতুরাং তার জন্য আমি চেয়েছিলাম এতিহার সাথেও এমনটা করে ওদের বুঝিয়ে দিবো সবচেয়ে কাছের মানুষের ক্ষতী হলে কতটা কষ্ট লাগে। আমি তো আমার প্রথম সন্তানকে কখনো ভুলতে পারবো না কিন্তু সবার সামনে ভুলে থাকার অভিনয় করি।
আল:- এতিহার পরিবারের জন্য আপু কেনো মারা যাবে? তখনি ভাইয়া বসা থেকে উঠে গিয়ে বলে।
ভাইয়া:- তোর সব যানতে হবে তাইনা! তাহলে শোন। এতিহার ভাইয়া রাজের সাথে লিলি আপুর সম্পর্ক ছিলো। এবং সম্পর্ক এতটা গবির ছিলো যে একজন আরেকজনকে ছাড়া বাচে থাকটাই কষ্ট কর। এদিকে বাবা আপুর বিয়ে ঠিক করে আর আপুর দুই তিনটা বিয়ে নিজের ইচ্ছে ভেঙ্গে দিতো। কিন্তু একদিন আপুর বমি শুরু হতে থাকে তারপর বাবা মা দুজনে আপুকে ডাক্তার দেখায় তখন ডাক্তার বলে।
ডাক্তার:- মিষ্টি মুখ করান আপনারা নানা নানি হতে যাচ্ছেন। এই কথা শোনার পর বাড়ির সবাই ভাগরুদ্ধ হয়ে গেছে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে। তারপর আপুকে চাপ দেওয়ার ফলে যানতে পারে এতিহার ভাইয়ার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশনের কারণে আপু গর্ভবতী হয়ে যায়। বাবা মা সবাই মিলে রাজের বাবা মায়ের কাছে আর রাজের কাছে যাই। তখন রাজ সবার সামনে অসিকার করে। আর আপুকে চিনে না বলে। তারপর অনেক মামলা করা হবে এসব। মিথ্যাকথা বলে আমাদের হুমকি দেয়। এভাবে কিছুদিন যাবার পর রাজ তার বাবা মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে নেই। কিন্তু আমরা আমাদের বড় বোনটা হারিয়ে ফেলি কারণ আমার বোনটা আত্মহত্যা করে ফেলে। আমরা সবাই প্লান করেছি এতিহার সাথে তোর সম্পর্ক করাবো। আর যখন সম্পর্ক গবির হবে তখন ঠিক আপুর মতই করতাম এতিহার সাথে।
আল:- রাজের শাস্তি এতিহাকে কেনো দিতে চাইছেন? বরং রাজকে তার পাপ্য শাস্তিটা দিলেই হয়।
ভাইয়া:- আল তুই কি বলছিস?
আল:- হ্যা ঠিকই বলছি বলেই উঠে গেছে। কারো সাথে কেউ কোনো কথা বলেনি। আল রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিছে। আজকের দিনটা এভাবেই কেটে গেলো। আল তার সিমটা বন্ধ করে তার মায়ের কাছে মোবাইলটা দিয়ে দেয়। দিন দিন আল খোব অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সবার এখন একটা চিন্তা তৈরি হয়ে গেলো। আল বাড়ীতে বসে থাকে সারাদিন করো সাথে কোনো কথা বলে না। এভাবে দুই মাস কেটে গেছে।
আম্মা:- আল যা হবার হয়ে গেছে এতে করে নিজের ক্ষতী করে কি হবে বল? সব কিছু ভুলে আবার আগের মত হাসি খুশি ভাবে থাক।
আল:- ঠিক আছে তাই হবে। আল তার মায়ের দিকে তাকিয়ে সব কিছু ভুলে গেছে। এতিহার কথা এখন মনে পড়ে না বললেই চলে। আল দিন দিন আগের মত সাভাবিক হতে আরম্ভ করছে। এখন একদম ঠিক ঠাক হয়ে গেছে। আল আজ অনেকদিন পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
জুয়েল:- দোস্ত বিয়ে করে নিবো ভাবছি এভাবে আর মেয়েদের পেছনে ঘুরে কি হবে?
