“মন বুঝা দায় পর্ব – ০৬

গল্প – মন বুঝা দায়
পর্ব – ০৬
লেখক – আল মহম্মদ সৌরভ

আমাকে বন্ধি করে রেখে জোর করে ওনাদের ছেলের সাথে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিছে। এতিহার কথা শোনে আল বলে এতিহা তুমি এই গুলি কি বলছো? তখনি এতিহা আলকে চোখ টিপ দিছে। আল চুপ করে গেছে আর এতিহা বলতেছে।

এতিহা:- আব্বু তুমি এর একটা ব্যবস্থা করবে। আমাকে জোর করে এই বাড়িতে নিয়ে এসে আমাকে বিয়ে দিছে।

এতিহার বাবা:- স্যার আপনারা দাঁড়িয়ে কি দেখছেন? ওদের সবাইকে থানায় নিয়ে চলেন।

আম্মু:- কাকে থানায় নিবে বরং আমি তোমার আর তোমার মেয়েকে থানায় দিবো। আমার সহজ সরল ছেলেকে ফাসিয়ে বিয়ে করেছে। আম্মা এতিহার বাবা আর ভাইয়া আব্বা সবাই যার যার মত করে তর্কযুক্তি দেখাতে ব্যস্ত এর মাঝে পুলিশ জোরে ধমক দিয়ে বলে।

পুলিশ:- থামুন আপনারা না হলে সব কয়টাকে থানায় নিয়ে যাবো। এক সাথে সবাই চুপ করে গেছে। এই মেয়ে তুমি সত্যিটা বলো তোমাকে কি জোর করে নিয়ে এসেছে?

এতিহা:- আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবো তার আগে আমি ওনার সাথে মানে শ্বাশুরী মায়ের সাথে কিছু কথা আছে।

পুলিশ:- মানে?

এতিহা:- মানে আগে ওনার সাথে কথা বলবো এরপর বলবো আমাকে এখানে কে আনছে। পুলিশ বিরক্ত হয়ে বলে।

পুলিশ:- ঠিক আছে যাও আগে কথা বলো।

এতিহা:- ধন্যবাদ। আম্মা তো রেগে মেগে আগুন হয়ে যাচ্ছে এর মাঝে এতিহা এসে আম্মাকে বলে। আম্মা একটু সাইটে যাবেন আপনার সাথে পারসনাল কিছু কথা আছে। আম্মা এতিহার দিকে তাকিয়ে এতিহার সাথে গেছে। এদিকে আব্বাকে দেখছে নিজের ভাইকে এতদিন পর দেখে কিছুটা কোশুল বিনিময় করে নিলো। কিছুক্ষণ পর আম্মা আর এতিহা এসেছে। এতিহা এসে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে। স্যার এই ছেলেটা আমাকে নিয়ে এসেছে। আলের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিছে।

আল:- এতিহা তুমি এটা কি বলছো?

এতিহার বাবা:- এতিহা ঠিকই বলছে। স্যার এখনো দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকী?

পুলিশ:- এই যে আপনি নিজে থেকে আমাদের সাথে যাবেন নাকী আমরা জোর করে নিয়ে যাবো।

আব্বা:- দেখুন এটা আমাদের পারিবারিক ব্যপার আসলে আপনাদের সাথে করে যে আনছে সে আমার আপন ভাই। আর এতিহা হচ্ছে আমার ভাতিজি।

এতিহা:- দেখুন স্যার ওনারা মিথ্যা কথা বলছে আমাদের সাথে ওদের কোনো রকম সম্পর্ক নেই। ওনাদের জন্য আমার বড় ভাইয়া আত্মহত্যা করছে।

আব্বা:- এতিহা তুমি কি বলছো? রাজ আত্মহত্যা করছে মানে?

এতিহার বাবা:- হ্যা রাজ তোমার ভুরি মেয়ের জন্য আত্মহত্যা করছে।

ভাইয়া:- কাকে ভুরি বলছেন আমার বোন লিলিকে? বরং আপনার ছেলের জন্য আমার বোনের জীবনটা অকালে দিতে হইছে। আর এখন এসেছেন আমাদের উপর দোষ দিতে?

