“মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৫)

গল্প:-#মন_বুঝা_দায় পর্ব:-(০৫)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়া আরো একটা সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কটা কি তুমি জানো আল? নিজের বউয়ের মুখে এমন কথা শোনে আল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর তখনি রিকশা চালক বলে ভাইজান এসে গেছি নামেন। রিকশা চালকের কথা শোনে এতিহা কথাটা থামিয়ে দিছে।

আল:- হ্যা নামতেছি। এতিহা চুপ করে গেছে আর আল রিকশা থেকে নেমে ভাড়াটা দিছে। এতিহা রিকশা থেকে নেমে বাড়িতে যেতে ছিলো তখনি আল বলে। এতিহা তুমি চলে যাচ্ছো কিন্তু কথাটা শেষ করোনি?

এতিহা:- কি কথা শেষ করবো?

আল:- ঐ যে বলেছো আমরা স্বামী স্ত্রী ছাড়াও আরো একটা সম্পর্ক আছে আমাদের মাঝে। সেই সম্পর্কটা কি?

এতিহা:- এখন বলতে পারবো না যদি জানতে চাও তাহলে তোমার আম্মাকে বলে আমাকে তোমার রুমে নিয়ে যেয়ো। রাতে তোমার বুকের উপর মাথা রেখে সবকিছু বলবো কেমন।

আল:- আম্মা তোমাকে আমার সাথে থাকতে বারণ করছে আর তাছাড়া তোমাকে রুমে নিয়ে গেলে আম্মা আমাকে মেরে ফেলবে।

এতিহা:- তাহলে আমিও বলতে পারবো না। কারো কাছ থেকে যেনে নিও এই বলে এতিহা খালি হাতে বাড়ির ভিতরে চলে যাচ্ছে আর তখনি আল বলে।

আল:- এই যে নবাবীনী এমন ভাবে যে খালি হাতে চলে যাচ্ছো তা তোমার ব্যাগ গুলি কে নিবে?

এতিহা:- কি বলছো তুমি আমি নবাবীনী বলেই আমার কাছে এসে আমার সাট টেনে ধরেছে।

আল:- আরে কি করছো সাট ছেড়ে দাও কেউ দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।

এতিহা:- দেখলে দেখুক তাতে আমার কি? আর শোনো তুমি থাকতে আমি যদি ব্যাগ গুলি হাতে করে নেই তাহলে বাড়ির লুকেরা বলবে তুমি আস্থ একটা অলস। কথা কম বলে ব্যাগ গুলি নিয়ে এসো। ঠিক তখনি আম্মার রিকশাটা এসে পেছনে থামছে। আর আম্মা দেখে এতিহা আমার সাটের ক্লার ধরে রাখছে।

আম্মা:- এতিহা তুমি কি করছো আলের ক্লার কেনো ধরেছো? এতিহা কি বলবে না বলবে তার আগেই আল বলে।

আল:- আম্মা এতিহা ক্লার ধরেনি এতিহা তো আমার সাটের বুতামটা লাগিয়ে দিচ্ছে। আমার কথা শোনে এতিহা আমার সাটের বুতাম ঠিক করে দিতে আরম্ভ করছে। কি এতিহা বলো আম্মাকে তুমি যে বুতাম ঠিক করতে ছিলে।

এতিহা:- জ্বি আম্মা আমি তো বুতাম ঠিক করতে ছিলাম।

আম্মা:- আমি ছোট বাচ্চা নয়। আমি বুঝি কোনটা বুতাম লাগানো আর কোনটা সাটের ক্লার ধরে রাখা। আল তোর সাথে আমার কথা আছে তুই ফ্রেশ হয়ে আমার রুমে আসবি।

আল:- ঠিক আছে আসবো।

আম্মা:- এতিহার জন্য কি কেনাকাটা করেছিস?