আল:- মানে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে আগে তো চাকরি টাকরি কিছু একটা কর।
রাফি:- আরে বোকা ওর বিয়ে আগামী সাপ্তাহ ওর বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে। আর মেয়ের বাবার অনেক টাকা সেই লোভে বলছে বিয়ে করবে।
জুয়েল:- আরে দুর বোকা আমি কি সম্পত্তির জন্য বিয়ে করবো নাকী! আমি তো সাথীকে অনেক পছন্দ করি। তাই রাজি হয়ে গেলাম।
আল:- তাহলে ঠিক আছে সাদী মুবারক বলেই সবাই মিলে হাসা হাসি যার যার বাড়ীতে চলে এসেছি। দেখতে দেখতে জুয়েলের বিয়ের দিন চলে এসেছে। আজ গায়ের হুলুদ। আল অনেক দেরি করে গেছে জুয়েলের বাড়ীতে।
রাফি:- আল এত দেরি করে এসেছিস। কত সুন্দর সুন্দর পরী এসেছে।
আল:- তোরা আর ঠিক হলি না। চল জুয়েলের সাথে দেখা করে আসি।
রাফি:- তুই যা আমি পরীদের মন ভরে দেখে নেই।
আল:- ঠিক আছে দেখ। আল সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছে তখনি একটা মেয়ে নিচে নামছে আর আলের সাথে ধাক্কা লেগে হাতের থালা পড়ে গেছে। আল চেয়ে দেখে আরে এটা তো এতিহা। তখনি এতিহা তাকিয়ে দেখে আল। আল সরি বলতে যাবে এমনি এতিহা আলকে থাপ্পড় দিতে চাইছে আর আল হাত ধরে নিছে। আল হাতটা ছেড়েই ঠাসস করে এতিহার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। এতিহা গালে হাত দিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
এতিহা:- আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিস তবেরে বলেই গলা টিপে ধরতে গেছে আর আল সরে গেছে। বাছ সিঁড়ি গ্রিলের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যাচ্ছে তখনি আল হাত বাড়িয়ে ধরে নিছে।
আল:- এখন কি করবে যদি ছেড়ে দেয় তাহলে সব অহংকার তো শেষ। চেহারা কোমর সব এক সাথে পিচিং হয়ে যাবে।
এতিহা:- প্লিজ আমার হাতটা ছাড়বে না।
আল:- আমি তো আগেই বলেছি হাত ছাড়বো না কিন্তু তুমি তো বিশ্বাস করোনি। ঠিক আছে হাত ছাড়বো না বলেই টান মেরে এতিহাকে বুকের মাঝে নিয়ে গেছে।
এতিহা:- কি করছো আমি চেচাবো। ছাড়ো আমাকে এতিহা নিজেকে ছাড়াতে চাচ্ছে কিন্তু আল আরো কাছে টেনে নিছে।
আল:- এতিহা তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। তোমার কাছ থেকে কি সুন্দর গন্ধ আসছে কি পারফিউম ব্যবহার করো? তখনি এতিহা কুনি দিয়ে ধাক্কা মেরে নিজেকে ছাড়িয়ে নিছে।
এতিহা:- আবার নতুন কোনো ধান্ধা নিয়ে এসেছো? আমি যানি এখন তুমি সব যেনে গেছো আর এখন আমাকে নিজের ফাদে আটকাতে চাচ্ছো?
আল:- তোমার মত মেয়ের সাথে প্রেম করবো আমি আরে দুর তোমার থেকে সুন্দর আর ভালো মেয়ে যদি বিয়ে না করি তাহলে আমার নাম আল নয়।
এতিহা:- আর তোমার থেকে ভালো ছেলেকে বিয়ে না করি তাহলে আমার নাম এতিহা নয়। দুজনে দুই দিকে চলে গেছে উপর যাচ্ছে এমনি জুয়েলের সাথে দেখা হইছে। যার কারণে আল নিচে চলে আসছে। এতিহা সবার সাথে বসে গল্প করছে তখনি আল জুয়েলকে বলে।
আল:- জুয়েল ঐ মেয়েটা কে তোদের বাড়ীতে আগে দেখিনি তো?
জুয়েল:- আরে ও হচ্ছে আমাদের খালাম্মার শ্বশুর বাড়ির আত্বীয় লাগে। খালাম্মার সাথে এসেছে। কেনো তোর পছন্দ হইছে?
আল:- আরে নাহ। জুয়েলকে নিয়ে আমরা বসে গল্প করছি। সবাই গান বাজনা দিয়ে নিজেদের মত করে নাঁচতেছে। রাফি গিয়ে মেয়েদের সাথে আড্ডায় মেতে গেছে। সবাই ড্রিংক্স করছে যার যার মত কিন্তু আল কিছু খাচ্ছে না। দেখতে দেখতে রাত তিনটা বেজে গেছে। সবাই সবার মত করে চলে গেছে। আল আজকে জুয়েলের সাথে ওর রুমে থাকবে। রুমে ঢোকে দরজা বন্ধ করবে এমন সময় খেয়াল করে দেখে এতিহাকে দুইটা ছেলে ধরাধরি করে একটা রুমে নিয়ে যাচ্ছে আর মোবাইলে বলছে।
দোস্ত টেবলেট কাজ হইছে ক্যামারা নিয়ে আয় ভিডিও করে রাখবো। হেব্বি একটা চিজ্ ওদের কথা শোনে আল আর দরজা বন্ধ করেনি। আল তাড়াহুরা করে ওদের পিছু পিছু যেতে আরম্ভ করছে। যেই ওরা রুমে ঢোকে দরজা বন্ধ করবে তখনি আল গিয়ে সামনে হাজির। আলকে দেখে ছেলে দুইটা যার যার মত করে বেড়িয়ে গেছে আল গিয়ে দেখে এতিহা শুয়ে আছে। যেই আল এতিহার পাশে বসেছে তখনি এতিহা চোখ মেলে আলকে দেখেই জড়িয়ে ধরে জুড়ে চিৎকার দিয়ে বলে। তোমরা কেউ কি আছো আমাকে বাচাও। এতিহার চিৎকার শোনে সবাই দৌরা দৌরী করে রুমের ভিতরে এসে হাজির। যেই লাইট অন করছে তখনি দেখে এতিহার জামাটার অনেক দিকে ছিড়া ফাটা।
!!
চলবে,,,,