পুলিশ:- দেখুন আপনারা শান্ত হোন। এখন যেহেতু মেয়ে নিজেই বলছে আপনাদের বাড়ির ছেলে মেয়েকে জোর করে বাড়িতে এনে ধরে বাইন্ধা বিয়ে করিয়ে দিছেন। এখন আপনার ছেলেকে আমাদের সাথে যেতে হবে।

আম্মা:- দেখুন স্যার আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে।

পুলিশ:- কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক সেটা বিচার করবে আদালতে আর জজ সাহেব। আমার কাজ আমাদের করতে দিন। আল আপনি আমাদের সাথে আসুন।

আল:- স্যার এক মিনিট হাতটা দুইয়ে আসি। আমার হাত দুইবার কথা শোনে এতিহা আর আম্মা দুজনে কেমন একটা মায়াবি চোখে আমার দিকে তাকিয়েছে। আমি হাত দুইয়ে পুলিশের সাথে যেতে লাগলাম। তখনি এতিহার আমার কাছে এসেছে।

এতিহা:- আল তুমি কোনো চিন্তা করোনা আমি আছি তো? এতিহার মুখে এমন কথা শোনে আল অনেক রাগান্বিত হয়ে বলে।

আল:- এতিহা আজ থেকে আমাদের রাস্তা আলাদা। তোমার আম্মা যখন ফোনে বলেছে কাজটা শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আয় আর তুমি ঠিক তাড়াতাড়ি করেছো। ধন্যবাদ আমার সাথে এমনটা করার জন্য।

এতিহা:- সময় বলে দিবে আমাদের রাস্তা আলাদা নাকী পাশাপাশি। তখন আল মুচকি হেসে গাড়িতে উঠে গেছে। পুলিশ আলকে থানায় নিয়ে এসেছে।

ঐ দিকে আলের বাবা ভাইয়া হন্য হয়ে আলকে ছাড়াবার জন্য ছুটাছুটি শুরু করছে। আজকের মত সারাদিন এভাবে গেছে। আলের বাড়িতে শোকের ছাঁয়া পড়ছে। সবার খাওয়া দাওয়া এখন প্রায় বন্ধ। আর অন্য দিকে এতিহা আর ওর বাবা মা বেশ খুশি আছে। আর আল থানায় বসে বসে মশার কামড় আর চোখে ঘুম না আসাতে শরীরের অবস্থা একদম। খারাপ হয়ে গেছে। আলের মনে একটা প্রশ্ন এতিহা কেনো এমনটা করছে? ওদের প্রথম রাতটা তো কত সুন্দর ভালোবাসা দিয়ে কেটেছে। এভাবে দেখতে দেখতে পাঁচদিনের মত চলে গেছে
এখনো আলকে ছাড়াতে পারেনি। আজকে অনেক কষ্টে জামিনে আলকে ছাড়িয়ে আনছে। আলের শরীর একদম খারাপ বাড়িতে এসে আগে এক ঘুম দিছে। এক ঘুমে ১২ ঘন্টা পার ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসেছে।

ভাবি:- আল এসো খাবে।

আল:- আম্মা কোথায়?

ভাবি:- আছে তুমি এসে খেয়ে নাও। ভাবি জোর করে আলকে খাওয়াতে বসেছে। আলের খেতে একদমি মন চাচ্ছে না তাও নিজের সাথে যুদ্ধ করে কিছু খেয়েছে। এভাবে আরো পাঁচদিন চলে গেছে এখন কিছুটা সাভাবিক হইছে আলের পরিবার আর আল। আজ দুই মাস পড়ে আল কলেজে যাচ্ছে। তবে এতিহার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই আর এতিহার সাথে কোনো রকম ডির্ভোস হইনি। কলেজে গিয়ে রাফির সাথে দেখা।

রাফি:- কি হারামি এতদিন পর আমাদের কথা মনে পড়ছে।

আল:- রাফি অনেক সমস্যা হয়ে গেছে।

রাফি:- কি সমস্যা?

আল:- তাহলে শোন। এরপর রাফিকে সবকিছু খুলে বলছি। রাফি সবকিছু শোনে অনেকটা আফসোস করেছে। আচ্ছা রাফি এখন চল ক্লাসে যাই। রাফিকে সাথে নিয়ে আল ক্লাসে গেছে। ক্লাস গুলি করেছে। ক্লাস শেষে রাফিকে নিয়ে আসতেছি তখনি জুঁই সামনে এসেছে। ও ভালো কথা জুঁই কিন্তু আলকে অনেক ভালোবাসে। আলের পেছনে আজ ছয় মাস যাবৎ পড়ে আছে কিন্তু আল এতদিন কোনো পাত্তা দেইনি।

জুঁই:- আল কোথায় ছিলে এতদিন? তোমাকে ভালোবেসে কি ভুল করেছি? দেখো আল যদি তুমি আমাকে না ভালোবাসো তাহলে আমি আত্মহত্যা করে তোমার নাম চালিয়ে দিবো। জুঁইয়ের কথা শুনে আল মুচকি হেসে বলে।

আল:- জুঁই হাসালে আমাকে! আমি কি কখনো তোমাকে বলেছি ভালোবাসি? দেখো আমি বিয়ে করে ফেলছি এখন এই ঝামেলা নিয়ে আছি। আর তুমি নতুন করে ঝামেলা দিতে এসো না।

জুঁই:- আল তুমি বিয়ে করে ফেলছো?