আল:- হ্যা। আমার কাছ থেকে এতিহা ব্যাগ গুলি নিয়ে গেছে।

আম্মা:- চল বাড়ির ভিতরে চল। আম্মা রিকশা ভাড়া দিয়ে আমাদের সাথে বাড়ির ভিতরে এসেছে। ভাবি ভাইয়া দুজনে বসে গল্প করছে।

ভাবি:- আরে তোমরা এসে গেছো। তা কি কেনাকাটা করেছো দেখি।

এতিহা:- এই যে নেন সব কিছু আলের পছন্দে কিনেছি। তখনি আম্মা বলে।

আম্মা:- এতিহা তুমি কি আলের নাম ধরে ডাকো নাকী? আল তোমার স্বামী আর মেয়েরা স্বামীর নাম ধরে ডাকে না। যদিও তুমি কিছুদিন থাকবে এই বাড়ীতে আলের বউ হিসাবে তাও তোমাকে এসব কিছু মেনে থাকতে হবে।

এতিহা:- স্বামীর নাম ধরে ডাকা নিষেধ এইটা কি কোথাও লিখা আছে?

আম্মা:- লিখা থাকতে হবে না। তোমাকে যা বলছি তাই করবে আর আজকেলের মেয়েরা যে এতটা মর্ডান হইছে যে তারা কি বলে কাকে ডাকতে হবে তা নিজেই বলতে পারবে না। আসলে দোষটা ওর নয় দোষটা হলো ওর বাবা মার। মেয়েটাকে তার বাবা মা ঠিক ঠাক শিক্ষা দিছে বলে মনে হইনা।

আব্বা:- মেয়েটা না হয় একবার ভুল করে ডেকে ফেলছে তার জন্য এত কথা শুনানোর কি দরকার?

আম্মা:- তুমি চুপ থাকো! এদিনিং দেখছি কিছুটা রক্তের টান টান ভাব কাজ করছে। তুমি এই ব্যপারে কোনো কথা বলবে না। আব্বাকে আম্মা এক জারি দিয়ে চুপ করিয়ে দিছে। সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তখনি আল বলে।

আল:- এতিহা চলো রুমে যাই। তখনি আম্মা বলে।

আম্মা:- আল তোদের তো এক রুমে থাকা নিষেধ তাহলে এতিহার তোর রুমে যাবে কেনো? আম্মা আপনি এতিহাকে সাথে নিয়ে যান আজ থেকে এতিহা রাতে আপনার সাথে থাকবে।

আল:- কিন্তু আম্মা এতিহার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।

আম্মা:- কথা গুলি এখন নিজের পেটে রেখে দে। এতিহা তুমি তোমার সব কিছু আম্মার রুমে রাখবে ভুল করে যদি আলের রুমে গেছো তাহলে বাড়ি থেকে সোজা বের করবোনা বরং তোমার নামের আগে একটা অপবাধ জুঁড়ে দেওয়া হবে।

এতিহা:- আমি অপবাধের ভয় পায়না। আর তাছাড়া বিয়ে করেছি আলাদা রুমে থাকতে নয়। আমি আমার স্বামীর রুমে থাকবো আপনি যত অপবাধ দেবার দিতে পারেন। আর আমি না চাইলে আমাকে এই বাড়ি থেকে বের করা আপনাদের কারো সাধ্য নেই। আমি গেলাম আপনারা কি অপবাধ লাগাবেন সেইটা চিন্তা করতে থাকুন। এতিহা চলে গেছে তবে এতিহার সাহোস দেখে সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

ভাইয়া:- দেখছো আম্মা মেয়েটার কি সাহোস? তুমি যদি মেয়েটাকে আরো এই বাড়িতে থাকতে দাও তাহলে অনেক সমস্যা হবে।

আম্মা:- সমস্যা হলে আমি বুঝবো। আল তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা এতিহা তো রুমে গেছে। একটা কাজ ঠিক ঠাক মত করতে পারিসনি। নিজের বোনের প্রতিশোধ টুকু নিতে পারবি বলে মনে হইনা। আল কিছু না বলে সোজা সিঁড়ি দিয়ে হাটা ধরছে।

ভাইয়া:- আম্মা আলের কাজটা দেখছো? আমি নিশ্চিৎ এই মেয়েটা আলকে জাদু করেছে। তুমি লক্ষ করে দেখছো এতিহা যা বলে তাই করছে আল।

আম্মা:- আল যা করছে সব আমার প্ল্যান মতে কাজ করছে। আচ্ছা সবাই এখন যাও আর বড় বউ আগামী কাল থেকে এতিহাকে রান্নাঘরের কাজ গুলি বুঝিয়ে দিবে।

