“মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৮)

গল্প:-#মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৮)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
এতিহার সাথে আমার ডির্ভোসটা হইছে কিনা এটার সমাধান এখনো হইনি আর তার মাঝে আমাকে আবার বিয়ে করতে বলতেছে বাড়ি থেকে। আজকে ভাবির সাথে এসেছি একটা মেয়েকে দেখতে এর মাঝেই আমার স্ত্রী এতিহার সাথে দেখা হয়ে গেছে। যখনি এতিহাকে বলেছি এতিহা তোমার স্বামীর নাম বলে গেলে না তখনি এতিহা দাঁড়িয়ে তো গেছে কিন্তু তার মধ্যে ভাবি নুসরাতকে নিয়ে হাজির হয়ে গেছে।

ভাবি:- আল এই হচ্ছে নুসরাত যার সাথে আমরা দেখা করতে এসেছি মানে তোমার হুব বউ। দাও আমার ছেলেকে আমার কোলে দাও তোমরা দুজনে গল্প করো। তখনি ভাবি চেয়ে দেখে এতিহা সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর ভাবি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তখনি এতিহা বলে।

এতিহা:- আল আমার স্বামীর নামটা শুনে গেলে না? তখন ভাবি আমাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। আর পেছনে ঘুরে বলে।

ভাবি:- এতিহা তুমি নতুন করে বিয়ে করেছো? যাক তাহলে তো এখন আর আলের সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নেই।

এতিহা:- সম্পর্কটা নেই কিন্তু শেষও হইনি। ভাবি আলের কোলের ছেলেটা কি আপনার?

ভাবি:- হাঁ আমার কেনো?

এতিহা:- আল তুমি যে বলছো তোমার ছেলে?

আল:- কখন বলেছি আমার ছেলে! তুমি জিজ্ঞেস করেছো বাচ্চার মা কোথায় আমি বলেছি ওয়াশ রুমে গেছে।

এতিহা:- ওহ সরি আমি মনে করেছি ছেলেটা তোমার সন্তান।

ভাবি:- আরে আজিব তো আল তো এখনো বিয়ে করেনি এখানে ছেলে মেয়ে সন্তান আসবে কোথা থেকে?

এতিহা:- আগে বলবেন তো!

আল:- আগে বললে কি হতো? তখনি চেয়ে দেখি এতিহাকে ডাকছে ইশারা করে একটা ছেলে আর এতিহা অপেক্ষা করতে বলছে।

এতিহা:- আল আগামী জীবনের জন্য শুভকামনা রইলো। হয়তো আর দেখা হবে না চলে যাবো দূরে আর হাঁ আমাকে ক্ষমা করে দিও তোমার সাথে এমনটা করার জন্য।

ভাবি:- এতকিছু করার পরেও তুমি ক্ষমা চাচ্ছো কি করে? এতিহা তুমি আর আলের জীবনে আসবে না।

এতিহা:- এখন আমি চাইলেও আলের জীবনে আসতে পারবো না। আচ্ছা আল তুমি বিয়ে করে নিও আর যদি পারো তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহ হাফেজ বলেই এতিহা চলে গেছে। আল তাকিয়ে আছে তখনি নুসরাত বলে।

নুসরাত:- মেয়েটা কে? নুসরাতের কথা শুনে ভাবি কিছু একটা বলে কাটাতে চাইছে কিন্তু আমি বলি।

আল:- আমার স্ত্রী এতিহা। যদিও আমি একটা ডির্ভোসের কাগজ পেয়েছি কিন্তু সেটাতে সাইনটা কি এতিহা করেছে এখনো ঠিক বুঝতে পারিনি।

নুসরাত:- সরি মিষ্টার আল আমার পক্ষে তাহলে সম্ভব নয় আপনাকে বিয়ে করা। আগে আপনি অরজিনাল ডির্ভোসের কাগজ হাতে পান তাহলে আমাকে জানিয়েন।

ভাবি:- নুসরাত তোমাকে তো আমরা আগেই সবটা বলা হইছে। তা এখন কেনো এসব বলতেছো?

নুসরাত:- বলেছেন ডির্ভোস হয়ে গেছে কিন্তু এখন যাকে বিয়ে করবো সেই বলে ডির্ভোসে সাইনটা ওনার স্ত্রীর কিনা জানে না। সেখানে আমি কি করে ওনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবো বলেন?

আল:- আমাকে আপনার বিয়ে করতে হবে না আপনি আসুন। নুসরাত আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলে।

নুসরাত:- আচ্ছা মিষ্টার আল যদি আমাদের বিয়ে হই তাহলে কি আমাকে আপনার প্রথম স্ত্রীর মত ভালোবাসতে পারবেন?