রাফি:- হ্যা বিয়ে করেছে! আচ্ছা জুঁই আর নতুন করে প্যারা দিতে এসোনা । এমনিতেই অনেক প্যারা নিয়ে আছে আল।

জুঁই:- কি এমন প্যারা জানতে পারি?

আল:- কোনো দরকার নেই। তখনি জুঁই মুচকি হেসে বলে।

জুঁই:- বুঝতে পারছি বউ মনে হয় ছেড়ে চলে গেছে। আল কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাফি বলে উঠে।

রাফি:- ছাড়াছাড়ি হইনি কিন্তু মনে হয় হবে। তখনি রাফির দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে আল।

জুঁই:- আল তাহলে বউকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে বিয়ে করে নিবো।

আল:- জুঁই তুমি আমাকে আর এসব ব্যপারে কোনো কিছু বলবে না। রাফি আয়। জুঁই দাঁড়িয়ে আছে রাফিকে নিয়ে আল চলে এসেছে। আজকের দিনটা কিছুটা ভালোই কাটছে বিকালে জুয়েল ফোন করছে। আল জুয়েলের সাথে দেখা করছে।

জুয়েল:- আল রাফি কি বলছে এতিহা তোর সাথে খুব খারাপ আচরন করছে বলে?

আল:- শালা সব দোষ তোর। তোর জন্য আজ আমার এই অবস্থা। ঐদিন যদি এতিহাকে বিয়েটা না করতাম তাহলে ভালো হতো। এখন না পারছি ভুলে যেতে আর না পারছি কাছে যেতে। এই যন্ত্রনা অনেক কষ্ট দেই যা তোকে বলে বুঝাতে পারবোনা।

জুয়েল:- এতিহাকে তুই ফোন করেছিস?

আল:- কেনো ফোন করবো যেই মেয়েটা আমাকে থানায় পাঠিয়েছে তার কাছে কেনো ফোন করবো?

জুয়েল:- তুই জামিন পেয়েছিস কি করে? একবার চিন্তা করে দেখছিস? এতিহা চেয়েছে তাই তুই জামিন পেয়েছিস।

আল:- আচ্ছা তুই আমার দোস্ত নাকী ঐ মেয়েটার দোস্ত?

জুয়েল:- আরে বোকা রাগ করছিস কেনো? আমার মনে হয় এতিহা তোকে ভালোবাসে। কোনো একটা কারণে তোর থেকে দূরে চলে যেতে চাচ্ছে।

আল:- শালা ভালোবাসবে কি করে এতিহা তো ওর ভাইয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাকে বিয়ে করছে। আচ্ছা রাত অনেক হইছে চল বাড়িতে যাওয়া যাক। জুয়েলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আল বাড়িতে এসেছে। আলের বাড়ির সবাই বসে আছে। আলকে দেখে আলের মা বলে।

আম্মা:- আল এখানে আয়।

আল:- হ্যা বলেন।

আম্মা:- এতিহাকে ভুলে যা। যেই মেয়েটা তোকে একটুও ভালোবাসে না। তোকে নিয়ে চিন্তা করে না। সেই মেয়েটার জন্য কেনো নিজেকে কষ্ট দিবি বল!

আল:- আম্মা আমি এতিহাকে ভুলে গেছি। তখনি ভাইয়া বলে।

ভাইয়া:- তাহলে কি আমরা তোর বিয়ের জন্য কাওকে কথা দিতে পারি?

আল:- বিয়ে আবার? নাহ আর বিয়ে করছি না। আর তাছাড়া আমার তো এখনো এতিহার সাথে ডির্ভোস হইনি নতুন করে বিয়ে করবো কি করে?

আম্মা:- কিছুদিনের মধ্যে ডির্ভোস হয়ে যাবে। এই কাগজ উকিল নুটিশ পাঠিয়েছে।

আল:- ওহ ঠিক আছে তাহলে আর কি? তবে এখন আর বিয়ে করছি না আচ্ছা আমি যাই যখনি যেতে ছিলাম তখনি ভাইয়া বলে।

ভাইয়া:- জুঁইের বাবা আজকে আমাকে বলছে আর তাছাড়া জুঁই নাকী তোকে ভালোবাসে। এখন জুঁইয়ের বাবা চাচ্ছে তোর সাথে বিয়ে দিবে।