ভাবি:- ঠিক আছে তাই হবে। এদিকে আল রুমে এসে দেখে এতিহা মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছে। আল তা দেখে এতিহাকে বলে।

আল:- এতিহা তুমি মোবাইল পেলে কোথায় আর কার সাথে কথা বলছো? এতিহা আলের কথার কোনো জবাব না দিয়ে মোবাইলে কথা বলতেছে। আল বসে আছে তখনি এতিহা আলের পাশে বসে ওকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে।

এতিহা:- আম্মা এই হচ্ছে তোমার জামাই আমার সাথে কেমন মানিয়েছে? এতিহার মা বলে। তখনি এতিহার মা আলকে অবাক করে দিয়ে বলে।

হ্যা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে তোদের দুজনকে। আর তোর সাথে বেশ ধারুন মানিয়েছে । এতিহা শোন তোর বাবাকে বলেছি তুই তোর নানুর বাড়িতে আছিস। যত তাড়াতাড়ি পারিস কাজ শেষ করে নিস মা কেমন!

এতিহা:- ঠিক আছে মা এখন রাখছি। এতিহা ফোনটা কেটে আমার গালে ছোট করে কিস করে দিছে। এতিহার কান্ড দেখে আল তো বিপদে পড়ে যাচ্ছে।

আল:- তুমি মোবাইল পেলে কোথায়? আর তুমি যে বলছো তোমার বাড়িতে কাওকে জানাতে পারবে না তোমার বিয়ে কথা। কিন্তু এখন তো দেখছি তোমার মা ঠিকই জানে।

এতিহা:- মোবাইলটা আমার এটা তো আমার সাথে ছিলো। কিন্তু তোমাকে দেখায় নি।
আর আম্মাকে মামি বিয়ের দিনে বলে দিছে।

আল:- তাহলে তুমি আম্মার সাথে এমন কথা বলছো কেনো?

এতিহা:- তাহলে কি বলবো? আমি বলে দিবো আর তোমার আম্মা ফোন করে আমার বাবা মাকে হুমকি ধমকি দিবে। তার জন্যই আমি বলেছি আমার নাম্বার মুখুস্থ নেই।

আল:- আচ্ছা এখন বলো তুমি আমার সম্পর্কে কি হও।

এতিহা:- তুমি সত্যই জানোনা আমি তোমার বউ ছাড়া কি হয়?

আল:- নাহ আর জানলে কি তোমাকে বলতাম।

এতিহা:- আচ্ছা তুমি জানো আমি যে তোমার আপন চাচাত বোন হই।

আল:- মানে?

এতিহা:- এমন ভাবে সক খেলে কেনো? যা বলছি তাই। তুমি হয়তো অনেক কিছু জানোনা যার কারণে তোমার আম্মা আর তোমার পরিবার যা যা করতে বলে তাই করো। তোমার বোন লিলি আপু আর আমার ভাই রাজ দুজনে প্রেম করছে। কিন্তু তুমি জানো আমার ভাইয়া রাজ তোমার বোনের ছোট ছিলো।

আল:- কি জানো জানো বলছো আমি জানলে কি তোমাকে জিজ্ঞেস করতাম? এখন তো আমার মাথা ঘুরতেছে। এতিহা তুমি এসব কি বলছো?

এতিহা:- তাহলে শোনো আমি তোমাকে সবটা বলি। প্রথমে তোমাদের পরিবার আর আমাদের পরিবার সবাই এক সাথে ছিলো। কিন্তু যখনি জানতে পারছে আমার ভাইয়া আর তোমার বোন লিলি দুজনের মধ্যে রিলেশন তৈরি হয়ে গেছে। তখনি তোমাদের পরিবার দুরে চলে যাই। কারণ সমাজের মানুষ কি বলবে আর লিলি আপু বড় ছিলো রাজ ভাইয়া থেকে দুই বছরের। তখন আমার বাবা রাজ ভাইয়াকে সহ আমাদের নিয়ে চলে যাই অনেক দুরে। বেশ মাস দুইয়েক কোনো যোগাযোগ ছিলোনা সবার মাঝে। হঠাত একদিন তোমাদের বাড়ির সবাই এসে আমাদের বাড়িতে উঠে আর বলে লিলি আপুর নাকী বাচ্চা হবে। আর সেইটা নাকী রাজ ভাইয়ার জন্য আপুর এমনটা হইছে। তখন রাজ ভাইয়া বাবার ভয়ে অস্কীকার করছে ঠিকই কিন্তু যখন জানতে পারছে লিলি আপু আত্মহত্যা করছে তার কিছুদিন পর ভাইয়াও লিলি আপুর মত আত্মহত্যা করে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাই না ফেরার দেশে।