আল:- সরি আমি আমার প্রথম স্ত্রীর মত আপনাকে ভালোবাসতে পারবোনা তবে আপনাকে আপনার মত করে ভালোবাসতে চেষ্টা করবে যদি বিয়েটা হয়।

নুসরাত:- আমাদের বিয়ের পরে যদি আপনার প্রথম স্ত্রী চলে আসে তখন কি করবেন?

আল:- যে চলে গেছে সে কখনো আসবে না আর যদিও আসে তাহলে ভালোবাসাটা ঠিক আগের মত হবে না। আচ্ছা আমি যাই আমার খারাপ লাগছে।

নুসরাত:- ঠিক আছে আমি রাজি আপনাকে বিয়ে করতে। এখন আপনার নাম্বারটা দিয়ে যান।

আল:- আমার নাম্বারটা দিয়ে কি করবেন?

নুমরাত:- আপনাকে ফোন করে জ্বালাবো এবার নাম্বারটা দেন।

আল:- ভাবি নাম্বারটা দিয়ে দেন। এই কথা বলে চলে এসেছি তার কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলটা ভেজে উঠেছে বুঝতে পারছি নুসরাত ফোন করে নাম্বারটা ঠিক আছে কিনা দেখছে। তাই আর মোবাইলটা বের করিনি। মার্কেটের বাহিরে এসে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে এসেছি বাড়ির দিকে। মনটা ভিষণ খারাপ এতদিন পর এতিহার সাথে দেখা কোথায় দুজনে বসে গল্প আড্ডা আর রাগ অভিমানের কথা বলে শেষ করে দিবো ঘন্টার পর ঘন্টা অথচ তার কিছুই হলো না। মন খারাপ করে বাড়িতে এসেছি।

আম্মা:- আল মেয়ে পছন্দ হইছে?

আল:- আম্মা আপনার পছন্দ আমার পছন্দ। বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি করে করিয়ে দেন। আমিও দেখিয়ে দিতে চাই তোকে ছাড়া খুব ভালো ভাবে বাচতে পারবো।

আম্মা:- আজকেই আমি নুসরাতের বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো।

আল:- আচ্ছা তাহলে আমি রুমে গেলাম। আম্মা অনেক খুশি হইছে আমি রুমে এসেছি ফ্রেশ হয়ে লেপটব টিপতেছি তখনি জুয়েল এসেছে। আমি জুয়েলকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিছি। জুয়েল এসে আমা কিল গুশি দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।

জুয়েল:- শালা এতদিন তুই কোথায় ছিলি? তোকে কত জায়গা খোঁজেছি তাও কোথাও পাইনি। চল বাহিরে যাই টং দোকানে বসে আড্ডা দিবো। রাফিও আসবে।

আল:- আচ্ছা ঠিক আছে চলো। লেপটব রেখে জুয়েলকে সাথে করে বাহিরে টংয়ের দোকানে গেলাম। গিয়ে দেখি রাফি বসে আছে আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরেছে।

রাফি:- এতদিন পর আমাদের কথা মনে পড়েছে তোর?

আল:- মনে তো পড়ছে কিন্তু নিজের উপর অনেক রাগ অভিমান জমা পড়ে গেছে তাই কিছুটা অভিমান কমানোর জন্য দুরে সরে ছিলাম। তা তুই বিয়ে করেছিস?

রাফি:- হ্যা করেছি একটা ছেলে হইছে।

আল:- আর জুয়েল তোর?

জুয়েল:- আমার একটা মেয়ে।

আল:- ভালোই তো তোরা তোদের জীবন গুচিয়ে নিয়েছিম। আচ্ছা চল চা খায়। আমরা তিনজন মিলে অনেক গল্প করেছি। পুরুনো অনেক কথা এর মাঝে বার বার মনের মাঝে উকি দিছে। চা খাওয়া শেষ জুয়েল বিল দিছে এর মধ্যে রাফির ফোন এসেছে। রাফি কথা বলা শেষ করে বলে।

রাফি:- আচ্ছা দোস্ত আমি যাই পরে কথা হবে।

আল:- আচ্ছা! রাফি চলে গেছে তখনি জুয়েল বলে।

জুয়েল:- আল এতিহার সাথে কি তোর কোনো রকম যোগাযোগ আছে?