আল:- আমাকে কিছুটা চিন্তা ভাবনা করতে দেন।

ভাইয়া:- ঠিক আছে।

আল:- আচ্ছা গেলাম। আল রুমে এসে এতিহার জন্য কেনা কাপড় গুলি দেখছে। আর বার বার এতিহার সেই ভালোবাসার রাতটার কথা মনে পড়ছে। আল রুমে থেকে বেরিয়ে ছাদের উপরে গেছে। আজকের রাতটা ছাদের উপরে কেটে গেছে। সকালে ঘুম ভাঙ্গছে ভাবির ডাকে।

ভাবি:- আল সারা রাত ছাদের উপর ছিলে

আল:- ব্যাঞ্চের উপরে ঘুমিয়ে গেছিলাম। আমি উঠে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজে গলাম। তখনি জুঁই দৌরে এসে বলে।

জুঁই:- আল তোমার বাড়িতে বাবা বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে?

আল:- জুঁই তুমি এমনটা কেনো করেছো?

জুঁই:- আমি তোমাকে চাই যে কোনো মূল্যে। এখন চলো তোমাকে নিয়ে কফি খাবো আর আমাদের দুজনের সম্পর্কে আরো গভির ভাবে যেনে নিবো।

আল:- জুঁই আমার ভালো লাগছে না তুমি যাও। তখনি জুঁই আমাকে টেনে নিয়ে গেছে জোর করে। আল রেস্টুরেন্টে বসে আছে জুঁই অর্ডার করছে। জুঁই কিছুটা চঞ্চল টাইপের যার কারনে আলের ভালো লাগে না। দুজনে কফি সপে বসে আছে।

জুঁই:- আমাদের বিয়েটা হলে আমরা অনেক হেপি কাপল হবো।

আল:- বিয়েটা মনে হয় হচ্ছে না বলে চলে আসতে চাইছে তখনি জুঁই হাত ধরেছে।

জুঁই:- এমন করছো কেনো বসো কিছুক্ষণ। আল চারদিকে তাকিয়ে দেখে সবাই তাকিয়ে আছে। আল তা দেখে বসেছে। তখনি আলের মোবাইলে ফোন আসছে মোবাইলটা বের করে দেখে নতুন নাম্বার। প্রথমে রিসিভ করেনি তার একটু পড়েই আবার ফোন আসছে এবারো কেটে গেছে। এভাবে তিন চারটা ফোন আসছে একবারো রিসিব করেনি। তখনি একটা মেয়ে বোরকা পড়া এসে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বলে।

আল ফোন করছি রিসিভ করছো না কেনো? কন্ঠ শোনে আল মেয়েটির দিকে তাকিয়েছে।

আল:- আপনি কে আমি তো আপনাকে চিন্তে পারছি না। তখনি আমার সাটের ক্লার টেনে ধরেছে।

জুঁই:- এই মেয়ে ক্লার ধরেছিস কেনো? তখন মেয়েটি জুঁইকে ধমক দিয়ে বলে।

এই তুমি চুপ থাকো যাকে ধরেছি সে বুঝতে পারছে আমি কে? তখনি ওর নেকাবটা খুলেছে আল তাকিয়ে দেখে এতিহা।

আল:- এতিহা তুমি?

এতিহা:- হ্যা আমি। ঐ আমি মাত্র কিছুদিন যাবৎ তোমার খোঁজখবর নেইনা আর তুমি এখন মেয়ে নিয়ে ঘুরতেছো। আজকে আমি তোর বারোটা বাজিয়ে দিবো। বলে আলের ক্লারটা আরো জোরে শক্ত করে ধরেছে। এবার আল কিছুটা রেগে গিয়ে ওর হাত থেকে ক্লারটা ছাড়িয়ে নিছে। এতিহা আলকে কিছু বলতে চাইছে তখনি আল এতিহাকে জোরে এক থাপ্পড় দিয়ে বসে আর তখন আল বলে।

আল:- চুপ একদম চুপ কোনো কথা বলবি না। এমনিতেই তোকে অনেক সহ্য করেছি। আলের কথা শোনে এতিহা দাঁড়িয়ে আছে গালে হাত দিয়ে। এতিহা তুমি আমাকে কি মনে করো খেলার পুতুল! যখন মন চাইলাম খেলা করলাম আর যখন মন চাইলো ফেলে রাখলাম।

এতিহা:- তুমি আমাকে থাপ্পড় দিতে পারলে?

আল:- হ্যা পারছি! আমি চাইনা নতুন করে তোমার সাথে আমার আর দেখা হোক। জুঁই এসো বলে জুঁইয়ের হাত ধরে নিয়ে আসতেছি আর এতিহা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
…..
…….
[চলবে…..]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here