আল:- কিন্তু ভাইয়ারা যে বলে রাজ তোমার বাবার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছে?

এতিহা:- তোমার পরিবার তোমাকে যা বলছে তুমি তাই শুনেছো! সত্যিটা আমি যা বলছি তাই। রাজ ভাইয়ার আর লিলি আপু যেই ভুলটা করছে সেটা ভুল ছিলোনা কিন্তু আমাদের পরিবারের মানুষ গুলির কারনে দুইটা জীবন অকালে সমাপ্তি হয়ে গেছে। এতিহার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে আল এতিহার চোখের পানি মুছে দিছে।

আল:- আচ্ছা তুমি এত কিছু জানলে কি করে?

এতিহা:- আম্মা আমাকে সব বলছে। আম্মা তোমার পরিবারের সবার ছবি দেখিয়ে দেখিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতো। প্রতিদিন যেমন নিয়ম করে খেতে হত ঠিক তেমন করে তোমাদের ছবি গুলি আমাকে দেখা লাগ তো। আম্মা আমাকে তাও বলছে তোমার মা নাকী বলছে লিলি আপুর সাথে যা হইছে ঠিক তেমনটা আমার সাথেও করতে চেয়েছে।

আল:- আমাদের ছবি তোমার মা কোথায় পাইছে?

এতিহা:- ফুপির কাছ থেকে নিছে।

আল:- ফুপির কাছ থেকে। কিন্তু ফুপিকে তো কোনোদিন আমাদের বাড়িতে আসতে দেখিনি।

এতিহা:- ফুপির সাথে তোমার বাবার যোগাযোগ আছে কিন্তু তোমার মায়ের জন্য কারো সাথে কোনো রকম যোগাযোগ নেই। আমি যা জানতে পারছি তা তোমাকে বলেছি এখন তুমি সরো আমি ঘুমাবো।

আল:- তুমি যে আমার চাচাত বোন এটার কি প্রমান আছে? তখনি এতিহা ওর মোবাইলটা বের করে আমাকে কিছু ছবি দেখাতে আরম্ভ করছে। ছবি গুলিতে আমাদের পরিবারের সবাই আছে আমি যখন ছোট তখকার ছবি গুলি।

এতিহা:- এই বাচ্চাটা তুমি আর আম্মুর কোলে হলাম আমি। এটা তোমার বাবা আর এটা আমার বাবা। এই হলো তোমার বোন লিলি আর এই হচ্ছে আমার ভাই রাজ। তোমার বোন লিলি রাজ ভাইয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাখছে। আর তার পাশে তোমার বড় ভাই আসাদ। এবার তো বিশ্বাস হইছে আমি তোমার চাচাতো বোন। আল এতিহার ছোট বেলার ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি আল বলে।

আল:- হ্যা বিশ্বাস হইছে। তবে তোমাদের কথা আমার মনে নেই। আব্বা বলছে তোমরা সবাই নাকী বিদেশে চলে গেছো দেশে আর আসবে না। তবে এতিহা তোমার তিলটা কি এখনো আছে?

এতিহা:- তুমি কোন তিলটার কথা বলছো?

আর:- হাটুর উপরের তিলটার কথা বলছি তখনি এতিহা আমার দিকে চোখ রাগিয়ে বলে।

এতিহা:- এত কিছু থাকতে আমার তিলটার দিকে তোমার চোখ গেলো কেনো?