আল:- নাহ নেই তবে আজকে দেখা হইছে সাথে ওর একটা মেয়ে ছিলো। আর দুরে ওর হাজবেন্ট দাঁড়িয়ে ছিলো।

জুয়েল:- আল তোকে কিছু কথা বলা খুব জুরুরী! তুই অনেক কিছু জানিস না। জুয়েলের কথা শুনে আল নরে চরে জুয়েলের দিকে তাকিয়ে বলে।

আল:- কি এমন কিছু কথা যা আমি জানিনা?

জুয়েল:- তুই এতিহাকে ঠিক এখনো বুঝতে পারিস নাই।

আল:- হঠাত করে এতিহার হয়ে উকিলাতি করতে আরম্ভ করেছিস কেনো?

জুয়েল:- আরে বোকা এমনিতেই বলছি। আচ্ছা চলো বাসায় যাওয়া যাক।

আল:- ঠিক আছে চলো। দুজনে উঠে যার যার বাড়ির দিকে রওনা হলাম। তবে জুয়েল কিছু লুকাতে চাচ্ছে সেটা ওর কথাই বুঝতে পারলাম। তাও জোর করিনি করাণ এখন জোর করে কারো কাছ থেকে কিছু জানার বা পাওয়ার আগ্রহো একদমিই নেই। বাড়িতে এসেছি তখনি ভাবি বলে।

ভাবি:- আল তুমি আমাকে একা ফেলে আসতে পারলে?

আল:- একা ছিলে কোথায় তোমার সাথে তো নুসরাত ছিলো। আর কিছু বলেনি সোজা খাবার টেবিলে বসে পড়েছি। খাবার রাখা ছিলো নিজের হাতে নিয়ে খেয়ে রুমে এসেছি। আজকের দিনটা এমন ভাবে গেছে। পরের দিন আম্মা আব্বা নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে ওর বাবা মায়ের সাথে কথা বলে বিয়ের দিনক্ষন ঠিক ঠাক করে এসেছে। এক সাপ্তাহের মধ্যে নুসরাতের সাথে আমার বিয়ে।

আব্বা:- যাক আস্তে আস্তে সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে।

ভাইয়া:- হ্যা আব্বা নুসরাতের সাথে আলের বিয়ে হলে আখের আমাদের লাভ হবে। ওদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা অনেক ভালো হবে।

আম্মা:- হ্যা এখন আল্লাহ আল্লাহ করে বিয়েটা হয়ে গেলেই সব ঝামেলা শেষ হবে। আমি বসে বসে ওদের কথা শুনলাম।

আব্বা:- আজকে তো আমার কাজ আছে এক কাজ করতে পারো তুমি আলকে সাথে নিয়ে হাসপাতালে চলে যাবে। আর শরীরটা চেকাপ করে নিবে।

আম্মা:- আরে বলেছি তো আমার শরীর এখন সুস্থ আছে।

ভাইয়া:- আম্মা তারপরেও আপনি আজকে ডাক্তারের সাথে দেখা করে আসেন।

আল:- হ্যা আম্মা চলেন আমি সাথে যাবো। আম্মা যেতে চাইনি তাও জোর করে আম্মাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। ডাক্তারের চেম্বারে আম্মা গেছে আমি বাহিরে বসে আছি তখনি দেখি একটা মৃত লাশ বের হইছে। মনে হই সদ্য মারা গেছে লোকটার মুখে হাসির মত আছে আর ওনার আত্মীয়স্বজনরা কান্নাকাটিতে ভেঙ্গে পড়ছে। আমার খুবই খারাপ লাগছে তাই উঠে একটু বারান্দার দিকে গেলাম তখনি দেখি এতিহার বাবা একটা ডাক্তারকে বলছে।

এতিহার বাবা:- প্লিজ ডাক্তার ওকে যেভাবে হোক সুস্থ করে তোলেন। ওকে ছাড়া আমরা বাচতে পারবো না। আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তখনি ডাক্তার বলে।

ডাক্তার:- দেখুন আমাদের যা করার করেছি এখন আর মাত্র দুই বা তিন দিনের মত বাচতে পারে। আমাদের কিছু করার নেই। তখনি একজন ভদ্র মহিলা এসে বলে।

ভদ্র মহিলা:- প্লিজ ডাক্তার আমার মেয়েটাকে সুস্থ করে দেন! তার মানে ওনি হচ্ছে এতিহার মা।

ডাক্তার:- আপনারা অবুঝ শিশুর মত কথাবার্তা বললে তো হবে না। আবেঘটা কাটিয়ে বাস্তব নিয়ে চিন্তা করেন। আপনাদের মেয়ে আর বেশীক্ষন সময় নেই। ডাক্তারের কথা শোনে ওনারা ভেঙ্গে পড়ছে তবে আলের মনে হাজারো প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেছে। আল সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বুকের হার্টবির্ট বেড়েই চলছে। যখনি কাছে গেছে তখনি এতিহার বাবার চোখে আলের চোখ পড়ছে আর তখনি এতিহার বাবা বলে।

এতিহার বাবা:- আল তুমি এখানে কেনো এসেছো?