আল:- তোমার তিলটা অনেক সুন্দর তো তাই। আচ্ছা তিলটা কি দেখা যাবে? তখনি এতিহা গলা টিপে ধরে সোজা খাঠের উপরে পড়ছে। আল গলা থেকে হাত সরিয়ে দিছে আর সোজা বুকের মাঝে এতিহা। আর ঠোঁট গুলি আলের ঠোঁটের সামনে। দুজনে চুপচাপ কোনো কথা নেই। আল আস্তে আস্তে এতিহার ঠোঁটে ঠোঁট গুজে দিছে আর এতিহা আলকে আপন করে নিছে। আজকের রাতে ওদের মাঝে কোনো রকম ঝগড়া হইনি বরং ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেছে। সকালে আল চোখ খুলে দেখে এতিহা জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আর ছোট ছোট কিস করছে এতিহাকে। এতিহা চোখ খুলে দেখে আল ওকে কিস করছে আর এক ঝাটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে বলে।

এতিহা:- আল তুমি কি করছো?

আল:- বউয়ের সাথে স্বামী যা যা করে আমিও তা তা করেছি।

এতিহা:- নাহ কাজটা তুমি ঠিক করোনি! তোমার আর আমার মিল হবে না। আজ নয়তো কাল আমাদের দুজনের আলাদা হয়ে যেতে হবে। তখনি এতিহা উঠে যেতে ছিলো তখন আল বলে।

আল:- এতিহা তোমার তিলটা আগের থেকে কিছুটা বড় হইছে। আলের এমন কথা শোনে এতিহা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে।

এতিহা:- রাতে তাহলে তুমি আমাকে জোর করে বলেই কান্না শুরু করে দিছে।

আল:- আরে বোকা মেয়ে কান্না করছো কেনো? আমি জোর করে কিছুই করিনি। রাতে তো সব ঠিকই ছিলো এখন আবার কান্না করছো কেনো? এতিহা কিছু না বলে কান্না করতে করতে ওয়াশ রুমে গেছে। আরে আজব তো রাতে তো কত সুন্দর কথা বলছে আর সকালে বলে জোর করে ছিঃ মেয়েদের মন বুঝা সত্যি দায়। আল শুয়ে রইলো কিছুক্ষণ পর এতিহা বেরিয়ে বলে।

এতিহা:- এই শুয়ে আছো কেনো তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও তোমাকে নিয়ে বের হবো।

আল:- কোথায় যাবো?

এতিহা:- আমার সাথে আর শোনো আম্মা যদি জানতে চাই কেনো বাহিরে যাচ্ছি তাহলে বলবে তুমি আমাকে নিয়ে বের হচ্ছো। কি মনে থাকবে?

আল:- আগে ফ্রেশ হয়ে আসি। আল ওয়াশ রুমে চলে গেছে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে দেখে এতিহা একদম রেডি। আল এতিহাকে নিয়ে নিচে গিয়ে দেখে সবাই নাস্তা করছে।

আম্মা:- আল নাস্তা করতে আয়। আল এতিহা দুজনে নাস্তা করছে। তখনি ক্রয়েন বেল বেজে উঠছে। আলের ভাবি গিয়ে দরজা খুলছে তখনি ভাবি বলেন

ভাবি:- আম্মাজান একজন ভদ্র লোক সাথে পুলিশ নিয়ে এসেছে। তখনি সবাই খাবার টেবিল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেছে। ভদ্র লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখি এতিহার বাবা আর তখনি এতিহা দৌরে গিয়ে ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে।

এতিহা:- বাবা তুমি এসেছো ওরা আমাকে বন্ধি করে রাখছে। আজ দুই দিন যাবৎ আমাকে এই বাড়িতে বন্ধি করে রাখছে। এতিহার এমন কথা শোনে সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। আল দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বসে গেছে।

এতিহার বাবা:- স্যার ওরা আমার মেয়েকে জোর করে এই বাড়িতে বন্ধি করে রাখছে। আপনারা ওদের সবািকে থানায় নিয়ে চলেন। ঠিক তখনি এতিহা আবার বলে।

এতিহা:- বাবা শুধু বন্ধি করেনি আমাকে জোর করে ওনাদের ছোট ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিছে। তখনি আমি বলি এতিহা এই গুলি তুমি কি বলছো তখনি আমাকে চোখ টিপ দিছে।
!!
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here