আল:- ডাক্তার কার কথা বলছে যে বেশী সময় নেই আর সে খুব দ্রুত মৃত্যু বরণ করতে যাচ্ছে?

এতিহার বাবা:- সেটা যেনে তুমি কি করবে? আর তুমি এখান থেকে যাও আমি চাইনা তুমি এখানে থাকো।

আল:- চলে যাবো কিন্তু আগে বলেন ডাক্তার কার কথা বলছে? তখনি চেয়ে দেখি ঐ মার্কেটের ছেলেটা যে এতিহাকে ইশারা করে ডাকছে সেই ছেলেটা আর এতিহার কোলের মেয়েটা। আল ওদের দেখে চলে আসতেছে তখনি এতিহার মা বলে।

এতিহার মা:- তোমার নাম আল!

আল:- হ্যা!

এতিহার মা:- তোমার সাথেই এতিহার বিয়েটা হইছে?

আল:- হ্যা আর ডির্ভোস হয়ে গেছে সেই চার বছর আগে। তখনি এতিহার বাবা বলে।

এতিহার বাবা:- এতিহার সাথে তোমার ডির্ভোস হইছে? তোমাকে কি এতিহা ডির্ভোস দিছে আর তুমি দিছো এতিহাকে ডির্ভোস?

আল:- কিন্তু আম্মা তো আমাকে একটা ডির্ভোসের কাগজ দিছে সেখানে এতিহার সাইন ছিলো। আর এতিহা তো গতকাল বলছে ওর মেয়ের নাম আলো রাখছে ওর স্বামীর নামের সাথে মিল রেখে।

এতিহার মা:- এতিহার স্বামীর নামের সাথে মিল রেখে মেয়ের নাম রাখছে মানে? আর তাছাড়া এতিহার তো কোনো বাচ্চা হইনি তাহলে ওর মেয়ে আসবে কোথা থেকে?

আল:- এই যে মেয়েটা গতকাল তো এতিহাকে আম্মু বলে ডাকছে আর এতিহা মামুনি বলে কোলে নিছে। তখনি ঐ ছেলেটা বলে।

ছেলে :- আলো আমার মেয়ে এতিহা গতকাল আপনাকে দেখে আমাকে বলে ওকে যেনো বলে দেই আপনার সামনে গিয়ে আম্মু ডাকতে আর সে তাই করেছে। আমার স্ত্রী আছে আছে ভিতরে এতিহা আমার খালাত বোন হয়।

এতিহার বাবা:- এতিহা তোমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করেনি। আর তুমি কিনা এতিহাকে বুঝতে পারোনি। আল আমি চাইনা আমার মেয়েটা নতুন করে আর কষ্ট পাক তুমি চলে যাও। তখনি একজন নার্স এসে বলে।

নার্স:- ডাক্তার আপনাদের ডাকছে।

এতিহার বাবা:- হ্যা আসছি। এতিহার বাবা চলে গেছে আমি আই সি ইউর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এতিহার মা আমাকে চলে যেতে বলছে কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করছে এতিহাকে একটু দেখতে। কোনো কিছু না বলে সোজা আই সি ইউতে ঢুকে গেলাম। গিয়ে দেখি এতিহার পাশে একটা মেয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে এতিহার খালাত ভাইয়ার বউ হবে। আমাকে দেখে বলে।

এই যে আপনি কে এখানে কেনো এসেছেন?(এতিহার ভাবি)

আল:- আমি আল ইসলাম এতিহার ভাবি আমার নাম শোনে কোনো কথা না বলে সোজা বেরিয়ে গেছে। আমি এতিহার পাশে বসেছি ওর দিকে তাকিয়ে আছি এতিহার হাতটা শক্ত করে ধরেছি। এতিহা চোখ খুলেছে আমাকে দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। এতিহা হাতটা ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছে আর আমি শক্ত করে ধরে রাখছি। ঠিক তখনি এতিহা বলে।

এতিহা:- আল যখন তোমার হাত দুইটা আমার বড্ড বেশী প্রয়োজন ছিলো তখন তোমার হাতত গুলি আমার হাতের কাছ থেকে অনেক দূরে ছিলো আর এখন চলে যাচ্ছি তুমি এসেছো আমার হাত ধরতে?
!!
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here